এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

  • বিজ্ঞান -- অপবিজ্ঞান -- যুক্তিবাদ -- কোভিড১৯ -- টিকাকরণ

    অমিতাভ সেন
    আলোচনা | বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | ২৬ জুন ২০২১ | ৬৪৬৫ বার পঠিত | রেটিং ৪.৮ (৬ জন)
  • এই লেখাটা লিখবো লিখবো করেও লিখছিলাম না। এই বয়সে এসে বন্ধু বিচ্ছেদ আর ভালো লাগে না। কিন্তু নীচে যার ছবি, তার স্মৃতি সতত তাড়িয়ে বেড়ায়, লেখার জন্য তাড়া দেয়। তাও হয়তো লিখতাম না। কিন্তু অতি সম্প্রতি একজন "তুখোড় বিজ্ঞানমনস্ক" ডাক্তারবাবুর একটা ব্লগ পড়ার পর আর স্থির থাকা গেলো না। অত্যন্ত সুললিত ভাষায় লেখা প্রবন্ধে তিনি আকার ইঙ্গিতে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন যে টিকা, মাস্ক, বা স্যানিটাইজার ব্যবহারের কোন যুক্তি নেই। কিন্তু লেখাটি বেশ কয়েকবার পড়েও ঠিক কী বলতে চেয়েছেন তা পরিষ্কার হল না। সব কথাই ইঙ্গিতে বলা, সোজা সাপটা কিছু নেই। যদিও তার আগে যখন দ্বিতীয় ঢেউ উঁকিঝুঁকি মারা শুরু করে দিয়েছে তখন তিনি সোজা কথা সোজা করেই বলেছিলেন – টিকাকরণের বিরুদ্ধে।

    প্রদীপ, আমার ভ্রাতৃপ্রতিম এক সহকর্মী। এত বড় মনের মানুষ আমি আমার জীবনে খুব বেশি দেখিনি। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ ওকে আমাদের কাছ থেকে নিয়ে গেছে। বয়েস ৫০, নীরোগ মানুষ, কোনো নেশা কখনো করেনি, দিনে অন্তত ঘন্টা দুই হাঁটা, যোগব্যায়াম ইত্যাদি শরীরচর্চা করত, খাবার একদম মাপমত - balanced diet। মাস্ক ছাড়া কোথাও বেরোতো না। মার্চের প্রথম থেকে টিকা নেবার সুযোগ ছিলো, নেয় নি। প্রতিদিন, হ্যাঁ প্রতিদিন সকালে অফিসে দেখা হওয়ার সময়, চেষ্টা করেও রাজি করাতে পারি নি। যেদিন রাজি হল, সেদিন আর টিকার যোগান নেই। তার ঠিক তিন দিন পর আক্রান্ত হল। সুদীর্ঘ এক মাসের লড়াই - কোভিড ওয়ার্ড, ICCU, ECMO সাপোর্ট - সমস্ত ঘুরে প্রদীপের যাত্রা শেষ হলো মে মাসের নয় তারিখে। রেখে গেল স্ত্রী দুই ছেলে আর আমার মত প্রচুর গুণমুগ্ধ মানুষ।

    এটা কি অবশ্যম্ভাবী ছিলো? সোজা উত্তর, না, একেবারেই নয়। যদি প্রদীপ টিকাটা নিতো তাহলে আজ ওর আমাদের মধ্যেই থাকার সমূহ সম্ভাবনা ছিলো ।

    কেনো রাজি হল না প্রদীপ? মার্চের মাঝামাঝি থেকে তো প্রায় প্রতিদিন কম্পিউটার স্ক্রিনের দিকে দুজনে একসঙ্গে তাকিয়ে দেখেছি যে দ্বিতীয় ঢেউ আসছে। একসঙ্গে পড়েছি টিকার ট্রায়াল ডেটা। তাহলে?

    প্রদীপ যে তার সঙ্গে পড়ত আরো অনেকের লেখা। "বিজ্ঞানমনস্ক" লেখকদের লেখা। যাদের বক্তব্যগুলো মোটামুটি ভাবে ছিলো এরকম

    ১। কোভিড এক সাম্রাজ্যবাদী চক্রান্ত
    ২। কোভিডের মৃত্যু হার সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জার মতোই।
    ৩। যারা কোভিড১৯ ছড়িয়েছে তারাই এখন টিকা বানিয়েছে আর প্রভূত মুনাফা লুটছে।
    ৪। টিকা আসলে টিকা নয় - অন্য কিছু।
    ৫। টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মারাত্মক।

    না, প্রদীপ এই তথ্য গুলো আমার সাথে আলোচনা করেনি, কিন্তু প্রভাবিত হয়েছে। কয়েকটা পয়েন্টে বিশেষ করে টীকা নিয়ে মনের মধ্যে অসংখ্য দ্বিধার সৃষ্টি হয়েছে। কারণ লেখাগুলো তো "বিজ্ঞান মনস্ক" মানুষের, তাদের মধ্যে ডাক্তারবাবুরাও আছেন যে।

    এরকম বেশ কিছু লেখা পড়ার যন্ত্রণা আমাকেও নিতে হয়েছে। অদ্ভূত সেসব যুক্তিবিন্যাস।

    ১। কেউ বললেন, বিল গেটস, এন্থনি ফাউচি ইত্যাদিরা উহানয়ের ল্যাবরেটরিতে এই মারণ ভাইরাস তৈরি করিয়েছেন আর তার সঙ্গে সঙ্গেই প্রস্তুতি নিয়েছেন টিকা তৈরির। এদের টার্গেট নাকি পৃথিবীর জনসংখ্যা কমিয়ে ফেলা আর সেই করতে করতে প্রচুর মুনাফা করে নেওয়া। আর ভারি মজার কথা প্রত্যেক ধাপেই, সেই ২০০৫ সাল থেকে, এঁরা অনেক প্রমাণ রেখে গিয়েছেন যাতে ভবিষ্যতে সে চক্রান্ত ধরে ফেলতে আমাদের একটুও অসুবিধে না হয়।

    ২। কারও বক্তব্য এটা কোনো মারণ ভাইরাসই নয়। সাধারণ সর্দি জ্বর মাত্র। ফার্মা কোম্পানি কোভিডের ভয় দেখিয়ে টিকা বিক্রি করে প্রচুর মুনাফা করবে বলেই এই ইনফোডমিক-এর সৃষ্টি। এই ইনফোডেমিকের উদ্দেশ্য সফটওয়ার আর ওষুধ তৈরির বহুজাতিক সংস্থাগুলোর হাজার হাজার কোটি টাকার মুনাফা বৃদ্ধি করা। এরা এতই কৌশলী যে অন্য শিল্প সংস্থাগুলো সব দেখবে শুনবে আর বসে বসে বুড়ো আঙুল চুষবে। তারপর আবার আর এক ষড়যন্ত্র-- সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিংয়ের মাধ্যমে আসন্ন বিপ্লবকে পিছিয়ে দেবার বা প্রতিহত করার প্রচেষ্টা।

    ৩। এর পর - এত কম সময়ে টিকা তৈরি হতেই পারে না। এটাও একটা চক্রান্ত। আমরা বোকাসোকা সাধারণ মানুষ কিসসু না বুঝে, বুদ্ধুর মত টিকার পিছনে দৌড়াচ্ছি। আমরা নাকি বুঝতেই পারছি না আগামী দিনে আমাদের "নাজানি দেশের অজানি কি" ভয়ঙ্কর সব অসুখ হবে।

    ৪। আর একদলের বক্তব্য -- সব হোক্স হে সব হোক্স। দ্বিতীয় ঢেউ বলে কিছু হয় না। টিকার কোন দরকার নেই। স্বাভাবিক সংক্রমণেই তৈরি হবে হার্ড ইমিউনিটি।

    আজকের সময়ে দাঁড়িয়ে ১ বা ২ নম্বরের বক্তব্য নিয়ে আলোচনা করা মানে অহেতুক আপনাদের ধৈর্যের পরীক্ষা নেওয়া। তাছাড়া ১ ও ২ ভয়ঙ্কর ভাবে পরস্পরবিরোধী দুই থিওরি। এই থিওরিগুলো এতই হাস্যকর তা আমরা সবাই এক বিশাল মূল্য দিয়ে বুঝেছি। অবশ্যই আমি এটা বলছি না যে ভাইরাসটি ল্যাবরেটরিতে তৈরি হয় নি। কিন্তু সেটাকে ইচ্ছাকৃত ভাবে বিভিন্ন দেশে ছড়ান হয়েছে টিকার বাজার তৈরির জন্য -- এই আজগুবি রূপকথা নিয়ে আলোচনা না-ই বা করলাম।

    একটু লিখতেই হবে ৩ ও ৪ নম্বর পয়েন্ট নিয়ে। পাঠক দুহাতের আঙুলে একবার গুনুন তো - সেইসব প্রিয়জনের সংখ্যা যাঁদের আপনি হারিয়েছেন গত আড়াই মাসে। একহাতে রাখুন সেই সংখ্যা যাঁরা টিকা নিয়েছিলেন, আরেক হাতে যাঁরা টিকা নেননি। আমার কথা যদি জিজ্ঞাসা করেন তাহলে বলি আমি ১১ জন প্রিয় মানুষকে হারিয়েছি - যাদের আমি ব্যক্তিগত ভাবে চিনি -- বন্ধুর বাবা, সহকর্মীর ভাই -- যাঁদের আমি সরাসরি চিনতাম না তাঁরা এই হিসেবে নেই। ১১ জনের মধ্যে ৯ জন সুযোগ থাকা সত্বেও টিকা নেন নি। ১ জন নিয়েছিলেন কিন্তু এত দেরি করে ফেলেছিলেন, যে প্রথম ডোজ কাজ শুরু করার আগেই আক্রান্ত হন। আর ১ জনের ক্ষেত্রে আমার জানা নেই, টিকা নিয়েছিলেন কিনা। মনে হয় না আপনাদের সংখ্যাগুলো কোনো ব্যতিক্রমী ট্রেন্ড দেখাবে।

    এ তো গেল এখনকার কথা। যখন মাস দুই আগেও এই "বিজ্ঞানমনস্ক" রা টিকার বিরুদ্ধে নিদান দিয়েছিলেন তখন কি তাঁরা একবারও ভেবে দেখেছেন যে বিগত দুই দশকে আধুনিক কম্পিউটারের ক্ষেত্রে আক্ষরিক অর্থে বৈপ্লবিক পরিবর্তন হয়ে গেছে। শুধু কত দ্রুত এখন genome sequencing হচ্ছে ৩০ বছর আগের তুলনায় তার একটা তুল্যমূল্য হিসেব করেছিলেন কি? বিশেষ করে যখন তাঁরা প্রশ্ন তুলছিলেন কি করে মাত্র ১ বছরেই টিকা আবিষ্কার হয়? বিজ্ঞানের একটা অন্যতম মহান অবদানকে কি নির্দ্বিধায় ফুৎকারে উড়িয়ে দিলেন, সব দিক যাচাই না করেই। ১৯৪৮ সালের মে মাসে মুম্বাই থেকে লন্ডন যেতে সময় লাগতো ১৫ দিন। জুন মাসে চালু হয় বাণিজ্যিক উড়ান। তাহলে যদি কেউ বলেন তিনি ১৯৪৮-এর জুন মাসে মুম্বাই থেকে লন্ডন গেছেন কয়েক ঘণ্টায় তাহলে কি সেটা মিথ্যে প্রমাণিত হয় শুধু এই কারণে যে তার আগের মাসেই এই সময়টা ছিল ১৫ দিন !!

    ভারত বায়োটেক এর কোভ্যাক্সিন এর Phase 3 ট্রায়াল হবার আগেই তাকে অস্থায়ী অনুমোদন দেওয়া হয়েছে সত্যি। কিন্তু এই "বিজ্ঞানমনস্ক" রা তাদের সুললিত ভাষায় যে বিন্যাস করলেন তাতে সুস্পষ্ট ইঙ্গিত রাখলেন যে কোনো টিকারই Phase 3 ট্রায়াল হয় নি। অক্সফোর্ড, ফাইজার, মডার্না - এদের Phase 3 ট্রায়াল ডেটা কিন্তু অন্তর্জালেই পাওয়া যাচ্ছে আর এই ডেটাগুলো সবই কিন্তু peer reviewed এবং ল্যান্সেট পত্রিকায় প্রকাশিত। বামপন্থীদের বহু পুরনো সমস্যা – জুতোর মাপে পা কাটা, পায়ের মাপে জুতো কেনা নয়। প্রথমে থিওরি তৈরি করো তারপর সেই অনুযায়ী তথ্য দাও বা তথ্যের অভাবে তথ্য উৎপাদন কর। এতো ঝড়ঝাপটার পরেও এই অভ্যেস আজও যায় নি। অবাক হয়ে পড়তে হয়, যে এটাও লেখা হল, টিকাকেন্দ্রগুলিতে টিকার বদলে প্রচুর placebo ইঞ্জেকশান দেওয়া হচ্ছে!

    টিকাবিরোধীদের আর একটা বক্তব্য -- Adverse Event Following Immunization (AAFI)। এর সমস্ত ডেটা - সারা বিশ্বের -- সেটাও কিন্তু অন্তর্জালে আছে। সেই সংখ্যাগুলো যা দেখাচ্ছে AAFI কোটিতে গুটিক -- দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে/ঘটছে – কিন্তু খুব কম সংখ্যায়। BMJ জানাচ্ছে ডেনমার্ক ও নরওয়ে তে প্রতি ১ লাখ লোকের মধ্যে ২ জনের রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা হয়েছে – ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১১ মে র মধ্যে (২,৮০,০০০ এর মধ্যে ৫৯ জন)। কেউ মারা যাননি। খোদ ইংল্যান্ড-এ ৩০৯ জনের এই সমস্যা হয়েছে যার মধ্যে ৫৬ জন মারা গেছেন – প্রথম ডোজ পেয়ছেন ২,৩০,০০,০০০ জন। সোজা অঙ্কের হিসেবে প্রতি ১০ লাখ টিকা প্রাপকের মধ্যে ১৩ জনের রক্ত জমাট বেঁধেছে। মারা গেছেন প্রতি ১০ লাখে ২.৬ জন। এই হিসেব মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত। “বিজ্ঞানমনস্ক” যুক্তিবাদীরা এই নগণ্য সংখ্যাকে তুলনা করলেন কি টিকা না নিয়ে কোভিডের মৃত্যুর সংখ্যার সঙ্গে? করলেন না। বেশ করলেন। কিন্তু মানুষকে AAFI এর ভয় যখন দেখালেন তখন এই সংখ্যাটা কি তুলে ধরা উচিত ছিল না? তারপর মানুষ নিজেই সিদ্ধান্ত নিতেন – কারন এই ভাইরাস কী করতে পারে তা বোঝার জন্য অন্তত আমাদের দেশের মানুষকে আর কোন জ্ঞানগর্ভ প্রবন্ধ পড়তে হবে না।

    আপাতত শেষ পয়েন্ট। এই যুক্তিবাদীদের বক্তব্য টিকা নয়, স্বাভাবিক সংক্রমণের মাধ্যমেই আসবে হার্ড ইমিউনিটি। পুনের একটা তথ্য দেখা যাক। ২০২০ র মার্চ থেকে গত ১লা মে পর্যন্ত পুনেতে প্রতি ১০ লাখ লোকের মধ্যে ৪৫,০০০ জন কোভিড আক্রান্ত হয়েছিলেন – মানে এঁদের টেস্ট রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। ICMR এর সেরো সার্ভে বলে ভারতে ডিটেক্টেড কেস : ইনফেক্টেড কেস :: ১:২০/৩০। যদি কম করে ২০-ই ধরি তাহলে শুরু থেকে ১লা মে অবধি পুনেতে প্রতি ১০ লাখ মানুষের মধ্যে ৯ লাখ সংক্রমিত। তাহলে তারপর সংক্রমণ এভাবে ছড়ায় কী করে? প্রথম ঢেউয়ের পরে দিল্লির সেরো সার্ভে জানিয়েছিল ৫০% এর বেশি মানুষ সংক্রমিত হয়েছিলেন রাজধানী শহরে। আমরা সবাই দেখেছি দ্বিতীয় ঢেউ দিল্লিতে কী করেছে। স্বাভাবিক সংক্রমণের মাধ্যমে হার্ড ইমিউনিটির অর্জনের থিওরি কি কাজে আসছে? আর টিকার প্রভাব? IMA ডেটা দিয়েছে, বাঙ্গুর হাসপাতাল ডেটা দিয়েছে, আরো ডেটা আসছে। সব ডেটা একই জিনিস দেখাচ্ছে। টিকার পর মৃত্যু হবার সম্ভাবনা প্রায় নেই।

    একদিন আমরা ঠিক জানতে পারবো সারা বিশ্বে এবং আমাদের দেশেও মোটামুটি কতো মানুষকে কোভিড নিয়ে গেলো। এটাও জানা যাবে তার মধ্যে কতজন টিকা নেবার সুযোগ ছিলো কিন্তু নেননি। যেটা কোনোদিনই জানা যাবে না -- এই মানুষগুলির মধ্যে কতজনের টিকা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত এই যুক্তিবাদীদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে।

    ছোটবেলা থেকেই ধর্মীয় কুসংস্কার আর অন্ধ বিশ্বাস থেকে বহু যোজন দূরে থেকেছি। কারণ আর কিছুই না এরা অপবিজ্ঞানের প্রচারক বলে। বিজ্ঞান তাকেই বলবো যা তার থিওরি দিয়ে জানা তথ্য গুলিকে ব্যাখ্যা করতে পারে। যখন নতুন তথ্য আসে তখন বিজ্ঞান তার থিওরিটাকেই পাল্টায়, উন্নীত করে। বৈজ্ঞানিক থিওরি একটা সতত পরিবর্তনশীল বস্তু। অপবিজ্ঞান কিন্তু একটা থিওরি দিয়ে দেবে, ব্যস সেটাই শেষ কথা। নতুন তথ্য যা থিওরির সঙ্গে মিলবে না সেই তথ্যটি অস্বীকার করা হবে। ধর্মগ্রন্থে যা লেখা আছে বা ধর্মগুরু যা বলেছেন সেটাই অমোঘ সত্য – অপরিবর্তনীয়। তথ্য যাই বলুক না কেন। যদি তাঁরা বলেন সূর্য পৃথিবী প্রদক্ষিণ করে, তবে তাই ধ্রুব সত্য। যদি বলেন গোচোনা সেবনে কোভিড মুক্তি বা নামাজ পড়লেই আর ভয় নেই তবে তাই।সব থিওরি সম্পূর্ণভাবে, ১০০% পূর্ব নির্ধারিত বিশ্বাস নির্ভর। কোনও নতুন তথ্য এই বিশ্বাসকে টলাতে পারে না।

    ছোটবেলা থেকেই আস্থা রেখেছিলাম বিজ্ঞানে, সত্যে, যুক্তিতে। ঠিক সেই কারণেই আজ যাদের বিরুদ্ধে কলম ধরতে বাধ্য হলাম, তাঁদের একএকটা রেফারেন্স পয়েন্ট হিসেবেই ধরতাম। তাঁরা যখন কিছু লিখতেন, বলতেন, যাচাই না করেই সেই ফ্যাক্টগুলো মেনে নিতাম, অনেক সময় দ্বিমত হতাম তথ্যের ব্যাখ্যায়, কিন্তু তথ্যে বা basic framework এ নয়। একটা আস্থা ছিলো, বিশ্বাস ছিলো, শ্রদ্ধা ছিলো - তাঁদের সততায়, জ্ঞানে, বুদ্ধিবৃত্তিতে। কিন্তু এখন যখন দেখি এঁদের অনেকেই পূর্বনির্ধারিত বিশ্বাস আঁকড়ে ধরে বাস্তবকে অস্বীকার করে অন্ধ বিশ্বাসের প্রচার করেন তখন মানতেই হলো, কোভিড১৯ অনেক কিছুই কেড়ে নিয়ে গেল তার মধ্যে নিয়ে গেলো এই আস্থাটাও, এতেও কম রিক্ত হলাম না – অন্তত ব্যক্তিগত ভাবে । এই বয়সে আস্থার জায়গা খুব কম, সেখানেও যখন টান পড়ে, হতাশ লাগাটা বোধহয় অস্বাভাবিক নয়।

    একদিকে নামাজ পড়ে বা গোচোনা খেয়ে কোভিড আটকানোর প্রচার, অন্য দিকে টিকার বিরুদ্ধে সওয়াল। বড় যন্ত্রণার সঙ্গে দেখতে হলো পরম শ্রদ্ধার আসনে রাখা মানুষগুলোও এক অন্ধ বিশ্বাসের জেলখানায় বন্দি -- ঠিক ধর্মীয় মৌলবাদীদের মতোই।

    N.B.:

    ১। ওষুধ কোম্পানিগুলোর ঐতিহাসিক ভাবেই বহু অনৈতিক কার্যকলাপ আছে -- সরকারকে অন্যায় ভাবে প্রভাবিত করা -- অপ্রয়োজনীয় ওষুধ বেচা -- সস্তার ওষুধের পেটেন্ট কিনে সেটাকে চেপে দেওয়া -- এইসব অভিযোগ পূর্ণ ভাবে স্বীকার্য।

    ২। কোভিডের সুযোগ নিয়ে বহু ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, বহুজাতিক সংস্থা হাজার হাজার কোটি টাকা করে নিয়েছে -- বাস্তব।

    ৩। তবে একথাগুলো সব ধরণের জায়গাতেই খাটে। উচ্চ রক্তচাপ বা মধুমেহ বা কেমোথেরাপি বা ডায়ালিসিস -- সব সব জায়গায়। কাজেই টিকার বিরুদ্ধে বলতে হলে এগুলোর বিরুদ্ধেও বলতে হয়।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ২৬ জুন ২০২১ | ৬৪৬৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • Abhyu | 47.39.151.164 | ০২ জুলাই ২০২১ ০৩:১৪495526
  • রমিতবাবু, অমিতাভ নন্দীর বক্তব্য শুনেছি এবং খুব ভুলভাল মনে হয়েছে। উনি নিজের মত ব্যক্ত করেছেন কিন্তু তার সপক্ষে কোনো যুক্তি হাজির করেননি। কোনো ভ্যাক্সিন-উৎপাদকই আজ অবধি দাবী করেনি যে তাদের টীকা নিলে, এমনকি সিভিয়ার ডিজিজ থেকেও, ১০০% সুরক্ষা পাওয়া যাবে। এটা risk reduction-এর ব্যাপার এবং ইজরায়েল বা ইউকে-র সাম্প্রতিক ডেটা থেকে এটা স্পষ্ট যে এক্ষেত্রে টিকা আমাদের সবচেয়ে কার্যকরী অস্ত্র এই মুহূর্তে। ডাক্তার হিসেবে এইসব এভিডেন্স অগ্রাহ্য করে হাবিজাবি কথা বলা আমার মনে হয় পাব্লিক হেলথের দিক থেকে খুবই বিপজ্জনক।

    আর এইসব টিকা যে অভূতপূর্ব দ্রুতগতিতে আবিষ্কৃত হয়েছে, তার পেছনে আগের অনেক গবেষণা এবং আরো অন্যান্য কারণ রয়েছে, যার অনেকগুলো BBC-র ঐ ভিডিওটায় আলোচিত হয়েছে।

  • s | 2405:8100:8000:5ca1::1f0:1573 | ০২ জুলাই ২০২১ ১২:৪৩495534
  • কোন তথ্য না জানিয়ে ট্রায়াল ফেজে লোককে টুপি দিয়ে ভ্যাকসিন দিতে গেলে প্রশ্ন উঠবেই।"যারা মারা গেছে ভ্যাকসিন নিলে মারা যেত না", "ভ্যাকসিন নিয়ে মারা গেছে মানে নিশ্চয় কোমর্বিডিটি, না থাকলে মারা যেত না", "ভারতে প্রায় সবাই ভ্যাকসিন পেয়ে গেছে, তাই ওয়েভ ২ মিইয়ে গেল" এসব গুল্পতে চিঁড়ে ভিজবে কী?

  • sm | 42.110.163.15 | ০২ জুলাই ২০২১ ১৩:৩৭495538
  • s এর প্রশ্ন গুলো বুঝলাম না।তবে অমিতাভ বাবু দায়িত্ব নিয়ে ভুলভাল বলেছেন।ভ্যাকসিন এর এফিকেসি নিয়ে,দ্বিধা ছড়িয়েছেন। 


    প্রথমত মিজলস,মাম্পস, হেপাটাইটিস এ,পোলিও প্রভৃতই আর এন এ ভাইরাসের সফল ভ্যাকসিন বাজারে দীর্ঘদিন ধরে চলছে।


    দুই,ইজরায়েল,ইউ কে,আমেরিকায় ভ্যাকসিনেশন ভালোভাবে চলার জন্য,নতুন কেস সংখ্যা কমেছে।


    তিন,ভ্যাকসিন প্রাপ্ত লোকজন এর মধ্যে সংক্রমণ হলেও খুব সিভিয়ার ডিজিজের বা মৃত্যু সংখ্যা কমেছে।


    চার, কোন ভ্যাকসিন ই একশো শতাংশ প্রতিরোধ করতে পারে না।সুতরাং বেছে বেছে,ওই দেখো ভ্যাকসিন নেবার পর ও মারা গেলেন বলে,অযথা আঙুল তোলা উচিত নয়।


    পাঁচ,ইউ কে প্রথম ইওরোপীয় দেশ হিসাবে জরুরী ভিত্তিতে ভ্যাকসিন নেবার সিদ্ধান্ত নেয়।ভ্যাকসিনেশন প্রোগ্রাম এর আগে ইউ কের অবস্থা শোচনীয় ছিল।


    ছয়,ভারতে সেকেণ্ড ওয়েভ এর তাণ্ডব লীলা দেখার পর,ভ্যাকসিন এর গতি সর্বোচ্চ করা উচিত।কারণ এটাই একমাত্র আশার আলো।


    সাত,পঁচাশি শতাংশ এমনি ঠিক হয়। বাড়ীতে ই চিকিৎসা করা যায়।এগুলো একদিক থেকে গরীব দেশের পক্ষে ঠিক। কিন্তু অক্সিজেন syachuresh কমতে দেখলে, বা,বেশি অসুস্থ হাসপাতাল এ যাওয়া বাঞ্ছনীয়।কারণ ঠিক মাপে অক্সিজেন দেওয়া, ভেন্টিলেশনে দেওয়া ( ইনভেসিভ  বা নন ইনভেসিভ  ) এসবের জন্য ওযল ইকুইপড হস্পপাতাল খুব দরকার।

  • sm | 42.110.163.15 | ০২ জুলাই ২০২১ ১৩:৩৯495539
  • #স্যাচুরেশন

  • sm | 42.110.163.15 | ০২ জুলাই ২০২১ ১৩:৪০495540
  • #বেশি অসুস্থ হলে

  • cm | 2a0b:f4c0:16c:4::1 | ০২ জুলাই ২০২১ ১৪:২৪495542
  • ইজরায়েল,ইউ কে,আমেরিকায় ভ্যাকসিনেশন ভালোভাবে চলার জন্য,নতুন কেস সংখ্যা কমেছে।


    ভারতে ভ্যাকসিনেশন ভালভাবে না চলেও নতুন কেস সংখ্যা কমেছে।


    ওই দেখো ভ্যাকসিন নেবার পর ও মারা গেলেন বলে,অযথা আঙুল তোলা উচিত নয়।


    ওই দেখো ভ্যাকসিন না নিয়ে ও মারা গেলেন বলে,অযথা আঙুল তোলা উচিত নয়।


    পঁচাশি শতাংশ এমনি ঠিক হয়।


    পঁচাশি শতাংশ ভ্যাকসিনের এফিক্যাসি।

  • sm | 42.110.163.15 | ০২ জুলাই ২০২১ ১৫:২৪495543
  • cm, দুটি সরল প্রশ্ন।


    এক,ভ্যাকসিন কিভাবে কাজ করে? মানে ভ্যাকসিন কি কি এ্যাংগল থেকে রোগ   ( এই ক্ষেত্রে কোভিড)    প্রতিি রোধ করে? 


    দুই, ভ্যাকসিন কি আদৌ দেওয়া উচিৎ নয়? 


    আপনার মত/ধারণা কি সেটি লিখুন।

  • Arabinda | 2405:8100:8000:5ca1::d0:3c49 | ০২ জুলাই ২০২১ ১৭:১৪495545
  • সরকার একবার বলল covishield সেকেন্ড ডোজ  6 weeks gap এ নিতে হবে, তারপর যেই কুলোচ্ছে না হয়ে গেল 12-16 weeks। covaxin ট্রায়ালের মধ্যেই দিয়ে দিল। UP তে এক গ্রামে 1st dose covaxin, 2nd dose covishield. তাতেও নাকি ক্ষতি নেই। এখন বলছে mix and match। দুটো dose নিলে কতদিন immunity থাকবে? কেউ জানে না। এখন বলছে নাকি 3rd dose লাগবে। মগের মুলুক পেয়েছে। কিছু জিজ্ঞেস করলেই irresponsible, anti-vax বলে দেবে। প্রশ্ন মানেই নাকি anti-science।

  • sm | 2402:3a80:1982:7605:278:5634:1232:5476 | ০২ জুলাই ২০২১ ১৭:৫৩495546
  • ইউ কে তে প্রথম দুটি  ভ্যাকসিন এর ডোজের মধ্যেকার গ্যাপ বাড়ানো হয়।এর পিছনে একটা কারণ ছিল,এতে করে নাকি এ্যান্টিবডি রেসপন্স বেটার হয়। কিন্তু ব্রিটেনে প্রবল সেকেণ্ড ওয়েভ চলাকালীন এই গ্যাপ আবার কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।কারণ তিনমাস গ্যাপ প্যান্ডামিক ওয়েভ এর জন্য যথেষ্ট টাইম। অনেক মানুষ কেবল একটি ডোজ পাওয়ার পর ই আক্রান্ত হয়ে যাবে।এর চেয়ে ছ সপ্তাহ গ্যাপে দুটো ডোজ নিলে আক্রান্ত ব্যক্তি,বেটার ফাইট দিতে পারবে।মৃতুসংখ্যা অপেক্ষাকৃত কম হবে।


    ভারতের বর্তমান সিচুয়েশন এরকম।কোন ভালো রকম প্রস্তুতি ছাড়াই ভয়ানক সেকেণ্ড ওয়েভ স্টার্ট হয়ে গেছে।বিপুল জনসংখ্যার তুলনায় ভ্যাকসিন রয়েছে ক্ষুদ্র ভগ্নাংশ। তাই সরকারের স্ট্র্যাটেজি, যতো পারো প্রথম ডোজ দিয়ে দাও,সেকেণ্ড ডোজের গ্যাপ বাড়াও।অর্থাৎ নাই মামার চেয়ে কানা মামা--- 


    তাই প্রায় ত্রিশ কোটি ভ্যাকসিন ডোজের মধ্যে প্রথম ডোজ পেয়েছে প্রায় পঁচিশ কোটি আর দ্বিতীয় ডোজ চার কোটি মতোন।


    এবারে ভ্যাকসিন দেওয়া ভালো কি মন্দ, এই প্রসঙ্গে একটি যুক্তি তুলে ধরতে চাই।


    কিছুদিন আগে তিনোরা গলা ফাটাচ্ছিলো আট দফা ইলেকশনের   জন্য বাংলাায়  সংক্রমণ  বেড়েছে। আর   বিজেপি দিিক থেকে প্র্র্র্চার  


    হচ্ছিল ,  মহা রাষ্ট্রে তো সংক্রমন বেড়েছে। কৈ ওখানে তো ইলেকশন ছিলো না!!

  • sm | 2402:3a80:1982:7605:278:5634:1232:5476 | ০২ জুলাই ২০২১ ১৮:০৩495547
  • এটাকে বলে  ক্ল্যাসিকাল অপযুক্তি। কারণ বিজ্ঞান বলছে যত বেশি মিক্সিং হবে,ততো রোগ ছড়াবে।


    এই প্রাথমিক যুক্তির ভিত্তিতেই তো কেন্দ্রীয় দরকার লকদাউন ঘোষণা করেছিল।


    তাহলে মূল প্রশ্নের উত্তর কি?কেন ইলেকশন ছাড়াই মহারাষ্ট্রে এতো সংক্রমণ হলো? 


    ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে ,স্প্যানিশ ফ্লু এর আমলে ও মুম্বাই অপেক্ষাকৃত বেশি সংক্রমিত হয়ে ছিল।কারণ মুম্বাই তে দেশ বিদেশের লোকজন যাতায়াত বেশি। আবার সংক্রমণ পরবর্তী কালে নতুন ভ্যারিয়েন্ট তৈরী হবার সম্ভাবনাও বেশি। আরো কিছু ছোট বড় কারন থাকতে পারে।


    প্রশ্ন করার অভ্যাস ভালো। উত্তরের জন্য ও অপেক্ষা করতে হয় বা রিসার্চ চালাতে হয়। কিন্তু অমিতাভ বাবুর মতন একদিকে আমি ভ্যাকসিন বিরোধী নয়, কিন্তু আদৌ ভ্যাকসিন কাজ করে কি? এই দুটো জিনিষ পাশা পাশি চলতে পারে না।

  • hm | 2405:8100:8000:5ca1::4aa:414f | ০২ জুলাই ২০২১ ১৮:৫৯495548
  • যত বেশি মিক্সিং হবে,ততো রোগ ছড়াবে।


    https://kolkatatv.org/health/madhya-pradesh-stampede-like-situation-during-vaccination/


    ভোপাল: কার আগে কে নেবে ভ্যাকসিন? এই নিয়ে রীতিমত মারামারি, ধাক্কাধাক্কি, হুলুস্থুল কাণ্ড পড়ে গেল। পরিস্থিতি এতোটাই বিগড়ে গেল যে প্রায় পদপিষ্ট হয়ে যাওয়ার মত অবস্থা। ভ্যাকসিন রয়েছে মাত্র ২০০টি। আর গ্রামবাসীদের সংখ্যা প্রায় ২ হাজার। প্রত্যেকেই চাইছেন ভ্যাকসিন নিতে। লাইন ভেঙে কে কার আগে পৌঁছবেন চিকিৎসকের কাছে। তাই নিয়েই তাড়াহুড়ো। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের চিন্দওয়ারা জেলায়।

  • Amitava Sen | ০৫ জুলাই ২০২১ ০৭:৫৪495617
  • @চঞ্চল নন্দী


    আমার কোনো ব্লগ বা ওয়েবসাইট নেই। আমি রেগুলার লেখক নই একেবারেই। আপনি নিচের ইমেল এ একটা মেল করলে ইংরেজি অনুবাদ করে দিতে পারি। চাইলে আপনি বা অন্য যে কেউও অনুবাদ করে নিতে পারেন। গুরুচন্ডালি র আপত্তি না থাকলে আমার কোনো আপত্তি নেই। আমার নাম দেবার ও কোনো প্রয়োজ নেই। 


    [email protected]

  • CHINMOY NANDI | 2405:201:8017:d00f:3170:22cb:5b31:c403 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২১:২৬498026
  • ২৬ এ জুন ২০২১ গুরুচন্ডালিতে প্রকাশিত অমিতাভ সেনের "বিজ্ঞান--অপবিজ্ঞান--যুক্তিবাদ--কোভিড১৯--টিকাকরণ" লেখাটি ইংরেজিতে অনুদিত হয়েছে। অনুদিত লেখাটির নাম "Deadly Impact of Pseudo-science: Anti-vaccine Propaganda on Covid-19 is Taking Many Lives"।
  • CHANCHAL NADI | 2405:201:8017:d00f:3170:22cb:5b31:c403 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২১:২৮498027
  • ২৬ এ জুন ২০২১ গুরুচন্ডালিতে প্রকাশিত অমিতাভ সেনের "বিজ্ঞান--অপবিজ্ঞান--যুক্তিবাদ--কোভিড১৯--টিকাকরণ" লেখাটি ইংরেজিতে অনুদিত হয়েছে। অনুদিত লেখাটির নাম "Deadly Impact of Pseudo-science: Anti-vaccine Propaganda on Covid-19 is Taking Many Lives"।
    অনুবাদটি নিচের লিংক-এ পাওয়া যাবে :
     
    কেউ চাইলে লিংকটি শেয়ার করতে পারেন।
     
     
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন