এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

  • সখি, এফিক্যাসি কারে কয় ...

    অমিতাভ সেন
    আলোচনা | বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | ১৩ জুলাই ২০২১ | ৩০২৭ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • সেকি এমনি ভ্রান্তিময়? এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার জন্যই এই অবতারণা। বার বার দেখছি কখনও সোশ্যাল মিডিয়াতে, কখনও গণমাধ্যমে, কয়েকজন শ্রদ্ধেয় ডাক্তারবাবু নিদান দিচ্ছেন কোভিডের টীকার এফিক্যাসি শূন্য, এই টীকাগুলি না পারে সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে – না পারে রোগের বাড়াবাড়ি বা মৃত্যু থেকে বাঁচাতে। কোনো তথ্য নেই, ডেটা নেই যা আছে তাকে ইংরেজি তে বলে sweeping statement। আমি বলছি ব্যাস, সেটাই ধ্রুব সত্য!

    আর কি, সঙ্গে সঙ্গে ভক্তবৃন্দ খোল করতাল নিয়ে অন্তর্জাল সংকীর্তনে বেরিয়ে পড়লেন - "এফিক্যাসি নাই রে এফিক্যাসি নাই"। তার সাথে বাঁকা হাসি মেশান বক্তব্য “শুরুতেই নিদান দিয়েছিলাম না কোভিডের টীকা আসলে এক বিশাল ভাঁওতা” – “কি ফলে গেলো তো” – কি আনন্দ ভজ গৌরাঙ্গ!

    সত্যি কি কোভিডের টীকাগুলির এফিক্যাসি শূন্য? সেটা দেখার আগে একবার বুঝে নিলে হয় না এফিক্যাসি বস্তুটা খায় না মাথায় দেয়? ছোট্ট একটা অঙ্কের হিসেব। পাঠক ভয় পাবেন না, আমার মতো সারাজীবন পিছনের বেঞ্চে বসা ‘বুরুন তুমি অঙ্কে তেরো’ মার্কা ছাত্র যদি এই অঙ্কটা বুঝতে পারি, তাহলে সব্বাই পারবেন।

    যখন টীকার ট্রায়াল হয় তখন সাধারণত স্বেচ্ছাসেবকদের আধা আধি ভাগ করা হয়। যার অর্ধেক লোক পান টীকা আর বাকি অর্ধেক মানুষ পান প্লাসিবো মানে নুন-জল জাতিয় তরল (অনেক সময় পরবর্তী স্টেজে এই ভাগাভাগির অনুপাত ২:১ ও করা হয়)। টীকা যিনি দিচ্ছেন বা টীকাপ্রাপক কেউই জানতে পারেন না যে কে টীকা পেলেন আর কে প্লাসিবো। এবার দুই গ্রুপের সমস্ত লোককে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। এই পর্যবেক্ষণ ততক্ষণ চলে যতক্ষণ না দুই গ্রুপ মিলিয়ে পূর্বনির্দিস্ট সংখ্যক মানুষ সংক্রমিত হচ্ছেন। এই জায়গায় পৌঁছনোর পর অঙ্কের শুরু, ঘাবড়াবেন না, অষ্টম শ্রেণীর অঙ্ক জানলেই বোঝা যাবে।

    ধরুন X জন লোক যারা টীকা নিয়েছেন সেই গ্রুপ থেকে সংক্রমিত হলেন আর নুন-জলের দলের লোকেদের মধ্যে Y জন লোক আক্রান্ত। এদের ভালো নাম দুটো জেনে নেওয়া যেতে পারে - X কে বলা হয় Attack Rate Vaccinated সংক্ষেপে ARV আর Y হলো Attack Rate Unvaccinated বা ARU.

    এবার আসি Relative Risk (RR) এ। এটা একটা সহজ ভগ্নাংশ: X/Y বা ARV/ARU. ব্যাস আর একটা ধাপ তাহলেই মোকামে পৌঁছে যাব বুঝে নেবো Vaccine Efficacy বা VE শতাংশ বস্তুটি কি।
    VE% = (1-RR)×100
    অথবা
    VE% = (1-ARV/ARU)×100

    টীকা যত বেশি কার্যকরী হবে ততই ARV অনেক কম হবে ARU র চেয়ে। ফলত RR হবে ১ এর চেয়ে অনেক কম এবং স্বভাবতই VE হবে বেশি। আবার ARU আর ARV র মধ্যে ফারাক যত কম হবে ততই কমবে এফিক্যাসি। একটা উদাহরণ নেওয়া যেতে পারে। ধরা যাক সর্বমোট ১,০০০ স্বেচ্ছাসেবককে ৫০০-৫০০ ভাগ করা হয়েছিল। পূর্ব নির্দিষ্ট সংক্রমণ সংখ্যা ছিলো, মনে করুন ৫০। যখন ৫০ জন সংক্রমিত হবেন তখন ট্রায়াল শেষ। দেখা গেলো ARV হলো ১০ আর ARU হলো ৪০। তাহলে
    RR = ১০/৪০ = ১/৪
    VE বা এফিক্যাসি = (১ - ১/৪) × ১০০ = ৭৫%।

    যদি ARV আর ARU সমান হয় তাহলে RR হবে ১ এবং এফিক্যাসি শূন্য। মোদ্দা কথা তুলনামুলক ভাবে ARV যত কম হবে ARU র তুলনায় টীকা তত বেশী কার্যকারী হবে।
    দুই গ্রুপে মানুষের অনুপাত ১:১ না হলে কিন্তু RR এর ভগ্নাংশটা একটু পাল্টে অন্য ফরমুলা ব্যাবহার হবে, যদিও মূল বিষয় একই থাকবে।

    অক্সফোর্ড - এস্ট্রোজেনেকা টীকা যা ভারতে কোভিশিল্ড নামে পরিচিত, তার প্রথম ট্রায়াল হয় ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ইংল্যান্ড জুড়ে। স্বেচ্ছাসেবক ছিলেন ২৩,৮৪৮ জন। এফিক্যাসি ছিলো ৭০.৪%। পরে আমেরিকায় ট্রায়াল হয়েছিলো ৩২,৪৪৯ জনের ওপর। এফিক্যাসি ৭৬%। দুটো ট্রায়াল এই গুরুতর অসুস্থ বা মৃত্যুর সংখ্যা ARV এর মধ্যে ছিলো শূন্য। ঠিক সেইজন্যই এই দুই ক্ষেত্রে গুরুতর অসুস্থতা আর মৃত্যুর ব্যাপারে এফিক্যাসি ছিল ১০০%। অবশ্যই দুই ডোজের মধ্যে সময়ের পার্থক্যে এফিক্যাসির তফাৎ দেখা গেছে। তফাত হয়েছে ডোজের পরিমান এর তফাতেও। আবার প্রায় সব টীকারই এফিক্যাসি পাল্টে যায় দেশ এবং জনজাতি বদলে গেলে। ARV আর ARU র সংখ্যাও বহুলাংশে নির্ভর করবে যখন ট্রায়াল চলছে তখন ওই অঞ্চলে সংক্রমণের বিস্তার কেমন তার ওপর। অর্থাৎ কোনো কিছুকেই ধ্রুব সত্য বলে ধরে নেওয়া যাবে না। ভাইরাস নতুন নতুন মিউটেশন এর পর এফিক্যাসি কি হবে তা এখুনি নিশ্চিত করে বলা যাবে না। পরিবর্তিত ভাইরাসের সঙ্গে লড়াইয়ে টীকার এফিক্যাসি একই থাকতে পারে আবার কমে গিয়ে শূন্যও হতে পারে। কিন্তু সেটা প্রত্যেক মিউটেশন এর পর নতুন ডেটা বিচার করে তবেই বলা স্বম্ভব। ভালো বলুন, খারাপ বলুন - এই অনিশ্চয়তাটা বিজ্ঞানের সাথে আষ্টে পৃষ্টে জড়িয়ে আছে – এই অনিশ্চয়তা এবং সতত পরিবর্তনশীল থিওরি বিজ্ঞানের চরৈবেতির মুল চালিকাশক্তি। নিশ্চয়তা কি কোথাও নেই, অবশ্যই আছে - অন্ধ বিশ্বাসে, তাবিজে, মাদুলিতে, ধর্মগুরুর বিধানে। কিন্তু বিজ্ঞানে নেই। ডেল্টা প্লাস - কাজ করবে কতটা আমাদের টীকা? জানা নেই এখনো। এক্ষনি বলতে হলে জ্যোতিষার্নবদের বা টিয়া পাখির শরণাপন্ন হতে হবে। বিজ্ঞানে ভরসা রাখলে অপেক্ষা করতে হবে তথ্যের, সংখ্যার। আর এখনও অব্দি যা ডেটা আমাদের কাছে আছে তা কিন্তু খুব পরিষ্কার – অতি দ্রুত গণটীকাকরণই কমাতে পারে সংক্রমণের প্রকোপ। মাস্ক তো রইলই সাথে।

    আর একটা ছোট্ট জিনিষ। এফিক্যাসি ৭০% মানে কিন্তু এটা নয় যে প্রতি ১০০ জন মানুষকে ধরে ধরে গুনলে আপনি দেখবেন ৭০ জন সংক্রমিত হয় নি আর ৩০ জন সংক্রমিত হয়েছে। এর মানে হচ্ছে টীকা নিলে আপনার সংক্রমণ থেকে বাঁচার সম্ভাবনা ৭০%। গুলিয়ে গেলো? বেশ। হাতে একটা কয়েন নিন। টস করলে হেড পড়ার স্বম্ভাবনা ৫০%। বেশ। পড়লো টেল। তাহলে কি পরের বার টস করলে হেড পড়তেই হবে? হাতে নাতে চেষ্টা করে দেখুন – এরকম কোন নিশ্চয়তা নেই। পরের বারেও হেড পড়ার স্বম্ভাবনা সেই ৫০%। আর একটা উদাহরণ। কোনো এক জটিল অপারেশন এর সাফল্যের হার ৯০% - যাকে এভাবেও বলা যায় প্রতি ১০ জনের মধ্যে একজন রুগী মারা যাবেন। বেশ, এবার যদি কোনো হাসপাতালে প্রথম ৯ জন রুগী ভালো হয়ে যান তাহলে কি দশম রুগীটির মৃত্যু ছাড়া গতি নেই? কাজেই ছোট পরিসরে কিন্তু এভাবে গুনে আপনি হিসেব মেলাতে পারবেন না। ওটা অঙ্ক নয়। এটা একারনেই লেখা, কারন অনেকেই হাতের আঙ্গুলে গুনে বলছেন ধুত ধুত – সব ঝুট হ্যায়।

    ট্রায়াল ডেটা তো মারাত্মক ব্যাধি বা মৃত্যুর বিরুদ্ধে ১০০% এফিক্যাসির কথা বলছে কিন্তু বাস্তবে তো দেখা যাচ্ছে টীকার পরেও সামান্য কিছু মৃত্যু আছে। এ নিয়ে উঠছে খুবই সঙ্গত প্রশ্ন ও তার সাথে জন্ম হচ্ছে সংশয়ের। উত্তর কিন্তু সোজা। ট্রায়াল এ স্বেচ্ছাসেবক এর সংখ্যা ওপরে দেওয়া আছে। ১৫ হাজার মানুষের মধ্যে তীব্র সংক্রমণ বা মৃত্যুর সংখ্যা ARV গ্রুপে শূন্য হলেও সেই টীকা যখন কয়েক কোটি মানুষ নেবেন তখন কিছু মানুষ মারাত্মক অসুস্থ হবেন দুঃখজনক ভাবে কিছু মৃত্যুও হবে। কিন্তু যখন সেটা শতাংশের হিসেবে ফেলবেন দেখবেন সংখ্যাটা শূন্যর খুব খুব কাছে, কিন্তু শূন্য নয়। আর ঠিক এই কারণেই ট্রায়াল এ তীব্র সংক্রমণ বা মৃত্যু ঠেকানোর এফিক্যাসি ১০০% হলেও গণটীকাকরণ পর্যায়ে কিছু দুঃখজনক ঘটনা ঘটবেই। এর জন্য ট্রায়াল ডেটা ভুল এটা বলা সম্পূর্ণভাবেই আঙ্কিক যুক্তিহীন।

    আরও একটা জিনিষ মাথায় রাখা খুব জরুরি। এতক্ষণ আমদের আলোচনা ঘুরপাক খাচ্ছিল ব্যক্তি মানুষ টীকা নিলে সংক্রমণ থেকে বাঁচার সম্ভাবনা কতটা তাই নিয়ে। ব্যক্তি মানুষের ক্ষেত্রে একটা বড় অংশের মানুষ যখন সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারবেন তখন কিন্তু যারা টীকা নেননি বা পাননি তাদেরও সংক্রমিত হবার সম্ভাবনা অনেক কমবে। কারন অতি সোজা, গণটীকাকরণের পর ভাইরাস আর ফাঁকা ময়দানে দৌড়াতে পারবে না। এটা সিমুলেসন এর মাধ্যমে খুব সহজ করে বুঝিয়েছিল ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকা তাদের ১৪ই মার্চ, ২০২০ তারিখের কাগজে। এই লিঙ্কটায় ক্লিক করলেই অপরের আলোচনার সারবস্তু খুব সহজেই বোঝা যাবে।

    একটী বস্তুর ট্রায়াল সত্যি হয় নি। টীকা নেবার পর তা কতদিন একজনকে সুরক্ষা দেবে? এই ট্রায়াল বেশ কয়েক হাজার মানুষের ওপর চালাতে হতো বহু বহু মাস বা বেশ কিছু বছর ধরে। তারপরে বোঝা যেত টীকা ১ বছর নাকি ৩ বছর নাকি সারা জীবন সুরক্ষা দেবে। টীকার সুরক্ষা (safety) এবং এফিক্যাসি প্রমানিত হবার পর তার সময়কাল কতো সেটা যদি গণটীকাকরণের সাথে সাথে বোঝার চেষ্টা করা যায় তাতে ক্ষতি কি? লাভ কিন্তু ষোল আনা।

    শেষ অব্দি কি দাঁড়ালো? এফিক্যাসি শতাংশ শূন্য? ওপরে তথ্য গুলো পড়ে (সূত্র BMJ, Lancet, Nature এবং Astrogeneca র ওয়েব সাইট) যদি তাই মনে হয় তবে তাই। যারা ক্রমাগত প্রচার করছেন ট্রায়াল হয় নি, ডেটা নেই, এফিক্যাসি শূন্য তারা যদি দয়া করে তথ্য দিয়ে কথা বলেন তাহলে আর কিছু না হোক ওই খোল করতাল নিয়ে নৃত্যরত তাদের ভক্ত বৃন্দ একটু খোলা মনে চিন্তা করতে পারে - টীকা নেবে কি নেবে না। টীকা নিলে আপনাদের ভক্ত সংখ্যা অটুট থাকার স্বম্ভাবনা প্রায় ১০০%।

    এই লেখার উদ্দেশ্য টীকার সপক্ষে জনমত গড়ে তোলা নয় – একেবারেই নয়। কোনও প্রয়োজনই নেই। এই মুহূর্তে আমাদের দেশে টীকা নিতে ইচ্ছুক মানুষের সংখ্যা অগণিত, বরঞ্চ সেই তুলনায় জোগান অপ্রতুল। কোন লেখা, বক্তিমে কিছুর দরকার নেই – দ্বিতীয় ঢেউয়ের বিভীষিকা এবং মৃত্যু মিছিল থেকে টীকার উপযোগিতা মানুষ নিজেরাই সম্যক শিখে নিয়েছেন। টীকা বিরোধীদের প্রচারে এখন কেউ কান দিচ্ছেন না। আর যত বেশী মানুষ টীকা নেবেন ততই আরও বেশী বেশী মানুষ উৎসাহিত হবেন টীকা নিতে।

    এ লেখা মূলত একটি আবেদন, সেই যুক্তিবাদী মানুষগুলোর কাছে, যাঁরা শুরুতে টীকার বিরোধিতা করেছিলেন এবং আজও যখন সমস্ত তথ্য তাদের বক্তব্যগুলিকে ভুল প্রমাণিত করছে, তখনও গায়ের জোরে পূর্ব সিদ্ধান্ত আঁকড়ে থাকছেন। তাঁদের কছে আবেদন, নিজেদের সিদ্ধান্ত রিভিউ করুন। অহেতুক পরের পর তথ্যহীন sweeping statement দিয়ে গেলে নিজেদের এবং সমগ্র ভাবে বৈজ্ঞানিক চিন্তা ভাবনা করার শিবিরেরই ক্ষতি। গত সপ্তাহেই আনন্দবাজারের সম্পাদকীয় পাতায় টীকাবরোধী এক ডাক্তারবাবুর একটি সুন্দর লেখা - এই সময়ের উপর খুব সুন্দর আলকপাত। কিন্তু তার মধ্যে এও পড়া গেলো যে দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভাইরাস এর ইনফেক্টিভিটি বেশি কিন্তু মৃত্যুহার কম। কোথায় পাওয়া গেলো এই তথ্য? তত্ত্বকথা অনুযায়ী ভীরুলেন্স কমার কথা, ঠিক, কিন্তু কমেছে তার তথ্য কোথায়? দ্বিতীয় ঢেউএ সংক্রমণ ও মৃত্যুর আসল সংখ্যা আসতে কিন্তু এখনও অনেক দেরি। সরকারি হিসেব অনুযায়ী ভারতে প্রথম ঢেউয়ে ১৪ই মার্চ, ২০২০ পর্যন্ত সংক্রমিত হয়েছেন ১,১৪,৭৪,৩০৩, মারা গেছেন ১,৫৯,২৫০ জন। Case Fatality Ratio (CFR) ১.৩৮%। ১৫ই মার্চ থেকে ৩রা জুলাই অব্দি সংক্রমিত মানুষ ১,৯০,৭০,৪৫৮, তার মধ্যে মৃত্যু ২,৪২,৭৮৩। CFR ১.২৭%। এই হিসেবেও মৃত্যু হার খুব কমেছে বলে বলা যায় কি? তাহলে কিসের উপর নির্ভর করে এই বক্তব্য? এটা ঠিক সংক্রমণ প্রকাশিত সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশী হবার কথা, কিন্তু মৃত্যুর ক্ষেত্রেও একই কথা সত্যি। অবশ্য সেই লেখায় পড়লাম অতিমারী সামলাতে টিকার “সীমিত” যুক্তি আছে। এতো ইতস্তত করতে হচ্ছে কেন? সোজা সাপটা বললেই তো হয় এখন টীকা আর মাস্ক এই দুই আমাদের একমাত্র হাতিয়ার।

    অবৈজ্ঞানিক চিন্তা এবং গোঁড়ামি শেখায় নতুন তথ্যকে অস্বীকার করে একবার যা নিদান দেওয়া হয়েছে তাকেই আঁকড়ে থাকা। মানুষ বন্দি হয় নিজের অতীত মতের বা বিশ্বাসের জেলখানায়। অতিমারী থেকে মুক্তির রাস্তা খোঁজার সাথে সাথে এই ভয়ানক জেলখানা থেকেও মুক্তির রাস্তা খোঁজা ভীষণ জরুরি। এ "যাতনা" আর সহ্য হয় না যে!


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ১৩ জুলাই ২০২১ | ৩০২৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ranjan Roy | ১৩ জুলাই ২০২১ ১৯:২৯495758
  • এই যে স্থান-কাল-নিরপেক্ষ   অ্যাবসলিউট সত্য বলে  কোন কিছু হয়না, এটাই বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গী। নতুন তথ্য, নতুন প্রেক্ষিত সবসময়ই আগের মতকে পরিবর্তিত করার পথ দেখাবে।


    ভাল লেখা।

  • Paran Mukherjee | ১৪ জুলাই ২০২১ ০৭:৩৩495774
  • বেশ তথ্যপূর্ণ,সময়োপযোগী লেখা তবে কথা বলে দেখেছি ছোট খাটো পেশায় নিযুক্ত লোকেেরা এতদিন এতো কিছু নাবুুুঝেই পাত্তা দিচ্ছিল না।তবে এরকম পরিস্থিতি আর নেই ।ভয়  অবস্থা পাাল্টটে দিয়েছে ।সেই সুযোগে ভুুয়ো ব্যবসা ।

  • মুক্তি গোস্বামী | 202.142.124.36 | ১৪ জুলাই ২০২১ ১৫:২৮495785
  • সবাই বিজ্ঞানমনস্ক হয়ে পরলে ধর্মের নামে বজ্জাতি আর ঝাড়ফুঁক, অলৌকিক ক্রিয়াকাণ্ডের নামে লোকঠকানোর ব্যবসার  এত রমরমা হয়!! 

  • রবীন্দ্র নারায়ণ দাস | 2405:201:8014:3007:91d:af96:9742:3d6c | ১৪ জুলাই ২০২১ ২১:২৩495793
  • বিজ্ঞান ভিত্তিক লেখাটি খুব যুক্তিপূর্ণ মনে হলো। যে যাই বলুক এখন সবাই বুঝেছেন যে যে কোনো একটা টিকা অবশ্যই নেওয়া দরকার। আর এই চাহিদা অনুযায়ী অসাধু লোক মানুষের জীবন নিয়েও ব্যবসা করছেন বা করেন। প্রশাসন ও এখন টিকা নেওয়ার সার্টিফিকেট বা টেস্ট নেগেটিভ রিপোর্ট না দেখাতে পারলে অনেক ক্ষেত্রে অনেক বিধি নিষেধ আরোপ করেছেন যেটা বেশ ভালো পদক্ষেপ। আমাদের মাস্ক ও টিকা এই দুটোকে সম্বল করেই আগামী দিনে বেঁচে থাকতে হবে।

  • dc | 27.62.66.5 | ১৪ জুলাই ২০২১ ২২:৫৩495794
  • "স্থান-কাল-নিরপেক্ষ   অ্যাবসলিউট সত্য বলে  কোন কিছু হয়না"


    এরকম স্থান-কাল-নিরপেক্ষ  অ্যাবসলিউট স্টেটমেন্ট দেওয়া কি ​​​​​​​ঠিক ​​​​​​​হলো? ​​​​​​​

  • Subhrajyoti Bhattacharjee | 2409:4065:493:57d8::13c2:60b1 | ১৫ জুলাই ২০২১ ০৮:২৯495799
  • খুব  ভাল লেখা।  শুরু করলে শেষ অবদি পড়তে হয়। যুক্তি গুলো অকাট্য। নিজেকে বিজ্ঞান-মনস্ক বলা এবং বিজ্ঞান-মনস্কের মতো আচারণ করা দুটো ভিন্ন জিনিস। 

  • dc | 223.184.45.52 | ১৫ জুলাই ২০২১ ০৯:০৩495800
  • সব চাইতে ভালো ​​​​​​​নিজেকে বিজ্ঞান-অন্যমনস্ক ​​​​​​​বলা। ​​​​​​​

  • Sobuj Chatterjee | ১৫ জুলাই ২০২১ ১০:৫৭495801
  • একটি অত্যন্ত বিজ্ঞান মনস্ক ব্যাখ্যা এবং সাহসী লেখা যার আপাদমস্তক মানুষকে ঋদ্ধ করে ভাবতে শেখায়। ভীষন প্রাসঙ্গিক।

  • খুড়োর কল | 2409:4060:2d80:e534:f6f6:27e7:7a6:ec47 | ১৬ জুলাই ২০২১ ১০:৫৪495823
  • পেটে গামছা বেঁধে হলেও মোটা গচ্চা দিয়ে টিকা নিতেই হবে বাঁচার তাগিদে।  আর নিয়েই যেতে হবে প্রতি এক বা দু বছর অন্তর। কারণ mutated virus কে পুরনো টিকা ঘায়েল করবে না। অন্যান্য করোনা ভাইরাসের ক্ষেত্রে যেমন হয়। ভালই খুড়োর কল এই covid. একদিকে গরীব মধ্যবিত্তের জীবিকা কেড়ে নেওয়ার ব্যবস্থা হলো অন্যদিকে কর্পোরেটদের পকেট ভর্তি হয়ে উপচে পড়লো। বিজ্ঞানমনস্করা বলেন এ সবই অদৃষ্ট! 

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে প্রতিক্রিয়া দিন