এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  গপ্পো

  • গল্পঃ ব্রাউন লিপ্সটিক - সুতপা মুখোপাধ্যায় সেন

    Sutapa Sen লেখকের গ্রাহক হোন
    গপ্পো | ১২ মার্চ ২০২০ | ২৩৮৪ বার পঠিত
  • ব্রাউন লিপস্টিক
    পরী এসে দাঁড়ায় ছাদের কার্নিশে মাঝে মাঝে । আজকাল প্রায় রাতেই আসছে। দুধেল সাদা পোশাকটা অন্ধকারেও আলো ছড়াতে থাকে । পথভুলে এই শহরতলিতে তাদের বাড়ির ছাদে কেন যে নামে রাত্রিবেলা, যখন সে ছাদে থাকে বুঝতে পারেনা রিন্টু । তবে পরী এলে তার ভালই লাগে। আজকাল একটু একটু গল্পগাছাও হয় তাদের মধ্যে। এই তো গত পরশু এসেছিল। সেদিন দীপক দা মেয়ের বিয়ের জন্যে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে দোকানে আসার পথে পড়ল ছিনতাইবাজের খপ্পরে। শুধু তাদের মালিক এমন নামীদামী কেউকেটা লোক বলে দুঘণ্টার মধ্যে টাকাটা উদ্ধার করে ফেলল পুলিস। পরীকে সে গল্প বলতেই পরী বলে উঠল ছেলেটা মানিকতলার মোড়ের কাছে থাকতো। বড় বিল্ডিং বানাতে গিয়ে কারা সব রাতের অন্ধকারে তাদের বস্তিতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল। ছেলেটা মা আর ভাইকে নিয়ে বিধান নগর রেল ষ্টেশন এর কাছে ঝুপড়িতে উঠে গিয়েছিল । খুব দরকার টাকার। ভাই যদি জয়েন্ট এন্ট্রান্স এ লাগিয়ে দিতে পারে। রিন্টু খুব একচোট তর্ক করল পরীর সঙ্গে। তারও তো কোন ছোটবেলায় বাবা মারা গেছে। শরিকি বাড়ি থেকে জ্যাঠারা ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বার করে দিয়েছিল তাদের। ভাই কত ছোট তখন । সেই বা আর কত বড় ছিল । মায়ের সেই কান্নামাখা বিপন্ন চোখ দুটো এখনও মনে পড়ে তার । মায়ের খুড়তুতো ভাই শ্যামল মামা আর টুনি মামি ব্যাগ ধরে টান দিত না নিশ্চয় । পরী সবার দুঃখে গলে পড়ে। অন্ধকারেও তার বাদামী ঠোঁট দুটো এত স্পষ্ট থাকে কি করে ভেবে পায় না রিন্টু ।
    আজ দোকানে একটা অদ্ভুত মেয়ে এসেছিল । ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের কস্মেটিক সেকশান এর দায়িত্ত্বে আছে রিন্টু। দুটো মেয়ে আছে যারা কাস্টমার কে প্রোডাক্ট সম্বন্ধে বোঝায়, তাকে কোনটা মানাবে সে বিষয়ে বলে বলে তাকে কেনানোর তালে থাকে । রিন্টুর দায়িত্ব জিনিসপত্রের হিসেব রাখা। তবে দেখে দেখে তারও ধারনা হয়ে গেছে। সেও মাঝে মাঝেই কার জন্যে কোনটা উপযোগী হবে বলে দিতে পারে । চল্লিশের উপরে মহিলারা এলে তার মায়ের কথা মনে হয় । মুখে নারকেল তেল ছাড়া আর কিছু মাখল না । একবার শখ করে একটা মুখে মাখা ক্রিম নিয়ে গিয়েছিল । মা তো লজ্জায় অস্থির । শেষে টুনি মামি কে দিয়ে শান্তি । মামি তো বেজায় খুশি । আজ যে মেয়েটা এসেছিল রিন্টু অন্য মেয়ে দুটোকে ছেড়ে কেন যে তার পিছনে পড়ল কে জানে । ব্রাউন শেডের যে কতগুলো লিপস্টিক বার করতে হল তাকে নামী কোম্পানির । শেষ কালে বেছে বেছে গোটা ছয়েক লিপস্টিক পছন্দ করল মেয়েটা । সে নাকি ব্রাউন ছাড়া কিছুই মাখেনা । তারপর শুরু হল বকম বকম। রিন্টুর বাড়ি কোথায়, ভাই কোথায় পড়ে, কোথায় জয়েন্ট এর কোচিং নেয় । ছটা লিপস্টিক কিনেছে বলে কিছুটা সহ্য না করে উপায় ছিলনা । তাদের মাঝে মাঝেই ট্রেনিং দেওয়া হয় সুব্যবহারের । দোকানে সবাই খুব সুভদ্র। টি ভি তে দেখেছে রিন্টু , মালিকও বিধানসভার অধিবেশনে হট্টগোলের মধ্যেও খুব সুন্দর করে ভদ্রভাবে সাজিয়ে কথা বলেন। মালিকের বাবাও তো উঁচুদরের নেতা ছিলেন । মালিকের বড় ছেলে মাঝে মাঝে দোকানে আসে আজকাল। কখনও গলা তুলে কথা বলেনা । অথচ দোকানে কি শৃঙ্খলা। রিন্টু চোখ মেলে, মন খুলে শিখতে থাকে এসব । তার খুব ইচ্ছে ভাই একটা লাইন এ ঢুকে গেলে সে নিজের ব্যবসার চেষ্টা করবে । এমনই সুভদ্র দোকান হবে তার, হলই বা ছোটো। পরীর সঙ্গে আলোচনা করবে বলে, মেয়েটার গল্প বলবে বলে রিন্টু খেয়েদেয়ে রোজকার মতো মাদুর নিয়ে চলে এসেছে ছাদ। এই সময়টা তার নিজের । মা শুয়ে পড়ে আর ভাই নীচের ঘরে রাত জেগে পড়ে । আজকে দোকানের ঐ পাগলী মেয়েটার কথা পরীকে খুব বলতে ইচ্ছে করছে । অথচ পরীর আজ পাত্তা নেই। মেয়েটার গল্প শুনে ভেজা ভেজা বাদামী ঠোঁটে সে নিশ্চয় হেসে গড়িয়ে পড়বে।
    যতিনদা ফিসফিস করে বললেন, কি হে—তোমার ঐ ব্রাউন লিপস্টিক এর খদ্দেরের তো সব শেড কেনা হয়ে গেল। মালিককে বল আরও শেড অর্ডার করতে। ফিক করে হেসে ফেলল রিন্টু । সত্যি, এই পাগলী এক দুদিন অন্তর অন্তর দোকানে এসে হাজির হচ্ছে। এতদিনে জেনে গেছে রিন্টু ওর নাম রিয়া । ভাল নাম স্বর্ণলতা । রিয়া দিল্লিতে পড়াশুনো করে। বাবা ডাক্তার, মা হাউসওয়াইফ । গরমের লম্বা ছুটিতে বাড়ি এসেছে । রিন্টু খয়েরী কাজলের রঙচঙ এ প্যাকেট টা এগিয়ে দিয়ে বলল, এটা দেখুন না । কাজল পরলে আপনাকে ভাল লাগবে। কি বলতে গিয়েও রিয়ার চোখ গেল দরজায় আর প্রজাপতির মত ফুরফুর করে উড়ে গেল সেদিকে। চোখ থেকে সানগ্লাস খুলতে খুলতে হাসি ছড়াল মালিকের বড় ছেলের মুখে—আররে রিয়া তুই! কি দুষ্টু মেয়ে। আমাকে ফোন করবি তো। কবে এলি? আঙ্কেল বলছিল বটে তুই সামার এ আসছিস। রিয়া যেন এক আহ্লাদী প্রজাপতি ; চারদিকে ছড়িয়ে দিচ্ছে রঙ।
    মেট্রো স্টেশন এর দিকে হাঁটছে রিন্টু। দমদমে গিয়ে লোকাল ট্রেন ধরবে বাড়ি ফেরার। রিয়া হাঁটছে পাশে পাশে। খুবই অস্বস্তি হচ্ছে রিন্টুর। মালিক আর রিয়ার পরিবার বন্ধু। সেখানে সাধারন কর্মচারীর পাশে পাশে রিয়া হাঁটছে, বকবক করছে। তার লঙ স্কার্ট লুটিয়ে আছে মাটিতে। রিয়া গাড়ি নিয়েই আসে নিশ্চয়। কিন্তু গাড়ি কোথায় জানেনা রিন্টু। কেবলি মনে হয় দোকানের কেউ দেখে ফেলল বুঝি। কি যে ভাববে কে জানে। দশজনের কানে গিয়ে কতরকমের গল্প হবে। রিয়ার কোন অস্বস্তি নেই। সে সদাই উচ্ছল। রিন্টুর হাত ধরে টানছে , চল চল ঐ দোকানটাতে যা এঁচোড়ের চপ বানায়,আর আমের চপ। আমি একা একাই খেয়েছি একদিন। আরে চল না—শিঁটিয়ে যাচ্ছে রিন্টু। কি যে করে এই পাগল মেয়েটাকে নিয়ে। আজকাল বাড়ি ফেরার সময় হলে অস্বস্তি হতে থাকে রিন্টুর। কোথা থেকে যে উদয় হয় রিয়া মাঝে মাঝে। দোকানের মধ্যে একরকম। সে কর্মচারী, রিয়া কাস্টমার। রাস্তায় বেরলেই অস্বস্তি। এদিকে চল, ওদিকে চল। কি যে জ্বালা। আজকাল পরীরও পাত্তা নেই। ছাদে বসে বসে, আকাশের তারার দিকে তাকিয়ে থেকে মাঝরাতে নেমে আসে রিন্টু। মা একদিন সকালে বলল—হ্যাঁ রে, তুই অত রাত অব্দি ছাদে বসে থাকিস কেন। ঠাণ্ডা লেগে যাবে।
    এক প্রবল কালবৈশাখীর বিকেলে সে আর রিয়া ঝড়বৃষ্টিতে একেবারে চুপচুপে হয়ে গেল। প্রথমে ধুলো,তারপর জল। সেই রাত্রে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর এল তার। ঘোরের মধ্যে দেখল পরী বসেছে মাথার কাছে ,তার ভেজা ভেজা বাদামী ঠোঁটে এক ফালি হাসিতে কত গল্প লুকিয়ে আছে। একটু কেন হাত রাখছ না গো পরী মাথায়। যন্ত্রণায় মাথা যে ছিঁড়ে যাচ্ছে। মা জলপট্টি দিচ্ছে টের পাচ্ছে সে, কেউ হাঁ করিয়ে ওষুধ খাইয়ে দিচ্ছে। অথচ পরী যে কেন মাথায় হাত রাখছে না। ওই তো, ওই তো মাথায় হাত রাখছে ; কি উষ্ণ হাত। আঃ প্রাণ জুড়িয়ে যাচ্ছে। এতদিন কোথায় ছিলে গো পরী। রোজ রাত্রে তোমার জন্যে বসে থেকেছি ছাদে । কত রাত অব্দি। তন্দ্রা ভাঙছে রিন্টুর । খুলে যাচ্ছে চোখের পাতা। জ্বরের ঘোরেও বিদ্যুৎস্পৃষ্টের মত ছিটকে ওঠে সে মনে মনে । রিয়া বসে আছে তার বিছানায়। একটা বাটি হাতে মা দাঁড়িয়ে আছে পাশে। ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে রিন্টু। একি কাণ্ড! মা বলে, দ্যাখ কেমন মেয়ে। তোকে দোকানে না দেখে, জ্বর হয়েছে জেনে দোকান থেকে ঠিকানা যোগাড় করে চলে এসেছে।
    তারপর থেকে বেশ কয়েকবার এসেছে রিয়া তাদের বাড়িতে। মায়ের সঙ্গে গল্প করেছে, ভাই এর সঙ্গে খুনসুটি করেছে। রিন্টুর মঙ্গলবার ছুটি। এক মঙ্গলবার সন্ধ্যেতে রিয়া এসে হাজির। রিন্টু বন্ধুর দিদিকে হাসপাতালে দেখতে কাঁচরা পাড়া গেছিল। সাড়ে আটটায় বাড়ি ঢুকে দেখে রিয়া রুটি তরকারি খেতে খেতে মায়ের সঙ্গে গল্প করছে। অস্থির হয়ে ওঠে রিন্টু। ফিরতে তো অনেক রাত হয়ে যাবে। রিয়ার বায়না সে রাতে থাকবে। বাড়িতে বলে এসেছে বন্ধুর বাড়ি যাচ্ছে। রিয়ার জেদের কাছে হার মানতেই হয়েছিল তাকে। সেই রাতে ছাদে উঠে এসেছিল রিয়া । রিন্টুর খুব মনে হচ্ছিল আজ যদি পরী আসতো। অথচ রিয়াকে বলবে ভেবেও বলতে পারল না পরীর কথা। রিয়া কখনও জিজ্ঞেস করতে থাকল তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা, কখনও বকতে থাকল আগডুম বাগডুম । শুক্লপক্ষের আকাশটা কেমন স্বপ্নময় হয়ে উঠতে থাকল রিন্টুর চোখে।
    রিয়াদের বাড়ির ভিতরটা এতো সাজানো। একটা অ্যালশেসিয়ান ঢাউস সোফার একপাশে বসে আছে। পোষ্য তে কোন ভয় নেই রিন্টুর। সাহায্যকারি মেয়েটি অনেক খাবারদাবার আর শরবত নিয়ে এল। তাকে আসার জন্যে জোরাজুরি করে রিয়াই এখন বাড়িতে নেই। খুঁটিয়ে দেখলে খুব সুন্দরী হয়ত নন, তবে যত্নলালিত পরিমার্জিত চেহারা রিয়ার মায়ের। আলগা এক সুগন্ধ ঘিরে আছে তাঁকে। দুপাটি দাঁতের সারি খুব সুন্দরভাবে সাজানো। ম্যানিকিওরড আঙুলের নখে খুব সুন্দর একটা রঙ। একথা সেকথার পর বললেন রিয়ার কাছে শুনলাম নিজের ব্যবসা করার ইচ্ছে আছে নাকি তোমার। রিন্টু অল্প হাসে। ভদ্রমহিলা খানিক চুপ করে থেকে বলেন, শরবত টা খেয়ে নাও অন্তত। প্রথমবার এলে। রিয়াটাকে দ্যাখো, তোমাকে আসতে বলে নিজেই হাওয়া। সবকিছুই ওর কাছে একটা খেলা খেলা। জীবনে কোথাও সিরিয়াস নয় ও। --আর তখনি বেল বাজল। হাওয়ায় ভাসতে ভাসতে আহ্লাদী প্রজাপতি ঘরে ঢুকল।
    দীপকদা বললেন, তুই একবার দেখা দিয়ে আয়। দোকানের ভ্যালুয়েবেল কাস্টমার বলে কথা। যাচ্ছি বলে অন্যদিকে সরে গেল রিন্টু। মালিকের ছোট ছেলে ডাক্তার। একবার এসেছিল দোকানে। স্বপ্নের মতো দুটো চোখ –মনে হয়েছিল রিন্টুর । ডাক্তারি করতে গিয়ে স্বপ্ন চোখে যেন ছায়া না নামে। আজকাল তো বৌভাতে ধুতি পাঞ্জাবী পরা বরের জন্যে ফ্যাশন নয়। তবুও মালিকের ছোট ছেলে ধুতি পাঞ্জাবী পরেছে। কী সুন্দর লাগছে। বউকেও খুব সুন্দর লাগছে। সবাই বলছে। রিন্টু অবশ্য ঐদিকটায় যায়নি। মালিক দোকানের সবাইকে সকাল থেকে নেমন্তন্ন করেছিল। তাছাড়া মঙ্গলবার হওয়াতে বাড়ি থেকে একেবারে এসেছে। ফাগুনের বাসন্তী সন্ধ্যায় আজ বাইরে খুব হাওয়া। শহরের বিশিষ্ট ব্যাক্তিরা এসেছেন। আলোর ঝলকানিতে চোখে ধাঁধা লেগে যায়। তারা দোকানের কর্মচারীরা চাঁদা তুলে ব্রাউন শেডের দশটা লিপস্টিকের একটা প্যাকেট দিয়েছে নববধুকে। তাতেই অনেক টাকা লেগেছে। তবে মালিকের ছেলের বিয়ে বলে কথা । মালিককে তারা সম্মান করে খুব। এত বিশিষ্টদের মাঝখানে মালিক নিজে এবং দুই ছেলে দোকানের কর্মচারীরা খেয়েছে কিনা বারবার খোঁজ নিয়েছে। রিন্টু ভাবে তার যখন দোকান হবে, হলই বা ছোট, এমনই সুভদ্র হবে সব কিছু। একটা ফুলের ঝালরের নীচে সে দাঁড়িয়ে আছে। পেটের সমস্যা বলে সে খাবে না বলে দিয়েছে। পিঠে কে আলতো হাত রাখল তার। ঘাড় ঘুরিয়ে অবাক হয় সে –রিয়ার মা। তাকে একপাশে ডেকে নিয়ে গিয়ে বললেন, তুমি আমার ছেলের মত। এই খামটা রাখো। তোমার ব্যবসা শুরুতে কাজে লাগবে। তার বিনীত প্রত্যাখ্যানের মধ্যে কতখানি দৃঢ়তা ছিল বুঝতে পারেনা রিন্টু। তবে রিয়ার মা আর অনুরোধ করেন নি। দুচোখে বেদনার একটা আলতো ছায়া দেখতে পায় রিন্টু। অস্ফুটে বলেন রিয়ার মা, ভাল থেকো। ট্রেনের জানলা থেকে দেখে রিন্টু জ্যোৎস্নায় ভেসে যাচ্ছে চরাচর । চাঁদ ছুটছে তার সাথে সাথে মাঠ ঘাট বুনো ঝোপ ঝাড় পেরিয়ে । রিন্টু জানে আজ রাতে পরী আসবে –বহুদিনের পর।

    সুতপা মুখোপাধ্যায় সেন

    ১৯৯,কালিতলা রোড
    পূর্বাচল (উত্তর)
    কলকাতা –৭০০০৭৮
    ৯৮৩০৬৫৫৬৯৩
    ইমেইল –[email protected]
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • গপ্পো | ১২ মার্চ ২০২০ | ২৩৮৪ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    ইঁদুর  - Anirban M
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • বিপ্লব রহমান | ১২ মার্চ ২০২০ ২১:০০91430
  • নিছকই ব্যক্তিগত মত, পাঠ সীমাও হতে পারে।   

    পরী, রিন্টু, রিয়া, মা, মালিকের ছেলে ও অন্যান্য চরিত্র,  ছোট ছোট টুকরো গল্প ও গল্পের কোলাজে একদম ঠাসাঠাসি। সব মিলিয়ে পুরো গল্প বা গল্পের প্যাকেজটি পাজল তৈরি করে। 

    কাহিনীটি রয়ে সয়ে কিছু বিশদে বর্ণনাসহ লিখলে পাঠ ও উপলব্ধিতে সায় পাওয়া যাবে।   

    লেখনিতে পাকা হাতের ইংগিত বিস্ময়কর।       

  • পাঠক | 162.158.227.25 | ১২ মার্চ ২০২০ ২২:৫২91440
  • অতি ক্লিশে গল্প। বস্তাপচা প্লট।
    ইমেল আইডিটা না দিলেও পারতেন।
  • বস্তাপচা প্লট | 172.69.63.28 | ১৪ মার্চ ২০২০ ০২:৩৬91455
  • আমার কেমন মনে হয় সব প্রেমের গপ্পো আসলে একটাই গপ্পো - অন্য ভাবে বল্লে বস্তাপচা প্লট।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন