এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • ইন্দ্রাণী মুখার্জী অথবা অ্যান ইন্ডিয়ান ট্র্যাজেডি

    Sakyajit Bhattacharya লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ৩১ আগস্ট ২০১৫ | ৭২৫৩ বার পঠিত
  • নিম্নবিত্ত পরিবারে জন্মালেও ক্লাইডের উচ্চাকাংখা ছিল দেখার মতন। চার্চের কাজে নিযুক্ত ধর্মভীরু বাবা মা কে সে অপছন্দ করত মন থেকে। সে চাইত ঝকঝকে গাড়ি, চোখজুড়নো ভিলা, অঢেল টাকা আর চারপাশে সুন্দরী নারীদের ভিড়। বিশের শতকের গোড়ার দিকের আমেরিকাতে, যুদ্ধোত্তর ফাটকা বাজারে শেয়ার খাটিয়ে হঠাৎ বড়লোকদের এবং পুঁজীর দর্পে রক্তচক্ষু ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্টদের চারণভূমি আমেরিকাতে অথবা মধ্য ও নিম্নবিত্তের লাগামছাড়া অ্যাসপিরেশনের স্বর্গরাজ্য আমেরিকাতে দাঁড়িয়ে ক্লাইড বুঝেছিল এই এনিথিং-ক্যান-হ্যাপেন-এর রাজ্যে তাকে লড়ে নিতে হবে। তার অর্ধ-সমাপ্ত শিক্ষা, তার অমার্জিত অসংস্কৃত গেট আপ এবং পেডিগ্রিহীন প্রোফাইলের বিবর্ণতা জাস্ট মিলিয়ে যাবে যদি তার হাতে থাকে অঢেল টাকা। এই সেই উলটপুরাণ ভোজবাজীর পৃথিবী যেখানে রাস্তার গ্যাংস্টার হয়ে যায় সম্মানিত ধনী এবং স্ট্রীট-ফাইটার মাস্তান হয়ে ওঠে বন্দিত দেশনায়ক। পুঁজীবাদের এই দাপাদাপি উত্থানের আঙ্গীনায় দাঁড়িয়ে ক্লাইড শিখে গেছিল জীবনের মন্ত্র টাকা টাকা আর টাকা।
    ক্লাইড শিকাগোতে পালিয়ে আসে। ভোগপ্রাচুর্য্যের শিকাগো। বিশ্বপুঁজীর উত্থানের পটভূমি শিকাগো। প্রথমে ক্যাজুয়াল লেবার হয়ে ঢুকে কারখানায় কাজ করতে করতে দ্রুত উন্নতি ঘটে তার। ফোরম্যান হয়ে সুপারভাইজার। সেই সাথে বেড়ে চলে সমাজের এলিট সেকশনে ঢোকবার উচ্চাকাংখা। আরো টাকা চাই, আর সেই সাথে চাই নিজের পংকিল অতীত মুছে দেবার কোনো একটা উপায়। তার চোখ পড়ে ধনী ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্টের কন্যা সন্ড্রার উপর। দুজনের প্রেম গাঢ় হয়ে ওঠে। সন্ড্রাকে ব্যবহার করে সে উঠে যেতে চায় বিশ্বপুঁজীর এলিট ক্লাসের শীর্ষে। কিন্তু ততদিনে তার জীবনে অভিশাপের করাল ছায়া হয়ে নেমে এসেছে তার গর্ভবতী প্রেমিকা রবার্টা্‌। বস্তির দরিদ্র মেয়ে রবার্টা কিছুতেই ক্লাইডকে ছেড়ে যেতে রাজী নয়। রাজী নয় বাচ্চাটাকে নষ্ট করে ফেলতেও।
    রবার্টার হাত থেকে নিস্তার পাবার জন্য মরীয়া ক্লাইড তাকে খুন করার ছক কষে। নিজেকে সে বোঝায় যে তার জীবনে উন্নতির পথে তাকে টেনে রেখেছে তার অতীত, আর রবার্টা হল সেই অতীতের রিইনকারনেশন। তার সামনে সম্পদের হাতছানি, সন্ড্রার হাত ধরে ইন্ডাস্ট্রীর মালিকানা এবং সেই সূত্রে এলিট হবার নিশিডাক। সেই কারণে রবার্টা জাস্ট একটা কোল্যাটেরাল ড্যামেজ। ক্লাইডের উত্থানের সরণীতে রবার্টা এক্সপেন্ডেবল হয়ে যায়।
    রবার্টাকে একদিন নৌকোভ্রমণে নিয়ে যায় ক্লাইড। উদ্দেশ্য, তাকে লেকের জলে ঠেলে ফেলে দেবে। কিন্তু কথা কাটাকাটির সময় উত্তেজিত রবার্টা নিজেই পড়ে যায় লেকে। ক্লাইড রবার্টাকে বাঁচাতে প্রথমে চেষ্টা করে, কিন্তু রবার্টা যখন ক্রমেই তলিয়ে যাচ্ছে ক্লাইডের মনে হয় নিয়তি তাকে প্লেটে করে এই সুযোগ এনে দিয়েছে তাকে অবহেলা করা উচিত নয়। ক্লাইড সাঁতরে ফিরে আসে পাড়ে।
    খবরের কাগজে গত কয়েকদিনের ইন্দ্রাণী মুখার্জীর লাভ-সেক্স-ধোঁকা-মার্ডারের রগরগে স্ক্যান্ডাল পড়তে পড়তে ক্লাইডের কথা মনে আসছিল বারবার। এই মুহূর্তে আমাদের কনজার্ভেটিভ ভারতীয় অডিয়েন্সের কাছে কাছে সবচেয়ে মুখরোচক খাদ্য ইন্দ্রাণী। তাঁর চোখ-ধাঁধানো রূপ, তাঁর নিত্য নতুন সংগী বদল, আর্থিক লেনদেন, কালারফুল জীবন সব-ই এই মুহূর্তে আমাদের নিত্য-নৈমিত্তিক খাবার। একজন মানুষ ব্যক্তিগত জীবনে কেমনভাবে থাকবেন সেই চয়েসটুকুর অধিকার-ও আর তাঁর নিজের নেই, প্রতিমুহূর্তে তাঁকে জাজ করে যাচ্ছে আমাদের রক্ষণশীল চোখ। সেই নিয়ে একপ্রস্থ লেখালেখি হয়ে গেছে ইতিমধ্যেই, আর নতুন করে বলার কিছু নেই। কিন্তু এই গোটা কাহিনী আমায় এক অন্য গল্প দেখাচ্ছে। একটা নতুন ভারতের গল্প।
    স্মল টাউন থেকে উঠে আসা এক সাধারণ পরিবারের মেয়ে এই বদলে যাওয়া নিও-লিবারাল সমাজে দাঁড়িয়ে বুঝেছিল যে তাকে লড়ে নিতে হবে। তার অ্যাসপিরেশন তাকে এনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছিল পুঁজীর সুবর্ণক্ষেত্র মুম্বাইতে। আর সেই পুঁজীর টানে সেই মেয়েটি সমস্তকিছু অ্যাট দ্য স্টেক রাখতে প্রস্তুত ছিল। ইন্দ্রাণির গল্প তাই এক ‘খারাপ মেয়েমানুষের’ গল্প থাকে না। সেই গল্পে একে একে উঠে আসে মধ্যবিত্তের অ্যাসপিরেশন, নিও-লিবারাল অর্থনীতিতে শাইনিং সোসাইটির স্বপ্নপূরণের আকাঙ্ক্ষা, আর তার জন্য সমস্ত মানবিক সম্পর্ককে এক ধরণের অ্যালিয়েনেশনে ঠেলে দেবার সাবপ্লটগুলো। ইন্দ্রাণীর গল্প আসলে ভারতে ফিনান্স ক্যাপিটালের বিকাশ ও বিকৃতির এক আধাখ্যাঁচড়া আখ্যান হয়ে থেকে যায়।
    ক্লাইডের গল্পটা তার পরেও বাকি থেকে গেছিল। দুদিনের মধ্যে রবার্টার দেহ উদ্ধার হয়েছিল এবং ক্লাইড গ্রেপ্তার হয়েছিল। ক্লাইডের নিজের অপরাধবোধ এবং অসংলগ্ন কথাবার্তাই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। একে একে সন্ড্রার গল্প্‌ এবং ক্লাইডের নিজের অতীত সামনে এসেছিল এবং লোকাল অথরিটি চেয়েছিল যেন-তেন প্রকারে ক্লাইডকে দোষী সাব্যস্ত করতে। পাব্লিক সেন্টিমেন্ট ক্লাইডের বিরুদ্ধে চলে গিয়েছিল সে রবার্টাকে খুন করেছিল বলে নয়। চলে গিয়েছিল, কারণ সে দরিদ্র নিম্নবিত্ত পরিবার থেকে উঠে এসে এলিট ক্লাসে ঢুকতে চেয়েছিল, এবং সেটাও ফ্রডের মাধ্যমে, অন্য একটি মেয়েকে মই হিসেবে ব্যবহার করে। ক্লাইড বহুবার বলার চেষ্টা করেছিল যে সে খুন করেনি, এটা অ্যাকসিডেন্ট। কিন্তু কেউ শোনেনি তার কথা। কনজারভেটিভ জুরীরা তাকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছিল। ঠিক যেভাবে আমাদের কনজারভেটিভ প্রেক্ষাপট ইন্দ্রাণী মুখার্জীকে প্রমাণ হবার আগেই খুনী বানিয়ে দিচ্ছে। ইন্দ্রাণী মুখার্জী ভিলেইন কারণ তিনি সমাজের এলিট ক্লাসে ঢোকার জন্য অনেককে ব্যবহার করেছেন। মধ্যবিত্তের মূল্যবোধকে পরোয়া করেননি। আর তাই তাঁকে ফাঁসীকাঠে ঝোলানোটা আমাদের অর্থোডক্স ভয়ারিজমের কাছে মিডিয়ার দায়। নাহলে ক্যাপিটালের শুদ্ধতা বজায় থাকে না। যে সমাজ-অর্থনীতি তাঁর উত্থান ঘটিয়েছে সেই সমাজ-অর্থনীতির চাপেই তাঁকে পাবলিক-ট্রায়ালে বসানো হচ্ছে, কারণ “ইট সেলস”। যে ফিনান্স ক্যাপিটালের উত্থানের সংগে সংগে ইন্দ্রাণীর উত্থানকে প্যারালাল করে ফেলা যায়্‌ সেই ফিনান্স ক্যাপিটাল এবং তার থেকে উদ্ভূত এই নতুন সমাজ চরিত্রে আসলে চরিত্রে দ্বান্দিক। তার এক পা চৌকাঠের বাইর। ভোগ-বৈভবের ডিজনীল্যান্ডে উড়ান দিতে প্রস্তুত। আর এক পা ঠাকুরঘরে কুলুংগি্র সামনে হাঁটু ভেংগে পড়ে আছে। এই কন্ট্রাডিকশন-ই এই বদলে যাওয়া সময়ের বৈশিষ্ঠ।
    ক্লাইড এক কাল্পনিক চরিত্র। থিওডোর ড্রেইজারের “অ্যান আমেরিকান ট্র্যাজেডী” উপন্যাসটি লেখা হয়েছিল ১৯২৫ সালে। ১৯০৬ সালে নিউ ইয়র্কে ঘটে যাওয়া এক অপরাধ ও তার বিচারকে খবরের কাগজ খুঁড়ে খুঁড়ে বার করেছিলেন ড্রেইজার, নিজের উপন্যাসকে তৈরী করেছিলেন সেই ঘটনার কাঠামোয়। সের্গেই আইজেন্সটাইন এই উপন্যাস নিয়ে সিনেমা বানাবার জন্য একটি চিত্রনাট্য লিখেছিলেন, যদিও হলিউডের তৎকালীন রক্ষণশীল গিল্ড এই সিনেমা বানাবার সাহস দেখায়নি। আইজেন্সটাইনের সেই স্ক্রীনপ্লে আরো বেশি নিষ্ঠুর ছিল। তিনি দেখিয়েছিলেন কিভাবে ক্যাপিটালিজম ডেকে আনে তার নিজের মরণবাণ। যত বেশি বেশি করে পুঁজী হাতছানি দেয় ওপরে ওঠার, ততই বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় মানুষ, আর সেটাই ডেকে আনে তার বিনাশ (মনে রাখতে হবে সেটা ১৯২৯/৩০ সাল এবং মার্ক্স-এর প্যারিস ম্যানুস্ক্রিপ্ট সবে সোভিয়েত ইউনিয়নে প্রকাশিত হলেও তখনো সমাজতাত্বিকদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। আইজেন্সটাইন তখন হলিউডে এবং তাঁর এই বই তখনো না পড়ার সম্ভাবনাই বেশি)। এই বিনাশ পুরো শেক্সপিয়ারীয়ান ট্র্যাজেডির মতই, চরিত্র-র অন্দরে নিহিত পাতালছায়া এই বিনাশ ঘটায়। কিন্তু ব্যাকগ্রাউন্ডে অমোঘ সুতোর টান টেনে চলে সমাজ-অর্থনীতি।
    আজ কাগজে দেখলাম ইন্দ্রাণী বলেছেন যে তিনি শীনাকে ঘৃণা করতেন কিন্তু খুন করেননি। আইজেন্সটাইনের চিত্রনাট্যে ছিল (মূল উপন্যাসে ছিল না) যে ক্লাইডের কাছে তার ধর্মপ্রাণ মা এসেছেন।। মা যাচ্ছেন প্রেসিডেন্টের কাছে অ্যাপীল করতে যাতে এই মৃত্যুদণ্ড রদ করা যায়। ছেলের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলছেন “সোনা আমার! আমি জানি তুই নির্দোষ। আমার জীবন দিয়ে বাঁচাব তোকে”। ক্লাইড তখন হাউ হাউ করে কাঁদতে কাঁদতে বলে “মা, আমি খুন করিনি। কিন্তু আমি চেয়েছিলাম খুন করতে”। মায়ের হাত স্তব্ধ হয়ে যায়। উচ্চতর কর্তৃপক্ষ যখন মা-কে জিজ্ঞ্যাসা করেন “বলুন, আপনার ছেলে কি নির্দোষ?”, সেই জীবন মরণের সুতোর দোলাচলে দাঁড়িয়ে মা বলতে পারেন না যে তাঁর ছেলে নির্দোষ। কারণ তিনি ধর্মপ্রাণ ক্যাথলিক। তাঁর কাছে মনোবাসনা আর কার্যসিদ্ধিতে তফাত কিছুই নেই। তাঁর ছেলে ভেবেছিল খুন করবে, সেটাই আসল। তার বাইরে আর কিচ্ছুটি হয়না। এই ২০১৫ তে এসেও আমরা ভারতীয় স্পেকটেটর সম্ভবত সেই ক্যাথলিক রোমান্টিসিজম থেকে বেরতে পারিনি।
    মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে মঁসিয়ে ভের্দ্যু জুরী এবং বিচারকদের বলেছিলেন তিনি সকলকে একদিন মীট করবেন। বলেছিলেন, “আই উইল সী ইউ অল!” আমাদের নিও-লিবারাল সমাজ এখন সেই বিচারকদের ভূমিকায়। সমস্যাটা হল যে কোর্টরুমে বিচারকের চেয়ার আর অপরাধীর কাঠগড়ার মধ্যে দূরত্ব খুব বেশি থাকে না।

    An American Tragedy: Theodoore Dreiser (1925)
    LiveRight Publishing House
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ৩১ আগস্ট ২০১৫ | ৭২৫৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • Sumana | 85.38.218.166 (*) | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০৪:১২67656
  • ইন্দ্রাণী যেহেতু খুন টা করেছে(প্রমানিত নয় যদিও,বাট হু কেয়ারস) সুতরাং তার রিলেটিভ যারা আছে, বন্ধু , পাড়ার লোকজন, এমনকি ছোটবেলার ইস্কুলের দিদিমণি অবধি কারুর কোন পারসনাল লাইফ বলে কিছু থাকতে পারে না। ইন্ডিয়ান মিডিয়ার এখন এটা প্রমান করাই মুল উদ্যেশ্য। প্রথমদিন আনন্দবাজারে সম্পর্কের একটা
    flow chart দিয়েছিল, দেখে মনে হয়েছিল সামনের বছর মাধ্যমিকে আসবে হয়ত।
  • Sumana | 85.38.218.166 (*) | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০৪:১৮67645
  • 'এন আমেরিকান ট্রাজেডি' আমার খুব প্রিয় উপন্যাস। শুনেছিলাম আইজেন্সটাইনে'র ছবিটাতে প্রযোজনা করার কথা ছিল চ্যাপলিনের।

    যাই হোক, কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন কাগজে ইন্দ্রাণীর ঘটনাটা পড়ে আমার অনেকদিন আগে পড়া একটা গল্পের কথা খুব মনে পড়ছে। কার লেখা মনে নেই কোন এক পূজাবার্ষিকীতে পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল , একজন গৃহবধূ রোজ তার ছেলেকে
    ইস্কুলে নিয়ে যায় ছুটির পর নিয়ে আসে, বাড়ির কাজ করে, শ্বশুর-শাশুরির দেখাশুনা করে। একাধারে আদর্শ স্ত্রী/মা/পুত্রবধূ। কিন্তু কেউ জানে না,ইস্কুলের মাঝের সময়টুকুতে সে এসকোর্ট সার্ভিসে কাজ করে,অনেক হাই প্রোফাইল ক্লায়েন্ট তার।
    কোনও এক ইনভেস্টিগেশনের সূত্রে এই র‍্যাকেটটা ধরা পড়ে তখন জানা যায় এই মধ্যবিত্ত রক্ষণশীল পরিবারের গৃহবধূ এর সাথে যুক্ত । শুরু হয়ে যায় ঘৃণার বন্যা,আত্মীয়সজন ,পাড়া প্রতিবেশী সকলে তাদের আলাদা করে দেয়। এসব সহ্য করতে না
    না পেরে তার স্বামী সুইসাইড করে। কিন্তু যাকে ঘিরে এত কিছু তার মধ্যে কোন অপরাধবোধ,লজ্জা দেখা যায় না। তার এহেন আচরণের কারণ জিগ্যেস করলে বলে "আমি যখন কোনও শপিং মলে যাই আর অনেক পছন্দের জিনিস কিনতে পারি না শুধুমাত্র সেই আর্থিক সামর্থ্য আমার নেই বলে, তখন লজ্জা হয় আমার ,নিজের প্রতি ঘৃণা হয় খুব ।"
  • Sakyajit Bhattacharya | 116.51.19.71 (*) | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০৬:৫৮67646
  • হ্যাঁ ফুটপাত থেকে উঠে আসা তো নয়-ই। সে কেউ-ই নয়। স্বচ্ছল মধ্যবিত্ত বাড়ির মেয়ে। তার অ্যাসপিরেশনটা অনেক বেশি ছিল। এটুকুই
  • চৈতালি | 152.4.206.228 (*) | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০৭:১৫67647
  • শুধু গল্পে কেন, রিয়েল লাইফেও অনেক গৃহবধূ ইস্কুলের মাঝের সময়টুকুতে এসকোর্ট সার্ভিসে কাজ করেন। এটা তাঁদের ব্যক্তিগত ব্যাপার মনে করি। প্রত্যেকের তাঁর নিজের জীবন নিজের মতো করে বাঁচার অধিকার আছে। কারুর ব্যক্তিগত জীবনে আত্মীয় পাড়াপ্রতিবেশীর নাক গলানোর অধিকার নেই।

    ইন্দ্রাণীর অ্যাস্পিরেশন বেশী ছিল/আছে, তাতেও আপত্তির কিছু দেখিনা। ক্যাপিটালিজমের ভালো দিকগুলোর একটা হল প্রতিযোগিতা। তাছাড়া বলা হয় গ্রিড ইস গুড। বেশী টাকাপয়সা রোজগার করে বেশী ভালোভাবে বাঁচতে অনেকেই চায়, তাতে কি হয়েছে। তবে ইন্দ্রাণী যদি কাউকে খুন করে থাকেন বা খুনে সাহায্য করে থাকেন বা খুন করার পরিকল্পনা করে থাকেন তো তার বিচার হবে আর ওনার যদি কোন শাস্তি প্রাপ্য হয় তো তা নিশ্চয়ই তিনি পাবেন। ওনাকে নিয়ে এতো হৈচৈয়ের তো কোন কারন দেখিনা।
  • Atoz | 161.141.84.176 (*) | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০৯:৩৬67657
  • সম্পর্কের ফ্লো চার্ট????
    ঃ-)
  • ... | 74.233.173.193 (*) | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ১১:১০67648
  • প্রত্যেকের নিজের লাইফ নিয়ে যা কিছু করার আছে। কিন্তু সেইসঙ্গে বিবাহিত জীবনে স্বামী/ স্ত্রীকে জানানো উচিত, তাই না? স্বামী যদি এক কাজ করে আর পরে বউ জানতে পারে, তার প্রতিক্রিয়া কি হবে?

    কোথাও কি কোনো লিমিট থাকবে না?
  • চৈতালি | 152.4.206.228 (*) | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ১২:০৬67649
  • বিবাহিত জীবনে কে কাকে কতোটা জানাবেন সেটাও তো তাদের নিজের নিজের সিদ্ধান্ত। বাইরের কেউ নাক না গলালেই হয়।
  • Mmu | 87.154.202.105 (*) | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০৯:৪১67660
  • সংবাদ পত্রের এই ধরনের কমার্সিয়াল ফাজলামো আমরা সব জায়গাতেই দেখতে পাই। কমার্সিয়াল কেন বললাম ? মানে জনসাধারন / পাঠক কোন্ লেখাটা খাবে বা আনন্দ পাবে সেটাই ওরা লেখে। বিচারের আগেই ওরা রায় দিয়ে দেয়। এতে বিচার ব্যবস্থাও ইনসিস্ট হয় কিনা কে জানে ? ( যদিও ধনঞ্জয়ের লেখাটার মধ্যে আমি এরকমই একটা কিছু পেয়েছিলাম ) যাই হোক এগুলো বন্ধ হওয়া দরকার। আমার কথা হল - সংবাদ পত্র মূল ঘটনাটা লিখুক কিন্তু কেন,কোথায়,কখন, কবে,কিভাবে এগুলো ওদের কাছ থেকে শুনে কোন লাভ আছে কি। আর বিচার ব্যাবস্থা একটু হলেও ইনসিস্ট হতে তো পারেই । তদন্ত কারী পুলিশ অফিসার, সরকারি উকিল , পেশকার , বিচারপতি সবাই মানুষ এবং সবাই খবরের কাগজ পড়েন। তাই খবরের কাগজের লেখা পড়ে ক্রাইম সম্বন্ধে একটা ভ্রান্ত ধারনা জন্মাতেই পারে।
    সংবাদ পত্রের আরও কিছু সংযোজন- বিশেষজ্ঞ মহল , রাজনৈতিক মহল, নিভর যোগ্য সূত্র,ক্রীড়া মহল এই জাতীয় কথা লেখে কারন আপনি প্রমান করতে পারবেন না এঁরা কারা।
    তাই সবশেষে আবারও এই দাবিই জানাই- এগুলো বন্ধ হওয়া দরকার।
  • Atoz | 161.141.84.176 (*) | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০৯:৫৯67661
  • ভোক্তা না থাকলে বিক্রেতা এইগুলো বিক্রি করতে পারবে না তো! ভোক্তা আছে বলেই পারছে। ভোক্তা কারা? জনসাধারণ মানে এই আমি-আপনি ই তো!!!!
    বন্ধ করতে গেলে ভোক্তাদেরই তো আগে "না" বলতে হবে। তাঁরা তা বলুন, আপসে সব ইয়েবাজি বন্ধ হয়ে যাবে।
    কিন্তু বিড়ালের ঘন্টা টা?
    ঃ-)
  • শ্যামল | 56.166.179.41 (*) | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০১:৪৪67662
  • ১১। খবরের কাগজ সব বন্ধ করে দেওয়া হোক। দরকার হলে গায়ের জোরে। দুই একটা কাগজের অফিস ভাংচুর করা হলেই ভয়ের চোটে সব বন্ধ হয়ে যাবে।

    ১২। খবরের কাগজ কেনা বন্ধ করে দেওয়া হোক। সব খবরের কাগজের স্টলে, ম্যাগাজিনের দোকানে, স্টেশনে, রাস্তার মোড়ে মোড়ে যেখানে খবরের কাগজ বিক্রি করা হয় সেখানে পিকেটিং করা হোক। কেউ খবরের কাগজ কিনতে এলে তাকে গনধোলাই দেওয়া হোক।
  • Atoz | 161.141.84.176 (*) | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০৪:০৪67663
  • টিভি?
    রেডিও?
    ফোন?

    ঃ-)
  • শ্যামল | 56.166.179.42 (*) | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০৪:৪০67664
  • আপ্নেরা খালি খুঁত ধরেন। এদিকে আমি যে ক্রোধ উপস্থাপিত করলাম সেটা দেখলেন না। পবিত্র বাম্পোন্থী ক্রোধের কোন দাম নেই আপনাদের কাছে ঃ-(
  • সে | 94.75.173.148 (*) | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০২:২০67665
  • ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়ের এই বইটার নাম কী?
  • h | 213.132.214.156 (*) | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০৯:৩৬67666
  • ঃ-))) এইটা সলিড প্যাঁক দিয়েছে ঃ-))
  • Du | 107.79.230.34 (*) | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০২:১৯67668
  • কি আর হবে? সম্পাদকের নামটা দেখে নিন।
  • Mmu | 102.90.26.58 (*) | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০৮:২৭67669
  • সম্পাদকের নাম টা দেখলাম। সুমন চট্টোপাধ্যায়। এটা কোন সুমন ? সেই সুমন কি?
  • রাহুল | 69.163.216.167 (*) | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০৮:৫৬67667
  • দ্বৈপায়ন হালদারের লেখায় দেখলাম উনি বলছেন ইন্দ্রানীর বুকের দুটি বোতাম খোলা থাকত। আমরা প্রমান করেই ছাড়বো যে ইন্দ্রানী কোনরকম যোগ্যতা ছাড়াই শুধু শরীর ব্যবহার করে উঠে এসেছেন। এতদিনে বোধয় প্রমান হয়েও গেছে। যাক গে...বলছি "এই সময়" এর হয়েছে টা কি ? বেশ ভালো লাগত পড়তে। কদিন ধরে বুঝতে পারছি না কি চলছে। কাল চোখে পড়ল প্রথম পাতার খবর শুরু হচ্ছে - "হাতে গরম খবর ইন্দ্রানী বজবজে রাজবাড়িতে রাত কাটিয়েছেন "। শিয়ালদাহ স্টেশনের পাশে কি পানু বই বিক্রি বন্ধ হয়ে গেছে ?
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন