এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হঠাৎ সুনামি

    Rashmita Das লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ১১৯ বার পঠিত
  • পর্ব ৪

    আগের থেকে এখন রাতুলের খাটুনি যাচ্ছে প্রায় দ্বিগুণ। তা সত্ত্বেও তার মধ্যে কোনো ক্লান্তির উফ্ টুকুও নেই। উলটে তার মনে হচ্ছে, মামনের মামা মামীর খোঁজ আজ নয়, কাল করা যাবে'খন। ধীরে ধীরে তার এই চিন্তাতেও বদল এল। সে ঠিক করে নিল, তার আদরের মামনের মামার বাড়ির খোঁজ করার চিন্তা সে পুরোপুরি বাদ দিয়ে এবার সে এমন ব্যবস্হা করবে যাতে কোনোদিন তাকে মামনের কাছ থেকে আলাদা থাকতে না হয়। সে তিয়াসাকে বিয়ে করবে বলে মনঃস্হির করল। ইতিমধ্যে পাড়া প্রতিবেশীরাও ভীষণভাবে কানাঘুষো আরম্ভ করে দিয়েছে। ক্রমশ কানাঘুষো আর চাপাচাপির পরিধি পার করে সেটা একেবারে প্রকাশ্যে চলে এল। সবাই এবার রাতুলকে চেপে ধরল। সবাই তাকে বলল, এভাবে একটা আইবুড়ো মেয়েকে তুমি ঘরে রাখতে পারো না। যদি ওকে রাখতেই হয়, তাহলে ওকে বিয়ে করে নাও। রাতুল সবাইকে মুখের ওপরে জানিয়ে দিল, আর কয়েকদিনের মধ্যেই সে মেয়েটিকে বিয়ে করে নেবে। এখন মোটামুটিভাবে রাতুলের বিয়ের তোড়জোর আরম্ভ হয়ে গেল। রাতুল অফিসে কটাদিনের জন্য ছুটির আবেদন করল। বিয়ে শব্দটার অর্থ কি সেটা তিয়াসা না বুঝলেও সে যখন এটা বুঝল, একটা এমন ব্যবস্হা হচ্ছে যাতে সে এভাবেই রাতুলের সাথে সারাজীবন থাকতে পারবে তখন তিয়াসার মনে খুশি যেন আর ধরছে না। তার সীমাহীন প্রশ্রয়ে অর্থহীন বকবক শোনার অধীর আগ্রহ... তার ছোটো ছোটো দুষ্টুমি আর তাতে শাস্তির বদলে অকৃপণ আদর... এই যত্ন... এই ভালোবাসা থেকে যাবে সারাজীবন এটা সে তার অবোধ মস্তিষ্কে ভালোভাবেই অনুধাবন করতে পেরেছিল। তার মনের গহিন কোণে উজ্জ্বল হতে থাকল বেঁচে থাকার উচ্ছ্বাস... তার সার্থকতা উদযাপনের সাতরঙা রামধনু।

    এরই মধ্যে হঠাৎ এক অপ্রত্যাশিত ঘটনার সম্মুখিন হল রাতুল। নিখোঁজ পরিবার পরিজনহীন মেয়েটি যে পুরোপুরি বেওয়ারিশ নয়... দুনিয়ার বুকে তার আপন রক্তের কেউ কোনোদিন তার খোঁজ করতে পারে তার প্রমাণ আজ এতদিন বাদে হঠাৎ  হাতেকলমে পেল রাতুল এবং আন্তরিকতা আর আনন্দ নিয়ে বিয়ের আয়োজনে মশগুল পাড়া প্রতিবেশীরা। তিয়াসার নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই রীতিমতো হন্যে হয়ে তাকে খুঁজে চলেছেন তিয়াসার মামা অচিন্ত্যবাবু। তিনি কর্মসূত্রে আমেরিকায় থাকেন। তিয়াসার বাবা মা গত হওয়ার পর তিনি নিজে তার ভরণপোষণ সমেত সমস্ত দায়িত্ব নিয়ে তাকে স্ত্রীর কাছে গচ্ছিত রেখে বলেছিলেন, এখন থেকে তোমার দুই মেয়ে। নিজের মেয়ের সাথে ওকেও সন্তানস্নেহে বড় করার দায়িত্ব এখন আমাদের। স্ত্রীর সেদিনের হাসিমুখে সম্মতিজ্ঞাপন দেখে তিনি এটা কখনোই আঁচ করতে পারেননি যে তিনি যদি বিদেশে প্রবাসী না হতেন তাহ‌লে সেদিন সেই সময়ে স্ত্রীর ঠিক কোন রূপ দেখতেন। ছমাসে কি বছরে একবার তিনি দেশে আসেন। এবার সেখানে সমস্তকিছু গুছিয়ে রেখে এখানে যখন স্ত্রী  পরিবার নিয়ে একেবারে চিরকালের মতো পাড়ি দেবার জন্য তাদের সাথে নিয়ে যেতে এসেছেন তখন স্ত্রীর কাছে শোনেন তার ভাগ্নী কদিন ধরে নিখোঁজ। স্বামীকে সান্তনা দিতে তিনি এও বলেন যে তিয়াসার খোঁজ খবর পাওয়ার প্রচুর চেষ্টা করেও তার খোঁজ আর পাওয়া যায়নি। কিন্তু স্ত্রীর আচার আচরণে অচিন্ত্যবাবুর মনে সন্দেহ দানা বাঁধে। তিনি যে পরিবার নিয়ে একেবারে বিদেশে চলে যাওয়ার জন্য এখানে এসেছেন সেকথাটা স্ত্রীর কাছে যেভাবে সারপ্রাইজ হিসেবে রেখেছিলেন সেভাবেই তার এই পরিকল্পনা গোপনে রাখলেন। সমস্ত কিছুকে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্হগিত রেখে গোপনে তিনি তিয়াসার খোঁজ শুরু করলেন হন্যে হয়ে। মরিয়া প্রচেষ্টার পর অবশেষে তিনি খোঁজ পেলেন ভাগ্নীর। রাতুলের সাথে ঘরে প্রবেশরত মামাকে দেখে তিয়াসার খুশি আর ধরল না। সে একছুট্টে গিয়ে মামা কে জড়িয়ে ধরল একমুখী হাসি নিয়ে। রাতুল আর বাকি সবাই  জানল বাপ মা হারা তিয়াসার সমস্ত অতীত। কিন্তু অচিন্ত্যবাবু তখনও বুঝে উঠতে পারেননি এই রাতুলের সাথে বিয়ের তোড়জোড় চলছে তার আদরের ভাগ্নীর। তিনি যখন তিয়াসাকে নিজের সাথে করে নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু করলেন তখনই ভীষণভাবে বেঁকে বসল তিয়াসা। সে কিছুতেই যাবে না মামার সাথে। সে রাতুলের সাথেই থাকবে একথা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়ে ভীষণরকম শক্ত করে চেপে ধরল রাতুলের হাত। অচিন্ত্যবাবু জিজ্ঞাসু দৃষ্টি নিয়ে তাকালেন রাতুলের দিকে। রাতুল একটা লজ্জামিশ্রিত ভয় ও ইতস্ততভাব নিয়ে একদম চুপ হয়ে গেল। পরিস্থিতিকে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরিয়ে এনে হইহই করে আসল ব্যাপারটা তখন সেখানে উপস্থিত  পাড়াপ্রতিবেশীরাই পরিষ্কার করে দিল। সাথে সকলে মিলে রাতুলের হাতে তাঁর ভাগ্নীকে সম্প্রদানের জন্য করজোড়ে অনুরোধ জানাল। অচিন্ত্যবাবু সাথে সাথেই তাতে মত দিলেন খুশিমনে। চতুর্দিকে তখন খুশির রোশনাই আবার দ্বিগুণ হয়ে ফিরে এল। অচিন্ত্যবাবু তার মনের মতো করে তার ভাগ্নীকে বিদায় দেবার উদ্দেশ্যে তখনকার মতো তিয়াসাকে নিয়ে যাবার প্রস্তাব দিলেন। তিয়াসাকে ব্যাপারটা বুঝিয়ে বলতে সেও খুশি মনেই মামার সাথে যাবার জন্য ব্যাগট্যাগ গোছাতে শুরু করল। মামা নিজে ভাগ্নীর অপটু হাতের সাথে সেই কাজে লাগালেন হাত। অতঃপর সূর্যাস্তের দিকে উদাস তাকিয়ে আনমনা রাতুলকে কাঁধ ঝাঁকিয়ে হুঁশে আনলেন। "মাত্র তো কটা দিনের ব্যাপার। তারপরই একেবারে এখানেই থাকবে তিয়াসা চিরকালের জন্য" - এই কথাটা পাখিপড়া করে বোঝাতে বোঝাতে কোনোমতে তিয়াসাকে সেই ঘর থেকে বার করে এনে গাড়িতে তুলতে সমর্থ হলেন অচিন্ত্যবাবু। আকাশের অসীমতার কোলে মেঘের সাথেই একাকার হয়ে ভাসতে লাগল রাতুল আর তিয়াসার উদাস চোখের আকুল করা মন কেমনের মূর্ছনাগুলি।

    তিয়াসাকে বাড়িতে আনবার সাথে সাথেই স্ত্রীর সাথে তার তুমুল গন্ডগোল আর বিরোধ শুরু হল। যে আপদকে বুদ্ধি খাটিয়ে কোনোমতে ঘাড় থেকে নামানো গেছে সে আবার কোথা থেকে উড়ে এসে একেবারে আগের মতোই জুড়ে বসতে চাইছে দেখে আর সহ্য হল না তিয়াসার মামীমার। তিনি একেবারে দক্ষযজ্ঞ বাঁধিয়ে দিলেন। অতঃপর মাথা ঠান্ডা করে সবটা শুনলেন। অচিন্ত্যবাবু স্ত্রীকে বললেন, "তোমার মতো হৃদয়হীন মহিলার সাথে ঘর করবার কোনো প্রবৃত্তিই এখন আর নেই আমার। কিন্তু এখন আমার কপালে শিরে সংক্রান্তি। এখন নিজের সন্তানের ভবিষ্যৎ সবার আগে। কারণ তিয়াসা যার কাছে এতদিন ছিল তার বাবাকেই আমি একসময় কিছু টাকার ভাগ বাঁটোয়ারার অংশীদার হওয়ার জন্য পিছন থেকে কলকাঠি নেড়ে সর্বস্বান্ত করেছিলাম। ওর সাথে কথা বলেই আমি নিশ্চিত হয়েছি ছেলেটির পিতৃপরিচয় সম্বন্ধে। এই ছেলে আজ যদি কোনোভাবে এই সত্যিটা জেনে যায় যে ওর বাবার বরবাদির মূল কালপ্রিট আমি ছিলাম আর তার সাথে যদি ওর ঘরে আমার সিগনেচার করা সেই কাগজগু‌লো থেকে থাকে তাহলে আজ নয় কাল প্রমাণসমেত সেই ছেলে আমায় আইনীভাবে চেপে ধরতে পারে। আর একমূহুর্ত যদি এখানে সময় নষ্ট করি তাহলে শিলিগুড়ি থেকে পালিয়ে কলকাতা আসা আর বিদেশে চিরকালের মতো পালিয়ে যাওয়ার জন্য এতদিনের সব পরিশ্রম ভন্ডুল হয়ে যাবে। আমি এবার তোমাদের এখান থেকে আমেরিকায় নিয়ে যেতে এসেছি। তিয়াসা আমাদের সাথে যাবে কি যাবে না এই নিয়ে অশান্তি করে যদি নিজের মেয়ের ভবিষ্যৎ জলাঞ্জলি না দিতে চাও তো যত তাড়াতাড়ি পারো আমাদের চারজনের ব্যাগপত্র গুছিয়ে নাও। জলদি।"

    মামীমা আর কথা না বাড়িয়ে একরাশ অসন্তোষ আর ক্ষোভ নিয়ে ব্যাগপত্র গোছানো শুরু করল। চোখের নিমেষেই ঘরের সমস্ত ফার্নিচার বিক্রীটিক্রী করে বাড়ির চাবিখানি ভাইকে ডেকে শিলিগুড়িতে পাঠিয়ে দিয়ে ভাগ্নীকে নিয়ে সপরিবারে বিমানে চেপে উড়ান দিলেন আমেরিকার গন্তব্যে।

    রাতুলের ঘর থেকে তিয়াসাকে নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার পর থেকে তার সাথে অচিন্ত্যবাবু আর কোনোরকম যোগাযোগই রাখেননি। এখন সমস্ত ব্যাপারটা স্পষ্ট রাতুলের কাছে। বাস্তবকে সে যুক্তি দিয়ে মেনে নিয়ে ব্যস্ত হল আগের মতোই প্রতিদিনের রোজনামচায়। কিন্তু হঠাৎ আজ তার জীবনটা ভীষণভাবে অর্থহীন মনে হচ্ছে। যেন তার সুন্দর সাজানো জীবনটাতে এমনভাবে ধ্বস নেমেছে যে জীবনের প্রতিটি সুর প্রতিটি ছন্দকে কুড়িয়ে কাছিয়ে এক সূত্রে গাঁথার মরিয়া চেষ্টা করা সত্ত্বেও তাতে কৃতকার্য হওয়াটা এক কথায় অসম্ভব। যেন তার জীবনের এই বিশাল  ধ্বংসস্তূপের মাঝখানে ভাঙ্গা ইঁট হাতে সে একা খুঁজে চলেছে বেঁচে থাকার কারণ। আজ ঘুম থেকে উঠে মনে হয়, তার করার মতো কোনো কাজই নেই। অফিস থেকে সে যতটা সম্ভব দেরিতে বেরোয়। যে রাতুল কটাদিন আগেও সূর্যাস্তের পরপরই ঘরে ফেরার জন্য শিশুর মতো উতলা হয়ে উঠত সেই রাতুল আজ ফাঁকা ঘরে তার একাকীত্বের মূক গোঙানিগুলিকে ভীষণভাবে ভয় পায়। ভীষণভাবে এড়িয়ে যেতে চায়।

    বিদেশে পাড়ি দেওয়ার পরে তিয়াসার অবোধ মস্তিষ্কে এটা পরিষ্কারভাবে বোধগম্য হল যে তাকে ঠকানো হয়েছে। রাতুলকে আর সে চোখের সামনেও পাবে না কোনোদিন। কোমলস্বভাবের মিষ্টি মেয়েটি হঠাৎ যেন লাল কাপড় বাঁধা অন্ধ ষাড়ের ন্যায়ে ক্ষেপে উঠল। মরণপণ করে সে মুখে একটিই কথা নিয়ে রয়েছে। সে একবার রাতুলের কাছে যেতে চায়। পৃথিবী উল্টোদিকে ঘুরতে শুরু করলেও তার এই কথাখানা শুনতেই হবে। না হলে হয় এসপার নয় ওসপার। সে খাওয়াদাওয়া ছেড়ে দিয়েছে। সামনে যাকে পাচ্ছে তাকে রাতুলের কাছে একটিবার নিয়ে যাবার জন্য হাতেপায়ে ধরা থেকে শুরু করে আঁচড় কামড় দিয়ে তা শেষ করছে। আর পরিশেষে তাকে ইঞ্জেকশন দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিতে হচ্ছে। এইভাবে দিন যায় রাত যায়। তিয়াসা এখন নিয়মিত শক থেরাপি নেয় আর দিনের বেশির ভাগ সময় ঘুমের ওষুধ খেয়ে পড়ে থাকে। আমেরিকাতে আসবার পর অচিন্ত্যবাবু কাজে আরো ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তিনি পুনরায় স্ত্রীকেই তিয়াসার সমস্ত দায়িত্ব সঁপে দিয়ে শুধু এটুকু দাবী রেখেছেন, মেয়েটা যেন বাকি জীবনটা খাওয়াপরা সমেত একটা আশ্রয়ে থাকে। তিয়াসাকে নিয়ে আর কোনোকিছুই ভাববার প্রয়োজন নেই।
    কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তিয়াসার এইভাবে তিল তিল করে মৃত্যুরই প্রহর গুনছেন তার মামীমা যার জবাবদিহি চাওয়ার আজ একজনও অবশিষ্ট নেই। হাতে পায়ে শিকল বাঁধা অবস্হায় জানোয়ারের মতো পড়ে থাকে তিয়াসা। সেদিন প্রবল ঝড়জলের রাত। গুদামঘরের একপাশে শিকল বাঁধা তিয়াসা  আধোঘুমে আচ্ছন্ন। হঠাৎ তার মৃত হৃদপিঞ্জর ছিঁড়েখুঁড়ে কানে একটা ভীষণ পরিচিত চাপা ফিশফিশ কন্ঠস্বর ভেসে এল। "মামন... মামন... "

    হঠাৎ যেন তার রুক্ষ হৃদয়ের প্রখর মরূভূমির তৃষ্ণার্ত বালুকারাশির সমস্ত আকুতি এক নিমেষে শান্ত করে তার মনের আকাশ জুড়ে নেমে এল তোলপাড় করা ঝড়।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন