চন্দ্রযান-২ চাঁদের মাটিতে ঠিকঠাক নামতে পারেনি, তার ঠিক কী যে সমস্যা হয়েছে সেটা এখনও পর্যন্ত পরিষ্কার নয় । এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে শুরু হয়েছে তর্কাতর্কি, সরকারের সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে । প্রকল্পটির সাফল্য কামনা করে ইসরো-র শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানীরা প্রকাশ্যে পুজো-আর্চা করেছেন, গুরুর শরণ নিয়েছেন । তাই নিয়ে চলেছে প্রবল হাসিঠাট্টা । আর সরকারের সমর্থকেরা তার উত্তরে বলছেন, চন্দ্রযানকে চাঁদে নামাতে না পারলেও নামবার অবস্থা পর্যন্ত পাঠাতে পারাটাই এক বিরাট কৃতিত্ব, এবং দেশের পক্ষে এক ভীষণ গর্বের ব্যাপার, ... ...
[লেখাটি মূলত কিশোরবয়স্কদের উদ্দেশে লেখা, বছরদুয়েক আগে ছাপা হয়েছিল 'নেহাই' পত্রিকায় । তবু এর বিষয়বস্তুর কারণে বয়স্করাও হয়ত কেউ কেউ আগ্রহ বোধ করতে পারেন] ............
তোমরা কি কখনও ভেবে দেখেছ, যে আমাদের জীবনটা কত বেশি বেশি মজায় ভরপুর ? সে সব মজা অবশ্য এমনিতে সবসময় চোখে পড়ে না, কিন্তু একটু খুঁটিয়ে ভাবলেই টের পাওয়া যায় । যেমন ধর রাস্তায় ভিড়ের মধ্যে একটা লোককে ডেকে যদি জিজ্ঞেস কর, আচ্ছা দাদা, আপনার অচ্ছোদপটলটা ঠিক কোথায় চটপট বলুন তো, তাহলে বেশির ভাগ লোকই বেদম ঘাবড়ে যাবে । সেটা আবার কোন ... ...
সে ছিল এক দিন আমাদের যৌবনে কলকাতা, যখন, শিক্ষিত ভদ্রজনের এক বড় অংশের মনের ভেতরে লুকোনো সাম্প্রদায়িকতা পোষা থাকত বটে, কিন্তু তাঁরা জানতেন যে সেটা খুব একটা গর্বের বস্তু নয় । সর্বসমক্ষে সে মনোভাব প্রকাশ করতে তাঁরা কিঞ্চিৎ অস্বস্তি বোধ করতেন । ভাল জামাকাপড় পরা শিক্ষিত লোক, তার হাতে জ্যোতিষের আংটি, জামার হাতার তলায় লুকোনো মাদুলি, কথাবার্তার অসতর্ক মুহূর্তে বেরিয়ে পড়া সাম্প্রদায়িকতার ইঙ্গিত, এইসব দেখলেই তাকে নিয়ে আমরা খুব হাসাহাসি করতাম । ওই যে তখন সুমন ‘এমনি আর ওমনির গান’-এর এক পংক্তিতে লিখেছিলেন --- ... ...
[ আর্থার সি ক্লার্ক-এর ‘The Curse’, প্রথম প্রকাশ ১৯৪৬ সালে । হিরোশিমা-নাগাসাকি-পর্বের পরের বছর, বুঝতেই পারছেন । কারা যেন যুদ্ধের কথা বলছে এখন ? ] .........
তিনশো বছর ধরে নদীর বাঁকে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে নিজের খ্যাতি ছড়িয়েছিল এ শহর, বদল আর সময়ের হাত হয়ত বা শুধু একটু আলতো করে ছুঁয়েছিল তাকে । কবে তীরে এসে ভিড়ল আর্মাডা, কবেই বা ভেঙে পড়ল তৃতীয় রাইখ --- এই সব কিছুই শুধু দূর থেকে শুনেছিল সে । মানুষের যাবতীয় যুদ্ধবিগ্রহ পাশ কাটিয়ে গেছে তাকে ।
আর আজ, পুরো উবে গেছে সে শহর । এমনভাবেই, যেন ... ...
[এ গল্পটি কয়েক বছর আগে ‘কলকাতা আকাশবাণী’-র ‘অন্বেষা’ অনুষ্ঠানে দুই পর্বে সম্প্রচারিত হয়েছিল, পরে ছাপাও হয় ‘নেহাই’ পত্রিকাতে । তবে, আমার অন্তর্জাল-বন্ধুরা সম্ভবত এটির কথা জানেন না ।] …………
আঃ, বড্ড খাটুনি গেছে আজ । বাড়ি ফিরে বিছানায় ঝাঁপ দেবার আগে একমুঠো খেয়ে নেবার মত ইচ্ছেটুকুও আর অবশিষ্ট থাকবে কিনা কে জানে ! ট্যাক্সি ধরলাম অফিসের সামনে থেকে । ক্লান্ত, তাই গাড়িতে উঠেই সিটে শরীরটা এলিয়ে দিলাম । অনেক রাত হয়ে গেল আজ । কাল আবার গোটা কুড়ি ই-মেল পাঠাতে হবে, আর সাত-আট জনকে মিট করতে হবে । রোজই চ ... ...
[মূল গল্প - Del rigor en la ciencia (স্প্যানিশ), ইংরিজি অনুবাদে কখনও ‘On Exactitude in Science’, কখনও বা ‘On Rigour in Science’ । লেখক Jorge Luis Borges (বাংলা বানানে ‘হোর্হে লুই বোর্হেস’) । প্রথম প্রকাশ – ১৯৪৬ । গল্পটি লেখা হয়েছে প্রাচীন কোনও গ্রন্থ থেকে উদ্ধৃতি দেওয়ার ভাণ করে, এবং সেহেতু শেষে একটি ভুয়ো সূত্রনির্দেশও দেওয়া আছে । সেই প্রাচীনগন্ধী মেজাজটি অক্ষুণ্ণ রাখতে অনুবাদের গদ্যটিকে কিঞ্চিৎ ‘আর্কায়িক’ রূপ দিতে হল । এ গল্পটি সেই অর্থে কল্পবিজ্ঞান নয়, তবে, হয়ত বা বিজ্ঞান নিয়ে । বাস্তবতা, বৈজ্ ... ...
[মূল গল্প - The End, লেখক – Fredric Brown, প্রথম প্রকাশ – ১৯৬১ । লক্ষ্য করে দেখবেন, এটি একটি ‘প্যালিন্ড্রোম’ গল্প, আমি জানি না পৃথিবীর একমাত্র প্যালিন্ড্রোম গল্প কিনা । একমাত্র হোক বা না-ই হোক, আসল কথাটা হচ্ছে, একে প্যালিন্ড্রোম বানানোটা কিন্তু নিছকই এক ক্যারদানি নয়, গল্পের থিমের সঙ্গে তা ওতপ্রোতভাবে জড়িত । এর বেশি বললে গল্পের চেয়ে বড় হয়ে যাবে ।] ....................
বছরের পর বছর ধরে সময় বিষয়ক তত্ত্ব নিয়ে গবেষণা করে আসছেন প্রোফেসর জোন্স্ ।
একদিন তিনি মেয়েকে ডেকে বল ... ...
[মূল গল্প – Sentry, লেখক – Fredric Brown, প্রথম প্রকাশকাল - ১৯৫৪] .....................
বাড়ি থেকে পঞ্চাশ হাজার আলোকবর্ষ দূরের এক গ্রহের মাটিতে কর্তব্যরত সে, জলে-কাদায় যতটা মাখামাখি, খিদে আর শীতে তার চেয়ে কিছু কম নয় ।
এখানে আলোটা পাওয়া যায় এক বিদ্ঘুটে নীল রঙের সূর্য থেকে, আর মাধ্যাকর্ষণের যা দশা সে আর বলে কাজ নেই । সে যাতে অভ্যস্ত তার দ্বিগুণ মাধ্যাকর্ষণ এখানে, নড়াচড়া করাই দায় ।
যুদ্ধের এমন কতকগুলো মৌলিক ব্যাপার আছে, লাখো বছরেও যার কোনও পরিবর্তন হয়না । যার ... ...
[ মূল গল্প --- Answer, লেখক --- Fredric Brown। ষাট-সত্তর দশকের মার্কিন কল্পবিজ্ঞান লেখক, কল্পবিজ্ঞান অণুগল্পের জাদুকর। ] ......
সার্কিটের শেষ সংযোগটা ড্বর এভ সোনা দিয়ে ঝালাই করে জুড়ে দিলেন, এবং সেটা করলেন বেশ একটা উৎসবের মেজাজেই । ডজনখানেক দূরদর্শন ক্যামেরা তাঁর দিকে তাগ করে আছে, আর তাদের তোলা ছবিগুলো ঈথারবাহিত হয়ে মুহূর্তে ছড়িয়ে যাচ্ছে ব্রহ্মাণ্ডের কোণে কোণে ।
তিনি এবার সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে ড্বর র্যেন-এর দিকে তাকিয়ে মাথা নাড়লেন, তারপর স্যুইচের পাশে অবস্থান নিয়ে প্রস্তু ... ...
মূল গল্প : আইজ্যাক আসিমভ
রাইগেল গ্রহের যে দীর্ঘজীবী প্রজাতির হাতে এই গ্যালাক্সির নথিপত্র রক্ষণাবেক্ষণের ভার, সে পরম্পরায় নারন হল গিয়ে চতুর্থজন ।
দুটো খাতা আছে ওনার কাছে । একটা হচ্ছে প্রকাণ্ড জাবদা খাতা, আর অন্যটা তার চেয়ে অনেকটা ছোট । গ্যালাক্সির সমস্ত বুদ্ধিমান প্রাণিদের নাম ওঠে ওই বড় খাতাটায় । আর ছোট খাতায় স্থান পায় শুধু সেই সমস্ত প্রজাতিরা যাদের সভ্যতা খানিকটা পরিণত হয়েছে, এবং সেই সুবাদে যারা গ্যালাক্টিক ফেডারেশনে স্থান পাবা ... ...