এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • বিশ্বকাপের গল্পসল্প

    রৌহিন লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৭ জুন ২০১৮ | ১৪৮৮ বার পঠিত
  • দোরগোড়ায় বিশ্বকাপ। অনেকের মতই আমিও বেশ উত্তেজিত। Swati Moitraর পোস্ট দেখে কিছু পুরনো কথা মনে পড়ে গেল - ওই পোস্টে লিখেও আবার নিজের দেওয়ালেও লেখার ইচ্ছা হল।

    ১৯৮২ র বিশ্বকাপের সময় আমার বয়স নয় – তখন ফুটবল খেলতাম শুধু, কিন্তু বিশ্বকাপ কাহাকে বলে, কে ব্রাজিল, কে ইতালি, কে জার্মান, এসব কিছুই জানতাম না। সেই না জানার ফাঁকেই কখন জিকো সক্রেটিস ম্যাথাউজ রুমেনিগেদের আঙুল চুষিয়ে পাওলো রোসির ইতালি বিশ্বকাপ নিয়ে চলে গেছিল সে গপ্প আমার জানা নেই ভাল। কাগজে পড়তাম এসব খবর – কেমন ভিনগ্রহের বার্তার মত। বিশ্বকাপ বোধ হয় তখন রেডিওতেও রিলে হত না – টিভি তো আমার পরিচিত সার্কেলে কেউ চোখেই দেখেনি। ইস্টবেঙ্গল বড় ম্যাচ জিতলে (তখনো “ডার্বি” কি, খায় না মাথায় দেয় কেউই তা জানেনা) আমার ঠাকুর্দা জোড়া ইলিশ কিনে নিয়ে চলে আসতেন ভর সন্ধেবেলা। জামশিদ নাসিরি আর মজিদ বাসকারই বিশ্ব ফুটবলের প্রতিনিধি তখন আমাদের কাছে।

    ১৯৮৬ – মাত্র চার বছর পরে কিন্তু ছবিটা অনেক অন্যরকম হয়ে গেছিল। আমরা তখন মালবাজারে থাকি। টেলিভিশন ব্যপারটা দু-একবার আমিও দেখে ফেলেছি বড়লোক আত্মীয়ের ড্রয়িং রুমে, হোটেলের লবিতে। এবং বিশ্ব ফুটবলের সাথেও একটু একটু করে পরিচিতি হতে শুরু করেছে। কলকাতায় তখন কৃশানু-বিকাশের পাশে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন চিমা ওকোরি, আর ওদিকে কাগজে পড়ছি কে এক মারাদোনা নাকি একা একাই নাপোলি বলে একটা ক্লাবকে ইতালিয়ান লীগ জিতিয়ে দিয়েছেন (এটায় ক্রনোলজিকাল এরর থাকতে পারে – নাপোলির সিরি আ জেতাটা বিশ্বকাপের আগে না পরে একজ্যাকটলি মনে নেই এখন আর), কার্ল হেইঞ্জ রুমেনিগের এটাই শেষ বিশ্বকাপ, জিকো অবসর নিয়েছেন, মিশেল প্লাতিনি তুঙ্গে উঠেছেন। হেন পরিস্থিতিতে বিশ্বকাপ ফুটবল নিয়ে কাগজের পাতা থেকে যখন আমাদের গায়েও লেগে গেছে জ্বরের আঁচ, এক বিকালে বাবা হঠাৎ রিক্সায় করে একটা সাদা-কালো টিভি নিয়ে চলে এলেন। কী কান্ড!!

    পুরো পিএনটি কোয়ার্টার্স সহ আশেপাশের দু-তিনটে পাড়ায় ওই একমাত্র টিভি (দয়া করে মনে রাখবেন এটা মালবাজার, কলকাতা তো নয়ই, এমন কি শিলিগুড়িও না)। সে এক হই হই রই রই মার মার কাট কাট ব্যপার। অস্কার এর পোর্টেবল টিভি (এই টিভিটা এরপরে আমাদের ১৯৯৪ অবধি সঙ্গ দেবে), সঙ্গে অ্যান্টেনা, বুস্টার, ভোল্টেজ অ্যামপ্লিফায়ার। প্রায় ১৮-২০ ফিট লম্বা একটা বাঁশের মাথায় অ্যান্টেনা বেঁধে ছাদের ট্যাঙ্কির ওপর উঠে সেই অ্যান্টেনা লাগানো হল। শুধু লাগালেই তো হবে না – তারপর তাকে অ্যাডজাস্ট করাটাও একটা কাজ বটে। ট্যাঙ্কের ওপর থেকে প্রণবকাকু বাঁশ ধরে মোচড় মারছেন আর বলছেন – “বেটার”? আর বাবা নীচে থেকে বলছে “আরেকটু স্লাইট” – বুস্টার বাড়ানো কমানো হচ্ছে – তারপরে “এসেছে – এসেছে” – করে আর্কিমিডিসীয় চিৎকার। যদিও সে আসা নেহাৎই সাময়িক – মাঝে মাঝেই আমাদের কাউকে না কাউকে ছাদে উঠে অ্যান্টেনা ঘোরাতে হত। ঝড় বৃষ্টি হলে তো কথাই নেই। তবে বিটিভি ধরার জন্য আলাদা অ্যান্টেনা ছিল, সে অত উঁচুতে লাগানোর দরকার হতনা – ছবিও বুস্টার ছাড়াই দিব্যি পরিষ্কার আসত। কিন্তু না, এটা টিভির গপ্প না – বিশ্বকাপের গপ্প।

    তো ৮৬ সালে চাক্ষুস করলাম (যদিও ঝিরিঝিরি) মারাদোনার জাদু। সেই সংগে চিনলাম বাতিস্তুতা, বুরুচাগাদেরও। আর ব্রাজিলের ফালকাও, কারেকা! গোল করে কারেকার পাখীর মত উড়ে যাওয়া। রুমেনিগের জার্মানি, যারা ফাইনালে প্রায় জিতে গেছিল। পরপর দুটো ম্যাচে (বেলজিয়াম, ইংল্যান্ড) ছজনকে কাটিয়ে মারাদোনার গোল। এবং সেই ভগবানের হাত (সেটা অবশ্য ঝিরিঝিরি টিভির কল্যানে কিছুই বুঝিনি তখন – পরে কাগজে পড়ে জেনেছিলাম বেশী)। তখন আমরা পট্যাটো চিপস প্রসাদ বানিয়ে কৃশানুর পুজো করি – সেই প্রথম দেখলাম ফুটবলটা এমন করেও খেলা যায় যে কৃশানুকেও সাধারণ মনে হয়। সেই দেখলাম, বিশ্বকাপ ফাইনালে দু গোলে পিছিয়ে পড়েও একটা দল কিভাবে ফিরে আসে, শেষ বাঁশী বাজার আগে খেলা শেষ হয় না – এই আপ্তবাক্যের ডেমো দিতে। প্লাতিনিকেও সেই বিশ্বকাপেই প্রথম স্বচক্ষে (পড়ুন ক্যামেরার চক্ষে) দেখা।

    এত অবধি লিখে মনে হল এটা বোধ হয় ঠিক বিশ্বকাপের গপ্পও নয়। এটা আদতে আমার ছোটবেলার বিশ্বকাপের গপ্প। কারণ তারপরে আরও সাত সাতটা বিশ্বকাপ হয়ে গেছে, এখন তো ইউরো, কনফেডারেশন বা এশিয়া কাপও দেখি। ইপিএল নিয়মিত না দেখলেও মাঝে মধ্যে, সিরি আ ও তাই – বুন্দেশলিগাও। আর লা লিগা তো নিয়মিত। ইস্ট-মোহন ডার্বিও দেখি, যদিও আজকাল আর জোড়া ইলিশ তো দূর, একটা ইলিশ আনারও রেস্তঁ জোগাড় করা মুশকিল হয়ে পড়ে। এখন আমরা সুনীল ছেত্রীদের সঙ্গে মেসি-রোনাল্ডোদের তফাৎটা এবং তার কারণ – সবই জানি। তবু সেই ছোটবেলার বিশ্বকাপের উন্মাদনা, বা বলা ভাল তার স্মৃতি এখনো কেমন নস্টালজিক করে দেয়। তাই সেটাতেই ফিরে যাই।

    ৮৬ বিশ্বকাপের সময়েই নতুন টিভির দৌলতে নতুন সোফা ভেঙেছিল আমাদের। এই সোফাটাও ভাঙা অবস্থাতেই আমাদের ভার বহন করেছে ৯৪ সাল অবধি – অর্থাৎ সে-ও দেখে ফেলেছে আরো দুটো বিশ্বকাপ। এবং মাঝখানে দুটো ক্রিকেট বিশ্বকাপও বটে। সেই অত্যাচার সহ্য করার জন্যই তাকে নিয়ে আঙ্কল টম’স কেবিন এর মত একটা ক্লাসিক নামিয়ে দেওয়া যায় (মানে আমার সে ক্ষমতা নেই তাই লেখা হয়নি আর কি)। গোটা পাড়া আসত খেলা দেখতে – ঘর ভর্তি, জানলায়, ব্যালকনিতে সর্বত্র ভীড় হয়ে থাকত। আর চলত হাজারো মশকরা, সিরিয়াস গবেষণা – “আরে এই স্কটল্যান্ড খালি গগনে গগনে খেলে” কিম্বা “এই সব রুমেনিগে ফিগে বুড়ো হয়ে গেছে”, “এরা ট্যাকল করতে পারে না” “আরে খেলাটা উইং এ নে – এগুলো কী রে” – ইত্যাকার মন্তব্যে চারিদিক ম ম করত। এবং আমরা তখন সত্যিই ভাবতাম যে এরা সবাই খেলাটা ভারী বোঝে বটে। কারণ পরদিনের কাগজে দেখতাম অমল দত্ত বা পিকে ব্যানার্জীও নিজের কলমে অনেকটা একই কথা লিখেছেন। বা অন্ততঃ ১৯৮১ কলকাতা লীগে এই ধরণের পরিস্থিতিতে তারা মনোরঞ্জনকে কিভাবে ওপরে তুলে এনে গোল করিয়েছিলেন, বিদেশ বসু কেমন কারেকার থেকেও ভাল উইং থেকে গোল করতে পারতেন এসব পড়ে ভীষণ ভীষণ উত্তেজিত বোধ করতাম। মনে আছে তখন একটা বল নিয়ে একা একা ফুটবল খেলতাম আমাদের উঠোনে – আর সেখানে ভারতীয় টীম যখন তখন আর্জেন্টিনা বা জার্মানি বা ইতালিকে হারিয়ে দিত, আর তাতে এক দুটো আমার নিজের করা গোলও থাকত। কখনো বা আমি মারাদোনাকে মার্কিং করার দায়ীত্ব নিয়ে নিতাম কারণ সুদীপ চ্যাটার্জীর হাঁটুতে চোট – সেই ম্যাচে আর আমার গোল করা হত না – কৃশানু একটা আর বিশ্বজিত ভট্টাচার্য হয়তো পরিবর্ত নেমে আরেকটা গোল করে দিল, কোনমতে কাজ চলল আর কি।

    তারপর আর কি? টাইম অ্যান্ড টাইড ওয়েটস ফর নান, নেভার ফর প্রীস্টস। সুতরাং গড়িয়ে গেল দিন, টিভি পুরনো হল। বুনিয়াদও একদিন শেষ হল, রামায়ণ শুরু হয়ে গেল। কোথা হইতে কী হইয়া গেল, আমরা বড় হইয়া গেলাম। ৯০ এর বিশ্বকাপেই বুড়ো মারাদোনা প্রথম ম্যাচে হেরেও একার কাঁধে দলটাকে ফাইনালে নিয়ে গেল। সেই বিশ্বকাপেই দেখা গেল রজার মিল্লার উত্থান। তার আগে জানাই ছিল না যে ক্যামেরুন বলে একটা দেশ আছে, সেটা আফ্রিকায়। কিন্তু ততদিনে টিভি আমাদের পুরনো হয়েছে (যদিও বহাল তবিয়তে রাজত্ব করছে), সোফাও। বিশ্বকাপ ঘিরে, ফুটবল ঘিরে, খেলা দেখা ঘিরে আরো অনেক নতুন নতুন গপ্প তৈরী হয়েছে। কিন্তু তারা অন্য গপ্প। আজকের গপ্প এখানেই শেষ।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৭ জুন ২০১৮ | ১৪৮৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • + | 895612.125.341212.198 (*) | ১১ জুন ২০১৮ ০৯:১৫63455
  • শুনেছি নাকি ৯৪ এর বিশ্বকাপও রাত জেগে দেখেছিলাম। মনে নেই, সেটা আমার বাবার অভিজ্ঞতা। খালি মনে আছে ফাইনালের মাঝরাতে হাউসিং-এর মাঠে টিভিতে খেলা দেখা হচ্ছিল। ব্রাজিল জিততে সবাই নাচছিল, কিছু বুঝতাম কিনা মনে নেই। কিন্তু ঐ সবাই সাপোর্টার বলেই বোধহয় ব্রাজিলের সাপোর্টার হয়ে গেছিলাম।

    এরপর ৯৮, সেই ব্রাজিলের সাপোর্ট। ফাইনালে জিদান জিততে একটুও খারাপ লাগেনি।

    তবে ঠিকঠাক বিশ্বকাপ দেখা প্রথম ২০০২-এ। পুরোটা মনে আছে, আর তখন একটু হলেও খেলাটা বুঝতে শিখেছি। বাড়িতে কেবল নেই, মাধ্যমিক শেষ, পাশের বাড়ির কাকুর বাড়ি এক্দিন, কোনো বোন্ধুর বাড়ি একদিন, এভাবে রোজ দুপুর থেকে রাত খেলা দেখা। কিন্তু কোনো ম্যাচ বাদ দিয়েছিলাম বলে মনে পড়েনা।

    শুরুতেই সেনেগালের গোল, গ্রুপের শেষ ম্যচে আনফিট জিদানের হোঁচট খেয়ে পড়ে থাকা, হিডিন্কের কোচিং-এ কোরিয়ার খেলা, টার্কির শুকুরের গোল আর উমিত ডাভালারের চুলের ছাঁট, জার্মানীর ৮গোল, গ্রুপ লীগে আর্জেন্টিনার বিদায় সাথে বাতিগোলের হেডে গোল,

    তারপর নকাউটে ইতালী-টার্কি এদের হারা (এই দুটো ম্যাচই বেশি উল্লেখযোগ্য) , রিভাল্ডোর নাটক

    সবথেকে বেশি মনে আছে ইংল্যান্ড-ব্রাজিল ম্যাচ, সেটা ছিল কিছু একটা পুজোর দিন। এক বন্ধুর বাড়ি পুজো হত। খেয়ে দেয়ে , দুপুরবেলা বন্ধুরা মিলে খেলা দেখা। অর্ধেক দল ব্রাজিল, বাকি অর্ধেক অয়ন্টি-ব্রাজিল ( জার্মানী-ইটালি আর আর্জেন্টিনা)।। রোনাল্ডিন্হো নামাক ম্যাজিসিয়ানের দুটো গোল আর রেডকার্ড।

    আগেও ব্রাজিলের ফ্যান ছিলম, কিন্তু না বুঝে। সেবার প্রথম ঠিকঠাক ব্রাজিল কাকে বলে বুঝলাম। রোনাল্ডো-রিভাল্ডো-রোনাল্ডিনহো, সাথে কাফু-কার্লোস, ডিফেন্সে লুসিইও- রোকোজুনিওর, গোলে দিদা .. সাথে চেঞ্জে ইয়ং কাকা। উফ্ফ... রিভাল্ডোর নাটক একটু চোনা ফেলে দিলেও, সেই ব্রাজিল স্বপ্নের। আমি তো আর ৮২ দেখিনি, আর কেবল ছাড়া তখন ক্লাবের খেলাও দেখিনি। ২০০২ বিশ্বকাপ একটা অভিজ্ঞতা
  • T | 565612.69.1290012.252 (*) | ১১ জুন ২০১৮ ০৯:২৪63456
  • আর এইসব ব্রাজিল জার্মানী ইংল্যান্ড ইত্যাদি করে গান্ধী শেষে কিনা বাগানের সাপোর্টার হয়ে গ্যালো। :)
  • + | 895612.125.341212.198 (*) | ১১ জুন ২০১৮ ০৯:৪৮63457
  • T দা,
    ইগ্নোরালাম।

    ভালো টইকে মোবা-ইবের ঝামেলায় নিয়ে যাবোনাঃ)
  • T | 565612.69.1290012.252 (*) | ১১ জুন ২০১৮ ১০:২৫63458
  • আহা, সামান্য রসিকতা বই তো নয়।
  • + | 895612.125.341212.198 (*) | ১১ জুন ২০১৮ ১১:০১63459
  • প্ররোচনায় পা দেওয়ার বদভ্যাস আছে আমারঃ)
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন