এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • বেচারা

    Nilanjandev Bhaumik লেখকের গ্রাহক হোন
    ১০ নভেম্বর ২০২১ | ৮০৩ বার পঠিত
  • আমার সঙ্গে বিনয়ের শেষ দেখা হয়েছিল বছর দুয়েক আগে, আমি সেদিন একটু তাড়াতাড়ি দোকান থেকে ফিরছি, বর্ষার রাত, বাড়িতে কৃষ্ণা আর বনি একা আছে, সেই ভেবেই একটু তাড়াতাড়ি দোকানের ঝাঁপ নামিয়ে, সবে সাইকেলে উঠে হাত দশেক এসেছি, এমন সময় পাশের সুড়কির রাস্তা থেকে বিনয় বেরিয়ে এসে "এই দাঁড়া দাঁড়া" বলে পিচ-রাস্তায় দাড়িয়ে গেল। অবাক হলাম, জিজ্ঞাসা করলাম "কী ব্যাপার?"
    "ভাল আছিস তো?"
    রাস্তায় ব্যস্ত ভাবে সাইকেল থামিয়ে কেউ কুশল প্রশ্ন করে না। আমি বিনয়কে অনেক দিন চিনি, বিনয় মানুষ খারাপ না, কিন্তু ও একটু এই রকম, কখন কী বলতে হয় সে সেন্সটা ওর চিরদিনই গোলমেলে। আমি কেমন আছি সে কৌতুহলে নয়, ওর কোনো দরকারেই আমাকে থামিয়েছে, এবং বুঝলাম সেটা বলতে ও দ্বিধা করছে। বেচারা! নেমে বললাম "কী দরকার বলতো?"
    "তুই তো মাল করতে কলকাতা যাস, আমার একটা কাজ করতে পারবি?"
    "কী কাজ?"
    "একটা বই আনতে হবে, ইয়ে.. মানে গল্পের বই"

    বিনয়ের তখন মাস দুয়েক হল বিয়ে হয়েছে, সন্দেহ হল আমাকে দিয়ে সচিত্র কামসূত্র বা ওই জাতীয় কোনো বই আনাতে চাইছে। আমার স্কুলের পাশে খাতা পেন চকলেটের ষ্টেশনারী দোকান। বিনয়ের আব্দার মেনে ওই বই এনে দিলে বাকীরাও চাইবে। একটু কড়া সুরেই বললাম, "কী গল্পের বই? পঞ্চতন্ত্র না হিতোপদেশ?"
    "না না, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুতুল নাচের ইতিকথা।" এমন ভাবে বলল যেন মানিক ব্যানার্জী আর তার বই না চেনার কোনো সম্ভাবনা কারোর নেই। তাও যদি বাংলায় কোনো কালে ভাল নম্বর পাওয়ার রেকর্ড বিনয়ের থাকত! আমার অবশ্য নামটা হাল্কা হাল্কা চেনা লাগছিল। নাইন টেনের বইতে এর একটা গল্প ছিল বোধহয়। আমি স্বস্তি পেয়ে বললাম, "শুক্রবার যাব, বইয়ের নাম লিখে কাল দিস দোকানে, শনিবার পেয়ে যাবি।"
    "লেখা তো কাছেই আছে, এখনই দিয়ে দি তোকে।"

    বিনয়ের হাত থেকে বইয়ের নাম আর কুড়ি টাকা অ্যাডভান্স নিয়ে সাইকেলে ফিরতে ফিরতে আমি ভাবছিলাম, বি.এ. পাশ মেয়ে বিয়ে করে আর কী কী হ্যাপা সামলাতে হচ্ছে উচ্চমাধ্যমিক ফেল বিনয়কে? তাও আবার প্রেম করে বিয়ে!

    এরপর দুবছর বিনয়ের সঙ্গে আমার দেখা হয় নি, পরের দিন কলেজ স্ট্রিট থেকে বিনয়ের বই কিনে সি.আর. অ্যাভিন্যুর মোড়ে চলতি বাসে উঠতে গিয়ে আমার অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছিল। দুসপ্তাহ পর যখন নার্সিং হোম থেকে বেরোলাম তখন আমার হাঁটুর নীচের বাঁ পা, আর ব্যাঙ্কের হাজার পঞ্চাশ টাকা বিলকুল গায়েব হয়ে গেছে, নতুন সঙ্গী জুটেছে একজোড়া ক্র্যাচ। পুতুলনাচের ইতিকথা আমার ব্যাগ থেকে পড়ে কোথায় নৃত্য শেষ করেছে কে জানে! প্রায় দেড়বছর আমি দোকানে বসি নি, কৃষ্ণা ছিল, ওই দোকান চালাত, আমি দোকানে আবার বসতে শুরু করার মাস ছয়েক পর বিনয়কে হঠাৎ দেখে চমক লাগল, সব কথা আবার মনে পড়ে গেল। বিনয় ওর চিরাচরিত ভ্যাবলা হাসি মুখে এনে প্রশ্ন করল, "কিরে, কেমন আছিস?"
    যেন আমার ভালমন্দ সত্যিই ওর কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ, আমাকেও হাসতে হল, "ভালোই, তোকে তো দেখিনি দীর্ঘদিন। ছিলি কোথায়?"
    "বাড়-দাঁতনে একটা ফিসারিজ প্রোজেক্ট চালু হয়েছে শুনেছিস? আমি তো বছরখানেক হল সুপারভাইজারের চাকরি পেয়েছি ওখানে, থাকার ঘরও দিয়েছে।"
    আমি খবরটা জানতাম, তাও বললাম, "বাহ্, এত ভাল খবর! খাইয়ে দে একদিন।"
    বিনয় একটু বিনয় করে হাসল, হেসে চুপ করে গেল, চাকরির সঙ্গে সঙ্গে ছেলে স্মার্টও হয়েছে দেখছি।
    দুটো সস্তার পেন কেনার পর একটু ইতস্তত করে বিনয় বলল "তোকে সেই একটা বইয়ের কথা বলে ছিলাম মনে আছে?" আমার সেটা না মনে থাকলে পৃথিবীতে আর কিছুই মনে থাকার কথা না, তাও বললাম "কী বই?"
    "সেই যে মানিক বন্দোপাধ্যায়ের পুতুল নাচের ইতিকথা... তোকে কুড়ি টাকা অ্যাডভান্স ও দিয়েছিলাম। ভুলে গেলি?" প্রশ্নটার শেষে একটা অভদ্র কৈফিয়তদিহির টান এসে গেল ৷ কিন্তু আমি ওকে অনেক দিন চিনি, আমি জানি এ টানটা অনিচ্ছাকৃত । কথা কীভাবে বলতে হয় সে জ্ঞানটা আজও বিনয়ের হল না। বেচারা বিনয়!
    কয়েক সেকেন্ড ভেবে বললাম "ওহ হ্যাঁ, মনে পড়েছে, এক কাজ কর, বইটার নাম লিখে দিয়ে যা, শুক্রবার শুক্রবার করে মন্টু, আমার দোকানের বাজার করতে কলকাতা যায়, শনিবার পেয়ে যাবি।"
    বিনয় পেছন ফিরতেই, আবার ডাকলাম, "এই শোন্‌, ভুলে গেসলাম, শনিবার সকালবেলা ছেলেটাকে নিয়ে ওর মামাবাড়ি যেতে হবে, তিন চার দিন দোকান বন্ধ থাকবে, তুই পরের বুধ-বেস্পতিবার আয়।"
    গভীরতম দুশ্চিন্তা প্রকাশের ভঙ্গি করে বিনয় বলল, "আমি তো সোমবার বাড়-দাঁতন ফিরে যাচ্ছি।"
    "তাহলে, শুক্রবার একটু রাত করে আয়, পেয়ে যাবি।"
    "বেশ তাই আসব তাহলে ..."
    একটা ভরসাকামী ভাব এনে বাক্যটা শেষ করল বিনয় ৷ ঘাড় নেড়ে বললাম "হুম।"

    শুক্রবার দোকান বন্ধ করার মুখে যথারীতি হাজির বিনয়। ওকে একটু বসতে হল, মন্টু ছিল না, আমিই খোড়া পায়ে গোডাউন থেকে বইটা খুঁজে এনে ওর হাতে দিয়ে বললাম "তুই পরে আবার এদিকে কবে আসবি?"
    "নাহ্ আবার কবে আসব ঠিক নেই।"
    দোকান বন্ধ করে শাটারের তলায় চাবি লাগাতে লাগাতে বললাম, "অ্যাডভান্সটা বাদে, তোকে দিতে হবে আর ৯৩ টাকা।"
    "ওটা ৯০ করে দে" ৯০ টাকা পার্স থেকে দিয়ে, বিনয় সাইকেলে উঠতে যাচ্ছে, পেছন থেকে বললাম, "এই বইটা কিনতে গিয়েই, আমার অ্যাক্সিডেন্টটা হয়েছিল, বুঝলি?"
    থতমত খেয়ে সাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে গেল বিনয়। আমি ক্র্যাচ নিয়ে পাশে এসে হাঁটতে শুরু করলাম, বিনয়ও সাইকেল ধরে হাঁটতে শুরু করল, বলল "আমি সত্যি জানতাম না।"
    "তোর জানার কথা না, আমি কাউকে বলি নি", স্বান্তনা দিয়ে বললাম। তারপর জিজ্ঞাসা করলাম "জানিস মাস ছয়েক আগে এই বাঁকটার কাছে আমার বউ কৃষ্ণার বডি পাওয়া গেছিল? পুলিশ বলেছিল রাত্রে দোকান বন্ধ করে ফেরার সময় ওকে রেপ করার চেষ্টা করেছিল কয়েকজন, ও বাধা দিতে গিয়ে খুন হয়।"
    "শুনেছি রে, সত্যি মানুষ জানোয়ার হয়ে গেছে", অপ্রয়োজনীয় সহানুভূতি ছড়াল বিনয়। নিস্পৃহ স্বরে বললাম, "কিন্ত কৃষ্ণার খুন নিয়ে আমি অন্য একটা কথা জেনেছিলাম পরে।"
    "কী কথা?" উত্তেজিত হয়ে পড়ল বিনয়।
    "বলছি, পেচ্ছাবটা করে নি দাঁড়া", বাঁকের ঠিক মুখে বিনয়কে দাঁড় করিয়ে প্রস্রাব করতে সময় লাগল আমার। যখন ঘুরে দাড়ালাম তখন দূর থেকে এই রুটের লাস্ট বাসের শব্দ শোনা যাচ্ছে। বললাম, "আমার বউ কৃষ্ণা, ছোট একটু তর্কাতর্কি, একটা গালাগালের জন্য খুন হতে হয়েছিল ওকে। খুন করে এখানে বয়ে এনে, কাপড় জামা ছিঁড়ে রেপের চেষ্টা বলে সাজানো হয়েছিল।"
    "কে করেছিল?" প্রায় রূদ্ধ কণ্ঠে প্রশ্ন করল বিনয়।
    "আমিই। বনি মামাবাড়িতে ছিল, কৃষ্ণার একটা ছোট গালি 'ল্যাংড়া আম' এইটুকুতে রেগে, রাগের মাথায় এটা করে ফেলেছিলাম।" অনুতপ্ত শোনাচ্ছিল আমার গলা। "তবে তোকে আজ ঠান্ডা মাথাতেই মারব।" একদম শান্ত গলায় পরের কথাটা বলে আমি ডান হাতের ক্র্যাচটা মাথার ওপরে তুলে এগোলাম। "না না না" বলে সাইকেল চালিয়ে পালাবার চেষ্টা করল বিনয়, সেটাই আমিও চাইছিলাম। লাস্ট বাসের নীচে বিনয় আর ওর সাইকেল দুটোই গুঁড়িয়ে গিয়েছিল। ওর মাথা একটু ঠান্ডা হলে ওকে এভাবে মরতে হত না। কিন্তু আমি বিনয়কে অনেক দিন ধরে চিনি, ও এরকমই। বেচারা!

    কৃষ্ণার বডি এ জায়গাটাতে রেখে মাস ছয়েক আগে যখন ফিরছিলাম তখন যে অনুভূতিটা হচ্ছিল, বিনয়ের কাজটার পরেও দেখলাম সেই একই অনুভূতি ৷ খুন করতে বেশ ভাল লাগে ৷ এরপর একটা দুটো করে করতে হবে মাঝে মধ্যে... মাসে একটা করে করলে একটু রিস্ক আছে, ছমাসে একটা করে নিশ্চিন্তে করা চলে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dc | 122.164.92.134 | ১০ নভেম্বর ২০২১ ১৭:৫২500983
  • বেশ সুন্দর গল্প। 
  • kk | 68.184.245.97 | ১০ নভেম্বর ২০২১ ২৩:৪৫500992
  • এইশশাবাস!!
  • সম্বিৎ | ১১ নভেম্বর ২০২১ ২২:৫৪501033
  • ভাল লেগেছে খুবই।
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:8c6:1018:f320:37bb | ১৩ নভেম্বর ২০২১ ০৪:৪৫501083
  • পুরো স্টিফেন ফ্রাই স্টাইল। দুর্দান্ত!
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:8c6:1018:f320:37bb | ১৩ নভেম্বর ২০২১ ০৪:৪৬501084
  • সরি, ফ্রাই নয় কিং। স্টিফেন কিং।
  • π | ১৩ নভেম্বর ২০২১ ০৮:৫৫501100
  • বেশ লাগল! 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে প্রতিক্রিয়া দিন