এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • #সফরনামা -২

    Roshni Ghosh লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৯ নভেম্বর ২০১৬ | ১৪৮৪ বার পঠিত
  • আমার ছোটবেলার গার্লস স্কুলে সব বন্ধুবান্ধবই প্রায় ছিল বাঙালি হিন্দু মধ্যবিত্ত পরিবারের। তাবলে ঈদের নেমন্তন্ন বাদ পরেনি। আমার এক পিসি এক মুসলিম পরিবারে বিয়ে করেছেন। সেখানে অনেকবারই কব্জি ডুবিয়ে খেয়েছি ঈদের নেমন্তন্ন। বাবার বন্ধুবান্ধবদের বাড়িতেও খেয়েছি ঈদের দিন। ছোটবেলা থেকে বাবা মা শিখিয়েছিলো ধর্মীয় দিকটা না দেখে যেকোনো উৎসবের সামাজিক চেহারাটা দেখতে। তাই পুজোয় যেমন চারদিন ঘুরেছি, ঈদের নেমন্তন্ন বা খৃস্টমাসের হুল্লোড় কোনোটাই বাদ পড়েনি উৎসবের তালিকা থেকে।
    উচ্চমাধ্যমিক শেষ করেই আমি সোজা পাড়ি দি ব্যাঙ্গালোরে, বি.এস.সি পড়তে। নতুন স্বাধীন জীবন, নতুন শহর, নতুন নতুন সহপাঠী-সহপাঠিনী। আর এখানেই প্রথম দেখলাম ডাইভারসিটি কাকে বলে। চৌষট্টি জন ক্লাসমেটের মধ্যে ভারতের সব রাজ্যের রিপ্রেসেন্টেটিভ তো ছিলই বাড়তির মধ্যে সেশেলস আর শ্রীলংকার থেকেও কিছু সহপাঠী পেলাম। প্রথম বছরে সবারই সারাক্ষন ৱ্যাগিং চলছে, তার ওপরে সম্পূর্ণ নতুন সাবজেক্ট, হোস্টেলবাস। খুব তাড়াতাড়িই বন্ধু হয়ে উঠি আমরা সবাই। এই ক্লাসেই প্রথম আলাপ হয়েছিল নুজরার (নাম পরিবর্তিত) সাথে। নুজরা, কাশ্মীর থেকে আসা আমার ছয় সহপাঠিনীর একজন। ধপধপে ফর্সা চেহারায় একমাথা চুলের একটা মোটা বিনুনি, চশমার মোটা কাঁচের আড়ালে থাকা চোখগুলো যেন সবসময় হাসছে। ক্লাসের আড্ডায় হাসি ঠাট্টা করে আসর জমাতে কোনো জুড়ি ছিলোনা ওর। কথায় কথায় আচমকা দমকা হাওয়ার মতন হাসি, আর কারোকে পছন্দ হলেই তাকে ডালমুত (কাশ্মীরি ভাষায় পাগল ) বলে ডাক। বাবা মায়ের একমাত্র মেয়ে। একটু জেদ করেই পড়তে এসেছিলো ব্যাঙ্গালোরে, মাঝে মাঝেই গল্প করতো ওর ছোটবেলার, ওর বাড়ির। আমিও বলতাম, আমার বাড়ির গল্প।
    কলেজের প্রথম দুটো বছর আমরা ক্লাসমেটেরা অনেকেই দলবেঁধে কোনো হোটেলে যেতাম ঈদ সেলেব্রেট করতে, কারণ কলেজ হোস্টেলে ঈদ উপলক্ষে কোনো আলাদা খাবার দেওয়া হতোনা। থার্ড ইয়ারে যখন পড়ি, একদিন কলেজ লাইব্রেরিতে বসে বসে মন দিয়ে প্রাকটিক্যাল খাতায় আঁকছি, এমন সময় নুজরা এসে ধরলো, ও আর বাকি কাশ্মীরিরা মিলে হোস্টেল ছেড়ে বাড়ি ভাড়া নিয়েছে, তাই এবার ওরা বাড়িতেই ঈদ সেলেব্রেট করবে। আমার নেমন্তন্ন। নেমন্তন্ন করেই প্রশ্ন, "তু পাক্কা আয়েগী না ? তুঝে কি প্রব্লেম তো নাহি হ্যায় হামারি সাথে খানা খানে?" কি আর উত্তর দেব একথার? বললাম "ডালমুত, চুপ রহ, কোই খানা খিলায়ে তো ম্যায় জহরভি পি লুঙ্গি, পর খানা আয়েঙ্গে কাঁহাসে? আকবর?" উত্তরে একদল দমকা হাসির সাথে ইরাম বললো ওরাই রাঁধবে এবার ঈদের খাবার, ওদের কাশ্মীরের বাড়ির খাবার। এই প্রথম আমি গেলাম, আমার কোনো বন্ধুর ডাকা ঈদের নেমন্তন্নে। ওখানেই প্রথম খেয়েছিলাম, গুস্তাবা, রিশতা, কাশ্মীরি বিরিয়ানি, রোগান জোশ। মেয়েগুলো সারাদিন ধরে রান্না করেছিল ওদের দেশের খাবার, সারাদিন ধরে হাসি ঠাট্টা, রজারের গিটার, মোহনের বেসুরো গলার গান সাথে আমার সঙ্গত, যে যার বাড়ির উৎসবের গল্প, সব মিলিয়ে খুব জমে উঠেছিল আমাদের সেবারের ঈদ।
    তা এটা প্রায় বছর বারো আগের কথা। তারপর বি.এস.সি শেষ করে আমি কলকাতা চলে আসি, তারপর পাড়ি দিই আমেরিকাতে। আমার তখনকার বন্ধুবান্ধবেরাও সব ছিটকে গেছে সারা পৃথিবীতে। তবে হোয়াটসআপ বা ফেবুর কল্যানে মোটামুটি যোগাযোগ আছেই সবার সাথেই। নুজরা এখন রিয়াদে, একটা হসপিটালে রিসার্চার, বিয়ে হয়ে গেছে। ওর বরও ওই হাসপাতালেরই ডাক্তার। মোটামুটি কথা হয় মাঝেসাঝে। কালকে অফিস থেকে বেরিয়ে ভাবলাম ফোন করি ওকে একটা, বহুদিন কথা হয়নি আর তাছাড়া ঈদ মুবারাকও বলা যাবে। ফোন তা ধরতেই ওর গলাটা একটু কেমন লাগলো, বিষন্ন ম্রিয়মান। ঈদ মুবারক বলতে বললো, "হাঁ, আজ ঈদ হ্যায়," জিগেস করলাম তুই ঠিক আছিস তো.. কিছুক্ষন চুপ, তারপরে একটা আচমকা শব্দ ভেসে এলো ফোনে, কেউ প্রানপনে কান্না চাপতে গেলে যেমন হয়. কি হলো রে? উদ্গত কান্না সামলাতে সামলাতে বললো "ফায়াজ আজ চারদিন হলো ইন্ডিয়া গেছে তার মায়ের শরীর খারাপের জন্য, ও এখনো জানেনা ফায়াজ পৌঁছেছে কিনা ঠিকঠাক। জিজ্ঞাসা করলাম "ফোন করিসনি?" "কাকে করবো রে? জুলাই মাস থেকে কাশ্মীরে মোবাইল সার্ভিস বন্ধ, মোবাইল ইন্টারনেটও, ল্যান্ডলাইনে আইএসডি ব্লকড, পাছে কেউ পাকিস্তানে যোগাযোগ করে ফেলে, আর ল্যান্ডলাইনে ইন্টারনেট ও সরকারের মর্জির ওপর খোলাবন্ধ থাকে।" কাঁদতে কাঁদতে কথা গুলো ভেসে আসছিলো দূর থেকে "জানিস রোশনি, মা মারা গেছেন হলো কিছুদিন হলো, আমার বুড়ো বাবাটা একা একা পড়ে আছে বাড়িতে। আজ বাবার কিছু একটা হলে ৭২ ঘন্টা লাগবে আমাকে খবর দিতে, কারণ কাশ্মীর থেকে বেরিয়ে আমাকে ফোন করতে হবে। তুইও তো আছিস বাড়ির বাইরে, ভাবতে পারছিস আমার অবস্থাটা?তোর কিরাম লাগতো আমার জায়গায় থাকলে?" আরো অনেক কিছু বলে যাচ্ছিলো নুজরা, আরো অনেক কিছুই, কিন্তু আমার কানে আর ঢুকছিল না কিছু।
    আমি চোখের সামনে কতগুলো কোলাজ দেখতে পাচ্ছিলাম পরপর। দশ বছর বাড়ির বাইরে আছি। রোজ সকালে অফিসে যাওয়ার জন্য বেরিয়েই প্রথম ফোনটা বাড়িতে করি, মায়ের ফোনে না পেলে বাবারটায় সেটাও না পেলে বোনকে। কারোকে ফোনে না পেলেই বুকের মধ্যে ঢিপঢিপ শুরু করে দেয়, যতক্ষণ না বাড়ির ফোন পাই, ততক্ষন দুরুদুরু কমে না। চব্বিশ ঘন্টা ফোন অন করা থাকে, পাছে বাড়ির কোনো খবর মিস করে যাই। তার সাথেই চোখে ভাসছিলো আরো কিছু ছবি। আসন্নপ্রসবা এক তরুণী একটা তিন বছরের বাচ্ছাকে কোলে আঁকড়ে ঈদের দিন অন্ধকারে চুপচাপ বসে আছে ফোনটা হাতে ধরে, এক যুবক ঈদের কারফিউ উপেক্ষা করে বাড়ি বাড়ি খোঁজ নিচ্ছে যদি কারোর ল্যান্ডলাইনে ইন্টারনেট কাজ করে তাহলে বৌকে খবর দেবে সে ঠিকঠাক পৌঁছে গেছে, এক বিপত্নীক বৃদ্ধ কাঁপা কাঁপা হাতে বিএসএনএলের ডায়াল আপটা কানেক্ট করার প্রানপন চেষ্টা করে চলেছেন, বছরকার দিনে একমাত্র মেয়ের গলাটা একবার শুনবেন বলে আর বাইরে চলেছে মিলিটারি-বিক্ষুব্ধদের হুঙ্কার আর গুলির শব্দ। ফোনটা রাখার আগে নুজরা জিগেস করছিলো "বলতো রোশনি তুই আর আমি কি সত্যিই একই দেশের বাসিন্দা? ইন্ডিয়ান গভর্নমেন্ট সবসময় বলে কাশ্মীর ভারতের অংশ, সত্যি কি তুই আর আমি একই ভারতে থাকি?" উত্তরটা কাল থেকে খুঁজে চলেছি আমি, জবাব পাইনি এখনো।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৯ নভেম্বর ২০১৬ | ১৪৮৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kihobejene | 22.208.161.126 (*) | ০৯ নভেম্বর ২০১৬ ০৭:৪১54778
  • bhalo laaglo; ekta proshno mone hoi je era beriye aschen na keno kashmir theke? eto ta koshto kore bhite aankre pore thakar ki maane acche? jani proshno ta sohoj - ebong bohudiner immigrant bole bhite mati r proti taan tao alga; tobe apnar imagery tab bhalo laaglo ... opporer situation amar bou thaakle ji oboshta hoto bhabtei bhoi ta chepe dhore
  • d | 144.159.168.72 (*) | ১০ নভেম্বর ২০১৬ ০৫:২০54779
  • মহান ভারতরাষ্ট্র এরকম কত যে লোককে জাস্ট গিলে ফেলেছে!! দিল্লীর সেই ছাত্রটির আজ ২৩ দিন হল কোনও খবর নেই।

    কিঞ্চিৎ অপ্রাসঙ্গিকঃ পশ্চিমবঙ্গে থাকাকালীন আমি কোনোদিন কোনো ঈদের নেমন্তন্ন পাই নি। কলকাতার বাইরে বিশেষতঃ পশ্চিম ও দক্ষিণ ভারতে নানারকম সংস্কৃতির সাথে মেলামেশার সুযোগ মনে হয় অনেকটাইক বেশী। পশ্চিমবঙ্গে ঘেটৈজম বেশী।
  • Roshni Ghosh | 34.38.10.6 (*) | ১০ নভেম্বর ২০১৬ ০৭:৩২54784
  • আমার পিসি মুসলিম, তাই কলকাতায় থাকাকালীন রেগুলারলি ওদের বাড়িতে নেমন্তন্ন খেয়েছি। কিন্তু নিজের বন্ধুর বাড়িতে ঈদের নেমন্তন্ন বাঙ্গালোরেই প্রথম।
  • মনোজ ভট্টাচার্য | 113.252.166.34 (*) | ১০ নভেম্বর ২০১৬ ১০:৪৮54780
  • রোশনি,

    আপনাকে এই কারনে ধন্যবাদ জানাচ্ছি যে আপনি খোলা চোখে সব কিছু দেখছেন ! এক চোখো হরিণের মতো - এক দিকটাই দেখছেন না !

    কয়েকদিন আগে বউবাজারের মোড়ে দেখলাম একটা ছোটো জমায়েত ! কাশ্মিরীদের নিজের ভাগ্য বাছতে দেওয়া হোক ! স্বাধীনতার সত্তর বছর পরেও কেন কাশ্মিরীরা পরাধীন !

    আমরা জানি কাশ্মিরীরা নিজেদের ছেলে মেয়েদের শুধু বাঁচিয়ে রাখার জন্যে দিল্লি মুম্বাই ইত্যাদি বড় শহরে পাঠিয়ে দেয় ! কাশ্মীরে রাখা নিরাপদ নয় !

    মনোজ
  • Kashmir | 165.136.184.9 (*) | ১০ নভেম্বর ২০১৬ ১২:১৯54781
  • ২০১১ তে কাশ্মীর বেরতে গেছিলাম, পোস্ট পেড ফোন কাজ কোরেছিলো, ঈন্তের্নেত ও ।।
    কেনো এগুলো বোন্ধো কোরার দর্কার পোর্লো এক্তু বোল্বেন ?
  • সিকি | 192.77.5.206 (*) | ১০ নভেম্বর ২০১৬ ১২:২৩54782
  • জুলাইআগস্ট মাসে পোস্টপেড ফোন নিয়ে কাশ্মীরে আরেকবার বেড়িয়ে এলে বুঝতে পারতেন। আপাতত শহর শ্রীনগরে বোঝানো চাপ, অবশ্য যদি কাশ্মীর বলতে ডোডা কিশ্তওয়ার কুনান পোশপোরা এইসব এলাকা ঘুরতে চান, তা হলে আজও ঘুরে আসতে পারেন।
  • pi | 11.39.56.185 (*) | ১০ নভেম্বর ২০১৬ ১২:৩২54783
  • কী বলি। খারাপ লাগা আর রাগ হওয়া ছাড়া আর তো কিছু করার নেই।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে প্রতিক্রিয়া দিন