এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  খবর  খবর্নয়

  • রাজধানীর হালচাল - কেমন আছে উপকণ্ঠ

    সোমরাজ সূর লেখকের গ্রাহক হোন
    খবর | খবর্নয় | ১০ জুন ২০২০ | ২১৪৫ বার পঠিত
  • রাজধানী দিল্লি ও তার আশেপাশে সংক্রমণ হাজার হাজার করে বেড়ে যাচ্ছে প্রতি দু'দিনে, হরিয়ানা আর ইউপি বর্ডার সিল করা হয়েছে।
    আপনাদের যদি মনে হয় লক ডাউন উঠে এসেছে সব কিছু আবার আগের মতন স্বাভাবিক হয়ে যাবে, খুব ভুল ভাবছেন, আমার উদাহরণ বাদ দিলাম কিন্তু মানুষের হাতে আর একদম পয়সা নেই, এদিকে সরকারের রান্নাঘর গুলিও সব বন্ধ হয়ে গেছে, একটা অদ্ভুত বিচ্ছিরি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
    আপনাদের মনে হবে বাড়িয়ে বলছি কিন্তু বিশ্বাস করুন লক ডাউন এর সময় তাও বা যারা খেতে পাচ্ছিল এখন তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

    আপনাদের কি মনে হয় সবাই চাকুরিজীবী, সরকারি বা বেসরকারি?
    ব্যাটারি রিক্সা, অটো, দিল্লি তে শহরের মধ্যেই একটা পরিবহন আছে, আমরা বলি গ্রামীন সেবা। আসলে একটা বড় অটো যাতে প্রায় বারোজন লোক ঢুকিয়ে নিয়ে যায়, ভাড়া যেখানেই যাও ৫ টাকা, সেই পরিবহন আর তাকে ব্যবহার করে বেঁচে থাকা মানুষ, মল বা মেট্রো স্টেশন এর বাইরে রাস্তায় দাঁড়িয়ে জিনিসপত্র বিক্রি করা মানুষ, গরমে রাস্তায় রাস্তায় প্রতি দুহাত অন্তর জলজিরা আর সিকন্জি বিক্রি করা মানুষ, মেট্রো বা রাস্তার পাশের লক্ষ লক্ষ খাবারের ঠেলাগাড়ি, বিল্ডিং মেটেরিয়াল সাথে যুক্ত মানুষ, এরা মূলত ভিনরাজ্যের।
    আমি যাদের কথা বললাম তা হিমশৈলের ৫%, মোট সংখ্যা কোটি ছুঁলেও ছুঁতে পারে, এদের জীবন কবে ঠিক হবে জানা নেই।

    আমাদের দ্বারকা সেক্টর - ২৩ এর পিছনে কয়েকটা গ্রাম আছে, তাদের চাষের জমি এখন দিল্লি সরকারের, একটা বাইপাস আছে যাতে দ্বারকার ভিতর দিয়ে সিগন্যালের জ্যাম বাঁচিয়ে চলা যায়, সেই রাস্তার পাশে ভোর চারটে থেকে বেলা এগারোটা অব্দি, আবার বিকালে পাঁচটার পর থেকেই বেশ কিছু দেহাতী যুবতী, মহিলা দাঁড়িয়ে বা বসে থাকছেন, একটি লোকাল ভ্যান চালকের সাথে গিয়ে কথা বললাম কয়েকজন মহিলার সাথে। ফটো তুলতে পারিনি, তাঁদের আপত্তি ছিল।

    আমি: আপনারা তো পিছনের গ্রাম গুলোয় থাকেন আর এখানে তো কখনো আসতে বা বসতে দেখিনি, কি সমস্যা হচ্ছে আপনাদের?
    প্রথম মহিলা: পয়সা নেই, বর আখ কাটতে গেছিল হিস্সর এ, ফেরেনি, পয়সাও পাঠায় নি, 5টা বাচ্চা, খাওয়াবো কি ?
    দ্বিতীয় মহিলা: প্রথমে লজ্জা পেতাম কিন্তু এখন গ্রামের প্রায় সব মেয়েরাই বসছে এখানে বা গল্ফ কোর্স রোডের পাশে বা যেখানে কাস্টমার পাচ্ছে আর পুলিশ কম।
    তৃতীয় মহিলা: আমার বাচ্চাটা 3 বছরের, খুব শরীর খারাপ হাঁপানী, যা টাকা পাচ্ছি যেদিন পাচ্ছি সেদিন চুলা জ্বলছে বাকি ভগবান ভরসা।
    আমি: কাস্টমার কারা ?
    চতুর্থ মহিলা: মূলত ট্রাক্টার চালক, লরি চালক, আর দ্বারকা এবং নজফগরের বড় বড় এপার্টমেন্ট গুলো থেকে গাড়ি নিয়ে আসা কিছু যুবক আর বয়স্ক পুরুষ, তবে এরা খুব জ্বালায়, ফটো তুলতে চায়, গায়ে মদ ঢেলে ভিজিয়ে দেয়, আর 500 বলে 200 টাকা দেয় নয়তো খিস্তি দেয়।
    আমি: আপনারা কি পাচ্ছেন এখানে বসে ?
    তৃতীয় মহিলা: ওই পিছনের জঙ্গলে নিয়ে যায়, কেউ ৩০ টাকা দেয় কেউ ১০০। কি করবো, কেউ কেউ মারে খুব, আর টাকাও দেয় না।
    আমি : পুলিশ ?
    দ্বিতীয় মহিলা: পুলিশ ধরার আগে দৌড়ে জঙ্গলে ঢুকে যাই, ধরতে পারলে সব টাকা কেড়ে নেয়, বলে থানায় চল, থানায় গেলে দুদিন তিনদিন আটকে রাখে।
    প্রথম মহিলা: পুলিশ দিদিরা ভালো, মারে আবার ছেড়েও দেয়, আমরা তো এসব কখনো করিনি, কিন্তু বাড়িতে বাচ্চা আছে ..

    এরকম অনেক কথা হল, জানলাম গ্রামে পুরুষ বেশি নেই, যারা আছে সারাদিন বসে তাস খেলে আর সন্ধ্যায় লোকাল মদের টাকা নিতে আসে এদের থেকে।
    আপনারা জাট বা গুজ্জরদের গরিব গ্রামগুলোর হাল জানেন কিনা জানিনা, এদের পুরুষদের স্বাভিমান খুব তাই নিজে ভিক্ষা করবে না কিন্তু বাড়ির বউকে মাঠে বা ইট ভাটায় বা এভাবে রাস্তায় দেহ ব্যবসা করাতে এদের আত্মসম্মানে লাগে না।

    লেখাটা দীর্ঘ করাই যায়, আপনাদের ও বোর করাই যায়, আসলে আমি ঠিক মেনে নিতে পারছি না ব্যাপারটা।
    আমার মাইনা হয়নি, অমৃতার ও আসেনি এখনও তবু ওই রান্নাঘর এর থেকে ৩৭০০ টাকা বেঁচে ছিল, ৭ জন মহিলাকে দিলাম ৫০০ করে বললাম আমার এর থেকে বেশি কিছু করার নেই, বিশ্বাস করবেন না ওদের মধ্যে অন্তত ৩ জন বিশ্বাস ই করলো না যে শারীরিক সম্পর্ক না করে আমি কেন পয়সা দিচ্ছি, বললো ওকে আপনি কি এডভান্স দিচ্ছেন?

    দেশের রাজধানীর উপকন্ঠে সাধারণ গ্রামীণ মহিলারা শরীর বিক্রি করছেন পেটের দায়ে, ক্ষিদের জ্বালায়।

    আমি আপনাদের পরামর্শ আর সাহায্য চাই, এঁদের জন্য কিছু করতে চাই।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • খবর | ১০ জুন ২০২০ | ২১৪৫ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    বকবকস  - Falguni Ghosh
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • r2h | 49.37.10.63 | ১০ জুন ২০২০ ১৭:২০94203
  • সোমরাজ খুবই প্রশংসনীয় কাজ করেছেন।

    কিন্তু এই পর্বটা আমি ঠিক বুঝতে পারছি না।

    "যারা আছে সারাদিন বসে তাস খেলে আর সন্ধ্যায় লোকাল মদের টাকা নিতে আসে এদের থেকে ...এদের পুরুষদের স্বাভিমান খুব তাই নিজে ভিক্ষা করবে না কিন্তু বাড়ির বউকে মাঠে বা ইট ভাটায় বা এভাবে রাস্তায় দেহ ব্যবসা করাতে এদের আত্মসম্মানে লাগে না... রান্নাঘর এর থেকে ৩৭০০ টাকা বেঁচে ছিল, ৭ জন মহিলা কে দিলাম ৫০০..."
    - তো, এই মোডে, এঁদের টাকা দিলে সেটা ঠিক কীভাবে খরচ হবে, সেটা বুঝতে পারছি না।

    এই টাকাটা শিশু, বৃদ্ধ, অশক্তদের সহায়তায় খরচ হলে মনে হয় উপযোগিতা বেশি হতো। আমাদের মধ্যবিত্ত মানসিকতায় দেহব্যাবসা যতটা ট্যাবু, ঐ 'স্বাভিমান'ঋদ্ধ সমাজে সেটা নাও হতে পারে। এঁদের পুরুষরা 'সন্ধ্যায় লোকাল মদের টাকা নিতে' আসবেন, তো সেটা রান্নাঘরের বাজেট না পারিশ্রমিক, সেটা তো ম্যাটার করবে না।
  • সোমরাজ | 203.192.227.175 | ১০ জুন ২০২০ ২১:২৪94208
  • রান্নাঘর যেটা আমি দিল্লি তে লক ডাউন এ চালিয়েছিলাম সেটার জন্য যারা আমায় টাকা দিয়েছিলেন সেই টাকার বেঁচে যাওয়া অংশ টা আমি এদের দিয়েছি, এরা যে অসুবিধা র মধ্যে আছেন তাতে হয়তো কিছু সুবিধা হবে। 

    আমি জানি এই পরিস্থিতিতে টাকা দেওয়া টা সলিউশন না, কিন্তু অল্প কিছু দিয়ে এদের মধ্যে প্রথমে বিশ্বাস তৈরি করে ধীরে ধীরে সমস্যার গভীরে ঢুকে এদের জন্য কোন কাজের ব্যবস্থা করা ইত্যাদি র চেষ্টা করাই আমার মূল উদ্দেশ্য

  • r2h | 2405:201:8805:37c0:d931:8af0:1186:2c7d | ১০ জুন ২০২০ ২২:১৭94210
  • এনসিআর সংলগ্ন গ্রামের কথা ভাবলেই আমার মাথায় আসে দাদরি। এবং খাপ টাপ, অনার কিলিং এইসব, এবং তাদের মরালিটির ধারনা, প্রায়রিটি এইসব নিয়ে ভাবনা আসে। প্রোফাইলিং করছি, খুবই খারাপ মানসিকতা, সর্বত্রই মানুষের নিজ নিজ অসহায়তা থাকে, দুর্গত মানুষের দুর্গতিটাই সবচে বড়।
  • বিপ্লব রহমান | ১১ জুন ২০২০ ০৯:০৮94217
  • ভেতরে ভেতরে চমকে উঠলাম। মানুষ কত অসহায়       

  • Abhyu | 47.39.151.164 | ১১ জুন ২০২০ ২৩:২৮94230
  • সোমরাজ,

    দেখো ভাই এখানে তুমি বিশ্বাস অর্জন করবে কার? সেই ভদ্রমহিলাদের? ওনাদের পরিবারের? খাপ পঞ্চায়েতের? ওনাদের বাড়ির লোক টাকাটা নেবে। সে টাকা যে ভাবেই আসুক না কেন। তারপর? আমি সিওর যে ওদের পরিবারে বা গ্রামে তুমি অ্যাকসেপটেড হবে না। ও পঞ্চায়েত সোজা কথা না।

    বরং দেখো কাছাকাছি কোনো NGOর সাথে কাজ করতে পারো কিনা। হিউম্যান ট্রাফিকিং-এর ভিকটিমদের নিয়ে কাজ করা খুব খুব কঠিন। রিস্কিও বটে। এঁরা যদিও ট্রাফিকিং-এর শিকার নন, তবু এই রকম সাঙ্ঘাতিক হায়ারয়ার্কিক্যাল পারিবারিক সিস্টেমে কাজ করা খুব কঠিন। বেশি নাক গলাচ্ছে দেখে হয়তো মেরেই দিল।

    আর কাজের ব্যবস্থা কি করবে সেটা ভেবেছ? সেই কাজ ওনারা করতে চাইবেন কিনা। ওনারা চাইলেও ওঁদের ফ্যামিলি সেটা অ্যালাউ করবে কিনা, করলে কতদিন করবে, এইগুলো আগে ভালো করে ভাবা দরকার।
  • সো | ১২ জুন ২০২০ ০৮:১৬94235
  • আজ আবার গেছিলাম, এই ফিরে পোষ্ট করছি, আমায় দেখে হেসে উঠে দাঁড়ালো আমি একটু দূরে স্কুটি দার করিয়েছিলাম দেখে হাত নেড়ে ডেকে বললো দাদা হামলোগ অচ্ছুৎ নেহি হয়, আইয়ে বলে একটা পাথর দেখিয়ে বসতে বললো, রাস্তার চলমান জনতা, বড় বড় আবাসন এর বাবু আর মহিলারা হাঁটছে জোরে জোরে আড়চোখে দেখছে আমার দিকে দেখলাম, আজ গেছিলাম ওনারা কতজন আছে কাউন্ট করতে, কথা বলে বুঝলাম জনা 40এর মতন।

    আমি ভেবে রেখেছি 5কিলো আটা, এক কিলো তেল, এক কিলো ডাল, এককিলো চিনি, একটা নুনের প্যাকেট, আর হলুদ, লংকা, গরম মশলার একটা করে প্যাকেট, সাথে একটা গায়ে মাখার আর একটা কাপড়কাচার সাবান দেব, ওই মোট 400 টাকা করে এক একজনের জন্য প্যাকেট হিসেবে, সাথে ভাবছি প্রতি প্যাকেট এর ভিতরে স্যানিটারি প্যাড আর কন্ট্রাসেপ্টিভ এর কয়েকটা প্যাকেট দিয়ে দেব, ওদের আগে বাঁচার অধিকার, দরকারে আবার লোন নেব।

    এই সাদা চুড়িদার পরা মেয়েটির কথা অনুযায়ী ওর বয়স 17 ...

    আজ প্রায় 20মিনিট ধরে কথা হল? আগের দিন টাকা দিয়েছি সেটা নাকি ওদের বাকিরা বিশ্বাস ই করছিল না, মজা করছিল, ওরা বিশ্বাস করেনা যে কেউ ওদের এমনি এমনি টাকা দেবে বা খাবার দেবে...
    বললো স্কুলে কখনো ভর্তি করেনি পাপ ইয়া তাউ বা বাড়ির বড় পুরুষেরা, আর মা ও বকেছে স্কুলের কথা শুনে।

    আমি খাবারের কিছু ব্যবস্থা করবো বলায় বললো আমায় এখুনি তোমার স্কুটি করে নিয়ে চলো, আমি বললাম এত জনের টা আনবে কি করে? বললো আরে আমি ম্যানেজ করে নেব।

    আমার কাছে অত টাকা নেই এত রেশন কেনার, বললাম কাল না হোক পরশু আসবো আমি, এত জিনিস আনার ব্যাটারি রিক্সা বা অটো লাগবে তো ..
    শুনে আমার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকলো কিছুক্ষণ, তারপর বললো ওকে এনো।

    অবাক করা একটা ইনফো দিল, মিলে গেল আমার ওই রান্নাঘর এর কুঁড়েওয়ালা বস্তির ওই মহিলার সাথে যে পুরো লক ডাউন এ নাকি মাত্র একবার রেশন পেয়েছে, মাথাপিছু 4কিলো গম আর 2কিলো চাল ব্যাস, আর কিচ্ছু না, কিন্তু দিল্লি সরকার এর বা কেন্দ্রীয় সরকারের হিসেব তো অন্য কথা বলছে !!!!

    কিন্তু এভাবে প্রতি সপ্তাহে একবার করে দিতে হবে অন্তত এক মাস, তারপর ??

    এদের জন্য কোন পার্মানেন্ট ভালো সলিউশন চাই, আপনারাই বলুন কি করা যায় ??

    https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=10217352491106641&id=1304469796
  • r2h | 2405:201:8805:37c0:857f:7fcd:98ac:5502 | ১২ জুন ২০২০ ১৪:০৮94240
  • @Abhyu ১১ জুন ২০২০ ২৩:২৮, হ্যাঁ, আর আরো ট্রিকি যেটা, এঁরা তো ট্র‌্যাফিকিংএর শিকারও নন।

    ইনফ্যাক্ট, যৌনকর্মীদের 'পুনর্বাসন', তথা 'বিকল্প' জীবিকা ব্যাপারটা নিয়েই অনেক তর্ক আছে। কে পুনর্বাসন চাইছেন, আর কাকে আমি আমার মূল্যবোধের পরিধি থেকে বোঝাচ্ছি যে পুনর্বাসন দরকার ইত্যাদি।

    দুর্বার ইত্যাদির সঙ্গে কাজ করেন এরকম তো অনেকে আছেন, এই ব্যাপারটা নিয়ে লিখলে একটু আলোচনা হত।

    যা হচ্ছে সেটা খুবই খারাপ হচ্ছে। কিন্তু গ্রামকে গ্রাম, যাদের দারিদ্র অপরিসীম থাকলেও রাজধানীকে ইন্ফ্লুয়েন্স বা ডিসরাপ্ট করার ক্ষমতা একেবারে নেই তা না, সেখানে নানাবিধ রিগ্রেসন অপ্রেসনের বিরুদ্ধে ফেটে পড়ার মুখে এই উদ্যোগ গুলি সেফটি ভাল্ভের কাজ করে কিনা, আমি এই রকমও ভাবছি।

    সোমরাজের উদ্দেশ্য ও কাজ নিয়ে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। কিন্তু নির্দিষ্ট এই ডেমোগ্রাফিটা নিয়ে আমার ব্যক্তিগত দ্বিধা আছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট মতামত দিন