এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • পুঁটিকাহিনী১০- আমগাছটা

    San Gita লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০২ জুন ২০১৭ | ১৪১৯ বার পঠিত
  • প্রত্যেক বছর গরমকালে পুঁটির নিয়ম করে ওজন বাড়ে। বাড়বে না? বাড়িতে তিন-তিনটে বিরাট বিরাট আমগাছ, দাদাশ্বশুরের হাতে লাগানো আর তাতে হাজার হাজার আম। সামনের গাছদুটো কে জানে কিভাবে একসাথে জুড়ে গেছে, আলাদা দুটো গাছ বোঝাই যায় না সম্বৎসর, শুধু আম হয় একটু আগে পরে- একটায় একটু গোলালো আম, মুখের দিকটা লালটুকটুকে, মিষ্টি গন্ধওয়ালা, পাতলা খোসা, পাতলা আঁটির গোলাপখাস আর আরেকটায় হয়ত তার দু'হপ্তা পরেই সবুজ গা, লম্বাটে, আঁশওয়ালা অন্য আমের দেখা পাওয়া যায়।

    আমের ব্যাপারে বাবার মত পুঁটিরও কিছু ক্ষ্যাপামি আছে- বাবা যেমন মায়ের হাজার অভিযোগ শুনতে হবে জেনেও গরমকালে হপ্তায় একদিনের বাজারে শুধু হরেকরকম মাছ আর গাদাগাদা আম নিয়ে চলে আসেন, যা দেখে মা মাথায় হাত দিয়ে বসেন, পুঁটিও তেমন গরমকালটা কাটায় শুদ্ধু ঐ সময়ের ফলের দিকে তাকিয়ে। নইলে এই গরমে মানুষ বাঁচে!! আর শুধু কি আম? সব ফলই ভালোবাসে পুঁটি, যে ফলে যত বেশি ক্যালোরি, সেই ফল তত প্রিয় তার। শুকিয়ে যাওয়া আমলকি, মুসাম্বি লেবু বা শশা মাঝেসাঝে লুকিয়ে লুকিয়ে ফেলে দিতে দেখা যায় তাকে, কিন্তু আম, কলা, আতা, লিচু, তরমুজ, তালশাঁস, জামরুল, কালোজাম, সবেদা, আঙুর, মায় আঁশফল ভুলেও নষ্ট হয় না এ বাড়িতে। তবে কিনা আম হচ্ছে ফলের রাজা, তার সাথে কারোর তুলনা চলে না।

    সামনের ঐ দুটো গাছের আম বাড়ির কেউ খেত না, পেকে পেকে আম কিছু বাড়ির ভেতরে, কিছু গ্যারেজের মাথায়, কিছু রাস্তায় পড়ত- পাড়াপড়শী, রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়া লোক, পাশের বাড়ির ভাড়াটে- যে যা পারত কুড়িয়ে নিত। ওরা নিজেরা খেত পেছনের গাছের আম। উফ! সে যে কী জব্বর জিনিস যে না খেয়েছে, তাকে বোঝানো মুশকিল! ইয়া বড়বড় আম, ৫-৬টায় ২ কিলো তো হবেই! যেমন তার গন্ধ, তেমন তার স্বাদ!! এলাকার পাখপাখালিরা ইস্তক ঐ স্বাদগন্ধে পাগলপারা হয়ে উঠত! পুঁটিদের বাড়িতেও বাবা দুটো কলমের হিমসাগর গাছ লাগিয়েছিলেন, ছোট্ট গাছ- বছর চারেক পর থেকে গোটা কুড়ি-পঁচিশ করে ফল দিত, সব বছর আবার দিতও না। সেই গাছপাকা হিমসাগরও স্বাদে অনন্য, শ্বশুরবাড়ির এই পেছনের গাছের আম যদিও ভুতো বোম্বাই বলত ওরা, তার স্বাদ একদম গাছপাকা হিমসাগরের মত, অবিকল এক। যাকে বলে স্বর্গীয়! পুঁটি চোখ বুজে সেই অপার্থিব গাঢ় হলুদ টুকরোয় কামড় বসায় আর সো-ও-ও-জা স্বর্গে চলে যায় যেন। চোখ খুলে দেখে তার ভদ্রলোক হাসিহাসি মুখে তার দিকে তাকিয়ে আছে, সে তাকাতেই ফিক করে হেসে গান ধরে 'আমার এই আম খাওয়াতেই আনন্দ!' বা "আমি আমের সঙ্গে বেঁধেছি আমার প্রা-ণ"..

    শীতের শেষে যেই না আমের মুকুলে ভরে ওঠে গাছগুলো, পুঁটির মেজাজপত্তরও কিভাবে যেন খুশিখুশি হয়ে উঠতে থাকে। তার ছোট্ট ছানার পরীক্ষা শেষে নতুন ক্লাস শুরু হওয়ার আগে মাস দুয়েকের ছুটি থাকে। পুরো ছুটিটাই সে কাটায় জানালায় বসে। আস্তে আস্তে আমের গুটি ধরে, তারা বড় হয়, তাদের গায়ে রঙ ধরে আর ছেলে দৌড়ে দৌড়ে আসে নতুন নতুন পাখি দেখতে পেয়ে 'এটা কী পাখি? আর ঐটা কী পাখি?' বলতে বলতে। ছেলের চোখ অনুসরণ করে তারা দেখে ঐ মস্ত গাছে অন্ততঃ ২৫ রকমের পাখি আসে বসন্তে, তারা ডাক শুনেছে অনেক, তবে দু'দন্ড দাঁড়িয়ে খেয়াল করে দেখেনি কেউ কোনদিন।

    ছেলের গরজে পাখি দেখা শুরু হল, তাদের ছবি তুলে বইপত্তর আর নেট ঘেঁটে তাদের চেনা শুরু হল। ৩-৪ রকম মাছরাঙা দেখা হল এইভাবে, মৌটুসি, হরিয়াল, পাপিয়া, বসন্তবৌরি, টুনটুনি, বেনেবৌ, ছাতারে, কুবোপাখি, হাঁড়িচাচা, ছেলে কোকিল, মেয়ে কোকিল, অনেকরকম কাঠঠোকরা, বুলবুলি, দোয়েল, ঘুঘু, দুর্গা টুনটুনি, বাঁশপাতি, ফুলঝুরি এদের সাথেও পরিচিতি হল। ছোটুর হাঁকডাকে বাড়ির সব সদস্যই এখন বার্ড-ওয়াচার হয়ে উঠছে।

    তবে গাছটা মস্ত, অনেকটা জায়গা জুড়ে তার অবস্থান। ডালপালা অনেক উঁচুতে উঠে গেছে। সেখান থেকে আম পাড়া ছিল এক বিশাল ঝকমারি। লোক পাওয়াও দুষ্কর। টুপটুপ করে যেগুলো নিচে পড়ে, সেগুলো খেয়াল করে কুড়িয়ে আনতে হয়। তবে বাকিগুলোরও তো একটা গতি করতে হবে, পাখপাখালিতে আর কত খাবে? একটা লম্বা লগা বানানো হল, তাতে একদিকের ডালের আমেই হাত পৌঁছয় মাত্র। যেমন পরিশ্রম সেই আম পাড়াতে, তেমন আনন্দ! মাটিতে পড়ে কিছু আম থেঁতলে যায়, সেগুলো কাউকে দেওয়াও যায় না, ফেলে দিতেও খু-উ-ব মায়া হয়। পুঁটি না খেয়ে করেই বা কী? সবাইকে দিয়েথুয়ে, খেয়েও রোজ সকালে উঠে দু-এক ঝুড়ি করে থেঁতলে যাওয়া, ফেটে যাওয়া আম ফেলে দিতেই হয়।

    ঝড়ে কাঁচা আম পড়লে কিন্তু পুঁটি দৌড়োয় না বেশিরভাগ মেয়েদের মত, কিন্তু পাকা আম পড়া টের পেলে সে যাবেই। সেবার খুব ঝড় হল, সাথে বৃষ্টি। বাগানে অল্প জলও জমল, তার মধ্যে আম পড়ল কি পড়ল না, ঝাপুস ঝুপুস করে দৌড়ল পুঁটি! ওপরে জানলা দিয়ে শ্বশুরমশাই-শাশুড়িমা চেঁচাচ্ছেন, নিচের ঘরের কাকু পর্যন্ত কাকিমাকে ডেকে বললেন " বৌমাকে এই ঝড়জলে বাগানে যেতে বারণ করো।" পুঁটি অবিচলিত। পরে জানা গেল, ঐ ঘোর দুর্যোগের নাম আয়লা! কত লোকের কত সর্বনাশ হয়েছে তাতে, পাশেই একজনদের বিরাট আমগাছ শিকড়শুদ্ধ উপড়ে এসেছে। ইলেকট্রিকের তারের ওপর ডাল পড়ে তার ছিঁড়ে সারা এলাকা অন্ধকার! এতক্ষণে হুঁশ হয় পুঁটির, নিজের মনে জিভ কেটে বলে "কী কেলেংকারি!"

    আমগাছটাকে ঘিরে ওদের একটা আলাদা জগৎ! অফিস থেকে হতক্লান্ত হয়ে ফিরলেও ঘোর গরমে হাসিমুখ পুঁটির। কাঁধের ব্যাগটা নামিয়ে রেখেই লাজুক, ঘরকুনো ছানাটাকে টানতে টানতে পার্কে নিয়ে যেতে হবে। সেখান থেকে ফিরে লগা হাতে ছাদ অভিযান আছে আবার। ভাগ্যিস গরমকালে অনেকক্ষণ আলো থাকে! ছানার উৎপাতে একে একে বইয়ের তাকে হাজির হতে থাকেন সেলিম আলি, গ্রিমেটরা। ছানার সদাব্যস্ত বাবা সময় পেলেই ক্যামেরা নিয়ে একবার জানলায়, একবার ছাদে দৌড়চ্ছে। কাঠবেড়ালীরা গাছের ডাল বেয়ে ছাদে নেমে এসে ছাদময় দৌড়ে বেড়াচ্ছে। খাটের তলায় ঝুড়ি ঝুড়ি আম, বাড়িঘর ম ম করছে আমের মিষ্টি গন্ধে। কাঁচা আমের টক আর আচার দিয়ে শুরু হয়ে আমসত্ত্বতে এসে থামত সেই উৎসব।

    সব মধুমাস, সব উৎসবই তো একদিন শেষ হয়- সুখস্বপ্নের মত সবকিছু একসময় অতীত হয়ে যায়, নেই হয়ে যায়, অলীক স্মৃতি হয়ে যায়। জীবনের অন্য অনেক দাবি মানতে গিয়ে গাছগুলো একদিন কাটা পড়ে, আমগাছটাও! পুঁটির গলার কাছে কেন যেন দলা দলা কষ্ট জমে, ছানা তো খবর শুনে কেঁদেই একসা! তার ছোট্ট জীবনে এই প্রথম আত্মীয়বিয়োগ! একটা সময়ের মৃত্যু হয় যেন! জীবনের একটা অংশ টুকরো-টুকরো হয়ে মাটিতে পড়ে থাকে আমগাছের ডালগুলোর সাথে। "গাছটা কোথায় গেল? পাখিগুলো কোথায় থাকবে, মাম্মা?" শিশু যেন হাহাকার করে ওঠে! জবাব দিতে পারে না পুঁটি। সব প্রশ্নের কি আর জবাব হয়!!

    ©sangitaghoshdastidar
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০২ জুন ২০১৭ | ১৪১৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • swati | 127.194.42.14 (*) | ০২ জুন ২০১৭ ০৫:৫৪60402
  • আহা !
  • San Gita | 57.15.12.208 (*) | ০৫ জুন ২০১৭ ০৪:৩৮60404
  • ধন্যবাদ!
  • Kallol | 213.99.211.18 (*) | ০৫ জুন ২০১৭ ০৯:৫০60403
  • দুর্দান্ত - হিমসাগরের মতই মিস্টি "আমগাছের জীবনচক্র" ঃ-)
  • de | 69.185.236.51 (*) | ০৬ জুন ২০১৭ ০৭:২৪60405
  • পুঁটির জীবন এমন রূপকথার মতোই থাকুক! খুব মিষ্টি!
  • San Gita | 57.15.15.84 (*) | ০৮ জুন ২০১৭ ০১:১৬60406
  • থ্যান্কু দে।
  • kumu | 181.78.228.251 (*) | ০৮ জুন ২০১৭ ০৪:৩১60407
  • একটি আমের চারা বা আঁটি পুঁতে দিলে হয় না?অবিশ্যি যদি জায়্গা থাকে।
  • San Gita | 53.239.82.6 (*) | ১০ জুন ২০১৭ ০১:২৭60408
  • আমার ফ্ল্যাটবাড়িতে তো আর আমগাছ হবে না, কুমুদি। আর ও বাড়িতে আগেরগুলো কেটে ফেলল, আর নতুন লাগিয়ে আর কী হবে?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত মতামত দিন