এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • উল্টোরথ, প্রসাদ ও কলিন পাল

    কুশান গুপ্ত লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৫ নভেম্বর ২০১৮ | ১৯৩২ বার পঠিত
  • ছোটবেলা থেকেই মামাবাড়ির 'পুরোনো ঘর' ব'লে একটি পরিত্যক্ত কক্ষে ঝিমধরা দুপুরগুলি অতিবাহিত হতো। ঘরটি চুন সুরকির, একটি অতিকায় খাটের নীচে ডাই হয়ে জমে থাকত জমির থেকে তুলে আনা আলু, পচা গন্ধ বেরুত।দেওয়ালের এক কোণে ছিল বিচিত্র এক ক্ষুদ্র নিরীহ প্রজাতির মৌমাছির বাসা। বাতিল হয়ে যাওয়া গ্রামোফোন রেকর্ড, সেজমামার '১৯৭২ সালের কবিতাগুচ্ছ' সম্বলিত ডায়ারি, অজস্র আত্মীয়স্বজনের চিঠিপত্র, দাদুর হাতের লেখায় 'সান্ত্বনার ফ্রকের মাপ' এসব তুচ্ছাতিতুচ্ছ জিনিসের ভিড় দৃষ্টি আকর্ষণ করত। দ্বিপ্রাহরিক নির্জনতায় অধিকতর আকর্ষণ ছিল রাশি রাশি ভারা ভারা পুরোনো পত্রপত্রিকা ও শারদসংখ্যায়, ধুলো ঝেড়ে বের করতাম সেই সব, দুপুর গড়িয়ে এসব ঘাঁটতে ঘাঁটতেই কখন যে বিকেল হত, কখন সন্ধে হত টের পেতাম না।অবশ্য, সন্ধে হ'লে কেউ পারতপক্ষে ও-ঘর মাড়াত না। কারণ, মামাবাড়ি ভূতের বাড়ি।
    ফলে সন্ধে নামার আগেই পালিয়ে আসতাম।

    সেই ঘরের শুকতারা ও কিশোর ভারতী সমূহ প্রায় শেষ। পুরোনো দেশ, আনন্দবাজার শারদ, অমৃত ঘাঁটা শুরু। পাশাপাশি টানছে উল্টোরথ, জলসা, প্রসাদ এবং নবকল্লোল। উল্টোরথের চিত্রতারকাদের ছবিগুলি অতিসবুজ ও অতিবেগুনি, রঙিন বলতে এই রঙই ব্যবহৃত হতো। মনে আছে, বম্বে থেকে লিখছেন কলিন পাল এবং শচীন ভৌমিক নামে দুই ভদ্রলোক। বলিউড নামটি তখনো সবার অজানা। বম্বে মুম্বাইতে রূপান্তরিত হওয়ার অনেক দেরী।

    অদ্ভুত সব প্রশ্নোত্তরের একটা বিভাগ থাকত এই উল্টোরথে। স্মৃতি থেকে লিখছি। জনৈক পাঠক লিখছেন:
    ' মেঘে ঢাকা তারা' দেখে সুপ্রিয়া দেবীকে দিদি বলে ডাকতে ইচ্ছে করছে খুব। ঠিকানাটা অনুগ্রহ করে দেবেন।

    উত্তর: দিদি-টিদির গ্যাস অন্যত্র অ্যাপ্লাই করুন। ঠিকানা হবে না।

    অপর কৌতূহলী পাঠকের প্রশ্ন: বম্বের এখনকার নায়িকাদের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দরী কে?
    উত্তর: আমাদের মতে আশা পারেখ।

    একটি প্রশ্ন এখনো মনে রয়ে গেছে। জনৈক লক্ষীপদ মাইতি প্রশ্ন করছেন এই ধরণের:
    জীবনটা প্রহসন বই কি আর কি? এই যে আমরা বিবাহ করি, তা কি এক ধরণের সমঝোতা নয়? জনৈক দার্শনিক কি বলেননি যে Marriage is a legal prostitution?
    উত্তর: নাম তো লক্ষী। এমন অলক্ষীর মত কথা বলছেন কেন ছোট্ট ভাইটি?

    তৎকালীন উল্টোরথ, প্রসাদ বা জলসায় কোনো নায়ক নায়িকার কেচ্ছার খবর খুব একটা লক্ষ্য করিনি। বরং, সত্যজিৎ রায় একাদশ বনাম উত্তমকুমার একাদশ খেলতে নামছেন, বন্যাত্রাণে চিত্রতারকারা চাঁদা তুলছেন, এসব ছবি ও সংবাদ নিয়মিত প্রকাশিত হতে দেখতাম। সলিল চৌধুরী বম্বে গিয়ে হারিয়ে যাননি,নতুন গান বেঁধেছেন, সেই গানের বিষয়ে আবেগমথিত ব্যক্তিগত লেখা(কার, মনে নেই), সম্পূর্ণ গান রেকর্ড হয়ে বেরুনোর আগে, পুরো 'লিরিক্স' উল্লিখিত ছিল এই উল্টোরথের মলিন পাতায়:
    'আমি ঝড়ের কাছে রেখে গেলাম আমার ঠিকানা...'

    বাঙালি রসিকতার ধরণ ও নিজস্ব স্বাদে বর্ণে অপরূপ ছিল এই পত্রিকার ম্যাড়ম্যাড়ে পাতাগুলি। সন্ধ্যা, হেমন্ত ও ভানুর অপরূপ কার্টুন দেখেছি। এক হাতে ঝাঁটা, অন্য হাতে খুন্তি নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন গীতশ্রী। চিত্রতারকাদের ছবির নীচে অদ্ভুত সব ক্যাপশন। যেমন: 'মিঠুর চোখে মুখে এত অনুরাগ, তবু  রঞ্জিতের এত রাগ কেন?' মিঠু অর্থাৎ মিঠু মুখার্জি, রঞ্জিত হলেন রঞ্জিত মল্লিক। কারা কত খারাপ তা কম আলোচিত হত। বরং, কারা কত ভালো, এই খবর পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ ছিল।শশী কাপুর যে আপাদমস্তক ভদ্রলোক, তিনি যে 'পৃথ্বী থিয়েটার' ও জেনিফার সূত্রে অন্যরকম চিন্তাভাবনা করেন, এই পত্রিকা থেকেই জানা।

    যে সময়ের কথা বলছি তখন লেখক লেখকে ফারাক ততোটা বুঝতাম না। যা পেতাম তাই পড়তাম। দুটি নির্দিষ্ট প্রসঙ্গ উল্লেখ করি। 'প্রসাদে'র একটি সংখ্যায় মহাশ্বেতা দেবীর 'হাজার চুরাশির মা' এই অদ্ভুত নামটি দেখে পড়ে ফেলেছিলাম,সেই বয়সে পুরোটা হজম করতে পারিনি। সম্ভবত 'জলসা' পত্রিকায় পড়েছিলাম 'অরণ্যের দিনরাত্রি'। দ্বিতীয় লেখাটি সহজপাচ্য ছিল এবং সেই সময়ে এই নিবন্ধকারের কৈশোরের সুনীল-দশা চলছে। মনে আছে, প্রচুর স্কেচ ছিল 'অরণ্যের দিনরাত্রি' উপন্যাসটিতে। একটা স্কেচ মনে আছে। সেটা হলো যুবতী আদিবাসী মেয়েরা দাঁড়িয়ে, চার যুবকের একজন জিজ্ঞেস করছে, ' এই, তোদের কাছে ডিম আছে? আন্ডা?' আমি ততদিনে সত্যজিতের দুটি মাত্র সিনেমা দেখেছি: যথাক্রমে 'হীরক রাজার দেশে' ও 'সোনার কেল্লা'। 'পথের পাঁচালি' দেখেছি আরো পরে। 'অরণ্যের দিনরাত্রি' নামে যে কোনো সিনেমা আছে, আমি সেই 1986 সালে জানতাম না।

    কারা ছিলেন 'প্রসাদ' বা 'উল্টোরথে'র লেখক?যেসব নাম মনে পড়ছে তার মধ্যে: মহাশ্বেতা দেবী, আশাপূর্ণা দেবী, শংকর, প্রতিভা বসু, বিমল মিত্র, মনোজ বসু, নিমাই ভট্টাচার্য, আশুতোষ মুখোপাধ্যায়, নীহাররঞ্জন গুপ্ত, নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়, সুবোধ ঘোষ, শক্তিপদ রাজগুরু, সমরেশ বসু, গজেন্দ্রকুমার মিত্র, জ্যোতিরিন্দ্র নন্দী, হরিনারায়ণ চট্টোপাধ্যায়, প্রফুল্ল রায় প্রমুখ। শংকরের একাধিক জনপ্রিয় উপন্যাস(একটি নামই মনে পড়ছে বোধোদয়), আশাপূর্ণা দেবীর চোখে না পড়া কিছু অসামান্য উপন্যাস, প্রতিভা বসুর কয়েকটি আশ্চর্য উপন্যাস পড়েছিলাম। মাধ্যমিক দেওয়ার পর প্রতিভা বসুর উল্টোরথ বা প্রসাদের একটি অপূর্ব উপন্যাসে 'হাইমেন' ব'লে একটি শব্দ পেয়ে কৌতূহলী হয়ে পড়ি। উক্ত শব্দের বাংলা প্রতিশব্দটি আগে জানা ছিল। বিমল মিত্রের 'শনি রাজা, রাহু মন্ত্রী' নামে একটি উপন্যাস পড়েছিলাম, যা 'স্ত্রী' নামে উত্তমকুমার পরিচালিত ছবিতে রূপান্তরিত হয়।

    সেই সময়ে লক্ষ্য করেছি 'প্রসাদ', 'উল্টোরথ', 'নবকল্লোল' পড়ি জানলে জাত, কূল, মান, নাম সব জলাঞ্জলি দিতে হতো। দেখতে হত সমাজের বড়জ্যাঠার রক্তচক্ষু। পাশাপাশি 'দেশ' পড়ছি জানলে হেব্বি জাতে ওঠা যেত। একটাই প্রশ্ন, যে-মহাশ্বেতা দেবী প্রয়াত হলে আনন্দবাজার 'তাই তো তোমায় শুধাই অশ্রুজলে' ব'লে সাবঅল্টার্নের জয়গাথায় গীতিমুখর হয়ে ওঠে, তারা  সেই-মহাশ্বেতার অজস্র উপন্যাসের মধ্যে কোন উপন্যাসটি প্রকাশ ক'রে তাঁকে পারিশ্রমিক দিয়েছিলেন?লিস্টটি পাওয়ার আগ্রহ রইল। লিটল ম্যাগাজিনের ভূমিকাকে একটুও খাটো করছি না, কারণ কলেজজীবন কেটেছে লিটল ম্যাগ পড়েই। তথাপি, পাঠক, মহাশ্বেতার গল্প ও উপন্যাস সমূহ সনাক্ত করে দেখুন, কিভাবে কুরুচিকর প্রসাদ,উল্টোরথ জায়গা দিয়েছে তাঁকে? দেশ পত্রিকা যে সময়ে  'কালবেলা' প্রকাশ করেছে, তার অনেক আগে জাতকূলহীন ফিল্মি পত্রিকা 'হাজার চুরাশির মা' প্রকাশ করার রিস্ক নিয়েছিল, যে উপন্যাস আপামর ভারত তথা বিশ্বের সম্ভ্রম আদায় ক'রে নেয়।
    'নবকল্লোল' আরেকটি পত্রিকা যেটা প'ড়লে  জাতে ওঠা যেত না। জানতে ইচ্ছে করে, 'দেশ' পত্রিকা শ্যামলের কতগুলি উপন্যাস প্রকাশ করেছিল?  শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়ের আশ্চর্য সব উপন্যাস একের পর এক নবকল্লোল ঘেঁটে পড়েছি। পাঠক, 'হিম পড়ে গেল' পড়ুন। মার্কেজের রূপকথা পাবেন, কিন্তু বাঙালিয়ানার আমেজে তা অনাবিল স্বকীয় শরৎকাল এনে দেয়।এই গ্রন্থের কাব্যিকতা ও সৌন্দর্য অতুলনীয়। ঈশ্বরীতলার রূপোকথা, যতীন দারোগার বেদান্ত, স্বর্গের পাশের বাড়ি, স্বর্গের পাশের স্টেশন, আশ্চর্য সব শ্যামল-আকরিক  নবকল্লোল ঘেঁটে পড়েছি। পুরোনো নবকল্লোলে পেয়েছি বনফুলের আশ্চর্য উপন্যাস ' মানসপুর'।পেয়েছি তারাশঙ্করের লেখা। মহাশ্বেতা দেবীর একাধিক লেখা নবকল্লোলে পেয়েছি। অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা নবকল্লোলে পড়তেই অভ্যস্ত ছিলাম।

    পাশাপাশি দেশ পত্রিকা মনোপলি কায়েম করতে করতে গোটা বাংলা সাহিত্যকে একঘেয়ে পৌনপুনিক  যৌন বর্ণনায় আসক্ত করে ফেলল।

    সত্যজিৎ রায় মহাশয় রবীন্দ্রনাথ, বিভূতিভূষণ ছেড়ে সেদিনের ছোকরা সুনীল গাঙ্গুলির উপন্যাস নিয়ে যেখান থেকে সত্তরের দশকে পুরোদস্তুর নাগরিক পরিচালক হতে চলেছেন, সেই ' অরণ্যের দিনরাত্রি' তিনিও জলসা পত্রিকা থেকেই খুঁজে পেয়েছিলেন।উপন্যাস প্রকাশের অনতিবিলম্বে ফোন করে তিনি সুনীলকে বলেন, এই লেখা অন্য কাউকে না দিতে। একাধিক জায়গায় এই প্রসঙ্গ উল্লিখিত।

    যেহেতু এই লেখা মূলত স্মৃতি থেকে লেখা, দরকারি রেফারেন্স দিতে পারব না, কারণ কালের নিয়মে এসব পত্রিকা হারিয়ে গেছে। লিঙ্কও হয়ত দিতে পারব না। দোষত্রুটি নিজ গুণে মার্জনা করবেন পাঠক।

    তবে, আমার নস্টালজিয়ায় দেশ ও আনন্দবাজার যতটা, তার চেয়ে বেশি ক'রে থাকবেন কলিন পাল ও শচীন ভৌমিক। থাকবেন সবুজ ও বেগুনি রঙের মায়াবী আতস কাচে ঢাকা প্রকৃত সুন্দরী আশা পারেখ, প্রেজেন্টেশনের গুণে যাকে তখন বাঙালিই মনে হতো।

    তাতে জাত যায় যাক।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৫ নভেম্বর ২০১৮ | ১৯৩২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | 230123.142.5678.148 (*) | ১৬ নভেম্বর ২০১৮ ০১:৫৮62867
  • dd | 90045.207.2356.149 (*) | ১৬ নভেম্বর ২০১৮ ০৩:০৩62868
  • উল্টোরথ,সিনেমাজগৎ,প্রসাদ - এইগুলির পূজা সংখ্যা তো সব সময়েই সাহিত্য পত্রিকা হত। ছাপা ও বাঁধাই বেশ বিশ্রী হত, কিন্তু বোধহয় নামকরা সব বাঙালী লেখকই লিখতেন। নিয়মিত লিখতেন। তবে সিনেমার খবর একটু বেশী থাকতো - এই যা তফাৎ।

    কবিতা কি ছাপা হতো? মনে পড়ছে না।

    মজার প্রশ্ন উত্তর একটা বিশেষ আকর্ষণ ছিলো। খুব নামকরা ছিলেন "বহুরুপী"। উনি যে অগ্নিযুগের নায়কদের নিয়ে লেখার বিখ্যাত শৈলেশ দে, জেনে বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না।

    নবকল্লোল? আমারও তো সব স্মৃতি নির্ভর আর সেগুলি একেবারে ভুলে ভর্ত্তি। মনে পড়ছে যেনো নবকল্লোলে ভালো লেখা খুব কমই পড়েছি। খুব কম। সেরকম তখনকার বা ভবিষ্যতের নামকরা লেখকেরাও কমই আসতেন নবকল্লোলে। এই ইম্প্রেসনটা রয়ে গেছে।
  • dd | 90045.207.2356.149 (*) | ১৬ নভেম্বর ২০১৮ ০৩:১১62869
  • ও হ্যাঁ।

    অজয় বিশ্বাসও লিখতেন - "বম্বে থেকে"। প্রশ্নোত্তরের আসর।পরিচালক অজয় বিশ্বাস মানে রাখী গুলজারের প্রথম হাসব্যান্ড। উফ্ফ। সে কি ইনিয়ে বিনিয়ে গ্যাদগ্যাদে সেন্টু দিয়ে লিখতেন।
  • স্মৃতি যে | 890112.171.013412.187 (*) | ১৬ নভেম্বর ২০১৮ ০৩:৩৮62870
  • হ্যাঁ হ্যাঁ পুরোনো বই এর দোকান - মফস্বলে হতো সেই মাঝ আশিতে - রাশি রাশি প্রসাদ নবকল্লোল এমন কি পুরোনো দেশ আনন্দবাজার পুজো সংখ্যার স্মৃতি উসকে দিল লেখাটা। একটা উপন্যাস ছিল হৃদয়ের শব্দ - অভ্র রায়। এখন মনে হয় তেমন কিছু ছিল না তাতে, তবে তখন হৃদয় উলুত্পুলুত হয়! শেষ ষাট থেকে মাঝ সত্তরের লেখালিখি ছিল তারা
  • কুশান গুপ্ত | 238912.66.90023.195 (*) | ১৬ নভেম্বর ২০১৮ ০৪:০৬62871
  • মতামত ও প্রতিক্রিয়ার জন্য ধন্যবাদ জানবেন সবাই।

    dd না কবিতা ছাপা হতো না বলেই মনে হয়। তবে এগুলো ঠিক সাহিত্য পত্রিকা কি? সমালোচনা, সাহিত্য বিষয়ক, থাকত না। রিভিউ ইত্যাদিও দেখিনি। ফিল্ম বিষয়ক নানা তথ্য সহ গল্প ও উপন্যাস এই ছিল। তবে, সুরকার নচিকেতা ঘোষ মারা গেলে তাকে নিয়ে বিশেষ স্মৃতিচারণ এরাই করত, দেশ বা আনন্দবাজার, অন্তত সেই সময়ে করত না। আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের শয্যাশায়ী সন্তানকে লতা মঙ্গেশকর গান শোনান, উল্টোরথ পড়েই জানা।

    Dd নবকল্লোল উচ্চমানের ছিল না, ঠিকই। তবে বাতিল ঘোড়াদের জায়গা দিত নবকল্লোল। পাশাপাশি অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্যামল এদের একাধিক উপন্যাস এখানেই পড়া।
    বাতিল ঘোড়া কারা? নীহাররঞ্জন, বিমল মিত্র প্রমুখ। পেফুল রায়ের লেখাও ওখানেই পাওয়া।

    নবকল্লোল বের করত দেব সাহিত্য কুটির। বুদ্ধদেব গুহ, সুনীল, সমরেশ বসুর প্রচুর বেরুত।

    স্মৃতি যে, হৃদয়ের শব্দ পড়ে আলোড়িত হয়েছিলাম। অভ্র রায়ের লেখা। এক বৈমানিকের হেরে যাওয়ার উপন্যাস। ওই সময়েই নবনীতা দেবসেনের 'আমি অনুপম' বেরিয়েছে শারদীয়া দেশে।
  • কুশান গুপ্ত | 238912.66.90023.195 (*) | ১৬ নভেম্বর ২০১৮ ০৪:১৪62872
  • শৈলজাসংক্রান্ত তথ্যটি একেবারেই জানতাম না, dd.শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
  • | 453412.159.896712.72 (*) | ১৬ নভেম্বর ২০১৮ ০৭:০৫62873
  • আরে এই লেখাটা আগে দেখিনি তো। আমার ছোটবেলায় লুকিয়ে বড়দের বই পড়ার সময় প্রসাদ, নবকল্লোল, উল্টোরথ, রহস্য রোমাঞ্চ আর বসুমতী বেশ উজ্জ্বল। প্রসাদে আমি প্রতি বছর মহাশ্বেতা দেবীর উপন্যাস বা বড়গল্প যাই বেরোক তার জন্য অপেক্ষা করে থাকতাম। আমার মামাবাড়ি ও পিসির বাড়ি মিলিয়ে প্রত্যেকবার পুজোর সময় প্রসাদ, নবকল্লোল কেনা হতই বাকী দেশ ইত্যাদির সাথে। উল্টোরথ বোধহয় ৭০ এর শেষদিকে বন্ধ হয়ে যায়। রহস্য রোমাঞ্চ সত্তরের মাঝামাঝি বাড়িতে ব্যান হয়ে যায় কি জন্য যেন।

    প্রসাদ আর উল্টোরথের আকৃতি ছিল তখন টেস্ট পেপারের মত, পরে প্রসাদ বড় আর চওড়া হয়ে স্লিম হয়ে যায়। উল্টোরথে পড়েছিলাম প্রফুল্ল রায়ের 'মহাকালের রথের ঘোড়া' বা এইজাতীয় নামের একটা উপন্যাস। সে প্রতিবছর একটা করে পার্ট বেরোত, তিন পর্বেও লেখক শেষ করতে পারেন নি, বাড়িতে আলোচনা চলত ইল্যাস্টিকের মত টানছে এ শেষ করতে পারবে না। পরে সে আর শেষ হয়েছে কিনা জানি না। নবকল্লোলে নবনীতা দেবসেনের বেশ কয়েকটা ভাল উপন্যাস পড়েছি। একটা নব্বইয়ের দশকে বেরোন সমকাম-এর উপর। তখনকার তুলনায় যেথেষ্ট প্রগতিশীল। আরেকটা ছোটগল্প ছিল বোধহয় সেক্স চেঞ্জের উপর। প্রসাদে মহাশ্বেতা দেবীর লেখার জন্য মুখিয়ে থাকতাম।
  • | 453412.159.896712.72 (*) | ১৬ নভেম্বর ২০১৮ ০৭:০৮62874
  • আর শারদীয়া নবকল্লোলে মনে হয় কবিতা থাকত একটা কি দুটো পাতায় ছড়া টাইপের কিছু।
  • i | 452312.169.5612.253 (*) | ১৬ নভেম্বর ২০১৮ ০৭:২৭62875
  • শৈলজা নয় তো , ডিডি তো শৈলেশ দে র কথা বললেন। শৈলেশ দের বিখ্যাত বই-আমি সুভাষ বলছি, বিনয় বাদল দীনেশ ।।। এর বাইরে যতদূর জানি, রঙ্গনার সেই বিখ্যাত নাটক ( রঙ্গনাই তো?) জয় মা কালী বোর্ডিং নাটকটি শৈলেশ দে র ই লেখা-ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিষয়ে কোনো একটি লেখায় পড়েছিলাম মনে হয়।

    হিম পড়ে গেল সম্ভবত উল্টোরথে প্রকাশিত হয়েছিল, নবকল্লোলে নয়। উল্টোরথ নিয়ে একটা লেখা পেলাম, সেখানে দেখলাম। লিংকটা দি?
    http://nirmanblog.com/muyinparvez/5784
  • কুশান গুপ্ত | 238912.66.7823.99 (*) | ১৬ নভেম্বর ২০১৮ ০৮:৪৭62876
  • ভুল শুধরে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। শৈলেশ ই হবেন। আমি সুভাষ বলছি কিছুটা পড়েছিলাম। ওখানে উল্লিখিত নিকুঞ্জ সেন আমার মায়ের মাস্টারমশাই ছিলেন।

    আপনার লিঙ্ক টা দেখলাম।সম্ভবত আপনি ঠিক। এত বছর পরে লিখছি, ভুল হওয়ার ষোল আনা সম্ভাবনা। কিন্তু, শ্যামল আমি মূলত নবকল্লোল থেকেই পড়েছি। কেন জানি মনে হচ্ছে' হিম পড়ে গেল' নবকল্লোলেই পড়া।আরো দুটি শ্যামলের উপন্যাস ওই সময়ে পড়েছিলাম। 'মান্না আন্টি' এবং ' পাপের বেতন পরমায়ু। এদুটিও নবকল্লোল। স্মৃতি র থেকে বলছি।
  • i | 452312.169.5612.253 (*) | ১৬ নভেম্বর ২০১৮ ০৮:৫৯62877
  • আমিও জানি না সঠিক। লিংকে যা এলো তাই দিলাম। সে যাই হোক, আপনার লেখাটির বক্তব্য কিছু ক্ষুণ্ণ হয় না এতে।
    লেখাটির জন্য ধন্যবাদ।
  • কুশান গুপ্ত | 238912.66.7823.99 (*) | ১৬ নভেম্বর ২০১৮ ০৯:১১62878
  • দ, আপনার দীর্ঘ লেখার জন্য ধন্যবাদ। i dd ও স্মৃতি যে, আমার তুচ্ছ লেখা মন দিয়ে পড়লেন, ধন্যবাদ জানবেন।
  • Kushan | 342323.176.2356.23 (*) | ১৯ নভেম্বর ২০১৮ ০১:১৬62880
  • ধন্যবাদ, Nahar Trina. এই সামান্য লেখা আপনার ভাল লাগার জন্য ধন্যবাদ জানাই।
  • Nahar Trina | 89900.227.90012.5 (*) | ১৯ নভেম্বর ২০১৮ ০৬:০৪62879
  • কী চমৎকার প্রাণবন্ত লেখা! নস্টালজিক হবার মতোই লেখা। তবে আমি বাংলাদেশের, আপনার/আপনাদের উল্লেখ করা পত্র-পত্রিকার পড়বার অভিজ্ঞতা নেই বললেই চলে। আর লুকিয়ে পড়বার রোমাঞ্চ থেকেই বঞ্চিতই বলা যায়। পঠনপ্রীতির কারণেই কিনা জানি না, কোথাও একটা সংযোগ অনুভব করলাম। লেখাটা সত্যিই খুব ভালো লাগলো। উল্টোরথের উত্তরদাতার মতো গ্যাস দিচ্ছি ভাবা না হলেই বাঁচোয়া। :)
  • i | 122312.44.012323.101 (*) | ০৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৬:০৫62881
  • বৃদ্ধবয়সে যা হয়- সময়মত মনে পড়ে না। সেদিন একেবারেই মনে পড়ে নি, আজ হঠাৎ মনে পড়ে গেল, তাই বলতে এলাম- প্রসাদ এর সম্পাদকের কথা। রবি বসু কে নিয়ে শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়ের চমৎকার একখানি লেখা পড়েছিলাম- 'ও বনের পাখি।' সেখানেই জেনেছিলাম, রবি বসুকে নিয়ে শ্যামল একখানি গল্পও লিখেছিলেন-রাজরাজেশ্বর।
    ও বনের পাখি -তেই পড়ি যে রবি বসু বড়ো হাউসের চাকরির পরোয়া না করে , যাত্রার দল খুলে সুদূর মধ্যপ্রদেশে চলে যান।
    উল্টোরথ প্রসঙ্গও ছিল সে লেখায়- ১৯৬৫ সনের ভারত পাক যুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক বাঙালি অফিসার পাকিস্তানের ভিতর এক পরিত্যক্ত পাকিস্তানি বাঙ্কারে একটি উল্টোরথ পত্রিকা পেয়েছিলেন। সেই সময়ের পূর্ব পাকিস্তানের কোনও পাকিস্তানি বাঙালি সৈনিক বাঙ্কারে বসে উল্টোরথ পড়েছিলেন-

    আজ হঠাৎ মনে পড়ল এই কথাটা -এই বাঙ্কারের গল্পটা; 'জীবনরেণুর কারিগর' বইটি তাক থেকে নামিয়ে একবার ঝালিয়ে নিয়ে, এখানে জানিয়ে গেলাম ।
    আশাকরি খুব অপ্রাসঙ্গিক কিছু বকলাম না।
  • | 453412.159.896712.72 (*) | ০৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৮:৩৬62882
  • ওহ এই প্রসঙ্গে আমার মনে পড়ল বন্ধু নজরুল মুক্তিযুদ্ধ আর্কাইভের কাজ করতে গিয়ে প্রসাদের কিছু সংখ্যায় মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিবরণ পেয়ে খুবই অবাক ও খুশী হয়েছিলেন।
  • কুশান | 342323.176.5634.75 (*) | ০৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ১০:৫২62883
  • I, অপ্রাসঙ্গিক কেন বলবেন?বরং আপনার দেওয়া তথ্য আমাদের সমৃদ্ধ করছে। স্মৃতি ছাড়া এখন এই বয়সে কী ই বা ভরসা। লেখাতে আমার জানা টুকু জানিয়ে বরং প্রাসঙ্গিক অনেককিছু জানতে পারছি। তাছাড়া শ্যামল আমার অন্যতম প্রিয় লেখক।
    দ-এর থেকে মুক্তিযুদ্ধ সংক্রান্ত তথ্য জেনে অবাক হলাম। আমি যেটুকু এই পত্রিকা থেকে জানি তার বাইরেও এর ব্যাপ্তি এগুলো আপনাদের আলোচনা থেকে উঠে আসছে।
  • অদিতি কবির খেয়া | 236712.158.78.114 (*) | ২৪ জুন ২০১৯ ০৫:১৯62884
  • আমি বাংলাদেশের মানুষ। ১৩/১৪ বছর বয়সে আমাদের নিচতলার ফ্ল্যাটে জাহানারা খালার উল্টোরথ প্রথম দেখি। বলা বাহুল্য, তখন সিনেমার নায়ক নায়িকাদের ছবিগুলোই প্রধান আকর্ষণ ছিল। পরে শক্তিপদ রাজগুরু, সমরেশ বসু আর জানি কার কার লেখা পড়েছিলাম। প্রসাদের ডেটলাইন বাংলাদেশ বছরখানেক আগে বইমেলায় বেরিয়েছিল। এখনও রাস্তার পুরোন বইয়ের দোকানে উল্টোরথ বা প্রসাদ দেখলেই কিনে নেই। বিমল মিত্রের এই নরদেহ উপন্যাসের একটা কিস্তি নবকল্লোলে পড়েছিলাম।
  • ইযাসমিন | 237812.68.7845.245 (*) | ২৫ জুন ২০১৯ ০২:৪৩62885
  • চমৎকার লেখা।আমি এখন বৃদ্ধা। কিন্তু সেই কোন ছোটবেলায পড়েছিলাম শচীন ভৌমিকের উত্তর ‘ঘরোযা’ তে।
    একজন জানতে চেয়েছিল ‘সমকামী কাদের বলে?’
    শচীন ভৌমিকের উত্তর ছিল
    ‘যৌন পত্রিকার প্রশ্ন ঘরোযাতে কেন। তবু উত্তর দিচ্ছি— যাদের স্নায়ু থাকে পাযুতে’
    কি চমৎকার বুদ্ধিদীপ্ত উত্তর।
  • কল্লোল | 237812.69.453412.206 (*) | ২৫ জুন ২০১৯ ০২:৫০62886
  • সিনেমা পত্রিকা আরএকটা ছিলো। নাম বোধহয় ঘরোয়া। তাতেও শচীন ভৌমিক লিখতেন। সেখানেই জানতে পারি আরাধনা, অ্যান ইভিনিং ইন প্যারিস শচীন ভৌমিকের গপ্পো। সেখানেই জানা যায় জিতেন্দ্রর নাম রবি, রাজেশের নাম যতীন আর ববিতার পদবী শিবদাসানী।

    আর একটা পত্রিকার নাম এলো না - বেতার জগৎ। শারদীয়া বেতার জগৎএ খুব ভালো গল্প উপন্যাস থাকতো।
    মহশ্বেতার একটা ছোট গল্প পড়েছিলাম, নাম মনে নেই। সেটা সম্ভবতঃ ১৯৬৬। কৃষকেরা সংগঠিত হয়ে জোতদারের বাড়ি আক্রমন করেছে। ওদের লক্ষ্য একখানা সিন্দুক, যেখানে বন্ধকী আর কর্জ হিসাবের কাগজ থাকে। সেটা নিয়ে আসা হয় উঠোনে। উদ্দেশ্য সব কাগজ জ্বালিয়ে দেওয়া হবে। সিন্দুক ভাঙ্গতে দেখা যায়, প্রায় কোন কাগজই নেই, সব উইয়ে খেয়ে গুড়ো গুড়ো হয়ে গেছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন