এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  গপ্পো

  • লকডাউনে পেখম

    ধীমান মন্ডল লেখকের গ্রাহক হোন
    গপ্পো | ১৩ মে ২০২০ | ২১৩৪ বার পঠিত
  • "এই বড় বউ কোনে গেলি, এগুলো রাখ "। ঘুম ভেঙে গিয়েছিল পেখমের, ঘুমের রেশ কাটেনি,শুয়েশুয়ে শুনতে পেল রান্না ঘরের দিক থেকে মা উত্তর দিচ্ছে " দিদি আসছি বসো,আমার ঝাটানো হয়ে গেছে।" শুনতে পেল " সক্কালে আমাগো গনেশ এগুলো পাড়েছে, রাখে দে। মায়েডা আইয়েছে রান্না করিসকোন।" সকালবেলা মা আর জেঠিমার কথাবার্তা শুনে আর শুয়ে থাকতে পারল না উঠে এসে বারান্দায় সিঁড়িতে মহিম-জেঠিমার মুখোমুখি বসল পেখম। "এ মায়ে তা তুই আমাগো বাড়ির দিকে যাইনে কেন? সেই একদিন গিলি আর গিলিনে।"- বলল জেঠিমা। ও জেঠিমা শোননি সারা পৃথিবী জুড়ে একটা ভাইরাস এসেছে। একজনের থেকে আর একজনের শরীরে ঢোকে।এইভাবে ছড়িয়ে পড়ছে তাই সরকার বাড়ি থেকে বেরুতে, কারও কাছে যেতে বারন করছে, সারা দেশে লকডাউন চলছে, তাই এখন যাচ্ছিনা। দেখি দু-এক দিন যাক আমি মেয়েকে নিয়ে যাব। জেঠিমা পেখমের মুখের দিকে তাকিয়ে বলল "শুনিছি সারা দেশে কি এট্টা আইয়েচে গাড়ি ঘোড়া সব বন্দ নোকজন সব বেরোচ্চে না, কই সকালবেলা তো কিছু বোঝা যায়না এখানে । তা শোন এ পাগলি এট্টু কুমে গেলি তোর মায়েকে নেযাবি বলো। তোর দাদারাও তোগো কথা সবসময় বলে, আমি যাচ্ছি"বলে সজনে ভরা চুপড়ি রেখে পঁচাত্তর বছরের জেঠিমা হাঁটতে শুরু করল।

    পাশের বাড়িটিই মহিম জ‍্যাঠামশাইয়ের। না রক্তের কোন সম্পর্ক নেই। কিন্তু ছোট থেকেই মহিম জ‍্যাঠামশাইকে বাবার দাদা বলেই জেনেছে। তাঁর ছেলেদের নিজের দাদা, তাদের ছেলে মেয়েদের নিজের ভাইপো ভাইজি বলেই জানে। ওরাও নিজেদের পরিবার বলেই জানে। ছোটবেলায় কতবার গোয়ালের গরু,একপাল মুরগি, এত বড় বাড়িটা রেখে মা মামার বাড়িতে গেছে। মামার বাড়ি যেতে একদিন আসতে একদিন লেগে যেত, যাতায়াত ব‍্যবস্থা ভালো ছিলনা।

    মাধ‍্যমিক পরীক্ষার পর কয়েকদিনের জন‍্য মেয়ে লেখাকে নিয়ে বাবার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল পেখম। একদিন পরেই জনতা-কার্ফু। তার পরদিন থেকেই লকডাউন। আর বাড়িতে যাওয়া হয়নি।বেশ কাটছে দিনগুলো। বিয়ের পরে এত বেশী দিন সুন্দরবনে কখনও থাকা হয়নি। ওই একদিন খুব বেশী হলে টেনেটুনে দুদিন। বাড়িতে দোকান সামলানো, মেয়ের স্কুলে দিয়ে আসা নিয়ে আসা,রান্না-খাওয়া-খাওয়ানো ইত‍্যাদির জালে এমনভাবে জড়িয়ে গেছে যে মনেই ছিলনা সুন্দরবনের আকাশ,রাস্তা,নদীর পাড়,খোলা মাঠ, মাঠের দুর্বা ঘাস,ধান কাটার পরে শুকনো ধানগাছের গোড়া, ,দুপুরে চিঁচি পোকার ডাক,বাগদা পোনা ধরে সদ‍্য ডাঙায় ওঠা সিক্ত বসনা যুবতীর মত নদীর চরে সূর্যোদয় আবার রায়মঙ্গলের বাঁধের ওপারে ডগডগে লাল থালার মত সূর্যটার ঢিপ করে ডুব মারা, রাতের জোনাকি পোকা কেউ ভোলেনি না কেউ না । শৈশব- কৈশোরের সেই নক্সীকাঁথার মত নানা রঙে রাঙানো এই গ্রাম তার নিটোল বুনোন এখনও ধরে রেখেছে এ খবরই রাখা হয়নি বহুদিন।

    পাটুলীর T ব্লকে সাত ছটাক জায়গায় তিন তলা বাড়ি। দোকানের সিঁড়ির পাশেই দোকান, পেছনে একটা বেডরুম।দোতালায় ও তিন তলায় দুটো বেডরুম,ডাইনিং স্পেস বাথরুম এই পেখমের বাড়ি। লোক বলতে শ্বশুর-শ্বাশুড়ি, ওরা কর্তা-গীন্নি আর মেয়ে লেখা। বড়-বড় জলাশয়গুলো মেট্রো গিলে নেওয়ার পর এই অঞ্চলের চেহারা বদলে গেছে। লোকের যাতায়াত বেড়েছে। বই-খাতার সঙ্গে জেরক্সের দোকান। দোকানের ব‍িক্রি বেড়েছে। রেল লাইনের পাশের ঝুপড়ি,ঝোপঝাড় গুলো ঈরেজার দিয়ে মুছে দিয়ে তৈরী হয়েছে নিউগড়িয়া স্টেশন। স্টেশনের ওপারে পঞ্চসায়র, ঢালুয়া, পূর্বাশার জলাজমি, কচুরীপানা ফুঁড়ে মাথা তুলছে একের পর এক স্বপ্নের ফ্লাট।

    হারিয়ে পাওয়ার আনন্দটাই আলাদা।অনেক-অনেকদিন পর নিজের জন্মস্থানকে, যৌবনের তপোবনকে এত নিবিড় করে কাছে পাওয়া। প্রথম কয়েকদিন করোনার কড়াকড়ি যতটা ছিল এখন আর ততোটা নেই। সকালে হেই-হেই করতে-করতে মাঠে গরু নিয়ে যাওয়া,ক্ষেতের কাজ, সকালে বাজারের চায়ের আসর,সুন্দরবনের "শিল্পচর্চা"তাসের আড্ডা,সবকিছুই ঠিক চলছে, শুধু চলছে না গাড়িঘোড়া মানে ইঞ্জিনভ‍্যান আর স্কুল।

    লেখা দেরীতে উঠলেও পেখম সকালে তাড়াতাড়ি উঠে পড়ে। দাঁত ব্রাশ করতে করতে পাশাপাশি সাধন কাকা, মহিম জ‍্যাঠাদের বাড়ি কখনও ফাঁকা নদী রাস্তা যতটা পারে ঘোরে। বিকালে ঝিলের পাড়ে বসে গল্প করে। এই পাড়েই একসময় কত সময় কেটেছে প্রীতমদার সঙ্গে গল্প করে।

    লেখা'র প্রথম দিকে একটু খাপছাড়া লেগেছিল। টিউব ওয়েলের জল খেতে অসুবিধা হয়েছিল, গ্রামের ছেলে মেয়েরাও যেন কেমন। সকালবেলা গুডমর্নিং বলেনা,কথায় কথায় সরি বলেনা,থ‍্যাঙ্কউ বলে না, চলে যাওয়ার সময় টাটা বাই বলেনা, সবকিছুতেই যেন এরা সংকোচ বোধ করে । এখন অনেকটাই মানিয়ে নিয়েছে। না এরা আদপ কায়দায় শহরের মত না হলেও আন্তরিকতার ফল্গুধারা বুকে ধরে রেখেছে। বিমলদার মেয়ে ছুটকি হাত ধরে টেনে বাড়িতে নিয়ে যায়।পাড়ার শর্মিলা,সাগরিকা,পূর্নিমারা খোঁজ নেয়। ওরা কত আপন করে নিয়েছে ।না শহরের মৌখিক সৌজন‍্যের সঙ্গে মেলাতে পারেনা লেখা। সন্ধ‍্যায় প্রাইমারি স্কুলের মাঠে বসে গল্প করে। যে মাঠে প্রীতমদা খেলা করত। প্রীতমদা একের পর খেলোয়াদের কাটিয়ে দুরন্ত গতিতে বিপক্ষের গোলে বল পৌঁছে দিত। সকালে টিউবওয়েলে প্রীতমদার মুখ ধোয়ার সময় মাটির কলসি কাঁকে করে জল নিতে আসত পেখম।

    একটা বাংলা বছর পাকড়া ফুলের মত টুপ করে খসে পড়েছে। সুন্দরবন তার ছন্দে ফিরেছে। সুভেনদার ছেলে বিপ্লব হেঁটে তামিলনাড়ু থেকে ফিরছে। মানস ব‍্যাঙ্গালোর থেকে। অনেকেই ফিরতে পারছে না বিশেষ করে যারা সপরিবারে আছে।রেশনে চাল,ডাল দেওয়া হচ্ছে।

    সকাল থেকেই ক্লাবের সামনে একটা হালকা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।ক্রমশ তর্কাতর্কি এখন রীতিমতো চেঁচামেচি। এগিয়ে গেল পেখম। কিছু কম বয়সি ছেলেদের মধ‍্যে কিছু একটা ঝামেলা হচ্ছে। সবাইকে ঠিক চেনেনা । আরও নানা বয়সী অনেকেই জড়ো হয়েছে। রীতিমতো ধ্বস্তাধ্বস্তি হওয়ার অবস্থা। মুলত সুভাষ ও নিলয় দুজনই শুরু করে, এখন দু দলে সবাই ভাগ হয়ে গেছে। । পাড়ার হরেনদা জেলাপরিষদ সদস‍্যর দেওয়া অনুদানের ২ কেজি চাল ১ কেজি আলু,২০০ গ্রাম ডাল, ১ কেজি মুড়ির মহান প‍্যাকেট পায়নি তাই নিয়ে। হরেনদা খাটাখাটনি করে সংসার চালায়। মা,বৌ, তিন ছেলে মেয়ে নিয়ে আছে। বাদী সুভাষের প্রশ্ন কেন অনুদানের প‍্যাকেট পাবেনা হরেনদা? বিবাদি নিলয়ের যুক্তি " তোরা ক্ষমতায় ছিলি আয়লার সময় বিভাসদাকে ত্রাণ দিয়েছিলি?" সুভাষ বড় ফুলের সমর্থক ও নিলয়েরা আগে লালের সমর্থক ছিল রাজ‍্য সবুজ হতেই ছোট ফুলের সমর্থক হয়ে গেছে। হরেনদা,বিভাসদা ভোট দেয় কিন্তু মাতামাতি নেই।কাউকে না বলা হয়না, যে যখন যায় তাকেই বলে আমি তোদেরই লোক।

    সুভাষ ও নিলয় দুজনের বাড়ি মুখোমুখি,রাস্তার এপার ওপার। দুজনের বেড়ে ওঠাও মুখোমুখি । একসঙ্গে গরু চরিয়েছে,ধান চুরি করে সেই ধানের পরিবর্তে মুড়ি নিয়ে তরমুজ ক্ষেতের নাড়ার বাসায় বসে খেয়েছে। সরস্বতী পূজার আগের রাতে রাত জেগে শাড়ি দিয়ে প্রতিমার ঘর বানিয়েছে,কাগজের কারুকার্যে সেই ঘর সাজিয়েছে একসঙ্গে। এখন আর মুখোমুখি বসে গল্প করেনা। দুই পরিবারের সম্পর্কও যেটুকু আছে বাইরের। এভাবেই নাকি পুরো গ্রামটা সবুজ আর গেরুয়ায় ভাগ হয়ে গেছে।মায়ের পেটের ভাই-ভাইয়ের সম্পর্কের চেয়ে পার্টিতুতো ভাইয়ের সম্পর্ক আরও দৃঢ়। মাঠে আর ফুটবল সেভাবে খেলা হয়না। ওই বছরে দু এক বার, বিবাহিত-অবিবাহিত বা পাড়ায়- পাড়ায় যখন হয়। উঠতি ছেলেরা এখন বিকালে মাঠে বসে মোবাইলের সঙ্গে গল্প করে। যাদের বয়স একটু বেশী মানে ওই কুড়ি থেকে ত্রিশ সব তামিলনাড়ু,কেরালা,ব‍্যঙ্গালোর,আন্দামান বিভিন্ন জায়গায় শ্রমিকের কাজ করে। সন্ধ‍্যায় ফাঁকা রাস্তায় পার্টির দাদাদের অনুদানে মদের আসর বসে। জানিস পেখম রাস্তা,বিদ‍্যুৎ, জল,যাতায়াত ব‍্যবস্থা সবকিছুই আগের চেয়ে অনেক ভাল হয়েছে কিন্তু আমরা এক গভীর অসুখে ভুগছি রে, কবে যে নোংরা রাজনীতির ভাইরাস আমাদের প্রত‍্যেকের মনকে সংক্রমণ করেছে। এ রোগও মরশুমে প্রকট হয়। মরশুম বলতে ভোটের সময়। ফুটবল মাঠের মত ভোটের মাঠেও নিজের দলের খেলোয়াড় ছাড়া সবাই প্রতিদ্বন্দ্বী।আর কোন পরিচয় থাকেনা। সারা বছর ভুলাভালা সাদাসিদা ছেলেটাও তখন রয়েল বেঙ্গল টাইগার । হাসিখুশি মিশুকে বৌদিটাও তখন গুপ্তচর। যত পৌরুষ,যত বীরত্ব, যত বুদ্ধিমত্তা আশ্বিনমাসে ধানের শিষের মত ফুলে বেরোয়। কত গবেষণা,কত আলোচনা,কে কখন কার বাড়ি চাল নিয়ে,পরুনি শাড়ি নিয়ে ঢুকতে পারে, কাকে কে গীতা ছুঁইয়ে শপথ করাতে পারে। বুড়োবুড়িদেরও কাজ জুটে যায় কে কোন দিকে যাচ্ছে পাহারা দেওয়া। যুবকরা এক-একজন কর্মবীর। চান-খাওয়ার সময় থাকেনা, কখন মিটিং হবে কাপড়ের মোটটা কোথা থেকে কোথায় নিয়ে যেতে হবে।ভোটাররা কে কোথায় আছে। কতজন বাইরে আছে। কাকে কিভাবে আনা যাবে। ভোটার লিস্ট ধরে কার দিকে কত পড়তে পারে হিসাব করা,নাইট ডিউটি- লম্বা টর্চ নিয়ে দলবেঁধে সারা পাড়া বারবার ঘোরা। সঙ্গে কতকিছু থাকে লাঠি,দা,পিস্তল আর সুধার বোতল তো বটেই।মিছিল নিয়ে পাড়া ঘোরা। আরও কত কাজ। কারও কোন সমস‍্যা থাকেনা। বেকারত্বের জ্বালা থাকেনা, অভাব থাকেনা,অসুখ থাকেনা,শুধু থাকে ভোট। সে তোকে বলে বোঝানো যাবেনা পেখম--বলছিল ছেলেবেলার বন্ধু আবির।

    ঝিলের দক্ষিণ পাড়ে বিকালবেলা এসে বসল পেখম। আবির গরু নিয়ে বাড়ির দিকে ফিরছে। অন্ধকারটা গাড় হয়ে আসছে। বাতাস হঠাৎ করেই মাতাল হয়ে গেল। ঝাউ গাছ সাঁ-সাঁ সুরে গাইতে শুরু করল,বৃষ্টি আসবে। আসুক। রায়মঙ্গলের বাঁধ ভেঙে জল টোকার মত ঝরঝরিয়ে বৃষ্টি আসুক,ভিজতে ইচ্ছে করছে। বিদ‍্যুত চমকাচ্ছে। বিদ‍্যুতের রেখায় পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছে পঞ্চসায়রের ইট-কাঠ-পাথরের প্রাণহীণ সবচেয়ে উঁচু ফ্লাটের মাথা,সুন্দরবনের ঢালাই রাস্তা। মহিম- জ‍্যেঠিমার সজনে দেওয়া, আবিরের কথাগুলো সব যেন ঝলমলিয়ে উঠল। প্রীতমদার মুখ ভেসে উঠল,আঠারো বছর না না এই তো সেদিন কালীপূজার রাতে এই পাড়ে বসেই কি যেন বলেছিল, কি যেন বলতে চেয়েছিল ,অনেক্ষণ চুপচাপ বসে ছিল দুজনে বিদ‍্যুতের আলোর মত পরিষ্কার মনে পড়ল "পেখম ক‍্যাহেনে কী বহুত কুছ হ‍্যায়, মগর..........."
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • গপ্পো | ১৩ মে ২০২০ | ২১৩৪ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    ইঁদুর  - Anirban M
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Jharna Biswas | ১৬ মে ২০২০ ১৬:৪৬93396
  • খুব ভালো লাগলো। শেষ টা তুমুল। 

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে প্রতিক্রিয়া দিন