এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • ধৈর্য্যের পরীক্ষা

    জান্নাতুল ফেরদৌস লাবণ্য লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০২ মে ২০১৯ | ১০৫২ বার পঠিত
  • বাথরুমে বসে বসে টাইলসের ডিজাইন দেখছিলাম,কয়টা টাইলস আছে গোনার চেষ্টা‌ও করেছিলাম তবে মাঝপথে এসে গুলিয়ে যাচ্ছে। আজ ফোন আনিনাই,এজন্য সময় কাটছে না।

    হঠাৎ দরজায় ধাক্কা পড়লো। আম্মু ধমক দিয়ে বললেন,এই তুই কতক্ষন লাগাবি? শুভ এসেছে!

    আমি একটু চমকে উঠলাম। শুভ আমাদের প্রতিবেশী, আরো একটা পরিচয় হলো আমার ক্রাশের বড়ভাই! আরো একটা পরিচয় হলো আমার ভাইয়ের ক্লোজ ফ্রেন্ড।

    মনের মধ্যে লাড্ডু পাকানো শুরু হয়ে গেছে আমার। আমি ভাবতে পারছি না ক্রাশ তার বড়ভাইকে পাঠিয়ে দিয়েছে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে!!

    ''এটা কিভাবে সম্ভব হলো? কবে সম্ভব হলো?"

    এসব হাবিজাবি ভাবতে ভাবতে আমি তাড়াতাড়ি চুলটুল আঁচড়ে বসার ঘরে গেলাম।‌ আমার ভাইয়া আর শুভ ভাইয়া গল্প করছে। শুভ ভাইয়া আমাকে দেখে হাসিমুখে বললো, কেমন আছো?

    আমি লাজুক হেসে মাথা নিচু করলাম। ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন দেখেছি এই ভাইয়াটা আমার ভাসুর হবে। আমার ভাইয়ার আর তার ক্লোজ ফ্রেন্ডশিপ আত্নীয়তায় রুপান্তরিত হবে.. অবশেষে স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে।

    -ফারাবির বিয়ে বুঝলি! শুভ এসেছে আমাদের দাওয়াত দিতে!

    মুহুর্তে আমার মাথার ওপর পাহাড় ভেঙ্গে পড়লো, কানের কাছে কেমন একটা ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক বাজছে, আআআআআআআআ....বাংলা সিনেমার মতো, অদৃশ্য ক্যামেরা যেন ঠাস ঠাস করে আমার মুখে তিনবার জুম করে গেল।

    ভাইয়া বিয়ের কার্ড আমার হাতে দিল। আমার হাত কাঁপছে। আমি হালকা করে একটা চিৎকার দিয়েই থেমে গেলাম। ভাইয়া অবাক হয়ে তাকিয়ে বললো, কি হলো?

    -মশা কামড়াইছে ভাইয়া!

    স্তব্ধ হয়ে আমি থ মেরে বসে আছি। এই ছেলেটার পেছনে ছোটবেলা থেকে যত পরিশ্রম দিয়েছি তত পরিশ্রম নিজের পড়ালেখার ওপর দিলে এতদিনে আইনস্টাইন হয়ে যাইতাম। কিন্তু আমার মন সবসময়ই ফারাবীর ওপর পড়ে ছিল। আর আজ সেই ফারাবীর বিয়ে হয়ে যাবে?

    আমি হাল ছাড়ার পাত্রী ন‌ই। কিন্তু কি করব? এ বিয়ে আমি হতে দেবো না টাইপের ডায়লগ দিয়ে লাভ নাই। এসব নাটক সিনেমায় হয়, রিয়েল লাইফে একটা ছেলের বিয়ে ভাঙ্গা বা বিয়ের কার্ড ছাপা হয়ে যাওয়ার পর পাত্রী বদল হ‌ওয়া এইসব কখনো হয় না।

    ঘরে বসে বসে আমি ফারাবীর সাথে আমার পরিচয়ের স্মৃতির ফ্ল্যাশব্যাকে চলে গেলাম। পরিচয়ের শুরুটা খেলার মাঠে। ছোটবেলা থেকেই আমরা পাড়ার সবাই একসাথে চি বুড়ি,গাদি,কানামাছি, ক্রিকেট,ফুটবল এইসব খেলে বড় হয়েছি। ফারাবী আমার থেকে মোটামুটি ভালোই বড়। আমি যখন ফাইভে সে তখন এস‌এসসি দিচ্ছে। সর্বসম্মুখ্যে ফারাবীকে আমি সবসময় ভাইয়া সম্বোধন করে কথা বলি।

    ছোটবেলায় ফারাবী আমাকে খেলায় নিতে চাইতো না। বলতো ও ছোট মানুষ,কি খেলবে? বাদ দাও ওকে। আমি কাঁদতে শুরু করতাম তখন ফারাবীর বন্ধু আর আমার আরেক পাড়াত বড়ভাই হাসান ভাইয়া ফারাবীকে বকাঝকা করে আমাকে তার টিমে খেলতে নিতেন।

    হাসান ভাইয়ার কথা মনে পড়তেই আমার হৃদয়ে যেন আশার আলো ফুটে উঠলো। হাসান ভাইয়াকে যেভাবেই হোক খুঁজে বের করতে হবে।

    হাসান ভাইয়া এখন এখানে থাকেন না। চাকরীসূত্রে অন্য শহরে তার বসবাস। বহুকষ্টে ফেসবুকে খুঁজে বের করে এড দিলাম। তারপর কল দিয়ে সব কথা বললাম।এটাও বললাম,ফারাবীকে ছাড়া কাউকে আমি আমার আব্বুর জামাই হিসেবে ভাবতে পারিনা।

    হাসান ভাইয়া হাসলেন। বললেন,আমিতো মাথামোটা না। সব‌ই বুঝি। ছোটবেলা থেকে ফারাবীর টিমে খেলার প্রতি তোমার যে আগ্রহ ছিল তাও আমার চোখ এড়ায়নি। এমনকি তোমাদের বাড়ি মুরগী জবাই করতে হবে এই অজুহাতেও তুমি আমাকে না ডাক দিয়ে ফারাবীকে ডেকে নিয়ে আসতে, যদিও আমিই তোমাদের বাড়ির বেশী কাছে থাকতাম।

    আমি চুপ করে র‌ইলাম। কথা সত্যি। মুরগী জবাই করতে হবে,পাশের দোকান থেকে কয়েল আনতে হবে,পাঁচশ টাকার নোট খুচরা করে দেন...এইসব অজুহাতে বারবার ফারাবীকে ডেকে নিয়ে আসতাম আমি।

    আমি হাসান ভাইয়াকে বললাম,ভাইয়া কিছু করেন, আমাকে কোনো আইডিয়া দেন কি করবো।

    দেড়ঘন্টা ধরে হাসান ভাইয়া আমাকে প্রচুর মোটিভেশন দিলেন,

    "ছোটবেলা থেকে কখনো হাল ছাড়োনি এখন কেন ছাড়বা? মনে রাখো, ভালোবাসা খাঁটি হলে তার জয় নিশ্চিত। ছোটবেলা থেকে নানা ধরনের ছ্যাঁকা খেয়ে খেয়েও তুমি ফারাবীকে ভোলোনি। ইভেন, এতগুলো বছর কি ও বসে ছিল? অবশ্য‌ই প্রেম করেছে তাই না? সেটা যখন মেনে নিয়েছো বিয়েটা মেনে নিতে আপত্তি কোথায়? বিয়ে হয়ে যেতে দাও। যদি তোমার ভালোবাসা সত্যি হয় তাহলে বিয়েতো নাও টিকতে পারে! যদি না টেকে তখন তুমি এন্ট্রি নিবা।"

    হাসান ভাইয়ার কথায় মনটা যেন লো ব্যাটারি থেকে চার্জ ফুল হয়ে উঠলো। হৃদয়ের জলন্ত আগুনে টগবগ করে ফুটতে লাগলো ফারাবীর প্রতি আমার ভালোবাসা। হোক, বিয়ে হোক। কুচ পরোয়া নেহি!

    বিয়ে হয়ে গেল। ফারাবী নতুন ব‌উ নিয়ে ঈদে,পহেলা বৈশাখে ঘুরতে যাওয়ার সময় আমাদের বাড়ির সামনে থেকেই রিকশা নেয়। মমতাজের কথা মনে পড়ে চোখে পানি চলে আসে আমার। তার সেই গান, ''বন্ধু যখন ব‌উ ল‌ইয়া আমার বাড়ির সামনে দিয়া''....‌এই মহিলা আমার ‌ভবিষ্যৎ দেখতে পেয়েছিলেন। হোয়াট এ কোইনসিডেন্স!!

    *****

    আজ সাড়ে ছয়বছর হলো ফারাবীর বিয়ে হয়েছে। একটা মেয়েও হয়েছে। এখনো ব‌উয়ের সাথে কোনো প্রকারের কোনো অশান্তির আভাস পাইনি। আমিতো ভিলেন ন‌ই যে তাদের ভেতর গন্ডগোল বাঁধাবো! তবে হাসান ভাইয়া বলেছেন আমার ভালোবাসা সত্যি হলে যেভাবেই হোক ফারাবী আমার হবেই! সুতরাং অপেক্ষা করতে দোষ নেই।

    আমার ফ্যামিলি থেকে আমার অনেকবার বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু আমিতো আগেই ভেবে রেখেছি,এ বাড়ির ছোট জামাই হবে ভাইয়ার বন্ধুর ভাই। তাছাড়া আর কেউ না!

    ফারাবীর মেয়েটা এবছর স্কুলে ভর্তি হয়েছে আমি জানতাম না। মেয়েটা যে স্কুলে ভর্তি হয়েছে সেখানেই আমার একজন স্কুলফ্রেন্ড সদ্য টিচার হয়েছে। তার শিক্ষকতা কেমন চলছে দেখার জন্য‌ই আমি একদিন ঐ স্কুলে গিয়েছিলাম। গিয়ে দেখি আমার হবু সৎকন্যা দুইচুলে দুই ঝুঁটি করে পেন্সিল দিয়ে খাতায় আঁকিবুঁকি করছে।

    আমার অদ্ভুত এক হেলুসিনেশন হচ্ছে। মেয়েটার চেহারার আদল একদম আমার মতো! বাহ! দারুন তো!

    স্কুল ছুটি হয়ে গেছে। ঝড়বৃষ্টির কারণে আমরা সবাই আটকে গেছি। মেয়েটা আম্মু আম্মু করে কান্না করছে দেখে আমি এগিয়ে গিয়ে বললাম,এইতো মা! আম্মু তো এখানেই আছে কাঁদছো কেন?

    মেয়েটা কান্না থামিয়ে অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমার দোষ না, মাঝেমধ্যে আমার কিছু অদ্ভুত হেলুসিনেশন হয়,আমি নিজেকে বোঝাতেই পারছি না এই মেয়ে আমার মেয়ে না। এটা যে আমার মেয়ে এই মুহূর্তে আমার মন সে সম্পর্কে নিশ্চিত।

    মেয়েটার স্কুলে আমি নিয়মিত যাতায়াত শুরু করলাম। মেয়েটা আমাকে আম্মু ডাকে। কনফিউশন ক্লিয়ার করার জন্য মেয়েটাকে সবাইকেই আম্মু ডাকতে শিখিয়েছি।‌ শুধু আমাকে আম্মু ডাকলে অন্যরা সন্দেহ করবে। হাসান ভাইকে ফোন দিয়েছিলাম,তিনিই বুদ্ধি দিয়েছেন যেন সবাইকে মা ডাকতে শেখাই।

    এর কিছুদিন পর একটা কাজে আমাকে শহরের বাইরে যেতে হলো। সেখান থেকেই শুনলাম ফারাবীর আর তার ব‌উয়ের ডিভোর্স হয়ে গেছে। ফারাবীর মেয়ে নাকি ওদের পাশের বাসার অন্য এক‌ সুন্দরী মেয়েকে সারাক্ষণ আম্মু আম্মু ডাকত,আর ফারাবীর ব‌উয়ের প্রথম থেকেই ঐ মেয়েটাকে পছন্দ না,মেয়েটার সাথে ফারাবীকে সন্দেহ করেটরে সবমিলিয়ে দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়ে ফারাবীর ব‌উ তার মেয়ে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে গেছে।

    হাসান ভাই সব শুনে হাতে কিল দিয়ে হিন্দিতে বললেন,আব আয়েগা মজা! লোহা গরম হ্যায় হাতুড়ি মার দো!

    আমি হাতুড়ি মারার সময় পাচ্ছি না। শহরের বাইরে আসছিলাম অফিসিয়াল একটা কাজে। এখানে ওখানে ছোটাছুটি করতে করতে হয়রান,যত চেষ্টাই করছি ঝামেলা মিটিয়ে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফেরার তত‌ই ঝামেলা আরো বাড়ছে।

    আমি সেই মাসে বাড়ি ফিরতে পারলাম না। এরমধ্যে আরেকটা অনেক বড় অঘটন ঘটে গেল‌। ফারাবী সেই পাশের বাসার মেয়েটাকেই বিয়ে করে ফেলল। বোঝা গেল ওর ব‌উ ওকে যা সন্দেহ করেছিলো সবটা মিথ্যা না।

    আমি কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরলাম। ফারাবিদের বাড়িতে গেলাম। নতুন মেয়েটা এসে আমার সাথে খানিকক্ষণ সামাজিক আলাপ করে চা আনতে গেল। সেই সুযোগে ফারাবীর মাকে ফিসফিস করে আমি বললাম, কি হয়ে গেল আন্টি?

    ফারাবীর মা মাথা নাড়তে নাড়তে গম্ভীর গলায় বললেন,আগের ‌ব‌উটা ঝগড়াটে ছিল বেশী, কারণে অকারণে আমার ছেলেকে সন্দেহ! এই মেয়েটা বেশ ভালো।

    আমি মনে মনে বললাম নতুন নতুন সব মেয়েই ভালো থাকে। আসল ভালো মেয়েটাকে তো পেয়েও হেলাফেলা করলেন!

    মন খারাপ করে আমি বাড়ি ফিরে এলাম। কেন জানিনা সব রাগ গিয়ে পড়েছে হাসান ভাইয়ার ওপর। ওর কথা শুনে ফারাবীর প্রথম বিয়েটাই হতে দেয়া উচিত হয়নি,সব‌ই কপাল।

    হাসান ভাইয়া নিজে থেকেই ফোন দিয়েছেন। বলছেন,আপডেট কি?

    আমি রাগ করে মিথ্যা বললাম, ফারাবী আবার বিয়ে করেছে, এই পক্ষে আবার বাচ্চা হবে।

    হাসান ভাইয়া ঢোক গিলে আবার মোটিভেশন দেয়া শুরু করেছেন।এবার তার গলায় জোর কম,

    "ডোন্ট বি স্যাড! নেক্সট টাইম! এবার যে বাচ্চা হবে তাকে শেখাবে তোমাকে মেজমা ডাকতে, বাচ্চা তোমাকে মেজমা ডাকতে শুরু করলেই খেল খতম। ফারাবীর ব‌উ ভাববে ওর সাথে তোমার গোপনে আগেই বিয়ে হয়েছে।"

    আমি রাগী গলায় বললাম,আপনি থামবেন?

    -আরে না না শোনো! তাতেও যদি কাজ না হয়.... তাহলে ফারাবীর বাচ্চা বড় হোক, বিয়েশাদী হোক, ফারাবীর নাতিপুতি হলে তাদের দিয়ে তোমাকে দাদী ডাকাবা!

    :শাট আপ!

    -এত অধৈর্য্য হচ্ছো কেন? ছোটবেলা থেকে ভালোবাসো না‌ ওকে? ধৈর্য্য ধরতে হবে, শেষদিন পর্যন্ত চেষ্টা করতে হবে,জয়ী তুমি হবেই।"

    আমি ফোন রেখে দিয়ে পুলিশে ফোন দিলাম। হাসান ভাইয়ের নামে একটা কেস ফাইল করবো।

    লেখা- জান্নাতুল ফেরদৌস লাবণ্য
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০২ মে ২০১৯ | ১০৫২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Adam | 454512.48.011212.98 (*) | ০৩ মে ২০১৯ ০৬:৩৯48315
  • the story is very good. thanks
    https://bestbuycapm.com
  • মু | 340112.94.563412.133 (*) | ০৩ মে ২০১৯ ০৮:৫৮48314
  • আপনি ইদানীং বেশী লিখছেন।
    বলাই বাহুল্য লেখার মান নিম্নগামী। এই লেখাটা উতরে যাবার সম্ভাবনা দেখা দিলেও শেষটায় এসে ঘেঁটে গেল।
    আমাদের মন্তব্য ব্যক্তিগতভাবে নেবেন না।

    আমরা আমাদের আগের লেখিকাকে ফিরে পেতে চাই। লেখিকার মৃত্য ঘটার ক্ষতি মেনে নিতে চাই না।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু মতামত দিন