এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  শিক্ষা

  • শিক্ষা ব্যবস্থার পিণ্ডদান

    অমিতাভ সেন
    আলোচনা | শিক্ষা | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ৩৬১২ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • আমাদের রাজ্যে টানা ১৮ মাস সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। সেই দেড় বছর পূর্তির মুখোমুখি সময়ে, গত ৬ই সেপ্টেম্বর তারিখে  School Children Online & Offline Learning (SCHOOL) একটি ৩২ পাতার সার্ভে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে: “LOCKED OUT - Emergency Report on School Education”. সম্পুর্ণ সার্ভে রিপোর্ট আন্তর্জালে আছে। গুগল বাবার সহায়তা নিলে মুহূর্তের মধ্যেই পাওয়া যাবে। ১০০ জন স্বেচ্ছাসেবক গবেষক দেশের ১৫টি প্রদেশে (তার মধ্যে একটি পশ্চিমবঙ্গ) এই সার্ভে করেন। মূল উপদেষ্টা ছিলেন প্রখ্যাত অর্থিনীতিবিদ জীন দ্রাজে (Jean Drèze)। এই সার্ভে সংগঠিত হয়েছে প্রান্তিক পরিবারের বাচ্চাদের উপর যাদের অধিকাংশই পড়ে সরকারি স্কুলে। নেওয়া হয়েছে প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাচ্চাদের – তৃতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণী।

    SCHOOL তার সার্ভে রিপোর্টে জানিয়েছে:


    • ৩৭% বাচ্চা ইতিমধ্যেই পড়াশোনা ত্যাগ করেছে।
    • গ্রামাঞ্চলে ৮% বাচ্চার অনলাইন পড়ার ঠিকঠাক সুযোগ আছে, শহরাঞ্চলে সেটা ২৩%।
    • নিয়মিত অনলাইন ক্লাস করার হিসেব হল – শহরাঞ্চলে ২৪%, গ্রামাঞ্চলে ৮%।
    • গ্রামাঞ্চলের বাচ্চাদের ৫০% বাড়িতে স্মার্ট ফোন নেই। যাদের বাড়িতে আছে তাদের মধ্যেও অধিকাংশ বাচ্চার ক্ষেত্রে বেশির ভাগ সময় বাড়ির বড়দের হাতেই থাকে ফোন।
    • দলিত এবং আদিবাসী বাড়ির কচি কাঁচাদের মাত্র ৫% আশ্রয় পেয়েছে এই অনলাইন ক্লাসের আঁচলের তলায়।
    • অভিভাবকরা জানাচ্ছেন ৭৫% (গ্রামে) আর ৭৬% (শহরে) বাচ্চার পড়ার ক্ষমতা (reading ability) গত দেড় বছরে আগের চেয়ে হ্রাস পেয়েছে। গ্রামের ৪৮% বাচ্চা কয়েকটি শব্দের বেশি পড়তে পারে না। শহরে এই সংখ্যাটা ৪২%।
    • গ্রামাঞ্চলে ৯৭% – না কোনও typo নেই, ঠিক পড়েছেন – ৯৭% অভিভাবক বলছেন ইতিমধ্যেই অনেক দেরি হয়ে গেছে, আর এক মুহূর্ত দেরি না করে এই মুহূর্তে স্কুল চালু হোক। শহরের ৯০% অভিভাবক সহমত।
    • শতাংশে উল্লেখ নেই কিন্তু SCHOOL সার্ভে জানাচ্ছে তারা শহর ও গ্রামে বেশ কিছু শিক্ষক, শিক্ষিকার কথা বাচ্চাদের কাছে শুনেছেন, যারা সমস্ত প্রতিবন্ধকতা পার করে চেষ্টা করছেন বাচ্চাদের কাছে পৌঁছানোর, তাদের পাশে দাঁড়ানোর। অন্যদিকে গ্রামের ৫৮% আর শহরের ৫১% বাচ্চা গত ৩০ দিনে কোনও শিক্ষকের দেখা পায়নি।
    • গ্রামের ৭১% শহরে ৫২% বাচ্চা গত ৩ মাস যাবৎ কোনোরকম ক্লাস টেস্ট বা পরীক্ষা দেয়নি।

    ওপরের তথ্যগুলো এতই পরিষ্কার, যে এ নিযে বিস্তারিত ব্যাখ্যার কোনো দরকার নেই। কোভিড-এর মৃত্যু-প্লাবনের চেয়ে কোনো অংশে কম ভয়ঙ্কর নয় এই সংখ্যাগুলো।

    প্রশ্ন উঠতেই পারে, এই সার্ভের স্যাম্পেল সাইজ কত ছিলো? সঙ্গত প্রশ্ন। উত্তর ১,৩৬২ এবং স্যাম্পেল সাইজ ছোট, সেটা স্বীকার্য। অন্যদিকে দ্রাজে সাহেব যখন গাইড করেছেন, তখন নিশ্চিত ভাবেই আশা করা যায় random sampling একদম ঠিকঠাক ভাবেই হয়েছে। আর আমরা আশেপাশে যা দেখছি, তা কিন্তু পুরোপুরি মিলছে সার্ভের ফলাফল-এর সাথে। সমাজ বিজ্ঞানী ঝর্ণা পাণ্ডা, যিনি ২৫ বছরের ওপর শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের ওপর কাজ করছেন, তাঁর বিভিন্ন লেখাতেও একই কথা বলছেন। একই কথা বলে চলেছেন পাটুলী স্ট্রিট-লাইব্রেরির কর্ণধার শিক্ষক কালিদাস হালদার, সোজা কথায় আমাদের সবারই ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার (anecdotal evidence) সাথে এই সার্ভের ফলাফল পুরো মিলে যাচ্ছে।

    অতি সংক্ষেপে আরও গোটা চারেক পয়েন্ট আলোচনা করার দরকার বলে মনে হয়:

    • Learning loss – একটা নতুন শব্দবন্ধ। মানে হল, গত দু’টি শিক্ষাবর্ষে বাচ্চাদের যা শেখার কথা ছিল কিন্তু শিখল না, তার পরিমাপ। ছোট্ট শব্দবন্ধ, কিন্তু তার প্রভাব অকল্পনীয় ভাবে সুদূর-প্রসারী। ভাবুন তো একবার, ২০২০-তে যে বাচ্চা সপ্তম শ্রেণীতে উঠেছিল এবং তার বাবা অথবা মায়ের সেই শিক্ষাগত গুণমান ছিল না যাতে তাঁরা বাচ্চাটিকে বাড়িতে পড়াতে পারেন, আজ সেই বাচ্চাটি নবম শ্রেণীতে গিয়ে কিভাবে অঙ্ক বা বিজ্ঞান-এর বিষয়গুলোকে সামলাবে? স্কুল-ছুটের দলে নাম লেখানো ছাড়া তার সামনে আর কোনো অপশন থাকছে কি? আমাদের দেশে এই জাতীয় পড়ুয়াই কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ।
    • যে বাচ্চাটির সচ্ছল অভিভাবক তাকে মোবাইল, ল্যাপটপ আন্তর্জালের দুর্দান্ত কানেকশন দিলেন এবং খুব স্বাভাবিক ভাবেই বাচ্চাটি পড়ার বদলে digital addiction এ আক্রান্ত হল, তাকে কিভাবে রোগমুক্ত করা হবে?
    • যারা ২০২০-তে বিভিন্ন vocational কোর্সগুলিতে ভর্তি হয়েছিল, তাদের কোর্সের সময় শেষ। পাশের সার্টিফিকেট তো তারা পাবে, কিন্তু হাতে কলমে কিছুই না শিখে, শুধু সার্টিফিকেট দেখিয়ে সে কোনও কাজ আদৌ পাবে কি? তার কিন্তু দেশ দশের সেবা করে কামাই করার সুযোগ নেই, তাকে অধীত স্কিলের ব্যবহার করেই গ্রাসাচ্ছাদনের বন্দোবস্ত করতে হবে।
    • যে অগণিত বাচ্চা নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী স্কুলেই গেল না, অথবা কলেজের দু’টি বছর বাড়িতে বসে কাটিয়ে দিল, তার তো স্কুল কলেজের বন্ধু গোষ্ঠীই তৈরি হল না, অনেকেরই ব্যাহত হল স্বাভাবিক মানসিক বিকাশ। আর আমরা তো জানি, স্কুল-কলেজের বন্ধুগোষ্ঠী জীবন সংগ্রামের প্রতি পদে কতটা জরুরি।

    ৯৭% অভিভাবক উদ্বিগ্ন। শিক্ষক, শিক্ষিকা, সমাজ বিজ্ঞানীরা আতঙ্কিত, কিন্তু স্কুল-কলেজ খোলা যাদের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর, তাদের তো কোনো হেল দোল চোখে পড়ে না। দরাজ হাতে পাশের সার্টিফিকেট এর ললিপপ বিলিয়েই আমাদের উদ্ধার করে দিচ্ছেন। কোভিড-১৯ কি আকার নেবে প্রথমে বোঝা যায়নি। কিন্তু বহু বহু দিন আগেই এটা তো বোঝা গেছে – কোভিড-১৯ আমাদের ছেড়ে যাবে না। ভাইরাসের ভিরুলেন্স কমবে, কিন্তু সে থাকবে আমাদের সাথেই। কাজেই যখন রোগের প্রসার ও প্রকোপ কম, তখন কেন স্কুল কলেজ খোলা হবে না – এর সদুত্তর নেই। প্রথম ঢেউয়ের পর নভেম্বর/ডিসেম্বর ২০২০ থেকে মার্চ ২০২১ পর্যন্ত স্কুল কলেজ চালাতে কি অসুবিধে ছিল? এই সময়ে কিন্তু এ রাজ্যে অফিস, কারখানা, বাজার, খাবার দোকান সব কিছু খোলা ছিল। বিধানসভা নির্বাচন থেকে কুম্ভ, ঈদ, সব কিছু হয়েছে, শুধু খোলেনি স্কুল কলেজ। দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর, জুনের মাঝামাঝি থেকে স্কুল কলেজ তো আরামসে খোলা যেত – বাকি সব কিছু তো খুলেই গেছে। দুই খেপে এতদিনে কিন্তু ৮ মাস স্কুল হয়ে যেত। আর যদি ছুটি কমিয়ে এবং তার সাথে দৈনিক সময় বাড়ানো যেত, তাহলে হয়ত ১৮ মাসের মধ্যে ১০ মাসের ক্ষতিপূরণ করা যেত খুব সহজেই। ইংল্যান্ড বা আমেরিকায় কিন্তু ঠিক এইভাবেই বার বার স্কুল চালু হচ্ছে। এখানকার কাগজে হই হই করে পশ্চিমের দেশে স্কুল বন্ধ হবার খবর বার হয় কিন্তু স্কুল খোলার খবর থাকে না। পুঁজিবাদী দেশ তো, সেইজন্যই হয়তো ওরা সামাজিক পুঁজির অপরিসীম মূল্যটা বোঝে! আমরা কি আশা করছি – যেদিন কোনো এক জাদুকাঠির ছোঁয়ায় দুনিয়া থেকে কোভিড বিদায় নেবে – সেইদিন স্কুল খুলব? তাই যদি ভেবে থাকি, তাহলে স্কুলবাড়িগুলো ভেঙ্গে ফ্ল্যাট তৈরির প্রমোটিং-এর ব্যবসা খোলাই ভাল, স্কুল-ছুট বাচ্চাগুলো কিছু কাজ পাবে।

    স্কুল তো খুললই না, তার বদলে এখনও অবধি শুধু ধানাই-পানাই চলছে। শোনা যাচ্ছে, পুজোর পর খুলতে পারে। কেন এখুনি নয়, কেন পুজোর পর? আমরা কেউ জানিনা তৃতীয় ঢেউ কখন আসবে বা আদৌ আসবে কিনা। রকম সকম দেখে যদি কারও মনে হয়, যে এখন শুধু অপেক্ষা কবে তৃতীয় ঢেউ আসবে আর সেই সুযোগে স্কুল কলেজ আরও অনেকদিন বন্ধ  রাখার অজুহাত পাওয়া যাবে – তাহলে কি খুব নিশ্চিত ভাবে বলা যাবে সে ভুল ভাবছে?

    জুলাইয়ের মাঝামাঝি আমাদের ফ্ল্যাটে এক ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রি এসেছিলেন। তাঁকে জিজ্ঞেস করেছিলাম স্কুল খোলার দরকার আছে কিনা? তিনি বলেছিলেন “স্যার, এটা কোনো প্রশ্ন হল? বাচ্চা দুটো বরবাদ হয়ে যাচ্ছে”। SCHOOL এর গবেষকের একই প্রশ্নের উত্তরে প্রত্যন্ত গ্রামের মহিলা অবাক হয়ে বলেন “ইয়ে পুছনে-ওয়ালি বাত হ্যায়? বাচ্চা কা জিন্দেগি তো খতম হো রহা হ্যায়”। পূর্ব ভারতের সবচেয়ে বড় শহরের এক অসহায় বস্তিবাসী বাবার আকুতির সাথে বিহার/ঝাড়খণ্ডের এক প্রান্তিক পরিবারের মায়ের হাহাকার কি আমাদের বাধ্য করবে না খান দশেক “পুছনে-ওয়ালা বাত” সব ফোরামে তোলার জন্য? প্রশ্নগুলো এ রাজ্যের নীতি নির্ধারকদের জন্য:

    ১। আপনারা কি মানেন, যে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য যে কোনো দেশের সবচেয়ে বড় সমাজিক পুঁজি?
    ২। তার সাথে এটা কি মানেন, যে ছোটদের মানসিক এবং শারীরিক সুস্থতা দেশের সবচেয়ে বড় সম্পদ? ১৮ মাস বাড়িতে বন্দি হয়ে বড় শহরের কচিকাঁচাগুলোর মানসিক স্বাস্থ্যের কি অবস্থা সে বিষয়ে কোনও চিন্তা ভাবনা কি আপনারা করেছেন?
    ৩। আপনারা কি জানেন, যে বিস্তীর্ণ গ্রামাঞ্চলে পুরো অতিমারীর সময় জুড়েই বাচ্চারা একসাথে খেলেছে, সাঁতার কেটেছে, সব কিছু করেছে, স্কুল-যাওয়াটা বাদে?
    ৪। বাড়ির বড়রা ভিড় বাসে ট্রেনে যাতায়াত করে বাড়িতে সংক্রমণ বয়ে আনবেন না, কিন্তু ছোটরা স্কুলে গেলেই মহাভারত অশুদ্ধ হবে। মদের বার খোলা, রেস্তোরাঁ খোলা, সিনেমা হল খোলা, বাজার দোকানে উপচে-পড়া ভিড়, কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দেড় বছর ধরে বন্ধ। যুক্তি কি?
    ৫। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এইভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত কি কোনো objective parameters এর ওপর নির্ভর করে নেওয়া হয়েছে?
    ৬। যদি তাই হয়, কি সেই objective parameters? দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা, মৃত্যুর হার, test positivity ratio, টীকার সংখ্যা – কি সেই গোপন parameter? ওপরের সংখ্যাগুলো আর কত কমলে স্কুল কলেজ খুলবে?
    ৭। নাকি এসব কিছুই নেই। ব্যক্তি বা ছোট গোষ্ঠীর subjective perception-এর ওপর নেওয়া হয়েছে ও হচ্ছে এই সিদ্ধান্ত?
    ৮। স্কুল খোলার পর (যদি আদৌ খোলে) কিভাবে এই learning loss কে সামাল দেওয়া হবে তার পরিকল্পনা করার জন্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কোনো কমিটি কি তৈরি হয়েছে? নাকি এখানেও সেই ব্যক্তি বা গোষ্ঠী-নির্ভর subjective perception based তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে?
    ৯। শহরে এবং গ্রামে – সচ্ছল পরিবারের সন্তান এবং প্রান্তিক পরিবারের সন্তানের মধ্যে -- learning loss এর যে আকাশ পাতাল পার্থক্য থাকবে (একই বোর্ডের একই শ্রেণীর ছাত্রদের মধ্যে) তা কি আদৌ ধর্তব্যের মধ্যে ধরা হচ্ছে?
    ১০। এতদিন জানা ছিল, ছাত্র আন্দোলনের এক বড় অস্ত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা, এবার কি ছাত্রদের রাস্তায় নামতে হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার জন্য?

    যদি আমাদের একটা বড় অংশ প্রশ্নগুলো তুলি তাহলে অবশ্যই তার সদুত্তর পাওয়া স্বম্ভব। সদিচ্ছা থাকলে পঙ্গুও পাহাড় টপকাতে পারে।

    আর যদি প্রশ্ন না তুলতে পারি, বা তুললেও অচলায়তন যদি না ভাঙ্গে, তাহলে আর কি – “কৃষ্ণ বলো সঙ্গে চলো”! এ রাজ্যে তো ছুটির অভাব নেই, ছুটি উপভোগ করতে করতে বেশির ভাগ মানুষই বোধহয় ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। চলুন একবার “খেলা হবার” ফাঁকে কোনো একটা পড়ে পাওয়া চোদ্দ আনা ছুটিতে টুক করে গয়া যাই – শিক্ষাব্যবস্থার পিণ্ডদানটা সেরে আসি। আর যদি ছুটিতে বাড়ি বসে থেকে থেকে গেঁটে বাতে ধরে থাকে, তাহলে আর গয়া গিয়ে কাজ নেই, তার চেয়ে বরং জেনারেশন-X এর ভাষায় একযোগে বলি “RIP Education”!

    ওঁ শান্তি



    মূল ছবি: Rebecca Zaal, Pexels
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ৩৬১২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Soumitra Sasmal | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১০:১৭498137
  • অবশ্যই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা উচিত।
    এটাও বিশ্বাস করি, সদইচ্ছা থাকলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহু আগেই খোলা যেতে পারতো এবং সমস্ত রকম পরীক্ষা গুলোও নেওয়া যেতে পারতো।
    কোনো রকম টালবাহানা ছাড়াই অবিলম্বে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দরকার আছে।
  • Ramit Chatterjee | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১০:২৪498138
  • খুব প্রয়োজনীয় সার্ভে। তবে স্যাম্পল সাইজ আরো বড় হলে মনে হয় ভালো হত। রেসাল্ট কতটা চেঞ্জ হতো জানিনা, কিন্তু সার্ভের গুরুত্ব আরো বাড়ত। 
  • bidisha pal | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১১:৫৩498140
  • খুবই ভালো সার্ভে। কিন্তু আমার মনে হয় না আমাদের দেশে কোনো ছোট বড় সরকারের বিন্দুমাত্র মাথাব্যাথা আছে বাচ্চাদের পড়াশুনা নিয়ে। বরঞ্চ তাঁরা আমজনতার চোখ অন্যান্য বিষয়ে ঘুরিয়ে দিতে বেশী স্বচ্ছন্দ। আতঙ্কের ব্যাপার এটাই যে পুরো দেশের একটা প্রাথমিক ভিত্তিকে এতটা হাল্কা ভাবে দেখা হচ্ছে। বাড়ি থেকে পড়াশুনো করার ব্যাপারটা এমনকি উচ্চমধ্যবিত্ত পরিবারে, যেখানে অঢেল ইন্টারনেট ইত্যাদি মজুত রয়েছে, সেখানেও স্কুলে কিছু বুঝে শিখে নেবার তুলনায় অনেকটাই কম কার্যকরী। 
     আমাদের কোনো পরিবর্ত পরিকল্পনা নেই এই 'লার্নিং গ্যাপ' কি করে পূরণ করা হবে, সরকারের তরফ থেকে হয়তো এই বাচ্চাদের পাশ করিয়ে দিয়ে বা কোটায় সার্টিফিকেট দিয়ে দয়া দেখানো হবে, কিন্তু বাকি দুনিয়ার অনেক দেশের তুলনাতেই আমরা পিছিয়ে পড়তে চলেছি আগামী বছরগুলিতে।
  • santosh banerjee | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১২:৪২498142
  • সম্পুর্ন একমত। সবচেয়ে যেটা মারাত্মক তার হলো বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শিশু রা এবং উচ্চ শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীদের যে স্বচ্ছন্দে মেলামেশা, সামাজিক ভাবের আদান-প্রদান ইত্যাদি র মাধ্যমে একটা সৌহার্দ্য র জগৎ তৈরি হয়, সেটা বন্ধ হলো।সব কিছুই তো চলছে! তাছাড়া, অন্তর্জাল , স্মার্টফোন এসব কেনার ক্ষমতা যে দেশের অধিকাংশ বাড়িতে নেই,তাই কি আমাদের এই ভুরুঙগে বজ্জাত সরকারের জানা নেই? আছে, কিন্ত ঐ নীতি বানানো হনুমান দের মাথায় তো গরীব গুরবো দের কথা মনে থাকে না, ওনারা ইলাইট ক্লাস আর শহরের এ্যফলুয়েনট দের জন্য ভাববেন।গরীব যতদিন গরীব আর অশিক্ষিত থাকবে ততদিন ওদের লাভ না ? 
  • ঝর্ণা পান্ডা | 223.191.52.146 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৭:৪৩498165
  • যেকোন গবেষণায় স‍্যাম্পেল সাইজ কম হলে সঠিক ফলাফল পাওয়ার ক্ষেত্রে একটি সমস্যা থেকে যায় বা কখনো কখনো ফলাফলের বাস্তবতা নিয়ে প্রশ্নও উঠতে পারে। কিন্তু বর্তমানে স্কুল খোলার পক্ষে অভিভাবক ছাত্রছাত্রী অথবা সাধারন নাগরিকদের মতামত ও পড়ুয়াদের পড়াশোনা সক্রান্ত বিষয়ে জানতে চাইলে দেখতে চাইলে আমাদের চারপাশে খোলা চোখে দেখতে পাই দেখতে পাওয়া যায়। তাতে করে অবশ্য শতাংশের হিসেব পাওয়া যায়না।
    আমাদের শিক্ষা মন্ত্রী অবশ্য জানিয়েছেন একটি সমীক্ষা থেকে জানা যাচ্ছে অভিভাবকরা নাকি চাইছেন না যে এখনই স্কুল খোলা হোক!!! জানতে ইচ্ছে করে কাদের এই সমীক্ষা র দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল? 
    সম্প্রতি ড্রপ আউট ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা জানতে চাইল্ড রেজিস্টারর ফর্ম কিভাবে ফিলাপ করা হলো শুনেছেন নিশ্চয়ই? জেলায় জেলায় সংখ্যাগরিষ্ঠ শিক্ষক শিক্ষিকা বললেন -আমাকে ছেড়ে দিন আমি ওসব পারবো না। পার্শ্ব শিক্ষকদের দাবীদাওয়া নিয়ে তো অভিযোগ ভুরি ভুরি। তারা মনে করলেন ড্রপ আউট ছাত্র ছাত্রী দেখালে আমাদের ঘাড়ে পড়বে তাদের স্কুলে টেনে আনার। কাজেই সবাই গুড় বয়ের মতো স্কুল খোলার অপেক্ষায়  বাড়িতে বসে আছে। যারা সঠিক ছবিটি ধরবার চেষ্টা করলেন সার্কেল অফিসের কর্তা মনে করলেন আমার সার্কেলে এতো ড্রপ আউট দেখান যাবে না। ব‍্যাস হয়ে গেল!!! কর্তারা তো বলতে পারবেন এতো কিছু র পরও আমাদের রাজ‍্যে ড্রপ আউট ছাত্র ছাত্রীদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে কম। আমাদের আর কি চাই?
  • শান্তনু | 49.37.53.135 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৯:৩১498169
  • আমাদের ১৫০ বাচ্চার একটা ছোট্ট স্কুল আছে, দ্বিতীয় ঢেউ এর আগে, অভিভাবক দের মতামত নেওয়া হয়েছিল, কেউ বাচ্চাকে স্কুলে পাঠাতে চায় কি না (যারা আসবে, তারা ক্লাসে বসে লেকচার শুনবে, বাকিরা সেইটাই অনলাইন - এইরুপ ব্যবস্থা করা হয়েছিল). টিচার রা খুব নেচেছিল স্কুলে আসবে বলে। কিন্তু ১২-১৩ জন অভিভাবক (১০% এর কম) রাজি ছিলেন। স্কুল দিব্যি অনলাইন ই চলছে।
  • শান্তনু | 49.37.53.135 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৯:৩৩498170
  • * মাত্র ১২-১৩ জন
  • দিলীপ | 157.40.250.151 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০০:২৫498174
  • একমত 
  • আশিস গংগোপাধ্যায় | 114.29.227.237 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০১:০১498176
  • স্কুল কলেজ না খোলায় যা ক্ষতি হবার তা তো হচ্ছেই। সে নিয়ে দ্বিমত নেই বিশেষ। কিন্তু খোলার বিষয়ে সংগত কারণেই রিস্ক এর কথা ভাবতে হচ্ছে। বিদেশের সাথে তুলনা কি চলে আমাদের দেশের বাস্তব পরিস্থিতির? বাচ্চারা অনেক বেশী ভালনারেবল। টীকা তারা পায় নি। বরং দ্রুত টীকাকরণ বাচ্চাদের টীকার ব্যবস্থা ত্বরান্বিত করা এগুলো দাবী হওয়া উচিৎ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বিপুল বেড়ে গেলে এই সরকার ই দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে গালাগালি খাবে। তাই এ সিদ্ধান্ত অতো সহজ নয়। অভিযোগ করা সহজ। কিন্তু বাস্তব টা হলো এই যে প্রিভিলেজপ্রাপ্ত শ্রেণী ই চাইছে নিজের সন্তানদের স্বার্থে স্কুল কলেজ খোলা হোক। কারণ তাঁরা সন্তানদের জরুরী নিরাপত্তা দিতে পারবেন। তাঁরা সন্তানদের কেরিয়ার নিয়ে চিন্তিত। মুখে অবশ্য গ্রামের পিছড়ে বর্গের ছেলেমেয়েদের কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু এই শ্রেণীর মানুষেরা দাবী তুলেছেন কি চাপ সৃষ্টি করেছেন কি প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে বিনামূল্যে নেট পরিষেবা স্মার্টফোন এর ব্যবস্থা ছাত্র ছাত্রী দের জন্য সরকার করছে না কেন তা নিয়ে? তা না হলে এদের জন্য কুম্ভীরাশু ফেলে লাভ কী? নর্মাল সময়ে ড্রপ আউট নিয়ে এঁদের তো মাথাব্যাথা দেখি না? মিড ডে মিল নিয়ে এঁদের ই নাক শিটকানো আছে। 
     
    ক্ষতি তো ভয়ানক হচ্ছে। মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপারে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় সচেতনতা কতোটুকু? হওয়া দরকার। কিন্তু সব খোলা যায় স্কুল খোলা যায় না কেন এ অত্যন্ত ছেঁদো তর্ক। যায় না যে, যায় নি যে, তার যথেষ্ট বাস্তব কারণ আছে। নীতিনির্ধারকদের হুইমস নয় ব্যাপারটা। 
  • ললিপপ | 2405:201:9002:30a1:6499:bbc3:d467:fdf2 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১১:৩১498188
  • বাচ্চাদের করোনা হলে তার দায় কে নেবে ???!
     
    আগে প্রাণে বাঁচুক, পড়াশোনা তারপর।
     
    এমনিতেও পড়াশোনা করে সব জগৎ উদ্ধার করে দিচ্ছিল !! 
  • অমিতাভ সেন | 117.194.77.92 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৮:৪৮498206
  • @ আশিস গঙ্গোপাধ্যায় দুটি তথ্য। 
     
    সার্ভেটি করা হয়েছিল শহর ও গ্রামের প্রান্তিক পরিবারের বাচ্চা অ তাদের পরিবারের লোকজন কে নিয়ে। এখানে যে রাশি গুলি নিয়ে আলোচনার শুরু তা সবই উঠে এসেছে গরিব বাড়ির ছেলে মেয়েদের মধ্যে থেকে। অর্থনৈতিক ভাবে সচ্ছল পরিবারের অভিভাবক যারা খুব সহজেই স্মার্ট ফোন, ল্যাপটপ, প্রিন্টার, হাই স্পিড ইন্টারনেট, প্রাইভেট টুইশন এর ব্যাবস্থা করতে পারেন তাদের কথা সার্ভেতে নেই। "কিন্তু বাস্তব টা হলো এই যে প্রিভিলেজপ্রাপ্ত শ্রেণী ই চাইছে নিজের সন্তানদের স্বার্থে স্কুল কলেজ খোলা হোক "এই কথাটা ঠিক কিনা ভেবে দেখার অনুরোধ রইল। পুরো সার্ভে রিপোর্ট এখানে পাবেন https://roadscholarz.net/wp-content/uploads/2021/09/LOCKED-OUT-Emergency-Report-on-School-Education-6-Sept-2021.pdf । 
     
    "বিদেশের সাথে তুলনা কি চলে আমাদের দেশের বাস্তব পরিস্থিতির?" শুধু বিদেশে নয় ভারতেও বহু রাজ্যে প্রথম ঢেউ এর পর স্কুল খুলেছিল, দ্বিতীয় ঢেউ এর পর ও স্কুল চালু হয়ে গেছে। 
     
    "বাচ্চারা অনেক বেশী ভালনারেবল "- তথ্য সুত্র জানালে বাধিত থাকব।
     
    "বরং দ্রুত টীকাকরণ বাচ্চাদের টীকার ব্যবস্থা ত্বরান্বিত করা"  এ দেশে ১৮ বছরের নিচে বাচ্চার সংখ্যা ৪০ কোটি। এখন অব্দি পৃথিবীতে মাত্র দুটি টীকা আছে। তার মধ্যে একটি ভারতীয়। কাজেই আমরা ঠিক জানিনা কত বছর লাগবে বাচ্চা দের টীকা করণে।
     
    @ললিপপ কোভিড১৯ আমাদেরি।অতি লম্বা সফর। তাহলে কি কোনদিন ই স্কুল খুলবে না? 
     
     
  • অমিতাভ সেন | 117.194.77.92 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৮:৪৯498207
  • @ললিপপ কোভিড১৯ এর সাথে আমাদের অতি লম্বা সফর। তাহলে কি কোনদিন ই স্কুল খুলবে না? 
  • Soumitra Sasmal | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৯:১৬498209
  • শান্তনু - ওই ১২-১৩ জন কে নিয়েই চালু করলেন না কেনো? শুরু করলে দেখতেন, পরে পরে আরো কিছু জন যোগ দিত।
     
  • Amitava Sen | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২১:৫৯498224
  • @ আশীষ গঙ্গোপাধ্যায় আর একটা কথা। 
     
    "সব খোলা যায়  কিন্তু স্কুল খোলা যায় না কেন এ অত্যন্ত ছেঁদো তর্ক। যায় না যে, যায় নি যে তার যথেষ্ট বাস্তব কারণ আছে। নীতিনির্ধারকদের হুইমস নয় ব্যাপারটা। "
     
    মানলাম আপনার কথা। নির্দ্বিধায় স্বীকার করছি আমার (এবং আরও অনেক মানুষের) যথেষ্ট বাস্তব কারণ গুলো সম্পর্কে কোনো ধারণাই নেই। যদি গুরুচণ্ডালীতে একটি লেখা লেখেন বাস্তব কারণ  গুলো জানিয়ে, তাহলে উপকৃত হবো আমরা অনেকেই, ব্যক্তিগত ভাবে আমি কৃতজ্ঞ থাকবো। লেখাটি যদি ডেটা র ওপর ভিত্তি করে হয়, তাহলে খুব ভালো হয়।
  • দেবস্মিতা সাহা | 103.240.98.246 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৬:১৬498255
  • আমি প্রিভিলেজপ্রাপ্ত শ্রেণীর মানুষ কিনা জানি না তবে স্কুল কলেজ খুলুক এটাই চাই। আমার বাড়ির আশেপাশে দুরকম বাচ্চাদের দেখতে পাই। আমার নিজের ছোট্ট মেয়েটা মাত্র তিনমাস প্লে স্কুলে যেতে পেরেছে। তারপর থেকে অনলাইনে ক্লাস। বন্ধুদের দেখে ওই মোবাইলের পর্দায়। আর অন্যান্য বাচ্চাগুলো সারাদিন খেলছে। জিগেস করলে জানতে পারি তাদের স্কুল থেকে নাকি পড়া পাঠিয়ে দেয় তাদের মায়েদের ফোনে।কোনো অনলাইন ক্লাস তারা করেনি কোনোদিন। আমার মেয়ের ক্লাস চলা দেখে হাঁ করে। বলে 'এটা কি হচ্ছে?' এই চলছে দু বছর ধরে। 
  • অশোক রায় | 2402:3a80:1964:7873:378:5634:1232:5476 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২১:২৩498408
  • খুবই প্রয়োজনীয় এবং সময়োপযোগী আলোচনা। আলোচনার সুরের সাথে সম্পূর্ণ সহমত পোষণ করি। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল মতামত দিন