এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • চিড়িয়াখানা

    Muradul islam লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৯ জানুয়ারি ২০১৬ | ১৩৩২ বার পঠিত
  • সাইফুর রহমানের স্ত্রী সুদীপ্তা বসু সকালে গিয়ে দেখল সেই বিশেষ ঘটনা এবং এসে সাইফুর রহমানকে ঘুম থেকে জাগিয়ে বলল, “যাও তোমার মাকে গিয়ে দেখে আসো।”

    সাইফুর রহমান জিজ্ঞেস করল, “কি হয়েছে?”

    তার স্ত্রী বলল, “কি আর হবে। উনার স্বভাব চরিত্র ছিল তেলাপোকার মত। এখন হয়েছেনও তাই।”

    সাইফুর রহমান হাই তুলতে তুলতে বিছানা থেকে নেমে তার মায়ের রুমে গেল। গিয়ে দেখল তার মা বিছানায় পড়ে আছেন। তার শরীর তেলাপোকার শরীরে রূপান্তরিত হয়েছে। মানুষের এরকম পোকায় রূপান্তরিত হওয়া পৃথিবীর ইতিহাসে সম্ভবত একবারই হয়েছিল। কাফকার পৃথিবীতে গ্রেগর সামসা যেদিন ঘুম থেকে উঠে দেখেছিল সে বিরাট এক পোকায় পরিণত হয়েছে।

    সাইফুর রহমান তার মায়ের অবস্থা দেখে অচেতনভাবে বলে উঠল, “ওয়াও।”

    সাইফুর রহমানের মা গুলবাহার বানু ছেলের দিকে তাকালেন। তার চোখ ভাবলেশহীন। চোখের পাশে এখন দুটি এন্টেনা বের হয়েছে। তিনি এন্টেনাদুটি নাড়িয়ে ফ্যাসফ্যাসে গলায় জিজ্ঞেস করলেন, “কি চাস তুই?”

    সাইফুর রহমান বলল, “কিছু না।”

    সে বাথরুমে চলে গেল। দাঁত ব্রাশ করতে করতে সে অন্যদিকে মনযোগ দেয়ার চেষ্টা করছিল। ইদানীং অফিসে প্রচুর কাজের চাপ। বাথরুমের দরজা খোলা ছিল। দরজার সামনে তার স্ত্রী এসে জিজ্ঞেস করল, “এখন কি করবে?”

    সাইফুর রহমান থুঃ করে টুথ পেস্টের ফেনাযুক্ত থুতু বেসিনে ফেলে জিজ্ঞেস করল, “কোন বিষয়ে?”

    “তোমার মায়ের বিষয়ে। উনাকে এখন আর তো ঘরে রাখা যাবে না।”

    “কেন? যাবে না কেন?”

    “শুঁড় নাড়িয়ে নাড়িয়ে ফ্যাসফ্যাস শব্দ করে যাচ্ছেন। নাস্তা নিয়ে গিয়েছিলাম। বললেন, খাব না।”

    “খাবেন না কেন?”

    “কি জানি কেন। ম্যামালদের ফুড উনি এখন খাবেনই বা কেন? অর্থ্রোপোডা পর্বের ইনসেক্টা শ্রেণীর প্রাণীরা কি খায় আমি বলতে পারবো না।”

    “আচ্ছা।”

    “আচ্ছা কি?”

    “আচ্ছা মানে ভাবছি ব্যাপারটা নিয়ে কি করা যায়।”

    “কয়েকদিন আগে যে অল্ডহোমের কথা বলেছিলে, তার কি হল?”

    “হ্যা, ওটা নিয়েই ভাবছি। ওখানকার ব্যবস্থা ভালো শুনেছি। আজই গিয়ে একবার দেখা করে আসব।”

    সাইফুর রহমান হাত মুখ ধুয়ে বাথরুম থেকে বের হল। প্রাতরাশ সেরে অফিসে চলে গেল। অফিস শেষে বিকেলের দিকে শহর থেকে কিছুটা বাইরের দিকে সদ্য স্থাপিত হওয়া এক অল্ডহোমে গেল সে। এই অল্ডহোমের ব্যাপারে সে শুনেছে তার এক বন্ধুর কাছ থেকে। ঐ বন্ধুর কোন এক আত্মীয়কে এখানে রাখা হয়েছে।

    অল্ডহোমটির মালিক একজন ভদ্রমহিলা। বয়স পয়তাল্লিশের মত কিন্তু দেখতে বেশ শক্ত সমর্থ। তার মধ্যে পুরুষালি ভাব আছে। ভদ্রমহিলা আন্তরিকতার সাথে সাইফুর রহমানের সাথে কথা বললেন।

    সাইফুর রহমান জিজ্ঞেস করল, “আপনাদের ব্যাপারে শুনেছি। আসলে আমার মাকে এখানে রাখতে চাই।”

    ভদ্রমহিলা বললেন, “খুবই ভাল চিন্তা। আমাদের এখানে যেসব ফ্যাসিলিটি পাবেন অন্য কোথাও তা পাওয়া অসম্ভব।”

    সাইফুর রহমান জিজ্ঞেস করল, “আমি শুনেছি আপনাদের সার্ভিস বেশ ভাল, কিন্তু আরেকটু জানতে চাই।’’

    “কি জানতে চান জিজ্ঞেস করুন।”

    “কেন আপনাদের এখানে যে সার্ভিস দেন তা অন্যকোথাও পাওয়া সম্ভব না?’

    “তার কারণ হচ্ছে অন্যেরা মূলত ব্যবসায়ীক দিকটা দেখে। কিন্তু আমরা সামগ্রিক চিত্রটা বিবেচনায় এনে কাজ করি। আমাদের এই প্রতিষ্ঠানকে আপনি যদি কোন ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান মনে করেন তাহলে ভুল করবেন। এটা কখনোই কোন ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান নয়। এটি একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান।”

    “কেমন টাকা দিতে হয় মানে আপনাদের চার্জটা?”

    “ওসব নিয়ে একেবারেই ভাববেন না। ভর্তির সময় ওয়ানটাইম আমরা নামেমাত্র কিছু টাকা রেখে থাকি। এছাড়া আর কোন টাকা দিতে হয় না আমাদের। আমি আগেই বলেছি আমাদের প্রতিষ্ঠান সেবামূলক। সেবাই আমাদের লক্ষ্য। অন্য প্রতিষ্ঠানেরা যেখানে লুক আফটারের জন্য কিংবা অন্তেষ্টিক্রিয়ার জন্য চার্জ নেয় আমরা এক্ষেত্রে পুরোপুরি ব্যতিক্রম।”

    “অন্তেষ্টিক্রিয়ার জন্যও আপনারা টাকা নেন না?”

    “অবশ্যই না। এখানে দিয়ে দেয়ার পর সব ঝামেলা আমাদের। ইভেন কেউ মারা গেলে যারা তাকে দিয়ে গেছে তাদের আমরা জানানোর প্রয়োজন মনে করি না।”

    “কেন?”

    “কারণ ঝামেলামুক্ত হবার জন্যই লোকে আমাদের বেছে নেয়। আমরা লোকদের ঝামেলা নিজের কাঁধে নিয়ে নেই। ঝামেলা কাঁধে নেয়ার পর ঝামেলাটা আমাদের হয়ে যায়। কেউ মারা গেলে সে খবর তার আত্মীয়দের জানালে ক্ষেত্রবিশেষে তারা বিরক্ত হতে পারে। তাদের নিত্য নৈমিত্তিক জীবন যাপনে কিছুটা বাঁধা তৈরী হতে পারে। অন্তেষ্টিক্রিয়ার তাদের আসতে হতে পারে। তখন আমাদেরও কিছু সময়ক্ষেপন হবে, উনাদের হবে সময়ক্ষেপণ ও ভোগান্তি। তাই আমাদের এই অবস্থা। আফটার অল, সময় খুব মূল্যবান।”

    “তা ঠিক বলেছেন।”

    “হ্যা, আর ইদানীং যে হারে লোকদের বৃদ্ধ মা বাবা কিম্ভুতকিমাকার সব পোকায় পরিণত হচ্ছেন সে হিসেবে আমাদের পুরো কাজটাই হয়ে উঠেছে চ্যালেঞ্জিং। এখানে টাইম ম্যানেজমেন্টটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”

    সাইফুর রহমান ভদ্রমহিলার সাথে আরো কিছুক্ষণ কথা বলল। ভদ্রমহিলা কথায় কথায় তার প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে অনেক কথাই বললেন। কীভাবে তিনি প্রথম শুরু করলেন, প্রথমে কি ধরনের সমস্যা হয়েছিল, কীভাবে তিনি তা কাটিয়ে উঠলেন ইত্যাদি অনেক কিছু। ভদ্রমহিলার সাথে কথা বলতে বলতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে এল। সাইফুর রহমান নির্দিষ্ট কিছু কাগজে সাইন করে কিছু টাকা জমা দিয়ে ভর্তির কাজগুলো সেরে নিল। ভদ্রমহিলা সাইফুর রহমানের সাথে হাত মেলাতে মেলাতে বললেন, “আগামীকাল সকালেই আমাদের লোক গিয়ে আপনার মা কে এখানে নিয়ে আসবে।”

    সাইফুর রহমান ধন্যবাদ জানিয়ে অল্ডহোম থেকে বের হল। সে যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচল। যেন বড় একটি পাথর বসে ছিল তার ভেতরে।

    সে যখন তার গাড়ির কাছে গেল তখন পুরনো খাঁকি শার্ট প্যান্ট পড়া একটি লোক তার সামনে এসে দাঁড়াল। লোকটির কাঁধে ঝোলানো চটের ব্যাগ। মুখ ভাঙ্গা, লম্বায় ৬ ফুট হবে।

    লোকটি চিকন গলায় বলল, “স্যার, আপনার সাথে একটু কথা ছিল। আজকের সন্ধ্যাটা দারুণ।”

    সাইফুর রহমান সন্দিগ্ধ চোখে তাকিয়ে বিরক্ত কন্ঠে জিজ্ঞেস করল, “কি কথা?”

    লোকটি বলল, “স্যার, আপনাকে একটা কথা বলি। আমাদের সবারই বিনোদনের দরকার আছে।”

    সাইফুর রহমান বিরক্ত হয়ে বলল, “আপনি আমার সামনে থেকে সরেন। আমি গাড়িতে ঢুকব।”

    লোকটি বলল, “স্যার বিরক্ত হবেন না। আমি একটি গুরুত্বপুর্ণ কাজে আপনার কাছে এসেছি।”

    “কি কাজ?”

    “স্যার, এখান থেকে এই মাত্র বিশ মিনিটের পথ গেলেই রয়েছে পৃথিবীর বিখ্যাত চিড়িয়াখানা ওয়ান্ডারল্যান্ড। দুনিয়ার সব আজব আজব পশুপাখির যেন এক খনি স্যার। কি নেই সেখানে! যত প্রাণী আপনি দেখেছেন, যত প্রাণীর কথা আপনি ভেবেছেন জীবনে, সব আছে এখানে।”

    “কিন্তু চিড়িয়াখানার ব্যাপারে আমার বিন্দুমাত্র কোন আগ্রহ নেই। আপনি দয়া করে যান। আমি নিজেই অনেক সমস্যায় আছি।”

    “স্যার, আপনি যে সমস্যায় আছেন তা বুঝেই এসেছি। আপনার ভিতরে বড় এক পাথর বসে ছিল। মানুষ নিজেদের ভেতরের পাথর নামাতেই ওয়ান্ডারল্যান্ডে যায় স্যার। আমি তাই আপনার কাছে এসেছি। আমি চিড়িয়াখানার এজেন্ট।”

    সাইফুর রহমান কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে ভাবল। তারপর প্রায় ধাক্কা দিয়ে লোকটিকে সরিয়ে গাড়িতে উঠে স্টার্ট নিল। লোকটি তার কাঁধে ঝুলানো ব্যাগ ধরে চলে যাওয়া গাড়ির দিকে তাকিয়ে ছিল।

    সে বাসায় গিয়ে শুনল তার মা সারাদিনে স্যুপ ছাড়া কিছু খান নি। সারাক্ষণ চাদর দিয়ে শরীর ঢেকে রেখেছেন। সাইফুর রহমান বাসায় প্রবেশ করতেই তিনি তার ফ্যাসফ্যাসে গলায় হাঁক ছাড়লেন, “সাইফুর, সাইফুর...”

    সম্ভবত তিনি তার এন্টেনার মাধ্যমে তার উপস্থিতি টের পেয়েছিলেন।

    সাইফুর রহমান দরজার পাশে গিয়ে বলল, “কি? ডাকছেন কেন?”

    তিনি বললেন, “খাটে এসে বস।”

    সাইফুর রহমান গিয়ে বসলেন। গুলবাহার বানু তার এন্টেনা নাড়াতে নাড়াতে বললেন, “তোর বউ আমারে মাইরা ফেলব।”

    সাইফুর রহমান অবাক হয়ে বললেন, “কেন? কি হয়েছে?”

    “তোর ছোট পোলায় আসছিল আমার কাছে। সে বলল তার মা তাকে বলেছে তেলাপোকার মাথা কাটলেও বেঁচে থাকে। তোর ছোট পোলায় আমারে বলে, “দাদী তোমার মাথা কাটলেও কি বেঁচে থাকবে?”

    “সত্যিই তো তেলাপোকার মাথা কাটলে বেঁচে থাকে।”

    “তাইলে তুই ও তর বউয়ের মত কথা কস!”

    সাইফুর রহমান দ্রুত খাট থেকে উঠে রুম থেকে বেরিয়ে গেল। তার মা গুলবাহার বানু ইতিমধ্যে ফ্যাসফ্যাসে গলায় তর্জন গর্জন শুরু করেছেন। পাশের টেবিলে রাখা জিনিসপত্র শুঁড় দিয়ে মেঝেতে ফেলছেন। কিন্তু চাদরটা ফেলে উঠছেন না। কারণ তেলাপোকারা স্বভাবগতভাবে থিগমোট্রোপিক।

    খাবার টেবিলে রাতের খাবার খেতে খেতে তার স্ত্রী জিজ্ঞেস করল, “কি ব্যবস্থা করলে? এখানে থাকা তো অসম্ভব হয়ে পড়েছে।”

    সাইফুর রহমান বলল, “কাল সকালে নিতে লোক আসবে।”

    তার স্ত্রী একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল। মনে হল তার ভিতরেও একটা পাথর ছিল।

    সেদিন রাতে বিছানায় ঘুমানোর আগে সাইফুর রহমান তার স্ত্রী কে জিজ্ঞেস করল, “আচ্ছা, মানুষের ভেতরে কি পাথর থাকতে পারে?”

    তার স্ত্রী প্রথমে বেশ অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিল। তারপর হাসিমুখে বলল, “অবশ্যই থাকতে পারে। পারবে না কেন? পাথর, পাহাড়, বাড়ি, ঘর সব থাকে তোমার ভেতরে।”

    সে রাতে তারা বেশ নির্ভার ছিল। দুজনের ভেতরের পাথরই নেমে গেছে। সুতরাং, তারা কিছুক্ষণের মধ্যে একে অপরকে শারিরিক এবং মানসিকভাবে অনুভব করা শুরু করল। অতঃপর ঘুমিয়ে গেল।

    পরদিন সকালে অল্ডহোম থেকে তিনজন লোক এল একটা বড় ভ্যানগাড়ি নিয়ে। তারা তিনজন মিলে সাইফুর রহমানের মা কে টেনে ভ্যান গাড়িতে নিয়ে তুলল। তিনি প্রথমে যেতে চান নি। ফ্যাসফ্যাসে গলায় চিৎকার জুড়ে দিয়েছিলেন। অল্ডহোমের অভিজ্ঞ লোকরা পরিস্থিতি বুঝতে পেরে ইনজেকশন দিয়ে তাকে অজ্ঞাণ করে ভ্যানে নিয়ে তুলল এবং চলে গেল।

    সকালে নাস্তার টেবিলে বসে সাইফুর রহমানের স্ত্রী জিজ্ঞেস করল, “আজ তোমার অফিস আছে?”

    সাইফুর রহমান বলল, “হ্যা আছে। তবে ভাবছি যাবো না।”

    “কেন? শরীর খারাপ?”

    “না, ভাবছি চিড়িয়াখানায় যাবো।”

    “চিড়িয়াখানা?”

    “হ্যা, চিড়িয়াখানা। ওয়ান্ডারল্যান্ড, শহরের কিছুটা বাইরের দিকে অল্ডহোম থেকে বিশ মিনিটের পথ। তুমিও তৈরী হয়ে নাও। একসাথে যাবো। সেখানে অনেক পশুপাখি আছে।”
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৯ জানুয়ারি ২০১৬ | ১৩৩২ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    হেলেন - Muradul islam
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Div0 | 132.179.23.163 (*) | ১০ জানুয়ারি ২০১৬ ০১:৩৮58077
  • দুরন্ত! সিমপ্লি ওয়াও!
  • ranjan roy | 24.99.218.169 (*) | ১০ জানুয়ারি ২০১৬ ০৩:২৫58078
  • খুব ভালো লাগল, আরো পড়তে চাই।
  • dd | 116.51.29.235 (*) | ১০ জানুয়ারি ২০১৬ ০৪:৪০58071
  • যাস্ট বাঃ বলার মতোন গল্প তো নয়।

    একদম ধারালো ছুরির মতোন।

    গথিক? এইসব গল্পগুলোকেই গথিক গল্প বলে?
  • Blank | 24.96.70.67 (*) | ১০ জানুয়ারি ২০১৬ ০৮:৪৭58072
  • উরিত্তারা।
  • T | 165.69.183.63 (*) | ১০ জানুয়ারি ২০১৬ ১০:২৩58073
  • জ্জিও বস।
  • | 24.97.36.227 (*) | ১০ জানুয়ারি ২০১৬ ১১:১১58074
  • উফফ! দুর্ধর্ষ!!

    এঁর গল্প আমি আরো কোথায় যেন পড়েছি। গুরুতেই কি? ধার আছে কলমে।
  • robu | 11.39.37.214 (*) | ১০ জানুয়ারি ২০১৬ ১১:৪৭58075
  • সুন্দর!!
  • pi | 192.66.43.209 (*) | ১০ জানুয়ারি ২০১৬ ১১:৫০58076
  • গুরুতে বেশ কিছুদিন ধরে মুরাদুলের লেখা আর গল্প বের হচ্ছে তো। এই পুজোতেও বেরিয়েছিল।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন