এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • ব্যবসার রকমফের

    ন্যাড়া লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৯ জানুয়ারি ২০১৯ | ৫২৮ বার পঠিত
  • ভদ্রলোকের সঙ্গে ট্রেনে আলাপ হয়েছিল। সেটা নব্বই দশকের প্রথমদিক। আমাদের তখন কলেজে ফাইনাল ইয়ার। ষোলজনের দল গেছিলাম বম্বে-পুনা-গোয়া। ফেরার সময়ে বম্বে থেকে ট্রেন ধরেছি। একসঙ্গে সব জায়গা পাওয়া যায়নি। আমি, অসীম আর শেখর আলাদা হয়ে গেছি বাকি তেরজনের থেকে। টু-টিয়ার কামরায় আমাদের সঙ্গে ওই ভদ্রলোক । মিস্টার সেনগুপ্ত। মাঝবয়েসী, বছর পঁয়তিরিশ বয়েস। ব্যবসার কাজে বম্বে গেছিলেন, ফিরছেন। খুব মাইডিয়ার লোক। তখন আমাদের যা বয়েস তাতে কেউ বড়দের মতন ব্যবহার করলে কি সিগারেট অফার করলেই দারুণ ভাল লেগে যায়। সেনগুপ্তবাবু সেসব তো করেইছিলেন, এর বাইরেও নানারকম গল্প করে, স্টেশনে-স্টেশনে টুকাটাক খাবার কিনে ভাগ করে দারুণ জমিয়ে নিয়েছিলেন। ওঁর কাছেই প্রথম গাড়ির রিমোট চাবির কথা শুনলাম। "বুঝলেন, বন্ধুর ফ্ল্যাট চারতলার ওপর। গাড়ি নীচে রয়েছে। গাড়ি পরিষ্কার করতে লোক এসেছে। বন্ধু বারন্দা থেকে গিয়ে রিমোট টিপে গাড়ির দরজা খুলে দিল। আবার রিমোটের আরেকটা বোতাম টিপলে গাড়িতে অ্যালার্ম লাগানো আছে, সেটা বেজে ওঠে। কী জিনিস! এখনও কলকাতায় আসেনি।" শুধু তাই নয়, দেখলাম ইঞ্জিনিয়ারিং-এর অনেক খবর টবর রাখেন।

    পৈতৃক ব্যবসা। জিগেস করলাম, কিসের। তাতে দায়সারাভাবে "এই লোক-টোক সাপ্লাই দিই" বলে প্রসঙ্গান্তরে চলে গেলেন। আমরাও আর ওই নিয়ে ঘাঁটাইনি। নানা বিষয়ে আড্ডা চলছে, সেই সঙ্গে চলছে মুখরোচক খাবার, চা আর সিগারেট। আমাদের সস্তার সিগারেট বেরই করতে দিচ্ছেন না। সিগারেট ধরাতে গেলেই নিজের ফিল্টার উইলসের প্যাকেট খুলে বলছেন, "খান, খান।" প্যাকেট ফুরিয়ে গেলে নিজের ব্রিফকেস খুলে কার্টন থেকে নতুন প্যাকেট বের করে নিচ্ছেন। সঙ্গে জিনিস বলতে ব্রিফকেস আর একটা মাঝারি ফাইবার গ্লাসের ভিআইপি সুটকেস। সোনার কেল্লায় লাল্মোহনাবাবুর "জাপানি হ্যায়, জাপানি" স্টাইলের। লোয়ার বার্থের নিচে ঢুকিয়ে রেখেছেন। আমাদের সঙ্গেও জিনিস বিশেষ নেই। একটা করে সুটকেস আর হ্যান্ডব্যাগ। হোল্ডল-টলের বালাই নেই। কাজেই শান্তিপুর্ণ সহাবস্থান।

    দুরাতের ট্রেন জার্নির দ্বিতীয় সন্ধ্যেয় সবাই কিঞ্চিৎ ঢুকুঢুকু করেছি। শেখর এসব খায়না। আমার আর অসীমের ওয়াটার বটলে লিমকা মেশান হোয়াইট রাম ছিল। সেনগুপ্তদা ব্রিফকেস থেকে ছোট চ্যাপ্টা বোতল বের করলেন। ওরকম বোতল তখনও অব্দি ওয়েস্টার্ন ছবিতে ক্লিন্ট ইস্টউডকে শুধু ব্যবহার করতে দেখেছি। সেনগুপ্তদা বললেন, "ফ্যান্সি মার্কেটে চেনা লোক আছে, এনে দিয়েছে।" কিছুক্ষণ পরে সবাইকার মেজাজই বেশ ফুরফুরে। আমরা চেপে ধরলাম, "কালকে ভোরেই তো নেবে যাব। সেনগুপ্তদা, বলুন না, আপনার ব্যবসাটা কিসের? কাকে কী লোক সাপ্লাই দেন?" সেনগুপ্তদা আমাদের দিকে তাকিয়ে লম্বা কটা টান দিলেন সিগারেটে। "শুনবে?" ততক্ষণে উনি আপনি থেকে তুমিতে নেবে এসেছেন। আমরা চুপ করে তাকিয়ে আছি। "চোর সাপ্লাই দিই, বুঝলে, চোর সাপ্লাইয়ের বিজনেস আমার।" চোর সাপ্লাই! বলে কী? আমরা পুরো ঘেঁটে ঘ। মুখ দিয়ে কোন কথা বেরোচ্ছে না।

    "চোরেদের খুব ডিম্যান্ড। এই ধর বিয়ে বাড়ি। বাড়ির কর্তা খান দুয়েক চোর ভাড়া করল আমাদের কাছে। বিয়ের কদিন ফুরনের লোক সেজে থাকবে আর আত্মীয়-স্বজন যারা আসবে তাদের খুচরো টাকাকড়ি, গয়নাগাটি হাতিয়ে নেবে। বিয়ের খরচা কর্তার কিছুটা উঠে আসবে। আমরা তো কমিশনে কাজ করি। তাই হিস্যা ভাগাভাগি। তারপর ধর ডিটেক্টিভ এজেন্সি যেগুলো আছে, সেগুলো তো সব বিয়ের পাত্রর ব্যাকগ্রাউন্ড আর পরকীয়ার তদন্ত করে। তাদের সঙ্গে আমাদের কন্ট্র্যাক্ট আছে। কার বাড়ি থেকে চিঠিচাপাটি চুরি করে আনতে হবে, প্রমাণ হিসেবে কার গাড়ির লগবুক চুরি করতে হবে, এইসব।" সেনগুপ্তদা থামলেন। চ্যাপ্টা বোতলে চুমুক দিলেন। আরেকটা সিগারেট ধরালেন। আমরা পুরো ব্যোম হয়ে বসে আছি। বাইরে সাঁ সাঁ করে অন্ধকার পিছিয়ে যাচ্ছে। লাইন চেঞ্জের ঘটাং ঘটাং। প্রচন্ড শব্দ করে, আলোতে আলোতে কাটাকুটি করে উল্টোদিকে একটা ট্রেন চলে গেলে।

    সেনগুপ্তদা আবার শুরু করলেন। "তবে এতে আর ক' পয়সা আসে। আসল আমদানী হয় বড় কোম্পানির কন্ট্র্যাক্টে। তোমাদের কারুর কখনও ছাতা চুরি হয়েছে?" কদিন আগেই দিদির বাড়ি যেতে হাওড়া স্টেশনে আমার ব্যাগ থেকে ছাতা তুলে নিয়েছে। অসীমেরও কদিন আগে বেহালা মিনিবাসে ছাতা চুরি গেছে। আমার সেজকাকা এত ছাতা হারায় যে ওনার মাসকাবারিতে একটি করে ছাতা কেনা ধার্য করা আছে। আমরা সমস্বরে বললাম, "তা আর যায়নি?" সেনগুপ্তদা বললেন, "খুব চান্স যে ওগুলো আমাদের চোরেরাই নিয়েছে। বড় বড় যে ছাতা কোম্পানি আছে তাদের সঙ্গে আমাদের কনট্র্যাক্ট আছে। মাসে মাসে একশো-দেড়শো চোর ওদের হয়ে কাজ করে। বাসে, ট্রেনে, স্টেশনে, হোটেলে, মেলায়। ছাতা তুলে নেবে। সে ছাতা আবার কোম্পানিতেই ফেরত যায়। শিক-টিকগুলো ভাল অবস্থায় থাকলে সেগুলোতে নতুন কাপড় লাগিয়ে নতুন ছাতা হিসেবে দোকানে-দোকানে চলে যাবে।" আমরা জিগেস করলাম, "কিন্তু কেন? ছাতা চুরি কেন? আর ছাতা কোম্পানিই বা কেন?" সেনগুপ্তদা ঘোলাটে চোখে বললেন, "বুঝলে না? ডিম্যান্ড তৈরি করতে। একটা ছাতা তো বছরের পর বছর চলে। শুধু ওইভাবে ছাতা বিক্রি করলে ছাতা কোম্পানি লাটে উঠবে। তাই ওরাই চোর লাগিয়ে ছাতা চুরি করায় যাতে লোকে আবার ছাতা কেনে। শুধু ছাতা কোম্পানি কেন, জুতো কোম্পানিও চোর লাগায়। তবে সংখ্যায় অত না। জুতো কোম্পানির চোরেরা বিয়েবাড়ি-টাড়ি, মন্দির-টন্দির এসব জায়গায় কাজ করে। তারপর ধর মল্লিকবাজারের মোটরপার্টের দোকানগুলো। ওরাও আমাদের ক্লায়েন্ট।" সেনগুপ্তদা বোতলে ঢোঁক দিলেন। "চল, এবার শুয়ে পড়া যাক।" আমরা বেবাক বাক্যহারা হয়ে যে যার বার্থে চলে গেলাম সুড়সুড় করে।

    পরেরদিন সকালে ঘুম ভাঙল সেনগুপ্তদারই হাঁকডাকে। হাওড়া আসতে আর আধাঘন্টা বাকি। স্টেশনে থেমেছে। চা কিনে ভাঁড় নিয়ে সেনগুপ্তদা ডেকে দিলেন আমাদের। "চা খেয়ে মুখ-টুখ ধুয়ে নাও। হাওড়া এসে গেল বলে। লাইন ক্লিয়ার। এদিকের বাথ্রুমে খুব ভিড় দেখলাম, ওদিকেরটায় যাও।" মুখ-টুখ ধুয়ে এলাম। বালিশ-চাদর ঢোকাতে-ঢোকাতেই গাড়ি হাওড়ায় ইন করে গেল। আমরা বেঞ্চির তলা থেকে স্যুটকেস বের করলাম। সেনগুপ্তদার স্যুটকেস নেই। পুরো অ্যাসপিরিন-আক্রান্ত মাথাব্যথার মতন - নেই, গায়েব, গন। সেনগুপ্তদা আর্তনাদ করলেন, "অ্যাঁ, স্যুটকেস! আমার স্যুটকেস!" আমরা আর জিগেস করিনি স্যুটকেস কোম্পানিও সেনগুপ্তদার ক্লায়েন্ট কিনা!
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৯ জানুয়ারি ২০১৯ | ৫২৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সিকি | 670112.223.9004512.87 (*) | ১৯ জানুয়ারি ২০১৯ ০১:২৭50109
  • sm | 2345.110.234512.175 (*) | ১৯ জানুয়ারি ২০১৯ ০৭:০১50106
  • দারুন লেখা অনবদ্য। একটা শরদিন্দু ও শীর্ষেন্দুর ছোঁয়া পেলাম।
    পাঞ্চ লাইন টা এরকম হতে পারতো।
    নামার সময়,হঠাৎ খেয়াল হলো সিটের ফাঁকে একটা ভিজিটিং কার্ড।লেখা,অশোক সেনগুপ্ত,রিটায়ার্ড আই পি এস!
  • T | 342323.176.8967.23 (*) | ১৯ জানুয়ারি ২০১৯ ০৯:০২50107
  • কলেজে পড়াকালীন সবাই য্যামন কবিতা লেখে আমিও ত্যামন লিখতাম। কিন্তু সেসব গোপন ব্যাপার ছিল। কারণ অপ্রকাশিত মাত্রেই মহান কীনা। কিন্তু এই মহান ব্যাপারটার পিন্ডি চটকে যায় কারণ আমার রুমমেট ক্যাপ্টেন স্কট এক সান্ধ্য বিড়িসেবন কালে সেই খাতা অকস্মাৎ খুঁজে পায়। সে ছিল স্যুইপিং স্টেটমেন্ট, উদ্ভট কোরিলেশন, আর চাট্টে ফালতু হ্যাজ দেওয়ার রাজা যাকে আমরা পাঁঠাচো বলে খাতির করতাম। তো, শুধু খাতাটা খুঁজে পাওয়াই নয় এই শ্রীমৎ মহাপুরুষটি মৃদু হেসে আরে বাঃ, তুই তো বেড়ে লিখিস বলে প্রশংসাও করে ফ্যালে। নেহাৎই বাঙ্গালা সাহিত্যের দিকপালদের নাম সে জানত না বলে ফারদার বিড়ম্বনার হাত থেকে বেঁচে যাই এবং কবিতা লেখার পরিসমাপ্তি ঘটে। কিন্তু সেই নিদারুণ পাঠক আবিষ্কার কমবয়সে বড্ড কষ্ট দিয়েছিল।

    আজ ন্যাড়াদারও একই পরিণতি দেখে খারাপই লাগছে। ;)
  • sm | 2345.110.9003412.134 (*) | ১৯ জানুয়ারি ২০১৯ ১০:৫৮50108
  • কি করুণ পরিণতি,তাই না ,হাফপ্যান্ট!
    হাফপ্যান্ট কলেজে পড়তো আবার কবতেও লিখতো!
  • বিপ্লব রহমান | 340112.231.236712.110 (*) | ২০ জানুয়ারি ২০১৯ ০২:১৩50110
  • আমাগো সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেসে স্টেনসিল ছাপ দিয়া একখান কথা লেখা থাকে -- অচেনা লোক হইতে সাবধান!

    ন্যাড়ার মাথা ইস্টেডিয়াম হইলো ক্যান অহন বুজছি।
  • dd | 90045.207.1256.224 (*) | ২০ জানুয়ারি ২০১৯ ০৩:৪০50111
  • আমাকে আর কে কবে পাত্তা দিলো ?

    আমি তো কবে থেকেই বলেছি দুটো ব্যবসার কথা। গুচতে বিস্তারিত লিখেওছি। কিন্তু কেউ উৎসাহোও দ্যাখালো না, ভেন্চার কেপিটেল থেকে কোনো ইন্ভেস্টমেন্টও এলো না ।

    এক তো, আপনেদের সব মানত টানতের আউট সোর্সিং। নিজ্জলা উপবাস করতে চান? দন্ডী কাটতে চান ? এই সব আমরা করে দোবো। উপবাস টুপবাস - সমস্ত।আপনি গিয়ে দেদার খান, ফুত্তি ফাত্তা করুন। আপনের হয়ে আমরা সব ব্রত পালন করবো। চাইলে নরবলিও দিয়ে দোবো।

    আর অন্যটা বাড়ীর কোনো অনুষ্ঠানে সব থেকে বিরক্তিকর হল বাড়ী বাড়ী গিয়ে নেমন্তন্নো করা। সেটা আমরা করে দেবো। ঠিকানা নিয়ে বাড়ীতে গিয়ে সহাস্যে বলে দেবো অমুক তারিখে আমার ক্লায়েন্টের মে'র বিয়ে। আপনারা অবশ্যি যাবেন এবং হুলিয়ে গিলবেন। ঠিকাছে তো?
    শ্রাদ্ধতেও। ছল ছল চোখে গিয়ে রুদ্ধ গলায় বলে আসবো "আমার ক্লায়েন্টের জ্যাডা শ্বশুর আর নেই। অমুক তারিখে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান। পনীরের রসা আছে মেনুতে। প্লীজ যাবেন।"
  • sm | 2345.110.9002312.186 (*) | ২০ জানুয়ারি ২০১৯ ০৮:০২50112
  • সেতো বিলেত,আমেরিকা তেও এমন লোকজন ভাড়া পাওয়া যায়। ফিউনেরালে,কালো কোট পরে ,জর্জ কি ভালো লোক ছিলো বলে এমন কাঁদবে না,যে জর্জ ও কেঁদে কফিন ভিজিয়ে দেবে।
  • সুকি | 348912.82.2323.227 (*) | ২০ জানুয়ারি ২০১৯ ১১:২৫50113
  • এটা ঠিক জমল না ন্যাড়াদা, মানে আগের গুলোর তুলনায়

    ডিডিদা,
    আপনার বর্ণিত ব্যবসা ইতিমধ্যে চালু হয়ে গ্যাছে এদিক ওদিকে।
  • | 340112.94.563412.137 (*) | ২১ জানুয়ারি ২০১৯ ০২:২৫50114
  • লেখা দুর্বল হলে আমাদের লস।
    বেশী ব্যস্ততা চলছে?
  • | 453412.159.896712.72 (*) | ২১ জানুয়ারি ২০১৯ ০৪:৩৯50115
  • হ্যাঁ মানে এটা একেবারেই জমে নি।
  • de | 90056.185.673423.53 (*) | ২২ জানুয়ারি ২০১৯ ০৫:৫৪50116
  • আমার ভালো লাগলো -
    ন্যাড়াবাবুর লেখা বড়ো অনায়াস -
  • mahua | 566712.225.670112.50 (*) | ২৩ জানুয়ারি ২০১৯ ১০:৩৬50117
  • ভালোই তো লাগলো। অন্যেরা কেন 'জমেনি' বলছেন বুঝলাম না।
  • স্বাতী রায় | 781212.194.1278.251 (*) | ২৭ জানুয়ারি ২০১৯ ০৬:৫১50118
  • আরে! এটা কি ব্রান্ড নিঊ লেখা? মিস করেছি আগে! ভালো লাগল। ... তবে গুরুতে একটা এডিট অপসন দরকার - পরে আর বানান ভুলও ঠিক করা যাবে, এ তো মাধ্যমিক পরীক্ষারও বাড়া হয়ে যাচ্ছে!
  • aranya | 3478.160.342312.238 (*) | ২৭ জানুয়ারি ২০১৯ ১১:৫৮50119
  • আমিও উপভোগ করলাম। সুন্দর লেখার হাত ন্যাড়ার
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন