এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • #সফরনামা -0

    Roshni Ghosh লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৫ নভেম্বর ২০১৬ | ১২৪৮ বার পঠিত
  • প্রথম লেখা, একটু লম্বা হয়ে গেলো। ক্ষমা-ঘেন্না করে পড়ে নেবেন সবাই।

    ২০০৬ সালের জুলাই মাস। বিদেশে পড়তে যাওয়ার আগে বাড়ি শুদ্ধু সবাই মিলে ফ্যামিলি ট্রিপ। প্রথমে যাওয়া হলো হায়দ্রাবাদ, সেখান থেকে আরাকু ভ্যালি। ভালোই লাগছে। এক মাস পরে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাইরে চলে যাবো সেটা ভেবে একটু মন খারাপ ও লাগছে। ট্রিপ প্রায় শেষ। এরপরে ভাইজাগ, ঋষিকোন্ডা হয়ে বাড়ি। ভাইজাগ এ হোটেল বুকিং নেই, ঋষিকোন্ডায় আছে। এমন সময় আমাদের হোটেল এর ম্যানেজার সন্ধান দিলেন এক নতুন জায়গার। ভিমুলিপত্তনম বা ছোটো করে ভীমলি। ভাইজাগ থেকে মাত্র ঘন্টা দেড় দুয়েকের দূরে। জায়গাটা নাকি খুব সুন্দর আর একদম টুরিস্টের ভিড় নেই। একটা ভালো হোটেলও আছে। আর লোক যায়না বলে গেলেই সাথে সাথে বুকিং পাওয়া যায়। আমরা ঠিক করলাম ভাইজাগ যাওয়ার পথে ভীমলি যে একরাত থেকে পরদিন ভাইজাগ যাবো। যে কথা সেই কাজ। সকাল সকাল উঠে একটা লজঝরে বসে করে ভীমলি নামলাম প্রায় দুপুর দুটোয়। কিছুই খাওয়া জোটেনি রাস্তায় আর বাস এর ঝাঁকুনির জন্য মোশন সিকনেসও হয়েছে ভালোই। তাড়াতাড়ি হোটেলে গিয়ে ফ্রেশ হওয়ার প্ল্যান। কিন্তু হোটেল খুঁজতে গিয়ে আরেক সমস্যা। একে তো দুপুর বলে রাস্তায় লোকজন প্রায় নেইই, তার ওপরে ভাষা সমস্যা, লোকে তেলেগু ছাড়া কিছুই বোঝে না। তার ওপরে নৈবেদ্যের চুড়ো হলো স্থানীয় লোকজন হোটেলের কথা শুনেই আকাশ থেকে পড়ছে। অনেক বোঝাবার পরে একটা ভাঙাচোরা বাড়ির হদিশ পাওয়া গেলো, সেটাই নাকি হোটেল। ভেতরের অবস্থা দেখে প্রায় কান্না পাওয়ার জোগাড়। একে অন্ধকার ঘুটঘুটে ঘর, আলো ঢোকে না, তার ওপরে বিকট গন্ধ। পুরো ভীমলিতে এই নাকি একমাত্র হোটেল। হাল ছেড়ে দিয়ে মানে মানে ভীমলি না দেখেই পালাবো ভাবছি এমন সময়, হোটেল ম্যানেজার বললেন সমুদ্রের ধরে নাকি একটা বাড়ি আছে, যার মালিক মাঝে মাঝে লোকজনকে বাড়ি ভাড়া দেন। আমার মা কথাটা শুনেই রিফিউজ করে দিলো। আর বাড়ি দেখবে না, এক্ষুনি ভাইজাগ যাবে। যাহোক মা কে বুঝিয়ে শুনিয়ে, একবার দেখে, খারাপ হলেই চলে এই সব প্রবোধ দিয়ে একটা গাছতলায় বসিয়ে দিলো বাবা। বোন ও রইলো মাকে সঙ্গ দিতে। বাবা আর আমি চললাম সমুদ্রের দিকে, সেই বাড়ির খোঁজে।
    বাড়িটার নাম নাকি সাগরিকা। বাবা কে বললাম নামটা কিরম বাঙালি বাঙালি গন্ধ ছাড়ছে না? বাবা বললো আফটার অল এটা তো একটা সংস্কৃত শব্দ। যাওয়ার পথে একদল বাঙালির সাথে দেখা। এরা ভাইজাগ এ থাকেন। ডে ট্রিপে এসেছেন বেড়াতে। সাগরিকার নাম শুনেই বললেন "বুড়ো আপনাদের থাকতে দেবে না, খুব চুজি। তার থেকে আমাদের সাথে ভাইজাগ ফিরে চলুন। ওখানে আমরা ব্যবস্থা করে দেব।" কিন্তু ততক্ষনে আমরা সমুদ্রের কাছেই পৌঁছে গেছি। বিচটা দেখে আমি, বাবা দুজনেই মুগ্ধ। ভদ্রলোকদের ধন্যবাদ দিয়ে বললাম"এদ্দুর এসেছি যখন একবার চেষ্টা করেই যায়,নইলে রাতের বাস তো আছেই।" ভদ্রলোকেরা "ভালোর জন্যই বলেছিলাম। কেউ পাগলামি করলে আমরা আর কি করবো ..." বলতে বলতে চলে গেলেন। আর একটু হেঁটে বাড়িটার সামনে পৌঁছলাম। ছোটোখাটো দোতলা বাড়ি, সামনে রুমালের মতন একটুকরো লন। লনের সামনে নারকেল গাছের বর্ডার। সামনের গেট খুললেই রাস্তা আর রাস্তার ওপাড়ে ফাঁকা বিচ আর খোলা সমুদ্র। দেখেই মনটা ভালো হয়ে গেলো। থাকতে হলে এরম জায়গাতেই থাকতে হয়। কিন্তু প্রশ্ন টা হোলো ভদ্রলোক কি থাকতে দেবেন? গেটে দিয়ে ঢুকতে ঢুকতে মনে পড়লো তাড়াহুড়োয় ভদ্রলোকের নামটা অবধি জিগেস করে আসা হয়নি।

    সে যাকগে আর কি করা যাবে। ঢুকে, দরজায় নক করতেই এক প্রৌঢ় বেরিয়ে এলেন। হাসি খুশি মুখ, পরনে সাদা লুঙ্গি আর গেঞ্জি। ভেতরে নিয়ে বসালেন, তারপর জিগেস করলেন কি চাই? ততক্ষনে অচেনা মুখ দেখে কৌতূহলী হয়ে ওনার স্ত্রীও দরজার কাছে এসে দাঁড়িয়েছেন। বললাম ওদেরকে "বিদেশে চলে যাবো, কবে ফিরবো জানিনা। বাড়ির সবার সাথে যাওয়ার আগে একবার বেড়াতে এসেছি।" বাবা সাথে সাথে যোগ দিলো যে ভীমলির হোটেল দেখে খুব হতাশ হয়ে এখানে আসা। ভদ্রলোক চুপ করে শুনছিলেন, হঠাৎ ওনার স্ত্রী তামিলে কথা বলে উঠলেন আর ভদ্রলোক বললেন "কোনো অসুবিধে নেই, আপনারা এখানেই থাকবেন। শরবত খাবেন এখন? গরমে ভালো লাগবে।" আমরা বললাম মা র বোনকে গাছতলায় বসিয়ে এসেছি (কিরম হিন্দি সিনেমার মতন শোনালো না ডায়লগটা?), ওদের নিয়ে এসেই একেবারে শরবত খাবো। ভদ্রলোক এক পেল্লায় ধমক দিলেন আমাকে। মর্মার্থটা হলো কিরম মানুষ আমরা যে এরম রোদের মধ্যে মা দেরকে রাস্তায় ছেড়ে এসেছি। এক্ষুনি ওদেরকে আনতে হবে। শুধু তাই নয়, ভদ্রলোক ও চললেন আমাদের সাথে মা আর বোনকে নিয়ে আসতে। যেতে যেতে বললেন "আমার নাম রাজু। তুমি বরং আমাকে রাজু আঙ্কেল ডেকো।"

    মাদের কাছে গিয়েও আরেকপ্রস্থ ক্ষমা চাইলেন ভদ্রলোক যে এই রোদের মধ্যে এতক্ষন বাইরে বসতে হয়েছে দেখে। আমাদের দেখে এতক্ষন দেরি করেছি বলে মা সবে রাগারাগির প্রস্তুতি নিচ্ছিলো, হঠাৎ এরম ক্ষমাপ্রার্থনায় কিরম ঘাবড়ে গিয়ে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলো। সে যাকগে বাড়িতে পৌঁছেই দেখি, গরম গরম খাবার রেডী। আন্টি তেলেগু ছাড়া অন্য ভাষা জানেন না। আঙ্কেল বললেন আমাদের কথা শুনে আন্টি বুঝেছেন যে সারাদিনে কিছু খাওয়া জোটেনি, তাই সাথে সাথে এই আয়োজন আরকি। ও হ্যাঁ, এই এতো কথা মধ্যে কিন্তু পয়সার কথা এক বার ও ওঠেনি তখন। বরং দুজনের ভাব এমন যে অনেক দিন পর কোনো আত্মীয় বাড়িতে এসেছে। খেতে খেতে শুনলাম ওঁরা স্বামী-স্ত্রী থাকেন এই বাড়িটাতে। ছেলেমেয়ে বাইরে। একাকিত্ব কাটানোর জন্য বাড়িতে ফরেনারদের ভাড়া দেন. হোম-স্টের আর্লি ভার্সন আর কি। খাওয়াদাওয়া মিটলে আঙ্কেল বাবাকে বললেন যে বাড়িতে বেডরুমগুলোতে কিছু কাজ চলছে। মাত্র একটা বেডরুমে ব্যবহারযোগ্য আর লিভিং রুমটায় শোয়া যায়। বাবা সবে বলতে যাচ্ছে যে লিভিংরুমটাতেই আমরা চারজন শুয়ে পরবো, আঙ্কেল বললেন "সেটা হবে না। ওপরের ঘরে বড়ি আর ছোটি শোবে আর আমরা চারজনে এই লিভিংরুমে। আন্টি ও দেখলাম মাথা নেড়ে নেড়ে সায় দিলেন কথাটায়। ওপরের ঘরটায় গেলাম। খুব বড়ো নয়, ছোটই ঘর কিন্তু সমুদ্রের দিকের দেওয়ালটা পুরো কাঁচের, সামনে তাকালে নারকেল গাছের ফাঁক দিয়ে সমুদ্র দেখা যায়. আর বিছানাটা ....গোল. সত্যি বলছি এরম বিছানা এর আগে হিন্দি সিনেমার নায়িকার ঘরে ছাড়া দেখিনি। আমাদের মুখগুলো দেখে আঙ্কেল খুব মজা পেয়ে হাসলেন, তারপর বললেন পরদিন সকালে ডেকে দেবেন। বিছানা থেকে শুয়ে শুয়ে সূর্যোদয় দেখতে।
    এরপর আমরা দলবল মিলে চললাম ভীমলি দেখতে। বলাবাহুল্য আঙ্কেলও সাথে যাচ্ছেন। উনিই ট্যুর গাইড। যেতে যেতে বললেন এই ভীমলিতেই নাকি ভীম আর বকাসুরের যুদ্ধ হয়েছিল। সেথেকেই শহরের নাম। যেতে যেতে দেখালেন একটা নদী এসে সমুদ্রে মিশেছে। সন্ধ্যে হয়ে এসেছে ততক্ষনে। জেলেরা সারাদিনের ধরা মাছগুলোকে বের করছে নৌকো থেকে। দরাদরি করে কিছু মাছ কেনা হলো. এবার আবার হাঁটতে হাঁটতে ফেরত যাবার পালা। গিয়ে দেখি আন্টির রান্না প্রায় শেষ। সদ্য কেনা মাছগুলো ভাজা হলো। ইতিমধ্যে লোডশেডিং। আঙ্কেল বললেন কুছ পরোয়া নেহি, আজকে আমরা বাইরে ডিনার করবো। আঙ্কেল এর নির্দেশে আমি আর বোন দুজনে ধরে বাইরে নিয়ে লনের মধ্যে টেবল সেট করলাম। তার পরে দুই বোনে হাতে হাতে সাজিয়ে ফেললাম টেবিলটা। বাইরে আলো নেই। তাই লণ্ঠনের আলোয় খাওয়া হলো ডিনার। ক্যান্ডেললাইটের উপায় নেই, হাওয়ায় নিভে যাবে। চারপাশে কোনো আলো নেই। আর সমুদ্রের গর্জন ছাড়া কোনো আওয়াজ ও কানে আসছে না। তারমধ্যেই হাসি-গল্প-আড্ডা মিলিয়ে খাওয়া। আবার ধরে টেবিল,বাসনপত্র ভেতরে রেখে আসা। এবারে মা আর আন্টি হাতে হাতে বাসন মেজে এলো। তারপর শুরু হলো গানের আসর। আঙ্কেল বেশ ভালো গান, আর বাবা ও সুগায়ক। দুজনে মিলে একের পর এক হিন্দি গান গেয়ে চললো বাকিরা শ্রোতা। এর মধ্যেই আঙ্কেল আন্টি বাবামাকে রাজি করিয়ে ফেলেছে ভীমলিতে আরো একদিন থেকে যেতে। ঠিক হয়েছে সকাল সকাল আমরা ভাইজাগ ঘুরতে যাবো আর বিকেলে ভীমলি ফেরত। পরশু এখান থেকেই ঋষিকোন্ডা। রাতে শুয়ে শুয়েও খুব অদ্ভুত লাগছিলো। চিনিনা শুনিনা, সম্পূর্ণ অনাত্মীয় একটি পরিবার এরম আপন করে নেবে, ভাবতেই কিরম অবাক লাগছিলো। সমুদ্রের গর্জন শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়লাম দুবোনে।
    সকাল হতে না হতেই বাবা আর আঙ্কেলর হাঁকডাক শুরু, সানরাইজ দেখবি না? মা কিন্তু ইতিমধ্যে উঠে আন্টির সাথে হাঁটতে হাঁটতে সমুদ্রের পারে চলে গেছে। বাবারাই ওয়েট করছিলো আমাদের দুই মূর্তিকে তুলতে। চোখ কচলাতে কচলাতে বাইরে গিয়ে দেখি, আকাশ টা হালকা নীল আর একদিকে হালকা গোলাপির ছোঁয়া। তাকিয়ে আছি,হঠাৎ করেই টিপিক্যাল ক্যালেণ্ডারের ছবির মতন ভুল করে সূর্যটা উঠে এলো সমুদ্রের বাইরে। আমরাও ধীরে ধীরে ব্রেকফাস্ট খেয়ে ভীমলি চার্চ দেখতে গেলাম। বহুপুরোনো ডাচ সেটেলমেন্ট এটা। এখনো চারপাশে তাদের স্মৃতিচিহ্ন ছড়ানো। আঙ্কেল ধারাবিবরণী দিচ্ছিলেন প্রতিটি জায়গার। এরপর আমরা গেলাম ভাইজাগ ঘুরতে। সন্ধেবেলা ফিরে দেখি আঙ্কেল আন্টি সারাদিন ধরে গুছিয়ে রান্না করে রেখেছেন আমাদের জন্য। আবার সেই বাইরে বসে খাওয়া। তফাৎটা হলো এবারে টেবিলটা ধরে বিচে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। গানের আসরও বসলো এরপরে। আন্টি কিছু তেলেগু গান শোনালেন। পরদিন যাওয়ার পালা। কিন্তু মুখ ফুটে আর সেটা কেউ বলছে না। সবারই বেশ মন খারাপ। সকালে একটা অটো ডেকে আনা হলো। যাওয়ার আগে আঙ্কেল আন্টিকে প্রণাম করতে যাচ্ছি, বুকে জড়িয়ে ধরলেন আন্টি। তারপরেই হাতে একটা প্যাকেট ধরিয়ে দিলেন। খাবারের। রাস্তায় লাগবে, যদি খিদে পায়। বাবা আঙ্কেলকে ডেকে কিছু টাকা দিতে গেলো, আঙ্কেল খুব অফেন্ডেড হয়ে বললো, "বাড়ির লোকের কাছে কেউ টাকা নেয়?" শেষ অবধি মনে হয় একশো টাকা দিতে পেরেছিলো বাবা নাতিনাতনিকে মিষ্টি খাওয়াবার জন্য। ঠিক মনে পড়ছে না। কিন্তু ইতিমধ্যে অটোওয়ালার ধৈর্য শেষ, তাড়া মারছে। একে একে অটোতে উঠে পড়লাম আমরা সবাই। অটো ছাড়তে দেখি আঙ্কেল আন্টির চোখে জল, আমাদের ও।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৫ নভেম্বর ২০১৬ | ১২৪৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • রঙ্গ দারোগা | 108.209.60.71 (*) | ০৫ নভেম্বর ২০১৬ ১১:০৮54801
  • ছুঁয়ে গেল
  • রৌহিন | 113.42.124.223 (*) | ০৬ নভেম্বর ২০১৬ ০৩:৪৩54804
  • আমার নিজের একটা প্রায় এই ধরণের ঘটনার কথা মনে পড়ে গেল। সেটা লিখব - অনুপ্রেরণার জন্য আগাম ধন্যবাদ রোশনি কে
  • De | 192.57.64.192 (*) | ০৬ নভেম্বর ২০১৬ ০৯:১৯54803
  • K খুব ভালো লাগলো ,আরো লিখুন রোশনি!
  • ranjan roy | 192.64.117.122 (*) | ০৬ নভেম্বর ২০১৬ ১২:১৮54802
  • বাঃ, এবার ০১ নম্বর?
    আর এত কিন্তু কিন্তু কেন? একটুও 'বড়' মনে হল না। যথাযথঃ))
  • rabaahuta | 84.90.225.117 (*) | ০৮ নভেম্বর ২০১৬ ০১:৩৯54806
  • খুব ভালো লাগছে সফরনামা।
  • Roshni Ghosh | 160.108.242.93 (*) | ০৮ নভেম্বর ২০১৬ ১২:২৬54805
  • অনেক ধন্যবাদ সকলকে
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন