এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  কূটকচালি

  • দিল্লীওয়ালার চুনাও প্রক্রিয়া

    শমীক মুখোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    কূটকচালি | ২৪ মে ২০০৯ | ৬৯৬ বার পঠিত
  • ভোট এল। ভোট গেল। দিল্লিতে গ্যাঁড়ার এই দ্বিতীয় লোকসভা ভোট। দেশের জন্য পঞ্চদশ। ভোট উপলক্ষ্যে কত ক্যাম্পেনিং হল, কত বার্গেনিং হল, বিস্তর কাদা আর গালাগালি বিনিময় হল, কিছুকিঞ্চিৎ জুতোও ছোঁড়া হল। তবু আমজনতার তাতে কিছুই এল গেল না।

    এই এক অদ্ভূত শহর দিল্লি। কোনওকিছুতেই গা ঘামায় না। নাক গলায় না। আরে বাবা, পাঁচ বছরে এই একটা মরসুম আসে, যখন লিডারদের আর অ্যাক্টরদের নিজের এলাকায় নিজের পাড়ায় কখনও সখনও দেখতে পাওয়া যায়, তাদের চরিত্রের চচ্চড়ি বানাবার কত্তো মশলা সাজিয়ে গুছিয়ে দেওয়া হয় প্রিন্ট আর ভিসুয়াল মিডিয়ায়, কিন্তু কোথায় কী? না দেওয়ালে লিখন, না বাসে ট্রেনে উত্তাল উত্তেজক আলু-চানা। ক্ষমতার এত কাছাকাছি বলেই বোধ হয় এখানে চুনাওয়ের প্রস্তুতি অন্যরকম হয়। দেওয়াল লিখন নেই, ফ্লেক্স বোর্ড নেই... তা বলব না, আছে, তবে হাতে গোনা, কিছু গাম্বাট গাম্বাট সাইনবোর্ড আছে, কিন্তু সেখানে গোদা হিন্দিতে বেসিক বক্তব্যটুকু কেবল লিখে দেওয়া। মস্ত বড় করে লালকৃষ্ণ আদবানীর ছবি, তবলায় চাঁটি মারতে যাবে পোজে হাতটা তোলা, ওদিকে একটা পদ্মফুল, পেছনে গেরুয়া ব্যাকগ্রাউন্ড, সাথে বড় বড় করে লেখা, মজবুত নেতা, নির্ণায়ক সরকার। বিজেপি কো ভোট দেঁ । ... ব্যাস, ওইটুকুই। ঐ ওক্কুটে ইউটিউবে যা বিজ্ঞাপন দেখেছিলেন, সেটুকুই। কোথাও কোনও স্যাটায়ার নেই, হিউমর নেই, হব্বে কী করে, এ কী আর আমাদের সেই সোনার বাংলা? এখানকার লোকে রাজমা খায়, মাছের মুড়ো খায় না। কেবল পয়সা চেনে। ভোটও পএদের কাছে আলাদা করে কোনও উত্তেজনার বা আলোচনার রসদ নয়। ভোটকে ঘিরে কেবল কত পয়সা লাভ বা ক্ষতি হতে পারে, সেই টুকুই হিসেব করে এরা। নিজে নিজে। জিজ্ঞেস করলেও বলে না বিশেষ।

    ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু হলেও দিল্লির আমজনতা রাজনীতি নিয়ে একেবারে উদাসীন। তাই শহর কলকাতায় যেখানে আশি পার্সেন্টের ওপর ভোট পড়ে, দিল্লিতে সেই শতাংশ মেরেকেটে পঞ্চাশ ছাড়ায়। বেস্পতিবার পড়েছিল ভোটের দিন; সাথে শুক্রবারটাও জুড়ে নিয়ে আরামসে চারদিনের ট্যুরে ঘুরে এল নৈনিতাল, ডালহৌসি, বৈষ্ণোদেবী কিংবা অন্য কোথাও।

    পাবলিক ট্রান্সপোর্টে তো গ্যাঁড়ার বিশেষ যাতায়াত নেই, সে যায় গেঁড়ি। দিলশাদ গার্ডেন থেকে যায় মেট্রোয় করে অফিস, ফেরে ডিটিসির বাসে করে। তা, বাসেও না, ট্রেনেও না, কোথাও কারুর মুখ থেকে একটাও শব্দ বেরোয় নি ভোট নিয়ে। এখানে কেউ কারুর সাথে কথাই বলে না! পাশের লোকটার পকেটমার হয়ে গেলে পর্যন্ত বাকি লোক মুখ ঘুরিয়ে নিয়ে বসে, তো সেখানে ভোট। কেবল গেঁড়ির অফিসে ছুটকো ছাটকা মন্তব্য কানে আসে।

    দিল্লির ভোটারদের একটা বড় অংশ সরকারি চাকুরে। কেসচা আর রাসচা। এদের একটা বড় অংশের ভালো মন্দ জড়িয়ে থাকে কেন্দ্রের মসনদের ওপর। এই যেমন গত বছর পাস হল ষষ্ঠ বেতন কমিশন। রাসচাদের কথা জানি না, তবে কেসচাদের বেতন বাড়ল নয় নয় করে বেশ খানিকটাই। চালু হয়েছে পয়লা জানুয়ারি ২০০৬ থেকে। ফলে দুবছরের বর্ধিত বেতন অনেকখানি টাকাই ডিউ রয়েছে সরকারের তরফে। রুচিশীলা পাঠিকা, আপনি কি ভাবছেন, সে সমস্ত বকেয়া বেতন সরকার সমস্তই মিটাইয়া দিয়াছেন? ভুল, বালিকে, ভুল। কেসচা-রা পেয়েছে সেই ডিউ স্যালারির মাত্র ৪০ শতাংশ। বাকি ষাট শতাংশ এ বছরে পাবার কথা। কবে পাবে, কেউ জানে না অবশ্য এখনও। পয়সাটা নেহাৎ কম নয়। তো, ভোটে জিতে যদি আদবানী অ্যান্ড কোং আসে, তা হলে সেই ষাট শতাংশ পাবার সম্ভাবনা আরওই পিছিয়ে যাবে। কারণ বেতন কমিশন কেন্দ্রীয়সরকার নিরপেক্ষ হলেও পাস তো হয়েছে ইউপিএ-র আমলে! এনডিএ চেষ্টা করবেই ক্ষমতার গদিতে বসে সেই কমিশনের রিপোর্ট থেকে ফ্যাকড়া বের করতে। এ তো বেসিক অঙ্কের নিয়ম। তাই সমস্ত সরকারি চাকুরেদের ক্ষেত্রেই এক ও একমাত্র পছন্দ ছিল, দ্বিতীয়বার ইউপিএ। স্থায়ী সরকার। যাতে কোনও পলিসি নিজের জায়গা থেকে নড়চড় না হয়। আফটার অল্‌, পাইসা বোলতা হ্যায় রে বাবা!

    কংগ্রেস বা তৃণমূল জিতেছে বলে নয়, কানাঘুষোয় গ্যাঁড়া যা শুনছে, কলকাতার বাঙালির নাকি ব্যাপক আনন্দ হচ্ছে সিপিএম হেরেছে বলে। কিন্তু তার এফেক্ট স্বাভাবিকভবেই দিল্লির জনতার ওপরে পড়ে নি, যে সরকার ছিল, সেই সরকারই এসেছে। এখানে কোনও আলাদা স্পেকুলেশনও ছিল না, শীলা ম্যাডাম যতই ঘুষঘাষ খান, ভিআইপি সিটির মুখ্যমন্ত্রী হবার সুবাদে তিনি দিল্লির উন্নয়নের চাকা কখনও স্তব্ধ হতে দেন নি। সামনেই আসছে কমনওয়েলথ গেম্‌স, আর ঠিক এক বছর বাকি, তার মধ্যে বানাতে হবে আঠেরোটা ফ্লাইওভার আর তেত্তিরিশটা রাস্তা :-)। কাজ চলছে দিনরাত, নিরন্তর, যে হেতু এ সব কাজ ভোটের অনেক অনেক আগে থেকে চলে আসছে,তাই নির্বাচনী আচরণবিধি এখানে লাগু হয় নি। কনস্ট্রাকশন চলছে সর্বত্র পুরোদমে। শেষ হলে নতুনভাবে সেজে উঠবে দিল্লি, তাই শত অসুবিধা সত্ত্বেও মুখ বুজে চুয়াল্লিশ ডিগ্রির গরমেও লম্বা লম্বা ট্র্যাফিক জ্যাম সয়ে নিচ্ছে মানুষ। উন্নয়ন নিয়ে দিল্লিবাসীর কখনও কোনও অভিযোগ হয় নি, হবেও না।

    দিল্লিবাসীর মূল কষ্টের জায়গা দুটো, বিজলি আর পানি। তো, এই বিজলি নিয়েই ব্যস্ততা চরমে ওঠে উর্জামন্ত্রকে, ভোটের মরসুমে। এখানেই কাজ করে গেঁড়ি, তার মুখ থেকেই শুনুন কী ঘটে এই সময়ে।

    আদর্শ নির্বাচনবিধি লাগু হয়ে যাবার দিন থেকেই পাওয়ার মিনিস্ট্রিতে গঠিত হয়ে যায় স্পেশাল সেল। যদিও এ লোকসভা ভোট, সারা দেশের ব্যাপার, কিন্তু ডেলহি ইজ স্পেশাল। হায়েস্ট প্রায়োরিটি, বিদ্যুৎ পাবার ব্যাপারে। নির্দেশিকা চলে যায়, ভোট না মেটা পর্যন্ত দিল্লির গ্রিড থেকে কেউ কোনও বাড়তি পাওয়ার পাবে না। সারা দিল্লির মধ্যেও হায়েস্ট প্রোফাইল জোন হচ্ছে নিউ দিল্লি, যার দেখভাল করে এনডিএমসি, সেখানকার বিদ্যুতের হালচাল নিয়ে দিনে তিনবার স্টেটাস রিপোর্ট নেওয়া হয়। কোথাও কোনও ফল্ট হলে একেবারে বিদ্যুৎগতিতে বিদ্যুৎ ফিরিয়ে আনা হয়। আর নিউ দিল্লির মধ্যেও হায়েস্ট ক্যাটেগরি হচ্ছে প্রেসিডেন্ট হাউজ, নর্থ ও সাউথ ব্লক, আর প্রেসিডেন্ট এস্টেট। (প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি, দিল্লির একেবারে কেন্দ্রে অবস্থিত হলেও এই প্রেসিডেন্ট হাউস প্রেসিডেন্ট এস্টেটের কিন্তু আলাদা পিনকোড, আলাদা পোস্ট অফিস। এমনিতে নিউ দিল্লি হল ১১০০০১, কিন্তু প্রেসিডেন্ট হাউসের পিনকোড কত বলুন তো? ১১০০০৪। ) এইখানে এক মিনিটের জন্য লোডশেডিং হলেও সেটাকে ডিজাস্টার হিসেবে গণ্য করা হয় এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি ফল্টের কারণে একে তাকে শো কজও করা হয়।

    গেঁড়ির অফিসের কাছেই নির্মাণ ভবনে পড়ে গান্ধী পরিবারের বুথ। সক্কাল সক্কাল বডিগার্ড পরিবেষ্টিত হয়ে স-স্বামী প্রিয়াঙ্কা ভদ্র, ... না না, বঢ্‌রা এসে ভোট দিয়ে যান এখানে। সোনিয়া মা-ও আসেন। আসেন আরো অনেক ভিআইপির দল।

    গেঁড়ির এবার ইলেকশন ডিউটি পড়তে পড়তেও পড়ে নি। শেষ মুহুর্তের লিস্টে ওর নাম আসে নি। তবে অফিসের বাকিদের পড়েছিল। তাদের মুখ থেকেই শোনা গেল, নির্বাচন এক্কেবারে শান্তিপূর্ণ। মানে, এক্কেবারেই শান্তিপূর্ণ। কোথাও কোনও ঝামেলা অশান্তি হয় নি, বুথ জ্যাম হয় নি, রিগিং হয় নি, কেউ কারুর দিকে আঙুল তুলে অভিযোগ পর্যন্ত করে নি। নিতান্ত অনাড়ম্বরভাবেই পেরিয়ে গেল পঞ্চদশ লোকসবা চুনাও।

    বরং এর থেকে আগের বারের নির্বাচন ছিল অনেক ঘটনাবহুল। শাইনিং ইন্ডিয়ার ব্যানারে ছেয়ে গেছিল দিল্লির সমস্ত বাসস্ট্যান্ড, আর হোর্ডিং। প্রমোদ মহাজনের নেতৃত্বে লোকজনের ইনবক্সে পর্যন্ত ঢুকে পড়ছেন লালকৃষ্ণ আদবানী আর অটলদাদু। এমনি এক গ্রীষ্মের দুপুরে, গ্যাঁড়া সবে অফিস ক্যান্টিন থেকে খেয়ে বেরিয়েছে, তার ফোনে এল একটি কল্‌। ফোন তুলতেই, "নমস্কার। ... ম্যাঁয় .... অটলবিহারী বাজপেয়ী বোল রহা হুঁ ...।' "ধুর শালা' বলে কেটে দিয়েছিল গ্যাঁড়া, ততদিনে আরও অনেকের সঙ্গেই গ্যাঁড়া জেনে গেছিল র‌্যান্ডমলি একে ওকে তাকে ফোন করে অটলদাদুর রেকর্ডেড মেসেজ শোনাচ্ছে প্রমোদ মহাজন।

    তা, এত করেও এনডিএ-কে চায় নি সেবারে শাইনিং ইন্ডিয়া, এবারেও চাইল না। এমনিতে আবার অনেক লোক, যারা সরাসরি সরকারের পলিসির দ্বারা এফেক্টেড লোক নয়, তাদের কাছে এনডিএ আর ইউপিএ একই কয়েনের এপিঠ ওপিঠ। কিন্তু এনডিএ এলে শেয়ার বাজার আরও পড়ে যেতে পারত। গত কয়েক মাসের ধসে আম দিল্লিবালা সেন্সেক্সের সেক্সে লস করেছে প্রচুর প্রচুর টাকা। আর লস তারা করতে চায় নি। একমাত্র স্পেকুলেশন এইই ছিল, ইউপিএ যদি ফিরে আসে, সেনসেক্স আবার চড়চড়িয়ে চড়বে, আর যদি একবার এনডিএ জেতে, সেনসেক্স যে কোথায় নামবে, ভগা না জানন্তি, কুতো দিল্লিওয়ালা! তা শেয়ারের লস কে-ই বা সইতে চায়! অতএব, চুপচাপ হাতে ছাপ। বিজেপি একেবারে হাওয়ায় উড়ে গেছে।

    পুরো এনসিআরে, এক গাজিয়াবাদ ছাড়া আর কোথাওই এনডিএ সুবিধে করতে পারে নি। নয়ডাতে দাঁড়িয়েছিলেন মহেশ শর্মা, এনডিএর টিকিটে। লোকটি কেমন জানা নেই, তবে তাঁর স্ত্রী সেই হাসপাতালেরই গাইনি ডাক্তার, যে হাসপাতালের মালিক মহেশ শর্মা। বেজায় বদমেজাজী আর বদমাইশ ভদ্রমহিলা। ভুলভাল ইঞ্জেকশন প্রেসক্রাইব করে গেঁড়িকে প্রায় গেঁড়িয়ে ফেলেছিলেন আর কি! সেই থেকে ঐ ম্যাডাম শর্মাকে গ্যাঁড়াগেঁড়ি এড়িয়ে চলে। সে যাই হোক, এবারের নির্বাচনে শর্মাবাবু হেরেছেন, বসপা নেতার কাছে।

    ওদিকে বসপা নেত্রী মায়াবতী রেগে গিয়ে তাঁর ভরাডুবির দায় চাপিয়েছেন কিছু আইপিএস পুলিশ অফিসারের ওপর। আইপিএসরা কী করে মায়াবতীর হারের কারণ হতে পারে, এটা আমজনতা না বুঝলেও মায়াবতী বিলক্ষণ কিছু বুঝেছেন। রোজ তিরিশ বত্তিরিশ করে পুলিশ অফসরের তবাদলা করছেন। মাঝে মাঝে কুঁইকুঁই করে এ-ও বলছেন, হাম ইউপিএ কো বাহার সে সমর্থন দেঙ্গে। যদিও এ-ও তিনি বিলক্ষণ জানেন যে তাঁর সমর্থন বা অসমর্থনে ইউপিএর একেবারেই কিছু এসে যায় না। বেচারি, হতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী, গদ্দার জনতা বেইমানি করে ফেলল দলিত কি বেটির সাথে! আশা করা যায় ব্যাহেনজী এখন আরও বেশি বেশি করে মন দিয়ে তাঁর মূর্তি গড়াবেন, আর আরও জাঁকজমক সহকারে নিজের পরবর্তী জন্মদিন পালন করবেন।

    এইসব জেতা-হারা নিয়েই শেষ হয়ে গেল ভোট। আর রেজাল্ট বেরোবার সাথে সাথে শেয়ার বাজারে কী ঘটল, সে তো আপনারা দেখেইছেন। ওদিকে মাম্মাম্মা তাঁর তারকাখচিত টিম নিয়ে দিল্লি এসে গেলেন, এলেন, আলোচনায় বসলেন, জয় করলেন, ইত্যাদি প্রভৃতি।

    নিজামুদ্দিন ব্রিজের রাস্তায় তবলা ঠোকার ভঙ্গিতে আদবানীর হোর্ডিং এখন করুণ রসিকতার মতন দেখায়। হয় তো আর কিছুদিনের মধ্যেই খুলে ফেলা হবে সে সব। কিছুদিনের জন্য থমকে দাঁড়ানো ফ্লাইওভারের কাজ আবার শুরু হয়ে গেছে পূর্ণ উদ্যমে। কমনওয়েলথ গেমসের আগেই যে করেই হোক, দিল্লির হুলিয়া পাল্টে ফেলতে হবে। সেনসেক্স ১৪০০০ ক্রস করে গেছে, গতবছরের সমস্ত লস আবার মেকআপ করে ফেলতে হবে। পাবলিক তাই, আগের মতই, এখনও আইসিআইসিআই-ডিরেক্টের সাইট খুলে পয়সা গুনতে ব্যস্ত।

    এইভাবেই, আমজনতার চোখের সামনে দিয়ে, একেবারে নীরবে নিভৃতে ভোট আসে, ভোট চলে যায়। ব্যস্ততার যেটুকু, চোখে পড়ে কেবল ল্যুটিয়েনবাবুর জমিদারিতে, আকবর রোডে, রেসকোর্স রোডে, জনপথে। বাকি দিল্লি, চাঁদিফাটা গরম মাথায় নিয়ে রোজ অফিস যায়, আসে, প্রপার্টি কিনে, শেয়ার বেচে অবসর বিনোদন করে। গ্যাঁড়া তাদের আশেপাশেই ঘোরে, তাদের দ্যাখে, তাদের নিয়ে লেখে।

    মে ২৪, ২০০৯
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • কূটকচালি | ২৪ মে ২০০৯ | ৬৯৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ প্রতিক্রিয়া দিন