এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  ধারাবাহিক  সমাজ

  • পবিত্র ভূমি ৮

    হীরেন সিংহরায়
    ধারাবাহিক | সমাজ | ০৩ নভেম্বর ২০২৩ | ১০৫২ বার পঠিত | রেটিং ৪.৮ (৪ জন)
  • গেথসামানের মাউনট অফ অলিভ থেকে জেরুসালেম

    দাভিদের পাঠশালায় -২

    প্রাক কথন: এটি এক ইহুদির সঙ্গে বাইবেল নিয়ে আমার একান্ত তাত্ত্বিক আলোচনার বিবরণ মাত্র। কারো ধর্ম বিশ্বাসে আঘাত লাগলে আমি অগ্রিম মার্জনা চেয়ে রাখি।

    - পুরো বাইবেল পড়েছে এমন কাউকে চিনি না। তবে দুই বাইবেলের স্টোরি লাইন আপনার জানা আছে এটা অনুমান করতে পারি কি?

    এতক্ষণ দাভিদের রেল কাহিনি শুনেছি ‘সে কি’, ‘কেন?’, ‘তাই বুঝি’ এমনি কিছু বিস্ময় সূচক মনোসিলেবিক মন্তব্য সহ। এবার মঞ্চে নামার ডাক। জেরুসালেম পৌঁছুতে অন্তত ঘণ্টা খানেক বাকি, জানলার বাইরের দৃশ্য কিছু মনোরম নয়। অতি রুক্ষ ধুলোয় ঢাকা পাথুরে টিলা।

    - আমার দেশে বাইবেল শিক্ষার ক্লাস করা আবশ্যিক ছিলো না। কিন্তু আদমের আপেল খাওয়া থেকে যিশুর পুনরুত্থানের কাহিনি অন্য সবার মতন আমিও কোন না কোন ভাবে জেনেছি। ইংল্যান্ডে আমার ছেলে মেয়ের স্কুলে আর ই বা রিলিজিয়াস এডুকেশনের ক্লাস হয়। তাদের বইয়ের পাতা উলটে দেখেছি, বিশেষ করে যিশুর জীবনের শেষ সাত দিন। বাইবেল আমার কাছে একটা দীর্ঘ সময়ের ঐতিহাসিক ভৌগোলিক এবং সাংস্কৃতিক দলিল।

    ক্লাস টেনে পড়ার সময়ে বরানগরের স্কুল থেকে বীণা সিনেমায় টেন কমান্ডমেনটস সিনেমা দেখাতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ইংরেজি প্রায় কিছুই বুঝিনি; দুর্দান্ত সব সিনারি মনে থেকে গেছে। বাইবেলের সঙ্গে সেই আমার প্রথম পরিচয়। সে কথা দাভিদকে বলার মানে হয় না। এই গ্রন্থের যে নতুন পুরনো দুটো আলাদা খণ্ড আছে জানি কিন্তু কিছু মানুষ কেবল প্রথমটা পড়েন, দ্বিতীয়টা পড়া মানা আর কিছু মানুষ দুটোই পড়েন সেটা জানতে বহু বছর লেগে গেছে। জ্ঞানোদয় হলো এক ইনটার ব্যাঙ্ক কুইজ কনটেস্টে। আমার দলে গুরকান এন্সারি, তুর্কি এবং জশুয়া কোহেন। একটা প্রশ্ন এলো – যিশুর ভাইয়ের নাম কি? জশের সাহায্য খুঁজলাম। সে বললে বস, আমি তো কেবল আমাদের বাইবেলটা পড়েছি! অন্যটা নয়!

    দাভিদ কি দুটোই পড়েছেন? বাইবেলের দ্বিতীয় পর্ব পাঠ তো তাঁর সিলেবাসে নেই। অচিরে ভ্রান্তি দূর হলো। দু চারটে প্রশ্ন করে আমার অতি ক্ষীণ জ্ঞানের একটু জরিপ করে নিলেন। উৎরেছি কি না ভাবছি এমন সময়ে দাভিদ প্রথম তির ছুঁড়লেন।

    - যিশুর জন্মের সালটা কি?
    - তাঁর জন্ম থেকেই তো খ্রিস্টাব্দ বা আনো দমিনি হিসেব করা হয়ে থাকে অতএব সেই নতুন ক্যালেন্ডারের প্রথম বছরে!
    - সেটা কোনো গসপেলে পাবেন না। বরং সেই লেখকরা বলেছেন যিশুর জন্ম রাজা হেরডের শাসন কালে অর্থাৎ আপনার হিসেবে খ্রিস্টপূর্ব তিন চার বা পাঁচ সালে। এটা যদি ধরেন তাহলে এই খ্রিস্টাব্দের হিসেব একেবারে ওলট পালট হয়ে যায়। মজার কথা আপনার বয়েসটাই তিন বা পাঁচ বছর কমে যেতে পারে!

    হজবরল? বয়েস কমছে না বাড়ছে!

    - মেরী ও জোসেফ নাজারেথের বাসিন্দা। তাঁরা বেথলেহেম এলেন কেন?
    - সিজারের আদেশে জন এবং কর গণনা হচ্ছিল। সকল নাগরিককে বলা হয় হয় তাদের পৈত্রিক শহর বা গ্রামে গিয়ে হাজিরা দিতে। জোসেফের আদি বাড়ি বেথলেহেম তাই নাজারেথ থেকে তাঁদের বেথলেহেম আসতে হয়।
    - রোমান রাজত্বে অন্যত্র কাউকে কোথাও এ ধরনের আদেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায় না। আপনি ভারতের মানুষ লন্ডনে বাস করেন, ট্যাক্স দেন, সে দেশের জনগণের তালিকার অন্তর্ভুক্ত- এই আইন তখনো ছিল।

    পরের প্রশ্ন

    - যিশুর প্রথম মিরাকল কি?
    - জল থেকে মদ বানানো।
    - এই কর্মটি তিনি কোথায় সম্পন্ন করলেন?
    - জায়গাটার নাম ঠিক মনে পড়ছে না হয়তো কানান। এক বন্ধুর বিয়েতে গিয়েছিলেন। এক সময়ে মাতা মেরী যিশুকে ডেকে বললেন অতিথি আপ্যায়নে মহা সমস্যা; মদ ফুরিয়ে গেছে। কিছু একটা ব্যবস্থা করা যায় না? তখন যিশু জলের ছটি বিশাল জালাকে মদে পরিবর্তিত করেন।
    - ঠিক। সেই গ্রামের নাম খফ্র কানা, নাজারেথের কাছেই, যেতে পারেন। এবার বলুন তো আপনি গেছেন বন্ধুর বিয়েতে, সেখানে ওয়াইন সরবরাহ করার দায়িত্ব কি আপনার? আপনি অতিথি মাত্র। যার বিয়ে হচ্ছে তিনি আপনার আত্মীয় নন যে সে দায় আপনাকে বইতে হবে। যিশু কি কোনো সাপ্লাই চেনের মালিক?
    - তাহলে?
    - চমকাবেন না। যিশুর নিজের বিয়ে হচ্ছিল খফ্র কানানে, মেরী মাতার সামনে।



    খফর কানা - যিশুর প্রথম মিরাকল

    ব্লাসফেমির বাংলা কি? ধর্মের নিন্দা বা সমালোচনা করা? পাঠক, আপনার মতন আমিও চূড়ান্ত অবাক হয়েছিলাম। মনে রাখুন এই বার্তা বিনিময়ের সময়কাল ১৯৯১ সালের অক্টোবর। ড্যান ব্রাউন তাঁর দা ভিঞ্চি কোড বইটি লেখা শুরু করেন নি।

    - যিশুর বিবাহ? কার সঙ্গে?
    - খফ্র কানা হতে বিশ মাইল দূরের এক গ্রামের একটি কন্যার সঙ্গে।
    - কোন গ্রাম? সেই কন্যার নাম কি?
    - সঠিক হিব্রুতে গ্রামের নাম মিগদাল তবে লোকমুখে আজও মাগদালা নামে পরিচিত।
    - আর সেই কন্যা?
    - মারিয়া মাগদালেনা। খুব অবাক হচ্ছেন? চিন্তায় পড়ে গেলেন? ভাবছেন আজে বাজে, ভিত্তিহীন গপ্প বলছি? তাহলে বাকিটুকু শুনুন।

    ‘আপনি বললেন যিশুর জীবনের শেষ সাত দিনের কাহিনি আপনার ছেলে মেয়ের স্কুলের বইতে পড়েছেন। তাঁর জেরুসালেম প্রবেশের ঠিক আগের দিনটায় তিনি কোথায় রাত্রিবাস করেন? আপনি নিশ্চয় জানেন, বেথানি গ্রামে, তাই তো? সেখানে রাতের রান্নাটা করলো কে? গসপেল অনুযায়ী মারিয়া বা মেরী মাগদালেনা! তিনি হঠাৎ সে রাতে কেমন করে বেথানিতে আবির্ভূত হলেন? যিশু তো তাঁর শেষ যাত্রায় বেরিয়েছেন বারো জন শিষ্য নিয়ে। মাতা মেরী তাঁর পুত্রের গতি বিধির খবর রাখছিলেন (নাজারেথ থেকে জেরুসালেম দিন তিনেকের হাঁটা পথ) কিন্তু নাজারেথের অন্য কোন পাড়া পড়শি আসেন নি, এলেন মাগদালেনা? যিনি লাস্ট সাপারে অনুপস্থিত কিন্তু বেথানিতে রান্না করলেন?

    আচ্ছা তুরিনের সেই চাদরের কথা আপনারা জানেন যা দিয়ে এক মহিলা যিশুর রক্তাক্ত ঘর্মাক্ত মুখ মুছিয়ে দিয়েছিলেন, চাদরে পরিষ্কার ফুটে উঠেছিল সেই মুখের ছবি। মুখ মোছালেন কে? কোনো গসপেলে ভেরোনিকার নাম আছে কিন্তু তাকে আগে বা পরে আর কোথাও দেখা যায় নি। কোথায় অদৃশ্য হলেন? এই ভেরোনিকা আসলে মেরী মাগদালেনা যিনি পরের দিন যিশুর শূন্য সমাধি আবিষ্কার করবেন।



    যিশুর শেষ যাত্রা পথ ভিয়া দলোরোসা

    প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ নয়, লোকমুখে প্রচলিত কাহিনির ভিত্তিতে প্রথম গসপেল লেখা হয়েছিল যিশুর মৃত্যুর কম করে ষাট বছর বাদে। তারও আড়াইশ বছর পরে নিসিয়াতে ক্রিস্টিয়ান বাইবেলের খসড়া এক সম্পাদক মণ্ডলীতে সর্বসম্মতি ক্রমে অনুমোদিত হয়। সে কথা না হয় থাক, কিন্তু এখানে সেখানে মেরী মাগদালেনার উপস্থিতি সকলেই স্বীকার করেছেন। একবারে মেল ডমিনেটেড শিষ্য গোষ্ঠীর আশে পাশে সতত সঞ্চরময়ী কে সেই মহিলা? সহচরী না সহধর্মিণী?’

    মাথা ঝিমঝিম করছিল। এগুলো কি তাঁর বানানো গুল? কোন আব্রাহামিক ধর্মের মানুষ নই, অনেক দূর দেশের এক বোকাসোকা মানুষ বলে নির্ভয়ে কিছু গাল গল্প ছাড়লেন? কনস্পিরেসি থিওরি? বাইবেলকে ইতিহাস হিসেবে আগেও সম্মান করেছি কিন্তু দাভিদের পাঠশালায় সেই ইতিহাস চর্চার একটা অন্য দিগন্ত খুলে গেলো। প্রাপ্ত প্রজ্ঞাই (রিসিভড উইসডম) শেষ কথা নয়।



    গেথসেমানের অলিভ বাগান

    ‘আপনাকে আজ গেথসেমানের অলিভ পাহাড়েও নিয়ে যাবো। সেখানে যে মেরী মাগদালেনা হাজির ছিলেন না সেটা অবধারিত সত্য!’

    তিনি যখন গাড়ি থামালেন আমরা হিব্রু ইউনিভারসিটির বিশাল চত্বরে পৌঁছে গেছি, অনেকটা দূরে দেখা যায় গেথসেমানে। ডানদিকে ডোম অফ দি রকের সোনালি গম্বুজ।

    জেরুসালেম!

    পুঃ
    এক


    ঠিক বত্রিশ বছর আগে দাভিদ আমার চির কৌতূহলী মনের ভেতরে অনেক প্রশ্ন জাগিয়েছিলেন। বাকি জীবনে জবাব খুঁজেছি। দু দশক বাদে দা ভিঞ্চি কোড পড়ে বিশেষ অবাক হই নি, বরং মনের জানলা খুলে গেছে। তারপর তো গুচ্ছের বই পড়লাম, প্রভাঁসের বুশ দু রোঁন, কামারগে তিন মেরীর চার্চ দেখেছি (সেখানেও মেরী মাগদালেনা!) আরেক প্রসঙ্গের নাম - মোসেস কি মিশরীয় ছিলেন? সেটা ইসরায়েল পর্বে অবশ্য আসে না তিনি সেখানে প্রবেশাধিকার পান নি।

    ওহ কিসসা ফির কভি!


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • ধারাবাহিক | ০৩ নভেম্বর ২০২৩ | ১০৫২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | ০৩ নভেম্বর ২০২৩ ২১:১৫525485
  • আরিব্বাস!! 
    কিন্তু এই পর্বটা বড্ড ছোট্ট। 
  • হীরেন সিংহরায় | 2a00:23c7:672e:2001:50e1:dc81:9433:aef9 | ০৩ নভেম্বর ২০২৩ ২১:৩৮525486
  • আসিতেছে আসিতেছে!
  • hu | 72.241.81.21 | ০৩ নভেম্বর ২০২৩ ২২:২২525487
  • সেই চিরন্তন রহস্যময় চরিত্র! মেরি মাগদালিন। নেফারতিতি, হাতশেপসুত, হাইপাশিয়াদের মত দুহাজার বছরের দূরত্ব থেকে হাতছানি দেয়।
  • কল্লোল | 223.191.60.97 | ০৪ নভেম্বর ২০২৩ ০৯:৫৫525504
  • বাইবেলের দ্বিতীয় খণ্ড? আমি তো জানতাম বাইবেলই দ্বিতীয় খণ্ড। বাইবেলকে বলা হয় নিউ টেস্টামেন্ট। ওলড টেস্টামেন্ট প্রথম খণ্ড। নাকি একটা তৃতীয় স্ক্রিপচার আছে?
  • হীরেন সিংহরায় | ০৪ নভেম্বর ২০২৩ ১১:০৮525507
  • সরি, ওই নতুন পুরনো বাইবেল কথাটা একটু হালকা চালে বলে ফেলেছি! প্রথম খণ্ড বা পর্ব- ওল্ড টেসটামেনট (৩৯টি বই) বা হিব্রু বাইবেল;  দ্বিতীয়টি নিউ টেসটামেনট (২৭টি ) বা ক্রিস্টিয়ান বাইবেল (বাইবেল গ্রিক শব্দ, অর্থ গ্রন্থ)। ক্রিস্টিয়ানরা দুটি পড়েন, ইহুদি কেবল হিব্রু বাইবেল পাঠ করেন, দ্বিতীয়টি নয়। কারণ সহজেই অনুমেয়। কিন্তু আমার এই জ্ঞান উদয় হয়েছে অতি বিলম্বে, আমার সহকর্মী জশের কল্যাণে।
  • Kishore Ghosal | ০৪ নভেম্বর ২০২৩ ১২:৪৪525511
  • যাঃ আপনি তো ঘেঁটে দিলেন। যিশুর জন্ম যে ৩ বা ৪ বিসিই সেটা জানতাম। কিন্তু তিনি যে বিবাহ করেছিলেন, এটা কোন বইতেই পাইনি। আমি তো পড়েছি, তিনি বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হননি এবং জ্ঞানের সন্ধানে স্বদেশত্যাগ করেছিলেন। এটা জেনেও একই রকম ঘেঁটে গিয়েছিলাম। 
     
    পৃথিবীতে জানার কোন শেষ নেই - তবে জানার চেষ্টা বৃথা - সেটা বলব না। 
     
    ভীষণ ভালো লাগল।
  • হীরেন সিংহরায় | ০৪ নভেম্বর ২০২৩ ১৫:৩০525522
  • কিশোর

    সত্যাসত্য কে জানে ! আপনার লেখা ‘ধর্মাধর্ম’ আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। বড়ো কথা হলো ফিরে দেখা, প্রশ্ন করা, প্রাপ্ত জ্ঞানকে (রিসিভড উইসডম) অভ্রান্ত মনে না করা। দুই বাইবেলের ঐতিহাসিকতা নিয়ে আগেও হয়তো প্রশ্ন  উঠেছে কিন্তু চার্চের দাপট তাকে  দাবিয়ে রেখেছিল। বর্তমানে সেগুলো সম্ভব হচ্ছে – ড্যান ব্রাউনের দা ভিঞ্চি কোড পড়তে গিয়ে দাভিদের গল্প বারবার মনে পড়েছে পারলে দেখে নেবেন আর উল্লেখ করতে পারি – Jesus Lived in India by Holger Kersten
    আমার নিজস্ব কিছু মতামত আছে, অন্য প্রসঙ্গে বলব।
  • রমিত চট্টোপাধ্যায় | ০৪ নভেম্বর ২০২৩ ১৫:৪৮525523
  • @হীরেনবাবু,  আপনি যে বইটার কথা উল্লেখ করলেন সেই বইটা আমার পড়া নেই কিন্তু এরকম কিছু মতামত বা দাবি শুনেছি যে যীশু নাকি বহুদিন কাশ্মীরের এক মঠে এসে ছিলেন। আবার অনেকে কৃষ্ণ ও যীশুকে এক করে দেখতে চান। একজনের থেকেই নাকি আরেকজনের নাম এসেছে। যুক্তি গত দিক থেকে অনেক ফাঁক আছে হয়তো কিন্তু এই মতটা খুব ইন্টারেস্টিং। আপনার মতামত শোনার অপেক্ষায় রইলাম।
  • হীরেন সিংহরায় | ০৪ নভেম্বর ২০২৩ ১৬:১২525524
  • রমিত

    আপনার প্রশ্নের উত্তরে  বলি Jesus Lived in India : Holger Kersten বইটা পড়লে হয়তো কিছু জবাব পাবেন। আমাজনে প্রাপ্তব্য। এ বিষয়ে যিশুর প্রতি সম্পূর্ণ শ্রদ্ধা, তাঁর বাণীর প্রতি আস্থা রেখেও বলি ক্রসে তাঁর মৃত্যু হয় নি কিন্তু তিনি জেরুসালেম ত্যাগ করে গেলেন কোথায়? কাশ্মীরে তাঁর উপস্থিতির তত্ত্ব ক্রমশ গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছে। কৃষ্ণ এবং যিশুর মাঝে দু হাজার বছরের ফারাক। ড্যান ব্রাউন ইত্যাদি লেখকের কারণে সাঁ সাক্র, ব্লাড লাইন, কারোলিঙ্গিয়ান বংশের কাহিনি আজ অনেকে অবিশ্বাসযোগ্য মনে করেন না। আরেকটা প্রসঙ্গ হোলি ফ্যামিলির মিশর প্রবাস। কাইরোতে সেই এলাকায় গিয়ে কপটিক চার্চ, ক্লয়েসটার ঘুরলে মনে হয় কতো বছর তাঁরা সেখানে ছিলেন? তার ইতিহাস কোথায়?
  • | ০৪ নভেম্বর ২০২৩ ১৬:৩৭525525
  • রমিত, হেমিস গুম্ফা। সামনের বছর যাবার ইচ্ছে আছে। হেমিস ন্যাশনাল পার্কে স্নো লেপার্ডের দেখা পাওয়া যায়। 
     
    হীরেনদা,  মেরি নাকি যীশু ক্রশবিদ্ধ হবার পরে  আনাতোলিয়ার এফেসাসে চলে আসেন এবং বাকী জীবন কাটান। মেরিয়ামানা নামে এটা কি এখন তীর্থস্থান? লোকে বেড়াতে যায় জানি। 
  • হীরেন সিংহরায় | ০৪ নভেম্বর ২০২৩ ১৭:৪১525528
  • দ,

    আমরা ইসরায়েলের সঙ্গে দুটো বাইবেলকে এমনভাবে জুড়ে দিয়েছি যে বাকি ভূগোলটা মাথায় রাখি না! নোয়ার আর্ক তুরস্কের (বাইবেলে আনাতোলিয়া আজকের আনাদোলু) আরারাত পর্বতে বাঁধা হয়েছিল, আসলি ইডেন উদ্যান নাকি সেখানেই ছিল আমার চেনা তুর্কি মানুষের দাবি। তবে এফেসুসের (এফেসুস এখন সেলচুক নামে পরিচিত, ইজমির থেকে ঘণ্টা খানেক ট্রেনে, যাব সামনের বছর) সেই গিরজেকে মাতা মেরির সঙ্গে জড়ালে ওই প্রভাসের কামারগে তিন মেরির গিরজের কোথায় দাঁড়ায়! এফেসুস বেশি চিনি বিয়ারের কারণে একটা দারুণ তুর্কী বিয়ার, রোমানিয়াতেও তাদের  ব্রুয়ারি আছে!
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:f4fb:6d79:1999:978a | ০৪ নভেম্বর ২০২৩ ১৭:৫০525529
  • যীশুর বিয়ের কথাটা বোধহয় কোন একটা অ্যাপোক্রিফাল গসপেলে আছে। সেটা নাকি যীশুর ভাইয়ের লেখা। অ্যাপোক্রিফাল বাইবেলগুলো পড়তে বেশ মজা লাগে। একটায় জোসেফ আর মেরীর বিয়ের গল্প আছে। বর বেছে নেবার জন্য মেরীর বাবা নাকি ক্যান্ডিডেটদের একটা করে কাটা গাছের ডাল ধরিয়ে দিয়েছিলেন। জোসেফের ডালে কয়েকদিন বাদে পাতা গজায়। অতএব তার সাথেই মেরীর বিয়ে হয়। এই গল্পটা নিয়ে ইস্তাম্বুলের চোরা চার্চের বারান্দায় একটা ছবিও আছে।
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:f4fb:6d79:1999:978a | ০৪ নভেম্বর ২০২৩ ১৭:৫০525530
  • অ্যাপোক্রিফাল বাইবেল না, গসপেল।
  • dc | 2401:4900:1f2b:aaa1:a96b:3393:c457:1a28 | ০৪ নভেম্বর ২০২৩ ১৮:৪৬525531
  • যিশু খৃষ্ট আর মাতা মেরীকে নিয়ে যখন আলোচনা হচ্ছে, তখন এই শর্ট ফিল্মটা দেখে নিতে পারেন :-)  
     
  • kk | 2607:fb90:ea0c:cd31:c5e4:bfd6:bab5:f55f | ০৪ নভেম্বর ২০২৩ ২০:০৯525533
  • খুব ভালো লাগছে লেখা আর পরবর্তী আলোচনা। খুবই ইন্টারেস্টিং।
  • &/ | 107.77.236.185 | ০৪ নভেম্বর ২০২৩ ২০:৫৩525534
  • ওইখানেই তো তৌরস পর্বত ! টরাস ? না ? আনাতোলিয়ার পাশে ? বাসুকি বেড়াতে বেড়াতে ওখানে গিয়েই তো আদম আর হবাকে দেখল ! তারপরে যা হইল জানে শ্যামলাল :)
  • | ০৪ নভেম্বর ২০২৩ ২১:৪০525536
  • আমি এফেসুস নাকি এফেসাসের পাহাড়ের মাথায় মাতা মেরির বাড়ির কথা বিভিন্ন ভ্রমন্থনে পড়েছি। হাতের কাছে সুপির্ণা দেবের মেরহাব্বা তুর্কিয়ে আছে, ওইটে কাল ভাল করে দেখব। 
  • | ০৪ নভেম্বর ২০২৩ ২১:৪০525537
  • *সুপর্ণা দেবের 
  • hu | 72.241.81.21 | ০৫ নভেম্বর ২০২৩ ০২:০৮525546
  • এফিসাসে মাতা মেরির চার্চের ছবি। মেরি নাকি তাঁর শেষ জীবন এখানেই কাটিয়েছিলেন। চার্চের সামনে একটি দেওয়ালে মনোবাঞ্ছা লিখে জমা দিলে তা নাকি পূরণ হয়।
     
  • &/ | 151.141.85.8 | ০৫ নভেম্বর ২০২৩ ০২:২১525547
  • হয়তো যীশুর  বিবাহ হয়েছিল অল্পবয়সে, কিন্তু তিনি কুমার সিদ্ধার্থের মত কেবলই ছটফট করতেন আর ভাবতেন জগৎ তাঁকে ডাকছে আর তিনি বন্দী হয়ে আছেন ঘেরাটোপে। বৌকে হয়তো বলতেন, "বৌ, বৌ, কী করি? এইভাবে সংসারে যে আমার দমবন্ধ হয়ে আসে।" অল্পবয়সী বৌ বলে, "আমারও, আমারও। চলো, দুইজনে ভারতে পালাই। সেখানে তীর্থে তীর্থে ঘুরে অনেক কিছু শিখবো।" তারপরেই একদিন গভীর রাতে তারা পালিয়ে গেল। যেদিক থেকে সূর্য ওঠে, সেই দিকে।
  • Kishore Ghosal | ০৫ নভেম্বর ২০২৩ ১৩:১৫525558
  • হীরেন স্যর ও রমিতবাবু, 
     
    যিশুর জন্ম নিয়ে এবং তাঁর ভারতবাসের কাহিনী  নিয়ে  "ধর্মাধর্ম" গ্রন্থের চতুর্থ পর্বের প্রথম ভাগে আলোচনা করেছি।  সে আলোচনা মূলতঃ চারটি গ্রন্থের  ওপর নির্ভর করে লেখা - 
     
    ১. ধর্মপুস্তক – পুরাতন ও নূতন নিয়ম - The Holy Bible – Bengali – The Bible Society of India, Bangalore.
    ২. The Unknown Life of Jesus Christ – Nicolas Notovitch – translated in English by - J. H. Connelly and L. Landsberg.
    ৩. কাশ্মীর ও তিব্বতে – স্বামী অভেদানন্দ– শ্রীরামকৃষ্ণ বেদান্ত মঠ, কলকাতা।
    ৪. Jesus Lived in India (His unknown life before and after the Crucifixion) – Holger Kersten.
     
    তবে  শেষ জীবনে যিশুর  (Crucifixion-এর পর) কাশ্মীর বাস নিয়ে আমি কোন আলোচনায় যাইনি, কারণ আমার গ্রন্থের ক্ষেত্রে ঘটনাটি অপ্রাসঙ্গিক  এবং ব্যক্তিগতভাবে - আমি এই বিষয়ে খুব একটা  convinced  হতে পারিনি। তবে যিশুর জীবনের অজানা ১৬/১৭ বছর তিনি যে ভারতে কাটিয়েছিলেন এবং প্রাক্‌-হিন্দু ও বৌদ্ধ শাস্ত্র  চর্চা করেছিলেন, সেই দাবি আমার অসম্ভব বলে মনে হয়নি। 
     
    আলোচ্য অধ্যায়টি আরেকবার দেখে নিতে পারেন, নিচের সূত্রটিতে চাপ দিয়েঃ-  
     
  • হীরেন সিংহরায় | 2a00:23c7:672e:2001:2c8d:a001:16b0:927d | ০৫ নভেম্বর ২০২৩ ১৫:১২525562
  • কিশোর 
     
    হাতের কাছে আপনার বইটি না  দরুন মনে ছিল না হোলগার কেরসটেন আপনি উল্লেখ করেছেন । যিশু কোন সময়টায় ভারতে আসেন সেটা নিয়ে কৌতুহল আছে - আমার ধারণা ক্রসের পরে । প্রথম ১৬ বছর মিশরে । মুশকিল যিশুর মৃত্যুর তিনশ বছর বাদে নিসিয়াতে সম্পাদকের বৈঠক বসেছিল সেখানে কিছু ফেক নিউজ লিখলেও প্রতিবাদ করছে কে? ম্যাথু একমাত্র প্রত্যক্ষ দেখেছেন তাঁকে বাকিরা লোকমুখে শুনে 
  • শু | 117.200.130.179 | ০৫ নভেম্বর ২০২৩ ১৮:৪০525566
  • যীশু আর বৌদ্ধ ধর্ম? ম্যান ফ্রম আর্থ সিনেমাটা দেখতে পারেন -- ইতিহাস-টিতিহাস নয়, কিন্তু অন্য রকমের ভাল এন্টারটেইমেইন্ট।
  • শিবাংশু | ০৫ নভেম্বর ২০২৩ ২১:২০525578
  • হীরেন স্যার,

    নটোভিচ, অভেদানন্দ, কেরস্টেন, মির্জা গুলাম অহমদ, খ্বাজা মহম্মদ আজম দিদামারি, সুজান মারি ওলসন ইত্যাদি ইত্যাদি এঁরা সবাই মিলে সুস্থ মস্তিষ্ককে বিচলিত করতে যথেষ্ট। 'য়ুজ আসফ', যে নামটি যিশু এবং বুদ্ধ উভয়েরই প্রতি প্রযুক্ত হয়, বার বার আসে। গোদের উপর বিষফোঁড়া অশ্বিন সিংভি। তার সঙ্গে ফলস্তিন, তুর্ক, রেশমপথ সবই আছে। ধরাছোঁয়ার মধ্যে হেমিস আর রওজাবল সশরীর গিয়ে জানার চেষ্টা করেছিলুম। বই লেখার গরজে। লেখার মতো কিছু পাইনি। লিখতে চাইলে শ্রীস্বপনকুমার হতে হবে। আব্রাহামের তিনটি ধর্মবিশ্বাসে 'টুপি পড়লে'ই ২০১৪ সালের পরে ভারতবর্ষের মতো 'আস্থা' কা সওয়াল হয়ে যায়। 'আস্থা' প্রতিষ্ঠার জন্য যে কোনও মাত্রার খুনোখুনিই 'অবৈধ' নয়। মধ্যযুগের অন্ধকারে ফিরে যাওয়া। নটোভিচও এসব গপ্প'ই করেছিলেন। হেমিসের অনূদিত পুথির মূলটি লাসাতে পাওয়া যাবে। সবাই বলে 'বন্দুক লাও'। 'লাও'তো বটে, কিন্তু আনে কে? আমরা সবাই নিজের নিজের হিসেব মতো নির্ণয় করার চেষ্টা করি।

    যাকগে সে কথা। যে জন্য আমার এই পোস্ট, তা 'কৃষ্ণ'কে নিয়ে। আপনি লিখেছেন 'কৃষ্ণ' এবং যিশুর মধ্যে দু হাজার বছরের ফারাক আছে । বুদ্ধের বইয়ের পর হিন্দু দেবতাদের নিয়ে বই লিখতে গিয়ে এ নিয়ে কিছু সন্ধান করেছিলুম। প্রথম কথা, মহাকাব্যের কোনও চরিত্রের সঙ্গে এক জন রক্তমাংসের মানুষের কোনও সমান্তরাল চর্চা চলে না। 'কৃষ্ণ' নামটি একটি বিশেষণ পদ। গাত্রবর্ণ সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া। ওই নামে জনা চারেক অনার্য রাজা বা জনজাতির অধিনায়কের খোঁজ পাওয়া যায়। মগধের কৃষ্ণ, মথুরার কৃষ্ণ, দ্বারকার কৃষ্ণ, কুরুক্ষেত্রের কৃষ্ণ, এঁরা সবাই পুরাণের চরিত্র। কখনও মানুষ, কখনও দেবতা। শ্রীমদভগবৎ গীতার কৃষ্ণ এঁদের মধ্যে অর্বাচীনতম। বুদ্ধের অনুগামীদের থেকে যিশুর অনুচররা দুটি বস্তু ঋণ নিয়েছিলেন, প্রথমটি হলো সঙ্ঘবদ্ধ ধর্ম কৌশল। দ্বিতীয়টি ধর্মবিশ্বাসের ভিত্তি হিসেবে 'করুণা' বা 'কমপ্যাশন' নামক অনুভূতিকে প্রাধান্য দেওয়া। এটা আর্যধর্মে ছিলো না। সেখানে ভক্তি আছে, দয়া আছে, কৃপা আছে, আনুগত্য আছে, অনুগ্রহ আছে, কিন্তু 'করুণা' নেই। 'করুণাহীনতা'ই বর্ণাশ্রমী ধর্মের প্রথম স্তর।

    পড়ছি।
  • হীরেন সিংহরায় | 2a00:23c7:672e:2001:854a:9e41:1a59:342a | ০৫ নভেম্বর ২০২৩ ২২:২৮525586
  • শিবাংশু
     
    অশেষ ধন্যবাদ। এ বিষয়ে আমার পড়াশোনা অতি সামান্য যেমন গল্প শুনি তেমনি শোনাই ! আমি ক্যালেনডার দেখে দুজনের আবির্ভাব তিথির ফারাক তাই বলেছি। আপনার শেষ লাইনটি বিদ্যুৎ চমকের মতন - করুণাহীনতাই বর্না শ্রমি ধর্মের প্রথম স্তর। কি অসাধারন। 
  • রমিত চট্টোপাধ্যায় | ০৫ নভেম্বর ২০২৩ ২২:৪৪525587
  • শিবাংশুবাবু, শেষ লাইনটা সত্যিই অসাধারণ। বড্ড বাস্তব।
     
    কিন্তু একটা কথা হলো মথুরার কৃষ্ণ আর কুরু ক্ষেত্রের কৃষ্ণ কেন এক হতে পারে না ? দ্বারকার কৃষ্ণ আলাদা হতে পারে এটা মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু মগধ, মথুরা, কুরুক্ষেত্রের কৃষ্ণ কি একজন উঠতি যাদব নেতা হতে পারে না যে কুরু বংশের রাজনীতিতে জড়িয়ে কিছুটা কিং মেকার হওয়ার চেষ্টা করেছিল। যে ছোটো বয়সে রাজধানী থেকে দূরে গ্রামীণ পরিবেশে মানুষ হয়েছে।  গণসংঘ হিসেবে চলা যাদবদের মধ্যে জরাসন্ধের মদতপুষ্ট কংসের রাজা হয়ে বসা অনেক যাদব নেতা মানতে পারেনি, তাই গোপনে কংসের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র রচনা হয় যা কার্যকরী করে কিশোর কৃষ্ণ। যার জন্য পরে বারবার তাকে সমালোচনাও শুনতে হয়।
     
    বাসুদেব অনেক জন ছিল, কিন্তু কৃষ্ণ এক হতেও পারে বলে আমার মনে হয়।
  • শিবাংশু | ০৬ নভেম্বর ২০২৩ ০০:১৪525596
  • @হীরেন স্যার,

    আপনার লেখার অনুগত পাঠক আমি। পড়ি সব সময়। মাঝে মাঝে দু-চার কথা হয়ে যায়।

    @রমিত,
    ভাই, যে সব পুরাণে কৃষ্ণের আদি উল্লেখ পাওয়া যায় তার মধ্যে মহাভারতই প্রধান। মহাভারত 'ইতিহাস' নয়। এই চরিত্রের রচয়িতা কৃষ্ণদ্বৈপায়ন ব্যাসের মতো কৃষ্ণও একটি পৌরাণিক প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি নন। নানা আখ্যানের মধ্যে থেকে উঠে আসা এই নামটি কোনও একক ব্যক্তির কি না, আমার ধারণায় প্রশ্নটিই অবান্তর। মহাকাব্যে উল্লেখিত মহাভারতের কালটি প্রমাণিত নয়। হিসেব মতো সে যুগটি আদি ও মধ্য বৈদিক পর্বের মধ্যে পড়া উচিত। কিন্তু সেকালের কবি বা ঋষিদের এ বিষয়ে কোনও উল্লেখ করতে দেখা যায় না। এতো বিশাল একটা ব্যাপার, যদি ইতিহাস হতো, তবে সরাসরি না হলেও প্রাসঙ্গিক চর্চা অবশ্যই কোথাও থাকতো। যিশুর জন্মের হাজার দুয়েক বছর আগে লোকমুখে শ্রুতি মাধ্যমে এই উপাখ্যানের সূত্রপাত হয়েছিলো। তৃতীয়-চতুর্থ শতক থেকে তা লিপিবদ্ধ হওয়া শুরু হয়। এই আড়াই হাজার বছর এবং তার পরের এক হাজার বছর জোড়া পুরাণযুগে কতো শত কবি-কাহিনিকারের মনের মাধুরী যোগবিয়োগ হয়ে আমাদের 'মহাভারত'-এর  নির্মাণ। মহাভারত ইতিহাস না হলেও তার মাহাত্ম্য অনেক অনেক বেশি। এই মহাকাব্যটি ভারত-চেতনার  সারসত্ত্বার সংকলন। অগণন প্রতীকী আখ্যানের মাধ্যমে চিরকালীন ভারতীয় মূল্যবোধকে প্রতিষ্ঠা করার মহোত্তম উদ্যোগ। মানবচরিত্রের যাবতীয় পাপপুণ্য, আলোআঁধার, রিপুভাবনার অত্যন্ত সৎ বিশ্লেষণের প্রেক্ষিতে মহাভারত আমাদের যাপন মানচিত্রকে গ্রহণযোগ্য করে তুলেছিলো। কৃষ্ণচরিত্র এই বিপুল পরিপ্রেক্ষিতের একটি  জরুরি অংশ মাত্র। 

    মগধ অঞ্চলের আদি পশুপালক জাতিদের রাজা, 'কৃষ্ণ' নামের একজন, বহিরাগত আর্য উপজাতিদের একাধিকবার বিতাড়ন করে সিন্ধুনদের পশ্চিমে পাঠিয়েছিলেন বলে জানা যায়। আর্যরা তাঁর প্রসঙ্গে প্রচুর বিরূপ মন্তব্য করতেন। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন