এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  খবর  টাটকা খবর

  • ডুয়ার্সের ডায়রি ঃ তৃতীয় কিস্তি

    শর্মিষ্ঠা বিশ্বাস লেখকের গ্রাহক হোন
    খবর | টাটকা খবর | ২১ নভেম্বর ২০০৯ | ৯৬৩ বার পঠিত
  • (এই ডায়রিটা শুরু ১১ই নভেম্বর, ২০০৯ আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত "জলপাইগুড়ির টাটা চা বাগান' ( http://guruchandali.com/?portletId=20&porletPage=1&pid=wpgc:///2009/11/11/1257906085739.html ) লেখাটার পর থেকে। গত ১৬ ই নভেম্বর প্রকাশিত হয় দ্বিতীয় কিস্তি ( http://guruchandali.com/?portletId=20&porletPage=1&pid=wpgc:///2009/11/16/1258389324809.html )। আজ তৃতীয় কিস্তি।)



    ১৮ই নভেম্বর, রাত ৯টা ২০মিনিট :

    আমার লেখা "ডুয়ার্সের ডায়রি'-তে যাচ্ছে শোনার পর থেকে লিখতে একটু কেমন কেমন লাগছে। আমি এক্কেবারেই অ্যাক্টিভিস্ট টাইপের লোক। লেখা টেখা আমায় দিয়ে হয় এমনটা আমি ভাবতেও পারিনা। মাস্টারমশাই-এর গাল খেতে খেতে নিজের অভিজ্ঞতার কথা লিখে ফেলছি আরকি। আর মুস্কিলটা হ'ল, প্রতিদিন লেখার মত ঘটনা তো ঘটে না। সংবাদপত্রের মত ঘটনাবহুল জীবন তো মানুষের না। তবুও একটু একটু করে সঞ্চিত অভিজ্ঞতাগুলি দু-চার লাইন লিখে রাখব ঠিক করলাম। পাঠক, যারা চা খান -- তারা তো বোধহয় চা এর শ্রমিকদের সম্পর্কে কিছুই জানেন না। সাগিনা মাহাতো, চামেলি মেমসাহেব এই সব দেখে দেখে চা বাগান দেখা, চা শ্রমিকদের চেনা। সে চেনা তো অনেক পাল্টে যায় সত্যি সত্যি ওদের মধ্যে এসে পড়লে।

    আগেই লিখেছিলাম টাটার চা বাগানের শ্রমিকদের আন্দোলনের কথা। গত কয়েকদিন ধ'রে এই মানুষগুলোর মধ্যে থেকে যে লড়াকু মানুষগুলিকে বেরিয়ে আসতে দেখছি তাদের এর আগে দেখিনি। গত পাঁচবছর ধ'রে আমরা এই ডুয়ার্সে কাজ করছি। আমরা প্রথম কাজ করতে শুরু করেছিলাম বন্ধ বাগানের শ্রমিকদের মধ্যে। সেখানে দেখেছি অনাহার মৃত্যু, অপুষ্টি, যন্ত্রণা। কিন্তু যা দেখিনি তা হ'ল মানুষের অধিকার বোধ, দেখিনি রাগ, দেখিনি লড়াই করার আত্মবিশ্বাস, দেখিনি শ্রমিক ঐক্য। যা এই বাগানে এসে প্রথমেই লক্ষ্য করতে পেরেছি। একটা ধারনা জন্মেছিল যে সংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকরা হয়তো স্বাভাবিক ভাবেই সংগঠিত -- নতুন করে সংগঠিত করতে হয় না।

    আজ আলোচনা করতে করতে কিছু কিছু বিষয়কে নিয়ে ভাবছিলাম আমরা। এখনো পর্যন্ত টাটার বিরুদ্ধে শ্রমিকদের এই লড়াইতে আর আমাদের ক্যাম্পেনের ক্ষেত্রে, আমাদের শক্তি, দুর্বলতা, সুযোগ বা অপরচুনিটি, এবং পরবর্তী পদক্ষেপ বিষয়ে ভাবা দরকার। এমন ধরনের লড়াই-এর অভিজ্ঞতা আমার এই প্রথম। এক্কেবারেই নতুন। তাই শক্তি বলতে আমার কেবল মনে হচ্ছিল যে আমরা তো এমনিতেই শক্তিশালী। শ্রমিকরা এখানে শক্তিশালী ভাবেই ঐক্যবদ্ধ, আর কী চাই? কিন্তু সাথে সাথে মনে হচ্ছিল যে কতদিন? এখন তারা ঐক্যবদ্ধ, কিন্তু কতদিন তারা এই ভাবে ভুখা পেটে ঐক্যবদ্ধ থাকবে? আমি কি পারতাম এমন ভাবে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকতে?



    ১৯শে নভেম্বর, রাত ১টা ১০

    সকালবেলা একটা নতুন ওয়েবসাইট দেখলাম -- http://www.care2.com/news/member/497847928/1301918 , আইইউএফ-র ওয়েবসাইট তো আগেই দিয়েছি। এই ওয়েবসাইটটায় দেখলাম নেওড়ানদী বাগানের শ্রমিকদের অবস্থার কথা লেখা আছে, যা আমাদের আই ইউ এফ-এর ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে তাই নিয়ে। বিভিন্ন দেশের বহু মানুষ তাদের মন্তব্য জানিয়েছে এই মানুষগুলির পক্ষে। এই প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষগুলির লড়াই, তাদের পাওয়া না-পাওয়া যে এতগুলি অন্য মানুষকে এতটা ভাবায় সেটা ভাবতে বেশ অবাক লেগেছে। আবার সাথে সাথে এটাও ভাবতে ভাল লেগেছে যে এতগুলি মানুষ সেটা ভাবতে পারছে। এটাকে সাফল্য বলব কিনা জানিনা।

    আজকে বাগানে গিয়ে খুব ভাল কিছু মিটিং হয়নি, কারণ সেখানে হঠাৎ করেই শ্রমিকরা সকালবেলা জানতে পেরেছে যে, বিডিও অফিস থেকে তাদের জন্য, মানে স্থায়ী শ্রমিকদের জন্য, ১২ কেজি ক'রে চাল সরকার বরাদ্দ করেছে। এবং আজই তার কুপন বণ্টনের দিন। সব শ্রমিকরা সেই কুপন সংগ্রহের জন্য সকাল থেকেই ব্যস্ত ছিল। কিছু কিছু শ্রমিক বন্ধু আমাদের দেখে এগিয়ে এসে জানতে চাইল যে আন্তর্জাতিক ক্যাম্পেনের কী খবর, কোনও প্রতিক্রিয়া আসছে কিনা, আমাদের কি মনে হচ্ছে বাগান খোলার সম্ভাবনা, এইসব।

    একজন জানালেন, গতকাল জেলাশাসক ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের জন্য মালিকপক্ষ এবং ট্রেড ইউনিয়নগুলোকে ডেকেছিলেন। আদিবাসী বিকাশ পরিষদকেও ডেকেছিলেন এই বৈঠকে। এবং এই ঘটনা চলাকালীন এটা ঘটল এই প্রথম বার। আমাদের তৈরি বাগানের মজদুর অ্যাকশন কমিটি উপস্থিত থাকতে পারেনি। সেখানে মালিকপক্ষ দুই দিন সময় চেয়েছেন বাগান খোলার জন্য। আদিবাসী বিকাশ পরিষদ দাবি করেছে বাগান খুলতে হবে একটাই শর্তে যে, কোনও শ্রমিককে কাজ থেকে বহিষ্কার করা যাবে না। যদিও অন্য কোনও প্রতিষ্ঠিত ট্রেড ইউনিয়ন উপস্থিত ছিল না সেখানে।

    আমরা এই বিষয়ে শ্রমিকদের কাছে জানতে চাওয়ায় ওরা বলল ওদের মনে হয় না যে মালিক খুলতে আসবে। আর যদি আসে তবে ওদের দাবি মানবে এমনটাও ওদের মনে হয় না। আরও একটা সন্দেহ ওদের আছে, সেটা হ'ল, যদি একবার কোনও দাবি না মেনে খোলে বাগান তাহলে আবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে পারে। আর আবার যদি ঘটে, মানে আর কিছুদিন বাদে কর্তৃপক্ষ ফের সাসপেনশনের চিঠি আবার ধরায় ঐ আটজন শ্রমিককে, তখন আবার পুরোটা একই জায়গায় এসে দাঁড়াবে। এবার, এখন যারা লড়াই করতে প্রস্তুত, এতদিনের বন্ধ থাকার ফলে যে অসুবিধার সম্মুখীন শ্রমিকরা হচ্ছেন, আটজন শ্রমিকের সাসপেনশনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর ফলে, তারা কি তখনও প্রস্তুত থাকবেন আবারও ঐ অসুবিধা মেনে নিতে?

    আমরাও নিজেদের মধ্যে এই বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করছিলাম। কতটা প্রস্তুতি শ্রমিকদের আছে সেটা বুঝতে চেষ্টা করছিলাম। আমাদের সহকর্মী ও বন্ধু জেসপার একটা ভালো কথা বলল এই পরিপ্রেক্ষিতে। আমাদের আগে মাথায় আসেনি বিষয়টা। ও বলল যে, যদি একবার মালিক বাগান খুলতে আসে, এবং বোনাস, পুরানো মজুরি, রেশন দেওয়ার জন্য রাজি হয়ে যায়, অথচ সাসপেনশন বহাল রাখে ঐ আট শ্রমিকের, তখন যদি শ্রমিকরা কাজে যোগ না দেয় সেটা হবে শ্রমিকদের পরাজয়। চমকে উঠে জানতে চাইলাম, কেন?

    ও খুব ভালো ব্যাখ্যা দিয়েছে বিষয়টার। ওর মতে যতক্ষণ বাগান বন্ধ আছে ততক্ষন শ্রমিকরা আছে মালিকের থেকে এক কদম এগিয়ে। বাগান খোলার দাবি নিয়ে। যখনই মালিক অন্যান্য শর্তগুলি মেনে নিয়ে বাগান খুলতে আগ্রহী হবে আর শ্রমিকরা আটজনের সাসপেনশনের প্রতিবাদ করে কাজে যোগ দেবেনা, তখনই কর্তৃপক্ষ প্রচার করবে যে, শ্রমিকরা কত দ্বায়িত্বজ্ঞানহীন, মাত্র আটজন শ্রমিকের জন্য ৬৫০০ মানুষকে তারা ভুখা রাখছে। অন্যান্য শর্তগুলি মেনে বাগান যদি খুলে দেয় মালিক তাহলে শ্রমিকদের মেনে নেওয়া উচিত, আর বাগানে কাজে যোগ দেওয়া উচিত। যদিও, আইইউএফ তখনও অন্যায় ভাবে আটজন শ্রমিকদের সাসপেনশনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ক্যাম্পেন চালিয়ে যাবে, আর বহিষ্কৃত আট শ্রমিকের জন্য বকেয়া মজুরি, রেশন, পুজো বোনাসের ব্যবস্থা করবে আইইউএফ-ই, আন্তর্জাতিক ভাবে শ্রমিক সংগঠনগুলির কাছ থেকে চাঁদা তুলে। যতদিন তাদের কাজে পুনরায় বহাল করা হবে না ততদিন তাদের মজুরিও জোগাড় করবে আইইউএফ, ঐ চাঁদা তুলেই। প্রয়োজনে বাগানের থেকে বেশি মজুরি দেওয়া হবে তাদের। তারা হবে তখন লড়াই-এর হিরো। এর মধ্যে দিয়ে অন্যান্য শ্রমিকদের লড়াই-এর প্রতি আস্থা বাড়বে। আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংগঠনগুলির শ্রমিক বন্ধুরাও ওদের লড়াইএর পাশে আছে সেটা খুব স্পষ্ট হবে ওদের সামনে। আর শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে দায়িত্বজ্ঞানহীন শ্রমিক আন্দোলনের মিথ্যা তকমা লাগানো বেশ মুশকিলের হবে তখন।

    আমি এইটা ভাবতে পারিনি। ভেবে ভালই লাগছে। এমনটা হলে মন্দ হয় না।



    ২০শে নভেম্বর, দুপুর ১টা ৩৩

    আরও কিছু ঘটনা ঘটেছে ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক ক্যাম্পেনকে ঘিরে। আমাদের জিনিভা অফিসে বাগানের তরফে এক মহিলা ফোন করে জানায়, নেওড়ানদী বাগানের চা টেটলি কোম্পানি কেনে না। আরও জানান যে, সেখানে প্রতিষ্ঠিত ট্রেড ইউনিয়ন আছে দুটি, এবং এমনকি তাদেরকেও এই জঙ্গি শ্রমিকরা তাড়িয়ে দিয়েছে। তাদের পতাকা খুলে ফেলে দিয়েছে, ইত্যাদি ইত্যাদি।

    প্রতিষ্ঠিত ট্রেড ইউনিয়নের এই অমর্যাদা এতটা দু:খ দেবে মালিক পক্ষকে সেটা ঠিক ভাবতে পারিনি আমরা। বেশ একটা মজাও লাগছিল এই কান্নাকাটির। তিনি আরও জানিয়েছেন যে নেওড়ানদীর চা টেটলি বিক্রি করেনা, বিক্রি করে টাটা। এইটা বলে বাঁচতে চেয়েছিলেন বোধহয়। কিন্তু যত নিজেদের ঘাড় থেকে বোঝা নামাতে চাইছেন নানা যুক্তির জাল বুনে, ততই জড়িয়ে পড়ছেন আরও অনেক অপরাধের বোঝায়। এইটা, এই অগোছালো যুক্তিগুলোই এখনও পর্যন্ত শ্রমিকদের এই লড়াই-এর শক্তি।

    তবে আরও শক্তিশালী হতে হবে শ্রমিকদেরকে, নিজেদের বোঝাপড়ায়, নিজেদের ঐক্যে, নিজেদের যুক্তিতে, মালিকের অন্যায় আচরণের বিরুদ্ধে অনেক বেশি বেশি তথ্য প্রমাণ সংগ্রহের কাজে। যা আসলে আছে অসংখ্য, কিন্তু সুপরিকল্পিত ভাবে সংগ্রহের অভাব ছিল এতদিন। শ্রমিক যত বেশি ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে, তার উপর এই দায়িত্বের বোঝাও বাড়ছে। তার ভার বহনের ক্ষমতা নিয়ে সংশয় নেই। মাঝে মাঝে সংশয় হয়, এত বড় রাক্ষুসে শয়তানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শ্রমিকরা তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারবে তো? আবার সঙ্গে সঙ্গে শ্রমিকদের শক্ত চোয়াল আশ্বাস দেয়, পারবে, ওরাই পারবে। আমার মত মধ্যবিত্ত চিন্তার মানুষরাই খামকা সংশয় নিয়ে বাঁচে। ওরা এসবের উর্ধ্বে, অনেক উর্ধ্বে। ওদের শেখা শেষ হয়না। প্রতিটা প্রতিকূল পরিবেশ থেকে শেখে নতুন ক'রে বাঁচার লড়াই।

    সবাই অপেক্ষা করছে মিটিং-এ, এক ফাঁকে এসেছি এই লেখাটা পাঠানোর জন্যে। এখন এতটুকুই মনে এল। আরও মনে আসছে। আরও লিখব পরে।

    ২১ শে নভেম্বর, ২০০৯
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • খবর | ২১ নভেম্বর ২০০৯ | ৯৬৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন