এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • ইউক্রেন, বাংলাদেশ, এবং মিডিয়া -- বর্বরতার সেকাল একাল

    Partha Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২২ মার্চ ২০২২ | ১১৮৫৬ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • ঊনিশশো একাত্তরের মার্চ মাস থেকে ডিসেম্বর -- বাংলাদেশের রক্তাক্ত মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে -- আজ এই দুহাজার বাইশ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত পৃথিবীতে কতগুলো যুদ্ধ হয়েছে, এবং তার পরিণতি হিসেবে কত কোটি নিরীহ মানুষকে নিজের দেশ ছেড়ে চিরকালের মতো অন্য দেশে গিয়ে উদ্বাস্তুর জীবন কাটাতে হয়েছে? কেউ কি তার হিসেব রেখেছে কোনো?
     
    আজকে নিউ ইয়র্ক টাইমস, সিএনএন, বিবিসি এবং প্রায় সমস্ত মার্কিন ও পশ্চিমি মিডিয়া রাশিয়ার আক্রমণে ইউক্রেন থেকে পালিয়ে যাওয়া শরণার্থীদের জন্যে কেঁদে আকুল। কেবলমাত্র পোল্যাণ্ডেই দশ থেকে পনেরো লক্ষ ইউক্রেনিয়ান পুরুষ, নারী ও শিশু আশ্রয় নিয়েছে। এর পর আছে পশ্চিম ইউরোপের আরো দেশ -- যেমন জার্মানি, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড, স্পেন, ইতালি। ইউক্রেনের চারপাশে আরো যেসব দেশ আছে, যেমন বেলারুশ, হাঙ্গেরি, চেক রিপাবলিক, মলডোভা, জর্জিয়া, রোমানিয়া ইত্যাদি। 

    ইউক্রেনে রাশিয়ার বর্বর আক্রমণ এই প্রতিটি দেশকেই সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে বাধ্য। পরিবেশ ও জলবায়ুর ওপরে যে নিদারুণ প্রভাব পড়বে, এবং কত কোটি গাছ কাটা পড়বে, পার্ক ও তৃণভূমি জ্বলে যাবে, কত লক্ষ কোটি গ্যালন জল চিরকালের মতো বিলীন হবে, তার হিসেব কে করে? এবং যারা বেঁচে থাকবে, বিশেষ করে শিশুরা, তাদের মনের ওপর এই যুদ্ধ ও বোমাবর্ষণ চিরকালের মতো কেমনভাবে ছাপ ফেলে যাবে, তার হিসেব কে করে?
     
    বাংলাদেশ যুদ্ধের সময়ে আমরা দেখেছি, কত লক্ষ নিরীহ পরিবারকে এই ট্রমার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল। কত অসংখ্য নারীর মর্যাদা লুন্ঠিত হয়েছিল। কত মানুষ বিকলাঙ্গ, পঙ্গু হয়ে গিয়েছিলো। অথচ, বাংলাদেশের ওপর পাকিস্তানী হানাদারদের বর্বরতার খবর আমার পরিচিত অনেক সাধারণ পাকিস্তানীই জানেনা। আমি যখন তাদের এসব কথা বলি, তারা আশ্চর্য হয়ে যায়। তারা তাদের দেশে থাকার সময়ে কখনো এসব কথা শোনেনি। শুনলেও তার যে বীভৎসতা, বিভীষিকা, তার কোনো সঠিক খবর তাদের দেশের মিডিয়া তাদের দেয়নি। এও হলো আমার পূর্বকথিত "জার্নালিজম অফ এক্সক্লুশন" বা কৌশলে বর্জন করার সাংবাদিকতা। আজ আমরা নিউ ইয়র্ক টাইমস, সিএনএন, বিবিসি এবং পশ্চিমি মিডিয়াতে তার এক আধুনিক সংস্করণ দেখতে পাচ্ছি।
     
    এই আধুনিক, নবতম মগজধোলাইতে দেখা যাচ্ছে, রাশিয়া ও পুতিন কেমনভাবে ইউক্রেনের ওপর বর্বর আক্রমণ চালাচ্ছে, কত নিরীহ মানুষের প্রাণ যাচ্ছে, মারিপল, ম্যারিটোপোল, খারসন, ইত্যাদি শহরে হাসপাতাল, আশ্রয়কেন্দ্র এসব রাশিয়ার বোমার আঘাতে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গেছে। তার ছবি আমরা দিবারাত্র পশ্চিমি মিডিয়াতে এবং তাদের বশংবদ ভারতীয় ও বাংলাদেশী মিডিয়াতে দেখছি। এবং শিহরিত হচ্ছি। হওয়ারই কথা।
     
    রাশিয়ার এ আগ্রাসন ও বর্বরতাকে চরম ধিক্কার জানাই। 
     
    কিন্তু এখানে একটা বিরাট প্রব্লেমও আছে। আজ পৃথিবীতে যেমন সোশ্যাল মিডিয়াতে কোনো খবর দেখলে তেমন কেউ তার সম্পর্কে খোঁজখবর করেনা বা রিসার্চ করেনা, এবং সেই উড়ো খবরকেই ধ্রুবসত্য বলে মনে করে এবং নিজের বন্ধু পরিজনের সঙ্গে চোখ বন্ধ করে শেয়ার করে ফেলে, ঠিক তেমনি নিউ ইয়র্ক টাইমস বা সিএনএনের খবরকে কেউ যাচাই না করেই নিজেদের মিডিয়াতে প্রকাশ করে দেয়। এবং কে কত বেশি আগে প্রকাশ করতে পারলো, তার প্রতিযোগিতা চলে। 

    অথচ, নিউ ইয়র্ক টাইমস জাতীয় মিডিয়া একপেশে রাশিয়াবিরোধী খবর প্রচার করে চলেছে, যা ওয়ার প্রোপাগাণ্ডা -- যুদ্ধ সম্পর্কে একটা জিগির সৃষ্টি করা।
     
    সেই একপেশে সাংবাদিকতায় যেমন যুক্তিতর্ক, বিশ্লেষণ, কারণ অনুসন্ধান সমস্ত বিলুপ্ত, ঠিক তেমনই ইতিহাসের কোনো আলোচনাও সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এই তথাকথিত "মুক্ত ও স্বাধীনতার দেশ" আমেরিকায় আজ যদি কোনো মূলস্রোত মিডিয়া সেসব কারণ বা ইতিহাসের কথা তোলে, সঙ্গে সঙ্গেই সে মিডিয়া জনপ্রিয়তা হারাবে, এবং যেসব বড় বড় কর্পোরেশন -- গাড়ি থেকে ওষুধ থেকে ম্যাকডোনাল্ড থেকে পিৎজা হাট থেকে ডিজনি ওয়ার্ল্ড -- তাদের বিজ্ঞাপন দিয়ে চলেছে, তারা সে বিজ্ঞাপন গুটিয়ে নেবে, এবং সে মিডিয়া মুখ থুবড়ে পড়বে। সে ঝুঁকি নিয়ে সৎ, নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার সাহস কোনো মূলস্রোত মিডিয়ার নেই।
     
    অথচ সৎ, নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা করার এই মুহূর্তে খুব বেশি দরকার ছিল। আগের তিন সপ্তাহে আমি বাংলাদেশ প্রতিদিনের পাতায় সেসব বিষয় নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেছি। আজ করছি যুদ্ধ এবং শরণার্থী সমস্যা নিয়ে আলোচনা। ইমিগ্রেন্ট এবং ইমিগ্রেশন নিয়ে মার্কিন মিডিয়ার একপেশে আলোচনা দেখলে স্তম্ভিত হতে হয়। ইরাক, আফগানিস্তানের যুদ্ধের সময়ে যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন সে দুই দেশে লক্ষ লক্ষ মানুষ মেরেছিলো, এবং বলতে গেলে বিনা কারণেই বোমার আঘাতে দুটো দেশকে গুঁড়িয়ে দিয়েছিলো, তখন মার্কিনি ও পশ্চিমি মিডিয়ার এই কুম্ভীরাশ্রু কোথায় ছিল? 

    প্রতিটি ছবি, প্রতিটি খবর দেখলে আজ সেই হিপোক্রিসি, দ্বিচারিতার কথাই খুব বেশি করে মনে আসে। কিন্তু সেসব কথা বলা জনপ্রিয় নয়। 

    ইতিহাসের আলোচনা জনপ্রিয় নয়। আপনার চাকরি চলে যেতে পারে, আপনার ফোন হ্যাক করা হতে পারে, আপনার পরিবারের ওপর নজরদারি করা হতেই পারে। এমনিতেই আমেরিকায় গুগল, ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব বিনা পয়সায় ব্যবহারের পরিবর্তে আপনার ব্যক্তিগত সমস্ত তথ্য বা পছন্দের খবর মার্কিনি কর্পোরেশনগুলো জানে। আপনার ফোনে বা ইমেলে যে কোনো সময়ে যে কোনো কর্পোরেশন আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে। আপনার বাড়িতে যদি অ্যালেক্সা-জাতীয় অনলাইন রোবট থাকে, তাহলে তার মাধ্যমে আপনার বলা সমস্ত কথা কর্পোরেশনগুলির হাতে সরাসরি চলে যেতে পারে। 

    এই তথাকথিত "ল্যাণ্ড অফ প্রাইভেসি" আমেরিকায় কোনো ব্যক্তিগত গোপনীয়তা আপনার অবশিষ্ট নেই।
     
    একাত্তরের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়েই কিন্তু ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, চিলি এসব দেশে বিশাল বিশাল যুদ্ধ চলছিল, এবং প্রতিটি যুদ্ধের পিছনেই ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিলিটারি ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্সের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ হাত। সেই একই সময়ে দক্ষিণ আমেরিকায় গুয়াতেমালা, সালভাডোর, হণ্ডুরাস এসব দেশে মার্কিন মদতে সেখানকার অত্যাচারী রাষ্ট্রনায়করা বর্বর আক্রমণে বিরোধী শক্তিকে শেষ করে দেওয়ার খেলায় নেমেছিল, এবং লক্ষ লক্ষ মানুষ জমি, ঘরবাড়ি, স্বজন পরিজন হারিয়ে স্ত্রীপুত্রকন্যার হাত ধরে নিজের প্রিয় দেশ ও পরিচিত পরিবেশ ছেড়ে পাড়ি দিয়েছিলো অন্য দেশের আশ্রয়ে।
     
    ফিলিপিন্স থেকে এ্যাঙ্গোলা, বাংলাদেশ থেকে শ্রীলঙ্কা, সুদান থেকে কঙ্গো, কসোভো থেকে ইউক্রেন -- সমস্ত যুদ্ধের পিছনেই ওই যে কথা আগেই বললাম, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং তাদের ট্রিলিয়ন ডলার, ট্রিলিয়ন পাউনড অস্ত্র ও যুদ্ধ কর্পোরেশনের মদত রয়েছে। ঠিক যেমন পট্যাটো চিপসকে জনপ্রিয় না করলে খামারের আলু বিক্রি হবেনা এবং পচে যাবে, ঠিক একই ভাবে যুদ্ধ না লাগালে এবং যুদ্ধ চালিয়ে না গেলে এই ট্রিলিয়ন ডলারের মজুত করা অস্ত্রভাণ্ডার পড়ে থাকবে, এবং শেয়ার বাজারে তাদের লাভ দ্রুত পড়ে যাবে। 
     
    অস্ত্র ও যুদ্ধ বিক্রি না হলে লাভ নেই, এবং লাভ না থাকলে শেয়ার মার্কেট নেই। স্টকহোল্ডাররা ক্ষেপে উঠবে। 

    যুদ্ধ কর্পোরেশনের সঙ্গে কেবলমাত্র অস্ত্র প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলো যুক্ত নয়। যুক্ত আছে ওষুধপত্র, কম্পিউটার ও সফটওয়্যার, হাজার ইলেক্ট্রনিক্স ও অনলাইন বাণিজ্য, সাবান থেকে খাদ্যসামগ্রী। গাড়ি থেকে গ্রেনেড। বস্তুতঃ, যুদ্ধ না লাগালে, এবং যুদ্ধ চালিয়ে না গেলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি সম্পূর্ণভাবেই ধ্বংস হয়ে যাবে। এই কারণে, আপনারা একবার গুগল সার্চ করে দেখে নিতে পারেন, দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত আমেরিকা পৃথিবীর কোথাও না কোথাও কোনো না কোনো ভাবে যুদ্ধের সঙ্গে যুক্ত ছিল। আছে।
     
    আজকে পৃথিবীতে এই মুহূর্তেই সৌদি আরব ইয়েমেনের ওপর বর্বর আক্রমণ চালাচ্ছে। এবং মার্কিন অস্ত্র ব্যবহার করছে। কিন্তু নিউ ইয়র্ক টাইমস বা সিএনএন বা বিবিসিতে তার কোনো খবর আপনি পাবেন না আদৌ।
     
    কাশ্মীরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সর্বক্ষণ যুদ্ধ চলেছে। আফ্রিকার অনেকগুলো দেশের মধ্যে নিরন্তর যুদ্ধ চলেছে। ইজরায়েলের কথা বলে আর মার্কিনি মিডিয়ার লজ্জা বাড়ালাম না। অবশ্য, জার্নালিজম অফ এক্সক্লুশনে লজ্জা বস্তুটাই তাদের আর নেই।
     
    সব জায়গাতেই -- বার্মা থেকে বাংলাদেশ থেকে বলিভিয়া থেকে বার্কিনা ফাসো -- যুদ্ধের শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। তারা ওই মেক্সিকো, গুয়াতেমালার সর্বস্বান্ত মানুষের মতোই দেশ হারিয়ে, স্বজন পরিজন হারিয়ে, জমি হারিয়ে পাড়ি জমাচ্ছে অন্য দেশের আশ্রয়ে। এই মুহূর্তে যেমন ইউক্রেন থেকে পোল্যাণ্ডে পাড়ি জমাচ্ছে ওই দশ থেকে পনেরো লক্ষ মানুষ। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময়ে যেমন ইউরোপ থেকে আমেরিকায় পাড়ি জমিয়েছিল কোটি কোটি মানুষ।
     
    আমেরিকা তাদের আশ্রয় দিয়েছিলো। যেমন ইউরোপের নতুন যুদ্ধগুলোর শরণার্থীরা অনেকেই আশ্রয় পেয়েছে জার্মানিতে, ফ্রান্সে।
     
    কিন্তু আমেরিকায় আজ উদ্বাস্তুবিরোধী, শরণার্থীবিরোধী রাজনৈতিক ও সামাজিক হাওয়া অতি প্রবল আজ যদি কুম্ভীরাশ্রু নিউ ইয়র্ক টাইমস, সিএনএন বলতো, ইউক্রেন থেকে যে কেউ আমেরিকায় আশ্রয় পেতে চাইলে আমেরিকা তাদের বিনাশর্তে আশ্রয় দেবে, এ্যাসাইলাম দেবে। বলবে কি?
     
    বিবিসি কি রাণীর ওপরে চাপ সৃষ্টি করবে, যাতে ইউক্রেনের শরণার্থীরা সবাই ব্রিটেনে নিরাপদ আশ্রয় পায়?
     
    যেমন একাত্তরে বাংলাদেশ থেকে কোটি কোটি নিঃস্ব, ছিন্নমূল নিরীহ মানুষ ভারতে আশ্রয় পেয়েছিলো?
     
    ###

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২২ মার্চ ২০২২ | ১১৮৫৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • lcm | ২৩ মার্চ ২০২২ ০৭:৫৭505231
  • বড়েস,
    এ বাবা! Ctrl-F সার্চ মেরে সেটাকে সাইট সার্চ বলছ ! হোম পেজ সার্চই বা কি করে হয়, এ তো অ্যাড বা এক্সটার্নাল কন্টেন্ট হাবিজাবি সব সার্চ করবে। আবার অনেক কিছু সার্চ করবেও না, হিডেন ট্যাগ বা স্ক্রোলেবেল কন্টেন্ট তো করবেই না।

    না বাপু, এ ঠিক হল না।
  • lcm | ২৩ মার্চ ২০২২ ০৮:০৪505232
  • অফ কোর্স, মিডিয়াতে ইউক্রেনের যুদ্ধের খবর বেশি।
    ... ...
    বার্মার রোহিঙ্গা কনফ্লিক্টের থেকে বেশি,
    সেন্ট্রাল আফ্রিকার বিভিন্ন কনফ্লিক্টের থেকে বেশি,
    প্যালেস্তাইনের থেকে বেশি,
    ... ...
    অনেক কিছুর থেকে বেশি।
    ... ...
    যেমন, ভারত পাকিস্তানের যুদ্ধের খবর ঐ দুটি দেশের কাগজে বেশি কভারড হয়।
    ... ...
    এটা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ হলেও, এটা রাশিয়া-নাটো যুদ্ধ, রাশিয়া-ওয়েস্ট যুদ্ধ ... ...

    তো নাটোর মেম্বার দেশগুলোতে, ওয়েস্টের দেশগুলোতে কভারেজ বেশি হবে, সেটা স্বাভাবিক।

    আমি বুঝতে পারছি না এতে আশ্চর্য হবার কি আছে, এটা নিয়ে এত হৈ চৈ এরই বা কি আছে।
  • a | 2405:8100:8000:5ca1::414d | ২৩ মার্চ ২০২২ ০৮:৫২505236
  • রাশিয়া অনেকের বাবা কিনা।
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b143:3000:55ff:d4ea:a4f6:565 | ২৩ মার্চ ২০২২ ০৯:১০505237
  • এটা রাশিয়া ন্যাটো যুদ্ধ বলে স্বীকার করলে তো অনেক কথাই আর থাকেনা।
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::1:8b0c | ২৩ মার্চ ২০২২ ০৯:৪০505238
  • @লসাগুদা, এখানে একজন লিখেছিলেন যে ওয়েস্টার্ণ মিডিয়ায় অন্য কনফ্লিক্ট নিয়েও যথেষ্ট কভারেজ হয়। এই কনফ্লিক্টের কভারেজ দেখে বোঝা যাচ্ছে যে হয়না। সেটাই পয়েন্ট।

    সেইজন্যই সাইট সার্চ বলিনি, হোমপেজ সার্চ বলেছি। আপনারা দুটোর গুলিয়ে ফেলেছেন। কন্ট্রোল এফ দিলে হিডেন ট্যাগ সার্চড হয়।

    এবারে একটু মন দিয়ে পড়বেনঃ
    আপনি আমার কথাই বলেছেন যে এটা রাশিয়া-ওয়েস্ট (ন্যাটো) যুদ্ধ। কিন্তু ইউক্রেণ ব্যাটলফিল্ড। ইউক্রেনিয়ানরা হল ভিক্টিম। কে কে এই যুদ্ধটা বন্ধ করতে পারতো বা এখনও পারে। এক অবশ্যই পুতিন। সেক্ষেত্রে রাশিয়াকে ইউক্রেনের ন্যাটো মেম্বারশিপ মেনে নিতে হয়। দুই জেলেনস্কি। সেক্ষেত্রে তাকে ন্যাটোর মেম্বারশিপ ছাড়তে হবে। তিন, ন্যাটো মানে বড়দাদা। তারা বলতেই পারতো যে ইউক্রেনকে ন্যাটোতে নেওয়া হবেনা।

    এবারে আপনি ভেবে দেখুন যে এই যুদ্ধে যদি রাশিয়া হারে, তাহলে সেটা হবে মূলত পস্চিমের জীত (এসব এমেসেমে অলরেডি আলোচনা হতে শুরু করেছে)। রাশিয়াকে হারালেও ইউক্রেনকে হয়তো আগামী দশ বছরেও ন্যাটো মেম্বারশিপ দেওয়া হবেনা, ইউ মেম্বারশিপও অনেক দূরে। দেশটার সর্বনাশ হয়ে গেলো। একগাদা সিভিলিয়ন এবং বাচ্চাদের প্রাণ গেলো। যারা বেঁচে থাকলো, তাদেরও অনেকের এই ট্রমা সারা জীবন থাকবে।

    যদি রাশিয়া জেতে তাহলে কিন্তু যুদ্ধে হারবে ইউক্রেন, ন্যাটো না। ন্যাটো তখন ইউক্রেনের দিকে তাকাবেও না। ইউক্রেনে ন্যাটোর সৈন্য নামানোর স্বপ্নটা হয়তো কয়েকদিন মুলতুবি রাখতে হবে। ইউক্রেনের যে সর্বনাশ হচ্ছে, সেটা হয়েই গেলো।

    ফলে ওয়েস্ট চাইছে যে যুদ্ধটা চলুক। তাই এতো নাচন কোদন করে চলেছে। ওয়েস্ট জানে যে যত বেশিদিন চলবে, তত রাশিয়া দূর্বল হবে, আর তাতেই তাদের লাভ। আর রাশিয়া হেরে গেলে তো লাভই লাভ। তারফলে যে ইউক্রেন দেশটা জাস্ট নস্ট হয়ে গেলো, তাতে তাদের কিছুই যায় আসেনা। ফলে ক্ষতি যদি হয় সেটা হচ্ছে এবং হবে ইউক্রেনের আর রাশিয়ার। এইখান থেকেই ওয়েস্টের সমালোচনা। ওরাও শুধুমাত্র নিজেদের জিওপলিটিকাল স্বার্থটাই দেখছে, ইউক্রেনের জন্য কুম্ভীরাশ্রু।
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::1:909c | ২৩ মার্চ ২০২২ ০৯:৪৩505239
  • *ন্যাটোর মেম্বারশিপ আশা ছাড়তে হবে।
  • lcm | ২৩ মার্চ ২০২২ ০৯:৪৯505240
  • বড়েস,
    যুদ্ধ নিয়ে তোমার বক্তব্যের সঙ্গে মোটামুটি একমত তো। ইন ফ্যাক্ট সেদিন একটা লেখা পড়্লাম, ডিটেইলস একজন লিখেছেন, যে ইউএস বেনিফিটস ফ্রম দিস স্যাংশন, ইউরোপ ডাজ নট।

    কিন্তু আমি বুঝতে পারছি না, ইউএস মিডিয়া যুদ্ধের খবর দেখাবে না কেন। যে নিউজের সঙ্গে তাদের কানেকশন বেশি সেটা একটু বেশি করে দেখাবেই।

    বাই দ্য ওয়ে, হিডেন ফিল্ড নিয়ে, এই পাতাতেই Ctrl-F করে "গুরু পদ্ধতি" দিয়ে পেজ সার্চ করো, দেখবে মতামত উইন্ডো যদি হিডেন থাকলে রেজাল্টে কিছু আসবে না।
  • dc | 122.174.120.85 | ২৩ মার্চ ২০২২ ০৯:৪৯505241
  • "দুই জেলেনস্কি। সেক্ষেত্রে তাকে ন্যাটোর মেম্বারশিপ ছাড়তে হবে।"
     
    জেলেন্সকি ৮ মার্চে বলেছে ন্যাটো মেম্বারশিপ আর চায়না। 
     
    যুদ্ধ বন্ধ হয়নি। 
     
    President Volodymyr Zelensky said he is no longer pressing for NATO membership for Ukraine, a delicate issue that was one of Russia's stated reasons for invading its pro-Western neighbor.

    In another apparent nod aimed at placating Moscow, Zelensky said he is open to "compromise" on the status of two breakaway pro-Russian territories that President Vladimir Putin recognized as independent just before unleashing the invasion on February 24.

    "I have cooled down regarding this question a long time ago after we understood that ... NATO is not prepared to accept Ukraine," Zelensky said in an interview aired Monday night on ABC News.
  • lcm | ২৩ মার্চ ২০২২ ০৯:৫০505242
  • পলিটিশিয়ান,
    রাশিয়া তো যুদ্ধের যে কারণগুলো বলেছে তার মধ্যে নাটো তো আছে। মানে এই যুদ্ধে নাটো ইনভলভড তো বটেই। আর সেটা হলে, নাটোর মেম্বার দেশের মিডিয়া তো একটু বেশি বেশি কভার করবেই।
  • lcm | ২৩ মার্চ ২০২২ ০৯:৫৪505243
  • পার্থবাবু যেভাবে মিডিয়াকে সমালোচনা করছেন তাতে বুঝতে পারছি না, এই মুহুর্তে মিডিয়ার কী কর্তব্য তাহলে? যুদ্ধের কোনো খবর না দেওয়া, বা, একটু কম খবর দেওয়া?
  • dc | 122.174.120.85 | ২৩ মার্চ ২০২২ ০৯:৫৫505244
  • "যদি রাশিয়া জেতে তাহলে কিন্তু যুদ্ধে হারবে ইউক্রেন, ন্যাটো না"
     
    লং টার্মে রাশিয়ার জেতার সম্ভাবনা খুব কম। আমেরিকা ভিয়েতনাম ধরে রাখতে পারেনি, ইউএসএসআর আফগানিস্তান ধরে রাখতে পারেনি, আমেরিকা আফগানিস্তান ধরে রাখতে পারেনি। ইউক্রেন রাশিয়ার আরেকটা ভিয়েতনাম হতে চলেছে। আগামি পাঁচ বা দশ বছর পর যখন ইউক্রেন সম্পূর্ণ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হবে, আর তার পরেও যখন ইউক্রেনিয়ানরা রাশিয়ান অকুপাইং সোলজারদের মারতেই থাকবে, তখন পুটিনের পক্ষে যুদ্ধে জিতেছি বলাটা হয়তো মুশকিল হবে। 
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::1:fe20 | ২৩ মার্চ ২০২২ ০৯:৫৮505245
  • @ডিসি, এই কথাটাই যুদ্ধের আগেই বলতে পারতো। একটু ইতিহাস চর্চা করা যাক। রাশিয়া বহুদিন ধরেই দাবী করেছে যে সোভিয়েত ভেঙে যাওয়ার পরে এবং ওয়ারস প্যাক্ট শেষ করে দেওয়ার সময়েও ন্যাটো মৌখিক প্রমিস করেছিলো যে ন্যাটো আর পূব দিকে বাড়াবেনা। এখন বলে কোথায় লেখা আছে দেখাও। ফলে ওসব একটা ইন্টারভিউতে জেলনস্কি কি বলেছে তাতে চিঁড়ে ভিজবেনা। আজকেই আবার জেলেনস্কি বলেছে যে যেকোনও পীস ডিলের (ন্যাটোর মেম্বারশিপের) জন্য রেফারান্ডাম নিতে হবে। আসলে এগুলো বোধয় স্টলিং ট্যাকটিক্স। কাদের পরামর্শে সেটা বোঝাই যাচ্ছে।
  • সিএস  | 103.99.156.98 | ২৩ মার্চ ২০২২ ০৯:৫৮505246
  • পুতিন যূদ্ধ বাঁধিয়েছে। ভেবেছিল দু'দিনে ইউক্রেনকে সাল্টে দেবে, ন্যাটোকেও ঠোনা মারবে, ন্যাটো বিশেষ কিছু করতে পারবে না। কিন্তু সেসব হচ্ছে না। পশ্চিমী মিডিয়া পেছনে লেগেছে। ভালই তো করেছে।

    sputnik news না কী একটা ছিল যেন, এককালে এখানে খুব লিংক পড়ত। তো তারা কী করছে ?

    যতসব ভুলভাল তর্ক।
  • dc | 122.174.120.85 | ২৩ মার্চ ২০২২ ০৯:৫৮505247
  • ইউক্রেন রাশিয়ার আরেকটা ভিয়েতনাম/আফগানিস্তান হতে চলেছে
  • dc | 122.174.120.85 | ২৩ মার্চ ২০২২ ১০:০১505249
  • "ফলে ওসব একটা ইন্টারভিউতে জেলনস্কি কি বলেছে তাতে চিঁড়ে ভিজবেনা"
     
    এবার বুঝতে পেরেছি। জেলেন্সকি যা কিছুই বলুক না কেন, জেলেনস্কি ব্যাটাই চোর। চিঁড়ে ভেজার দিন গেছে, এখন চিঁড়েচ্যাপ্টা হওয়ার দিন। তবে পুতিন কতোটা চ্যাপ্টা করতে পারে, সেটাই দেখার। 
  • dc | 122.174.120.85 | ২৩ মার্চ ২০২২ ১০:০৪505250
  • এদ্দিন বলা হচ্ছিল জেলেনস্কি কেন ন্যাটো জয়েন করবে বলেছে, সেই রাগে পুতিন ইউক্রেন ইনভেড করেছে। এখন যখন জেলেন্সকি বলছে আর ন্যাটো চাইনা, এখন বলা হলো আর চিঁড়ে ভিজবে না। এটা দুর্দান্ত লজিক :d
  • lcm | ২৩ মার্চ ২০২২ ১০:০৬505252
  • এটা আজকের খবরে দেখলাম - ওয়েস্টের মিডিয়া -  
     
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b143:3000:55ff:d4ea:a4f6:565 | ২৩ মার্চ ২০২২ ১০:০৮505253
  • "পলিটিশিয়ান,
    রাশিয়া তো যুদ্ধের যে কারণগুলো বলেছে তার মধ্যে নাটো তো আছে। মানে এই যুদ্ধে নাটো ইনভলভড তো বটেই। আর সেটা হলে, নাটোর মেম্বার দেশের মিডিয়া তো একটু বেশি বেশি কভার করবেই।"
     
    মিডিয়া যদি বলে কয়ে কভার করত যে এটা রাশিয়া আর ন্যাটোর মধ্যে প্রক্সি যুদ্ধ তাহলে কভারেজ নিয়ে কোনই আপত্তি ছিল না। পুতিন বলেছে এটা রাশিয়া আর ন্যাটোর মধ্যে যুদ্ধ। কিন্তু আমেরিকান মিডিয়া তো সেটা বলছে না।
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::2:2cfd | ২৩ মার্চ ২০২২ ১০:১০505254
  • @লসাগুদা, ওয়েস্টার্ণ মিডিয়া তো তাদের সরকারের কথায় চলছে। মানে ন্যাটোর অ্যাজেন্ডা প্রোপাগান্ডা করেই চলেছে। তাদের কভারেজ দেখেও মনে হচ্ছে যে তারাও চায় যুদ্ধটা চলুক। আরটি আর গ্লোবাল টাইমস আর কি দোষ করলো।

    @ডিসি, রাশিয়া চারদফা দাবী রেখেছে। ইউক্রেনের পক্ষে সত্যিই সেসবগুলো বোধয় মানা সম্ভবও না। টার্কির কাগজগুলো একটু ঘেঁটে দেখুন, ওরাই এখন মধ্যস্থতা করছে।

    ইরাক যুদ্ধের সময়ও অনেকে বলেছিলো যে বেশ করেছে যা করেছে।
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::2:6d19 | ২৩ মার্চ ২০২২ ১০:১৫505256
  • "dc | 122.174.120.85 | ২৩ মার্চ ২০২২ ১০:০৪505250
    এদ্দিন বলা হচ্ছিল জেলেনস্কি কেন ন্যাটো জয়েন করবে বলেছে, সেই রাগে পুতিন ইউক্রেন ইনভেড করেছে। এখন যখন জেলেন্সকি বলছে আর ন্যাটো চাইনা, এখন বলা হলো আর চিঁড়ে ভিজবে না। এটা দুর্দান্ত লজিক :d"
    ডিসি, আমার মনে হয় আপনি পড়েন না, বা পড়ে বুঝতে পারেন না। জেলেনস্কির কোনও একটা মিডিয়া ইন্টারভিউতে বলা আনফিশিয়াল মৌখিক কথা রাশিয়া মেনে নেবেনা। সরকারি, লিখিত, পাবলিকলি ডিক্লেয়ার্ড, সই সাবুদ, স্ট্যাম্প দেওয়া ইত্যাদি চুক্তিপত্তর চাই।

    আর জেলেনস্কি চারদিকে চার রকম কথা বলে বেড়াচ্ছে। একটু খোঁজ রাখলে জানতে পারতেন।
  • সম্বিৎ | ২৩ মার্চ ২০২২ ১০:২০505257
    • S | 2405:8100:8000:5ca1::2:2cfd | ২৩ মার্চ ২০২২ ১০:১০505254
    • @লসাগুদা, ওয়েস্টার্ণ মিডিয়া তো তাদের সরকারের কথায় চলছে। মানে ন্যাটোর অ্যাজেন্ডা প্রোপাগান্ডা করেই চলেছে। তাদের কভারেজ দেখেও মনে হচ্ছে যে তারাও চায় যুদ্ধটা চলুক। আরটি আর গ্লোবাল টাইমস আর কি দোষ করলো।
     
    জীবনের কী অদ্ভুত গতি! দু বছর আগেই শ্রীমান S আমাকে অ্যামেরিকার প্রেসের ফ্রিডম নিয়ে অনেক পুষ্টিকর কথা বুঝিয়েছিল।
  • সিএস  | 103.99.156.98 | ২৩ মার্চ ২০২২ ১০:৩০505258
  • দু'বছর আগে তো ট্রাম্প ছিল, তাকে নিয়ে খিল্লি চলত বলে আম্রিকি মিডিয়া তখন পোগ্রেসিভ ছিল।

    কিন্তু এখন পুতিনকে নিয়ে খিল্লি চললে তারা রিগ্রেসিভ ! কারণ পুতিন্দা অনেকের কাছে পশ্চিমের মুখোশ খুলে দেওয়া বিপ্লবী। কিন্তু আম্রিকি মিডিয়া তো মোটামুটি ঠিকই আছে, একই টাইপের লোক, ট্রাম্প ও পুতিন, দুইজনকেই খিস্তি করে।
     
     
  • dc | 122.174.120.85 | ২৩ মার্চ ২০২২ ১০:৩১505259
  • S, নিজের যুক্তি কম পড়লে মনে হয় অন্যজন পড়ে না বা পড়ে বুঝতে পারেনা। নো প্রব্লেমো :-)
  • হেহে | 192.225.170.146 | ২৩ মার্চ ২০২২ ১০:৩৬505260
  •  আম্রিগার ইলেকশনে সিএনএন যখন পুতিনের হাত দেখছিল, তখন এত জ্ঞান কোথায় ছিল? রাসিয়ান কলিউশান নিয়ে গুচুতে কাকার ন্যাংটো নাচ ভুলি নাই। আপাতত গাছগাম্বাট পুতিনের হয়ে চাড্ডিপনা চলছে। সিম্পুল নুয়ান্স বোঝে না , ইদিকে সবজান্তার ভান ষোলয়ানার ওপর আঠারো আনা।
     
    বিটিডব্লিউ, জন স্টুয়ার্ট রিসেন্ট এপিসোডে মুলার রিপোর্র্ট নিয়ে সিএনএন-এমএসএনবিসিকে ধুয়ে দিল। খ্যাক খ্যাক।
  • সিএস  | 103.99.156.98 | ২৩ মার্চ ২০২২ ১০:৩৯505261
  • পুতিনের মতো আবোদা ছাড়া সবাই জানে যে জেলেন্স্কির ইন্টারভিউতে বলা কথাই ফাইনাল নয়, ওগুলো নেগোশিয়েশনের আগের স্টেপ, সই সাবুদ সেখানেই হবে। কিন্তু এগুলো একটু আধ্টু ফীলার যাতে দুইপক্ষ কথা চালাতে পারে।

    যেমন দেখুন না, আজকে দেখলাম রাশ্যার কোন মন্ত্রী বলেছে, আত্মরক্ষার্থে নিউক্লীয়ারও ঝাড়তে পারে। তো এও আর এক রকমের ফীলার, যে রাশ্যা যুদ্ধে পারছে না ওসব বেশী বোলো না, নাজীদের বিপদ থেকে রাশ্যাকে মুক্ত করার জন্য যখন নিউক্লীয়ার ঝেড়ে দেব, তখন বুঝবে। (তো এই ইন্টারভিউ মনে হয় সিএনএন নিয়েছে, উদ্দেশ্য নিশ্চয় তাদের খারাপ, নিউক্লীয়ারের কথা তুলতে কে বলেছিল ?

    তো, দুটো দু'রকমের বক্তব্য। বোঝাই যায়, কার কী উদ্দেশ্য।
     
     
  • dc | 122.174.120.85 | ২৩ মার্চ ২০২২ ১০:৩৯505262
  • এই দেখো আবার নুয়ান্স আর জন স্টুয়ার্ট এনে হাজির করেছে laugh আমি এইসব উদাহরন দিই বটে, তবে এটা কিন্তু আমি না। 
  • dc | 122.174.120.85 | ২৩ মার্চ ২০২২ ১০:৪১505263
  • "জেলেন্স্কির ইন্টারভিউতে বলা কথাই ফাইনাল নয়, ওগুলো নেগোশিয়েশনের আগের স্টেপ"
     
    নুয়ান্স, নুয়ান্স, নুয়ান্স laugh
     
    (কিন্তু মাইরি বলছি, হেহে আমি না)
  • Amit | 121.200.237.26 | ২৩ মার্চ ২০২২ ১০:৪৬505264
  • S- কে: 
     
    আপনি বলছেন যে "জেলেনস্কির কোনও একটা মিডিয়া ইন্টারভিউতে বলা আনফিশিয়াল মৌখিক কথা রাশিয়া মেনে নেবেনা" 
     
    কিন্তু রাশিয়া ভাঙার সময় ন্যাটোর সাথে কিসব নাকি মৌখিক চুক্তি হয়েছিল যে ন্যাটো নাকি আর পুবপানে এগোবেই না  - সেটা কিন্তু একদম অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলতে হবে - তাইতো ? এতই চুক্তিৰ প্রতি ভক্তি থাকলে রাশিয়া সেটা লিখিত চুক্তি করেনি কেন তখন ?
     
    "ওয়েস্ট চায় যুদ্ধ চলুক।" যুদ্ধটা কি ওয়েস্ট শুরু করেছে না পুতিন ? বাধানোর কাজ একজনের আর থামানোর কাজ আরেকজনের ?
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::3:1a3c | ২৩ মার্চ ২০২২ ১০:৪৮505265
  • আমি পার্সোনালি কি ভাবছি, সেই নিয়ে এতো লোকের চিন্তা দেখে ভালো লাগছে।

    কোনও একটা পার্টিকুলার মিডিয়ার ধামাধরা হয়ে থাকতে হবে? তাদের অ্যাজেন্ডা সবসময় সমর্থন করতেই হবে? তারা ডিসাইড করবে যে কে কখন আমার মত কি হবে? এগুলো কোনও কথা হল?
  • dc | 122.174.120.85 | ২৩ মার্চ ২০২২ ১০:৪৯505266
  • বাধানোর কাজ পুতিনের আর থামানোর কাজ জেলেনস্কির। একদম পরিষ্কার। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন