লেখাটি তুলে নিলাম
জনসংখ্যার প্রশ্নে কিছু নতুন চিন্তা উকিঝুঁকি মারছে। দ্বিতীয় দফার তিনমাসের মধ্যেই আমাদের প্রধানমন্ত্রী জনসংখ্যা নিয়ে চিন্তা প্রকাশ করেছেন। লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশ্যে তিনি জানান 'আমাদের জনসংখ্যার যে বিস্ফোরণ তা নিয়ে চিন্তা করতেই হবে।' তিনি আরও বলেন যে এটি আমাদের উন্নতির পথে প্রধানতম বাধা। কথা হলো যে, এই চিন্তাধারা আসামে ভ্রুন অবস্থায় ছিলো দুবছর আগে। এখন এটি পূর্ণবয়স্ক যুবকের আকার নিয়েছে উত্তরপ্রদেশে, যেখানে যোগী ... ...
ফর্মা সেলাই বাঁধাই ফ্লেক্স ফ্রেম ইঞ্চি মিলিমিটার ব্লার্ব দাম লিস্টি এইসব নিয়ে জেরবার হতে হতে আর্ধেক বইমেলা অপসৃত। তারপর পুরাতন টই হাঁটকাতে হাঁটকাতে মনে হলো বইমেলার পদ্য তো কম লিখিনি দেখছি। কিন্তু একে আমার কথা হেথা কেহ তো বলে না, করে শুধু মিছে কোলাহ, তার ওপর দৃষ্টিতে আর হয়না সৃষ্টি আগের মত আর সে ফুল। তাই ভাবলাম একটু আত্মপ্রচার ও বীক্ষণ করে রাখি, মহাকালের মর্জি, কাল হয়তো নিক্লিআর বোম পড়ে সব ফৌত হতে গেল। ... ...
নিকেশ হওয়া আহমদনগরের সঙ্গে যুক্ত মারাঠা সর্দারদের কিনে নিচ্ছিল বিজাপুর অথবা মোঘলরা। শুধু মারকাট নয়, দক্ষতার সঙ্গে আঞ্চলিক শক্তি - বিশেষ করে মারাঠা নানা সর্দারদের সঙ্গে আঁতাত করে নিজের প্রভাব ক্ষেত্র বাড়িয়ে চলেছিলেন শাহাজাদা ঔরঙ্গজেব। যুদ্ধ পেশায় যুক্ত চাষীরা দুদলে ভাগ হচ্ছিল আর রাজা-বাদশাহের চাপানো ছকের বাইরে মারাঠি ভাষী রায়তদের মধ্যে নিম্নবর্ণের জাগরণ হচ্ছিল, মারাঠা জাতীয়তাবাদের ভিত্তি তৈরি হচ্ছিল তলেতলে। নামদেবের ঐতিহ্যে আরেক শুদ্র ভক্তিবাদী মহান কবি তুকারাম (১৬০৮-১৬৪৯) উঠে এলেন অর্গলমুক্ত স্থানীয় ভাষায়, কুনবি শূদ্র রায়তের প্রতিনিধি হিসেবে :ভগবান তুমি কুনবি করেছ মোরে নইলে কবেই মরে যেতাম দ্বিচারিতার ঘোরে ভগবান তুমি বাঁচিয়ে দিয়েছ মোরে নাচে তুকা পড়ে তোমার শ্রীচরণের দোরে। ... ...
নয়া সঙ্ঘী তত্ত্ব। ব্রিটিশরা না এলে রেল বিমান বিজ্ঞান প্রযুক্তি ভারতে আসতো না। মূর্খের প্রলাপ। প্রযুক্তিতে এখন দুনিয়া শাসন করছে চীন জাপান জার্মানি। সে-সব দেশ ইংল্যান্ড কখনও শাসন করেনি। তাজমহল অজন্তা ইলোরার প্রযুক্তি কোথা থেকে এলো?কোন প্রযুক্তিহীনতায় পৃথিবীর জিডিপির ২৭% ভারতের হয়েছিল? ইংল্যান্ড স্পেন সহ তথাকথিত উন্নত দেশের বণিকরা ভারতে কেন আসতো?রপ্তানি করতে না এখান থেকে পণ্য কিনে নিজের দেশে আমদানি করতে? ... ...
সকালবেলার আলো এমনভাবে ভিজিয়ে দিচ্ছিল চোখ আর্মহার্স্ট স্ট্রিটকেও সুন্দর দেখাচ্ছিল, আর্মহার্স্ট স্ট্রিট এখন রামমোহন সরণি সেই সরণির দু'পাশের গাছ দুজনকে আলিঙ্গন করতে এতটাই উদগ্রীব যে এটাকে লাভার রাস্তা মনে হচ্ছে, আসলে আমার মনটা এত ভালো করে দিয়েছো কদিন আমার প্রিয় বিট্টুর মৃত্যু শোকও অল্প হাল্কা লাগছে বহুদিন কোনও খুশির খবর ... ...
বয়স বাড়ে। কমে না। এটা একটা বাস্তব। তবে বয়সের এই স্বাভাবিক বাড়বাড়ন্তকে অনেকেই সহজভাবে নিতে পারে না। অনেকেই যতটা পারে নিজের বয়স ততটা কমায়। বয়সের বাড় চাপা দেওয়ার জন্য তাদের বাড়াবাড়ি কখনোই বাড়ন্ত হয় না। বয়স কমানো নিয়ে কিছু অভিজ্ঞতা এখানে বর্ণনা করব। হয়তো মজার কথা তবে এই সব মারাত্মক চিজের ওপর দয়াও হয়। একটি ছেলে আমার সমবয়সী, তার চারটে দিদি। এক সময় ছেলেটি ... ...
আমার সঙ্গে বিনয়ের শেষ দেখা হয়েছিল বছর দুয়েক আগে, আমি সেদিন একটু তাড়াতাড়ি দোকান থেকে ফিরছি, বর্ষার রাত, বাড়িতে কৃষ্ণা আর বনি একা আছে, সেই ভেবেই একটু তাড়াতাড়ি দোকানের ঝাঁপ নামিয়ে, সবে সাইকেলে উঠে হাত দশেক এসেছি, এমন সময় পাশের সুড়কির রাস্তা থেকে বিনয় বেরিয়ে এসে "এই দাঁড়া দাঁড়া" বলে পিচ-রাস্তায় দাড়িয়ে গেল। ... ...
এই এক জীবনে কলকাতার কতো কি পরিবর্তন দেখলাম তা বলার নয়। যখন যেমন মনে পড়বে লেখার চেষ্টা করব। তখন কলকাতার উপকন্ঠে জলাশয়ের সংখ্যা অনেক বেশী ছিল।তার টানে পানকৌড়ি, বক ও মাছরাঙাদের আনাগোনা লেগেই থাকত। একটি তেতুল গাছে বকের আস্তানা ছিল।মেঘলা দিনে যখন অসংখ্য বকের জন্য গাছটি সাদা হয়ে যেত তখন ভারি সুন্দর দেখাত।সেকালের কলকাতায় পাখি প্রচুর দেখা যেত।সকালে পাখির ঝাঁককে দলবেঁধে খাবারের সন্ধানে পূব দিকের জলাভূমির দিকে যেতে দেখতাম ... ...
পাহাড়চূড়ার সেই রাতটি আজও মনে পড়ে। / দিনের শেষে পাখিরা ফিরেছিল কুলায়। / কিছু পরেই, সূর্য গেল অস্তাচলে।
ক্যালেন্ডার বলছে বর্ষাকাল। অথচ কলকাতা শহর জুড়ে যেন বসন্তের কৃষ্ণচূড়ার রং! রাস্তায় পা রাখলেই চোখে পড়ছে অসংখ্য লাল পতাকা। পোস্টার ব্যানার দেয়াল-লেখায় সেজে উঠছে শহর। এখানে ওখানে চোখে পড়ছে পথসভা। শুনলাম নানা জায়গায় ঘরোয়া বৈঠকও চলছে। এস ইউ সি আই (কমিউনিস্ট) ৫ আগস্ট ডাক দিয়েছে ব্রিগেড সমাবেশের। এই দিন এসইউসিআই(সি)-র প্রতিষ্ঠাতা মার্কসবাদী দার্শনিক শিবদাস ঘোষের জন্মশতবর্ষের সমাপনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে এই আয়োজন করেছে তারা।দুনিয়া জুড়ে বামপন্থীদের মধ্যে যখন হতাশা, তখন এই কলকাতায় একটা বামপন্থী দল একা ব্রিগেডের ডাক দিয়েছে দেখে যেমন বিস্মিত ... ...
কাল রাতে ঘুমোবার সময় সাত আটটা লাইন লিখেছিলাম, ঐ যাকে আমি কবিতা বলি, সেভ করে ঘুমিয়ে গেলাম। সকাল বেলা যখন মোবাইল খুললাম, প্রথমেই হাত গেল সেই কচি কচি সদ্যজাত কয়েকটি লাইনের ওপর। প্রথমে একটি শব্দ বদলে দিলাম, তারপর আরেকটি, তারপর একটি লাইন, দুটো লাইন, তিনটে লাইন, আধঘন্টার মধ্যে সবকিছু বদলে গেলো। গতরাতের একটি অক্ষরও না। এখন যেটা হলো সেটা কি নির্মান। এইসমস্ত পংক্তি কি সত্যিই আমার, না কাল রাতে যেগুলো লিখেছিলাম সেগুলো আমার ছিল। এই বহতা দিনটি কি আমার? না পেরিয়ে আসা সেই নির্জন অন্ধকারতম দীঘির ঘাটটি । কোনটি? মনে হলো বিনির্মিত হয়ে যা এসেছে সেটাই সুন্দর। কিন্তু বন্যতা নেই।কবিতা তো ঐ ... ...
ভালোবাসা বলি বা প্রেম, একটা মিষ্টি অনুভূতি। নিঃসন্দেহে মিষ্টি তবে পুরোটাই কী মিঠে! একটুও টক নয় কি? তাছাড়া টক সব সময় অসহ্য নয়, অনেকের কাছেই সব সময় স্বাদু। ব্যক্তিগতভাবে অামি টক পছন্দ করি তবে মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে কষ্ট হয় বৈকী।ভালোলাগা, ভালোবাসা নিয়ে এখানে এমন কয়েকটা ঘটনার উল্লেখ করব, যেগুলো প্রচলিত চিনি মাথা মধুর ঘটনা নয়। তবে ঘটনাগুলো যথেষ্ট বর্ণময়। প্রচলিত ছকে না অাঁটলেই সেটা খারাপ, আমরা যা দেখিনি শুনিনি সেটাই অপবিত্র এমন ভাবাও তো ভুল। তাছাড়া একটা কথা সব সময় সত্যি। মানুষ কোন পরিস্থিতিতে কী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সেটা না জেনে তার সমালোচনা করা উচিত নয়। অনেকে পারিবারিক চাপ থেকেও বিয়ে ... ...
১৯১৫ সালের ৯ এপ্রিল, হরিদ্বারের কুম্ভমেলায় প্রতিষ্ঠিত হয় ‘অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভা’। গান্ধী হিন্দু-মুসলমানের ঐক্যবদ্ধ অসহযোগ-খিলাফত আন্দোলনের ডাক দিলেও অসহযোগের তীব্র বিরোধিতা করে কার্যত নিষ্ক্রিয় থাকে মহাসভা। চৌরিচৌরার হিংসার প্রেক্ষিতে গান্ধী আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেওয়ার পরে ১৯২৩ সালে বিরাট হিন্দু পুনরুত্থান অভিযান শুরু করে তারা। সেই বছর অগস্ট মাসে পণ্ডিত মদনমোহন মালব্যের সভাপতিত্বে বারাণসী অধিবেশনে মহাসভা ‘শুদ্ধি’ কর্মসূচী গ্রহণ করে, ‘হিন্দু আত্মরক্ষা বাহিনী’ গড়ে তোলারও ডাক দেয়।অসহযোগ-খিলাফতের ব্যর্থতার পরে মুসলমান সমাজের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনা এবং কংগ্রেসের সঙ্গে যোগসূত্র গড়ে তোলার জন্য, ১৯২৪ সালের ৪ মে লাহোরে অনুষ্ঠিত মুসলিম লিগের সভাপতির অভিভাষণে জিন্না বলেন: “স্বরাজ অর্জনের এক অপরিহার্য শর্ত হল হিন্দু ... ...
হিন্দুবীর ও বীরাঙ্গনাদের জন্য চিন্তায় আমার ঘুম হয়না। কাল থেকে ভাবছি, এবার আস্ত একটা ইদ চলে গেল, কিন্তু ঢাকার রাস্তা গরুর রক্তে লাল, প্রতি বছরের ন্যায়, এবার এরকম কোনো ছবি দেখছিনা কেন। ঢাকার রাস্তা লাল না হলে পশ্চিমবাংলায় হিন্দুত্ব টিকবে কীকরে। ভেবে ঘুম হচ্ছিলনা, এমন সময় শান্তি। ফিডে চলে ছবি। কুরবানির রক্তে ঢাকার সেই লাল হয়ে যাওয়া রাস্তা, এত লাল, যে, একটা কাস্তে-হাতুড়ি মেরে দিলেই চিনের পতাকা হয়ে যেত। ধন্যবাদটা ঢাকার নিকাশী ব্যবস্থা, নাকি ফোটোশপ ... ...
(শেষ পর্ব) কলতান হেসে হরিপ্রসাদকে বলল, ' আসুন আপনারা .... আমরা পেছনের ঘরে বসে একটু কথাবার্তা বলি .... 'আগরওয়ালজি একগাল হেসে বললেন, ' হ্যাঁ চলুন স্যার ... 'স্বামী স্ত্রী দুজনে কলতানের পিছন পিছন একটা ঘরে গিয়ে ঢুকল। অনেক পুরণো বাড়ি, ছোট বড় মিলিয়ে অনেকগুলো ঘর ।----- ' বসুন বসুন হরিজি। বসুন ম্যাডাম ... আপনাদের মতো ওয়েল ম্যাচড পেয়ার আমি বেশি দেখিনি। খুব ভাল লাগে আপনাদের ... ...
মিথ্যা কে মহান করে,আবার মসনদ ক্রয়-ঘোর অন্ধকারে;হয়তো মানুষ নয়-হয়তো বা শকুন, হায়েনার বেশেহয়তো ভয়ের কারণ হয়ে নিরন্ন এই দেশে!!
#ভিক্ষা #ভাতা নিয়ে এত কথা। প্রথম বামফ্রন্ট সরকারের কাজ পড়ুন। এমনি এমনি ৩৪ বছর ক্ষমতায় ছিল না!সে সব কথা কেন যে আজ কেউ বলে নাইমানুল হকঘটনা-১।। ১৯৭৫ এর এক রাত। মাঝরাতে ঘুম ভেঙ্গে যায় ৯ বছরের এক বালকের। ঘুম ভাঙ্গা চোখে দেখে, মা ব্যস্ত একটি বালিশ ছিঁড়তে। বালিশটি ছিঁড়ে তার মধ্যে পুরে সেলাই করে দেওয়া হচ্ছে লাল রঙের একটি পতাকা। আর বড়দা এবং মেজদি ব্যস্ত দেওয়ালের ওপর ইংরেজি হরফে লাল রঙে লেখা ‘সি পি এম’ শব্দটি ... ...
সুরেন্দ্রনাথ কলেজের সামনে রাস্তা পার করে যখন ট্যাক্সিতে উঠলাম, তখন সন্ধে ৮টা ১০-১৫ হবে। শহুরে, গৃহমুখী, নিত্যযাত্রীর তুল্য তিক্ত ব্যক্তিত্ব অন্যত্র, অন্য সময় দুর্লভ। গাড়ির অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকার সময় সামনেই দুজনের মধ্যে তীব্র তক্কাতক্কি, অল্প ধাক্কাধাক্কি - এসব হয়ে গেল। আজকাল কলকাতায় গাড়ি বুক করাও স্ট্রেসফুল - কেউ ডেস্টিনেশন শুনে 'আসছি' বলে ক্যান্সেল করে, তো কেউ মিষ্টি করে 'কোথায় যাবেন' জিজ্ঞেস করেই বলে 'অফলাইন' করে দেওয়ার কথা। পা খোঁড়া, অতএব গাড়ি বিনে গতিও নেই আপাতত। সব মিলিয়ে, মেজাজের পারা সামান্য গম্ভীরের দিকেই ঢলে ছিল। ফোন এল এক পোস্টডক-রত জুনিয়র বন্ধুর। কথা সেরে কিন্ডল খুলেছি সবে, সামনের সিট থেকে ড্রাইভারের প্রশ্ন, "আপনি কি ... ...