এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • বুদ্ধদেবের ঘুমঘর *

    উদয়ন ঘোষচৌধুরি লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ | ৯০৪ বার পঠিত


  • শেষমেশ দশজন। উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেসে নিউ জলপাইগুড়ি হয়ে সিরিখোলায় পৌঁছতে বিকেল। সঙ্গে আনা মুড়ি-চানাচুর চিবিয়ে হাঁটতে বেরোই আশেপাশে। জায়গাটা এক্কেরে পকেট। ঘাড় উঁচু করলেই পাহাড়ি দেওয়াল, ঘন বন-মাখানো শরীর। খোলা, মানে, ছোট নদীটা মাঝ-বরাবর চলেছে হাসতে হাসতে। নদীর ওপর গুঁড়ি, কাঠ, দড়ি বেঁধে বানানো ব্রিজ; কেউ যাতায়াত করলে দোলে। বিশাল বিশাল পাথুরে চাঁই নদীর দু দিকে। যেটুকু অংশ মানুষ খালি করতে পেরেছে, হোটেল বানিয়ে ফেলেছে। কৃষ্ণপক্ষের অন্ধকার আকাশ, চাঁদ-চিহ্নহীন। নদী আর পাথরদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে কটেজে ফিরি। ডিনারে রুটি-মাংস বলা ছিল। খেতে বসে দেখি, সে এক পোস্টমডার্ন আর্ট। ঝোলের রং এত তীব্র যে, নিজেকে জাঁহাপনা মনে হয়। মুখে দিয়ে বোঝা যায়, নো ঝাল-নুন, মাংসও দড়কোচা। জানতে পারি, নিহত মুরগিকে প্রথমে পালকসমেত ঝলসে নেয়। তারপর ছাল-চামড়া ছাড়ানো ও ইত্যাদি প্রভৃতি। উৎসাহী খানা-গোয়েন্দারা পদ্ধতিটা খুঁজতে পারেন।

    পরদিন সকাল সাতটায় বাপি (ক্যাপ্টেন), দেবুদা, চন্দ্রানী, আমি – চারজন রেডি। ম্যাগি, ডিম, চা গিলে উৎফুল্ল। কাঁধে হোঁৎকা স্যাক। দু-তিন দিন আগেই তুষারপাত হয়েছে। জানতাম, যত ওপরে উঠব, ঠাণ্ডা বাড়বে। স্যাকে যাবতীয় বাঙালিয়ানার শীতবস্ত্র – বাঙালি বোঝে ভারি মানেই জব্বর। বাকিরা এমন ভাবে বিদায় জানাল, যেন যুদ্ধে চলেছি, ফিরে আসা ডাউটফুল। এই টানা খাড়াই-রাস্তায় নিজেরাও নিজেদের নিয়ে যথেষ্ট ঝোঝুল্যমান। তবু বীরদর্পে হাসি, খানিকটা প্লেনে ওঠার আগে নেতাজির মতো। সকলের অলক্ষ্যে একটা সাদাটুপি-লালগর্দি পিড়িক উড়ে গেল। সামনে বাঁ পাশে নদী রেখে ওপরমুখী রাস্তা। বাপি বলেছে, রাস্তায় আঁকা তিরচিহ্ন ধরে এগোতে আর শর্টকাট না-নিতে। নিজে আসছে সকলের পেছনে। এটা সব জায়গায় ও করে, পেছু-পেছু আসে, মাঝপথে এগিয়ে প্রথমে পৌঁছয়। এ কোনও কম্পিটিশন নয়, জাস্ট ব্যক্তিগত দক্ষতা।

    আপার-সিরিখোলায় হাঁটছি। খুচরো ঘরবাড়ি। চারিদিকে সবুজ। কানের গোড়ায় দেবুদার হরেক রহস্যকাহিনি – কোন পাথরটা কবে কী ভাবে জন্মাল; নদীরা কী করে উত্তর ছেড়ে দক্ষিণে হামাগুড়ি দিল; বঁটি ও কুকরির মেরিটস-ডিমেরিটস – এবমবিধ রকমারি। এক জায়গায় খাড়াই সিঁড়ি, ওপরে ছোট্ট বাড়ি। আমাদের দেখে বাড়ির ভদ্রলোক, ‘কাঁহা যা রহে হ্যায়?’ ‘জি, সান্দাকফু।’ ‘অ্যাঁ! ইয়ে তো মোলে কা রাস্তা হ্যায়!’ বুঝলাম, গুলিয়েছে। দু কিমি মতো উলটো দিকে উঠেছি। অথচ তিরচিহ্ন ধরেই এগিয়েছি! দাঁড়িয়ে ভাবছি, এমন সময় বাপি পৌঁছল। ভদ্রলোক বোঝালেন, গাছপালার ফাঁকে কোথাও একটা তির বাঁ দিকে ঢুকেছে, যেটা গুরদুম যায়। আর যে রাস্তায় তিরসমগ্র, সেটা ফালুট। জানলাম, ধাপ-কাটা ক্ষেত ধরে ধরে চললে পুরোটা কেঁচে গণ্ডূষ করতে হবে না। খানিক এগিয়ে দেখি, একটা একতলা-সাইজের পাথরে বৌদ্ধমন্ত্র আঁকা। পাশে ছোট্ট মন্দির আর একটা বাড়ি। রাস্তাটা বাড়ির পাশ বরাবর। আমরা যাচ্ছি, অচানক এক রাইকিশোরী বেরিয়ে এল। জানাল, রাস্তাটা তো ওই বাড়িতে ঢোকার। মানে, আরও-এক বার গুলিয়েছি। এ বার কিশোরী পথ দ্যাখাল। ঘুরে ঘুরে এক সময় এসে পড়লাম আমাদের কাঙ্খিত তিরভূমিতে। একটা বাঙালি গ্রুপ নামছে, এক জন একাত্তর বছরের। যদিও স্যাক বইছে না, তবু তরতাজা হাঁটছে। আরও এগিয়ে সামনে ছোট্ট ব্রিজ পেরিয়ে পাকদণ্ডি উঠে একটা বিশাল টেবিল-ল্যান্ড ছাড়িয়ে আচমকা ‘হিমালয়ান শেরপা হোটেল’। বেশ বড়। ঝকঝকে দুই যুবতী। বাপি দুদ্দাড়িয়ে স্যাক নামিয়ে বলল, ‘এখানেই লাঞ্চ’।

    মিক্সড চাউ-এর প্লেটটা পেয়ে বুঝলাম, রান্নায় কেন এত সময় নিয়েছে। ধৈর্যের মিঠে ফল। সাবড়ে খেলাম চার জনে। রাস্তার জন্যে ফ্লাস্কে চা নিলাম। সূর্য এতক্ষণে মাথায়, তবে রোদ মোলায়েম। গুরদুম খুব ছোট্ট গ্রাম। হাতে গোনা বাড়ি। কৌশিকীর গানের মতো স্নিগ্ধ সাবলীল। হোটেল ছাড়িয়ে খানিক উঠে মাইলের পর মাইল খাঁ খাঁ। বছর পনেরো-কুড়ি আগে এখানে দাবানল হয়েছিল, ভয়াবহ। কয়েকটা গাছের দগ্ধাবশেষ দু হাত তুলে হাহাকার। পাথরগুলোও পুড়ে নিঝুম কালো। এখানটা দেখলেই বাপির মনে হয়, সভ্যতার প্রতিবাদে অরণ্যের গণ-আত্মহত্যা। এক দিকে সরকারি বোর্ড ঝোলানো, বনবিভাগ নতুন বৃক্ষরোপণ করছে। আশেপাশে তাকিয়ে যদিও তা বোধগম্য হল না। নীলিমা-কিনারে এক প্রকাণ্ড পাথরের ওপর একটা ছোট পাথর। যেন বুদ্ধমূর্তি। কিম-কি-দুকের ‘স্প্রিং, সামার,...’-এর শেষ দৃশ্য ভাসে চোখে।

    বাপি এর পর দেবুদাকে নিয়ে এগোতে থাকল। পেছনে চন্দ্রানীর সঙ্গে আমি। অভিজ্ঞতা থেকে বাপি জানে, দু জন টেনশনওলাকে একসঙ্গে রাখা ঠিক নয়। আমি চলেছি দুলকি চালে। যত এগোচ্ছি, জঙ্গল ঘনতর। ঘোলাটে রোদ। আসন্ন-বসন্তে রডোডেনড্রনের ধাঁধানো ঝিলিক। ন্যাড়ামুণ্ডু কাঠচাঁপার খিলখিল। লিকলিকে পাহাড়ি বাঁশ আর ওক। চারিদিকে যথেচ্ছ ওকফল ছড়িয়ে। দেখতে মানুষের শুকনো অ্যা-র মতো। রাস্তা খুব পাথুরে নয়। ধাপে ধাপে কাঠের সাপোর্ট। কয়েক জায়গায় কাঠ বিছিয়ে রাখা। হাঁটতে বেশ মজা। জঙ্গলের ফাঁক-ফোকরে ক-দিন আগের তুষার। কিছু গলে কাদা। আছাড় খেতে খেতে সামলালাম। দুটো ম্যাগপাই উড়ে গেল। এক জায়গায় প্রচুর স্পটেড লাফিংথ্রাশের হইহই। এদের চরিত্র, চাউনি, ব্যবহার ছাতারের মতো; দৃষ্টিতে ভস্ম-রোষ, অথচ ভীষণ ভিতু। গোটা পথে কাউকে উঠতে দেখিনি; তবে তিন-চার জন স্থানীয়কে নামতে দেখেছি। দু জন সাংঘাতিক মাতাল ছিল, সঙ্গের মহিলাটি লজ্জা পাচ্ছিল। এক জোড়া ফরেনার নামছিল, সঙ্গে গাইড। স্লিম বিদেশিনী ‘ওয়াও-গ্রেট-ওয়ান্ডারফুল’ সহযোগে হাউমাউ ফোয়ারা। পিছল-হড়কায় সে ও তার শখের জগার্স কতটা নাস্তানাবুদ মুহ্যমান – বারবার আমাকে সেটা বোঝানোর চেষ্টা করল। সঙ্গী পুরুষটি ‘সিআও’ বলায় বুঝলাম এ বার কেটে পড়াই সমীচীন।

    বিকেল গড়িয়েছে। খিদে পাচ্ছে। ফ্লাস্কের চা বহুক্ষণ শেষ। সঙ্গের চকলেট বিস্কুট চিবোচ্ছি মাঝে মাঝে। যত উঠছি, বরফ কাদা বাড়ছে। ঠাণ্ডা বাড়ছে। আমার জুতোটা খুব জুতসই নয়, তাই সামলে পা ফেলছি। ক্রিশক্রশ কায়দায় Z-কাটিং উঠছি। ক্লান্ত হচ্ছি, কিন্তু এ খেলায় মচকালে চলে না। চন্দ্রানী বারবার বলছে, ‘আর কদ্দুর?’ আমূল আত্মবিশ্বাসে দ্যাখাচ্ছি, ‘এই তো শেষ চড়াই, ওই গাছগুলোকে পেরোলেই…।’ অথচ প্রতি বার আমার ভূগোল-বোধের অপদার্থতা প্রমাণিত হচ্ছে। একটার পর একটা পাহাড়ি ঢেউ। যত দূর চোখ যায়, জঙ্গল। কুকুরের দীর্ঘ ভৌভৌউউউ। মানে, কাছাকাছি মানুষও নির্ঘাত। কিন্তু, কোথায়? সে ডাক তো নিঃঝিম শৈলভূমে আদিগন্ত ইকো। সন্ধ্যে সাড়ে ছ’টা। অন্ধকার। বুঝলাম, আরও রাত্রি হবেই। স্যাক খুলে সোয়েটার, জ্যাকেট চড়ালাম। দেবুদা, বাপিকে ফোন করলাম; নট রিচেবল। সামনে হাঁটুর কাছাকাছি বরফ। কোন দিকে রাস্তা, কোন দিকে খাদ – বোঝার উপায় নেই। টর্চ জ্বালাতে গিয়ে টের পেলাম আহাম্মকি, আসার আগে ব্যাটারি চেক করিনি। টর্চ ধৃতরাষ্ট্র। চন্দ্রানী নার্ভাস হয়ে পড়ল, ‘আর পারছি না।’

    (ক্রমশ)

    * 'আগামীকাল' পত্রিকায় প্রকাশিত
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ | ৯০৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | 24.97.159.40 (*) | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০৭:৩০65831
  • তারপর?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে মতামত দিন