এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • আমি কি নিজেকে ভালো শিক্ষক (না কি বলব জ্ঞানার্জন সহায়ক) বলে মনে করি? পর্ব ৪ -- ‘ম’ যা লিখেছেন (দ্বিতীয় মন্তব্যে) এবং খানিকটা উত্তর।

    Salil Biswas লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৯ জুলাই ২০১৫ | ১১৭২ বার পঠিত
  • ১) আপনাদের স্কুলটি যেহেতু ব্যক্তিগত উদ্যোগে তৈরী এবং সরকারী অনুদান প্রাপ্ত নয় তাই ধরে নিচ্ছি আপনাদের কারিকুলাম নিজেরাই তৈরী করেন,এবং সেখানে সরকারী রূপরেখা অনুসরণ করার কোনো দায় আপনাদের নেই।ক্লাশ নাইন থেকে যেহেতু সরকারি পাঠক্রম মেনে চলতে হয় তাই আপনারা কি শুরু থেকেই একটা সমান্তরাল পাঠক্রম তৈরী করেন নাকি আপনাদের পছন্দমত সিলেবাস তৈরীর স্বাধীনতা আছে? মানে আমি সিলেবাস সম্পর্কে জানতে আগ্রহী।

    আমাদের বিদ্যালয় ব্যক্তিগত উদ্যোগে তৈরি নয়। এর পত্তন করেন শ্রমজীবী হাসপাতালের মানুষজন। এই হাসপাতালের মত বিদ্যালয়টিও অনুদানেই চলে। কিন্তু সে অনুদান সরকারী বা কর্পোরেট সংস্থা বা অন্য প্রতিষ্ঠান থেকে আসে না। বিশ্বাস করা কঠিন হলেও সত্যি, এই অনুদান আসে আমার আপনার মত মানুষজনের কাছ থেকে। কত মুক্তহাতে দান করেন মানুষ তা ভাবাই যায় না। অতীতে ব্যক্তিগত উদ্যোগে কলকাতার প্রান্তিক মানুষের নানা বসতি অঞ্চলে আমরা কয়েকজন বিদ্যালয় তৈরি করেছিলাম। অন্তত একটি জায়গাতে সে বিদ্যালয় ১১/১২ বছর চলেওছিল। সেখানে শিক্ষা ছিল ইনফরমাল। পয়সা ছিল আমাদের যৌথ পকেটের। স্কুলের পড়া পড়াতাম না আমরা। সেখানে আমাদের কোনো স্ট্রাকচারড পাঠক্রম ছিল না। প্রাথমিক থেকে নিম্ন-মাধ্যমিকে নির্বিঘ্নে পৌঁছে যাবার জন্য কী কী পড়তে হয় – প্রধানত ভাষা আর অঙ্ক – সে বিষয়ে আমাদের যৌথ ধারণাকে কেন্দ্র করে ঢিলেঢালা একটা ছক ধরে পড়াতাম আমরা। (এখানেও তাই।) অভিভাবকদের কাছ থেকে একটা দাবী ছিল প্রতিদিনের ইস্কুলের পড়া “করিয়ে” দেবার। সেই গ্লোরিফাইড ‘টিউশনি’ আমরা করতাম না। ক্লাসে আমাদের মত করে পড়াতাম। ‘আমাদের মত’ মানে কী তা নিয়ে আলোচনা করা যাবে পরে, তবে এখানকার একটি ব্লগে (http://www.guruchandali.com/blog/2015/06/14/1434224023588.html#.VZGY_i8w_IU) আংশিক উত্তর পেয়ে যাবেন।
    স্ট্রাকচারড পাঠক্রম জিনিসটা নিয়ে আমাদের ভাবার দরকার আছে। আমার তো মনে হয় একটা যথেষ্ট প্রশস্ত ধাঁচা থালেই কাজ চলে। যাকে বলে ব্রড ফ্রেমওয়ার্ক। সব কিছুই বেশি স্ট্রাকচারড হলেই প্রস্তরীভূত হয়ে যায়। যেমন হয়েছে আমাদের (এবং প্রায় সকলের) স্কুলকলেজে। সমস্যা হল, একটা মোটের উপর স্ট্রাকচার লাগেও। মাঝামাঝি কিছু একটা আবিষ্কার হওয়া দরকার। আমার তো সব স্ট্রাকচারকেই সন্দেহজনক মনে হয়, কারণ এগুলো সব সময়েই উপর থেকে চাপিয়ে দেওয়া হয়ে থাকে। এবিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হলে ভালো হয়।

    ২) ক) ছাত্রছাত্রীরা কি যে কোনো বিষয়ে ভালোকরে শেখা এবং হাতেকলমে করে দেখার জন্যে আলাদা আলাদা সময় পায় নাকি একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিষয়টা শেষ করে দিতে হয়?
    খ) আপনি লিখেছেন, শিক্ষকদের অনেকেই এই শিক্ষাপদ্ধতি মেনে চলেন না।

    একেবারে শুরু থেকেই আমরা ঠিক করেছিলাম, যতক্ষণ না একটা ক্লাসের সকলে কোনো একটা বা বিষয় রপ্ত করছে, ততক্ষণ আমরা পড়িয়ে যাব। ক্লাস টেন অব্দি সেটাই আমরা মোটের উপর করেছি। কিন্তু ওই ‘স্ট্রাকচারড পাঠক্রম’ থাকলে এই সব ‘বিলাসিতা’ করা যায় না। কাজেই মাধ্যমিকের জন্য তৈরি করার জন্য পড়া আধাখ্যাঁচরাই রেখে এগোতে হচ্ছে। এইট আর নাইনে চেষ্টা করা হচ্ছে ‘বোঝা’ (হয়ত বা শেখা) অবধি পড়িয়ে যাওয়ার। কমবেশি সফল হওয়াও যাচ্ছে। বুঝতেই পারছেন, একটা সম্পূর্ণ নতুন পদ্ধতি, সবার কাছে বলা যেতে পারে ‘এলিয়েন’, এই ক’দিনে পুরো সফল হবে, এটা আশা করা, আমাদের মত আগমার্কা আশাবাদীদেরও সাধ্যের বাইরে। এমনকি, ছেলেমেয়েরাও অধৈর্য হয়ে উঠছে, এমনকি যারা বুঝছে না তারাও। শিক্ষাব্রতীরাও অনেক সময় ব্রত ভুলে যেতে বসছেন। এবিষয়ে একেবারেই একমত নন অনেকে, তাঁরা নিজের গতিতে পড়াচ্ছেন এই যুক্তিতে যে ‘ভালো’দের পিছিয়ে পড়তে হবে ‘খারাপ’দের শম্বুক গতির কারণে। এই ‘খারাপ-ভালো’র চিন্তা যে শেষ বিশ্লেষণে সেই চিরন্তন ‘মেধা’র খেলা, একথা বোঝানো যায়নি। এঁদের কথাই বলা হয়েছে, ‘অনেকেই এই শিক্ষাপদ্ধতি মেনে চলেন না’ বলে। ওনাদের ভাবনাটা ওনাদের বিশ্বাসের জায়গা থেকে ঠিক। ‘মেধা’র রাজত্বে আমরা তো আজন্ম বাস করে এসেছি। মেধা কোথা থেকে আসে, মেধার মানে কী, কারা মেধাবী হয় কারা হয় না, মেধা কি কিছুকে ঢেকে রাখে, মেধার ধারণা এল কোথা থেকে – এনিয়ে যে দুনিয়া জুড়ে তর্কবিতর্ক সে বিষয়ে খবর রাখেন কম মানুষ, কেয়ারও করেন না। মেধা জিনিসটা আর একটা ‘পবিত্র গরু’, যাকে বাংলায় বলে ‘সেক্রেড কাও’। যদি বলি “মেরিট ইজ এ স্মোকস্ক্রীন ফর প্রিভিলেজ” (Merit is a smokescreen for privilege – Everett Reimer), অনেকেই বলবেন, এসব অক্ষমের অসুয়া-প্রসুত বিলাপ, এই করেই বাঙালী গেল। আসলে এই বিতর্ক মেটার নয়, কারণ এটা দুটো ‘ইডিওলজি’র বিতর্ক, ‘বিশ্ববীক্ষা’র বিবাদ। আর ওই মাধ্যমিক বস্তুটি তো মেধা নিরূপণেরই ‘টেস্ট’। ভুলভাল হলেও। ভালো-খারাপের সমস্যা সামলাতে প্রস্তাব আসে দুটো ভাগ করার – এক ভাগে ভালো-রা, অন্য ভাগে খারাপ-রা। এসে গেল সেই শ্রেণীবিভাজন। সেই দুই মাণের শিক্ষার আয়োজন। এটা যদি মেনে নেওয়া হয়, তাহলে যৌথতার দফা রফা, শ্রমজীবী বিদ্যালয়ের মূল যুক্তিটা, প্রতিপাদ্য বিষয়টাই চটকে যাবে।
    আমি বলছি না যে একটু উন্নততর শিক্ষার্থীকে টেনে পিছনে রাখা হবে। আমি বলছি অনগ্রসরকে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য তাকে একবার পিছন দিকেও হাত বাড়াতে। সেটা করা যায়। শুধু একা দৌড়োবার প্রবণতাকে কাটাতে পারলেই হয়।
    আমি এও বলছি না যে প্রত্যেক শিশুর শেখার ক্ষমতা এক। আমি বলছি, কারো ক্ষমতা কম কেন সেটা ভাবতে হবে, ক্লাসে সেটা খেয়াল রাখতে হবে, প্রত্যেকের শেখার গতিও ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে সেটাও মনে রাখতে হবে। আর জানতে হবে কার কিসে স্বাভাবিক দক্ষতা আর কোনদিকে এগোবার ইচ্ছা। এই প্রবণতা-নির্ণয়ে দক্ষ যিনি হবেন, তিনিই প্রকৃত শিক্ষাব্রতী। তারপর শিক্ষাব্রতীর দায়িত্ব তাকে সেই পথে চলতে সাহায্য করা। আমি একজনকে জানি যে মাধ্যমিক পাশ করতে নাও পারতে পারে, কিন্তু গৃহস্থালী-পরিচালনা নিয়ে শিক্ষিত হওয়াতে ওর সমকক্ষ খুব কম ছেলেমেয়েই হবে।
    “দেয়ার আর নো ব্যাড স্টুডেন্টস, ওনলি ব্যাড টিচার।“ (There are no bad students, only bad teachers.) কথাটা কোনো শিক্ষাবিদ বলেননি, বলানো হয়েছিল হলিউডে ‘ক্যারাটে কিড’ ছবিতে মার্শাল আর্টস শিক্ষক মিঃ মিয়াগি-কে দিয়ে। খুব ঝগড়া চলে এই কথাটা নিয়ে।

    ৩) সমস্ত শিক্ষকদের জন্যে নির্দিষ্ট সময় পরে কোনো বিশেষ শিক্ষণ পদ্ধতি বা কোনো আলোচনাচক্র অথবা বাইরে থেকে কাউকে এনে আলাপ-আলোচনা বা ট্রেনিংএর ব্যবস্থা আছে কি? মানে যিনি শিক্ষক তার মূল্যায়ন শুধু ছাত্রছাত্রীরা নয়, অন্য শিক্ষক বা তিনি নিজে কিভাবে করছেন মানে যদি আদৌও করেন সেই পদ্ধতিটি কী?

    প্রথম যখন শ্রমজীবী বিদ্যালয় শুরু হয়, আমরা ধরে নিয়েছিলাম, যাঁরা পড়াতে আসছেন, তাঁরা সকলেই এক রকম ভাবেন। পরে বোঝা গেল আমরা ভুল ভেবেছিলাম। অনেকে শুধুই সদিচ্ছা নিয়ে এসেছিলেন। সেটাও খুব কম বড় কথা নয়। কিন্তু অচিরেই দেখা গেল, বিশেষ করে ভাষা শিক্ষার ক্ষেত্রে, সমস্যা হচ্ছে পদ্ধতি নিয়ে। আমরা কয়েকটি ব্যক্তিগত কথোপকথন, আলোচনা সভা, কর্মশালা ইত্যাদি করেছি, কিন্তু তাতে খুব লাভ হয়নি। এখন আমরা শিক্ষক-শিক্ষণের কথা ভাবছি, সে নিয়ে আমোচনাও চলছে।
    পদ্ধতিটা কী? বিস্তারিত লেখা হবে অল্পদিনেই। আপাতত বলি, পাউলো ফ্রেইরে-র সংকেত-ভেদ তত্ত্ব আর কথোপকথন-ভিত্তিক শিক্ষণ মাথায় রেখে নিজেদের মত পদ্ধতি তৈরি করার চেষ্টা করছি আমরা। পাঠক যদি পাউলো-র “পেডাগজি (পেডাগগি নয়) অব দ্য অপ্রেসড” আর বিশেষ করে “কালচারাল অ্যাকশন ফর ফ্রিডম” বই দুটি পড়ে নেন তো খুব ভালো হয়। প্রথমটির বাংলা অনুবাদ শীঘ্রই বেরোবে, আর, দ্বিতীয়টি বাংলায় পাওয়া যায় কলকাতায় ইন্ডিয়ান পাউলো ফ্রেইরে ইনস্টিটিউটে। ঠিকানা হলঃ ৪১/২ জে কে মিত্র রোড, কলকাতা ৩৭। আমাকে ফোন করলে যোগাযোগ করাতে পারি। আমার ফোন ৯৮৩১১১৯৮৭৭।

    ৪) আর প্রথম প্রজন্মের যারা লেখাপড়া করতে আসছে,তাদের বাড়ির লোকজনের ফিডব্যাক কেমন জানতে আগ্রহ হচ্ছে।

    এটা বলা খুব মুশকিল। ছেলেমেয়েরা পড়ুক, এটা সকলেই চান। আমরা চেষ্টা করি গ্রামের গরিবতম ঘরের শিশুদের নিতে। আমাদের বিদ্যালয় সম্পূর্ণ অবৈতনিক ও আবাসিক, সেই কারণে ক’জন আসছে, বা ক’জন আসছে পড়াশুনার জন্য সেটা জানি না। প্রায়ই ওঁরা আসেন, কিন্তু পড়াশুনা নিয়ে খুব যে কথা হয় তা নয়। তবে, একটা কথা সকলেই বলেন – গ্রামের স্কুলের চাইতে শ্রমজীবী বিদ্যালয় অনেকটাই ভালো। আর ছেলেমেয়েরা? ওদের ক’দিন না দেখলে আমাদের ঘুম ছুটে যায়।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৯ জুলাই ২০১৫ | ১১৭২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • শ্যামলেন্দু মজুমদার | 127.194.57.61 (*) | ০৯ জুলাই ২০১৫ ০২:৪৯69076
  • কবে যে অবসর নেব। যদি সুযোগ পাই এই শিক্ষায়তনের অংশ হলে নিজেকে ধন্য মনে করব। ।
  • | 183.17.193.253 (*) | ১২ জুলাই ২০১৫ ০২:৫৪69077
  • সলিলবাবু,অনেক ধন্যবাদ।বর্তমানে পড়াশোনা / কাজের সূত্রে আমি এই বিষয়টা নিয়ে খানিকটা নাড়াচাড়া করছি।
    যারা এগিয়ে আছে, তাদের পিছনে হাত বাড়ানোর পাশাপাশি একা দৌড়োনোর প্রবণতাটা কাটাবার কথা বলেছেন- প্রশ্ন হলো, কেউ কেউ তো সত্যিই অনেক জোরে দৌড়োতে পারে,তাকেও কি আলাদা করে যত্ন করা উচিত নয়? পিছিয়ে পড়াদের দিকে যেমন নজর দিতেই হবে,তেমনি যে এগিয়ে আছে তাকেও তো আরো ভালো করার রসদ দিতে হবে।
    ধরেই নিচ্ছি,আপনারাও ক্লাশে তেমন কাউকে কাউকে দেখতে পান।পড়ানোর,বোঝানোর আনন্দ,গোটা ক্লাশের মধ্যে একটা প্রশ্ন,যার উত্তর দিতে গিয়ে একটু ভাবতে হয়, বা প্রশ্নকর্তার চিন্তার প্যাটার্নটা বুঝতে পেরে ভালো লাগে- শিক্ষক মানে তো শুধু পড়িয়ে যাওয়া না, শিক্ষা কাউকে চিন্তার/ভাবনার রসদ দিচ্ছে কিনা,তার মনে প্রশ্ন জাগছে কিনা-সেইটাও একটা বড় বিষয়( বিশেষ করে ছোটদের মনে এবং আপনারা যেহেতু প্রথাগত শিক্ষাদান, পরীক্ষা এবং তার জন্যে পড়ানোর বাইরে বেরিয়েই কিছু ভাবছেন)এইটা নিয়ে আপনার কি ভাবেন,বা কি ভাবে বিষয়টাকে দেখেন - জানার ইচ্ছে রইলো।

    আপনার ফোন নাম্বার টা টুকে রাখলাম।কোলকাতায় গিয়ে আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করবো।
  • সুমিতা সরকার | 122.79.39.172 (*) | ১৪ জুলাই ২০১৫ ০৩:০৯69078
  • এতদিন ধরে লেখাটা পড়তে পড়তে আজ একটু লিখতে ইচ্ছে হোল। এই শ্রমজীবী বিদ্যালয়েরই একজন প্রাক্তন শিক্ষিকা হিসেবে। আসলে এখানে পড়াতে গিয়ে আমি শিখিয়েছি যতটুকু, শিখেছি তার চেয়ে অনেক অনেক বেশি। শিখেছি কেমন করে ছাত্রছাত্রীদের শুধু পড়ানো নয়, ভাবাতে হয়, আর সাথে সাথে নিজেও ভাবতে হয়। শিখেছি কেমন ভাবে বিষয়ের গভীরে নিয়ে গিয়ে ক্লাসের হালটা ছেলেমেয়েদের হাতে ছেড়ে দিতে হয়, তারপর শিক্ষক আর ছাত্র একসঙ্গে জানা-শোনার পথে এগোতে থাকে। প্রাতিষ্ঠানিক পড়ানো আর এই নতুনভাবে পড়ানো আসলে সত্যিই আদর্শগতভাবে পৃথক। যে শিক্ষক এই দুই জায়গাতেই পড়িয়েছেন একমাত্র তাঁর পক্ষেই এই পার্থক্যটা অনুভব করা সম্ভব। আমার সৌভাগ্য যে সে অভিজ্ঞতা আমার হয়েছে।
  • Salil Biswas | 190.215.78.61 (*) | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ১২:৫২69079
  • কিছুতেই নতুন কিছু লেখা যাচ্ছে না .. কিছু ব্যবস্থা করুন।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক প্রতিক্রিয়া দিন