-----
তুমি কিন্নরী / তুমি সুন্দরী কিন্তু আততায়ী / পিছন থেকে অলক্ষ্যে আঘাত হানো
.
পনের বছর ধরে সিংগুর নীতি আঁকড়ে থেকে, নিজেদের যাবতীয় ব্যর্থতার ভার 'নিচুতলার' একশ্রেণির কর্মীর ঘাড়ে ঠেলে দিয়ে সিপিএম ক্রমে জনবিচ্ছিন্ন এবং পরে বাংলার রাজনীতিতে অকিঞ্চিৎকর হয়ে উঠল। এই নির্বাচনে একঝাঁক তরুণ মুখ তুলে আনলেও, তাদের প্রায় সকলেই সিপিএমেরই নেতা-কর্মীরই বাড়ির সন্তান। তার বাইরে নতুন প্রজন্মের কাছে সিপিএমের গ্রহণযোগ্যতা নেই বললেই চলে। এমন কী নতুন করে মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে এরকম কোনও দিশাও দেখাতে পারে নি দল। এই নির্বাচনে সিপিএমের সম্পূর্ণ ডেসিমেশন বিভিন্ন সামাজিক পরিসর ও মিডিয়াতেও তাদের গুরুত্বহীন করে তুলবে। এই প্রেক্ষাপটে আশি বছরের বামপন্থী, কমিউনিস্ট রাজনীতির পরিসরে এক বিশাল শূন্যস্থান সৃষ্টি হয়েছে। আমরা যদি ধরে নিই বিভিন্ন কারণে দেশের গরিব মানুষের সংকট ... ...
অন্ধ হলে যে প্রলয় বন্ধ হয় না সে কথা হাড়ে হাড়ে জেনেও যেসব বিষয়ে আমরা অন্ধ হয়ে থাকি তার একটা হল র্যাগিং। একসময় প্রত্যেক শিক্ষাবর্ষের শুরুতে এই শব্দটা খবরের কাগজের পাতায় উঠে আসত। আই আই টি থেকে শুরু করে প্রায় অখ্যাত কলেজ, র্যাগিং-এর সূত্রে খবর হয়ে উঠত কমবেশি সবাই। কিছু অভিযোগ, ব্যবস্থা নেওয়া, শাস্তিবিধান, তারপর চুপচাপ। শিক্ষাবর্ষ এগোবার সঙ্গে সঙ্গে স্বাভাবিক নয়মে র্যাগিং এর প্রকোপ কমে যায়, অন্য সবকিছুও থিতিয়ে ... ...
পাহাড়চূড়ার সেই রাতটি আজও মনে পড়ে। / দিনের শেষে পাখিরা ফিরেছিল কুলায়। / কিছু পরেই, সূর্য গেল অস্তাচলে।
ভদ্রমশাই ভোরবেলায় চণ্ডীপাঠ সেরে ফেলেছেন এক সপ্তা হল৷ কিন্তু পুজো আসতে এখনও চার সপ্তা দেরি৷৷ এই সৃৃৃৃৃৃৃৃষ্টিছাড়া কাণ্ডের গোড়াটা খুঁজতে গিয়ে ক্যালেন্ডারের কাণ্ডকারখানা একটু নাড়াচাড়া করলাম৷
বাংলা পুজো সংখ্যা এবার কত বের হল? আগে তো গুটি কয়, এখন যেন বান ডেকেছে। বড় কাগজগুলো তো আছেই, সঙ্গে মাঝারি থেকে ছোট প্রকাশনার বিজ্ঞাপন সংগ্রহের ভেঞ্চারের লেজুড় সাহিত্যের ডালি। উল্টো দিক থেকে দেখলে বাংলায় সাহিত্যের নেড়া বনে হঠাৎ টুনি বাল্বের সজ্জা। এসব এতো কাগজ কি কালচার ইন্ডাস্ট্রির বাড়বাড়ন্তের ফল - কারা বের করে? লেখেই বা কেডা? আর ফুলটুস বাণিজ্য মেলায় ... ...
মানুষ, হোমো-স্যাপিয়েন্স, আর পাঁচটা জীবের মতই বিবর্তনের ফল, এ আমরা সবাই জানি (যদিও সেটা ভুলিয়ে দেবার চেষ্টাও চলছে জোরদার)। কিন্তু তবু, এই হোমো-স্যাপিয়েন্স অন্তত এতাবৎকালের বিবর্তনধারায় একটা বিশেষ স্থান অধিকার করে, একথাও অস্বীকার করা যায় না। “শ্রেষ্ঠ জীব” হয়তো নেহাৎই অহমিকা, কিন্তু আমরা যে পৃথিবীটা কার্যতঃ শাসন করছি, সেটা চাইলেও অস্বীকার করার উপায় নেই। না করলে হয়তো আমরা ... ...
কাশী থেকে কলকাতা। বৈষ্ণবের খঞ্জনি থেকে জিমি হেনড্রিক্স। কেকাবউদি থেকে স্বর্ণকেশী ম্যাডলিন। মলয় রায়চৌধুরির এই লেখা, এক অন্য পৃথিবীর উড়ান, যা চেনা হলেও দূরবর্তী। মানুষের হাতে ধরা থাকে লাটাই, কিন্তু ঘুড়ি ওড়ে অন্য কোনো আকাশে। যা কিছুটা চেনা, কিছুটা মেঘের কাছাকাছি। মলয় রায়চৌধুরির লেখালিখি তো এরকমই। গত পঞ্চাশ-টঞ্চাশ বছর ধরে। পদ্যের কথা আপাতত বাদই থাক। কিন্তু বাংলা গদ্য যখন পুজাবার্ষিকী থেকে পুজাবার্ষিকীতে সরল থেকে সরলতর হয়ে ক্রমে টিভি-সিরিয়ালে পরিণত হচ্ছে, প্যান্ডেল হপিং আর উপন্যাসপাঠের মধ্যে তফাত ক্রমশ মুছে আসছে, তখন চিরতরুণ মলয় রায়চৌধুরি হাঁটছেন উল্টোদিকে। উল্টে দিচ্ছেন চেনা ছক, বাঁকিয়ে দিচ্ছেন সরলরেখা। অমৃতের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে অমলেট। সে এক বিচ্ছিরি ব্যাপার ... ...
যে কোন মৃত্যুদুঃখ জনক। গান হয়তো আমি তেমন বুঝিনা হতেপারে । দুইবাংলায় দেখছি বাদামকাকুরা রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে যাচ্ছে । অথচ বাঙালি গায়করা কখনো কখনো প্রসাবগারের রক্ষনাবেক্ষণের চাকুরী নিচ্ছে অভাবের তাড়নায়। এ বাঙলার Rupankar Bagchiকে চাকুরী খুঁজতে দেখেছিলাম কিছুদিন আগে। কিন্তু একটা প্রশ্ন
জাতপাত
আমাদের প্রত্যেকের মধ্যে এটা বিরাজমান,কারো কম,কারো বেশি।আমার মধ্যেও অল্পবিস্তর আছে।এটা দোষ না গুন সেটা আমি বলতে পারবো না।সেটা হল,আমরা কেউ আমাদের বর্তমান অবস্থায় সন্তুষ্ট নয়।আর একটু বেশি হলে,ক্ষতি কি!! এমন একটা মনোভাব।আমার একটা মোটরবাইক আছে কিন্তু সুমনের টা ভালো। Gps লোকেসন দেখায়।ফোনে ফোন আসলে,বাইকের মিটারে শো করে।আমার হয়তো মাথার উপর পাকা ছাদ আছে।চার চারটে বেড রুম,ডাইনিং কিচেন,টয়লেট এক কথায় আধুনিকতার সব নিদর্শনই মোটামুটি আছে।কিন্তু না বাড়িতে একটা AC না থাকলে হয় না,তার উপর যা গরম পরছে।মাত্র 1000 টাকার শাড়ি পরে দুর্গা পুজোয় ঘুরতে যাবো!!! ইস! দোকানে দেখলাম,4800 টাকার ওই গ্রিন কালারের জামদানি টা,যদি নিতে পারতাম!! আমি কি একটা 10'000 টাকা দামের পাতি ... ...
বহুদিন অবধি বাবা আমাদের দুই ভাইবোনের চুল কেটে দিত। আমাদের বাসাবাড়ির ভেতরের উঠোনে ইঁট পেতে তার উপর বসতাম। গায়ে পুরোনো গামছা জড়ানো থাকত। বাবা নিজের দাঁড়ি কাটার কাঁচি আর আয়না নিয়ে আসত। তারপর সামান্য জলে চুল আধভেজা করে দিয়ে খ্যাঁচ খ্যাঁচ করে চুল কেটে দিত। মাথাটা হেমন্তের ফসলশূণ্য ক্ষেতের মতো হয়ে যেত! এটাতে কষ্ট হতো না বড়ো একটা। কষ্ট হতো ন্যাড়া করে দিতো যখন গরমের শুরুতে, তখন। দাঁড়ি কামানোর ক্ষুর দিয়ে নির্দয়ভাবে বাবা ন্যাড়া করে দিত। রুক্ষ চুলের গোছা ছড়িয়ে থাকতো পুরো উঠোন জুড়ে। মরুভূমির মতো মাথা আর এক সমুদ্র চোখের জল নিয়ে বসে থাকতাম ইঁটের ওপর। বাবা হিড়হিড় করে টেনে নিয়ে গিয়ে লাইফবয় সাবান ঘষে স্নান করিয়ে দিত। ... ...
অনেকদিন আগে একটা চায়ের দোকানের দেয়ালে দেখেছিলাম কে যেন লিখেছে 'বিড়ি স্বর্গের সিঁড়ি'। এই অপার দার্শনিক কবিত্বে সেদিন মুগ্ধ না হয়ে পারি নি। কলেজে আমার এক চেন স্মোকার বন্ধু ধোঁয়া ছেড়ে বলত - 'দ্যাখ ভাই, তোরা ভালো ছেলে হতে পারিস, কিন্তু তোদের সামাজিক কর্তব্যবোধ খুব কম। আমাকে দেখে শেখ। বিড়ি, সিগ্রেট - এসব হল সমাজের শত্রু। আমি ওগুলো পুড়িয়ে ফেলি।' এক ফুসফুস বিশেষজ্ঞ ডাক্তারবাবুর বলা গল্প আরো রোমহর্ষক। ... ...
কেন্দ্রের কালা কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের আন্দোলন চলছে, এ কথা আজ সব্বাই জানি। কৃষকদের সাথে সরকারের একাধিক বৈঠক অসফল হয়েছে। কারন কৃষকদের একটাই দাবি, কালা কানুন রদ করা হোক। কেন্দ্র তা মানবে না। আর মানবেই বা কি করে ? ছেলেখেলা নাকি ? আবদার আর কি ? চাষাগুলোর কি বোধ বুদ্ধি নেই ! আরে আইন পাশের অনেক আগে থেকেই আদানিভাই প্রচুর ইনভেস্ট করে ফেলেছেন। আদানি, আম্বানী গুজ্জুভাইয়েরা আগে নাকি তোদের মত চাষাভুসো ? ... ...
হকিক - মাথা ঠান্ডা রাখে, মানসিক প্রশান্তি আনে, কাজকর্মে মনোযোগী করে তোলে, মনে বিশুদ্ধ চিন্তার উদয় হয়। ভালো কাজের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পায়। স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে মনের মিল হয়, পরকীয়া প্রবণতা থেকে রাখা করে। হৃদরোগীদের ক্ষেত্রে হকিক বিশেষ ভাবে গ্রহণীয়। রক্তচলাচল স্বাভাবিক রাখে, দুর্ঘটনা, ব্ল্যাক ম্যাজিক ও নানারকম বিপদ আপদ থেকে রক্ষা করে। ... ...
জলে বুদবুদ আওয়াজ / পাতাদের শিরশিরানি