এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  উপন্যাস

  • এক দুগুণে শূণ্য - ৫

    Kishore Ghosal লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | উপন্যাস | ০৮ জানুয়ারি ২০২৩ | ৪৭৩ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)


  • “অ বুইদি, ওপরের নোক দুটো কে গো? আগে কোনদিন দেকিনি!”  ঘর ঝাঁট দিতে দিতে কলমির মা, মিতা জিগ্‌গেস করল পৃথাদেবীকে। পৃথাদেবী ছিলেন রান্নাঘরে। তিনি সামনে না থাকলেই মিতার ঘর ঝাঁট দেওয়ায়, পরিষ্কার হয় কম, কিন্তু আওয়াজ হয় খুব। মেঝের নোংরা সবেগে দৌড়ে যায় আলামারির তলা, খাটের তলা কিংবা সোফার তলায়। রান্নাঘর থেকে পৃথাদেবী উত্তর দিলেন, “কেন রে? কিছু বলছিল?”
    “না তা ক্যানে বলবে? তাই জিগ্‌গেস করতেছিলাম”। পৃথাদেবী জানেন কলমির মায়ের কৌতূহল ভীষণ, এবং যে কোন সংবাদ পাড়াময় চাউর করতে ওর জুড়ি মেলা ভার। গুছিয়ে মিথ্যে বলাটাও একটা শিল্প, মিথ্যেটাকে সত্যির মতো বিশ্বাসজনক করতে না পারলে, ওরা দুয়ে দুয়ে চার করে নেবে।
    তিনি খুব সাবধানে মিথ্যের প্রথম ধাপে পা দিলেন, “এসেছে, ফুটির শ্বশুরবাড়ির লোক”।
    “অ, আমি ভাবতেছিলাম, কে না কে? তবে যাই বলো বুইদি, নোকগুলোর দিষ্টি ভালো না”।
    কলমির মায়ের গুগলিতে পৃথাদেবী প্রমাদ গুনলেন, খুব সাবধানে কিছুটা হাল্কা অফেন্সের সঙ্গে ডিফেন্স করলেন, “কার দৃষ্টি কেমন, সেদিকেও তোর নজর?”
    “আমাদের গতর খাটিয়ে খেতে হয়, বুইদি, সবদিকে নজর না দিলে চলে?”
    খুব সতর্ক পা ফেললেন পৃথাদেবী, বললেন, “বাবাঃ, তা কী দেখলি?”
    “গিলে খাবে যেন, এমন নজর”।
    পৃথাদেবী ঝুঁকি না নিয়ে ফ্রন্টফুটে ডিফেন্স করলেন, “যাঃ বাজে বকিস না! খুব ধর্ম-টর্ম, পুজো-আচ্চা নিয়ে থাকে, মোটেও খারাপ লোক নয়”।
    “খারাপ নোক কী আমি বলিচি, বলিচি দিষ্টিটা ভালো নয়কো”।
    পৃথাদেবী এবার একটু অফেন্সে গিয়ে বললেন, “আমাদের সে খবরে কী দরকার বাপু, কাজে এসেছে, আজকে থেকে কাল চলে যাবে”।
    “অ তা ভালো, তা কী কাজ?”
    পৃথাদেবী ভেবেছিলেন, কাজের কথা শুনলে কলমির মা, চুপ করে যাবে, কিন্তু তার হঠাৎ প্রশ্নে তিনি বিপদে পড়ে বললেন, “কাজ? ইয়ে, কাজ, মানে ...তোর এত খবরে কী দরকার রে?”
    “আমার আবার কী দরকার, এমনি জিগ্‌গেস করতেছিলাম”।
    নিরীহ শোনালেও কলমির মায়ের কথাগুলোতে স্বস্তি পেলেন না পৃথাদেবী, সামলে নিতে বললেন, “চাকরির ইন্টারভিউ দিতে এসেছে”। 
    মুখে আঁচল চাপা দিয়ে হাসল কলমির মা, বলল, “হাসালে গো, বুইদি, সামতাপুরে এয়েচে চাকরির ইন্টারভিউ দিতে? হি হি হি হি...”।
    গা জ্বলে গেলেও মাথা ঠাণ্ডা রাখলেন পৃথাদেবী, বললেন, “কেন? সামতাপুর এমন কী খারাপ জায়গা?”
    “হি হি হি, এখানে চাকরি মানে রিকশা চালানো আর চুল্লুর ঠেক চালানো! ওদের কোন চাকরি, বুইদি”।
    পৃথাদেবী আর ডিফেন্সে না গিয়ে সপাটে অফেন্স করলেন, “আমি অত জানিনা। তুই তাড়াতাড়ি হাত চালা। ঘর ঝাড়ু দিয়ে ময়দা মাখতে হবে”।
    কিন্তু অফেন্সের উত্তর না দিতে পেরে কলমির মা থেমে যাবে, এটা ভাবা পৃথাদেবীর মস্ত ভুল হয়েছিল, সে ঝংকার দিয়ে বলল, “আমি কি মেশিন নাকি, আর কত হাত চালাবো? হুড়োতাড়া করলে তো বলবে, এখানে কুটো পড়ে আছে, ওখানে ময়লা পড়ে আছে, কী ঝাড়ু দিলি, কলমির মা? তুমি আবার যা ছুঁচিবাই!”
    ছুঁচিবাই শুনেই পৃথাদেবীর মাথায় আগুন চড়ে গেল, তিনি রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে বসার ঘরে এসে বললেন, “আমি ছুঁচিবাই? তোর এতবড়ো আস্পদ্দার কথা?”
    কলমির মা পৃথাদেবীর তুলনায় বাক্-যুদ্ধে অনেক দক্ষ, তিনহাত এগিয়ে সে পৃথাদেবীকে আঘাত করেছে, এখন একহাত পিছিয়ে একটু হাল্কা আঘাত দিয়ে বলল, “আচ্ছা লাও, আর রাগ করতে হবেনি, ছুঁচিবাই লও, পিটপিটে...”।
    একথাটা কিছুটা সম্মানজনক, পৃথাদেবী আপোষে আসতে, সুর নরম করে বললেন, “কবে আমি তোর সঙ্গে পিটপিট করি রে, কলমির মা, যে তুই এমন কথা বলছিস?”
    মিচকি হেসে কলমির মা হাল্কা গলায় বলল, “সে বলা শক্ত। তবে কবে করো না, সে বলা খুব সহজ, হি হি হি হি”।
    কলমির মায়ের একের পর নক আউটে হতাশ পৃথাদেবী আবার রেগে গেলেন, বললেন, “তোর খুব চোপা হয়েছে কলমির মা, চুপ করে কাজ কর...”।
    যতই হোক মনিব, মাসের শুরুতে হাত পেতে গুণে গুণে টাকাও নেয়, বার বার আঘাত করাটা আর নিরাপদ নয়, কলমির মা এবার অন্য রাস্তা ধরল, বলল, “দুটো কতা বললেই চোপা? আমি ময়দা মাকতে পারবোনি, আমার গুড়ুলে ব্যথা!”
    “গুড়ুল মানে?”
    “গুড়ুলই তো! তোমরা কী বলো? এই তো একেনে”। কলমির মা পায়ের গোড়ালি দেখালো!
    “অ গোড়ালি? তা গোড়ালিতে কী করে ব্যথা হল?”
    পৃথাদেবী সুর নরম করে জিগ্‌গেস করলেন, গল্প বলার সুযোগ পেয়ে কলমির মা শুরু করল, “কাল কলমির বাবা একপেট তেল খেয়ে নদ্দমায় পড়ে গেছিল। মুখপোড়া মিনসের তাও হুঁশ ফেরেনি। আমি খপর পেয়ে দৌড়ে গেলাম। চেহেরা যত চিমড়ে কাটিপানা হোক, ব্যাটাছেলের শরীল, একা তুলতে পারব ক্যানে? টানা-হেঁচড়াতে গুড়ুলে টান লাগলো! চলতে ফিরতে কী কষ্ট গো, বুইদি, বলে বুজোতে পারবনি”।
    “কলমির বাবা হঠাৎ তেলই বা খেতে গেল কেন? কী তেল? সরষের নাকি নারকেল?”
    এমন একটা লুজ বলের সুযোগ ছাড়ার লোক কলমির মা নয়, সে দুম করে বলে বসল, “অম্মা, বুইদি বেশ ন্যাকাবোকা আছো কিন্তু! তেল মানে সে তেল লয় গো, এ তেলে নেশা হয়”।
    গরজ বড়ো বালাই, কথাটা হজম করে নিয়েও পৃথাদেবী বললেন, “অ বুঝলাম, কিন্তু তোর গুড়ুলে ব্যথা তো ময়দা মাখতে কী হয়েছে? তুই কী পায়ে ময়দা মাখবি নাকি?”
    পৃথাদেবীর নাচার অবস্থা বুঝতে কলমির মায়ের এতটুকুও অসুবিধে হল না, সে আরো একটু টাইট দিতে বলল, “ও বুইদি গো, শুদু কী গুড়ুলে? সারা গতরে ব্যতা। কাঁদে, কাঁকালে, গুড়ুলে, বগলে...। কলমির বাপ বলছেল, আজ আর কাজে যাসনি কলমির মা, একটা দিন এস্ট নে...তা আমি বললাম, বুইদিরা যা গতরখাকী, না গেলে সারাদিন আমায় গাল পাড়বে, আর হুঁচুট খেতে খেতে আমার ঠ্যাঙ ভাঙবেনে?”
    বার বার আঘাতে ক্ষতবিক্ষত পৃথাদেবী এখন আর প্রতিবাদের জোরও হারিয়ে ফেলেছেন, শীতল স্বরে বললেন, “আমি গতরখাকী”?
    কলমির মাও বুঝলো পৃথাদেবী কাবু হয়ে এসেছেন, কাজেই আর আঘাত নয়, মলম লাগানো দরকার, বলল, “লাও তোমায় বললাম নাকি? সব কতা লিজের গায়ে টেনে লাও ক্যানে? বলতেছিলাম ও বাড়ির বুইদির কতা। তুমি একটু আলসে কিন্তু গতরখাকী লও”। 
    পরাস্ত, পরাভূত পৃথাদেবী একটু সেন্টিমেন্টাল হয়ে উঠে বললেন, “তোর বয়েস আর আমার বয়েস কলমির মা? তোর বয়েসে আমি এই সংসার একা সামলেছি। তখন তোর দাদাবাবুর মাইনে ছিল কম, কাজের লোক রাখার সাধ্য ছিল না। একা হাতে এই বাড়ি, ছোট ছোট ছেলে মেয়ে, বরের অফিসের ভাত, শাশুড়ির সেবা...সব সামলেছি। তখন তুই ছিলি কোথায়? এখন আর পারি না, তাই তোরা আলসে দেখিস”। আবেগে পৃথাদেবীর গলা কেঁপে উঠল একটু।
    বিজয়িনী কলমির মা, হেরো পৃথাদেবীকে বিদ্রূপ করার এমন সুযোগও হাত ছাড়া করলো না, বলল, “অ বুইদি, কেঁদে দিওনি গো! দাদাবাবু বাজার থেকে এসে, দেকলে কী ভাববে? ভাববে আমি তোমায় ঠেইলে দিছি। হিহি হিহি”।
    পৃথাদেবী আত্মসমর্পণ করে নিয়ে বললেন, “তোর ঘর ঝাঁট দেওয়া হল? বলছি না, ময়দা মেখে দে, যাবার সময় তোর জন্যে খানচারেক লুচি আর আলুচচ্চড়ি দেবো, নিয়ে যাস”। 
    আর একটু মোচড়ে পৃথাদেবীকে নক আউট করে কলমির মা বলল, “অ বুইদি, আর চারখান বেশি দিও, কলমির বাপটা আজ রিকশ নিয়ে বেরোয়নি, ঘরেই আচে”।
    “আচ্ছা, সে হবে খন, তুই কাজ সেরে রান্নাঘরে আয়, আমি ময়দা বের করছি”। পৃথাদেবী রান্নাঘরের আড়ালে চলে যেতেই কলমির মা ঘরের মেঝেয় পা ছড়িয়ে বসল। ঝাড়ু রেখে আঁচল নাড়িয়ে নিজেকে হাওয়া করতে লাগল। তারপর গুনগুনিয়ে গান ধরল,
    “বাবলা পাতার কষ লেগেচে, ও সে যায়না তো তোলা,
    ছুঁচোর গায়ের গন্ধ কি যায় আতর মাকালে,
    ও ভোলা মন আতর মাকালেএএএ।
    মনকলসে চিড় ধরেচে, ও জল যায় না তো ভরা
    কেলে সোনা হয় কি ধলা সাবাং মাকালে,
    ও ভোলা মন সাবাং মাকালেএএএ”
    রান্নাঘর থেকে পৃথাদেবী আবার ডাকলেন, “কই রে কলমির মা, তোর কাজ হল?”
    কলমির মা আপনমনে বিড়বিড় করে বলল, “আ মলো যা, গতরখাকীর আর তর সইছে না”, তারপর উত্তর দিল, “যাই গো বুইদি, যাই, এই দোরের কাচটা ঝাঁট দিয়েই আসতিছি”।
    এই সময়েই সদরে বেল বাজার শব্দ হল, পৃথাদেবী রান্নাঘর থেকেই বললেন, “ওই তোর দাদাবাবু এসে গেল মনে হচ্ছে, দরজাটা খুলে দেখতো কে?”
    কলমির মা চটপট হাতে ঝাড়ু নিয়ে সদর দরজা খুলতে গেল, তারপর দরজা খুলেই বলল, “অ বুইদি, দাদাবাবু বাজার নে এয়েচে”।
    সনৎবাবু পুরুষালী উপস্থিতি বোঝাতে গম্ভীরভাবে একটু হাল্কা কাশলেন, বললেন, “কই গো? কোথায় গেলে? একবার এসে পুজোর বাজারটা নাও না। মাছে, পেঁয়াজে ঠেকাঠেকি হয়ে গেলে, তারপর তো বাড়ি মাথায় করবে...”!
    পৃথাদেবী রান্নাঘর থেকেই উত্তর দিলেন, “ওঃ কী আমার সাতকেলে গুরু ঠাকুর এলেন। আমার এখন মরবার সময় নেই।  বাজারের থলি আর মাছটা কলমির মায়ের হাতে দাও, আর তুমি পুজোর বাজার নিয়ে একেবারে ওপরের ঘরে রেখে এসো”।
     বাজারের থলি হস্তান্তর করে সনৎবাবু ওপরে চলে গেলেন, আর ক্ষিপ্র হাতে থলি থেকে কিছু কাঁচা আনাজ আর দুপিস মাছ হাত সাফাই করে নিল কলমির মা, পেট কাপড়ের প্লাস্টিকে সেগুলো রাখল, তারপর দু হাতে বাজারের থলি হাতে মদালসা ভঙ্গীতে রান্নাঘরের দিকে হাঁটতে হাঁটতে বলল, “ও বুইদি, এ থলিগুলো কোতায় রাকবো গো, যা ভারি...দাদাবাবু গোটা বাজারটা তুলে এনেচে মনে হয়। দাদাবাবুর ক্ষমতা কম লয় গো বুইদি, বাজার থেকে বলদের মতো এত ভারি ব্যাগগুলো বয়ে আনলো তো!  একটা রিকশা করতে পারলো নি? খুব কেপ্পন, বাবা!” 
    সব শুনেও না শোনার ভান করে পৃথাদেবী রান্নাঘর থেকে বললেন, “কোথায় আবার রাখবি? রান্নাঘরে নিয়ে আয়। তারপর ময়দাটা মাখ”।
     
    (ক্রমশঃ)   
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ০৮ জানুয়ারি ২০২৩ | ৪৭৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন