এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • রেখেছো মামণি করে

    তির্যক
    আলোচনা | বিবিধ | ০২ ডিসেম্বর ২০০৭ | ৪৭৭ বার পঠিত
  • বাংলা বা হিন্দি সিনেমা বা টিভি সিরিয়াল একটু-আধটুও যারা দেখে থাকেন তারা একমত হবেন যে মানুষের জীবনের একমাত্র সমস্যা হল বিবাহ বহির্ভূত সন্তান। গল্প যেমনই হোক তার কোনো এক পর্যায়ে শিক্ষিত, প্রাপ্তবয়স্ক এক মহিলা (সবকিছু জেনেশুনেও) স্রেফ আকাট মূর্খের মতো গর্ভবতী হয়ে পড়বেন, সেই সন্তানের পাষাণহৃদয় বাবা পারিবারিক সম্মান, লোকলজ্জা ইত্যাদির ভয়ে কাতর হয়ে গর্ভপাত করাতে চাইবেন আর মহিলাটি ছলোছলো চোখে বলবেন "বাচ্চাটার তো কোনো দোষ নেই!" তবেই না! তবেই না তাবৎ দর্শককূল ছলোছলো চোখে বলবেন "আহা মায়ের মন!" (আর সিরিয়ালের টিআরপি উঠবে চড়চড় করে! )

    সিনেমার কথা থাক। কিন্তু বাস্তবে আমরা কি খুব অন্যরকম কিছু দেখতে বা ভাবতে চাই? একজন নারী মাতৃত্বকেই তাঁর জীবনের পরম সার্থকতা বলে মনে করবেন, মা হওয়ার জন্য যাবতীয় শখ-আহ্লাদ-স্বপ্ন এমনকি কেরিয়ারকেও তুচ্ছ মনে করবেন ও প্রয়োজনে হাসিমুখে বিসর্জন দেবেন, সন্তানের জন্মের আগে ও পরে সমস্ত অসুবিধা ও যন্ত্রণা হাসিমুখে সইবেন (এখানে "হাসিমুখে" কথাটা লক্ষ্যনীয়), আমরা কি এটাই দেখতে চাই না? যদি কোনো মেয়ে অন্যরকম হয়, যদি বলে "আমি মা হতে চাই না" বা "কাজকর্ম সামলে আমি মা হওয়ার দায়িত্ব নিতে পারব না" বা "বাচ্চার জন্য অত সময় দিতে পারব না" তাহলে সেটা আমাদের কেমন লাগে? এমন মেয়ের পাশে আমরা তো থাকিই না, মহামান্য আদালতও যে থাকেন না, সেটা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন জয়া ঘোষ । কাজকর্মের চাপে ও উন্নতির কথা ভেবে এই আইএএস অফিসার নাকি তাঁর দীর্ঘ দাম্পত্যজীবনে সন্তানধারণ করতে রাজী হন নি। তাঁর আইএএস স্বামীর আবেদনে সাড়া দিয়ে আদালত জানিয়েছেন যে স্ত্রী সন্তানধারণে ইচ্ছুক নন, এই অভিযোগে স্বামী ডিভোর্স পেতে পারেন, কারণ, আদালতের মতে সন্তানধারণে রাজী না হওয়া একটি অন্যতম নিষ্ঠুরতা (যার জন্য অনায়াসে ছেড়ে যাওয়া যায় যে কোনো নারীকে !)।

    ডিভোর্স পাওয়া না পাওয়া অন্য প্রসঙ্গ। কিন্তু মা হতে না চাওয়া একজন নারীকে আমরা ঠিক কি চোখে দেখি, আসল কথা হল সেটাই। জয়া ঘোষ একজন স্বাবলম্বী আত্মবিশ্বাসী মহিলা (কারণ নিজের কাজটাকে সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন), তাই নিন্দা-ঘৃণা-সমালোচনা সহ্য করেও উনি নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকতে পেরেছিলেন, যদিও আদালত পর্যন্ত যেতে হয়েছিল। কিন্তু সত্যি বলতে কি আমাদের সমাজে বেশীর ভাগ মহিলার ক্ষেত্রে মা না হওয়ার কোনো "অপশন" নেই, যদি পুরুষটি চান। এই পর্যন্ত পড়ে যারা শিউরে উঠছেন, তর্জনী উঁচিয়ে ছুটে আসছেন, তাঁদের বলি, অযথা উত্তেজিত হবেন না। এটা কোনো গড়পরতা নারী বনাম পুরুষ দ্বন্দের গল্প নয়, মাতৃত্বের বিরোধিতা করার কুপরামর্শও নয় । মাতৃত্বকে ব্যবহার করে নারীর ওপর যে তীব্র সামাজিক চাপ সৃষ্টি করা হয়, এটা তারই অন্তরমহলের কথা। স্বাভাবিক প্রাকৃতিক নিয়মে পুরুষ বাবা হতে চায়, নারী মা হতে চায়; সন্তান একইভাবে দুজনেরই সত্ত্বার অংশ হয়ে ওঠে। জৈব কারণে পুরুষ সন্তানধারণ করতে পারে না, নারী পারে। অর্থাৎ সন্তানধারণ একটি প্রকৃতিনির্দিষ্ট স্বাভাবিক ব্যাপার, যার পেছনে নারীর কোনো বিশেষ মহত্ত্ব নেই। অথচ যুগ যুগ সমাজ তথা পুরুষ নারীর মাতৃরূপকে দেবীর আসনে বসিয়ে পুজো করেছে, অর্থাৎ, নারীর মাতৃত্বকে (অহেতুকই) গৌরবান্বিত করে চলেছে। এর ফলে এই ধারণাটা সামাজিক ভাবে স্বীকৃত হয়ে গেছে যে নারীর কাছে মাতৃত্বই নারীজীবনের পরম (ক্ষেত্রবিশেষে একমাত্র!) সার্থকতা, মাতৃত্বেই নারীর পূর্ণতা, যে কারণে যেকোনো কষ্টসহন তো বটেই, আত্মত্যাগও নারী হাসিমুখেই করে থাকে। এই ধারণা মানে আসলে হল এইরকম একটা প্রত্যাশা যে, একজন মহিলাকে মাতৃত্বের দাবী মেটাতে যা যা সহ্য করার তা সহ্য করতে তো হবেই (দরকার হলে চাকরী ছাড়তে তো হবেই), আবার হাসিমুখেও করতে হবে। কোনো অভিযোগ তো করা চলবেই না, নিজের কষ্ট-বিরক্তি-হতাশার কথা এমনকি প্রকাশ করাও চলবে না। তাহলেই চারপাশ থেকে শুনতে হবে "তুমি না মা! তোমার কি এমন করা সাজে!" আকারে ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দেওয়া হবে তুমি যথেষ্ট ভালো মা নও! সামাজিক চাপ এইটাই।

    সন্তানের প্রতি ভালোবাসা পুরুষের নিশ্চই কিছু কম নয়, পুরুষও সন্তানকে নিজের অংশ মনে করে, নিজেকে ফিরে পেতে চায় সন্তানের মধ্যে। অথচ মনে করে দেখুন তো কেউ কখোনো বলেছে যে পিতৃত্বেই পুরুষের জীবনের পরম সার্থকতা! কেউ বলেছে পিতা এক বিশ্বায়িত বিস্ময়? বলেনি। জীবনের আর সব ক্ষেত্রে নারীর অধিকার, স্বাতন্ত্র, সম্মানকে অবদমন করে রাখে যে পুরুষতন্ত্র, এই একটি জায়গায় সে কেন এমন স্বেচ্ছায় ত্যাগ করেছে গৌরবের অংশীদারী? ব্যাপারটা কি স্বাভাবিক? যারা এখোনো বুঝতে পারছেন না যে এই গৌরবে নারীর আপত্তিটা কোথায়, তাদের এবার সরাসরিই বলি মাতৃত্বের এই মহিমায়নের মধ্যে দিয়ে সন্তানধারনের ও পালনের যন্ত্রণার, আত্মত্যাগের, দায়িত্বের অংশটা সন্তর্পনে ঠেলে দেওয়া হয় নারীর ভাগে। আর সেই সঙ্গে কিছুটা মহিমা গুঁজে দেওয়া হয়, যাতে মাতৃত্বের বন্ধনে নারী শুধু বাঁধা পড়েই থাকে না, ভুলেও থাকে ! আর ভুলে থাকে বলেই পুরুষতন্ত্রের আর পাঁচটা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মুখ খোলা যত সহজ, এই বিষয়ে ততটা কথা বলা তত সহজ নয়। কিরকম একটু খুলে বলি। জৈবিক নিয়মে সন্তানধারণের সময় থেকে শুরু করে জন্ম দেওয়া এবং পালনের সমস্ত পর্যায়ে একজন মেয়েকে অনেক উদ্বেগ, কষ্ট, এমনকি বিরক্তিকর অবস্থার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। এই কষ্টকে যেমন এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই, তেমনি অস্বীকার করারও প্রয়োজন নেই। কিন্তু সন্তানধারণের এই কষ্টের দিকটার কথা এখনও খুব কম নারীই স্পষ্টভাবে স্বীকার করে। পুরুষ যুগে যুগে নারীর মুখ দিয়ে বলিয়েছে "এই কষ্ট আসলে আমার আনন্দ, এই যন্ত্রণা আমি বারবার পেতে চাই!" হ্যাঁ, নারীও বলেছে, অগুনতি সন্তানধারণের চাপে বিপর্যস্ত, অকালবৃদ্ধা নারীও শুধু তার আনন্দের কথাই বলেছে, কারণ ওই নারী জেনেছে যে এমনটাই বলতে হয়, অন্য কিছু বললে লোকে খারাপ বলে, সন্তানের অকল্যাণ হয়। তার কষ্টের কথা, বিরক্তির কথা সে নিজে বলেনি, সে কথা ফুটে উঠেছে তার রক্তাল্পতায় ভোগা শীর্ণ শরীরে, চোখের কোণের গাঢ় কালিতে।

    এই পরিবার পরিকল্পনার যুগে শিক্ষিত সমাজে বহু সন্তানধারণের চাপ হয়তো সেভাবে পড়ে না মেয়েদের ওপর, কিন্তু অন্যন্য আত্মত্যাগের ব্যাপারটা একই রকম আছে । জন্ম থেকে বাচ্চা মায়ের সাহচর্য বেশি পায়, মায়ের কাছে খাবার পায় তাই মা-কে চেনে বেশী। পুরুষ সন্তানের সেই আশ্রয়ের জায়গাটা অর্জন করার চেষ্টা না করে নারীকে বলে "মায়ের মতো করে কি অন্য কেউ পারে?" মাতৃত্বের এই ছদ্ম গৌরবে সন্তুষ্ট মা সন্তানের স্বার্থে চাকরী ছাড়ে, যাবতীয় শখ শৌখিনতা উপভোগের রাস্তা থেকে স্বেচ্ছায় সরে আসে, পুরুষ তাকে ফেরাবার চেষ্টা করে না, বলে না যে "তুমি নিজেকে হারিয়ে ফেলো না" বরং তার এই আত্মবিসর্জনকে ক্রমাগত মহিমান্বিত করে এই বলে যে "সন্তানের কল্যাণই মায়ের একমাত্র আনন্দ"। বাচ্চার দেখাশোনার জন্য কোনো পুরুষ কেরিয়ারের উন্নতিকে অবহেলা করে নি (হাসিমুখে তো নয়ই!)। আর সমাজ তার কাছে সেটা আশাও করে নি । কিন্তু কেরিয়ার মনস্ক (কেরিয়ার সর্বস্ব নয়) নারীকে বলেছে "স্বার্থপর"। এমনকি বাচ্চা নিজেও তাই ভাবতে শিখছে তার শৈশব থেকে, সেও মাতৃত্বের বাইরে মায়ের অন্যন্য পরিচয়ের গৌরবে অংশ নিতে শেখে না। তাই নিজের কাজে ব্যস্ত মা যদি বাচ্চার জন্মদিনে কেক তৈরী করে দিতে না পারে, সেই সামান্য ত্রুটি সন্তান পরিণতবয়সে এসেও ক্ষমা করতে পারে না ("উনিশে এপ্রিল")। অর্থাৎ সমাজ-স্বামী-সন্তান সবাই একযোগে নারীর দিকে আঙ্গুল তুলে বলে "তুমি প্রথমে মা, পরে মানুষ!" শুধু সেই বলার মধ্যে অনেকখানি আবেগ মিশিয়ে দেওয়ার দরুণ ওই তর্জনের দিকটা চাপা পড়ে যায় ।

    পুরুষের কাছে মাতৃত্ব যদি সত্যিই এতখানি মহিমাময় হয়ে থাকে তাহলে মায়ের অধিকারের ব্যাপারে পুরুষেরা এতখানি উদাসীন কিম্বা অনুদার কেন? এখোনো কেন কারুর পরিচয়ের জন্য শুধু পিতা/স্বামী-র নাম জানতে চাওয়া হয়? মায়ের পরিচয়ে সন্তানের পরিচিতি স্বীকৃত হল এই সেদিন মাত্র! সেই স্বীকৃতিও এখন পর্যন্ত খাতায় কলমেই রয়ে গেছে। প্রায়ই শোনা যায় বাবার নাম এমনকি বাবার অনুপস্থিতিতেও কত বাচ্চার ইস্কুলে ভর্তি হওয়া আটকে যাচ্ছে। আর ভেঙে যাওয়া সম্পর্কের সীমানায় দাঁড়িয়ে পুরুষ শুধু তার ভালোবাসার দাবীতে লড়ে যাচ্ছে সন্তানের অধিকারের জন্য। অর্থাৎ সেই পুরোনো দায়িত্ব বনাম অধিকারের প্রশ্ন; দায়িত্ব তোমার, অধিকার আমার।

    আবারও বলি ভুল বুঝেবন না। সন্তানের সঙ্গে মায়ের (এবং বাবারও!) চিরন্তন সম্পর্কের কোনো শর্ত নেই। স্বাভাবিক নিয়মে আর স্বত:স্ফূর্ত আবেগ ও ভালোবাসার দাবীতেই মা সন্তানের জন্য যাবতীয় আত্মত্যাগ করে থাকেন। তবে বাইরে থেকে অতিগৌরবের বোঝা চাপিয়ে দিলে মায়ের জীবনের অন্যন্য আরো স্বাভাবিক মাত্রাগুলোকে অস্বীকার করা হয়। আপত্তি এখানেই। এর ফলটা কখোনো কখোনো অতি ভয়ানকও হতে পারে। কেমন, একটু বলি। আপনি কি জানেন শিশুর জন্মের পর সদ্য মা হওয়া মেয়েটি যখন বাচ্চাকে খাওয়ানো, কাঁথা বদলানো, কান্না থামানোর চক্করে নিজের স্বাভাবিক জীবন থেকে পুরোপুরি বিচ্যুত , তখন মাতৃত্বের খুশী-আনন্দের পাশাপাশি অনেক সময়ই একটা ভীষণ উদ্বেগ আর অবসাদও গ্রাস করে নারীকে। এই অবসাদের কথা তাকে অবদমিত রাখতে হয়, গোপন রাখতে হয় নিজের মধ্যে, যার থেকে জন্ম নেয় নানারকম জটীলতা। এই অবসাদ কখোনো কখোনো এত তীব্রও হতে পারে যখন মা তার সন্তানের মৃত্য কামনা করে। কিছুদিন আগে এক মহিলা এমন এক অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন একটি মহিলা পত্রিকার পাতায়। ছ'মাস বয়সে পৌঁছে ফুসফুসের সংক্রমণে (মায়ের অবহেলায় নয়!) তাঁর শিশুটি সত্যিই মারা যায়। সাইকিয়াট্রিক চিকিৎসায় অনেকটা সুষ্ঠ সেই মহিলা এখোনো ভুলতে পারেন নি সেই অবসাদের কথা, এখোনো সন্তানের মৃত্যুর জন্য নিজেকে দায়ী ভাবেন। দ্বিতীয়বার সন্তানধারণ করতে উনি ভয় পাচ্ছেন, যদি আবার ওইরকম হয়! অথচ এই বিরক্তি, এই খারাপ লাগার কথা যদি মেয়েটি সহজে প্রকাশ করতে পারতেন, যদি প্রয়োজনীয় সহানুভূতি পেতেন চারপাশ থেকে, তাহলে হয়তো এই অবসাদ এত তীব্র হয়ে উঠতে পারতই না! সন্তানের কারণে অত্যধিক আত্মত্যাগে অভ্যস্ত মহিলারা পরবর্তী জীবনে সন্তানের ব্যাপারে খুব বেশী স্পর্শকাতর ও অধিকারপ্রবণ হয়ে ওঠেন। এখান থেকেই জন্ম নেয় নানারকম জটিলতা এমনকি শাশুড়ি-বৌমার চিরন্তন টানাপোড়েন!

    তাই পরিশেষে দুটো কথা বলতে হচ্ছে । প্রথমত: মেয়েদের দেবিকা, সেবিকা অথবা মাতৃকারূপে না দেখে আস্ত মানুষ হিসেবে দেখুন, আর মাতৃত্বকেও অযথা মহিমান্বিত না করে একটা জীবনের স্বাভাবিক পর্যায় হিসেবে মেনে নিতে দিন। তাহলে বোধহয় মা ও সন্তান উভয়েরই মঙ্গল! আর দ্বিতীয়ত: জীবনের এই একটি জায়গায় পুরুষ যখন চাইলেও সত্যিই কোনোদিন নারীর জায়গাটায় পৌঁছোতে পারবে না, নারীর দায়িত্বের ভাগ নিতে পারবে না, তখন নারীর ইচ্ছে-অনিচ্ছেকে প্রাধান্য দিতে হবে বৈকি!

    পুনশ্চ: এই লেখা লিখতে লিখতেই কাগজে পড়লাম এক মহিলা নতুন জীবন গড়তে যাবার টানে সন্তানকে হত্যা করে পুকুরের ধারে পুঁতে দিয়েছেন। পড়ে শিউরে উঠলাম। এইভাবে প্রমাণ করে দিতে হয় যে মাতৃত্বই জীবনের শেষ কথা নয়! মনে পড়ে গেল "কাদম্বিনী মরিয়া প্রমাণ করিল.................!"

    ডিসেম্বর ২, ২০০৭
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ০২ ডিসেম্বর ২০০৭ | ৪৭৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ প্রতিক্রিয়া দিন