এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  অপর বাংলা

  • সাইবার যুদ্ধ ও ধনুকের বহুমুখী তীরের গতিপথ নির্ণয়

    জাহিদ হাসান লেখকের গ্রাহক হোন
    অপর বাংলা | ১১ জুন ২০১২ | ১২১৩ বার পঠিত
  • যুদ্ধ দামামার তরঙ্গ উৎপাদঃ একদম প্রথম থেকেই অংক কষি। একদা ৭ জানুয়ারী ২০১১ ভোরে কুড়িগ্রামের অনন্তপুর সীমান্ত পার হয়ে দেশে ফেরার সময় কাঁটাতারের বেড়ায় কাপড় আটকে গেলে ফেলানী নামক কিশোরী চিৎকার শুরু করে। সে সময় বিএসএফ সদস্যরা তাকে গুলি করে হত্যা করে , পরে তার লাশ কাঁটাতারে ঝুলতে দেখা যায়। ঝুলতে থাকে তার চুল গুলো। সাথে সাথেই আমাদের আবেগও লটকে থাকা ফেলানীর চুলের সাথে পাল্লা দিয়ে দুলতে থাকে। মনের একদম গভীর থেকে এক অদৃশ্য ঘৃণা উপচে পড়ে। ঘৃণাগুলো দল বেধে ছুটতে থাকে সীমান্তের ওপাড়ে।
    মনোবিজ্ঞানীদের মতে, “ অস্বাভাবিক পরিস্থিতি বা স্বাভাবিকতার বীভৎস রূপ যখন আমাদের ইচ্ছার বিপরীতে প্রকাশিত হয় তখন ঘৃণা নামক আবেগের সৃষ্টি হয়”
    একটি কিশোরীর ঝুলন্ত লাশ স্বাভাবিক ভাবেই মনে আলোড়ন সৃষ্টি করে। হয়ত দুপুরে ভাত নাড়তে নাড়তে মনে মনে বি এস এফ কে এক চোট গালাগালি করি। এই ঘৃনার বহিঃপ্রকাশ মিডিয়ার লাফালাফি, কিছু লেখালেখি ও আমাদের গালাগালিতেই সীমাবদ্ধ। তারপর অসীম কৃষ্ণগহ্বরে ঝুপ করে ঝাপ দেয় ফেলানী স্মৃতি।
    বেশ কিছুদিন বাদেই আমরা ভারতীয় টিভি এন্ডিটির সৌজন্যে বিভৎস এক ভিডিও দেখতে পাই। সেখানে বি এস এফ কতৃক বাংলাদেশীদের উপর নির্যাতন যে কতটা পাশবিক হতে পারে তার প্রমাণ মেলে। বি এস এফ এর শীর্ষ কর্মকর্তাদের দাবী এই ল্যাংটা কান্ড ঘটে ৯ ডিসেম্বর।
    উল্লেখ্য বি এস এফ কতৃক সীমান্তে শুধুমাত্র বাংলাদেশী হত্যার সংখ্যা গত এক দশকে ৯৯৬ জন।
    এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিজিবি ও বিএসেফ বৈঠকে বসলে বি এস এফ গুলি বন্ধ করতে অস্বীকৃতি জানায়। এই  বিবৃতির পর আমাদের রাষ্ট্র নির্বাক থাকায় দেশের কিছু হ্যাকার গ্রুপ ভারতের ওয়েব সাইট ধারাবাহিক ভাবে হ্যাক করা শুরু করে । শুরু হয় দ্বিঘোষিত সাইবার যুদ্ধ।

    সাইবার যুদ্ধের পেছনের কথাঃ কিছু মিডিয়া ও অতি উৎসাহী কিছুমানুষ এই বিষয়টিকে ঢালাও ভাবে প্রচার করে। স্বাভাবিকভাবেই আমাদের সৃষ্ট ঘৃণা তথা ভারত বিদ্বেষের কারনে বিষয়টি ব্যাপক সমর্থন লাভ করতে সক্ষম হয়।
    কিন্তু কিছু মিডিয়া এবং একটি হ্যাকার গ্রুপ দাবী করে, এই সাইবার যুদ্ধ বাংলাদেশের ওয়েবসাইট আক্রমনের মাধ্যমে ভারত শুরু করেছে। এই বলেই খালাস । কোন তথ্য বা প্রমান এখনো কোন মিডিয়া দেখাতে পারেনি। তবে একটি মন্ত্রণালয়ের সাইট কিছু সময়ের জন্য বন্ধ থাকলেও তা কি আদেও ভারতীয় হ্যাকাররা হ্যাক করেছে সে সম্পর্কে কেউ স্পষ্ট ধারনা দেয়নি।
    আবার হ্যাক হওয়ার পর ডিফেইস পেজে যদি বার্তা নাই বা থাকে তাহলে মিডিয়া বা হ্যাকার গ্রুপ কোন যুক্তিতে ভারতের উপর দোষ চাপাল তা এখনো প্রশ্নবিদ্ধ।
    এতে করে আরেকটি কথা এসেই যাচ্ছে। ডিফেইস পেজ খালি থাকলে ভারতীয় হ্যাকাররা কিভাবে যুদ্ধ ঘোষণা করল তা এখনো পরিস্কার নয়।

    হ্যাকারদের দাবীর যৌক্তিকতাঃ এই সাইবার যুদ্ধে নেতৃত্বে প্রধান তিনটি হ্যাকার গ্রুপ রয়েছে।
    ১. বাংলাদেশ সাইবার আর্মি
    ২. বাংলাদেশ ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকারস
    ৩. এক্সপায়ার সাইবার আর্মি
    এছাড়াও অরিয়েন্টস হান্টার , ব্ল্যাক বার্ন, বার্ন জোন নামক কিছু হ্যাকার গোষ্ঠী এই সাইবার যুদ্ধে জড়িত। সাধারণ  নেট ব্যবহার কারীরাও এই সাইবার যুদ্ধে প্রত্যক্ষ ভাবে নিচ্ছে।

    বিভিন্ন দাবী নিয়ে এই সাইবার যুদ্ধ চলছে। এক্সপায়ার কতৃক হ্যাক কৃত একটি ডিফেইস পেজে আমারা দেখতে পাই , কাঁটাতারে ফেলানীর ঝুলন্ত লাশের ছবি, “STOP BORDER KILLING”
    “Fuck all politics in Bangladesh and fuck the Indian BSF too, coward mother fuckers”
    “w3 ar3 Bangladeshi UnderGround Hacker 3xp1r3 CyberArmy “...::-Go To Hell-::..”

    “May God Curse upon you All ! ' Ameen”

    “All Indian Lammers ! :) .. You'll be Fucked s00n “
    ...::UsA 3xp1r3 Cyber Army::......::s1r-3xp1r3::...::Mr.3xp1r3::...::3xp1r3-k1ng::..::Ethical-BD-HaXor..:::..:::3xp1r3-t3rr0r...::3xp1r3-n0pm...::split0-3xp1r3::..::_sYs_::..::3xp1r3-61::..::Ajob 3xp1r3::..3xp1r3 prem..::::.Hip hop 3xp1r3..::n3r0b::....::..Shadow008-...::...3xp1r3-!-!..::.....::...

    AND All MuSliMS HaCk3Rs::..Will Return Soon Followed”

    বিসিএ এবং ব্ল্যাক হ্যাট যেসব পেজ হ্যাক করেছে সেখানেও যে দাবী মূখ্য সেটি হছে সীমান্ত হত্যা বন্ধ।
    কয়েকদিন পরেই হ্যাকারবৃন্দ তাদের দাবীগুলো আনুষ্ঠানিক ভাবে উপস্থাপন করেছে। দাবীগুলোর সারাংশ হচ্ছে,
    ১. সীমান্ত হত্যা বন্ধ।
    ২. টিপাইমুখ বাঁধ নির্মান করা যাবেনা।
    ৩. তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষর ।
    ৪. ভারতীয় টিভি চ্যানেল প্রচার বন্ধ।
    ৫. ভারতকে বাংলাদেশ বিরোধী কর্মকান্ড থামাতে হবে।

    প্রথম দাবীটি আমার তোমার আপনার সবার। সীমান্ত হত্যা নিয়ে চুনের মধ্যে অনেক ফু দেওয়া হয়েছে আমি আর ঘোলা করতে চাইনা। তবে কিছু বিষয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে যখন কেউ অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে তখন বি এস এফ পশুরা নিশ্চয়ই বসে বসে ট্রিগার চুষবেনা। এক্ষেত্রে বিজিবির ভুমিকা কি? সীমান্ত হত্যা শুধু বিএসেফ এর পাশবিকতা নয় বরং বিজিবির অবহেলাও বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
    ২য় দাবী টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণ থামাও একটি সার্বজনীন দাবী। তবে ভার্চুয়াল জগতে শত চিল্লাফাল্লা করলেও বাস্তবে বিপ্লব আদৌ সম্ভব কিনা তা প্রশ্নবিদ্ধ।

    “তিস্তা চুক্তি করতে হবে” বিষয়টি হাস্যকর। যেখানে ওপাড় থেকে মমতা গলার রগ ফুলিয়ে ধমক দেয়, সরকার আঙ্গুল চেটে চেটে ধমক খায় সেখানে ভার্চুয়াল জগৎএ মাথায় “মামা” ঠেকিয়ে দাবী আদায় করে নেওয়াটা যথেষ্ট ছেলেমানুষী। তবে দাবীটি অযৌক্তিক নয়। কিন্তু বীর বাঙ্গালী কী বোর্ড চাপুক আর যাই চাপুক মাঠে নামা ছাড়া তিস্তা চুক্তি সম্ভব কিনা সে বিষয়টি সন্দেহের অতীত নয়।
    ভারতীয় টিভি চ্যানেল প্রদর্শন বন্ধ করার ব্যাপারটিও ঠিক তিস্তা চুক্তির মত কল্পনায় ডাকাতি করা। মাননীয় হ্যাকারগন টিভি চ্যানেল বন্ধ করতে বললেও আপনারা কি ভারতীয় চ্চলচিত্র প্রদর্শন বন্ধে একবারও রাস্তায় নেমেছেন কি?

    ভারতের দ্বারা আমরা কি পরিমান শোষিত হই তা কাউকে নতুন করে কিছু বলার নেই। তবে আমাদের কি উচিত নয় যে ভারতের লাথি বন্ধের দাবীর আগে সরকারগনের ভারতের পা চাটানো বন্ধের দাবী জানানো?
    শোষিত সমাজের দাবী গুলোকে আকাশে ছেড়ে উড়তে বললেই উড়বেনা। উড়ানোর জন্য প্রয়োজন প্রত্যক্ষ ভাবে দাবীগুলো আদায় করা। অধিকার কখনো হেটে আসেনা, আদায় করে নিতে হয়। তবে আদায়ের মাপকাঠিটি অবশ্যই যৌক্তিক ও মান সম্পন্ন হতে হবে।

    কলুষিত রাজনৈতিক থাবা ও আবেগতান্ত্রিক হ্যাকিজম জটিলতাঃ ভারতীয় সংবিধানের ৩৬৭ ধারার ৩ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে “ ভারত ব্যাতীত যে কোন রাষ্ট্র বিদেশী রাষ্ট্র , কিন্তু ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রয়োজনে কোন রাষ্ট্রকে বিদেশী রাষ্ট্র নয় বলে ঘোষনা দিতে পারেন”
    (সিকিম ও ভূটান এই ধারার আওতায় পড়েছে) সবচেয়ে অবাক করার বিষয় হল বিদেশী রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব লংঘন করে কিভাবে একটি রাষ্ট্রের সংবিধান সৃষ্টি হয়?
    এবার আসি মোদের বাড়িতে। আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রী এই হ্যাকিংকে পুরোপুরি যুদ্ধাপরাধ ঠেকাতে নিয়ে গেছে। এর পরেই ব্ল্যাক হ্যাট এর এক বিবৃতিতে এর জবাব দেওয়া হয়।
    আবার হ্যাকড কিছু ডিফেইস পেজে অনেকে সাম্প্রদায়িকতা খুজে পেয়েছেন। “May God Curse upon you All ! ' Ameen”  এখানে হ্যাকার ধার্মিক হতেই পারে। তাই বলে একে সাম্প্রদায়িক অপবাদ দেওয়া যথেষ্ট নীচু মানসিকতার পরিচয় বহন করে। একে জামাত পন্থী বা শিবির বলারও কিছু নেই। তবে সাইবার যুদ্ধের প্রথম কয়েকশ ডিফেইস পেজে আরেক্টী কথা এসেছে, সেটি হচ্ছে গ্রিটিং এ AND All MuSliMS HaCk3Rs এই লাইন টি ব্যবহার হয়েছে। একটি গোষ্ঠীর মুখোশ পড়ে যাওয়ার সাথে সাথেই ভুল বোঝার পর লাইনটি অপসারিত করা হয়।
    যখন দেশের কিছু দেশপ্রেমীরা আবেগে তাড়িত হয়ে হ্যাক শুরু করেছে সাথে সাথেই কিছু ভারতবিদ্বেষী তাদের সাথে পদক্ষেপ মেলায়। এখানেই এই পবিত্র কাজের পবিত্রতা নষ্ট হয়েছে। কিছু অতি উৎসাহী পেজ এই ভ্রান্তির মূল কারন। মূলত ভারতীয় সাইট ১৫০০০-১৭০০০ হ্যাক হয়েছে। কিছু গোষ্ঠী ইচ্ছাকৃত ভাবে মানুষের মাঝে ভ্রান্তি ঢুকিয়ে দিচ্ছে।
    আবার প্রশ্ন যখন আন্তর্জাতিক মহলে। তখন বিষয়টি আরও ঘোলাটে আকার ধারন করে।সবচেয়ে বড় বিতর্কের নিষয় হচ্ছে বাংলাদেশের পক্ষে পাকিস্তানের অংশগ্রহন ও ধর্মীয় প্রচার। দেশপ্রেমী হ্যাকারগন কি এই ছোট ফাঁদটুকু বুঝতে পারেনি? নাকি আমরাই তাদের নিষ্পাপ মুখোশ ফাঁদের শিকার?
    একটু ফেসবুকে যাই, কিছু কিছু পেজ আছে যারা তথ্যপ্রযুক্তির টিপস দিয়ে থাকে । এই টিপ্সের লোভেই অসংখ্য মানুষের লাইক পড়ে সেই পেজে। একটু খেয়াল করলেই দেখা যায় মূলত এসব পেজেই হ্যাকিং এর যাবতীয় খুটিনাটি খবর (ভ্রান্তি) সরবারহ করা হয়। এই পেজের মূল হোতারা অতি সাবধানে (অ্যাডাল্ট জোক সহ) সাম্প্রদায়িক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। সরল মনে রোপণ হচ্ছে সাম্প্রদায়িক ভাবের বীজ।
    আরেকটি কথা না বললেই নয়, হ্যাকারগ্রুপ গুলো হ্যাকিং ট্রিক গুলো ছড়িয়ে দিচ্ছে। শত হলেও আমরা সবাই সাধু নই। সাইবার যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর যে গৃহযুদ্ধ বাঁধবেনা সেই নিশ্চয়তা কি কোন গ্রুপ দিবে?

    আর লিখমুনা , শ্যাষঃ একদম মূল কথায় ফিরে যাই। সীমান্ত হত্যা বন্ধ করার দাবী জোড়দার করা উচিত। তবে আগে এই হত্যা করার সুযোগ বন্ধ করার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। দেশের মানুষ যদি ভুল করেই ফেলে আর যদি গুলি করতেই হয় তবে এক্টাই দাবী গুলিটি যেন মেড ইন বাংলাদেশ হয়।

    পাদটিকাঃ এই যুদ্ধে আন্তর্জাতিক হ্যাকার গ্রুপ অ্যানোনিমাস এর সংশ্লিষ্টতা নেই। গ্রুপের এক দুইজন সদস্যের সম্মতি মানে গ্রুপের সম্মতি নয়। বিষয়টি পুরো পুরি মাইন্ড গেম।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • অপর বাংলা | ১১ জুন ২০১২ | ১২১৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কল্লোল | 129.226.79.139 (*) | ১২ জুন ২০১২ ০৬:০৪89959
  • জাহিদকে ধন্যবাদ, একটা কৌতুহলদ্দীপক বিষয়কে নিয়ে লেখার জন্য। তবে, ওঁর অবগতির জন্য জানাই, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফ শুধু বাংলাদেশী মানুষকেই খুন বা অত্যাচার করে না, পশ্চিমবঙ্গের বাঙ্গালীদের উপরেও একই রকম অত্যাচার চালায়। তার বহু প্রতিবেদন গুরুচন্ডা৯তেই রয়েছে। আরও বিস্তারিত জানতে http://www.masum.org.in/reports1.html এখানে Fact Finding Reportএ মাস অনুযায়ী বিএসএফের কীর্তিকলাপ আছে। দেখতে পারেন।
    ভারতীয় সরকারী সাইট হ্যাক করা, প্রতিবাদের একটা ধরন হতে পারে। অমি ধরনটাতে একমত নই। এর পাশাপাশি যদি আন্তর্জাতিক ফোরামগুলোতে এই অত্যাচারের খবর তুলে ধরে ভারত সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করা যায়, সেটা মাথায় রাখবেন। চাপ সৃষ্টির এই ধরনে মাসুমকে সাথে পেতে পারেন।
  • BanglarBagh | 87.185.234.171 (*) | ২৩ জুন ২০১২ ০৫:১৮89960
  • BSF guli kore keno? ChoraChalan Bondho, Jaal Note Export Bondho korar upay ki? BSF ki tule neya uchit? Mul doshi ke? ai sob proshner kono uttor pelam na!
  • সুশান্ত কর | 127.198.52.119 (*) | ২৪ জুন ২০১২ ০৩:০৬89962
  • এই নিয়ে যত আড্ডা দিয়েছি, এই লেখাটা আমার সবচে' চিন্তা সমৃদ্ধ বলে মনে হয়েছে। টুক টাক তথ্য বিভ্রান্তি আছে কি নেই, এই নিয়ে আমার কোনো ভাবনা নেই। এরকম সামাজিক বিষয় নিয়ে লেখাতে সম্পূর্ণ তথ্যত্রুটি বিহীন লেখা আমি আজ অব্দি পড়িনি। ঠিক তেমনি, বাংলাদেশের এক নাগরিককে ভারতের সংবিধানের ৩৬৭ ধারা অবাক করতেই পারে। শোভনের কেন মনে হলো জাহিদ বে আইনী কাজকে সমর্থণ করছেন , আমি জানি না, আমার তো মনে হলো তিনি বিরোধীতাই করে গেছেন। এবং বাংলাদেশের কিছু নেট ব্যবহার কারীদের আবেগ প্রবণতা এবং অসৎ উদ্দেশ্যকে ভালো করেই উন্মোচন করেছেন। তাঁর এই প্রশ্নটাইতো মোক্ষম, "সাইবার যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর যে গৃহযুদ্ধ বাঁধবেনা সেই নিশ্চয়তা কি কোন গ্রুপ দিবে?" এই কথা তিনি লিখেছেন বট, "দেশের মানুষ যদি ভুল করেই ফেলে আর যদি গুলি করতেই হয় তবে এক্টাই দাবী গুলিটি যেন মেড ইন বাংলাদেশ হয়।" তাঁর আগে কি এই কথাও লেখেন নি, বিএসএফ যদি গুলি করছে বিডি আর তবে কী করছে বসে বসে? সুতরাং আমার থেকে এই লেখাকে যদি মার্ক্স দিতে হয় তবে ১০০ তে ১০০!
  • শোভন | 24.99.105.6 (*) | ২৪ জুন ২০১২ ১১:৫৯89961
  • জাহিদ গতিপথ নির্ণয় করতে গিয়ে ঠিক কি বলতে চাইলেন সেটাই তো বোধগম্য হলো না! তবে লেখা থেকে একটা জিনিস স্পষ্ট যে তিনিও একটা বে-আইনি কাজকে সঠিক বলেই মনে করেন। এছাড়া লেখাটাতে তথ্যগত ভুলও আছে। কোত্থেকে বিএসএফ যে ৯৯৬ জন বাংলাদেশীকে সীমান্তে হত্যা করেছে, এই তথ্যটা পাওয়া যাবে?
    * লেখকের অবগতির জন্য জানাই যে ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বাংলাদেশ সীমান্তে গুলি না চালানোর জন্য বিএসএফকে কড়াভাবে নির্দেশ দিয়েছেন। তার ফলাফল হলো এই যে, উত্তরবঙ্গ-বাংলাদেশ সীমান্তে বাংলাদেশী ডাকাতের হাতে দুই বিএসএফ জওয়ান মারা যান। কাজেই সীমান্ত হত্যা বন্ধের দাবীতে এই হ্যাকিং এর সমর্থন করাটা ধোপে টেকে না। এরচেয়েও বড় প্রশ্ন হলো যে সীমান্তে ঐ বাংলাদেশীরা কি করছিলেন? বাংলাদেশের সরকার, নিরাপত্তারক্ষী এবং জনগণের উচিত আগে নিজের দেশের লোককে সামলানো।
    * বাংলাদেশে টিপাইমুখ নিয়ে যতো হাঙ্গামা হচ্ছে, তার দশমিক এক ভাগও কি সাংপোর ওপর চীনের বাঁধ দেওয়া নিয়ে হচ্ছে? অথচ, চীনের বাঁধ কিন্তু আরো বেশী সমস্যা সৃষ্টি করবে!
    * তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষর নিয়ে যদ্দূর জানি ভারত সরকারও উৎসাহী। আজ পর্যন্ত এই চুক্তি কেনো স্বাক্ষরিত হয় নি, সেটাও মোটামুটি সবারই জানা।
    * বাংলাদেশের লোকজনের মধ্যে একটা ধারণা আছে যে ভারতে নাকি বাংলাদেশী চ্যানেলের প্রচার নিষিদ্ধ। এটার উৎস কোথায় জানিনা। কিন্তু এই ধারণাটা ভুল। এটিএন বাংলা তো বোধহয় বাংলাদেশেরই চ্যানেল, তাই না? শিলচরের কেবলে আমি অন্ততঃ তিনটা বাংলাদেশী চ্যানেল দেখেছি। আস্তে আস্তে অপারেটররা এটিএন ছাড়া বাকি চ্যানেলগুলোর টেলিকাস্ট বন্ধ করে দেয়। কারন নিম্নমানের প্রোগ্রাম এবং দর্শকের অভাব।
    আর ভারতীয় চ্যানেলের প্রদর্শন বন্ধ করা বা না করা সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এর সাথে ভারতীয় সাইট হ্যাক করার কি সম্পর্ক থাকতে পারে?
    * জাহিদ আরো লিখেছেন, "ভারতের দ্বারা আমরা কি পরিমাণে শোষিত হই তা কাউকে নতুন করে কিছু বলার নেই।" এটার পক্ষে একটা-দুটো উদাহরণ দিলে ব্যাপারটা পরিষ্কার হতো। আমরাও শোষক ভারতের সম্বন্ধে জানতে পারতাম! এখানে তো ব্যাপারটা হয়ে গেলো যে কিছু লোক হ্যালুসিনেশনের স্বীকার হয়ে সাইট হ্যাক করতে চলে গেলো!
    * ভারতীয় সংবিধানের আর্টিকল ৩৬৭-র ৩ নং ধারা সম্বন্ধে আধখ্যাঁচড়াভাবে না বলে পুরোটা বলা উচিত ছিলো। যেভাবে এই লেখায় এটা উদ্ধৃত হয়েছে, সেটা আসলে ধারাটাকে বিকৃত করে উপস্থাপন করারই উদাহরণ। আর হঠাৎ করে এই ধারার উল্লেখই বা কেনো করা হলো? আর্টিকল ৩৬৭ এর ৩ নং ধারায় বলা হয়েছে - "For the purposes of this Constitution foreign State means any State other than India: Provided that, subject to the provisions of any law made by Parliament, the President may by order declare any State not to be a foreign State for such purposes as may be specified in the order PART XX AMENDMENT OF THE CONSTITUTION"
    এই সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন ছিলো। না হলে গোয়া, দমন এবং দিউ বা সিকিমকে কিভাবে ভারতের অঙ্গীভূত করা হতো সেটা কি জাহিদ দয়া করে একটু বলবেন? আরও একটা কথা মনে রাখা উচিত যে বিদেশী রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন না করলে ভারতের পক্ষে বাংলাদেশ লিবারেশনের যুদ্ধে নামাটা সম্ভব হতো না। কারন, সেক্ষেত্রে স্বাধীন এবং সার্বভৌম দেশ পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার নিয়ে ভারতের কোন মাথাব্যথা থাকতো না।
    হ্যাকাররা যা করছে বা করেছে, তা পুরোপুরি অনৈতিক এবং বে-আইনি। এই নিয়ে কোন দ্বিমত থাকতে পারে বলে আমার তো মনে হয় না।
  • জাহিদ হাসান | 68.97.208.185 (*) | ২৫ জুন ২০১২ ০২:১১89963
  • @ শোভন = প্রথমেই বলে নেই আপনি যদি মনে করে থাকেন আমি বেশ বড় গলায় এক দলকে সমর্থন করে গেছি তাহলে আপনি ভুল করছেন। আপনাকে অনুরোধ করব পুরো লেখাটিকে আবার পড়ার।
    ১. লেখকের অবগতির জন্য জানাই যে ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বাংলাদেশ সীমান্তে গুলি না চালানোর জন্য বিএসএফকে কড়াভাবে নির্দেশ দিয়েছেন। তার ফলাফল হলো এই যে, উত্তরবঙ্গ-বাংলাদেশ সীমান্তে বাংলাদেশী ডাকাতের হাতে দুই বিএসএফ জওয়ান মারা যান। কাজেই সীমান্ত হত্যা বন্ধের দাবীতে এই হ্যাকিং এর সমর্থন করাটা ধোপে টেকে না। এরচেয়েও বড় প্রশ্ন হলো যে সীমান্তে ঐ বাংলাদেশীরা কি করছিলেন? বাংলাদেশের সরকার, নিরাপত্তারক্ষী এবং জনগণের উচিত আগে নিজের দেশের লোককে সামলানো। = গুলি এখন অব্দি থেমে নেই। আপনি যদি কষ্ট করে গুগলে " বাংলাদেশ সীমান্তে গুলি" সার্চ দিন তাহলে ভুরি ভুরি লেখা পাবেন। কথার ছলে কথা এসেই যায়, " ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বাংলাদেশ সীমান্তে গুলি না চালানোর জন্য বিএসএফকে কড়াভাবে নির্দেশ দিয়েছেন" আপনি কি জানেন বি এস এফ প্রধান এর পর কি বলেছিল? বা তার শেষ কোথায়? হ্যাকিং সমর্থন করেছি কি করেনি তা না হয় অন্য পাঠকই বলুক!

    ২. বাংলাদেশে টিপাইমুখ নিয়ে যতো হাঙ্গামা হচ্ছে, তার দশমিক এক ভাগও কি সাংপোর ওপর চীনের বাঁধ দেওয়া নিয়ে হচ্ছে? অথচ, চীনের বাঁধ কিন্তু আরো বেশী সমস্যা সৃষ্টি করবে! = একটু কোন লিঙ্ক দেওয়া যায়?
    ওই বাধের উৎস তিব্বতে । টিপাইমুখ ইস্যুতে ওই বাধ ধোপে টেকে না।

    ৩. " আজ পর্যন্ত এই চুক্তি কেনো স্বাক্ষরিত হয় নি, সেটাও মোটামুটি সবারই জানা" জানা বিষয় নিয়ে না হয় আপনারাও একটু জাগ্রত হোন।

    ৪. টিভি চ্যানেল প্রচার নিয়ে কথা বললে অনেক কথা হয়ে যাবে। বিষয়টা এরকম " তুই আমাকে দশ টাকা দে, আমি তোকে ২ টাকা দেই" কিন্তু সবাই দেখল দুজনই টাকা বিনিময় করছে।

    ৫. স্বামী স্ত্রীর সঙ্গমের পরই বাচ্চা হয়। কোন কারন ব্যাতীত আমরা শোষিত সমাজ কেউ বলেনা। এ নিয়ে বিস্তারিত আলাপের প্রয়োজন। এক মন্তব্যে বোঝানো সম্ভব নয়। যেহেতু আপনি পুরো বিষয়টি জানেন না বা স্বীকার করেন না ।

    ৬. আমার মনে হয় না আমি ধারাটিকে বিকৃত করেছি।

    আপনাকে ধন্যবাদ।

    @ কল্লোল এবং সুশান্ত = আপনাদের ধন্যবাদ।
  • ডাঃ শুভদীপ | 59.200.34.44 (*) | ০৮ জুলাই ২০১২ ০৮:১১89964
  • শিক্ষিত মানুষকে কিছু বোঝাতে গেলে যুক্তি ও জ্ঞ্যান লাগে
    অশিক্ষিতকে বোঝাতে গেলে জোর লাগে,নচেত সে মানে না

    মুশকিল হোল অর্ধশিক্ষিতদের নিয়ে। এরা জানে চার আনার, বোঝে দু আনার,পরের কথায় নাঁচে দুটাকার এবং সর্বপরি চ্যাঁচ্যাঁয় পাঁচ টাকার।ভদ্রলোক যে এই তৃতীয় বিভাগে পড়েন তা শিক্ষিত লোকেরা শুধু ওনার লেখা পড়েই বুঝেছেন;তার জন্য ঝেড়ে কাশা নিষ্প্রয়োজন।উনি যে দুটি বাঁধের কথা বললেন,ভারতের সংবিধান এগুলো সম্বন্ধে ওনার জ্ঞ্যান পাকিস্তানের উগ্রপন্থাবিরোধী মনোভাবের মতো।যে দেশটিকে উনি নিরীহ বলে বোঝাচ্ছেন বা চেষ্টা করছেন,বলতে পারেন কেন দিনের পর দিন সেটা উদবাস্তু ও অনুপ্রবেশকারীর কারখানা হচ্ছে?
    আর ক্ষমতার কথা পঙ্গুর না বলাই ভালো।চারাগাছ যদি তার আশ্রিতার ক্ষতি করে,তবে সেটা পরোক্ষভাবে তারই ক্ষতি।বাংলাদেশ আজও খেয়ে,পরে বাঁচার জন্য ভারতের উৎপাদিত পণ্যসামগ্রীর উপর নির্ভরশীল।কাজেই খামোখা অস্ব্যাস্থকর চিন্তা ভাবনা উনি পুষছেন তা সহজবোধ্য।
    আর সাম্প্রদায়িক কেন বলবো না সেটা বোঝানোও ওনার সাধ্য হোল না।মনে রাখবেন আপনাদের দেশে মোট অতো মুসলিম ভাই নেই,যতো আমাদের দেশে শিক্ষিত মুসলিম আছেন।আমরা এমন একটি দেশ যার রাষ্ট্রপতি অব্দি মুসলিম ছিলেন।

    পরবর্তীকালে থুতু ছেটানোর আগে লক্ষ্যটা ঠিক রাখুন.........নইলে ওটার ফেরত আসার জন্য অপেক্ষা করুন
  • জাহিদ হাসান | 68.97.228.117 (*) | ১০ জুলাই ২০১২ ০৮:৫৫89965
  • হা হা হা
    আপনার কথায় আর না হেসে পারিনা

    বি.দ্রঃ আপনার মধ্যে ছেলেমানুষিভাব এখনো যায় নি। ( খারাপ ভাবে নেবেন না যেন )

    পরামর্শঃ ১. যার যার দৃষ্টি ভঙ্গি থাকতেই পারে, তবে এরকম উদ্ভট চিন্তা আমি আজ অব্দি দেখিনি মাইরি বলছি।
    ২. না জেনে মন্তব্য করা একদম অনুচিত। এতে বরং নিজের ভাবমুর্তিই নষ্ট হয়।

    ধন্যবাদ আপনাকে। @ডাঃ শুভদ্বীপ
  • শোভন | 24.99.69.175 (*) | ১১ জুলাই ২০১২ ০৩:২৪89966
  • জাহিদ এবং সুশান্তদা, লেখাটা পুরো পড়েই তো আমার মনে হল যে একটা পক্ষকে সমর্থন করা হয়েছে। আর সবশেষে যে দু-লাইন লেখা হয়েছে, সেটা হলো ঐ "অশ্বত্থামা হতঃ। ইতি গজঃ।"

    লেখক যেখানে হ্যাকারদের কাজকে এবং সেই কাজের পেছনে তাদের দেওয়া যুক্তিগুলোকে জাস্টিফাই করেছেন, সেই কাজকে পবিত্র কাজ বলেছেন, হ্যাকাররা ধর্মীয় উস্কানিমূলক মেসেজ দেওয়ার পরও সেটাকে সাম্প্রদায়িক বলে স্বীকার করছেন না, সেখানে অন্য রকমের ইন্টারপ্রিটেশনের জায়গাটা কোথায়? আপনারা কোন এ্যাংগল থেকে এটাকে হ্যাকিং বিরোধী লেখা বলছেন? একটু বুঝিয়ে দিলে বাধিত হই!

    এবার আসছি আমার আগের পোস্টে।
    প্রথমতঃ, আপনি বলেছেন, "উল্লেখ্য বি এস এফ কতৃক সীমান্তে শুধুমাত্র বাংলাদেশী হত্যার সংখ্যা গত এক দশকে ৯৯৬ জন।" এটার কোন নির্ভরযোগ্য তথ্যসূত্র দিলে ভালো লাগতো।
    দ্বিতীয়তঃ, এটা আসছে আপনার উত্তর থেকে, যেখানে আপনি বলেছেন, "গুলি এখন অব্দি থেমে নেই। আপনি যদি কষ্ট করে গুগলে " বাংলাদেশ সীমান্তে গুলি" সার্চ দিন তাহলে ভুরি ভুরি লেখা পাবেন।... আপনি কি জানেন বি এস এফ প্রধান এর পর কি বলেছিল? বা তার শেষ কোথায়?"
    তা আপনিই একটু গুগল বা বিঙ-এ সার্চ করে দেখুন না, ইদানীংকালে ক'জন বাংলাদেশী নাগরিক সীমান্তে গুলির শিকার হয়েছেন। আর বিএসএফ প্রধান যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ওপর কথা বলতে পারেন, সেটা জানতাম না! তা সেই প্রধানের বক্তব্যটা কি শুধু বাংলাদেশেই ছাপা হয়েছে? একটা লিঙ্ক দিন না!
    তৃতীয়তঃ, টিপাইমুখ বাঁধ। আপনি বলেছেন, "একটু কোন লিঙ্ক দেওয়া যায়? ওই বাধের উৎস তিব্বতে। টিপাইমুখ ইস্যুতে ওই বাধ ধোপে টেকে না।"
    লিঙ্কটা তলায় দিচ্ছি। কিন্তু তার আগে জানতে চাই যে তিব্বতের বাঁধ কেন বাংলাদেশের ওপর কোন প্রভাব ফেলবে না? যদি বলতে চান যে চীন তিব্বতে বাঁধ দিচ্ছে, সেটা তার মর্জি, তাহলে টিপাইমুখ নিয়েও কোন কথা বলা সাজে না। আর যদি বলতে চান যে ব্রহ্মপুত্র ভারতে প্রবেশ করার পরও অনেকগুলো নদী এসে এতে মিশছে, তাই তিব্বতের বাঁধের প্রভাব বাংলাদেশের ওপর পড়বে না, সেক্ষেত্রেও বলা যায় যে টিপাইমুখের পর বরাকের সব কয়টা উপনদী এসে জল ঢালছে, তাই বাংলাদেশের ওপর খুব একটা প্রভাব পড়বে না।
    এবার লিঙ্কগুলো দেখুন -
    http://www.earthtimes.org/politics/will-china-divert-yarlung-tsangpo-river/1013/
    http://news.oneindia.in/2012/03/03/brahmaputra-dam-not-affecting-india-claims-china.html
    http://en.wikipedia.org/wiki/Yarlung_Tsangpo_Grand_Canyon#Yarlung_Tsangpo_Hydroelectric_and_Water_Diversion_Project
    http://en.wikipedia.org/wiki/Brahmaputra_River#Cooperation_on_the_Brahmaputra
    http://en.wikipedia.org/w/index.php?title=Zangmu_Dam
    http://www.guardian.co.uk/environment/2010/may/24/chinese-hydroengineers-propose-tibet-dam
    চতুর্থতঃ, আপনি যদি দয়া করে - "ভারতের দ্বারা আমরা কি পরিমান শোষিত হই তা কাউকে নতুন করে কিছু বলার নেই।" এই কথার সমর্থনে যদি দয়া করে দুয়েকটা উদাহরণ দেন তাহলে ভালো হয়।
    পঞ্চমতঃ, আপনি নিজেই বলেছেন, "আবার হ্যাকড ... সাম্প্রদায়িকতা খুজে পেয়েছেন। “May God Curse upon you All!" Ameen” ... সাম্প্রদায়িক অপবাদ দেওয়া যথেষ্ট নীচু মানসিকতার পরিচয় বহন করে। ... সেটি হচ্ছে গ্রিটিং এ AND All MuSliMS HaCk3Rs এই লাইন টি ব্যবহার হয়েছে।" সাম্প্রদায়িকের সাম্প্রতিক ডেফিনিশন কি বদলে গেছে?
    ষষ্ঠতঃ, আপনি যে হ্যাকিং এবং হ্যাকারদের tacit support দিয়েছেন, সেগুলো বেশ কয়েকটা লাইন থেকেই বোঝা যাচ্ছে।
    আপনি হঠাৎ করে আধাখ্যাঁচড়াভাবে একটা আইনের ধারাকে তুলে ধরেছেন, "কলুষিত রাজনৈতিক থাবা ও আবেগতান্ত্রিক হ্যাকিজম জটিলতাঃ ভারতীয় সংবিধানের ৩৬৭ ধারার ৩ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে “ ভারত ব্যাতীত যে কোন রাষ্ট্র বিদেশী রাষ্ট্র , কিন্তু ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রয়োজনে কোন রাষ্ট্রকে বিদেশী রাষ্ট্র নয় বলে ঘোষনা দিতে পারেন”
    (সিকিম ও ভূটান এই ধারার আওতায় পড়েছে) সবচেয়ে অবাক করার বিষয় হল বিদেশী রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব লংঘন করে কিভাবে একটি রাষ্ট্রের সংবিধান সৃষ্টি হয়?"
    হ্যাঁ, এটাকে আপনি out of context quote করেছেন। কেন? হ্যাকারদের কাজকর্মকে বৈধতা দেওয়ার জন্য।
    আরো একটা কথা। আপনি এই ধারাকে বিকৃত করেছেন। কারন আপনার লেখা পড়লে মনে হয় ভারতের রাষ্ট্রপতি ইচ্ছা করলেই কোন একটা দেশের সার্বভৌমত্ব অস্বীকার করতে পারেন, যেটা সর্বৈবভাবে মিথ্যা।
    আমার আগের পোস্টে এই ধারাটা সম্পূর্ণভাবে দেওয়া আছে। আর আপনার অবগতির জন্য জানাই যে ভূটান এই ধারার অন্তর্গত নয়। এই ধারার দরকার পড়েছিল গোয়া, দমন, দিঊ এবং এ্যাণ্ডিজিভ দ্বীপ এবং সিকিমের ভারতভুক্তির জন্য। আর ভূটান ভারতের প্রোটেক্টরেট স্টেট।
    এছাড়াও, আপনি যে হ্যাকারদের কাণ্ডকারখানার প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন, সেটা তলায় দেওয়া উদ্ধৃতিগুলো থেকেই স্পষ্ট।
    --"আবার হ্যাকড কিছু ডিফেইস পেজে অনেকে সাম্প্রদায়িকতা খুজে পেয়েছেন। ... তাই বলে একে সাম্প্রদায়িক অপবাদ দেওয়া যথেষ্ট নীচু মানসিকতার পরিচয় বহন করে।" উঁচু মানসিকতা = সমর্থন?
    --"যখন দেশের কিছু দেশপ্রেমীরা আবেগে তাড়িত হয়ে হ্যাক শুরু করেছে সাথে সাথেই কিছু ভারতবিদ্বেষী তাদের সাথে পদক্ষেপ মেলায়। এখানেই এই পবিত্র কাজের পবিত্রতা নষ্ট হয়েছে।" পবিত্র কাজ, পবিত্রতা - এগুলো কি বিরোধীতা বোঝায়??
    --" কিছু অতি উৎসাহী পেজ এই ভ্রান্তির মূল কারন। মূলত ভারতীয় সাইট ১৫০০০-১৭০০০ হ্যাক হয়েছে। কিছু গোষ্ঠী ইচ্ছাকৃত ভাবে মানুষের মাঝে ভ্রান্তি ঢুকিয়ে দিচ্ছে।" ভ্রান্তির অংশটুকু বাদ দিলে পুরোটাই সমর্থনযোগ্য, তাই না?? ফেসবুকের পেজ সম্পর্কে এর পর আপনি এই ভ্রান্তি ছড়ানোর উৎস বলে অভিযোগ করেছেন।
    --"সবচেয়ে বড় বিতর্কের নিষয় হচ্ছে বাংলাদেশের পক্ষে পাকিস্তানের অংশগ্রহন ও ধর্মীয় প্রচার। দেশপ্রেমী হ্যাকারগন কি এই ছোট ফাঁদটুকু বুঝতে পারেনি? নাকি আমরাই তাদের নিষ্পাপ মুখোশ ফাঁদের শিকার?" দেশপ্রেমী বললে কি কারুর বিরোধীতা করা হয়? জানতাম না তো! পাকিস্তানিদের সমর্থনের অংশটা বাদ দিলে বাকিটুকু সমর্থনযোগ্য!
    --"আরেকটি কথা না বললেই নয়, হ্যাকারগ্রুপ গুলো হ্যাকিং ট্রিক গুলো ছড়িয়ে দিচ্ছে। শত হলেও আমরা সবাই সাধু নই। সাইবার যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর যে গৃহযুদ্ধ বাঁধবেনা সেই নিশ্চয়তা কি কোন গ্রুপ দিবে?" মানে, সবাই যদি সাধু হতো, এবং গৃহযুদ্ধের সম্ভাবনা না থাকলে ভারতের বিরুদ্ধে যে হ্যাকারবাহিনীর হ্যাকিং চলছে সেটা ভালোই কাজ!!

    দেখুন বস, একবার পড়েই বুঝতে পেরেছি যে where does your affiliation and heart lie - কাজেই, অন্যরা কি বলছেন, সেটা আমার দেখার কোন দরকার নেই। এই লেখাতে একটা জায়গা দেখান, যেখানে আপনি unconditionally হ্যাকিং এর বিরোধীতা করেছেন।
  • জাহিদ হাসান | 68.97.241.74 (*) | ০৮ আগস্ট ২০১২ ১০:০০89967
  • দাদা
    আমি আসলে এত প্যাঁচাতে পারিনা
    আমার এই লেখাতেই যে এত ডাল পালা ছড়াতে পারে ( পড়ুন কাঁঠাল গাছে আমের ডাল ) তা আমি ভাবিনি।

    বলুন তো
    ১ + ৩ = ৪
    আবার
    ২+২ = ৪
    তাইলে কোনটা ভুল কোনটা সঠিক?

    ঠিক তাই। আপনি মনে মনে আমাকে যেমন টা ( এইমাত্র ) ভাবলেন ( নিউটোনের ৩য় সূত্র মতে ) আমি ঠিক ততটাই আপনাকে ভাবছি ।
  • Shovon | 24.96.135.69 (*) | ১৬ আগস্ট ২০১২ ০৩:২৩89968
  • Dada, but still you can write jalebi like articles! :P
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে প্রতিক্রিয়া দিন