প্রতিটি সাংসদের MPLADS এর টাকা, ₹১৩,৬২৩/- কোটি টাকা জিএসটির শেয়ার, রাজ্যের প্রাপ্য সমস্ত টাকাপয়সা মিটিয়ে দেবার দাবী তোলা হোক সর্বস্তর থেকে। ... ...
দুধসাগর জলপ্রপাত, তারকরলি সমুদ্রসৈকত -- দু’চারমাস বাদে বাদে একবারটি এদিক সেদিক ঘুরে না এলে তো বদ্দিবুড়ির হাড় মুড়মুড়ি, কান কটকট শুরু হয়ে যায়। জীবন এদিকে তার কালো সাদা ধুসর মাটিপাথর রক্তপুঁজ ফুলফুলুরি উপুড় করে দিয়েই যায় --- বদ্দিবুড়ি একবার ভাবে জীবন বড় রঙীন আরেকবার ভাবে জীবন কেমন পাঁশুটে কুচ্ছিত। হাত পা ছটফটায় পালাতে চায় তো বদ্দিবুড়ি না বেরিয়ে করেটা কি? ... ...
পাঠ প্রতিক্রিয়া ... ...
আগে মানে এই সত্তর আশির দশকে এরকম বেশ কিছু জ্যেঠু বা পিসীদের আমরা অনেকেই চিনতাম। এঁদের কেউ বলত ছিটেল, কেউ বলত বাতিকগ্রস্ত, কেউ কেউ বিরক্ত হত, বেশিরভাগই এঁদের নিয়ে হাসাহাসি করত। তবে কোথাও একটা প্রশ্রয়ও ছিল সমাজে এঁদের প্রতি। এঁরা এঁদের বিশ্বাসমত সকলের যাতে ভাল হয় সেরকম চেষ্টা করতেন, ব্যক্তিগত অধিকার অনধিকারের তোয়াক্কা খুব একটা করতেন না। সেটা যে সবসময় ভাল হত তাও না, তবু এঁদের আন্তরিকতায় খাদ ছিল না। আরোপিত স্বাতন্ত্র্যে ঘরবন্দী থাকার সময় এঁদের কথা হঠাৎই বড্ড মনে পড়ছে। ... ...
এই ঘোর অন্ধকার সময়ে আরেকবার ফিরে দেখি ১৯৪৭ এর রক্তমাখা দিনগুলোকে। সেই দিনগুলো পার করে যাঁরা বেঁচে আছেন এখনও তাঁদেরই একজনের গল্প রইল আজকে। পড়ুন, জানুন, নিজের দিকে তাকান... ‘আমাদের হিন্দু ভাইয়েরা হিন্দুস্তানে জন্মায়, বড় হয়, সারাজীবন কাটিয়ে যখন মারা যায় তখন তাদের দাহ করে সেই ছাই গঙ্গানদীর পুণ্যপ্রবাহে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। তারা বয়ে চলে গঙ্গার স্রোতধারায়, যদিও গঙ্গার জল শেষপর্যন্ত গিয়ে মেশে সাগরে, সে জল তখন আর শুধু হিন্দুস্তানের নয়। আমরা মুসলমানরা এদেশে জন্মাই, বড় হই ... ...
অত্যন্ত লজ্জার সাথে স্বীকার করি, আমি রিজিয়া রহমানের নামও জানতাম না। কখনও কোনও আলোচনাতেও শুনি নি। এঁর নাম প্রথম দেখলাম কুলদা রায়ের দেয়ালে, রিজিয়া রহমানের মৃত্যুর পরে অল্প কিছু কথা লিখেছেন। কুলদা'র সংক্ষিপ্ত মূল্যায়নটুকু পড়ে খুবই আগ্রহ জাগে, কুলদা তৎক্ষণাৎ দুটি বইয়ের ই-কপির খোঁজও দেন। এরপরেরদিনই একটি বইয়ের গ্রুপে রিজিয়া রহমানের 'ইজ্জত' গল্পটি পড়ে তীক্ষ্ণ, শক্তিশালী একটি কলমের আন্দাজ পেয়েছিলাম।
.
আজ প্রায় একবসায় শেষ করলাম 'রক্তের অক্ষরে'। কি আশ্চর্য্য লেখনী! নেকুপুষু আতুপুতু মধ্যবিত্তপনার ... ...
চৈত্র সংক্রান্তি মানেই যেমন ছাতুমাখা ছিল, তেমনি পয়লা বৈশাখ মানেই ছিল সাদা নতুন টেপজামা, সুতো দিয়ে পাখি, ফুল, দুই একটা পাতা বা ঘাস সেলাই করা। চড়কতলায় মেলা বসত চৈত্র সংক্রান্তির দিন থেকে, কিন্তু একে তো সে বাড়ী থেকে অনেক দূর, চৈত্র বৈশাখের গরমে অতদূরে কে নিয়ে যাবে, তাছাড়াও 'চড়ক' এর খেলাগুলো আমাদের দেখতে দিতে আমার মায়ের আপত্তি ছিল। ছোট বাচ্চারা আবার কাঁটা ফোঁড়া, ঝাঁপ খেলা এইসব দেখবে কী? বাচ্চাদের ঐসব 'বীভৎস' ব্যপার থেকে যথাসাধ্য দূরে রাখারই চেষ্টা করত তখন আমার মা ও আশেপাশের বাবা মায়েরা। দূরদর্শন তখন ... ...
সেই যে যখন শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী রোড দিয়ে টঙ টঙ ঘন্টা বাজিয়ে ট্রাম চলত ২৯ নম্বর, ৩১ নম্বর। উজ্জ্বল সবুজ গড়ের মাঠ ছুঁয়ে , গ্র্যান্ড হোটেলের সামনে বসা দোকানের ছোট ছোট দম দেওয়া গাড়ি, হাত পা ছোঁড়া পুতুল পাশ কাটিয়ে ব্রেবোর্ন রোড দিয়ে যাবার সময় বাগড়ি মার্কেটের উপচে আসা বাজির বাজারকে এক ঝলক টা টা করে হাওড়া ব্রীজ পেরিয়ে সোজা হাওড়া স্টেশান। সাবওয়ে তখনও তৈরী হচ্ছে, এক নম্বর প্ল্যাটফর্মের পাশ দিয়ে সোজা ঢুকে পড়া যেত। কালীপুজো আর ভাইফোঁটার মাঝের দিনটায় ৩/ডি ইন্দ্র রায় রোডের বাড়ির খুকীর হাত ধরে, খুকীর ... ...
#পার্টিশানের_অজানা_কাহিনী ৩
১৯৪৭ এর ডিসেম্বর মাসে হুমায়ুনস টুম্ব রিফিউজি ক্যাম্পে একদিন দেখা গেল এক অভাবনীয় দৃশ্য। ৫০০০ রিফিউজির একটি দল খাটিয়া , বড় বড় শস্যের বস্তা, টুকিটাকি ঘর গেরস্থালির জিনিষপত্র, মায় ছাঁকনি পর্যন্ত যাবতীয় গৃহস্থালির জিনিষপত্র সঙ্গে করে এসে ঢুকছে। যথেষ্ট সুস্থ ও স্বাস্থ্যবান এই দলটিতে মেয়েরাও বেশ পরিপাটি গয়নাগাঁটিতে সেজেগুজে এসে হাজির। এঁরা কেন রিফিউজি ক্যাম্পে এসেছেন বোঝা যাচ্ছে না, কারণ এঁরা লুন্ঠিত, দাঙ্গাবিধ্বস্ত যে নন সে তো দেখেই বোঝা যাচ্ছে। জিগ্যেস করে এক অভ ... ...
দেশভাগ, বাটওয়ারা, পার্টিশান – উপমহাদেশের চুপচুপে রক্তভেজা এক অধ্যায় নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা, নির্মম কাটাছেঁড়া এই সবই ভারতে শুরু হয় মোটামুটি ১৯৪৭ এর পঞ্চাশ বছর পূর্তির সময়, অর্থাৎ ১৯৯৭ থেকে। তার আগে স্থাবর অস্থাবর সবকিছু ছেড়ে কোনওমতে প্রাণ নিয়ে পালানো মানুষজনও নিজেদের একান্ত আলাপচারিতায় এর হিংস্র ক্ষতবিক্ষত অংশটুকু সযত্নে এড়িয়ে যেতেন বা কোনও রূপকের (আগুনে ঝড় বা ভূমিকম্প) সাহায্যে বর্ননা করতেন। হ্যাঁ খুশবন্ত সিঙের ‘আ ট্রেইন ট্যু পাকিস্তান’ খুবই ব্যতিক্রমী ছিল। খুব সম্ভবত আউটলোক পত্রিকার বিস্তারিত আলোচ ... ...