ছোটবেলায় একবার আমার প্রায় ভারত ভ্রমণ হয়েই গিয়েছিল। আমার ছোটবেলা বলতে ১৯৯৭ সালের কথা। ক্লাস সিক্সে পড়ি। স্কুল থেকে পিকনিকের আয়োজন করা হল। আমাদের শেরপুরের গজনীতে যাওয়া হবে। গজনীর পাস দিয়ে দুই দেশের সীমান্তরেখা। একটু বেখেয়ালে একটু বেশি হাঁটলে নিজের অজান্তেই ভারত ভ্রমণ হয়ে যায় অনেকের। আমাদের বেখেয়াল হওয়ার কোন সুযোগ নেই। আমাদের প্রত্যেকের মনের ভিতরে সুপ্ত ইচ্ছা এবার ভারতের মাটি থেকে ঘুরে আসবই। আমাদের বন্ধুদের মনে মনে জানা যে ঘুরে ফিরে একটা সুযোগ নিব আমরা। মুখে উচ্চারণ না করলেও আমরা সবাই তা নিশ্চিত জা ... ...
দেশে কিছু মানুষ রয়েছে যারা নারী কে সব সময় বিবেচনা করে নারীর বিয়ে দিয়ে। মানে তাদের কাছে বিয়ে হচ্ছে একটা বাটখারা যা দিয়ে নারী কে সহজে পরিমাপ করে তারা। নারীর গায়ের রং কালো, বিয়ে দিতে সমস্যা হবে। নারী ক্লাস নাইন টেনে পড়ে? বিয়ের বয়স হয়ে গেছে। উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ে? রেজাল্টটা শুধু বের হোক, তারপর বিয়ে। নারী উচ্চ শিক্ষিত? আল্লা, এর তো পাত্র খুঁজে পাওয়া যাবে না! নারী ভাল চাকরি করে? থাকো এখন চাকরি নিয়া, জামাই পাওয়া যাব না! নারী উচ্চতায় খাটো? বিয়ে হবে না। উচ্চতায় লম্বা ঢ্যাংঢ্যাঙ্গা? এরে বিয়ে দিব ক্যামনে আল্ল ... ...
কয়দিন আগে শেখ হাসিনা কে কাওমি জননী উপাধি দিলেন শফি হুজুর। দাওরায় হাদিস কে মাস্টার্সের সমমর্যাদা দেওয়ায় এই উপাধি দেন হুজুর। আজকে হুজুর উল্টা সুরে গান ধরেছেন। মেয়েদের ক্লাস ফোর ফাইভের ওপরে পড়তে দেওয়া যাবে না বলে আবদার করেছেন তিনি। তাহলে যে কাওমি মাদ্রাসা গুলায় মেয়েদের দাওরায় হাদিস পড়ান হয় সেগুলা বন্ধ করে দিতে হয় এখন! মেয়েরা তোমরার আর এম এ পাস করা হইল না, দাওরায় হাদিস দিয়াও না!!
এর আগে হুজুর তত্ব দিয়েছিলেন নারীদের নারী ডাক্তার ছাড়া চিকিৎসা নেওয়া যাবে না। তখনও সবার মনে প্রশ্ন উঠে ছিল তাহলে ... ...
Tony Lip Vallelonga একজন নাইট ক্লাবের বাউন্সার।তিনি একজন অল্পশিক্ষিত ইটালিয়ান আমেরিকান।তার চরিত্রের মধ্যে অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তিনি এক রোখা, এগুয়ে, জেদি, দুনিয়ায় চলার তার সম্পূর্ণ নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি আছে, প্রচুর খেতে পারেন, সমস্যা সমাধানের অদ্ভুত দক্ষতা আছে, বাস্তববাদী, কালোদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি ভাল না এবং নীতি ঠিক রেখে টাকার জন্য সব কিছুই করতে রাজি। নাইট ক্লাব সাময়িক ভাবে বন্ধের জন্য চাকরি খুঁজছেন তিনি। লোভনীয় অফার সহ চাকরি পেলেন D. Don Shirley নামের একজন পিয়ানিস্টের গাড়ি চালক এবং দেহরক্ষীর ক ... ...
আজকে ৩ জানুয়ারি। পীরেন স্নালের মৃত্যুবার্ষিকী। প্রশ্ন হচ্ছে পীরেন স্নাল কে? কোন দোষ নাই পীরেন স্নাল কে না চিনলে। কারন আমরা একটু বেভুলা জাতি আছি তা আমারা তো জানিই। পীরেন স্নালের কথা বলছি, আগে একটু দুইটা কথা বলে নেই।
ধরুন আপনার বাড়ির উঠোনে কি হবে না হবে তার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে আপনার বাড়ি থেকে কয়েকশ মাইল দূরে। পরিকল্পনায় আপনার বাড়ি ভেঙ্গে তেঁতুল গাছ লাগানর সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে, কোন পাসে হয়ত বলা হচ্ছে নাটকের জন্য মঞ্চ বানাবে, কেউ হয়ত বলছে একটা উন্নত মানের বাথরুম কিন্তু রাখবেন দয়া করে! সব ... ...
আচ্ছা, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে কতজন মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল? জনসংখ্যা ছিল ৭ কোটি, ১ কোটির মত মানুষ ভারতে আশ্রয় নেয়। বাকি সবাই ছিল দেশে। তো বাকিদের মাঝে কতজন মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল? সংখ্যাটা খুব বেশি না। মাত্র দুই লাখ মানুষ। বর্তমান মুক্তিযোদ্ধার তালিকা অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ১ লাখ ৮০ হাজার। সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ না করলেও আরও বেশ কিছু মানুষ মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য সহযোগিতা করেছে। আর বাদবাকি সবাই পুরো যুদ্ধকালীন সময়টা চুপচাপ তামাসা দেখে গেছে। শুনতে খারাপ শোনালেও বাস্তবটা অন ... ...
মুক্তিযুদ্ধের সরাসরি প্রভাব আমার পরিবারের ওপরে পড়েনি। বলা যেতে পারে আশপাশ দিয়ে চলে গেছে বিপদ আপদ। কিন্তু আশপাশ দিয়ে যেতে যেতেও একদিন যমদূতের মত বাড়িতে হাজির হয়েছিল পাকিস্তানী সৈন্যরা। আমার বাবা ছিল তৎকালীন পাকিস্তান বিমান বাহিনীর বিমান সেনা। যুদ্ধের সময় তিনি পাকিস্তানে বন্দী ছিলেন। উনার পুরো ইউনিফর্ম পরা অবস্থার একটা ছবি বাড়িতে লাগানো ছিল। ওই এক ছবিই বাঁচিয়ে দেয় আমাদের পুরো পরিবার কে। পাকিরা এসেই ছবি দেখে, ছবিকেই একটা স্যালুট করে চলে যায়। সম্ভবত খুব বড় কোন অফিসার ছিল না তাদের সাথে, থাকলে এমন হয়ত ... ...
১৩ ডিসেম্বর শহিদুল্লাহ কায়সার সবার সাথে আলোচনা করে ঠিক করে বাড়ি থেকে সরে পড়া উচিত। সোভিয়েত সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের প্রধান নবিকভ শহিদুল্লাহ কায়সারের খুব ভাল বন্ধু ছিলেন।তিনি সোভিয়েত দূতাবাসে আশ্রয় নেওয়ার জন্য বলেছিলেন। আল বদর রাজাকাররা যে গুপ্তহত্যা শুরু করে দিয়েছে তার খবর নবিকভ শহিদুল্লাহ কায়সার কে দিয়েছিলেন। শহিদুল্লাহ কায়সার বন্ধুর পরামর্শ অগ্রাহ্য করেনি। তিনি সেই দিনই সরে যাবেন ঠিক করলেন। কিন্তু নিয়তি বলে একটা ব্যাপার আছে। ঘর থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় মা স্ত্রীর কান্না ভেজা মুখ দেখে কিছুদূর গিয়েও ... ...
আজকে ২৮ নভেম্বর। ১৯৯৯ সালের আজকের দিনে আনুমানিক ৮৫ বছর বয়সে মারা বাংলাদেশের জাতীয় অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক। যাকে বলা হয় গুরুদের গুরু, শিক্ষকদের শিক্ষক। বয়স আনুমানিক বললাম কারন নথিপত্র অনুযায়ী উনার জন্ম ১৯১৪ সালে তবে তিনি নিজেই বলেছেন যে ১৪ না তার আরও দুই এক বছর আগে জন্ম উনার। ঢাকার নবাবগঞ্জে জন্ম গ্রহণ করেন তিনি। ঢাকা থেকেই পড়াশুনা শেষ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেণীতে স্নাতকোত্তর পাস করেন রাজনৈতিক অর্থনীতি বিভাগ থেকে। এই সব জানা কথাই ... ...
খুব বেশি দিন আগের কথা না। আজ থেকে দশ পনেরো বছর আগেও মাধ্যমিকে বাঁ উচ্চ মাধ্যমিকে কেউ মোটামুটি ভাল রেজাল্ট করলেও বাবা মা নিজের সন্তান কে নিয়ে যেত সেই ছাত্র কে দেখাতে। স্টার মার্ক পেয়েছে এমন কেউ ছিল দেখতে যাওয়ার মত ছাত্র। দুই বিষয়ে লেটার পেয়ে পাস করা ছাত্রকেও দেখতে গেছে মানুষ ভিন্ন গ্রাম বা মহল্লা থেকে। এরপর ভোজবাজির মত অবস্থার পরিবর্তন হয়ে গেল। নাম্বারের যুগ চলে গেল। আসল গ্রেডিং এর যুগ, এ প্লাসের যুগ। ঘরে ঘরে এ প্লাসে পরিপূর্ণ হয়ে গেল। এখন এমন অবস্থা হয়েছে যে হয় এ প্লাস না হয় ফেল, এর মাঝে যে আরও ... ...