---অশোক এর বিবেক দংশন--- রক্তবর্ণ নদীতীরে ঘটনায় সান্ধ্য ছায়া, স্নিগ্ধ চাঁদের আলোয় স্নাত মৃত্যুপুরীর কায়া। যত্রতত্র রক্ত-মাংস-লসিকার হোলিখেলা বিজয় দর্পে হয় আভরণ,সাজে এ হরষ বেলা। মৃত সোপানের এ শ্মশানপুরীতে শোণিত ... ...
---এসো--- মনের কপাট রুদ্ধ আজি পূর্ণিমার আকাশে, চাঁদের আরশি প্রত্যাখ্যাত ব্যর্থ সব প্রয়াসে। সরিয়ে নিলেম আঁখিদুটি মোর জোনাকির মায়া হতে, ভ্রমরেরা ছুঁতে হবে অপারগ ফিরে যাবে ... ...
১৯.১১.২০২৩রাত ঘনিয়ে এসেছে।আমি জানি কালকের মতো তুমি স্বপ্নে দেখা দিয়েই আমায় ফেলে আর কোনো অজানার দুনিয়ায় উধাও হয়ে যাবে না।কথা তুমি রাখবে।আমি জানি আমার আশেপাশেই আছ তুমি।আমার পার্থিব অনুভবের বাইরে তোমার বিচরণ।তোমার সাথে আমি চাইলেও আমার হৃদয়ে পঞ্চাশটি বছর ধরে জমে থাকা হাজারো শব্দ কথা সুর কান্নাগুলো তোমার সামনে এনে ফেলে ক্ষমাভিক্ষার ঝুলিখানি মেলে ধরে ... ...
বাইরের ঝড়বৃষ্টির থেকেও সহস্রগুণ দামাল এই হঠাৎ সুনামি। অস্ফুটে গলা থেকে কোনোমতে স্বর বার করতে পারল তিয়াসা। রা... রা... তুল... ততক্ষণে কাকভিজে হয়ে কোনোমতে ঘরের বাইরে অবস্হিত এই গুদামঘরটির জানলার স্ক্রুগলো তার সাথে আনা যন্ত্রের সাহায্যে সন্তর্পণে খোলার কাজটা অর্ধেকেরও বেশি শেষ করে এনেছে। অবশেষে জানলার পাল্লাটা খুলে সে উন্মাদের ... ...
পর্ব ৪ আগের থেকে এখন রাতুলের খাটুনি যাচ্ছে প্রায় দ্বিগুণ। তা সত্ত্বেও তার মধ্যে কোনো ক্লান্তির উফ্ টুকুও নেই। উলটে তার মনে হচ্ছে, মামনের মামা মামীর খোঁজ আজ নয়, কাল করা যাবে'খন। ধীরে ধীরে তার এই চিন্তাতেও বদল এল। সে ঠিক করে নিল, তার আদরের মামনের মামার বাড়ির খোঁজ করার চিন্তা সে পুরোপুরি বাদ দিয়ে এবার সে এমন ব্যবস্হা করবে যাতে কোনোদিন তাকে মামনের কাছ থেকে ... ...
পর্ব ৪ তাতান এখন একসমুদ্র প্রশ্নের মাঝে সঠিক দিশা খুঁজে পাবার জন্য মরিয়া হয়ে উঠল। সে এবার কোনো একটা সূত্র পাবার জন্য দাদুর ব্যবহার্য টেবিলে রাখা খাতাপত্র আর টুকরো কিছু কাগজ নিয়ে টেবিল ল্যাম্পটা জ্বেলে নিয়ে জোরালো গবেষণা করতে বসে গেল। সামনে রাখা চেয়ারখানি টেনে নিয়ে তাতে বসে সেগুলো নিয়ে কিঞ্চিৎ নাড়াচাড়া করতে লাগল। দাদুর প্রতিদিন ডায়েরী লেখার অভ্যাসের কথা বাড়ির সবাই ... ...
পর্ব ৩ সারাবাড়ি এখন লোকে লোকারণ্য। সারাদিন বিভিন্ন মানুষের শোকপ্রকাশ আর কান্নাকাটির পর্ব শেষ হওয়ার পর দাদুর দেহ সৎকার সেরে তাতান বিমর্ষ মুখ নিয়ে বিছানায় তার পরিশ্রান্ত দেহ এলিয়ে দিল। হঠাৎ বিদ্যুৎ চমকের মতো একটা কথা মনে আসতেই সে হঠাৎ শোয়া থেকে এক ঝটকায় লাফিয়ে উঠে দাঁড়াল। তারপর দাদুর শুন্য ঘরখানার দিকে দ্রুতবেগে ধাবমান হল। দাদু বেঁচে থাকতে তো সে ঘরখানায় ... ...
সে তার ব্যাগপত্র কোনোভাবে নিজের ঘরে রেখে দিয়েই তড়িঘড়ি করে দাদুর ঘরে চলে এসেছিল। ধীর পায়ে ঢুকেছিল সে দাদুর ঘরে। আস্তে করে দাদুর বিছানার পাশে রাখা চেয়ারখানি নিয়ে বসেছিল। তারপর সে নিষ্পলক তাকিয়েছিল দাদুর চোখের দিকে আর দাদুর যন্ত্রনাক্লিষ্ট চোখ দুখানি স্হিরভাবে নিবদ্ধ ছিল তাতানের চোখের দিকে। বেশ কিছুক্ষণের এই নিস্তব্ধতাতেই নিঃশব্দে হয়ে গেল অনেক কথার মূক ... ...
পর্ব ১ ঘোষপুকুর লেনের গা ঘেঁষে মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে আছে যে সুবিশাল তিনতলা বাড়িখানা, সেটি একটি যৌথ পরিবার। পারিবারিক ব্যবসা নিয়ে দিনরাত ব্যস্ত থাকে পরিবারের পুরুষ সদস্যরা, আর বাড়ির গিন্নিরা প্রায় ভোর থেকেই কোমরে আঁচল কষে গুঁজে নিয়ে লেগে যায় গৃহকর্ম সম্পাদনার কাজে আর সন্ধ্যার পর নিজের নিজের স্বামীকে আরও বেশি টাকা ইনকাম করার জন্য তাগাদা দেওয়ার রোজনামচায় ... ...
তায় ঘরটিকে অচেনা আগন্তুকের পক্ষে একটু বাসযোগ্য করতে গিয়েই দিনের এই বাকি সময়টুকু যেন এক লহমাতেই ফুরিয়ে গেল।এখন এই পরিশ্রান্ত শরীর নিয়ে রান্না করা তো দূর,ভাত বসাতে গিয়েও যেন মনে হচ্ছে,হাঁটুতে যেন কেউ ভারী পাথর বেঁধে দিয়েছে।সে মুড়ির টিন থেকে বাটিতে কিছুটা মুড়ি ঢেলে নিয়ে তাতে কিছুটা চানাচুর ঢেলে নিল।ক্ষুধার্ত পেটে সেটাই এক নিমেষে শেষ করে রান্নাঘরের আলো বন্ধ করে সে শোবার ঘরে এল।ঘরে ঢুকে সে দেখল,মশারির ভিতরে সারা শরীরখানিকে গুটুলি পাকিয়ে নিয়ে পরম নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে কাদা হয়ে রয়েছে মেয়েটা।জামাকাপড় কেমন করে পরতে হয় এটাই বোধহয় মেয়েটা আজ পর্যন্ত শিখে উঠতে পারেনি।একমুখ মায়া ঢালা গভীর ঘুমে অবচেতন শরীরটির আনাচে কানাচে ... ...