এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  ধারাবাহিক  ইতিহাস

  • পবিত্র ভূমি ১

    হীরেন সিংহরায়
    ধারাবাহিক | ইতিহাস | ২০ অক্টোবর ২০২৩ | ২৩৭৫ বার পঠিত | রেটিং ৪.৬ (৫ জন)
  • বহু দিন ধরে ঐতিহাসিকরা, তাত্ত্বিকরা উৎস খুঁজতে চেষ্টা করেছেন এই দশকব্যাপী ভয়ানক, বিষময় সংঘর্ষের। কেউ দায়ী করেন অটোমান সাম্রাজ্যের পতনকে, কেউ ব্রিটিশ চক্রান্ত বা ১৯১৭-র বেলফোর ঘোষণাকে, কেউ বা বারংবার ব্যর্থ হওয়া শান্তিপ্রস্তাব অথবা বহু শতাব্দীর বঞ্চনার ইতিহাসকে। সেইসব কূট তর্কের মধ্যেই দ্রুত বদলে যায় জেরুজালেম, ইতিহাসের চিরস্থায়ী রক্তাক্ত রঙ্গমঞ্চ, যা একইসাথে ক্রিশ্চান, ইহুদি ও ইসলাম ধর্মবিশ্বাসী মানুষের পবিত্র ভূমি। কারুর বধ্যভূমি, কারুর নির্বাসন, কারুর বা প্রতিশ্রুত নিজভূম।

    ইতিহাসের ক্লাস নয়, একজন সাধারণ মানুষের ডায়রির পাতায় ধরে রাখা সেই আমূল বদলের একটুকরো ছবি, হীরেন সিংহরায়ের কলমে।
    ডোম অফ দি রক থেকে গেথসামানের অলিভ বাগান

    এক - তিন দশক আগের একদিন

    জেরুসালেম ১৯৯১


    - আমাদের এবার ফিরতে হয়।
    - কেন, তাড়া কিসের? পার্কিং টিকেট তো সারা দিনের!
    - না সেজন্য নয়। রাজদূতের বাড়িতে আপনার সান্ধ্য আমন্ত্রণ আছে যে!
    - দাভিদ, সেটা সাতটায়। এখান থেকে হোটেলে ফিরতে কতক্ষণ লাগবে বলে মনে হয়?
    - ঘণ্টা দেড়েক ধরে নিন।
    - আমার আরেকটা কাজ বাকি আছে। সেটা সম্পূর্ণ করি আগে! সবে বেলা দুটো!
    - এখন কোথায় যাবেন?
    - চার্চ অফ দি হোলি সেপালকার *

    দাভিদকে চিন্তিত দেখাল।

    - দেখুন সেখানে যাওয়ার পথটা মুসলিম কোয়ার্টারের ভেতর দিয়ে। আপনার আমার একটু অস্বস্তি হতে পারে।
    - দাভিদ, আমি কোন গ্রেগরি পেক নই জানি, কিন্তু আমার মুখের দিকে ভালো করে তাকিয়ে দেখুন দিকি! এ চেহারা দেখে কি কেউ আমার ধর্মের নাম পড়ে নিতে পারে?
    - কিছু মনে করবেন না চার্চ অফ দি হোলি সেপালকার যাওয়াটা আমার পক্ষে নিরাপদ নয় বলে মনে করি। আপনি একা যদি যেতে চান আমি আটকাতে পারি না, কিন্তু আপনার সুরক্ষার দায়িত্ব আমার হাতে! যদি কোন অঘটন ঘটে আমাকে বিওরনের কাছে জবাবদিহি করতে হবে।



    ক্রুসিফিকশন ও সমাধি -চারচ অফ দি হোলি সেপালকার


    এই সংলাপ চলছিল ডোম অফ দি রকের প্রশস্ত প্রাঙ্গণে। দাভিদ আমার সারথি। জেরুসালেম যেতে চাই শুনে তেল আভিভে আমার বাণিজ্যিক বন্ধু বিওরন বলেছে, লোক দিচ্ছি। এমন একজনকে পাঠাবো যে শুধু ভালো গাড়ি চালায় তাই নয়, ইতিহাস তার নখদর্পণে! ঠিক তোমার মতন ট্রিভিয়া ভিত্তিক বাজে গল্প করতে ভালবাসে! কথাটার সত্যতা বুঝতে বেশিক্ষণ লাগে নি। সক্কালবেলা হিলটন বিচ হোটেল থেকে এখানে আসা অবধি অনেক আলোচনা হয়েছে। দাভিদ দুর্দান্ত গাইড। জেরুসালেম পৌঁছেই নিয়ে গেল হিব্রু ইউনিভারসিটি, তার অবস্থান অনেকটা উঁচুতে –‘এখান থেকে শহরের একটা বার্ড’স আই ভিউ পাবেন ‘! জেরুসালেমের পুরনো শহর ছড়িয়ে আছে চোখের সামনে। ক্রমশ আমার স্বল্প জানা দুই বাইবেলের ছবি গুলি মূর্ত হয়ে ওঠে ; গেথসেমানের অলিভ বাগান যেখানে একদিন রোমান সৈন্য গ্রেপ্তার করে প্রভু যিশুকে, অনেকটা নেমে এসে দাঁড়াই সলোমনের মন্দিরের পশ্চিম দেওয়ালের সামনে – ক্রন্দন প্রাচীর, ওয়েলিং ওয়াল, ক্লাগেমাউয়ার, সেটি ইহুদিদের কাছে পবিত্রতম তীর্থস্থান। দাভিদ মাথায় পরিয়ে দেয় ইয়ারমুলকা, নীরব প্রার্থনা শেষ হলে হেঁটে যাই ডান দিকে। সেখানে একটি পেল্লায় ভারা বাঁধা আছে, সিঁড়ি উঠে গেছে পশ্চিম দেওয়ালের মাথায় পাকা সিঁড়ি নয়। কিন্তু শক্ত, লোহার রেলিং দেওয়া। ওপরে উঠে হাজির হলাম আল আকসা মসজিদের প্রাঙ্গণে আর একটু এগিয়েই সোনালি চুড়োর ডোম অফ দি রক, জেরুসালেমের সবচেয়ে প্রসিদ্ধ ল্যান্ড মার্ক। এখানে সেই প্রস্তরখণ্ড আছে যার ওপরে আব্রাহাম ঈশ্বরের প্রীত্যর্থে তাঁর পুত্রকে বলি দিতে প্রস্তুত হয়েছিলেন আর কিংবদন্তি অনুযায়ী এখান থেকে শুরু হয় পয়গম্বরের শেষ যাত্রা, ইসলামের দ্বিতীয় পবিত্রতম তীর্থস্থল।


    ডোম অফ দি রক

    - দাভিদ, জেনে এসেছি তিন আব্রাহামিক ধর্মের অনন্য সঙ্গম এই জেরুসালেম – দুই বর্গ কিলোমিটারের মধ্যে। আপনার কল্যাণে দেখলাম জুডাইজমের পবিত্রতম, ইসলামের দ্বিতীয় পবিত্রতম পুণ্যস্থান। বাকি থাকে যিশুর মর্ত্যলোক থেকে বিদায়ের ভূমি – গলগথা। এতদূর যখন এসেছি, সেটি দেখেই যাবো। আপনি আমার জন্য অপেক্ষা করুন। দু ঘণ্টার ভেতরে যদি না ফিরি, পুলিস, অ্যাম্বুলেন্স ও বিওরনকে খবর দেবেন! ভাববেন না, আমি ঠিক ফিরে আসব!

    মোবাইল টেলিফোন আমাদের হাতে পৌছুতে বছর চারেক দেরি! নিতান্ত অনিচ্ছা সহকারে দাভিদ বললে, ‘হেঁটে সেখানে যেতে আসতে বড়ো জোর চল্লিশ মিনিট লাগে যদিও যেতে হবে বাজারের ভিড় ঠেলে। যতটা সময় আপনি চার্চে কাটাবেন তা যোগ করলে দু ঘণ্টার বেশি লাগবে না। তার বেশি দেরি হলে আমি চিন্তায় পড়বো ’।

    আরও তিন দশক পিছিয়ে গিয়ে

    মুজতবা আলী সাহেবের সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয় ঝরিয়া শহরে আমাদের বাড়ির চিলে কোঠার ঘরে - মাসিক বসুমতীতে ধারাবাহিক পড়ছি ‘জলে ডাঙ্গায়’ যার শেষ টুকু খুব মন খারাপ করানো। ১৯২৮ সালে তাঁর জার্মানি যাত্রায় জাহাজের সঙ্গী দুই তরুণ পল ও পার্সির সঙ্গে খোস মজলিস চলেছে দিনের পর দিন, সেখানে কত কিছু জানছি। হঠাৎ সেই আড্ডা ভেঙ্গে গেলো যখন পোর্ট সায়ীদে এক ‘লজঝর কোট পাতলুন পরা মানুষ হাতে এক তাড়া রঙ্গিন কাগজে ভর্তি প্যামফিলিট’ নিয়ে হাজির হলেন। আলী সাহেব যাবেন জেনোয়া কিন্তু এই মানুষটি তাঁকে অন্য কোথাও পাঠাতে বদ্ধ পরিকর। তাকে মুজতবা আলী জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘আপনি কি দেশ বিক্রি করেন?’

    ‘আরে ইয়োরোপ যাবেন না হয় দু সপ্তাহ বাদে, আপাতত যান প্যালেস্টাইন। দেখে আসুন গলগথা, গেথসামানে, পশ্চিম প্রাচীর আর সেই আল আকসা যেখান থেকে আল্লাতালা মুহাম্মদ সায়েবকে স্বর্গ দর্শনে নিয়ে যান। আসলে জেরুসালেম হল ধর্মের ত্রিবেণী। ইহুদি খ্রিস্টান এবং মুসলমান ধর্ম এখানে এসে মিলেছে। এক ঢিলে তিন পাখি ’।

    পবিত্র ভূমি, হোলি ল্যান্ড!


    ক্রন্দন প্রাচীর


    মুজতবা আলী প্যালেস্টাইন পর্ব লেখেন নি (১৯৪৭ অবধি ইসরায়েল নামের কোন দেশ ম্যাপে পাওয়া যায় না)। জলে ডাঙ্গার শেষ লাইনে বললেন ‘প্যালেস্টাইন সম্বন্ধে না লেখা ভ্রমণ কাহিনি উৎসর্গ করলুম মিত্রদ্বয় পল এবং পার্সিকে’।

    জলে ডাঙ্গায় পড়ার পরে আরও তিন দশক কেটে গিয়েছে। সকল ধর্মকে সমান সম্মান দিতে শিখেছি তাই কোন পীঠ স্থানে গিয়ে পুণ্য অর্জন নয়, একই ঈশ্বরের বাণী বয়ে আনা ধর্মের সেই ত্রিবেণী, জেরুসালেমে পৌঁছুনোর বাসনা রয়ে গেছে মনে ঝরিয়ায় বসে কোনদিন ভাবি নি এ জীবনে তা সম্ভব হবে।

    ফাস্ট ফরওয়ার্ড ১৯৯১

    প্রভুর স্মৃতি সমাধি দেখে ফিরছি, দূর থেকে লক্ষ করলাম দাভিদ চত্বরের বাইরে একটা বেঞ্চে বসে ঘন ঘন মুসলিম কোয়ার্টারের দিকে তাকাচ্ছে আর সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়ছে। আমাকে দেখিয়ে লাফিয়ে উঠলো, “মাজেল টভ” এক্ষেত্রে যার অর্থ, ‘বাঁচা গেলো’ বা ‘সর্বরক্ষে’। স্থান বা ঘটনা অনুসারে এই হিব্রু শব্দটির অনেক প্রকারের ব্যবহার আছে, সেটা নিয়ে পরে কখনো।

    ১৯৬৭ সালে ছ দিনের যুদ্ধে বিজয়ী ইসরায়েল নামের দেশের এলাকা ক্রমশ বিস্তারিত হচ্ছে রাষ্ট্র সঙ্ঘের আদেশ বা কোন আইন না মেনে, কেবলই গায়ের জোরে। অধিকৃত অঞ্চলে গড়ে উঠছে ইসরায়েলি কলোনি বা সেটলমেনট। সে সময়কার আমেরিকান রাষ্ট্রপতি বুশ সেটি সমর্থন করেন নি। সিটি ব্যাঙ্কের কোন রাজনৈতিক অবস্থান ছিল না, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের তা থাকার কথাও নয়। কিন্তু আমাদের ব্যাঙ্ক কখনও কোন সেটলমেনটের প্রসারে অর্থ সরবরাহ করে নি, সরাসরি তো নয়ই কোন ইসরায়েলি ব্যাঙ্কের মাধ্যমেও নয়।

    গাজা আমি যাই নি। জেরুসালেম থেকে বাস ধরে নিকটবর্তী অধিকৃত শহর বেথলেহেম গেছি আমার চেহারা ইহুদি সুলভ নয় কিন্তু কেউ কোথাও আমার পরিচয় পত্র দেখতে চান নি। তেল আভিভ হতে ট্রেনে চড়ে আকো, বাস ধরে হাইফা, সেখান থেকে নাজারেথ গিয়েছি। তেল আভিভ ফিরেছি অন্য রুটে (বাইবেলের আরমাগেডন যেখানে)। খুব সহজেই ঘুরেছি বাসে যেমন মানুষ বোলপুর থেকে ইলাম বাজার যায় - বেজায় ভিড়, বসার জায়গা মেলে না। অনুমান করতে অসুবিধে হয় নি বাসে ইসরায়েলি ও প্যালেস্টিনিয়ান পাশাপাশি সফর করছেন, আইনি কাগজ দেখাতে হচ্ছে না। মনে রাখা প্রয়োজন দেশে দু ধরনের প্যালেসটিনিয়ানের বাস এক, যারা ইসরায়েল দেশে বাস করেন, সেখানকার পাসপোর্টধারী, অন্যেরা জন্মগত প্যালেসটিনিয়ান, বাস করেন অধিকৃত অঞ্চলে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার অত্যন্ত সীমিত, দেশ ছেড়ে বিদেশে যাওয়া শক্ত ব্যাপার তাঁদের মধ্যে কারো জর্ডানিয়ান পাসপোর্ট আছে প্যালেস্টাইন দেশের ছাপ মারা শেষ পাসপোর্ট ১৯৪৮ সালে ব্রিটিশ বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে বাতিল। অনেকেরই এই দেশ থেকে বেরুনো অসম্ভব - যেমনটি এককালে দেখেছি কমিউনিস্ট পূর্ব ইউরোপে। অধিকারের অন্তর ছিল, অর্থনৈতিক বৈষম্য ছিল, ছিল পারস্পরিক সন্দেহ, ভীতি। আমি কোন ভূরাজনৈতিক নই কিন্তু সেদিন মনে হয়েছে এমনটা তো ইউরোপের অনেক জায়গায় চোখে পড়ে। লন্ডন ব্রাসেলস প্যারিস বার্লিনের অনেক পাড়ায় সাবধানতা বাঞ্ছনীয়, হয়ত বা সেখানে না গেলেই হয় কিন্তু সকল পক্ষের রাজনৈতিক অধিকার কাগজে কলমে সমান। ইসরায়েলে তা নয়। এক পক্ষের পূর্ণ অধিকার, অপর পক্ষ ধনীর দুয়ারে দাঁড়ানো কাঙ্গাল এবং কাঙ্গালিনী। ইয়াসের আরাফত তাদের আপন রাষ্ট্র গঠন ও অনুমোদনের লড়াই চালাচ্ছেন – তিনি আওয়াজ তোলার আগে অবধি প্যালেস্টাইন নামটা শোনা যেতো না অবধি। কোন এক বিছানায় তিনি পর পর দু রাত্তির শোবার ভরসা পান না, মোসাদ আছে পিছে। ওসলো চুক্তি সই হতে দু বছর দেরি। তারপর একদিন দুই রাষ্ট্রের অবস্থিতি মেনে নিয়ে আরাফাত ও ইয়াতঝিক রাবিন হাত মেলাবেন বিল ক্লিনটনের সস্নেহ উপস্থিতিতে। মনে আছে সেই মাসেই (সেপ্টেম্বর ১৯৯৩) বন্ধু পল স্টারলিং জানাল তাদের ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ সুইজারল্যান্ড একটি নতুন দেশ দপ্তর (country desk) খুলেছে – প্যালেস্টাইন! কিছুকাল বাদে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাঙ্ক ব্রাঞ্চ খোলে রামাল্লায়।

    তাহলে এবার দুটো দেশ পাশাপাশি সম্পূর্ণ স্বাধীন? যেমন ইউগোস্লাভিয়া ভেঙ্গে ছটি দেশ দাঁড়াল ছটি পতাকার নিচে?

    পরের বার ইসরায়েল গিয়ে দেখলাম পতাকা দুটো, সরকারি ভাবে দেশ দুটো কিনা বোঝা যাচ্ছে না। গড়ে উঠেছে কংক্রিটের দেওয়াল, কাঁটা তারের বেড়া। জেরুসালেম থেকে বেথলেহেম আর পাবলিক বাসে চড়ে যাওয়া যায় না। নানান তার ঘেরা সুড়ঙ্গ পার হতে হয়। বেথলেহেমের ক্রিস্টিয়ান মানুষ জেরুসালেমে চার্চ অফ দি হোলি সেপালকারে বন্দনা করতে পারেন না। যে আল আকসার চত্বরে দাঁড়িয়ে ছিলাম একদিন সে এখন নো ম্যানস ল্যান্ড।


    * গলগথা, যেখানে যিশু খ্রিস্ট ক্রুশে আরোহণ করেন এবং তাঁর শূন্য সমাধি পাওয়া যায় সেইখানে এই চার্চটি প্রতিষ্ঠিত। আজ যদিও এটি শহরের অন্তর্ভুক্ত, সে আমলে ছিল জেরুসালেমের বাইরে। তখন শহরের ভেতরে কাউকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া বেআইনি ছিল।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • ধারাবাহিক | ২০ অক্টোবর ২০২৩ | ২৩৭৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • হীরেন সিংহরায় | 81.145.101.16 | ২২ অক্টোবর ২০২৩ ০০:৪২524964
  • আর প্যালেসটাইন উল্লিখিত হয়েছে খানিকটা অন্য নাম বা বানানে ( ফিলিসতিন জাতির দেশ)
  • &/ | 151.141.85.8 | ২২ অক্টোবর ২০২৩ ০০:৫০524965
  • জেকবের( ইয়াকব?) ছেলেরা সবাই মিশরে আশ্রয় নিয়েছিলেন না একটা সময়ে? ছোটো ছেলে জোসেফ(ইউসুফ) আগে থেকেই ছিলেন সেখানে( এরই দাদারা এঁকে বিক্রি করে দেন না ইশ্মায়েলি বণিকদের কাছে? বণিকেরা মিশরে ইউসুফকে বিক্রি করে ফারাওয়ের মন্ত্রী(?) বা সেনাপতি পতিফারের(প্রতিহার?) কাছে? পরে জোসেফ ফারাওয়ের স্বপ্নের ব্যাখ্যা করে মিশরকে বিরাট দুর্ভিক্ষের হাত থেকে বাঁচায় আগে থেকে বছরে বছরে শস্য সঞ্চয় করে রাখার বিরাট প্রজেক্ট হাতে নিয়ে? )। এই জেকবের ছেলেপুলের বংশই কি ইহুদীরা যাদের অনেক অনেক বছর পরে মিশর থেকে উদ্ধার করে কানান দেশে নিয়ে যান মোজেস? জোসেফের নিজের ছেলেপুলেদের বংশের কী হল? ওরা তো মনে হয় কানানে ফেরে নি? ওরা তো অর্ধেক মিশরীয়(জোসেফের স্ত্রী মানে ওদের মা তো মিশরীয় পুরোহিতের কন্যা)
  • &/ | 151.141.85.8 | ২২ অক্টোবর ২০২৩ ০০:৫৬524966
  • জোসেফের একজন সহোদর ভাইও ছিল। বেঞ্জামিন (বেনিয়ামিন?)। মিশরে আশ্রয় নেবার সময় এই বেঞ্জামিন খুব তরুণ, সম্ভবত তখনও বিবাহিত নয়। মিশরে এই ছেলে কাকে বিবাহ করল? এঁর বংশাবলির কী গতি হল?
  • &/ | 151.141.85.8 | ২২ অক্টোবর ২০২৩ ০১:০১524967
  • বাইবেলের ওল্ড টেস্টামেন্ট অংশটা অসাধারণ সব কাহিনিতে কাহিনিতে ভর্তি। এক একটা কাহিনি এক একটা রত্ন। ইতিহাস তো আছেই, তবে  লেখকদের কাছে রত্নখনি। কুশলী লেখকরা চাইলে কালোপযোগী ট্রান্সফর্ম করে করে মহাকাব্যিক উপন্যাস লিখতে পারেন। কেউ কেউ হয়তো করছেনও।
  • হীরেন সিংহরায় | 2a00:23c7:672e:2001:b023:5682:413b:9fbf | ২২ অক্টোবর ২০২৩ ০২:৪৭524969
  • সহমত! যত গল্প হিবরু বাইবেলে।  বিতর্কের মুখোমুখী হয়েও বলি বেশ অথেনটিক সব গপপো , ঘটনার তিনশো বছর বাদে কোন  সম্পাদক মন্ডলী বসে সেটা এডিট করেন নি 
  • &/ | 151.141.85.8 | ২২ অক্টোবর ২০২৩ ০৩:৩২524970
  • বাইবেলের নোয়ার প্লাবনের কাহিনি আর সুমের সভ্যতার এপিক অব গিলগামেশের উৎনাপিশতিমের কাহিনির মধ্যে আশ্চর্য মিল। মূল আখ্যানভাগ একই। সম্ভবত প্রাচীন লোককথা থেকেই গৃহীত হয়েছিল নোয়ার গল্প।
  • হীরেন সিংহরায় | 2a00:23c7:672e:2001:9ca5:50bf:da26:198b | ২২ অক্টোবর ২০২৩ ১০:৫৩524986
  • ঠিক! এক মহা প্লাবনের কাহিনি জোরোসতরিয়ানরা উল্লেখ করেছিলেন। নোয়ার আগে। মানে ওই গলপটি চালু ছিল!  আগ্রহ থাকলে Werner Keller এর The Bible as History বইটা দেখতে পারেন ।
  • Debanjan Banerjee | ২২ অক্টোবর ২০২৩ ১২:২৯524992
  • @ &/
    আচ্ছা আপনি ওল্ড টেস্টামেন্টের কথা বলছিলেন। ওখানে যে philistine দের কথা বলাই হচ্ছে তারাই কি আজকের প্যালেস্টিনিয়ান? কিন্তু ওল্ড টেস্টামেন্টের বক্তব্য অনুযায়ী তো (স্যামসন আর ডেভিডের কাহিনী অনুযায়ী) সমস্ত philistine দের তো নিকেশ বা উৎখাত করে দেওয়া হয়েছে হিব্রুদের হাতে তাহলে এরা কোত্থেকে এলো? তাহলে?
  • &/ | 151.141.85.8 | ২৩ অক্টোবর ২০২৩ ০২:৪৫525030
  • @দেবাঞ্জন, এই যে দেখুন ফিলিস্তিনের লিংক। হিব্রু বাইবেলে এদের ব্যাপারটা নানাভাবে বলা আছে। অন্য নানা জায়গাতেও আছে . সেই বিরাট গোলায়াথ,  ডেভিড যাকে গুলতি দিয়ে মারল, সেও ছিল ফিলিস্তিন।     
    https://en.wikipedia.org/wiki/Philistines
  • হীরেন সিংহরায় | ২৩ অক্টোবর ২০২৩ ১৪:০১525064
  • ঠিক । ফিলিস্তিন শব্দ থেকে এসেছে প্যালেস্টাইন যে নামে এই ভূখণ্ডকে আমরা চিনেছি । ১৯৪৭ সালে ইসরায়েল দেখা দিলো । 
  • এই | 117.194.73.45 | ২৪ অক্টোবর ২০২৩ ১৮:০৩525110
  • গানটা  
  • Sanghamitra Ghosh | 2402:3a80:198b:e6ec:818e:c759:cc29:fbdf | ০৮ নভেম্বর ২০২৩ ১৩:০২525717
  • খুব ভাল লাগলো। অনেক অজানা তথ্য উঠে এসেছে। আরো জানতে চাই। পরেরগুলো পড়ে জানাবো। ধন্যবাদ।
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন