আজ সকাল থেকে প্রবল বৃষ্টি। এই বৃষ্টির মধ্যে একটা অদ্ভুত ব্যাপার আছে। মানুষকে খামোকা নস্টালজিক করে তোলে। যে দিনগুলো একেবারেই গেছে, কিছু বাকি নেই, সেগুলো কে ফিরে পাবার জন্যে মন আকুলি বিকুলি করে। কবি বোধহয় একেই বলেছেন "দুঃখবিলাস"। তখন আশুতোষ কলেজের প্রথম বর্ষ। কদিন ক্লাশ করার পরেই বুঝে গেলাম কার কার ক্লাশ করতেই হবে। আর কার কার ক্লাশ কাটা যায়। তখন আমরা সেই উদ্দাম আঠারো ... ...
জীবন যে প্রকৃতই সমুদ্রযাত্রা, যে কোনো সময় জাহাজডুবির আশংকা থাকে, ধূসর বন্দরের অপেক্ষায় শুধু অপেক্ষা, এই অপরাহ্নবেলায় তাও হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি। মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও জন্ম থেকেই এই এক অলৌকিক যাত্রায় মানুষকে বেরিয়ে পড়তে হয়। 'নীলকন্ঠ পাখির খোঁজে' দেশভাগ সম্পর্কিত বহু আলোচিত উপন্যাস হলেও অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমুদ্র বিষয়ক লেখা নিয়ে কমই কথা হয়। পৃথিবীর তিনভাগ জল হলেও জলের উপাখ্যান বেশি লেখা ... ...
ইন্দ্রাণীদি ফেসবুকে নেই। অর্থাৎ, এই নশ্বর পৃথিবীতেই নেই। যেখানে মানুষে-মানুষে যোগাযোগের পোশাকি নাম নেট-ওয়ার্কিং। যেখানে আলোয় ভেসে থাকার জন্য সর্বদা আকুলি-বিকুলির নাম আলোকপ্রাপ্তি। ইন্দ্রাণীদি এসবের বাইরে। তাঁর সাধনা নৈঃশব্দের। বাক্য নিক্তি মেপে। আখ্যান ছেনি হাতুড়ি দিয়ে কোঁদা। সেও এক ম্যাজিক, তবে অন্ধকারের। যেখানে পৃথিবীর কিমাকার ডায়নামোর পরে মহীনের ঘোড়ারা ঘাস খেতে আসে, এ সেসব এলাকার কাহিনী। হুড়োহুড়ি, গুঁতোগুঁতিতে ইন্দ্রাণীদি নেই। তার বাইরের যে অন্ধকার ইন্দ্রাণীদির ম্যাজিক সেই অঞ্চলের। ইন্দ্রাণীদির প্রথম গল্পের বইয়ের নাম ছিল 'পাড়াতুতো চাঁদ'। যা দেখিয়ে দিয়েছে, নিঃস্তব্ধতারও কিছু অনুসারী আছেন। হয়তো সংখ্যায় বেশিই আছেন, দেখা যায়না, কারণ তাঁরাও নিঃস্তব্ধ। "আমি নিজেকে পড়ুয়া বলে মনে করি, কিন্তু ইন্দ্রাণীর খোঁজ ... ...
বৃষ্টি হোক বা না হোক আকাশ মেঘলা / সব কালো মেঘ হাওয়ায় জিন দিয়ে আসে / আমি ভিজবো বলে ঠায় দাঁড়িয়ে, একলা- / চিলেকোঠার ছাদে;কোকিল আজো মধুমাসে।
এটা চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের হোম টার্ফ। এখনো কলকেতা মানে হিন্দু কালেজের উচ্চবর্ণের উকিল ব্যারিস্টারি ডাক্তারি মোক্তারির অটুট প্রকল্পনা। সেই ব্যারিস্টার কোম্পানির একাংশ কমিউনিস্ট হয়ে জেলে গেল। খেত মজুর কোথায় যায়? ষাটে অরবে সরবে বাংলা খাওয়া, তেভাগার নেতা চারুবাবু ব্যারিস্টার জমিদারদের বাইরের পার্টি তৈরি করলেন। একটু আগ বাড়িয়ে খেলে হারলেনও। একটা অংশ চারুবাবুর রাজনীতিকে বিহারের প্রাচীন কিসান আন্দোলনের ... ...
সকাল নটার সময় মৌসুমীর মোবাইলে কলতানের একটা কল এল ।----- ' হ্যালো স্যার ... বলুন ... '----- ' হ্যা ... ঠিক আছিস তো ? তোকে এরকম একটা আনসেভারি রেসপনসিবিলিটি দিয়ে আমি খুব আনইজি ফিল করছি । দেখ .... তোর তেমন অসুবিধে হলে ... ছেড়ে দে ... আমি অন্য কিছু ট্রাই করছি ... ' ----- ' না না ... স্যার ... আমি কাজটা যখন নিয়েছি ... শেষ করেই ছাড়ব ... আমারও তো গরজ আছে না ? একটা নীরিহ লোক এইভাবে... তাছাড়া মাঠে খেলতে নেমে গেছি ... এখন আমি ছাড়তে চাইলেও বসন্ত ছাড়তে চাইবে কি ? '----- ' এই তো ... ... ...
আঁধারবেলা শেষ হয়ে এল, / এখন নিবিড় অমাবসনা রাত্রি / তারার মালা পরে প্রতীক্ষায়, / শুভলগ্ন সমাগতপ্রায়।
এ এখন কারও অজানা নয়, যে, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আজ পর্যন্ত প্রাপ্ত ভোটের ইতিহাসে পয়লা নম্বরে আছেন জো বাইডেন। অর্থাৎ, এর আগে এত ভোট কেউ পাননি। কিন্তু যেটা নিয়ে তেমন কথা হচ্ছেনা, সেটা হল দুই নম্বরে কে। বিস্ময়কর হলেও সত্যি, যে, প্রাপ্ত ভোটের হিসেবে দুই নম্বর আলো করে আছেন শ্রীযুক্ত ডোনাল্ড ট্রাম্প। বাইডেনকে বাদ দিলে এত ভোট আর কেউ কখনও পাননি। এইটা কেন বলা হচ্ছে? কারণ একটাই। এইটুকু খালি বলা, যে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের জনসমর্থন কিন্তু কিচ্ছু কমেনি। বরং আগের থেকে বেড়েছে। এবং ২০২০ ছাড়া অন্য যেকোনো নির্বাচনে এইরকম সমর্থন পেলে ট্রাম্প হইহই করে জিততেন। সেটা এবার হয়নি, দেখাই যাচ্ছে, ... ...
সুগন্ধশুভশ্রী রায়এই কাহিনী খুশবু নামে একটি প্রান্তিক মেয়ের। এই লেখায় তার নাম পাল্টে দিয়েছি। খুশবু আমাদের আবাসনে পরিচারিকার কাজ করত এক সময়। সেই সূত্রে আমাদের সঙ্গে তার পরিচয়। মেয়েটি দেখতে ভালো, অসম্ভব সুন্দর বড় বড় চোখ, ছিপছিপে গড়ন।আমাদের আবাসনের কাছে পাইকপাড়াতেই মেথরপট্টিতে তার বাড়ি। এখানেই তার জন্ম। গরীব পরিবারের মেয়ে, শৈশব থেকেই খাটতে অভ্যস্ত।বছর পনেরো বয়সে মেথরপট্টিতেই তার বিয়ে হয়। বর, দুই দেওর ও এক ননদ নিয়ে বড় সংসার। বিয়ের পরেও তাকে আগের মতোই খেটে খেতে হ'ত।পরপর দুটি ছেলে হ'ল তার। ঘরেবাইরে খাটাখাটনিও বাড়ল। বর অল্প রোজগার করত তবে মারধর করত না। মোটামুটি সুখেই ছিল তারা।কিন্তু এই সুখ স্থায়ী হ'ল ... ...
১৯৫০ সালে আমাদের পরিবার কিশোরগঞ্জ ত্যাগ করে ।তার আগেই আমার মা ময়মনসিংহের বাড়ি থেকে আমাদের ভাই বোনদের নিয়ে কলকাতা বেহালা অঞ্চলে চলে আসে । আমাদের সব আত্মীয় স্বজন পূর্ববঙ্গ ত্যাগ করে । কলকাতা শহরের বিভিন্ন স্থানে এবং রানাঘাট কৃষ্ণনগর অঞ্চলে বসবাস শুরু করে। আর সেই সময় থেকে বহু আত্মীয়-স্বজন অনেক ময়মনসিংহের পরিচিত লোক আমাদের বাড়িতে আসত ।দেশ ভাগ, দাঙ্গা ইত্যাদির সম্বন্ধে আলোচনা ... ...
#পাহাড়যাপন আতরের দোকান করে যারা, তাদের কাছে দোকানের বাইরের পৃথিবীটা বাসি বলেই মনে হয়। পুষ্পের সৌরভ পেলেও যেন মনে হয় জোলো, ভালো মিষ্টির সুবাসও মনে ধরে না। সব কিছুই বড় অপরিশোধিত। আতরের দোকানটা যেন আরেক জগত, গন্ধের হাট বসেছে সেখানে। কোনওটা পারস্যের ফুলের আতর, কোনটা হিমালয়ের আয়ুর্বেদিক শিকড়ের গন্ধ। প্রতিটি ফুল নিজের ইতিহাস জানায়, বলতে চায় নিজের গল্প।কয়েকজন কারিগর বছরের পর বছরের ধরে এক্সপেরিমেন্ট করে যায় নতুন সুগন্ধের আশায়। দক্ষ হাতে গন্ধ তৈরি করে ওস্তাদ তারা। কিন্তু যে গন্ধ শেষমেশ তৈরি করা যায় না, সেই আতরের কারিগররা হীনমন্যতায় ভোগে। ব্যর্থতা স্বীকার করতে চায় না। মাথার চুল খামচে ধরে চেষ্টা চালিয়ে যায় ... ...
সন্ধে ছটা নাগাদ কলতান বৌবাজার থানায় ঢুকল । বিদ্যুৎ থানায় ছিল ।----- ' আরে কলতানদা..... আসুন আসুন .... আপনার জন্যই ওয়েট করছিলাম ....খুব ঘেমে গেছেন ..... কোল্ড ড্রিঙ্কস আনাই ? ' কলতান রুমাল বার করে ঘাম মুছতে মুছতে বলল, ' আনাও .... আনাও .... সারাদিন প্রচুর প্রেসার গেল ...... 'বিদ্যুৎ একজনকে ডেকে দুটো ঠান্ডা বোতল আনতে দিল । ----- ' তারপর ....... বালীগঞ্জ অপারেশান সাকসেসফুল ? '---- ' হ্যা .... যে উদ্দেশ্যে গিয়েছিলাম সেটা করে আসতে পেরেছি । সতীনাথবাবুর এ ব্যবসায়ে কোন অংশীদারিত্ব নেই । তিনি তার দাদার অধীনে দোকানের ম্যানেজার স্তরের কিছু ... আর কি ..... এবং যে কারণেই ... ...
ধাক্কা শীতের দুপুরে আমার দোতলার ছোট্ট বারান্দাটিতে, যতক্ষণ রোদটাকে ধরে রাখা যায় আর কি, গায়ে রোদ লাগিয়ে বসে থাকি আমার আরামকেদারাটায়। বই পড়ি, রাস্তা দেখি, বই বন্ধ করে কিছুক্ষন ফেসবুক হোয়াটসঅ্যাপ করি। আবার রাস্তার দিকে তাকাই। আবার বইটা উঠিয়ে নিই। পড়তে পড়তে ঢুলি। যখন মোটা উলের আফগানি টুপিটা মাথায় দিয়ে ১৪১১ এর মৃগাঙ্ক বাবু হাঁটতে বের হন, তখন বুঝি যে সূর্য এবার ঢলতে আরম্ভ করবে। আজও বসে আছি বারান্দায় শরীরটাকে রোদে ডুবিয়ে। সাকির মস্ত মোটা বইটা হাতে। মিসেস জোয়ান চিন্তায় পড়েছেন, কি করে তাঁর অতিথির আগমনটাকে আটকানো যায়। সাকির ছোট ছোট গল্পগুলো ধীরে সুস্থে এগোতে থাকে। রসিয়ে রসিয়ে পড়া যায়। কোলের ... ...
কলতান ভাবল , মিসেস দত্তকে সরাসরি জিজ্ঞাসা করে, তার কলতানের কাছে আসার উদ্দেশ্য কি । যেসব কথা বলছে, সেসব তো সে আগেই জেনে ফেলেছে । সে প্রিয়দর্শিনীকে একটা খোঁচা মারল, ' সতীনাথবাবুর ব্যাপারে কি ভাবছেন আপনি ? 'এবার আর কোন হেঁয়ালি করলেন না ভদ্রমহিলা । প্রাঞ্জল ভাষায় বললেন , ' ওর ব্যাপারে আর ভাবার কি আছে । ইহকাল পরকাল সবই তো গেছে । আর আমার জীবনেরই বা আর কি আছে ? মেয়েটার ভবিষ্যৎ যদি সুখের হয় সেটুকুই কামনা .... ' ------ ' হ্যা ...... সে তো ঠিকই .... কিন্তু নেকলেসের সমস্যাটার তো সমাধান করতে হবে..... আপনার কাছে কো-অপারেশান চাইতেও সংকোচ বোধ ... ...
"পৌরাণিক ভস্ম থেকে উঠে আসে বেদনার পাখি বিবর্ণ প্রজাপতি ছুটে যায় কালো জল নদীটির কাছে অস্তমিত সব কথা অতীতের নিবিড় অতলে ঘুমিয়েছে আমাদের অন্তর্গত অলীক শহর"পাপা, ক্যান আই টেল ইউ এ্যা স্টোরি অব ডগ।আমি কলম সরিয়ে রাখলাম, গভীর মনোযোগে তাকালাম মেয়ের দিকে। আধো আধো কথা তার। বোঝা না-বোঝার এক আশ্চর্য পৃথিবীতে বসবাস সদ্য খেলতে খেলতে পড়ালেখা শেখার চেষ্টা করা শিশুটির।সস্নেহে বললাম, বলো মা।ওয়ানস আপঅন এ্যা টাইম। থিংক, ইটস এ্যা মিলিয়ন ইয়ার এ্যাগো। দেয়ার ওয়াজ এ্যা ডগ। ওহ! নো! সরি! নট ডগ পাপা। এ্যা নাইস হটডগ দেয়ার।বাংলায় বলো মা গো। বাংলা তো তুমি পারো, তাই না!অফকোর্স আই ক্যান পাপা। ওকে, দেন ... ...
টুঙ্কু, বাপন, সোনাই, তিন্নি - এসব ডাক নাম। পাড়ায় দুর্গাপুজোর সুভেনিরে ভেতরের দিকে কোনো এক পাতায় তলায় দিকে - "যাদের বাদ দিয়ে চলে না" - শিরোনামে এসব নাম পদবী ছাড়াই ছাপা হয়। দু এক লাইনেই শেষ। ব্যতিক্রম ব্যতীত বেশিরভাগ পুজোর সুভেনিরের বাঁধা গৎ। প্রথমে থাকে 'আমাদের কথা' জাতীয় একটা ভাবগম্ভীর লেখা। তারপর থাকে সভাপতির বক্তব্য। আবেদন করে পাওয়া মুখ্যমন্ত্রী বা জেলাশাসকের পাইকারি হারে বিলোনো যান্ত্রিক ... ...
সূচ পড়ল তবু শব্দ শোনা গেল না ৷ কারন এক ঝাড়ুদার মেয়ে ঝাঁটিয়ে জড়ো করছিল / শুকনো পাতা...খড়্খড়্ খড়্খড়্ ; / ঝাঁটার ঠিক পাশে, / শুকনো পাতাদের মাঝে ছিল তার পা, / শীতে সর্বত্র ফাটা, ময়লা শুকিয়ে সাদা ৷
চিকিৎসা কর্মীরা ইরাবানের চোখের পাতা ফাঁক করে টর্চের আলো ফেলে চোখের মণির অবস্থা দেখল। রক্তচাপ, পালস বিট, অক্সিজেন স্যাচুরেশানের মাত্রা, জুতো খুলে বাঁ পায়ের তলার সাড় এসব প্রাথমিক পরীক্ষা করল। তেমন হতাশ হতে দেখা গেল না তাদের। ইরাবানকে একটা ইঞ্জেকশানও দিল। দীপেন বাবু এসে প্রায় হুমড়ি খেয়ে পড়লেন ইরাবানের শরীরের ওপর। একজন চিকিৎসা কর্মী তাকে সরিয়ে দিল। দীপেনবাবু বাধ্য হয়ে খানিক তফাতে গেলেন। একজন ছুটতে ছুটতে মাঠের বাইরে গেল। তাকে একটু পরে একটা স্ট্রেচার নিয়ে আসতে দেখা গেল। ইরাবানের শরীরের পাশে স্ট্রেচার পাতা হল। দুজন চিকিৎসা সহায়ক ইরাবানকে দুদিকে খুব ... ...
ধ্রুব রাঠি একজন হিন্দিভাষী ইউটিবার। মোদির স্বরূপ নিয়ে বানানো তাঁর কয়েকটি হিন্দি ভিডিও খুব হিট হয়েছে। কিন্তু তাতেও সন্তুষ্ট না হয়ে তিনি বাংলা, তামিল মারাঠি এবং আরও কয়েকটি ভাষায় ইউটিউব চ্যানেল খুলছেন। কোনো দায়িত্ব ছিলনা খোলার, তবু খুলছেন, কারণ তিনি মানুষের কাছে বক্তব্য নিয়ে পৌঁছতে চান। এবং তিনি জানেন ভারতের বেশিরভাগ মানুষই হিন্দি বোঝেননা। ধ্রুব রাঠির ওই ভিডিওগুলো বিপুলভাবে শেয়ার ... ...
এবারে "গুরুচণ্ডালি " তে যে লেখাটি আমি পাঠাচ্ছি, সেটি বেশ কিছুদিন আগেই পাঠানো যেত, কিন্তু 'করোনা ভাইরাস' মহাশয় একটু বাঁধ সাধলেন। তাঁরই কীর্তিকলাপের বিস্তারিত বিবরণ ই ছিল আমার লেখার বিষয় বস্তু। মনে হচ্ছে আমার প্রতি বিশেষ ভাবে প্রসন্ন হয়েই এবার তিনি আমার ই বাড়ির গৃহকর্তা এবং তাঁর অবিভাবক (attendant) টির ঘাড়ে চেপে বসলেন। বুঝতেই পারছেন, মাথায় উঠলো লেখা জোখা, অন্য কিছু নিয়ে চিন্তা ভাবনা করা । মোটামুটি তাঁরা সুস্থ হওয়ার পর আবার লেখাটির কথা মাথায় এলো। ... ...