এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • বন্ধ হোক ‘ফরসা পাত্রী চাই’-এর বিজ্ঞাপন

    সমীর ঘোষ লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ০৩ জুলাই ২০২০ | ৪০৯২ বার পঠিত
  • আমার গায়ের রং কালো—সেটাই আমার জ্ঞান, আমার বোধ, আমার শিক্ষা, আমার আচরণ এমনকি কখনো-কখনো আমার মনুষ্য পদবাচ্য হওয়ার যোগ্যতা নিয়ে যাচ্ছেতাই প্রশ্ন তুলে দেয়। আর এ প্রশ্ন তোলে হাজার হাজার বছর ধরে পথ হাঁটতে হাঁটতে আধুনিক হয়ে ওঠা এই পৃথিবী। মহাত্মা গান্ধি থেকে নেলসন ম্যান্ডেলা, মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র থেকে রোজা পার্কসের আন্দোলন খুব যে একটা বদল আনতে পারেনি এই দুনিয়ার, তার প্রমাণ সদ্য আমেরিকায় ঘটে যাওয়া কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যু। আইনের চোখে লোকটা অপরাধী ছিল, কিন্তু সাদা চামড়ার আধিপত্যে থাকা আমেরিকার সমাজজীবনে, পুলিশলাইনে তার মস্ত অপরাধ সে ছিল কালো। এই মৃত্যু ফের নাড়িয়ে দিয়েছে মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের দেশকে। সাদা-কালো বৈষম্যের বিভাজন ঘোচাতে ফের পথে নেমেছে মানুষ। প্রতিবাদে সরব হয়েছে বিনোদন দুনিয়া থেকে খেলার জগতের তারকারাও। কিন্তু এই লেখার উদ্দেশ্য মার্কিন দুনিয়ার সাদা-কালো লড়াইকে ফের ফিরে দেখা নয়। বরং এই গুরুতর প্রশ্নটা যখন উঠেছেই তখন আমাদের দেশের চিত্রটা একবার ঝালিয়ে নেওয়া দরকার। জাত-পাত, ধর্ম, ভাষা, গোষ্ঠী, অঞ্চল নিয়ে দিনরাত চুলোচুলি করা ভারতীয়দের কাছে গায়ের রং একটা বড়ো ফ্যাক্টর। ফিল্মি দুনিয়ায় কোনো কালো নায়িকার আপনি দেখা পাবেন না (আর সুযোগ পেলেও তাকে এমন চুনকাম করে ক্যামেরার সামনে হাজির করা হয় যে যতদিন না কোনো বে-আক্কেলে ম্যাগাজিন নায়িকার গায়ের রংয়ের পর্দা ফাঁস করছে ততদিন আপনি জানতে পারবেন না)। অর্থাৎ স্বপ্নসুন্দরীরা সবসময় ফরসাই হবে—এমনটাই বন্দোবস্ত। আমাদের প্রতিদিনের হোঁচট খেতে খেতে চলা জীবনেও কিন্তু নাতি বা নাতনি ফর্সা হয়েছে দেখলে বাড়তি এক মুখ হাসি এসে যায় মা-বাবা,দাদু-ঠাকুমাদের। আর যদি কালো হয়েও যায় তাহলে সামনে চলে আসে সান্ত্বনা দেওয়ার সেই বিখ্যাত ছড়া—‘কালো জগতের আলো’। অন্যদিকে মেয়ে কালো হয়েছে শুনলে তো বাড়ি জুড়ে ঘোর অমাবস্যা নামে। কারণ বিয়ের বাজারে ফরসা মেয়েদের দাম বেশি। আর এখানেই সদ্য বোমা ফাটিয়েছেন মার্কিন মুলুকের বাসিন্দা হেতাল লাখানি। পাত্র-পাত্রী নির্বাচনের বিখ্যাত বিবাহ সংক্রান্ত ওয়েবসাইট ‘শাদি ডট কম’-এ গায়ের রং বিচার করে পাত্র-পাত্রী খোঁজার ব্যবস্থা করতে একটা ফিল্টার দেওয়া হত। অর্থাৎ সেখানে ক্লিক করে আপনি কালো, শ্যামবর্ণ, উজ্জ্বল শ্যামবর্ণ, ফরসা, অতি ফরসা পাত্রী খুঁজে পাবেন। মনে রাখবেন সালটা ২০২০। রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার সনদ ঘোষণার প্রায় ৭২ বছর পরে আমরা জীবনসঙ্গী নির্বাচনের জন্য গায়ের রংয়ের হিসেব করছি। এই নিয়েই প্রথমে ফেসবুকে প্রশ্ন তুলেছিলেন মেঘান নাগপাল নামের এক শাদি ডট কম ব্যবহারকারী। ফেসবুক পোস্ট দেখেই শাদি ডট কমের এই ব্যবস্থার বিরুদ্ধে পিটিশনটি শুরু করেন হেতাল লাখানি। পেয়ে যান অনেক মানুষের সমর্থনও। আর তার জেরেই ওয়েবসাইট থেকে গায়ের রং-এর ফিল্টারটা সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে এই ম্যাট্রিমনিয়াল সাইট। তবে এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে সাইটটি জানিয়েছে, “আমরা এই অপশনটি সরাতে ভুলে গেছিলাম।”

    ম্যাট্রিমনিয়াল সাইটের ফিল্টার অপশন না হয় সরল, কিন্তু কী হবে বাংলায় বিপুল বিক্রিত, দ্রুত বিক্রিত, সেরা বিক্রিত খবরের কাগজগুলোর ক্ষেত্রে। সেখানে তো ফি রবিবার বর্ণবৈষম্যের বিজ্ঞাপনে পাতা রঙিন হয়ে ওঠে। যেমন ২১ জুন, ২০২০ আনন্দবাজার পত্রিকার ইত্যাদি ট্যাবলয়েডে ‘পাত্রী চাই’ বিভাগে একটি বিজ্ঞাপনে লেখা হচ্ছে পূর্ববঙ্গ কায়স্থ দেবারী গণ...সুদর্শন কল্যাণীর... ডাক্তার পাত্র শিক্ষিত পরিবারের রুচিশীলা ফরসা স্লিম সুন্দরী MSC/MBBS/MD স্ববর্ণ পাত্রী কাম্য (ছবি-১)। অর্থাৎ একজন ডাক্তার (শিক্ষিত সমাজের একজন বলে যাঁকে মানা হয়) তাঁর জীবনসঙ্গী নির্বাচনের ক্ষেত্রে ভিন্ন জাত/ধর্ম তো ছেড়েই দিন স্বগোত্র-গণের বেড়াজাল থেকে বেরোতে পারছেন না। রাখা হয়েছে MSC/MBBS/MD-র মতো উচ্চশিক্ষার দাবি। পরিবারের সম্মানের কথা ভেবে ‘রুচিশীলা’ কথাটিও উল্লেখ করা হয়েছে। সর্বোপরি রাখা হয়েছে ফরসা স্লিম সুন্দরী হওয়ার দাবিপত্র। অর্থাৎ কোনো কালো মেয়ে তাঁর শিক্ষাজীবনে মেধা, বুদ্ধিমত্তা লড়াইয়ের দৌড়ে সফল হয়ে MSC/MBBS/MD ডিগ্রি অর্জন করলেও শুধুমাত্র গায়ের রঙের কারণে তিনি পাত্রী হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে পারবেন না। আসলে গায়ের রং যে বড়ো বালাই। একটু চাপা হলেই ভালো পাত্র হাত ফসকে যাবে। পাত্রী উজ্জ্বল-ফরসা হলেই মনে ধরবে পাত্রপক্ষের (এখানে অবশ্য দেনাপাওনার মতো মারত্মক বিষয়টি আলোচনায় বাদ রাখা হচ্ছে)। কারণ মানুষ মনে করে ফরসা বউ ঘরে এলে পরবর্তী প্রজন্ম ফরসা হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে। সেজন্য কন্যাসন্তান কালো হলে মুখ হাঁড়ি হয়ে যায় বড়োদের। কখনো-কখনো বেঁচে থাকার অধিকারটাও হারিয়ে ফেলে সে। মেয়েদের শ্বশুরবাড়ি পাঠানোই যখন দস্তুর তখন কালো মেয়ের জীবনে অনেক দুঃখ লেখা থাকে। এজন্য পাত্রীপক্ষেরও কসুর কম নেই। পাত্রীকে পাত্রস্থ করতে ফরসা, সুশ্রী, সুন্দরী ইত্যাদি শব্দবন্ধ ব্যবহার করা হয় হামেশাই। যেমন এই একই তারিখে আনন্দবাজার পত্রিকায় একটি পাত্র চাই বিজ্ঞাপনে লেখা হয়েছে EB নমঃশূদ্র ৩১/৫’৪” B Tech রেলওয়ে সার্ভিসে কর্মরতা, স্লিম ফরসা সুশ্রী পাত্রীর জন্য অনূর্দ্ধ ৩৫ ডাক্তার/ ইঞ্জিনিয়ার, যে-কোনো বর্ণের সুপ্রতিষ্ঠিত সমতুল্য পাত্র চাই (ছবি-২)। ভাবুন অবস্থাটা, একজন বি টেক ডিগ্রিপ্রাপ্ত রেলওয়ে সার্ভিসে কর্মরত মহিলার বিয়ের জন্য যদি ‘স্লিম ফরসা সুশ্রী’ লিখতে হয় তাহলে এই সমাজে একজন স্বনির্ভর ও শুধুমাত্র মানুষ হিসেবে তাঁর অবস্থানটা কোথায় দাড়িয়ে আছে?


    (চিত্র-১)


    (চিত্র-২)

    তবে শুধুমাত্র আনন্দবাজার পত্রিকা নয় একই চিত্র অন্য বাংলা কাগজেও। প্রশ্ন হল কেন বন্ধ হবে না এমন বিজ্ঞাপন? একজন মেয়ের যাবতীয় মেধা, শিক্ষা, লড়াই, উত্তরণ, অনুভব ইত্যাদিকে অস্বীকার করে গায়ের রঙের ভিত্তিতে তাকে বিয়ের দাঁড়িপাল্লায় তোলা হবে কেন? ভারতে বর্ণবৈষম্য আজকের বিষয় নয়। অনেক দেশের মতোই এদেশেও এর শিকড় অনেক গভীরে। এদেশে ফরসা গায়ের রংয়ের প্রতি আলাদা দুর্বলতা আছে বলেই তো ফরসা হওয়ার ক্রিমের এত রমরমা। স্কুলে বা কলেজে বসা বান্ধবী ফরসা হলে পাশের বান্ধবীকে তাঁর সঙ্গে এঁটে উঠতে কিনতে হয় ফেয়ারনেস ক্রিম। হয়তো দেখা গেল সেই কালো বা চাপা রঙের মেয়েটিই লেখাপড়ায় বা খেলায় স্কুলের মধ্যে সেরা। তবুও আমাদের সমাজ বা আমাদের পরিবার বা আমরা তাকে কোনোভাবেই আশ্বস্ত করতে করতে পারি না যে গায়ের রং দিয়ে মানুষ বিচার হয় না। যে কথাটা খুব জোরের সঙ্গে জানিয়েছিলেন দক্ষিণের অভিনেত্রী সাই পল্লবী। তাঁর মতে, গায়ের রং কখনোই সৌন্দর্যের পরিমাপ হতে পারে না। শুধুমাত্র এই তত্ত্বে বিশ্বাসী বলেই গত বছর ২ কোটি টাকার ফেয়ারনেস ক্রিমের বিজ্ঞাপন ফিরিয়ে দিয়ে সকলকে চমকে দিয়েছিলেন সাই পল্লবী। তবে শুধু নারীরাই কেন, ফরসা হওয়ার মাহাত্ম্য এমনই যে পুরুষদের জন্যও তৈরি হয়েছে ফেয়ারনেস ক্রিম। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর ২০১৮ সালে বিখ্যাত ফেয়ারনেস কোম্পানির ১৫ কোটি টাকার লোভনীয় অফার অবলীলায় ফিরিয়ে দিয়েছিলেন সদ্য প্রয়াত সুশান্ত সিং রাজপুত। সুশান্ত বলেছিলেন, তিনি এমন কোনো জিনিসের বিজ্ঞাপন করতে চান না, যেখানে দেশবাসীর কাছে ভুল বার্তা যাবে। একজন সচেতন নাগরিকের কাছে ও জনপ্রিয় মুখ হওয়ার স্বার্থে তাঁর কিছু দায়বদ্ধতা রয়েছে, এমনটাই মনে করতেন নায়ক। সুশান্ত সিং রাজপুত আর নেই। কিন্তু তিনি বা সাই পল্লবীর মতো সমাজসচেতন অভিনয়শিল্পীদের প্রচেষ্টার সুফল মিলেছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে ড্রাগ অ্যান্ড ম্যাজিক রেমেডিস (অপজেকশনেবল অ্যাডভার্টাইজমেন্ট) অ্যাক্ট ১৯৫৪ সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছে কেন্দ্র সরকার৷ বিলের খসড়া অনুসারে ক্রিম মাখলে ফরসা হওয়া যায় ( অথবা ওষুধ যা খেলে লম্বা হওয়া যায় বা চুলে পাক ধরবে না ইত্যাদি দাবি করা হয়) এমন পণ্য বেচার জন্য বিজ্ঞাপন করা হলে প্রথমবার অপরাধের ক্ষেত্রে দশ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা এবং দুবছরের কারাদণ্ড দেওয়ার প্রস্তাব রাখা হয়েছে৷ পরবর্তীকালে শাস্তির পরিমাণ বেড়ে গিয়ে পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং জরিমানা ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে৷ এদিকে আমেরিকায় শুরু হওয়া ‘ব্ল্যাক লাইভ ম্যাটারস’ আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে হিন্দুস্থান ইউনিলিভার জানিয়ে দিয়েছে যে তারা ‘ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি’ রেঞ্জের যাবতীয় পণ্য থেকে ‘ফেয়ার’ শব্দটি বাদ দিতে চলেছে।

    কিছুটা হলেও এটা যে সুখবর তাতে সন্দেহ নেই। দেরিতে হলেও শাদি ডট কমের পদক্ষেপকেও স্বাগত। কিন্তু কবে বন্ধ হবে বিপুল প্রচারিত বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে পাত্র চাই, পাত্রী চাই-এর নামে বর্ণবাদকে অক্সিজেন জোগানোর কাজ? মানুষের পরিচয় হোক তার কাজে—ধর্ম, বর্ণ, জাতপাতের মধ্যে দিয়ে নয়। আজ থেকেই উঠুক সে দাবি।

    গ্রাফিক্স: স্মিতা দাশগুপ্ত
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ০৩ জুলাই ২০২০ | ৪০৯২ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    শপথ  - Prolay Adhikary
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • r2h | 2405:201:8805:37c0:f091:7f21:d259:47c7 | ০৩ জুলাই ২০২০ ১১:৪৭94822
  • এই ব্যাপারগুলো গোলমেলে লাগে।
    প্রথমত রেসিজমের সঙ্গে এই কালারিজম শেডিজমের তফাত আছে; রেসিজম লিঙ্গভেদ করে না, অন্যটার শিকার মহিলারাই বেশি হন, অন্তত আমাদের সমাজে, অন্যত্র কী হয় ভালো জানি না।

    আবার সুশ্রী ইত্যাদি, যতদিন ম্যাট্রিমোনিয়াল অ্যালায়েন্স, বিয়ের 'আলাপ', 'সম্বন্ধ করে' বিয়ে ইত্যাদি থাকবে ততদিন এসবের বাইরে বেরোনোটা ট্রিকি, যখন নারী পুরুষ প্রেমে পড়ে বা ডেট করে তখন অন্যান্য দিকগুলি, মানসিক সংযোগ হচ্ছে কিনা সেসব বোঝা সম্ভব। কিন্তু যখন কারো বিয়ে ঠিক করে দিচ্ছে তার সেজো পিসে, তখন তো কিছু পূর্বকল্পিত ব্যাপার থাকবে।

    এখন ঐ কল্পনা থেকে, একজন অচেনা মানুষের সম্পর্কে, শারীরিক সৌন্দর্যের আবশ্যিকতাকে উৎপাটন করা, এইটা কেমন কাজ তা হয়তো সমাজ বা মনোবিজ্ঞানীরা জানেন।

    সে যাই হোক, এইগুলো পজিটিভ পদক্ষেপ তাতে কোন দ্বিমত নেই। যেসবের সুদূরপ্রসারী প্রভাব আছে, সেসব জায়গায় এই ধরনের বৈষম্য প্রশ্রয় না পাওয়া, এটা অবশ্যই ভালো জিনিস।
  • অনিন্দিতা | 103.87.56.13 | ০৩ জুলাই ২০২০ ১৭:০৫94834
  • সেজপিসে কিংবা মেজমাসী বিয়ের সম্বন্ধ না করলেও ব্যাপারটা সহজ নয়। নিজের নির্বাচনে বিয়ে করলে কালো মেয়ের বিরুদ্ধে সেটাই শাশুড়ীর সবচেয়ে বড়ো আপত্তি আর অস্ত্র। বদল চাই মানসিকতার। সেদিন ‘পাত্র পাত্রী’ বিজ্ঞাপনের ভাষা ও বক্তব্য দুইই বদলে যাবে। সেদিনের অপেক্ষায় আছি। 

  • r2h | 2405:201:8805:37c0:e56e:2361:adb3:1367 | ০৩ জুলাই ২০২০ ১৭:১৮94835
  • হ্যাঁ, সে তো বটেই, মানসিকতার বদল তো অবশ্যই চাই।

    তবে, সামগ্রিক ভাবে 'সুশ্রী' ইত্যাদি ব্যাপার থেকে যায় এসব ক্ষেত্রে, হয়তো ফর্সা কালো ফ্যাকটরটা কমবে, বা যাবে। রুচিশীলা, ফর্সা, সুশ্রী, স্লিম, সুন্দরী ইত্যাদি অনেক প্যারামিটার লেখা, তার মধ্যে শুধু 'ফর্সা' চলে গেলে, যা বাকি থাকে তার যাঁচাইও খুব সম্মানজনক নয়। আগেকার দিনের চুল খুলে দেখানো, হেঁটে দেখানো (জানি না এখনও হয় কিনা, হতেই পারে) - এসবও।
  • sm | 2402:3a80:a1d:3526:0:1e:3de9:b101 | ০৩ জুলাই ২০২০ ১৮:৫৭94840
  • পাত্রী, পাঁচ ফুট ছয়।লম্বা পাত্র চাই।

    পাত্রী সরকারী চাকুরে।ডাক্তার,ইঞ্জিনিয়ার,সরকারী চাকুরে ছাড়া পত্রালাপ নিষ্প্রয়োজন। এগুলো ও থাকে।

    একমাত্র পুরোপুরি বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ না করলে,চয়েস এসে যাবে।পুরোপুরি নিষিদ্ধ করলে আবার নেগোশিয়েশন ম্যারেজ বাঁধা পাবে। অনেক বাবা ,মা ছেলে মেয়ের বিয়ে দিতে অসুবিধের সম্মুখীন হবেন।

  • তর্কবাগীশ | 193.182.144.50 | ০৩ জুলাই ২০২০ ২২:৩৯94841
  •  সব কিছুতে পলিটিকাল কার্রেক্টনেস আনতে গেলে সেই ঘুরেফিরে সিগারেট প্যাকেট এর লেখা হয়ে যায় 
     

    কেউ যদি শ্যামবর্ণ পছন্দ করে আর বিজ্ঞাপনে লেখে শ্যামবর্ণ ছাড়া পত্রালাপ নিষ্প্রয়োজন তো ফর্সা রা বাড়ি গিয়ে কেলিয়ে আসবে নাকি ?
     

    একজন লোক নিজস্ব পছন্দ করে বিয়ে করতে গিয়ে লম্বা বা ফরসা চাওয়ার গণতান্ত্রিক অধিকার থাকবে না কেন ? সংসার সে নিজে করবে , বিজ্ঞাপন নিজের গ্যাঁটের টাকায় দিয়েছে , তো তার বেছে নেবার অধিকার কেন থাকবেনা ? এটা বোঝার মতো বুদ্ধি সবার আছে যে বিজ্ঞাপনে না মেনশন করতে বাধ্য হলেও  যে ফর্সা পছন্দ করে সে কালো বিয়ে করবেনা , যতক্ষণ না সমাজ এসে বন্দুক দেখিয়ে কালো মেয়ে বা ছেলের সঙ্গে ছাদনাতলায় নিয়ে যাচ্ছে 

    হ্যাঁ , কালো হলে সরকারি চাকরি পাবেনা বা জয়েন্ট এন্ট্রান্স এ বসতে দেওয়া হবেনা সে রকম হলে প্রতিবাদ দরকার 

    যারা এখানে বিজ্ঞাপনদাতার মুণ্ডপাত করছেন কজন ফোর্ড বা bmw কোম্পানি কে চিঠি লিখেছেন কালো গাড়ি আর সাদা টায়ার মডেল আনার জন্য ?

  • sm | 2402:3a80:a1d:3526:0:1e:3de9:b101 | ০৩ জুলাই ২০২০ ২২:৫৫94842
  • খপরদার,টিস্যু পেপারের রং পরিবর্তন করবেন না।ওটা সাদাই থাক।

    আর, চুলের কলপ এর কালো রং ব্যান হোক।

  • তক্কবাগীশ | 193.182.144.50 | ০৩ জুলাই ২০২০ ২৩:০০94843
  • টিস্যু র ব্যাপারটা খুব ইন্টারেস্টিং

    কোলন ক্যান্সার এর ইনিশিয়াল ডায়াগনসিস এ হেল্প করে 

    আর হ্যাঁ , সাদা কলপ আছে , চারুক খান লাগলেন যে বিরজারা তে?

  • sm | 2402:3a80:a1d:3526:0:1e:3de9:b101 | ০৩ জুলাই ২০২০ ২৩:০৯94844
  • কলপ সাদা,লাল,সবুজ যে রঙের হয় হোক।কালো রং যেন না হয়। টিভি খুললেই তিন মিনিট অন্তর অন্তর, হয় মাধুরী নয় কাজল নয় করিনা এসে চুলের কলপ এর এড দিচ্ছে। আপনি বলুন,এই সুন্দরী তারকা দের চুল কখনো সাদা হয়!?সব মিথ্যে প্রচার!

    খুউব খারাপ লাগে!

  • আহেম | 2a00:1838:36:66::e72a | ০৩ জুলাই ২০২০ ২৩:১০94845
  • ভাটে টইয়ে সর্বত্র এসএমের বালপনা আর নেওয়া যাচ্ছে না।

  • sm | 2402:3a80:a1d:3526:0:1e:3de9:b101 | ০৩ জুলাই ২০২০ ২৩:১৫94846
  • একটু কোষ্ঠ সাফ করে আবার বসুন।কনস্টিপেশন এর রোগীদের নিয়ে এই এক সমস্যা! জোলাপ খেতে ভুলে যাবেই--))

  • তক্কবাগীশ | 193.182.144.50 | ০৩ জুলাই ২০২০ ২৩:২৪94847
  • আহা এসব আবার কি? 
    কতা হচ্ছিলো ফসসা কালো নিয়ে তো জোলাপ কোত্থেকে এলো 
    হাতে গোলাপ নিয়ে একটুকু দোস্তি করেই ফেলুন না মশাইরা 

  • sm | 2402:3a80:a1d:3526:0:1e:3de9:b101 | ০৩ জুলাই ২০২০ ২৩:৩৭94848
  • ওহ,কচি কাচারা,একটু আধটু লেগ পুলিং করে।এমন কিছু ব্যাপার নয়।লেগ পুলিং করবি কর।ভালো ভাবে কর। শান্ত ভাবে,ধীরে সুস্থে কর।

    এবার শুনুন কালোর গুণের কথা।কালো কফি,আমার প্রিয়।সাদা কফি হলে,স্থান পরিত্যাগ করি।

    কালো ঘোড়া হলো গিয়ে জন্তুর মধ্যে প্রিয়। ছাতা র মধ্যে, কালোই শ্রেষ্ঠ।আমি কালী ভক্ত।

    একবার ছোট বেলায় অঙ্কের মাস্টার আমাকে কেন কেজানে ব্ল্যাকশিপ বলে ডেকেছিল। 

  • তক্কবাগীশ | 193.182.144.50 | ০৩ জুলাই ২০২০ ২৩:৪২94849
  • ওপরের লেখাটা দেখতে অসুবিধা হচ্ছে 
    কেউ কি কৃষ্ণপ্রেমে অন্ধ হয়ে উইন্ডো র কালার ব্ল্যাক করে নিয়ে তার ওপর ব্ল্যাক ফন্ট এ লিখেছেন নাকি ?

  • নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক | 115.114.47.197 | ০৪ জুলাই ২০২০ ০০:৫১94851
  • এই ফর্সা পাত্রীর বিজ্ঞাপনের বিরোধিতা কজন ফর্সা মহিলা করেন বিভিন্ন মিডিয়াতে তার একটা স্টাটিসটিক্স পাওয়া যাবে? 

    রুচিশীলা, স্লিম, কর্মরতা বা স্বনির্ভর আর সুন্দরী, মেধাবী, শিক্ষিতা,  এই সবগুলিই কেন ডিস্ক্রিমেটরি বৈষম্যমূলক শব্দ হিসেবে কাউন্ট করা হবে না? নিজের / অপরের কোন গুণ / বৈশিষ্ট্যটিকে একজন মহিলা একজন পুরুষের কাছে (বা বিপ্রতীপে) কাঙ্খিত মনে হওয়ার ক্ষেত্রে অপমানজনক মনে করবেন না - এর কোনো সার্বজনীন গাইড তৈরি করার চেষ্টা হচ্ছে?

  • তক্কবাগীশ | 193.182.144.50 | ০৪ জুলাই ২০২০ ০১:০৯94852
  • সেভাবে দেখতে গেলে বিজ্ঞাপন হওয়া উচিত 


    পাত্র আছে পাত্রী চাই , ফোন ১২৩৪৫৬...
    জাত উচ্চতা গায়ের রং কাজ ধর্ম ভাষা অপ্রয়োজনীয় 

    সব্বাই খুশ , মোগাম্বো ও খুশ 

  • Tim | 174.102.66.127 | ০৪ জুলাই ২০২০ ১০:৫৫94857
  • ব্যক্তিগত পছন্দের পয়েন্টটা ভাবার। কিন্তু ব্যক্তিগত বিজ্ঞাপণ, এক, শুধুই ব্যক্তিগত নয়, এক ধরণের নর্ম তৈরী করে না কি? পুরোনো বিজ্ঞাপণের ভাষাই তো নতুন বিজ্ঞাপণে রিসাইকল্ড হয়, অনেক সময় লোকে ধরে নেয় এরকমটাই দস্তুর, ঐ দলিলের শুরুতে যেরকম লিখতে হয়, কে আর দরকার কিনা ভেবে করে। দুই, ব্যক্তিগত বিজ্ঞাপণ যতজনের ব্যক্তিগত, তার চেয়ে ঢের বেশি লোকের ব্যক্তিগত স্পেসে সেটা ঢুকে পড়ে।

    পাত্র পাত্রীর বিজ্ঞাপণ তো ওভাবে হয়না। মানে একটা নিদেন ছোটগল্প লিখে বলা যেতে পারে গপ্পের নাইকার মত কেউ থাকলে যোগাযোগ করুন। তা না গৃকনি হাবিজাবি। ভেবে দেখুন, শব্দপ্রতি চার্জ না করলে বিজ্ঞাপণও কম দেওয়া যায়, আবার বাংলা সাহিত্যের খানিক উপকারও হয়। বিভিন্ন সাইজের সাহিত্যের আঙ্গিকে বিজ্ঞাপণ বেরোবে। সপ্তাহে একটা কি দুটো করে।
  • নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক | 115.114.47.197 | ০৪ জুলাই ২০২০ ১১:৪৪94858
  • কথাটা অন্য জায়গায়। এই যখন কেউ একজন পোবোন্ধো লিখে পোমাণ করতে চান যে উচ্চশিক্ষা বা চাকরি করা ব্যপারটা সৌন্দর্যের বা গাত্রবর্ণের বা গৃহকর্মনিপুণতার চেয়ে হোলিয়ার, কেউ বলতে চান নাস্তিকতা আস্তিকতার চেয়ে হোলিয়ার - সেটা তিনি যুগসঞ্চিত মেজরিটারিয়ান একটা নর্মএর এগেইন্সটে রিভোল্ট করার জায়গা থেকেই লিখলেন, নো ডাউট। কিন্তু একটা কাউন্টার ডিস্ক্রিমিনেশনের দিকেই যে চলে গেলেন সেটা খেয়াল করলেন কি?

    সামাজিকভাবে গণমানসিকতার বদল আনার জায়গা তৈরি করা গেলে হয়তো "ফর্সা স্লিম" এর পাশাপাশি "কৃষ্ণবর্ণা স্বাস্থবতী"র বিজ্ঞাপণ ও ছাপা হুতে পারে। যেমন এখনই বেশকিছু "স্ববর্ণা"র পাশাপাশি "অসবর্ণা চলিবে" / "যে কোনো বর্ণের" ও থাকে। কিন্তু সেটাই কি কাঙ্খিত? কেউ যদি ট্যারা দেখলে অস্বস্তি বোধ করে বা কোঁকড়ানো চুল অপছন্দ করে তার কাউন্সেলিং দরকার হতেই পারে, কিন্তু পাবলিক ফোরামে/মিডিয়ায় তার অপছন্দের খতিয়ান অন্য একজনের সত্যবাচন বা চারিত্রিক দৃঢ়তা পছন্দ করার ডঙ্কার চেয়ে খুব আলাদা কোথায়?

    চারিত্রিক বা অন্যান্য গুণাবলীর প্রেজেন্ট হায়ারার্কি কাউন্টার করে নতুন হায়ারার্কি এসট্যাবলিশ করার মধ্যে ব্যক্তিগত মরালিটি আর জাজমেন্টের বাইরে আর কী কাজ করছে আদৌ?

  • Tim | 174.102.66.127 | ০৪ জুলাই ২০২০ ১২:০০94859
  • আমি মোটের ওপর একমত, যে একটা হায়ারার্কি কউন্টার করার জন্য আরেকটা হায়ারার্কি তৈরী করার কোন মানে নেই। আমি অবশ্য অসবর্ণ চলিবে বা যে কোনো বর্ণ কথাদুটোর মধ্যে নিউট্রালিটি পাচ্ছি, ঠিক উল্টো হায়ারার্কি না। কৃষ্ঞবর্ণ পাত্র পাত্রী চেয়ে বিজ্ঞাপণ কি খুব সহজলভ্য?
  • r2h | 2405:201:8805:37c0:d9d0:b47a:b20e:333f | ০৪ জুলাই ২০২০ ১২:৫২94860
  • ম্যাট্রিমোনিয়াল ওয়েবসাইটগুলিতে যেখানে অনেক সময় পাত্রপাত্রীরা নিজেরাই নিজেদের বক্তব্য নিয়ন্ত্রন করে, সেগুলো কেমন হয় এটা একটা দেখার বিষয়। মানসিকতায় পরিবর্তন হচ্ছে কিনা কিছু।
  • Tim | 2607:fcc8:ec45:b800:e948:46f5:2f62:fb90 | ০৪ জুলাই ২০২০ ১৩:০০94861
  • কয়েক বছর আগেও বামুন, ফর্সা ইত্যাদি থাকত। দুজন বন্ধু তখন প্রোফাইল বানিয়েছিলো, তো দেখলাম মোটের ওপর একই কেস। এখন কি হয়েছে জানিনা।
  • dc | 103.195.203.1 | ০৪ জুলাই ২০২০ ১৩:১৪94862
  • শুধু সাদা কালো না, আমার এই রুচিশীল আর স্লিম ব্যপারগুলোও পোষায় না। রুচিশীল কারুর সাথে কথা বলতে গেলে এক মিনিটে হেজে যাবো, আর স্বাস্থ্যবান বা স্বাস্থ্যবতী না হলে তো মানে...থাক, এখানে আবার বড়োরা আছে, সব কিছু বলতে নেই।
  • তক্কবাগীশ | 15.236.145.192 | ০৪ জুলাই ২০২০ ১৪:৫৮94863
  • উল্টোরথের দিন মিষ্টির দোকানে গিয়ে বললাম- একটু রসভরা পেটমোটা দেখে জিলিপি দিন। ওমা, জিলিপিটা বলে উঠলো- 'এই শালা! বডি শেমিং করিস? তোর পেট মোটা, শান্তির ছেলে!' ভাবলাম এই রে! জিলিপিকে নিজের অজান্তেই হার্ট করে ফেলেছি! জিলিপি ক্যানসেল, বললাম- দুটো কালোজামই দিন। ওমা, কালোজাম ডেচকি থেকে চোখ বড় করে বললো- 'তুই কালো, তোর বাপ কালো, তোর চোদ্দগুষ্টি কালো! আগে আমেরিকা,আফ্রিকার কৃষ্ণাঙ্গদের ইতিহাস পড় গিয়ে, তাপ্পর কালো বলতে আসবি!' 

    জিলিপি, কালোজাম পড়ে রইলো। অতঃপর বললাম দুটো সন্দেশ দিতে। সন্দেশ বললো- 'আমরা আর 'সন' নই, এখন আমরা 'ডটার-দেশ'। যুগ যুগ ধরে চলে আসা পুরুষতান্ত্রিক ষ্টিরিওটাইপ থেকে আমরা বেরিয়ে আসছি!' এটা শুনে পাশ থেকে আরেকটা সন্দেশ সেই সন্দেশটাকে বললো- দ্যাখ তুই 'ডটার' দেশ হতে পারিস। আমি 'সন'-দেশও না 'ডটার' ও না। আমি 'আদার', ছেলে-মেয়ে, নারী-পুরুষ এসব আইডেন্টিটির বাইরেও জগৎ আছে, আমরাও এখন সমান অধিকারে বাঁচবো। 
    -'নিশ্চই বাঁচবি, তোরও সবার মতো পরিচয় আছে, অধিকার আছে', পাশ থেকে জিলিপি আর কালোজাম বলে উঠলো।

    আমি চুপ করে দাঁড়িয়ে আছি দেখে দোকানদার বলে উঠলো- কি দাদা, কি নেবেনটা কি, ফাইনাল বলুন!

    বললাম- আপনার দোকানের সব মিষ্টিই বেশ শিক্ষিত, আপনি কি সবাইকে লিবারাল আর্টস পড়িয়েছেন?
    দোকানদার হেসে বললো- যাক, কেউ অন্তত বুঝলো। না, সবাই আর্টস পড়েছে, তা না, কিন্তু এরা প্রায় সকলেই হায়ার স্টাডি করেছে। কেউ কেউ স্কলারশিপও পেয়েছে। জিলিপি আর কালোজাম এরা তো ইউনিভার্সিটি পাশ করে এখন পি.এইচ.ডি করছে। সন্দেশটা অনার্সের থার্ড ইয়ার দিতো, বাট পরীক্ষা বাতিল হয়ে গেলো। সবাই খুব সেনসিটিভ।

    বললাম- একদম। আর সকলেই ভারি মিষ্টি!

    দোকানদার একটু আক্ষেপ করে বললো-শুধু এই বোঁদেটাকেই পড়াতে পারলাম না। শালা এর পড়ায় মনই নেই। স্কুল কাট মারে, এক্সাম দেয় না। সব সময় আড্ডা আর ছ্যাঁচড়ামি!

    সত্যি বলতে আমি নিজেও বেশিদূর পড়াশোনা করিনি। তাই বোঁদের সাথেই একটু মনে মনে রিলেট করলাম।

    দোকানদার আবারও বলে উঠলো- তা আপনি কোনটা নেবেন?
    বললাম- ওই, বোঁদে..

    ছ্যাঁচড়া বোঁদে এটা শুনে টোন কেটে বলে উঠলো- বাটি নিয়ে চলে যা ছাগলের....

  • Tim | 174.102.66.127 | ০৫ জুলাই ২০২০ ০৬:১৯94867
  • ঃ-)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত মতামত দিন