এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  রাজনীতি

  • আফগানিস্তানে জমানা বদল ও ভারতের স্বার্থসঙ্কট

    সৌভিক ঘোষাল
    আলোচনা | রাজনীতি | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ১৯৮২ বার পঠিত

  • আফগানিস্তানে জমানা বদলের পর থেকেই নানা দেশ নানাভাবে তাদের লাভক্ষতির হিসেব নিকেশ করছে এবং তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে ভাবছে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারও সদ্য সমাপ্ত সংসদ অধিবেশনের সমস্ত তিক্ততাকে পাশে সরিয়ে রেখে সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দিয়েছে। বিরোধীরাও তাতে সমস্বরে সাড়া দিয়েছেন। বৈঠক থেকে আফগান-নীতি প্রসঙ্গে শাসক বিরোধী ঐক্যমত-ও তৈরি হয়েছে। বোঝা কঠিন নয় আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে সবারই উদ্বেগ আছে এবং এই ক্ষেত্রে অন্তত শাসক বিরোধী রাষ্ট্র স্বার্থে অনেকটা কাছাকাছি থাকতে চাইছেন।

    আফগানিস্তানে জমানা বদলের পর ভারতের দুশ্চিন্তার প্রধান দুটি দিক হল নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক বিনিয়োগ। নিরাপত্তার একটি আশু দিক আছে। আফগানিস্তানে কর্মরত ভারতীয়দের নিরাপদে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা। নিরাপত্তার দীর্ঘমেয়াদি দুশ্চিন্তার মধ্যে আছে আফগানিস্তানের মাটি ও মদতকে ব্যবহার করে ভারতে সন্ত্রাসবাদী আক্রমণের সম্ভাবনা। বিশেষ করে কাশ্মীর নিয়ে ভারতের দুশ্চিন্তা প্রবল। এর আগে যখন আফগানিস্তানে সোভিয়েত সমর্থিত নাজিবুল্লা শাসনের পতন হয়, তখন মুজাহিদিনরা আফগানিস্তানের বাইরে তাদের প্রভাব ছড়ায় এবং কাশ্মীরে কার্যকলাপ শুরু করে। সাতাশির নির্বাচনী কারচুপি যে গণ অসন্তোষের বাতাবরণ তৈরি করে রেখেছিল, মুজাহিদিনরা কাশ্মীরে ঢুকে তাকে ব্যবহার করে নেবার সুযোগ পায়। এবারও যখন আফগানিস্তানে সরকার বদল হচ্ছে তখন কাশ্মীরের জনগণকে মোদি সরকার ক্ষুব্ধ করে রেখেছেন ৩৭০ ধারা বিলোপ ও কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা থেকে সরিয়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করার মতো সিদ্ধান্ত নিয়ে। আশির শেষ, নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকের স্মৃতি তিন দশক পর ভিন্ন প্রেক্ষাপটে দুশ্চিন্তার ভ্রুকুটি নিয়ে আবারো হাজির হচ্ছে। তালিবানরা যখন আফগানিস্তানের সরকারি ক্ষমতায় ছিল, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ এর সেই সময়টায় আফগানিস্তানের মাটিতে খোলাখুলি ভাবে লস্কর ই তৈবা সহ নানা কাশ্মীরী জঙ্গি গোষ্ঠীর প্রশিক্ষণ শিবির আয়োজিত হত। যদিও এই দফায় তালিবানরা জানিয়েছে আফগানিস্তানের মাটিকে তারা কোথাও সন্ত্রাস সৃষ্টির জন্য ব্যবহৃত হতে দেবে না, কিন্তু কাশ্মীরের জঙ্গি তৎপরতাকে তারা এই আলোতে বিচার করবে কিনা – তা নিয়ে সংশয়ের অবকাশ আছে। সেই সঙ্গে তাদের ঘনিষ্ঠতম বন্ধু ও মদত-দাতা পাকিস্তানের নীতি তাদের কোন পথে চালনা করবে সেটাও এক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। তালিবান ক্ষমতায় আসার পরে জেল থেকে সমস্ত বন্দিদের মুক্তি দিয়েছে। মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছে ভারতে নাশকতা চালানোয় অভিযুক্ত জইশ ই মহম্মদ এর জঙ্গিরাও, যাদের নিয়ে এখন জইশ প্রধান মাসুদ আজহার পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন বলে বিভিন্ন সংবাদপত্রের রিপোর্ট জানাচ্ছে।

    এইবারের দুশ্চিন্তার একটি নতুন দিকও আছে। তালিবান শাসন অবসানের পর থেকে মাঝের কুড়ি বছর সময়ে আফগানিস্তানের পুনর্গঠন প্রকল্পে যারা বিনিয়োগ করেছে, ভারত তাদের মধ্যে অগ্রগণ্য। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন এই পি এ বা বিজেপি নেতৃত্বাধীন এন ডি এ সরকারের আমলে এই সংক্রান্ত নীতিতে বড় কোনও বদল হয় নি। গত কুড়ি বছরে আফগানিস্তানে ভারতের বিনিয়োগের পরিমাণ বিশাল, প্রায় তিনশো কোটি ডলার। এই টাকা আফগানিস্তানের নানা জায়গায় বড় বড় রাস্তা, বাঁধ, বিদ্যুৎ বন্টন, বিদ্যালয়, হাসপাতাল ইত্যাদি তৈরির মতো প্রকল্পে ব্যয় করা হয়েছে। উল্লেখযোগ্য প্রকল্পগুলির মধ্যে আছে ৪২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন সালমা বাঁধ, জারাঞ্জ ডেলারাম জাতীয় সড়ক, আফগানিস্তানের পার্লামেন্ট ভবন, উনিশ শতকে নির্মিত কাবুলের স্তোর প্রাসাদের আমূল সংস্কার, বাঘলানের পুল ই কুমরি থেকে রাজধানী কাবুল পর্যন্ত বিদ্যুৎ বন্টন পরিকাঠামো নির্মাণ, কাবুলে ইন্দিরা গান্ধীর নামাঙ্কিত যুদ্ধ বিধ্বস্ত শিশু হাসপাতালের পুনর্গঠন ইত্যাদি।

    প্রথম তালিবান জমানা পরবর্তী আমেরিকা নিয়ন্ত্রণাধীন আফগান সরকারগুলির সঙ্গে সুসম্পর্কের সুবাদে ভারত সেদেশে নানা বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সুবিধে পেয়েছে। বাণিজ্যিক সুবিধের মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য সেদেশে ভারতীয় পণ্যের নিঃশুল্ক ব্যবসার অধিকার। ২০১৭ র হিসাব অনুযায়ী ভারত আর আফগানিস্তানের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ১৪০ কোটি ডলার এবং বলাই বাহুল্য এর পাল্লা ভারতের দিকেই ঝুঁকে আছে। ভারতের রপ্তানি যেখানে প্রায় ৯০ কোটি ডলার, সেখানে আফগান রপ্তানি ৫০ কোটি ডলার। ভারতের রপ্তানি করা পণ্যের মধ্যে মূলত আছে ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জাম, কম্পিউটার সহ নানা ধরনের বৈদ্যুতিন সামগ্রী, সিমেন্ট ও চিনি। আফগানিস্তান থেকে ভারতে আসে মূলত বিভিন্ন ধরনের তাজা ও শুকনো ফল।
    আফগান সরকারের সাহায্যে ভারত এমন চারটি কনসুলেট তৈরি করতে পেরেছে যেগুলি আফগানিস্তানের আশেপাশের তিন দেশ – পাকিস্তান, ইরান ও উজবেকিস্থানের সীমান্তের কাছাকাছি। বলাই বাহুল্য অবস্থানজনিত কারণে এই কনসুলেটগুলি ভারতকে বৈদেশিক কূটনীতি ও বাণিজ্যে অনেক সুবিধে দিয়েছে।

    আফগানিস্তানে ভারত যে সমস্ত রাস্তা তৈরি করেছে তার সঙ্গে বাণিজ্যিক অর্থনৈতিক স্বার্থ সমন্বিত। যেমন আফগানিস্তানের দক্ষিণ প্রান্তের ছাবার বন্দর থেকে উত্তর প্রান্তের মাজার ই শরিফ পর্যন্ত পথের মধ্যবর্তী জারাঞ্জ ডেলারাম জাতীয় সড়কটির কথাই ভাবা যাক। এই জাতীয় সড়ক নির্মাণে ভারতের উদ্যোগের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা প্রয়োজন ইরানের ছাবাহার বন্দরের পরিকাঠামো উন্নয়ন ও আমূল বিকাশে ভারতের ভূমিকাকে। মনে রাখা দরকার আফগানিস্তান ইরান সীমান্তের এই ছাবাহার বন্দরটি শুধু আফগানিস্তানই নয়, সমস্ত সেন্ট্রাল এশিয়াতে পণ্য পরিবহনেই ভারতের অন্যতম প্রধান অবলম্বন ছিল। বড় বড় রাস্তা নির্মাণের সঙ্গে পণ্য পরিবহণ ও বাণিজ্যের সরাসরি সম্পর্ক আছে। আফগানিস্তানে জমানা বদলের পর আফগান সীমান্ত সংলগ্ন ইরানের এই বন্দরকে ব্যবহার করে সেন্ট্রাল এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ভারতের বাণিজ্য ও পণ্য পরিবহন কতটা নিষ্কণ্টক থাকবে, তাই নিয়ে ব্যাপক সংশয় রয়েছে। তালিবানদের উত্থানের এই পর্বে নিমরুজ জাতীয় সড়ক নির্মাণে লাগাতার হামলা ও সড়ক নির্মাণ কর্মীদের অনেককে হত্যার ঘটনা এই সংক্রান্ত সংশয়কে তীব্র করেছে।

    ২০২০ সালে যখন আমেরিকা ঘোষণা করে তারা আফগানিস্তান থেকে সরে আসবে, তখন থেকেই ভারত আন্তর্জাতিক মহলে আফগানিস্তান সম্পর্কে তার দুশ্চিন্তা ব্যক্ত করতে শুরু করেছিল। ২০২০-র নভেম্বরে জেনেভা সম্মেলনে বক্তৃতা দিয়ে গিয়ে বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর উল্লেখ করেন আফগানিস্তানের ৩৪ টি প্রদেশের প্রতিটিতেই ভারত পুনর্গঠন ও পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ চালাচ্ছে। এই ধরনের যে শ-চারেক প্রকল্প চলছে তা আফগানিস্তানের সর্বত্র ছড়িয়ে আছে। আমেরিকা সে দেশ থেকে সেনা সরিয়ে নিলে আগামী দিনে এই প্রকল্পগুলির ভবিষ্যৎ কী- সেই প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর সেদিনই গভীর সংশয় ব্যক্ত করেছিলেন। আমেরিকা সেনা প্রত্যাহার শুরু করার মাত্র একশো দিনের মধ্যে তালিবানের কাবুল সহ প্রায় গোটা আফগানিস্তান দখল সেই সংশয় এখন প্রবল বাস্তব হিসেবে দুশ্চিন্তার ভ্রুকুটি নিয়ে সামনে এসেছে।

    তালিবানের প্রথম দফার ক্ষমতা দখলের সময় ভারতের তালিবান শাসিত আফগানিস্তানের প্রতি নীতি আন্তর্জাতিক দুনিয়ার কাছাকাছি ছিল। পাকিস্তান, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমীর শাহী – এই তিনটি দেশ ছাড়া আর কোনও দেশই সেই সময় তালিবান শাসনকে স্বীকৃতি দেয় নি। কিন্তু পঁচিশ বছর পর তালিবানরা যখন দ্বিতীয় দফায় আফগানিস্তানের ক্ষমতায় তখন আন্তর্জাতিক দুনিয়ার অনেক দেশই তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে আগ্রহী। ফলে তালিবান শাসিত আফগানিস্তান নিয়ে দৃষ্টিভঙ্গি প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় ভারত কিছুটা বিচ্ছিন্নতার মধ্যে পড়েছে। উপরোক্ত তিনটি দেশ, বিশেষত পাকিস্তান এবারেও দ্রুততার সঙ্গে তালিবানের শাসন ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনকে স্বাগত জানিয়েছে। এবারে তালিবানদের বিশেষ পাওনা অন্যান্য আরো নানা দেশের স্বীকৃতি। চিন, রাশিয়ার মত পরাশক্তিরা ছাড়াও ইরান, তুরস্ক এবং সেন্ট্রাল এশিয়ার দেশগুলো ইঙ্গিত দিয়েছে তারা কাবুলের নতুন সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে কাজ করবে। কাতার তো অনেকদিন ধরেই তালিবানদের প্রধান মিত্র। কাতারের রাজধানী দোহাতেই তালিবানদের বৈদেশিক অফিস ছিল এবং এখানেই আমেরিকার সঙ্গে তাদের আলাপ আলোচনা ও চুক্তি হয়েছে। আমেরিকা তো রীতিমত চুক্তি করে অনেকটা জেনে বুঝেই তালিবানদের হাতে আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎকে এবার সঁপে দিয়ে গেছে। তালিবানদের ক্ষমতা দখলের পর যখন নানা ঘটনা ঘটেছে তখনও তারা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে তারা আর কোনোভাবেই আফগানিস্তানে ‘প্রহরী হয়ে’ ফিরবে না।

    চিনের স্বীকৃতি এবং চিনের সঙ্গে তালিবান নেতৃত্বে কথাবার্তা ভারতকে দুশ্চিন্তায় রাখবে। মুল্লা গনি বারাদর নয়া আফগান প্রশাসনের প্রধান হতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। ক্ষমতা দখলের আগে তালিবানদের যে প্রতিনিধি দল বেজিং এ গিয়ে চিনের বিদেশ মন্ত্রী ওয়াং ওয়াই এর সঙ্গে দেখা করে, তার নেতৃত্বে ছিলেন এই মুল্লা বারাদর। চিনের মাটিতে এই প্রতিনিধি দলটি উষ্ণ অভ্যর্থনা ও নানারকম পরামর্শ পায়। চিনের বিদেশ মন্ত্রী তালিবানদের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক রাজনৈতিক শক্তি বলে উল্লেখ করেন। তালিবানরা তাদের দেশে চিনা বিনিয়োগ প্রার্থনা করে এবং জানায় যে তারা চিনের বেল্ট রোড প্রকল্পে যোগ দিতে আগ্রহী। চিন ইতোমধ্যেই আফগানিস্তানে একটি তামার খনির পরিকাঠামো উন্নয়নে তিনশো কোটি ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। চিন ছাড়াও রাশিয়ার সঙ্গে তালিবান সম্পর্ক মজবুত করার কথা বলেছে। তালিবান নেতৃত্ব যে তিনটি দেশের সঙ্গে তাদের ঘনিষ্ঠতম সম্পর্কের কথা বলেছেন, তার মধ্যে পাকিস্তান আর চিন ছাড়াও রয়েছে রাশিয়ার কথা। বিশ্বের বিশেষত এশিয়ার তাবড় শক্তি যখন আফগানিস্তানের নয়া তালিবান জমানার সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করার বিষয়টিকে অনেকখানি নিশ্চিত করে ফেলেছে, তখন স্বাভাবিকভাবেই ভারতকে আফগানিস্তানের নয়া সরকার প্রসঙ্গে নীতিমালাকে অনেক ভেবেচিন্তে স্থির করতে হচ্ছে।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ১৯৮২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • guru | 103.211.20.76 | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৯:৩৩498805
  • সৌভিকবাবু অত্যন্ত মনোজ্ঞ ও প্রাঞ্জল ভাষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ৰবন্ধ লিখেছেন একটি ভীষণ প্রাসঙ্গিক বিষয়ে | আমার মনে হয় ভারতের আফগানিস্তানে মূল স্বার্থ ছিল এতদিন "কীপ পাকিস্তান ডাউন কীপ চীন আউট ". আফগানিস্তানের যেকোনো সরকারই আসুক না কেন সে যদি এখন চীনের সঙ্গে CPEC বা OBOR এই বিষয়ে সমঝোতা করে নেয় তাহলে তাতে ভারতের স্বার্থ কি ভাবে বিঘ্নিত হবে আপনি কি একটু বিশদে বলবেন ? আপনার মূল্যবান মতামতের অপেক্ষায় রইলাম |
  • বিপ্লব রহমান | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৯:৪১498852
  • “আমেরিকা তো রীতিমত চুক্তি করে অনেকটা জেনে বুঝেই তালিবানদের হাতে আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎকে এবার সঁপে দিয়ে গেছে। তালিবানদের ক্ষমতা দখলের পর যখন নানা ঘটনা ঘটেছে তখনও তারা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে তারা আর কোনোভাবেই আফগানিস্তানে ‘প্রহরী হয়ে’ ফিরবে না।”

     

    এ ক ম ত। অর্থাৎ পুরোটাই মার্কিনী দাবার ছক, এমনকি তালেবান মিত্র পাকিস্তান, রাশিয়া এবং অবশ্যই চীনকে খেলতে দেওয়া। এতে ভারত-বাংলাদেশসহ এশিয়ার অন্য দেশগুলোকে চাপের মধ্যে রাখতে সুবিধা হয়।

     

    সম্ভবত, আফগান ভূখণ্ডে মার্কিন ঘাঁটি বেশ কিছুটা বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে এশিয়ায় ফিলিপাইন ও পাকিস্তানে নয়া-উপনিবেশের পর বাইডেনের সুরে এমনই ক্লান্তির আভাস মিলেছে।

     

    দূরদেশটির সঙ্গে সরাসরি সীমানা না থাকলেও তালেবান উত্থানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিপদের শংকা, জঙ্গিবাদের উত্থান। এরই মধ্যে খবরে প্রকাশ, পাকিস্তান সীমান্তে কয়েক বাংলাদেশি গ্রেপ্তার হয়েছেন। তারা নাকি পাকিস্তান সীমান্ত পেরিয়ে আফগানিস্তান যেতে চেয়েছিলেন! জেহাদের কেবলা এখন কাবুল!

  • বিপ্লব রহমান | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৯:৫৫498854
  • পুনশ্চ : তালেবান নিয়ন্ত্রিত শরীয়া আইনের দেশটির বদলে মার্কিন নিয়ন্ত্রিত দেশটিকেই এখনো আমাদের “গণতান্ত্রিক আফগানিস্তান” বলতে হচ্ছে!

    কি আয়রনি!

  • অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় | 2409:4061:59d:bf73:e15d:5549:46bf:567d | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৮:১২498872
  • ভারতের বর্তমান বিদেশ নীতি সম্পূর্ন রূপে ব্যর্থ ৷ আমেরিকা অষ্ট্রেলিয়া জাপান জোটের মধ্যে গিয়ে প্রতিবেশি দেশ গুলোর সাথে সম্পর্কে গোলমাল হচ্ছে ৷ সার্ক ভুক্ত দেশ গুলোর মধ্যে ভারতের দাদাগিরি আর সহ্য করবে না ছোটো দেশ গুলো ৷ চারিদিক থেকে ঘিরছে চীন ৷যুদ্ধ যুদ্ধ না করে সঠিক অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারলে এমন অবস্থা হত না ৷ আগামীদিনে আরও আক্রমনের লক্ষ্য হতে পারে ভারত ৷ মূল কারণ অর্থনীতি , মূল লক্ষ্য বাজার দখল ৷ চীনের দিকে লক্ষ্য রাখলেই  বোঝা যাবে কী দ্রুত উথ্থান হচ্ছে দেশটির ৷ আমাদের দেশেও সব কিছু সম্ভাবনা থাকা সত্বেও কেন রপ্তানী বাণিজ্য বাড়ছে না , এবং কোম্পানীগুলো রপ্তানীর সময় কেন সতর্ক থাকছে না তা ভেবে দেখা দরকার ৷ চটজলদি লাভের জন্য কেন কোম্পানীগুলো দক্ষিণ এশিয়ার দেশ গুলোতে বাজে মাল রপ্তানী করছে তা মনিটারিং হচ্ছে না ৷ এর মধ্যে দিয়েই পাকিস্তান , বাংলাদেশ , আফগানিস্তানে চীনের প্রবেশ ৷ আজকে আমাদের দেশের রপ্তানী বাণিজ্য প্রতিবেশি দেশগুলোর কাছে আর আস্থাভাজন নয় এমনকি নেপাল ও ভূটানও আমাদের থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছে ৷এ অবস্থার আশু প্রতিকার দরকার ৷ যুদ্ধ যুদ্ধ আর ধর্ম ধর্ম করে দেশের ক্ষমতা দখল করা যাবে কিন্তু দেশের অর্থনীতি শেষ হয়ে যাবে , উদাহরণ পাকিস্তান ৷আমরাও কি সে পথে যাব ??
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন