এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • ইউ পি মে দম্‌ হ্যায়

    শমীক মুখোপাধ্যায়
    আলোচনা | বিবিধ | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০০৭ | ৭২২ বার পঠিত
  • খবরটা পড়েই বেশ চম্‌কে চমস্কি হয়ে গেলাম। সত্যিই তো, পাপ পুণ্য নির্ধারণ করবার তুমি কে হে? এই সেদিন মাত্তর গ্রাম দেশ থেকে কলকাতায় চাকরি করতে গেলে বামুনের বাচ্চাদের জাত যেত, ওখেনে চামড়ার কলে করে জল দেয় কিনা! তা সে সব ছুঁৎমার্গ আটকে রাখতে পেরেছে কাউকে কলকেতা যাওয়ার থেকে? কলকেতা তো কোন ছাড়, লোকে দিনে দুবার করে কালাপানি পার হচ্ছে আজকাল, প্রয়োজনের খাতিরে, অস্তিত্বরক্ষার তাগিদে নিয়ম চিরদিনই বদলায়। এ কি মোহাব্বতের গুরুকূল নাকি, যে নিয়ম অমোঘ, অপরিবর্তনীয় জিনিস? দরকার পড়লে অনিয়মকে নিয়ম, বেআইনীকে আইনি, পাপকে পুণ্য বানাতে কতক্ষণ?

    সবাই বোঝে এ সব। উত্তর প্রদেশ, যা কিনা অমিতাভ বচ্চন-মূলায়ম যাদব এবং অধুনা বহেনজী কুঁয়ারী মায়াবতীর হাত ধরে ক্রমশ উত্তম প্রদেশে পরিণত হবার পথে অগ্রসর, সেই দেশের গাজিয়াবাদ জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকরা আরওই ভালো বোঝেন এ সব। তাই, উৎকোচকে আইনি বানাতে তাঁদের এতটুকুও হেজিটেট করতে হয় নি। গাজিয়াবাদবাসীরা নিজেদের কাজ সরকারের ঘর থেকে করিয়ে নিতে এখন সরাসরি চেকের মাধ্যমে ঘুষ পেমেন্ট করতে পারবেন। কোনও হ্যারাসমেন্টের ব্যাপার নেই, পুরো ফেলো কড়ি মাখো তেল অ্যারেঞ্জমেন্ট।

    সোজা বাংলায় গল্পটা এই। কোনও কনট্র্যাক্টর সরকারের কোনও কাজের টেন্ডার পেয়েছে। এর জন্য সে যা কোট করেছে, তার পনেরো পার্সেন্ট ঘুষ তাকে সরাসরি চেকের মাধ্যমে জমা করতে হবে গাজিয়াবাদ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের কাছে। তা হলে তার ফাইল আর কোথাও আটকে থাকবে না। কর্মসংস্কৃতি তার উদ্দেশ্যে নিবেদিতপ্রাণ থাকবে। লালফিতে কাটার দাম মাত্র পনেরো পার্সেন্ট। এতে আপত্তি থাকাই উচিৎ নয় কারুর। বেচারা কনট্র্যাক্টরকে এমনিতেই ঐ পরিমাণ টাকা একে ওকে তাকে দিতে হত ফাইল চালানোর জন্য। এখন সরকারী মতে ঘুষ দিলে ফাইল নাকি আপনিই চলবে! এমনটাই দাবি গাজিয়াবাদ চোরপোরে ... ইয়ে, কর্পোরেশনের।

    আসুন, মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের কমিশনার অজয় শংকর পান্ডের বক্তব্য শুনি। তিনি কইছেন, সরকারী ডিপার্টমেন্টগুলোতে দুর্নীতি এতই গভীরে পৌঁছে গেছে, যে অফিসাররা ঘুষ না নিয়ে কোনও কাজ করা বা কোনও পেমেন্ট করার কথা স্বপ্নেও ভাবতে পারেন না। এটাই হয়ে এসেছে এতদিন। বেচারা সরকারী কর্মচারীর দল। তাঁদের আর কী দোষ? তাই আমরা এই সিস্টেমটাকেই অ্যাডপ্ট করে ঘুষ নেওয়াটাকে লিগালাইজ করছি। চেকে পেমেন্ট করো, MCG র কোষাগারে টাকা আসবে, সেই টাকা তুলে দেওয়া হবে কনসার্ন্‌ড অফিসারদের হাতে। এতে তাঁরা উৎসাহিত বোধ করবেন এবং প্রার্থীর সমস্ত ফাইল স্বয়ংচালিত করে দেবেন।

    আমরা নি:সন্দেহ, রামরাজ্য এখানেই ছিল। নাথিং অফিশিয়াল অ্যাবাউট ইট। আ-হা। এতদিন দেখতাম রাস্তার সিগন্যালে অধস্তনেরা লরি থামিয়ে দশ টাকা কুড়ি টাকা তুলে নিয়ে আড়ালে দাঁড়ানো উর্ধ্বতনের হাতে দিতেন। এখন লিগালাইজ হয়ে যাওয়ায় ফ্লোটা আবার নর্ম্যাল হবে। টেন্ডার ক্লোজ হবার পরদিন থেকেই কনট্র্যাক্টরের খোশামোদ শুনে কানের পোকা নাড়াতে হবে না, আপিসে পৌঁছনো মাত্র বস আলমারী খুলে টাকার বান্ডিল ধরিয়ে দিয়ে বলবেন, লিজিয়ে শর্মাজি, আপকা হিস্‌সা সমঝ লিজিয়ে। ই ফাইল ফির আগে তক পঁহুছা দেনা। ইস টেন্ডার সে আচ্ছা খাস রিস্‌বৎ মিলা হ্যায়। কাম হো জানা চাহিয়ে।

    জ্যায় হো ব্যাহেন জী!!

    রামায়ণ তো বটেই, এমনকী যুধিষ্ঠিরের ধর্মরাজ্যও ছিল এখানেই, এখানেই। সেই যে কুরুক্ষেত্রের প্রান্তরে বিবমিষায় আক্রান্ত অর্জুনকে শোনানো ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সেই সকল অমৃতবাণী, যা আমরা প্রতি দেশাত্মবোধক সিনেমায় কোট করে থাকি, সেই মদ্ভগবৎগীতাও আমাদের দেশের গর্ব বই কি! অন্তত এলাহাবাদ হাইকোর্ট তাই মনে করেন। সবার ওপরে গীতা সত্য। তাহার ওপরে ল' নাই।

    বারানসীতে একপিস মন্দির আছে, গোপাল ঠাকুর মন্দির। সম্ভবত ঠাকুর যখন প্রপার্টি অধিগ্রহণ করেছিলেন, ইল্লিগালিই করেছিলেন। সে এমন কিছু নতুন কথা নয়। মন্দির দিয়ে জমি গাপ করে নেবার কেস অতি পাতি ব্যাপার। তো, জমির লিগাল মালিক সে জমি বেচতে চান। গোপাল ঠাকুর অতএব শালুক হিসেবে পাকড়ে ধরেন হাইকোর্টকে। ধর্মাবতার এস এন শ্রীভাস্তাভা, মামলার শুনানির পর অত্যন্ত শক্‌ড! সরকার করছে-টা কী? এমন মামলা লোকে করার সাহস পায় কী করে? হিন্দু হোক, মুসলিম হোক, ভারতীয় সংবিধানের আর্টিক্‌ল ফিফটি ওয়ান এ-তে পরিষ্কার লেখা আছে যে জাতি বর্ণ ধর্ম নির্বিশেষে ভারত দ্যাট ইজ ইন্ডিয়ার প্রতিটি নাগরিকের অবশ্যপালনীয় কর্তব্য হল ভগবৎ গীতায় উদ্ধৃত করা ধর্ম পালন করে চলা। ঈশ্বরকে সেখানে সবার ওপরে স্থান দেওয়া হয়েছে, পরিষ্কার বলা হয়েছে, তুমি কিছুই নিয়ে এই পৃথিবীতে আসো নি, কিছুই নিয়ে যাবে না, সামনে পেছনে যা দেখছো, সকলই মায়া, ব্যাটা প্রপার্টি মালিক কিনা সে সকল অমান্য করে স্বয়ং ভগবানকে উৎখাত করার চেষ্টায় লিপ্ত? সরাসরি গীতাকে অস্বীকার করা? ফোট্‌ বে!

    জাস্টিস মহোদয়ের পরবর্তী বক্তব্যগুলো শোনার আগে আমরা ঝট করে একবার সংবিধানের আর্টিক্‌ল ৫১-অ দেখে নিই।
    51A. Fundamental duties.—It shall be the duty of every citizen of India—
    (a) to abide by the Constitution and respect its ideals and institutions, the National Flag and the National Anthem;
    (b) to cherish and follow the noble ideals which inspired our national struggle for freedom;
    (c) to uphold and protect the sovereignty, unity and integrity of India;
    (d) to defend the country and render national service when called upon to do so;
    (e) to promote harmony and the spirit of common brotherhood amongst all the people of India transcending religious, linguistic and regional or sectional diversities; to renounce practices derogatory to the dignity of women;
    (f) to value and preserve the rich heritage of our composite culture;
    (g) to protect and improve the natural environment including forests, lakes, rivers and wild life, and to have compassion for living creatures;
    (h) to develop the scientific temper, humanism and the spirit of inquiry and reform;
    (i) to safeguard public property and to abjure violence;
    (j) to strive towards excellence in all spheres of individual and collective activity so that the nation constantly rises to higher levels of endeavour and achievement.

    ঘেঁটে ঘুগনি? গীতার দেখা নাই? শোনো তবে মূঢ়মতি বালক বালিকারা, ধর্মাবতার শ্রীবাস্তব বলেছেন, গীতাই হইল সেই পুস্তক, যাহা inspired our national struggle for freedom and all walks of life , অতএব পয়েন্ট b) অনুযায়ী, হল কিনা, প্রতিটা ভারতীয় নাগরিকের অবশ্যকর্তব্য, গীতাকে ফলো করে চলা? (গীতা নাম্নী মেয়েদের এবার দফা রফা, সারা ভারত দ্যাট ইজ ইন্ডিয়া যদি তাদের ফলো করতে শুরু করে!) জাতি ধর্ম ভাষা বর্ণনির্বিশেষে? তিনি আরও প্রোপোজাল দিয়েছেন, আমাদের যেমন একটা ডিক্লেয়ার্ড জাতীয় পতাকা আছে, ডিক্লেয়ার্ড জায়ীয় সংগীত আছে, তেমনি ভগবৎ গীতাকেও আমাদের জাতীয় ধর্মশাস্ত্র হিসেবে কনসিডার করা যেতে পারে। এবং, অত:পর, জেলা জজের পারমিশন ব্যাতিরেকে কোনও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রপার্টি বেচা যাবে না। জজসাহেব ধর্মাবতার, তিনি গীতা পড়ে দেখবেন ধর্মীয় প্রপার্টি বেচার ব্যাপারে জাস্টিস শ্রীকৃষ্ণ কিছু বলেছেন কিনা, সেই অনুযায়ী তিনি বিক্রি রুখে দেবার ডিক্রি জারি করবেন।

    আইস ভারতীয়গণ, তোমরা আনন্দে কোলাহল কর', দেশের আজি বড় সুদিন আসিবার সময়। রামরাজ্য প্রতিষ্ঠা হইবার আর অধিক বিলম্ব নাই। পরবর্তী নির্বাচন, আর ভারতীয় জনতা পার্টি ক্ষমতায় আসিবার অপেক্ষামাত্র, তৎপরেই আমাদিগের নিমিত্ত ঘোষিত হইবে জাতীয় ধর্মশাস্ত্র, শ্রীমদ্‌ভগবৎগীতা।

    ভয় পেয়েছি বড়, এই দ্বিতীয় সংবাদটা পাঠ করে। বেশিদিন নয়, এই বছর আড়াই আগের কথা। ভাড়া ছিলাম এক অ্যাপার্টমেন্টে। একদিন নিচে নোটিস পড়ল, আমাদের ঠিক ওপরের ফ্ল্যাটেই শ্রীপ্রভুর নামসংকীর্তন হবে টবে। অল আর কর্ডিয়ালি ইনভাইটেড।

    যাই নি যদিও, তবে ঠিক ওপরের তলা হওয়াতে বিলক্ষণ টের পেয়েছিলাম নামসংকীর্তনের মহিমা। তিনদিন ধরে একটানা চলেছিল গীতাপাঠ আর কীর্তন। তা চলতেই পারে, যার বিশ্বাস তার কাছে। চতুর্থ দিন, অফিস বেরোবার মুখে সেই ফ্ল্যাটের বাসিন্দা সাতসকালে আমাদের ফ্ল্যাটে এসে বেল্‌ বাজালেন। হাতে ইয়া মোটা দু ভল্যুমে ভগবৎ গীতা। দাবি, আমাকে এক কপি (অর্থাৎ দু ভল্যুমই) কিনতে হবে। সবিনয়ে জানালাম, আমি ইন্টারেস্টেড নই। উনি প্রচন্ড অবাক হয়ে জিগ্যেস করলেন, "কেন?' গীতায় ইন্টারেস্টেড না হবারও যে কোনও কারণ থাকতে পারে, আমার মাথায় ঢোকে নি, আর তা ছাড়া দিল্লিতে আমি তখনও নতুন। আবারও সবিনয়ে জানালাম, গীতা বাইবেল কোরান জেন্দাবেস্তা কোনও রকমের ধর্মগ্রন্থেই আমার বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই। আমাকে ক্ষমা করবেন।

    ভদ্রলোকের মুখটা হাঁ হয়ে আবার বন্ধ হয়ে গেল, তারপর, মোটামুটি ঘৃণ্য ক্রিমিনাল দেখছেন যেন, এই রকম ভঙ্গিতে একবার আমাকে মেপে নিয়ে দরজা থেকে সরে গেলেন।

    তার পরেও অনেক দিন ছিলাম সেখানে, যেতে আসতে দেখাও হয়েছে, উনি কিন্তু আর কোনওদিন আমার দিকে ফিরে তাকান নি। তখন বুঝি নি, আজ বুঝছি, কত বড় অপরাধে আমি অপরাধী! সরাসরি সংবিধান অবমাননার দায়ে দোষী। ভাগ্যিস তখন ইউপিতে ছিলাম না! খুব জোর বেঁচে গেছি। এখন তো মনে হচ্ছে ঘরে দু ভল্যুম গীতা না রাখলেই নয়। স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণও রক্ষা করতে পারবেন না সংবিধান অমান্য করলে।

    সেপ্টেম্বর ১৬, ২০০৭
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০০৭ | ৭২২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন