ভণিতা করার বিশেষ সময় নেই আজ্ঞে। যা হওয়ার ছিল, হয়ে গেছে আর তারপর যা হওয়ার ছিল সেটাও শুরু হয়ে গেছে। কাজেই সোজা আসল কথায় ঢুকে যাওয়াই ভালো। ভোটের রেজাল্টের দিন সকালে একজন আমাকে বললো "আজ একটু সাবধানে থেকো"। আমি বললাম, "কেন? কেউ আমায় ক্যালাবে বলেছে নাকি"? সে বললো, " না, বলা তো যায় না আজ কে কাকে ক্যালাবে... তাই..." এইবার কথা হচ্ছে, ফাটা দু'রকমের হয়। এক হলো ভয়ে ফেটে যাওয়া, আর দুই, প্রকৃত অর্থেই ফাটা, অর্থাৎ যখন কিনা চচ্চড় করে শব্দ বেরোয়। প্রথমে আমরা দ্বিতীয় রকমের ফাটার কথা ... ...
রাষ্ট্র একটি কল্পিত ব্যবস্থা। রাষ্ট্র বলে আসলে কিছু হয় না। আমরা ভেবে নিয়েছি এবং বিশ্বাস করছি তাই রাষ্ট্র আছে। আমার সামনে এই মুহূর্তে যে কম্পিউটারটা রয়েছে রাষ্ট্রের থেকে তা অনেক বেশি সত্যি। এই স্ক্রীনটাকে আমি ছুঁয়ে দেখতে পারি, রাষ্ট্রকে ছুঁয়ে দেখতে পারি না; বিভিন্ন প্রতীক ও প্রতিষ্ঠানের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র প্রতিভাত হয় আমার কাছে।
ধরা যাক, একটি হাওয়া ভর্তি থলি, তার ভিতরে যে হাওয়াই রয়েছে এমনটা কেউ বুক ঠুকে বলতে পারে না। কারণ হাওয়া চোখে দেখা যায় না। থলিটি বন্ধ থাকলে বোঝা যায় শুধু যে ভিতরে কিছু ... ...
এনআরএস-এর ঘটনা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এরকম ঘটনা বারেবারেই ঘটে চলেছে এবং ভবিষ্যতে ঘটতে চলেছে আরও। ঘটনাটি সমর্থনযোগ্য নয় অথবা ঘৃণ্য অথবা পাশবিক (আয়রনি); এই জাতীয় কোনো মন্তব্য করার জন্য এই লেখাটা লিখছি না। বরং অন্য কতগুলো কথা বলতে চাই। আমার মনে হয় এই ঘটনার মূল কারণ সরকারের যথোপযুক্ত পলিসির অভাব, এবং পলিসি যদিও বা কিছু থেকে থাকে কার্যক্ষেত্রে তার প্রয়োগের অভাব। কোনো নির্দিষ্ট সরকারের কথা বলছি না। কেন্দ্র, রাজ্য, সবাই সমানভাবে দায়ী। আমরা মানুষের বাচ্চা। মুরগীর মাংসের দোকানে একটা নধর মুরগীর দিকে আমা ... ...
সেই ছোটবেলায় বাবামায়েরা আমাদের টাটা দিতে শেখায়। সফলভাবে এই টাটাশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে উঠতে পারলে আমাদের জনসমক্ষে বেশ গুডবয়-গুডগার্ল জোটে প্রথমপ্রথম। তারপর বড় হওয়া, কথা বলতে শেখা, এইসবের মধ্যে কখন যেন একদিন জোটা বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু রিওয়ার্ড বেসড লার্নিং বলে একটা কথা আছে। এটা আমাদের কাজুদের ক্ষেত্রেও সত্যি। যে কাজগুলো করলে প্রশংসা-পুরস্কার বা নিদেনপক্ষে অ্যাটেনশন জোটে, সেগুলো আমরা চট করে ভুলি না, এবং বারে বারে করতে থাকি। অথবা বলা ভালো করে 'দেখাতে' থাকি আসলে, সে সেটা প্রাসঙ্গিক হোক বা না হোক। এই যেমন ... ...
আমার শর্ট ফিল্ম কোন প্ল্যাটফর্মে দেখানো হবে না হবে সেটা একান্তই আমার সিদ্ধান্ত। এমনকি আদেও ছবিটা ইন্টারনেটে কোথাও থাকবে কিনা সেই সিদ্ধান্তও আমিই নেবো। অন্য কেউ এখানে আমাকে বাধ্য করতে পারে না। চিত্রবাণীর চলচ্চিত্রোৎসবের আয়োজকরা ঠিক সেটাই করার চেষ্টা করছেন। আজকের 'এই সময়'-তে বেরোনো রিপোর্ট অনুযায়ী ব্যাপারটা নাকি অপশনাল। এই পোস্টের সাথে কতগুলো ছবি দেওয়া রইলো, সেগুলো কিন্তু উল্টো কথা বলছে। ডিক্লেয়ারেশন ফর্ম-এ grant /do not grant -এর অপশন নেই। ফিল্ম ফ্রিওয়ে বলছে, "preview copies will be part of the K ... ...
কেউ কেউ এখনও জানতে চাইছে বাওয়ালটা ঠিক কি নিয়ে। ওদিকে কাল ইপ্সিতাদিও বলছিলো এসভিএফ-এর পিছনে এত এনার্জি নষ্ট করিস না, লিখে রাখ বরং। এমনিতে বিপ্লবটা আজকাল উইকেন্ড দেখেই করতে হয়। আজ সন্ধ্যের পর নিজের পক্ষেই আর সময় দেওয়া সম্ভব হবে না। কয়েকজনকে মেসেজে লিখলাম একটু আগে, বড় ঘটনা, পরে বলবো / ধীরে ধীরে লিখছি ইত্যাদি। তারপর ভেবে দেখলাম ব্লগ যখন আছে, তুলেই রাখি, কেউ জানতে চাইলে লিংক পাঠিয়ে দেব। কোনো সাহিত্য নয়, যেরকম যা ঘটেছে এবং মনে হয়েছে লিখে যাচ্ছি।
আমি আর শ্রীপর্ণা আপাতত অনেকগুলো ওয়েবসিরিজ দেখে ... ...
লেফট অ্যারো, ফার্স্ট ব্র্যাকেট ওপেন, কোটেশন মার্ক, ফার্স্ট ব্র্যাকেট ক্লোজ! আজ কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের সূচনা। কাল থেকে ফিল্ম দেখানো শুরু হয়ে যাবে পুরোদমে। অনেক মানুষ আসবেন নিশ্চয়ই। চলচ্চিত্র উৎসবের ব্যানারে ছাপানো মমতা ব্যানার্জীর সুবিশাল ছবিগুলির নিচ দিয়ে নন্দনে ঢুকবেন চলচ্চিত্র সেলিব্রেট করতে। বার্গম্যান, মাজিদি, ফিলিপ নয়েস; সে এক দুধর্ষ ব্যাপার! মানুষ সেলিব্রেট করবেন চলচ্চিত্র, দুর্দান্ত সব আলোচনা হবে সিনেমার ভাষা সিনেমার রাজনীতি এইসব নিয়ে। মাঝে মাঝে মোবাইল বেজে উঠবে হলে, তবে সে ... ...
স্বাধীনতা, রাজনীতি, সং-এর গঠন, পিওর কটন, ইত্যাদি - স্বাধীন চলচ্চিত্র সংসদ বিষয়ক কিছু চিন্তা (২)
এই লেখার উদ্রেক-এর কিছু বিশেষ কারণ রয়েছে। উদ্রেকই বলবো, কারণ নিতান্তই উদ্রেক না হলে লিখতাম না। লেখার সময় বিশেষ নেই এই মুহূর্তে হাতে। কিন্তু এই লেখাটা লেখা গত দুদিনে খুবই জরুরী হয়ে উঠেছে। প্রথমেই বলে নেওয়া ভালো যে এই লেখা একাধারে একজন ব্যক্তিমানুষের এবং অপরদিকে একজন সংগঠকেরও বটে। ফলতঃ কিছু কথা আসবে ব্যক্তিমানুষের তরফে এবং কিছু কথা সংগঠকের দিক থেকে। আশা করি পাঠক এই দু'ধরণের মন্তব্যের কোনটি কার ... ...
গত পরশু অর্থাৎ স্বাধীনতা দিবসের দিন, মালদা জিকেসিআইইটি ক্যাম্পাসে আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের বাইকবাহিনী এসে শাসিয়ে যায়। তারপর আজকের খবর অনুযায়ী তাদেরকে মারধর করে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। ছাত্রদের বক্তব্য অনুযায়ী মারধর করছে বিজেপির সমর্থক এবং শিক্ষকরা। তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেস এবং বামমনস্ক দলগুলির স্থানীয় কর্মীরা এবিষয়ে আঙ্গুল চুষছেন না বাতাসা খাচ্ছেন সেখবর এখনও নিশ্চিতভাবে পাওয়া যায়নি। সৌম্যদীপ চ্যাটার্জী নামক চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠ জনৈক ল্যাব অ্যাসিট্যান্ট অত্যন্ত বীরত্বের সাথে ছাত্ ... ...
নিয়মের অতল ফাঁক - মালদহের গণি খান চৌধুরী ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি - প্রথম কিস্তি (প্রকাশঃ 26 July 2018 08:30:34 IST)
আজব খবর -১
২০১৬ সালে একটি সরকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পাশ করা এক ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র ভারতীয় সেনায় ইঞ্জিনিয়ার পদে যোগ দিতে গেলে সেনা আধিকারিকরা উল্টে তাকে জেলে পুরে দেওয়ার হুমকি দেন। কারণ পদপ্রার্থীর পেশ করা ডকুমেন্টে গন্ডগোল ছিল। ভারতীয় সেনার মতে ভুয়ো ডকুমেন্ট। ব্যারাকপুরের ঘটনা।
খবর - ২
২০১৮ সাল। ওই একই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দুই ছাত্র ভ ... ...