এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  অপার বাংলা

  • রোহিঙ্গা সংকট ও সমাধান বিষয়ক প্রস্তাবনা―দ্বিতীয় পর্ব

    স্বকৃত নোমান লেখকের গ্রাহক হোন
    অপার বাংলা | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | ১২৯৫ বার পঠিত
  • (প্রথম পর্বের পর )

    পূর্ববর্তী আলোচনায় আশা করি চিহ্নিত করা গেছে যে রোহিঙ্গা আসলে কারা। এ পর্বে রোহিঙ্গা সংকটের সুলুক সন্ধানের চেষ্টা থাকবে। ১৭৮৫ সালে তিরিশ হাজার সৈন্য নিয়ে বার্মার আলাংপায়া বংশের রাজা বোধপায়া আরাকান আক্রমণ করে ক্ষমতা দখল করেন। আরাকানবাসী তখন বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে বর্মীবাহিনীকে স্বাগত জানায়। কিন্তু কিছু দিন না যেতেই পরিস্থিতি পাল্টে যায়। বোধপায়ার নীতির কারণে বর্মীবাহিনী ও আরকানিদের মধ্যে শুরু হয় ঠান্ডা লড়াই। এ লড়াইয়ের কারণ নানাবিধ। শুরু হয় আরকানিদের ওপর বর্মীবাহিনীর নিপীড়ন। বোধপায়া কর্তৃক আরাকান দখলের যুদ্ধের সময় এবং যুদ্ধ পরবর্তীকালে বহু রাখাইন পাড়ি দেয় বাংলাদেশে। তাদের অনেকেই এখনো চট্টগ্রাম ও পটুয়াখালীতে অবস্থান করছে।

    . ১৮২৫ সালে বৃটিশদের দখলে চলে যায় আরাকান। বাংলাদেশে যেসব আরাকানি আশ্রয় নিয়েছিল, বৃটিশদের নীতির কারণে তাদের কিছু অংশ আবার আরাকানে ফিরে যায়। এই ফিরে যাওয়া মানুষদের মধ্যে রাখাইনরা যেমন ছিল, তেমনি ছিল রোহিঙ্গারাও। বৃটিশদের শাসনামলে রোহিঙ্গারা তুলনামূলক সুযোগ সুবিধা পেয়েছিল। এই কারণে বৃটিশদের প্রতি ছিল তাদের আনুগত্য। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর গোটা উপমহাদেশজুড়ে বৃটিশবিরোধী আন্দোলন শুরু হলে বার্মার থাকিন পার্টির নেতা-কর্মীরাও এই আন্দোলনে যোগ দেয়। বার্মার থাকিন পার্টিকে সমর্থন দেয় আরাকানের মগ জাতির নেতারাও। কিন্তু যোগ দিল না রোহিঙ্গারা। কারণ আগেই বলেছি, তারা বৃটিশদের কাছ থেকে নানা সুযোগ সুবিধা পেয়ে আসছিল। ফলে সৃষ্টি হলো বর্মী থাকিন পার্টির সঙ্গে রোহিঙ্গাদের দূরুত্ব। এই দুরুত্ব ক্রমশ বাড়তে থাকে।

    . এরই মধ্যে শুরু হলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। জাপানের আক্রমণের মুখে ১৯৪২ সালে বৃটিশরা আরাকান ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। বৃটিশদের সুযোগ-সুবিধাপুষ্ট রোহিঙ্গারা হয়ে পড়ল অসহায়। জাপান বাহিনীর সহায়তায় বার্মা ইন্ডিপেন্ডেট আর্মি (বিআইএ) রোহিঙ্গাদের ওপর ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালায়, যা ৪২-এর ম্যাসাকার হিসেবে খ্যাত। এ সময় প্রায় ১ লাখ রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয়। আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য লাখ লাখ রোহিঙ্গা গিরিপথ দিয়ে উত্তর আরাকানে পালানোর সময় অনেকে মারা যায়। নাফ নদীতে ভাসতে থাকে রোহিঙ্গাদের লাশ। এ সময় অনেকে পাকিস্তান, বাংলাদেশ, সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে পালিয়ে যায়। বৃটিশরা রংপুরের সুবীর নগরে রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের জন্য শিবির স্থাপন করে, যা এখনো রিফিউজি ঘোনা নামে পরিচিত।

    . এরপর শুরু হলো জাপানিদের বিরুদ্ধে বর্মীদের আন্দোলন। গঠিত হয় এন্টি-ফ্যাসিস্ট অর্গানাইজেশন (এএফও)। ওদিকে বিএনএর সর্বাধিনায়ক জেনারেল অং সান তৎকালীন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। বিএনএ যোগ দিল বৃটিশ বাহিনীর সঙ্গে। ১৯৪৫ সালে সমগ্র বার্মা বৃটিশদের দখলে চলে এলো। এই যুদ্ধে এএফও, বিএনএ ও বৃটিশ বাহিনীকে নানাভাবে সহায়তা করে রোহিঙ্গারাও। কারণ তারা তখনো বৃটিশদের সুযোগ-সুবিধার কথা ভুলে যায়নি। জাপানিদের চেয়ে তারা বৃটিশদেরকেই আপন মনে করেছিল।

    . ১৯৪৮ সালে বার্মা আবার বৃটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। রোহিঙ্গারাও এই স্বাধীনতা আন্দোলনে জেনারেল অং সানকে সমর্থন দিয়েছিল। কিন্তু বর্মীবাহিনীর মধ্যে থেকে যায় সেই পুরনো ক্ষোভ―রোহিঙ্গারা একদা বৃটিশদের সর্বাত্মকভাবে সমর্থন দিয়েছিল। স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় সাময়িকভাবে মগ-রোহিঙ্গা দূরত্ব কমে এলেও স্বাধীনতার পর উভয়পক্ষের মধ্যে আবার দূরত্ব সৃষ্টি হয়। দূরত্বের কারণ সেই পুরনো ক্ষোভ। ১৯৪৭ সালে নতুন শাসনতন্ত্রিক পরিষদ নির্বাচনের লক্ষ্যে প্রণীত ভোটার তালিকায় আরাকানের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত জনপদগুলোকে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে আবারও শুরু হয় সংঘাত। ১৯৪৮ সালে আবারও রোহিঙ্গারা হত্যাকা-ের শিকার হয়।

    . তবে মো. মাহফুজুর রহমান তার ‘রোহিঙ্গা সমস্যা’ গ্রন্থে হাবিব উল্লাহকৃত ‘রোহিঙ্গা জাতির ইতিহাস’ গ্রন্থের উদ্বৃতি দিয়ে উল্লেখ করেন, ‘মূলত বৃটিশ কর্তৃপক্ষই সাম্প্রদায়িক বিভেদের সূচনা করেছিল। রোহিঙ্গারা। রোহিঙ্গারা বৃটিশদের পক্ষে যুদ্ধ করে জাপানিদের তাড়িয়ে দিলেও তারা প্রচার করে, Burma for the budhist burmans Ges Burmese এবং muslims are foreign immigrants or kalas. আরাকানে রোহিঙ্গাদের নৃতাত্ত্বিক পরিচয়ের বিরুদ্ধে মগ সম্প্রদায় স্বার্থসিদ্ধির জন্য এই প্রচারণাকে তুঙ্গে তুলতে থাকলে বর্মী সরকার পরিকল্পিতভাবে উচ্ছেদ অভিযানে নামে। ফলে রোহিঙ্গারা আরাকানের বৈধ নাগরিক হয়েও বার্মার সংবিধানে নৃতাত্ত্বিক বা বুনিয়াদি জাতি হিসেবে তালিকাভুক্তির দাবি আদায়ে ব্যর্থ হয়।’ হাবিব উল্লাহর এই বক্তব্য বিচার-বিবেচনার অবকাশ আছে। বৃটিশ সরকারই যদি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মগ ও রোহিঙ্গাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে থাকে, তাহলে ১৯৪২ ও ১৯৪৮ সালে রোহিঙ্গারা কেন হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল? তার মানে এই বিভেদের জন্য সম্পূর্ণভাবে বৃটিশদের দায়ী করা চলে না। এই বিভেদের শিকড় আরো গভীরে নিহত। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় বৃটিশবিরোধী আন্দোলনে রোহিঙ্গারা যোগ না দেওয়াটাই বিভেদের মূল কারণ।

    . এর পরের ইতিহাস কেবলই বঞ্ছনা, লাঞ্ছনা ও রক্তপাতের ইতিহাস। ১৯৪২ সালের রোহিঙ্গা গণহত্যার ওপর একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করে বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের নিজ বসতবাড়িতে পুনর্বাসেরন ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানালে, বর্মী সরকার রোহিঙ্গাদের এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে। সরকারি চাকরি থেকে রোহিঙ্গাদের অপসারণ করে মগদের নিয়োগ শুরু করে। ফলে রোহিঙ্গারা ধীরে ধীরে আন্দোলনমুখী ও বিদ্রোহী হয়ে ওঠে। আকিয়াব নিবাসী মোহাম্মদ জাফর হুসাইন ওরফে জাফর কাওয়াল এই আন্দোলনের সূচনা করেন। তিনি কাওয়ালি গেয়ে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতেন। তিনি সূচনা করেন ‘মুজাহিদ পার্টি।’ এই পার্টি গঠনের মধ্য দিয়ে রোহিঙ্গারা শুরু করে আন্দোলন। আন্দোলনের মুখে ১৯৫৪ সালে প্রধানমন্ত্রী উ নু রেডিওর মাধ্যমে রোহিঙ্গাদেরকে স্বদেশী হিসেবে ঘোষণা করেন। ১৯৫৭ সালের নির্বাচনে রোহিঙ্গারা প্রথম ভোটাধিকার লাভ করে সাতটি আসনে বিজয়ী হয়।

    . ১৯৬০ সালে জেনারেল নে উইন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়িত্বে এসে আরাকানে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেন। তখন প্রায় ২০ হাজার রোহিঙ্গা কক্সবাজারে পালিয়ে আসে। পরে পাকিস্তান-বার্মার আলোচনার ভিত্তিতে উদ্বাস্তুরা আবার ফিরেও যায়। প্রধানমন্ত্রী উ নু-এর আহ্বানে সাড়া দিয়ে ১৯৬১ সালে রোহিঙ্গা মুজাহিদরা অস্ত্র সমর্পণ করে। কিন্তু পরবর্তীকালে জেনারেল নে উইন ক্ষমতা অধিষ্ঠিত হওয়ার পর রোহিঙ্গাদের ওপর আবারও নেমে আসে অত্যাচারের খড়গ। অব্যাহত নিপীড়নের মুখে ১৯৭৩-’৭৪ সালে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এরপর সংগঠতি হয় আপারেশন সেব, অপারেশন নাগামিন। সৃষ্টি হয় বর্মীবাহিনী ও তাদের সহযোগী মগদের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের আরো বেশি দূরত্ব। বর্মীবাহিনী ও তাদের সহযোগিরা হয়ে ওঠে আরো বেশি মারমুখ। পাল্লা দিয়ে রোহিঙ্গারাও মারমুখী হয়ে ওঠে। উভয়পক্ষের মারমুখীতা পরিস্থিতি দিন দিন অবনতির দিকে যেতে থাকে। স্বাভাবিক কারণেই সংখ্যালঘু রোহিঙ্গারা হারতে থাকে। দেশ ছেড়ে পালাতে থাকে। ২০১৭ সালে এসেও চলছে সেই সংঘাত, সেই পলায়ন।

    (চলবে)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • অপার বাংলা | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | ১২৯৫ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    বকবকস  - Falguni Ghosh
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • মোটাবাবা | 57.15.15.81 (*) | ০২ অক্টোবর ২০১৭ ০৭:৪৫81977
  • লেখাটা পড়ছিলাম কিন্তু সত্যি কথা বলতে হতাশ হলাম কারন এখানে দিনক্ষণ অনুসারে কিছু ঘটনাপ্রবাহের বর্ণনা আছে কিন্তু কোনোটাই বর্তমান সঙ্কটের কারন , যা গোটা বিশ্বকে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে , সেদিক ছুঁয়ে পর্যন্ত দেখেনি ।

    মূল যে আরাকান প্রদেশ , যা আমাদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু , বঙ্গপোসাগরের আশেপাশে যে যে উপকূল গুলি রয়েছে তার মধ্যে সম্ভবত একমাত্র হাইড্রোকার্বন সমৃদ্ধ অঞ্চল ,এবং তা এনার্জি লবির নজরে আসে ২০০২ নাগাদ। সেসঙ্গে ধরতে হবে ঐখানেই কুকফু বন্দরের কথা , ঐখান থেকে কুমিং শহর অবধি চীন মালাক্কা প্রণালীকে এড়িয়ে তাদের মূল ভূখণ্ডে মধ্যপ্রাচ্যের ক্রুড পাইপলাইন দিয়ে টেনে দিয়েছে অলরেডী । এই পাইপ লাইন টানার কাজ শেষ হয় ২০১৩ নাগাদ আর বলাইবাহুল্য মায়ানমার সৈন্যবাহিনী এই ভাঙড়ের আরাবুলবাহিনীর মতোই রোহিংগাদের উপর খুচখাচ অত্যাচার চালিয়ে যায় ।

    এইটার সুযোগে জর্জ সরসের আশীর্বাদ ধন্য একগাদা মানবধিকার সংগঠন ঐখানে ঢুকে পরে ২০১৪র প্রথম দিকে সঙ্গে চলে আসে ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া । যদিও ওনারা মোটামুটি ২০০৩ থেকেই ইরাকের মতো বার্মাতেও "গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার" কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন তও এবার বেশ লোকলস্কর নিয়ে বার্মায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু করে দিলেন।

    এর মধ্যে চীন দেখলো এতো ফালতু ক্যাচাল , এদিকে OBOR এর কাজ শুরু কিন্তু তারও আগে নিজেদের তেলের সাপ্লাই নিশ্চিত করতে হবে ।.।তাই তারা ঠিক করে আরাকানের মূল জানজাতিদের তাড়াতড়ি ভিটেমাটি ছাড়া না করলে নেপো (পড়তে হবে আমেরিকার অয়েল এন্ড গ্যাস লবি) দই মেরে দিতে পারে , তাই শুরু হলো ২০১৫ থেকে রোহিঙ্গ্যা খেদাও।।। আর সোরোস বাহিনী সঙ্গে পেটোয়া মানবতাবাদী সংগঠন দেখলো এই সুযোগ , যদি এলোমেলো করে দে মা লুটেপুটে খাই করে দিয়ে , নিজেদের ব্যবসা এইখানে জমানো যায় ।।
    মাঝখান থেকে চীন পড়েছে সাঁড়াশি ঝামেলায় , একদিকে রয়েছে কিমের কোরিয়া , না পারছে গিলতে না পারছে ছাড়তে আর এই ঘরের চৌকাঠে আমেরিকার তৈলাক্ত গণতন্ত্র যেকোনো সময়ে পিছলে দিতে পারে OBOR এর স্বপ্ন ।।।

    তবে কি চীন বা কি আমেরিকা একটা বিষয়ে সবাই একমত রোহিংগাদের দায় কেউ নেব না ।। আর পাশে বাংলাদেশ বা ভারত তারা বলছে, আমরা লোক নেবো কিনা বলতে পারছিনা , আগে তেল কত সস্তায় দেবে বলো , তারপরে ভেবে জানাচ্ছি ।।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন