এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • ক্লোরোফিলগাথা-৩

    Shibanshu De লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৪ অক্টোবর ২০১৩ | ১৭১৭ বার পঠিত
  • ওখানে মহুয়া পাওয়া যায়...?

    আমরা হলুম আদত মহুয়াটাঁড়ের লোক। টাটাবাবার শহরে চার পুরুষ। পেরথম চাকরি করতে যাওয়া চাইবাসায় ( মহুয়া রেঞ্জ : পরশুডিহ থেকে হাতা, রাজনগর, চাইবাসা হয়ে টোন্টো-ঝিকপানি, জগন্নাথপুর, হাটগামারিয়া, নোয়ামুন্ডি হয়ে সোজা বড়াজামদা, অথবা অন্যদিক দিয়ে খরকাই পেরিয়ে কান্ড্রা, গামারিয়া, বাহালদা, সেরাইকেলা, পন্ড্রাসালি হয়ে রোরো নদী পেরিয়ে চাইবাসা), তার পর জাদুগোড়া ( মহুয়া রেঞ্জ : আবার পরশুডিহ, সুন্দরনগর, নরোয়া পাহাড়, কালিকাপুর, সংকরদা, রংকিনী, জাদুগোড়া হয়ে মাটিগাড়া, রাখা, চাপড়ি, সুরদা) তারও পরে মুসাবনি ( মহুয়া রেঞ্জ : গালুডিহ, ঘাটশিলা, মৌভান্ডার, সুরদা, মুসাবনি হয়ে একদিকে ধলভুমগড়, নরসিংগড়, অন্যদিকে বহরাগোড়া, মানুষমুড়িয়া... যতোদূর প্রাণ যেতে চায়)। সুবর্ণরেখার উত্তরদিক বা চক্রধরপুরের দক্ষিণদিকটা না হয় ছেড়েই দিলুম, সেও তো অনন্ত রাজপাট।

    এই পুরো ভূখন্ডটা এ দেশের মহুয়া সাম্রাজ্যের কেন্দ্র।

    ছোটোবেলায় কমলদার একটা পদ্য শুনেছিলুম। ঐ কোলকেতার ড্যাঞ্চি পদ্যওয়ালাদের দল ট্রেনে চেপে খড়্গপুর পেরিয়ে পশ্চিমমুখী হলেই প্রশ্ন শুরু করে দেয়, '' ওখানে মহুয়া পাওয়া যায় ? মহুয়া..?'' এটা আমাদের বেশ খোরাক ছিলো। পরের দিকে চাইবাসায় যখন শক্তি বা সন্দীপনকে দেখতুম মহুয়ার জন্য জান কবুল হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এবং ঠিকঠাক না পাওয়া গেলে আমাদের গালাগালি করচ্ছেন, সেটাও বেশ আমোদের ব্যাপার হয়ে উঠতো। একবার মনে আছে, চাইবাসায় রোরোনদীর ধারে শক্তির মউয়াপিপাসা জেগে উঠলো । ধারেকাছে কোথ্থাও পদার্থটা অমিল । একটা ঠেক আছে, কিন্তু সে সাইকেলে তিনচার কিমি ঠেলে নদীর ওপারে গিয়ে তুলতে হবে । এতো মেহনত পোষাবে না । বলা হলো, সকালে লেখা পদ্যদুটো শোনাতে হবে । তা তিনি শোনালেন । তার পর বলা হলো '' জয় তব বিচিত্র আনন্দ, হে কবি'' গেয়ে শোনাতে হবে । তখন কবি আর রাজি ন'ন । বেশ গালাগালি করলেন । কড়ার হলো গলা ঠিকঠাক ভিজলে তার পর গান হতে পারে । সেই প্রাক সন্ধ্যার ঝুঁঝকো আঁধারে দুজন মিলে সাইকেলে ডবলরাইড লুপুংগুটুর মেঠো রাস্তায় । হপন বিরুলির ঠেক থেকে সাঁঝবেলার গরম মহুয়া মাটির ভাঁড়ে ছলকানি বাঁচিয়ে রোরোর পাথরজাগা জলা স্রোত, আদিম গেঁয়ো শ্মশানের ধারে কবিতার পঞ্চমুন্ডি আসর । মাঝরাত পর্যন্ত কবির গান, সঙ্গে আমরা ।

    মহুয়ার সিজনে সারান্ডা জঙ্গলের বেশি ভিতরে যাওয়া নিষিদ্ধ। কালোভালুকের দল পদ্য না পড়েই মহুয়ামাতাল হয়ে ঘুরে বেড়ায় যত্রতত্র। বেশ হিংস্র টাইপ, যেকোনও বিবেচক বাঙালির মতো-ই কবিদের কোনও রেয়াৎ করেনা।

    রমাপদ চৌধুরির কল্যাণে পলামুর কয়েকটি জায়গার নাম বাংলা সাহিত্যে এসে গেছে। ছিপাদোহর, মহুয়ামিলন, সিমারিয়াটাঁড়। লাতেহার থেকে উত্তরপশ্চিমে রেলগাড়ি ঝমঝম লাইন চলে গেছে বেতলা ঘন অরণ্যের ভিতর দিয়ে বারোয়াডিহ হয়ে ডাল্টনগঞ্জ, পথে কেচকি হল্ট। এখানেই সেই পাহাড়টিলার বনবাংলাটিতে মানিকবাবু শুটিং করেছিলেন, অরণ্যের দিনরাত্রি। উত্তরা কোয়েলনদীকে এখানে ভরা বর্ষায় এসে দিদার করতে হয়। অমন মদালসা অথচ ক্ষিপ্রা হরিণীর মতো নারী, শুধু স্বপ্নে থাকে, কবিতাতেও ধরা দেয়না। এখানেই ধারেপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বাঙালির ঐসব সাহিত্যফ্যান্টাসির ঠেকগুলো। সেখানেও মহুয়াবনের কমতি নেই। মহুয়াবনের কুহু কুহু কোয়েলিয়া শচীনকত্তার কণ্ঠ থেকে উড়ে গিয়ে ছড়িয়ে গেছে সারান্ডা, বেতলা, রুয়ামে। বাঙালি মহুয়া বৃক্ষ খোঁজে মিন্টো পার্কে। বিভূতি থেকে বু-গু, সবাই মিলে বাঙালির জন্য জঙ্গলকে বেঁধে দিয়েছেন মিত্র ও ঘোষের ছাপাখানায়। মহম্মদ আলি পার্ক, মিন্টো পার্ক, দেশপ্রিয় পার্ক, এর মধ্যেই বাঙালির মহুয়াভুবন ঘোরাফেরা করে। খুব বেশি হলে ঘাটশিলা রেলগুমটি থেকে ডাহিগোড়ার গৌরীকুঞ্জ পর্যন্ত গিয়ে থেমে যায় ।

    এইসব দূরান্তের ব্রাঞ্চগুলিতে দেখতুম সক্কাল সক্কাল ভাইয়েরা মহুয়ামাতাল হয়ে পৌঁছে যেতো। কিছুক্ষণের মধ্যেই বাঁধনছাড়া হট্টগোল, সবার মনেই তখন প্রচুর বীররসের সঞ্চার হয়ে গেছে ( মহুয়া কি সামান্য ব্যাপার?) । তখন চেয়ার ছেড়ে উঠে বাইরে বেরিয়ে কোনও একজনকে ধরে ঝাঁকানি দিয়ে জোরে ধমক, '' সুবহ সুবহ দারু পিকে ব্যাংক আতে হো? রুকো, বড়াবাবুকো বুলাতে হ্যাঁয়, দো-চারদিন কে লিয়ে অন্দর করনা পড়েগা... '' পলকের মধ্যে সেই বিকট কোলাহল কোথায় মিলিয়ে যায়। সবাই একবাক্যে বলতে শুরু করে তারা কোনদিন দারু খাওয়া দূরে থাক, চোখেই দেখেনি। পরস্পরকে দেখিয়ে বলতে থাকে বার বার বারণ করা সত্ত্বেও এরা আমাকে একটু মৌয়া খাইয়ে দিয়েছে, সত্যি ভারি অন্যায়...। তখন তাদের সমবেত অনুতাপ সামলানো-ও বেশ চাপের ব্যাপার হয়ে যায়।

    বাঙালি পদ্যওয়ালাদের দৌলতে মহুয়া একটা অত্যন্ত ওভাররেটেড কুটিরশিল্প। মহুয়াসাম্রাজ্যের কেন্দ্রের লোক হয়েও এবং অসংখ্যবার সদ্যফোটা মহুয়াভাটির পাশে ভাটের আসর অ্যাটেন্ড করেও ঐ বস্তুটি কখনও গলাধঃকরণ করতে পারিনি। স্বাদ যাই হোক, ঐ গন্ধ বরদাস্ত করবার জন্য বাংলায় পদ্য লেখার এলেম থাকা দরকার। আমার জন্য সর্বহারার পানীয়ই বেঁচে থাক।

    হায়, এজম্মে আর বাংলায় পদ্য লেখার এলেম হলোনা।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৪ অক্টোবর ২০১৩ | ১৭১৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kk | 81.236.62.176 (*) | ০৫ অক্টোবর ২০১৩ ০২:৩২46581
  • শিবাংশুদা, ভারী ভালো লাগছে ক্লোরোফিল গাথা। আরো লিখতে থাকুন প্লিজ। এইসব জায়গাগুলো আমার ভারী চেনা। কতদিন পরে স্যর বীরেন, লেডি রানু, গুয়া মাইন্‌সের নাম শুনলাম ! খুব ভালো লাগলো।
  • dd | 132.167.4.214 (*) | ০৫ অক্টোবর ২০১৩ ০৪:১০46580
  • আর্লি যৈবনে বন্ধু সহযোগে গেছিলাম বটে একবার মহুয়াটাঁড়ে। গায়ে তখনো নকুটে গন্ধো,প্লাস আঁতেলমুখী। সুতরাং মহুয়া খেতে ই হতো।

    সেই, প্রথম ও শেষবার,মহুয়ার সাথে মোলাকাৎ। সি কি বিভৎস গন্ধো আর ততোধিক বিকট সোয়াদ। এক চুমুকের পরেই আর ধারে কাছে ঘেঁষি নি।

    আর শিবাংশুকে দেখুন, বনে জংগলে ঘুড়ে কতো কি দেখে। অথচো আমি নানান বনে বনে ঘুড়ে, মেলা গাছ ছাড়া আর কখনো কিছু দেখতে পাই নি।
  • কল্লোল | 111.63.217.237 (*) | ০৬ অক্টোবর ২০১৩ ০২:৩০46582
  • ওম্মা। তব্বে বাঁকড়োতে যা পাওয়া যায়, তা মৌয়া লয়? আমার তো বেশ লেগেছিলো। প্রথমটা বুঝিনি, একটু বেশীই পেটে গেছিলো। তাপ্পর বেশ উথাল পাথাল।
    পরেরবার থে সাবধানে খেতুম।
    তবে একটা খটকা আছে। শিবাংশু লিখছে "সদ্যফোটা মহুয়াভাটির পাশে" মানে ডিস্টিল করা মৌয়া। আমি বরাবর পেয়েছি ফার্মেন্ট করা। বাঁকুড়া শহরের প্রান্তে দারুকেশ্বর নদী পেরিয়ে ওপাড়ে উঠলেই মৌয়া পচানোর গন্ধ। খোসা সমেত রসটি দিন তিনেকের মতো গেঁজিয়েছে। তারপর পরিষ্কার (মানে, যতটা পরিষ্কার হতে পারে) কাপড়ে ছেঁকে বোতলজাত হতো। হ্যাঁ, ভালো করে ধোওয়া গোল্ডেন ঈগলের বোতলে। সে বেশ ডেলিকেট ওয়াইন গোছের। ঢকঢক করে খেয়েছো কি মরেছো। আয়েশ করে বসে নুনের চাখনা দিয়ে, সময় নিয়ে ধ্রুপদী মেজাজে খাও। দিল তরররররর......গ্রান্টি।
  • Ranjan Roy | 24.99.9.248 (*) | ০৭ অক্টোবর ২০১৩ ০৭:৩২46583
  • হায়! মহুয়াটাঁড়ের মানুষেরা মহুয়ার সৌন্দর্যহরণ করিল! এই দুঃখ কাহাকে বলি? কেই বা শুনিবে? মহুয়া কি ধেনো বা পচাই?
    আমি মহুয়া ও ভোদকার প্রেমিক। হুইস্কি ও পচুইয়ের কেহ নই। সুরা সাম্রাজ্যে প্রবেশের পর মহুয়া আমার প্রথম প্রেম।
    মহুয়ার বোঁটকা গন্ধ?
    হায়, কস্তুরীনাভির গন্ধকে কোন শব্দে সম্ভাষিত করিব?
    তবে কি ছত্তিশগড়ের মহুয়া ও রাঢ়বাংলার মহুয়া নামে এক, জাতিতে আলাদা? মৃত্তিকা ও জলের নৈমিত্তিক? যেমন কলিকাতার চাইনিজ নামক ট্যাঁশ খাদ্য ও খাস চীনদেশের চাইনিজ ?
    জনান্তিকে বলি, আমি শান্তিনিকেতনে দুই বোতল ছত্তিশগড়ের ছুরি গ্র্রামে ঘরে তৈরি মহুয়া রপ্তানী করিয়াছিলাম। রসিকেরা তৎক্ষণাৎ সাঁওতাল পরগণার উপজ হইতে ছত্তিশগড়ের কুটিরশিল্পের এই দ্রব্যটির শ্রেষ্ঠত্ব স্বীকার করিয়াছিলেন।
    বিঃ দ্রঃ ৩৬ গড়ের মহুয়া জলের মতন দেখিতে, কোন রং নাই। শান্তিনিকেতনের দ্রব্যটি ঈষৎ পীতাভ। রং দেখিয়া খাইবেন, প্রতারিত হইবেন না।
  • কল্লোল | 111.63.228.196 (*) | ০৮ অক্টোবর ২০১৩ ০১:০৮46584
  • হুম। বোঝা গেলো।
    "বিঃ দ্রঃ ৩৬ গড়ের মহুয়া জলের মতন দেখিতে, কোন রং নাই। শান্তিনিকেতনের দ্রব্যটি ঈষৎ পীতাভ। রং দেখিয়া খাইবেন, প্রতারিত হইবেন না।"

    জলের মতো মহুয়াটি (ছত্তিশগড়ি) ডিস্টিলড। ডিস্টিলড মদের এক্স্ট্রা নিউট্রাল অ্যালকোহলে রং হয় না। গন্ধও হয় না। তবে মহুয়া ডিস্টিলড হয় আদিম পদ্ধতিতে তাই, গন্ধ থেকেই যায়।
    শান্তিনিকেতনী মহুয়াটি ফারমেন্টেড। তাই মহুয়া ফলের খোসার রংটি হালকা করে থাকে। ফলতঃ উহা পীতাভ-হরিৎ।

    তফাৎ, ছত্তিশগড়ি মহুয়ায় অ্যালকোহলের পরিমান বেশী। শান্তিনিকেতনীতে কম। তাই শান্তিনিকেতনীটি অনেকটা গলদ্ধকরণ না কল্লে নেশা জমে না। ছত্তিশগড়িটি অল্প সেবনেই টাল খাইয়ে দেয়।
    ওয়াইন ও লিকারের ফারাক।
  • nina | 78.37.233.36 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৩ ১০:৫৬46585
  • ডিডি তবু এট্টু গাছটাছ দেকলেন---বাকি বেটাছেলেরা শুধু মহুয়া মহুয়া করেই গেল----
  • কল্লোল | 111.63.179.225 (*) | ১০ অক্টোবর ২০১৩ ০৮:৫২46586
  • ডিডি কি তব্বে বিটিছাওয়ল? সেও তো শুরুই কল্লো মহুয়া দিয়ে।
    আর, মহুয়া গাছেই ফলে।
    তবে কি মাইরি নীনিয়া, মহুয়ার মতো বিষয় দুনিয়ায় কমই আছে।
  • Ranjan Roy | 24.99.117.243 (*) | ১০ অক্টোবর ২০১৩ ০৯:১১46587
  • মরিশাস থেকে বিলাসপুরে এসে হোমিওপ্যাথ হিসেবে জাঁকিয়ে বসা ডঃ বিসুন( সিপিআইয়ের সক্রিয় সমর্থক, কিন্তু আর এস এস এর মধ্যেও ওঁর হোমিও শিষ্য ছিল) আমার হাঁপানির চিকিৎসা করতে করতে শীতকালে পরিমিত ব্র্যান্ডি পানের পরামর্শ দিলেন।
    আমি বল্লুম, যেখানে আছি ওখানে পিওর মহুয়া পাওয়া যায় , বিকল্প হিসেবে সেবন করতে পারি কি?
    প্রচন্ড রেগে গেলেন।
    --ডোন্ট টেক দ্যাট ব্লাডি মহুয়া!
  • nina | 22.149.39.84 (*) | ১০ অক্টোবর ২০১৩ ১২:৪২46588
  • একবার খুব চেখে দেখার আমারও শখ কিন্তু সাহস নেই---গাছ ই দেখি না হয় ----ফলের আশা না করে ঃ-)
  • nina | 22.149.39.84 (*) | ১০ অক্টোবর ২০১৩ ১২:৪৩46589
  • হে হে কল্লোল--ডিডি শুরু কল্লেন তলার কুড়িয়ে আর গাছও দেকলেন----একেবারে পুরুষসিংহ ;-)
  • 4z | 152.176.84.188 (*) | ১১ অক্টোবর ২০১৩ ০১:২৬46591
  • মহুয়ার সঙ্গে ম্যালেরিয়ার সম্পর্ক স্টাডি ছাড়াই হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি। পুরন বাড়িতে একখান গাছ ছিল। মহুয়া ফুলের মাতাল করা গন্ধ, ফুলের মিষ্টি স্বাদ, সঙ্গে মশার কামড় আর ম্যালেরিয়া - আমার ছোটবেলা
  • nina | 22.149.39.84 (*) | ১১ অক্টোবর ২০১৩ ০২:২১46592
  • আর মহুয়া/মশা সেইসঙ্গে ভনভন অর গুনগুন গান--হয়ে যাক পাই
  • π | 118.12.173.94 (*) | ১১ অক্টোবর ২০১৩ ১২:৫২46590
  • বেশ, বেশ, আমিও তাইলে লিখি। মশা নিয়ে। মহুয়ার সাথে ম্যালেরিয়া মানে মশার সম্পক্কো অতি নিবিড়। এনিয়ে রীতিমতন স্টাডিপত্তরও হয়েছে। রাতে মহুয়া তুলতে গিয়ে মশার কামড়ে প্রচুর লোকের ম্যালেরিয়া হয়।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু মতামত দিন