সেই কালো সময়ের উপরে লজ্জা লিখে লজ্জা পেয়ে দেশ ছাড়তে হয়ে ছিল তসলিমা নাসরিনকে। সেখানেও এমন এক পরিবারের কথা বলা হয়েছিল যারা শত বাধা পেরিয়েও দেশ ত্যাগ করে না। বাড়ির প্রধান একজন ভাষা সৈনিক এবং মুক্তিযোদ্ধাও। নিজের মেয়েকে যখন ধর্ষণ হতে দেখে তখন তাদের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে। দেশ কাকে বলে তা নিয়ে জীবনের সবচেয়ে কঠিন প্রশ্নের সামনে দাঁড়ায় তারা। আমরা ভদ্রলোক মানুষ, আমরা এই সব নষ্ট কথা আমরা আমাদের সাহিত্যে মেনে নিতে পারি না। লজ্জা আসলে কার এই রকম একটা কঠিন প্রশ্ন সহ্য করা আমাদের দেশের মানুষের পক্ষে সম্ভব না। লজ্জা যখন বলে - “ধার্মিকেরা কি কখনও পারে বিধর্মীর সম্পদ লুট করে নিজের ধর্ম রক্ষা করতে? এতো আসলে ধার্মিকের কাজ নয়। এ হচ্ছে গুণ্ডা বদমাশের কাজ।” তখন সম্ভবত কোন উত্তর থাকে না জিহাদি জুলুসে জ্বলতে থাকা আমার ভাইয়েদের কাছে। আর তাই দেশ থেকে বাহিরে তসলিমা। ... ...
হাতি পাঠিয়ে জমিদারি কেতায় যাঁদের বাড়ি ভাঙা হল সেই লোকগুলো কে? গৌহাটী হাইকোর্ট বলছে এরা বে-আইনি জবরদখলকারী। অভয়ারণ্যের জমি দখল করে বসে পড়েছে, এদের উচ্ছেদ করা আশু কর্তব্য। জমির প্রশ্নে পরে আসছি, আগে দেখা যাক লোকগুলো কারা। বিতর্কের অবকাশ নেই যে এঁদের সিংহভাগ পূর্ব আসামের জনজাতি গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত। বন্যা ও ব্রহ্মপুত্রের অবিরত পাড় ভাঙার ফলে ভিটেমাটিকাজকম্মোহারা হয়ে এদিক ওদিক ঘুরতে ঘুরতে জীবিকার সন্ধানে গুয়াহাটিতে এসে পড়েছেন; কম দামের বাসস্থান খুঁজে শহরের উপকণ্ঠে আমসাং-এর হদিশ পেয়েছেন। ... ...
অনুবাদ ঃ জারিফা জাহান এরপরই সরকার বন্দুক ও কাঁদানে গ্যাস বের করে। ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক, এদের মধ্যে মালতী দাস নামে এক সমাজকর্মী, গুলির ক্ষত নিয়ে আইসিইউ তে ভর্তি। বাকি আহতরা হলেন অনিমা খাতুন, রাশিতা খাতুন, গৌতম বৈশ্য এবং উৎপল পত্গিরি। এখানেই শেষ নয়, পুলিশ, শহরের বহু প্রতিবাদী কর্মীকে হুমকি ও ধরপাকড় শুরু করেছে, এদের মধ্যে বিশেষত কেএমএসএস ( কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতি) এর ওপর তাদের নেকদৃষ্টি পড়েছে। কেএমএসএস দলনেতা ও উপদেষ্টা বেদান্ত লস্কর, যুগ্ম সাধারণ সচিব ধৈয্য কানোয়ার এবং কেএমএসএস কর্মী গোপী সাইকিয়াকে শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কেন? কারণ তাঁরা প্রতিবাদীদের সমর্থনে দাঁড়িয়েছিলেন। বেদান্ত এবং গোপী তো ঘটনাস্থলে উপিস্থিতই ছিলেন না, বাইকে চেপে ফেরার সময় শহরের মধ্যে ওঁদের ধরা হয়। আজ তাঁদের আইপিসির বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ এনে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে তোলা হয়েছে। ... ...
তিনভাইবোনে মা’কে নিয়ে বাজিতপুরের দিকে রওনা হয়ে গেল। মা বিশেষ হাঁটতে পারছেন না, গরুর গাড়িতে যুঁই রইল সঙ্গে যদি হঠাৎ খারাপ লাগে শরীর। যোগেশ এককথায় আকরম আলির প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন, দেশ ছাড়ার কথা তিনি ভাবতেও পারেন না। তাঁর অনাগত সন্তানকেও তিনি তাঁর পিতৃপুরুষের দেশেই বড় করে তুলতে চান। তবে মনীশের সিদ্ধান্তে তিনি বাধা হবেন না, আলিসাহেব ও তাঁর ভাইকে লোক দিয়ে জঙ্গলবাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছেন। সেইদিনই মীর্জাপুর স্ট্রীটের মেসবাড়ির বাসিন্দারা কিছু বেশী উত্তেজিত ছিলেন; কাগজে বেরিয়েছে উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় মসজিদের ভিতরে রামলালার মূর্তি পাওয়া গেছে -- গোবিন্দগোপাল জোরে জোরে বলেন দেখেছ ‘নাথুরাম গডসের লোকেরা বহুদিন ধরেই বলে আসছিল ওইটা আসলে অযোধ্যায় দশরথের প্রাসাদ ছিল, দেখলে তো তোমরা। ব্যাটা বাবর ধ্বংস করেছিল’ ননী ফুট কাটে ‘হ্যাঁ কৌশল্যার আঁতুড় ছিল ওখানে’। মহা ঝামেলা বেধে যায়। কেউ বলে বাবর নয় ঔরঙ্গজেব মন্দির ধ্বংস করে মসজিদ বানিয়েছিল, কেউ বলে না বাবর। এর মধ্যেই ম্যানেজারবাবু এসে বলে যান আজকে আর রাজাবাজারের দিকে না যাওয়াই ভাল বলা তো যায় না ---। সুহাস মনে মনে ভাবে এই খবরগুলো নিশ্চয়ই পূর্ব পাকিস্তানে পৌঁছায় নি, হে মা ঠনঠনে কালী এসব খবর যেন ওদিকে না পৌঁছায় ...... ... ...
বস্তারের যেখানে অত্যাচার, সেখানেই অদম্য সোনি সোরি। স্কুল কর্তৃপক্ষ চূড়ান্ত অসহযোগিতা করলেও নির্যাতিতা মেয়েদের হয়ে মামলা রুজু করেছেন সোনি। পরিষ্কার বললেন, তার গুপ্তাঙ্গে পাথর ঢোকানো পুলিশ অফিসারটি এবার রাষ্ট্রপতি পুরষ্কার পেয়েছে, ওর সদম্ভ চলাফেরা দেখলে বুকের ভেতরটা জ্বলেপুড়ে যায়, মগর ক্যা করু, দেশ কা সংবিধানমে বহোত বিশোয়াস রখতি হুঁ। না, বন্দুক হাতে তুলে নেবার কথা একবারও ভাবেননি সোনি। বরং একবারই গলা ধরে এলো বাবাসাহেবের এই সত্যিকারের সন্তানের, যখন বললেন তার ভেঙে দেওয়া স্কুলহোস্টেলে পঞ্চাশটি অনাথ বাচ্চা থাকতো যাদের বাবা মায়েরা খুন হয়েছে রাষ্ট্রের পোষা আতঙ্কবাদী সালোয়া জুড়ুমের সদস্যদের হাতে। তাদের কি হল তিনি জেলে যাবার পর জানা নেই, শুধু এই সেদিন গহন বনের ছায়ায় এক গ্রামে ধর্ষণের ঘটনা শুনে সোনি যখন ছুটে যাচ্ছিলেন দুটি মাওবাদী তার পথ আটকায়। যাবার হুকুম নেই। কথা কাটাকাটি শুরু হতেই বন্দুক হাতে ছুটে আসে আর এক তরুণ, প্রাক্তন শিক্ষিকার পা ছুঁয়ে মাফি মাঙে। এ সেই অনাথদের একজন। ... ...
স্টেট ভার্সেস জোগা, জুগল অ্যান্ড সুদারের কেসে, পাঁচ মাসে তেরো খানা এফ আই আর দায়ের করা হয়েছিল নানা ব্যক্তির নামে। যদিও, সেই এফ আই আরে কোথাও জোগা, জুগল আর সুদারের নাম ছিল না। এর কিছুদিন পরেই, পুলিশের স্টেটমেন্টে ওই তিনজনের নাম যোগ করে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে অবশ্য তিনজনেই বেকসুর খালাস হয়েছিল। আরেকটা কেসে ৫০ জনের নামে এফাইআর দায়ের হওয়ার পাঁচ মাস পরে পুলিশের হটাৎ করে আরো তিনজনের নাম মনে পড়ে যায় এবং তাদেরকে তৎক্ষণাৎ গ্রেপ্তার করা হয়। মানে ব্যাপারটা দাঁড়ালো এই যে, যত দিন যায়, পুলিশের মেমোরি তত শক্তিশালী হয়। অন্যদিকে,অপর আর একটি কেসের দুই অভিযুক্ত, মিদিয়াম লাচু ও পুনেম ভিমার নাম পুলিশের চার্জশিটে কোথাও ছিল না , শুধুমাত্র ইনভেস্টিগেটিং অফিসারের একটা রিপোর্টে তাদের নাম উল্লেখ করা ছিল।পুলিশ সেই রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে তাদের দুজনকে গ্রেপ্তার করে এবং বিনা বিচারে তারা জেল খাটছে আজ ছ'বছর ধরে। ... ...
সবচেয়ে অদ্ভুত ব্যাপার যেটা, সেটা হল রায়া সরকার এবং আরও কয়েকজন, যারা মেহমুদ ফারুকি আর খুরশিদ আলম ধর্ষণ মামলায় সম্পূর্ণ বিপরীত অবস্থান নিয়েছিলেন, তাঁদের ভোল বদলানো বা পালটি খাওয়া। কিছু স্বাক্ষরকারীর মতে উভয় ক্ষেত্রেই যেহেতু বিশেষভাবে ধর্ষণের অভিযোগই করা হয়েছে, তাই তার বিচারের ক্ষেত্রে নির্ধারিত পদ্ধতিতেই এগোন দরকার। মেহমুদ ফারুকির মত খুরশিদ আলমও আমাদের অনেকের কাছেই পরিচিত ছিলেন। উভয়ক্ষেত্রেই যে নারীবাদীরা অভিযোগ সমর্থন করেছিলেন, উদার বামপন্থী নারীবাদী বৃত্তের ভেতর থেকেই তাঁদের ‘ফেমিনাজি’ বলে আক্রমণ করা হয়েছিল। ‘ফেমিনাজি’ অর্থাৎ কোনও প্রমাণ ছাড়াই যারা পুরুষের বিরুদ্ধে আক্রমণে ঝাঁপিয়ে পড়েন। কিন্তু আমাদের অবস্থানটা হল এইরকম যে যেকোন অভিযোগকে বিচার পাওয়ার দিকে এগিয়ে দেবার আগে আমরা তার ‘প্রমাণ’ চাইব না কিন্তু আশা করব যে কি ধরণের অভিযোগ জানানো হছে সে বিষয়ে অভিযোগকারীর যেন পরিষ্কার ধারণা থাকে। আমরা জানি খুরশিদের ক্ষেত্রে অভিযোগকারিণী মধু কিশওয়র অভিযুক্তের সঙ্গে তাঁর একটা ভিডিও রেকর্ডিং বানিয়েছিলেন আর প্রথামাফিক অভিযোগ জানানোর আগেই সেটা গণমাধ্যমে ছেড়ে দিতে প্রস্তুত ছিলেন। কিন্তু এঁরা যখন অন্য নারীবাদীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তখন তাঁরা এইভাবে এগোনোর বদলে সঠিক পদ্ধতিতে অভিযোগ দায়ের করতে উৎসাহিত করেছিলেন। দুঃখজনকভাবে খুরশিদ আত্মহত্যা করায় এই মামলা বন্ধ হয়ে যায়। যে নারীবাদীরা এই দুই ক্ষেত্রে অভিযোগকারিণীদেরসমর্থন করেছিলেন, তাদেরই ফেমিনাজি বলা হয় কারণ তাঁরা গণমাধ্যমের বিচারে (মিডিয়া ট্রায়ালে) আগ্রহী, যার সবটা তাঁদের আয়ত্তে থাকে না। আশ্চর্যজনকভাবে রায়া সরকার, যিনি একদিন কবিতা কৃষ্ণণকে সাম্প্রদায়িক আর ফেমিনাজি হওয়ার জন্য ব্যক্তিগত আক্রমণ পর্যন্ত করেছিলেন (সেই সব পোস্ট অবশ্য পরে ডিলিট করে দিয়েছেন), তিনিই আজ কোনও প্রেক্ষিত বিচার না করেই যেকোনও পুরুষের ওপর যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনাকে উৎসাহ দিচ্ছেন। অন্য নারীবাদীরা যারা সেই সময় আমাদের আক্রমণ করেছিলেন আশ্চর্যজনকভাবে তাঁরাও দিক বদলে অন্য দিকে চলে যাচ্ছেন অতি দ্রুত। তাহলে কে এই দুই বিপরীত পক্ষ তৈরী করে তাদের লড়িয়ে দিল আর কোন দিকটাই বা বেশি ক্ষমতাবান! ... ...
আপনি কি জন্মসূত্রে হিন্দু মেয়ে? অন্য ধর্মে বিয়ে করেছেন? এই পরীক্ষাটি নিয়ে প্রমাণ করুন, এটি লাভ-জিহাদের ঘটনা কিনা। মনে রাখবেন, মেয়েদের স্ব-ইচ্ছা বলে কিছু হয়না। যেকোনো ব্যাপারই হয় আপনাকে হয় জোর করে করানো হয়, নইলে আপনার মগজধোলাই হয়েছে। আপনি যদি বিধর্মী বিয়ে করেন, সেটা অবশ্যই লাভ জিহাদ। আপনি যদি চাকরি করেন, ঘরের বাইরে পা দেবার সেই মহাপাপ নিশ্চয়ই মস্তিষ্ক প্রক্ষালন... ... ...
বনারসি গানের একটা অন্য ঐতিহ্য রয়েছে। শাস্ত্রীয় গায়নে লোকজ আবেগের উৎসার বনারসের মতো আর কোথাও দেখা যায়না। যদি শাস্ত্রীয় গায়ন, অর্থাৎ ধ্রুপদ, ধমার, চতুরঙ্গ,খ্যয়াল, ইত্যাদি সব ধারাতেই এই মাটির আঘ্রাণ এতো স্পষ্ট হয়, তবে উপশাস্ত্রীয় সঙ্গীত, অর্থাৎ, টপ্পা, ঠুমরি, দাদরা, কাজরি, হোরি, চৈতি, তরানা, ঘাটো ইত্যাদি শৈলীতে তো কথাই নেই। এইসব ধারার সব থেকে বৈচিত্র্যপূর্ণ রূপায়ণ আমরা বনারসি বনাওটে খুঁজে পাই। এছাড়া অপ্রচলিত তিরওয়ত, সদরা, খামসা, লাওনি, কীর্তন, ভজন, কথাগায়ন, রামায়নগায়ন, রাগমালা, কব্বালি ইত্যাদি সব ধরণের সঙ্গীতধারাই বনারসে চর্চিত হয়েছে। এখানে কেতাবি শাস্ত্রীয়তা আর লোকজ সঙ্গীত কেতা চিরকাল সমান ইজ্জতের সঙ্গে মানুষের কাছে আদৃত রয়ে গেছে। গান শোনার জন্য বনারসের নানা ঠেকে তাঁরা জড়ো হ'ন। তা সে সংকটমোচন মন্দিরে হোক বা গঙ্গা উৎসবে, তুলসিঘাটের ধ্রুপদমেলা বা বালাজিমন্দিরে। শ্রোতাদের মধ্যে কেউ পানবিক্রেতা, কেউ রাবড়িওয়ালা, কেউ বিখ্যাত অধ্যাপক, কেউ বা বরিষ্ঠ রাজপুরুষ বা যজমান পুরোহিত, অথবা পরিচয়হীন, ধারালো, বনারসি ভবঘুরে পথের লোক। এমন কি তথাকথিত লপুয়া'লফঙ্গা 'ইতর'সমাজের লোকজনকেও দেখা যাবে এককোণে মাটিতে বসে দাদ দিয়ে চলেছেন গানের সঙ্গে। সব মিলিয়েই ফুটে ওঠে বনারসি চাল। বনারসি অদার সঠিক এই ধরণ। লোকজ গানের সম্ভ্রম আর সম্ভ্রান্ত গানের লোকজ উল্লাস সবই বনারসে পরস্পর আলিঙ্গন করে চলে। এই ঐতিহ্যের উত্তরাধিকারিনী গিরিজা দেবী'র গায়নেও বনারসি অদার ছাপ চিরকাল অতি স্পষ্ট বিরাজমান ছিলো। ... ...
সত্যিই টিভি সিরিয়ালের এক একটি কেস মহিলা কমিশনে দাখিল হওয়া এক একটি আবেদন। ব্যক্তি আর সমাজ জীবনের জলছবি। মেয়েরা মাথা নীচু করে আর সবকিছু মেনে নিচ্ছেন না। কিন্তু সংসারের কর্ত্রী হয়ে থাকবো এই বাসনা থেকে এখনো বেরোতে পারেননি। স্বামী নিজের বোনকে নিয়ে চলে গেছে, এগারো মাস বাদে ফিরে এসেছে, তবু স্ত্রী ছেলেকে নিয়ে আবার সংসারের পুনঃপ্রতিষ্ঠা চায়। ছেলে ডিপিএসেই পড়ুক চায়। টাকা দেবে কে, একথার উত্তরে একুশ বাইশের মেয়েটি জানায়, ----ওকে রাজারহাট নিউটাউনে সবাই চেনে। সিন্ডিকেট করে ও। এখানকার কাউন্সিলরের ঘর থেকে বেরিয়ে আমায় সেদিন বলছে, কত টাকা পেলে আমায় ছাড়বি ? কুড়ি লাখ, ত্রিশ লাখ ? আপনারা সিসিটিভি দেখুন। বলেছে কিনা। ও ইচ্ছে করলেই আমার ছেলেকে পড়াতে পারে। ... ...
রোহিঙ্গা জঙ্গি সংগঠনগুলোর লক্ষ্য কী? মোটা দাগে ৪টি লক্ষ্য : এক. আরাকানে রোহিঙ্গাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা, দুই. রোহিঙ্গাদের আবাসভূমি হিসেবে আরাকানকে স্বাধীন করা, তিন. বাংলাদেশের কক্সবাজার, পার্বত্য চট্টগ্রামের কিছু অংশ ও আরাকান নিয়ে একটি স্বাধীন ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। চার. আরাকানে ইসলামি খেলাফত প্রতিষ্ঠা করা। এই লক্ষ্যে যেসব সংগঠন কাজ করছে সেগুলো হচ্ছে―রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও), হরকাতুল ইয়াকিন, আকামুল মুজাহিদিন আরাকান, ফেইথ মুভমেন্ট অব আরাকান, রোহিঙ্গা আজাদি ফোর্স, জমিয়তে ইত্তেহাদুল রোহিঙ্গা, জমিয়তে ইত্তেহাদুল ইসলাম, আরাকান রোহিঙ্গা ইউনিয়ন, বার্মা আরাকান অর্গানাইজেশন ইউকে, ভয়েস অব রোহিঙ্গা ইউনাইটেড, রোহিঙ্গা রিফিউজি হিউম্যান রাইটস, আরাকান পিপলস ফ্রিডম পার্টি, অ্যাসেম্বলি অব রোহিঙ্গা অ্যাসোসিয়েশন, আরাকান রোহিঙ্গা স্টুডেন্ট ডেমোক্রেসি অ্যাসোসিয়েশন, আরাকান ইউনাইটেড ফোর্স, আরাকান আর্মি (এএ), আরাকান লিবারেশন ফ্রন্ট (এএলপি), আরাকান পিপলস আর্মি, আরাকান রোহিঙ্গা ফোর্স, সাওতুল্লাজিন, ইত্তেহাদুল ইসলাম প্রভৃতি। ... ...
অনেক অপেক্ষার পর নড়তে চড়তে হেলতে দুলতে অবশেষে হাজির হল লেটলতিফ পুজো ইস্পিশাল। তাতে অবশ্য সমস্যার কিছু নেই। কারণ আমাদের বারো মাসে আঠারো পাব্বন, আর বচ্ছরভোর মোচ্ছব। উৎসব চলছে চলবে। পড়ুন লেটলতিফ পুজো ইস্পিশাল, গুরুর প্রথম ই-বই ... ...
ফারুকি সংক্রান্ত রায়ের পর ধর্ষণ আইন এবং আদালতের রায় নিয়ে নতুন করে কথাবার্তা শুরু হয়েছে। এই লেখাটা ঠিক ফারুকি বিষয়ক নয়। কিন্তু আলোচনা যখন হয়েছে, এবং ধর্ষণের নতুন আইনটির বেশ ক বছর হয়ে গেল, তার এবার একটা পুনর্মূল্যায়নও দরকার, এই জায়গা থেকে কয়েকটা লেখা ফেসবুক গ্রুপে লিখেছিলাম। সেগুলোই একটু নেড়েচেড়ে তুলে রাখলাম। পাবলিক ফোরামের লেখা। একটু তাড়াহুড়োতে। বাক্যগঠন ইত্যাদি বদলালামনা। এক্ষেত্রে বিষয়বস্তুইআসল, এই অজুহাতটুকু রইল। ... ...
ঝলসানো চামড়ার ও ফোসকার ড্রেসিং করাতে আমার পরিচিত একটি ক্লিনিকে গেলাম। সেখানে এক অপরিচিতা নার্স আমার চিকিৎসা করলেন। তিনি ড্রেসিং করার সময় থমথমে মুখে কাগজ দেখে মন দিয়ে কাজ করে গেলেন, আমার সঙ্গে একটি কথাও বললেন না। আমার কেমন যেন অস্বস্তি হচ্ছিল যে তাঁর সামনে একজন মানুষ বসে আছে, সে মাঝে মাঝে যন্ত্রণায় আর্তনাদ করে উঠছে, তাকে আমল দেওয়া দূরের কথা, যন্ত্রণা হচ্ছে কি না, একবার জিজ্ঞেসও করলেন না, খস খস করে কাঁচি দিয়ে, এমন ভাবে পোড়া চামড়া কেটে দগদগে কাটা ঘায়ের ওপর মলম আর পটি দিয়ে ড্রেসিং করলেন হাতটা যেন শরীরের বাইরের কোন একটা অংশ, তারপর নিপুণ হাতে পরিপাটি করে ব্যাণ্ডেজ বেঁধে দিলেন। দিয়ে আমাকে মৃদু শাসনের সুরে বললেন, এই ভাল করে ড্রেসিং করে দিলাম, বাইরে বসে একটু জিরিয়ে নিয়ে বাড়ি চলে যান। দেখবেন যেন একটুও জল লাগাবেন না, সাত দিনে সেরে যাবে। চিকিৎসা শুরু হবার দশ দিনের মাথায় হাতের ঘা সেরে গেল, পটি খোলা হল। আমি সুস্থ হলাম। আমার চিকিৎসা যে চিকিৎসক, ফিজিওথেরাপিস্টরা, নার্স-রা করেছেন তাঁরা সকলে অভিজ্ঞ ও দক্ষ, তাঁদের পেশাগত নৈপুণ্য প্রশ্নাতীত, ক্লিনিকটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন, তাতে প্রায় যত রকমের আধুনিক ব্যবস্থা থাকা প্রত্যাশিত সব ছিল। আমার দেশ, নিউজিল্যাণ্ডে, সরকার দেশের মানুষের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করেন, তাই আমার চিকিৎসার মোট খরচ নামমাত্র, এবং আমি যথাসময়ে কোন রকম গোলমাল ছাড়াই পুরোপুরি ভাল হয়েও গেছি । ... ...
পশ্চিম য়ুরোপের লোকজন আর পূর্ব য়ুরোপের স্লাভ-স্লোভাকদের মধ্যে সম্পর্ক আমাদের দেশের মতো বর্ণাশ্রমের নিয়ম মেনে চলেছে। একজন জর্মন, থাকতেন ইংলন্ডে, আদৃত ছিলেন ফ্রান্সে, ভাবতেন আমেরিকাকে নিয়ে। কিন্তু তাঁর পথ নিলো একটা স্লাভ-কসাকদের দেশ। যাদের পশ্চিম য়ুরোপে মানুষই মনে করা হতনা। য়ুরোপের 'যুক্তিবোধ' অর্থোডক্স চার্চের 'গণতন্ত্রহীন' আনুগত্যকেই সাম্যবাদের বীজতলা হিসেবে ভেবে নিয়েছিলো। সেই কোনকালে যখন মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ পাহাড়ে থাকতেন, সারদাদেবী খুব উদ্বিগ্ন, রাতে ঘুম আসেনা। তাঁকে লোকজন বলেছে রাশিয়ান দানবরা আসবে পাহাড় পেরিয়ে। সব্বাইকে জ্যান্ত খেয়ে নেবে। তখন কোথায় মার্ক্স-এঙ্গেলস, কোথায় লেনিন? তার পর আবার সেই দাড়িওয়ালা জর্মনের পথ নিল য়ুরোপের বিচারে একটা অর্ধসভ্যদেশ, চিন। কেন ফ্রান্স পৃথিবীর প্রথম সমাজতান্ত্রিক দেশ হলনা? সেটাই তো স্বাভাবিক ছিলো। ভলতেয়রের থেকে মার্ক্সের বিবর্তনটিই সরলতম উপপাদ্য হতে পারতো। চিরন্তনভাবে অ্যাডাম স্মিথ বা হেগেলের পথ দিয়ে ডিসকোর্সটিকে ব্যাখ্যা করার থেকে একটা ব্যতিক্রমী সমান্তরাল বিকল্পও তো সম্ভব ছিলো। সত্যিকথা বলতে কী, একসময় রাশিয়ার সব চিন্তাশীল, অগ্রণী মানুষেরা প্রশ্নহীনভাবে ফরাসি মননকেই অনুসরণ করতেন। তবু ফ্রান্স সমস্ত সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও সারোগেট মা হয়েই থেকে গেলো। অথবা জর্মনটির নিজের দেশ? তারা হয়ে গেল নাৎসি। পশ্চিম য়ুরোপের কোনও দেশ এই দর্শনটিকে আত্মসাৎ করার হিম্মত দেখাতে পারলে সমাজতন্ত্রকে আর জুজু ভাবার অবকাশ থাকতো না কারো কাছে। রইলো বাকি, বাজার, বাজার, তোমার মন নাই, মানুষ? ... ...
কিন্তু এই কাজগুলোর সবকটাতেই সেই সময়ের দুটি চরিত্র স্পষ্ট। এক, এই সেই সময় যখন শিক্ষিত চাকরি করা স্বচ্ছল মধ্যবিত্তের সাথে নিম্নবিত্তের মানসিক দূরত্ব অনেক কম ছিল। দুই, ভারতীয় সমাজে তখনও ব্যক্তির থেকে সমষ্টির ভালোমন্দ বেশি গুরুত্ব পেত। এই দুটি ঘটনাই এখন অতীত, এবং ব্যক্তি বা সমষ্টির মধ্যে কার গুরুত্ব বেশি, সেই বিষয়ে আমার কোন মন্তব্য নেই, কুন্দন শাহের ছবিতে কালের নিয়ম মেনেই সেই চিহ্নগুলো ফুটেছে শুধু এট্কুই বক্তব্য। কুন্দন শাহের বংশে সিনেমার কোন ইতিহাস নেই। পরিচালক হিসেবেও তিনি নিজেকে বর্ননা করেছেন বৃত্তের বাইরের একজন হিসেবে, যাঁকে মেইনস্ট্রিমে ফেলা যায়নি, এবং তথাকথিত প্যারালাল সিনেমার কুশীলবদের তালিকাতেও রাখা হয়নি। এমনও নয়, তিনি একমাত্র পরিচালক যিনি মধ্যবিত্তের সুখদুঃখ নিয়ে কাজ করেছেন। কুন্দন শাহকে শুধু আলাদা করেছে তাঁর গল্পের চরিত্রেরা, কারণ তারাও আসলে অনেকেই পরিচালকের মতই সাফল্য-ব্যর্থতার বৃত্তের বাইরের মানুষ, তাদেরও কোন হিসেবে এঁটে ফেলা যায় না। দেগে দেওয়া যায়না "ব্যর্থ" হিসেবে। বরং তারা অবলীলায় ব্যর্থতার লাশ বয়ে হাসি ঠাট্টায় মেতে উঠে পরবর্তী ব্যর্থ প্রোজেক্টের অনুসন্ধানে যাত্রা করে। ... ...
আলাউদ্দিনঃ দেখো দিকি আবার মালা ক্যানো! রবীন্দ্রনাথঃ নন্দলাল খাঁ সাহেব বলছেন; ‘এ মণিহার আমায় নাহি সাজে’, ভেবে দেখতে হবে কে কার অলঙ্কার! মালা খাঁ সাহেবের না খাঁ সাহেবের মালা। খাঁ সাহেব স্মিত হেসে আসন গ্রহণ করেন। রবীন্দ্রনাথঃ সাহানা ‘সুরের রসে হারিয়ে যাওয়া সেই তো দেখা সেই তো পাওয়া--- বিরহ মিলন মিলে গেলো আজ সমান সাজে’।। রবীন্দ্রনাথঃ নির্মল থামলে কেন ? ভয় পেয়ো না, খাঁ সাহেবও একদিন শিখেছেন তুমিও তো শিখছো। তফাৎ হল খাঁ সাহেব ওস্তাদ আহমদ আলীকে গুরু পেয়েছিলেন তুমি স্বয়ং খাঁ সাহেবকেই পাচ্ছ। আসলে ‘অরূপরতন’ নাটক মঞ্চস্থ হবে। তারই প্রস্তুতি চলছে। খাঁ সাহেব সঙ্গীত ভবনে যারা তারের যন্ত্র বাজায় তাদের তার যতটা যত্নে টেনে বাঁধা, সুর ততটা নয়। আপনি যে ক'দিন আছেন, একটু সুর বেঁধে দিন। আলাউদ্দিনঃ গুরুদেব আমি তো বেসুরা আতাই, জীবনে তো একটা সুর লাগাইতে পারলাম না। আমি হলেম গিয়ে ম্লেচ্ছ, ডাকাতের বংশ। রবীন্দ্রনাথঃ ডাকাতের বংশ বলেই তো খাঁ সাহেব যখন যাকে গুরু পেয়েছেন প্রকাশ্য দিবালোকে তাঁর সুরের নির্যাসটুকু এমন করে নিজের করে নিয়েছেন যে, সে বেচারা নিজের ধন আর নিজের কাছে রাখতে পারলো না। এমন ডাকাত তো আমার সঙ্গীত ভবনে আরও কয়েকটা চাই। ... ...
শেষ বিকেলের মরা আলোয় চিকচিক করে ওঠে রিকশচালক হরেন দাসের চোখ। খালপাড়ের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ‘‘অঙ্কটা খুব সহজ, দাদাভাই। বাইরের দেশের লোকজনের সামনে দেখাবে সল্টলেকে কোনও গরীব নেই, নোংরা নেই। সব ঝকঝকে চকচকে। তাই আমদের চলে যেতে বলেছে। কালো প্লাস্টিক না কী রাখা যাবে না। কালো প্লাস্টিক মানেই নোংরা, জঞ্জাল।’’ হরেনের ছেলে আকাশ লেবার খাটেন। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘আপনাদের যাদবপুর, টালিগঞ্জ, নেতাজিনগর, বাঘাযতীন কী করে তৈরি হয়েছিল? সেগুলো জবরদখল নয়? তাহলে ওই এলাকাগুলো ফাঁকা করা হোক। একতা হাইটস ভাঙা পড়ুক। আমরা গরীব, আপনাদের সরকারের আমাদের কাজ দিতে পারে না, তাই আমরা ঝুপড়িতে থাকি। সেটা অন্যায়?’’ ... ...
আরবীয় ইসলাম বঙ্গে এসে বঙ্গীয় সংস্কৃতির সঙ্গে নানা বিষয়ে আপোষ করতে বাধ্য হয়। এই আপোষের কথা সবাই জানেন। তবু ছোট্ট একটা উদাহরণ দেই। খাজা মঈনুদ্দিন চিশতি যখন ভারতে ইসলাম প্রচারে এলেন তখন ভারতবাসী নিম্নবর্ণের হিন্দুদের পোশাক ছিল ধুতি ও নেংটি। খাজা ও তার সঙ্গীদের পোষাক ছিল পায়জামা ও আলখাল্লা। খাজার এক শিষ্য একদিন খাজাকে বললেন, ‘হুজুর, হিন্দুরা তো অনৈসলামিক পোশাক ধুতি-নেংটি পরে। আপনি এদের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করে দিন।’ . খাজাসাহেব শিষ্যের কথা পাত্তা তো দিলেনই না, উল্টো তিনি নিজেই ধুতি পরা ধরলেন। পায়জামা-আলখাল্লা দেখে এতদিন খাজাসাহেবকে নিম্নবর্ণের হিন্দুরা ঠিক ওভাবে গ্রহণ করতে পারছিল না। তিনি যখন ধুতি পরা ধরলেন তারা ভাবল, আরে, খাজাসাহেব তো আমাদেরই লোক! এই যে তিনি আমাদের মতো ধুতি পরছেন! তখন নিম্নবর্ণের হিন্দুরা তার অনুরাগী হতে লাগল। তার হাতে বয়েত নিয়ে ইসলাম গ্রহণ করতে লাগল। পরবর্তীকালে খাজাসাহেব তার সেই শিষ্যকে বললেন, আমি যদি প্রথমেই এদের সংস্কৃতির বিরুদ্ধে কথা বলতে শুরু করতাম তারা আমার কথা শুনত না। কিন্তু এখন আমি যা বলি তা-ই শুনবে। . বঙ্গীয় সংস্কৃতির সঙ্গে আরবীয় ইসলামের আপোষ বা সমন্বয়টা ছিল ঠিক এরকম। কিন্তু রোহিঙ্গাদের মধ্যে এই সাংস্কৃতিক সমন্বয়ের মনোভাবটা নেই। হ্যাঁ, একটা অংশের ছিল। ... ...
আমরা আখের খেতে লুকিয়ে ছিলাম ওরা আমার কাকাকে মারল, আমার মামাকে জিন্দা জ্বালিয়ে দিল আমি আখ জড়িয়ে পড়ে ছিলাম ওরা ভাবল আমি মরে গেছি, ওরা বহেনা জমনাকে উঠিয়ে নিয়ে গেল --- বাদমে হমনে ভাগা--- ভাগতা হুয়া এক বুডঢা দাদাজি’নে মুঝে কান্ধোমে ব্যায়ঠাকে রফুজি ক্যাম্প রাখকে আয়া। বলে আর কাঁদে – কাঁদে আর বলে একই কথা ঘুরেফিরে আর শক্ত করে ধরে থাকে কোমরের কাছে প্যান্টটাকে। অমরিন্দরের চোখ আরো তীক্ষ্ণ হয় – প্যান্ট উনি খোলাবেনই। এবার ঘোমটার মধ্য থেকেই সরলার ঈষৎ কঠিন কণ্ঠ শোনা যায়। অমরিন্দরের উপস্থিতিতে মাথার ঘোমটা নেমে এসেছে থুতনি পর্যন্ত, তিনি সিংজিকে বাড়ি যেতে বলেন। ছেলেটিকে দিয়ে তিনি খাবার শর্তে কাজ করিয়েছেন, এই ভর দুপুরবেলা সে তাঁর অতিথি, তাকে না খাইয়ে তিনি কোথাও যেতে দেবেন না। আর ছেলেটি বাচ্চা হলেও ছেলে বটে, চার চারটি মেয়ের সামনে তার প্যান্ট খোলার মত অসভ্য ব্যপার তাঁর বাড়ির চৌহদ্দিতে তিনি হতে দেবেন না। থমকে যান সিংজি, কী যেন বলতে গিয়েও শেষ পর্যন্ত নত হয়ে অভিবাদন করে বেরিয়ে যান তিনি। সরলা এগিয়ে গিয়ে সদর দরজা বন্ধ করে হুড়কোটা তুলে দেন। জামুকে হাত ধারে বসিয়ে দেন থালার সামনে --- ছেলেটা সব সাপটে মেখে নেয় একসাথে --- খায় গবগবিয়ে --- যেন কত দিন মাস খায় নি বুঝি বা। ... ...