এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • সোয়াইন ফ্লুয়ের এপিসেন্টার থেকে

    দময়ন্তী লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ১৬ আগস্ট ২০০৯ | ৭০১ বার পঠিত
  • পুণেতে সোয়াইন ফ্লু "আসছে-আসছে' , "এই এসে গেল' চলছে সেই মে' মাস থেকে। ৫ই মে সকালের কাগজ খুলে আমরা জানলাম যে এয়ারপোর্টে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে, বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের সম্পর্কে। আন্তর্জাতিক বিমানের যাত্রীদের নেমে একটা বড়সড় প্রশ্নপত্রের সব প্রশ্নের উত্তর দিতে হচ্ছে, তারপর মেডিক্যাল অফিসাররা সেই উত্তর খতিয়ে দেখে যাত্রীদের ছাড়ছেন এয়ারপোর্ট থেকে। সাথে ছবি ছিল, সমস্ত পুলিশকর্মী ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নাকে মুখে রুমাল বাঁধা তিনকোণা করে। একই খবরের নীচের দিকে ছিল ভোপালের কাছে জলনাতে একসাথে ২০টি শুয়োর মারা গেছে, কিছু বাচ্চা শুয়োর খুব অসুস্থ। স্বাস্থ্যদপ্তর তাদের ওপর কড়া নজর রাখছেন। খবরটা অধিকাংশ লোক খেয়াল করে পড়েনই নি। যাঁরা পড়েছিলেন, তাঁরাও কেউ তেমন গুরুত্ব দেন নি। গোটা মে মাসটা এরকমই চলে গেল তা-না-না-না করে। জুনও প্রায় যাই যাই, তখনই হ্‌ঠাৎ প্রথম সোয়াইন ফ্লু আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গেল।

    ২৩শে জুন পুণেতে প্রথম সোয়াইন ফ্লু আক্রান্তের খবর বেরোয় সংবাদপত্রে। খবরে প্রকাশ, জনৈক সফটওয়ার কর্মী নিউ জার্সি থেকে ফিরে মুম্বাইয়ে নামেন। পুণে এসে ্‌দুইদিন কাটিয়ে পরে লখ্‌নৌ ও উত্তরপ্রদেশের আরো দু'একটি জায়গা ঘুরে পুণেতে ফেরত আসেন। তাঁর সোয়াইন ফ্লু-ই হয়েছে, এটা নিশ্চিত হওয়ার পরে তাঁকে অবিলম্বে ছোঁয়াচে রোগীদের জন্য নির্ধারিত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর ৩-৪ জন সহকর্মী, যাঁরা তাঁর সাথে একই বাড়ীতে থাকতেন, তাঁরা নিজেরাই গিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তাঁদের পরীক্ষানীরিক্ষা করে বাড়ী পাঠিয়ে দেওয়া হয় ও বলে দেওয়া হয় ৫ দিন ঘরে অন্তরীণ থাকতে। তারপরেও জুলাই মাসটা চলে গেল হেলেদুলে। খবরের কাগজে রোজ বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা, সাথে চলেছে স্বাস্থ্যবিভাগের অকর্মণ্যতার প্রতি অভিযোগ। সাধারণ লোকে ভীত, তবে তেমন মারাত্মক নয়। এর মধ্যে পুণেকে " Pandemic city ' বলে ঘোষণা করা হল।

    গেরামভারী ডাক্তারী কচকচি আর সরকারী বেসরকারী হরেক আলামত ছেড়ে আসুন আমরা আমজনতার কটা খুচরো ছবি দেখি।

    দৃশ্য ১
    ------
    আগস্টের ৪ তারিখে খবরের কাগজে বড় বড় করে বেরোল ৩রা আগস্ট সোয়াইন ফ্লু'তে ভারতের প্রথম মৃত্যু হল পুণের জাহাঙ্গির হসপিটালে। এক ১৪ বছরের তরতাজা কিশোরী স্রেফ কোন একরকম "ইনফ্লুয়েঞ্জা'য় মারা যেতে পারে --- এটা বিশ্বাস করতে অনেকেরই খুব কষ্ট হচ্ছিল। সবচেয়ে বড় কথা মেয়েটি ছিল "জাহাঙ্গির হসপিটাল'এ। নামে হসপিটাল হলেও এটি আসলে অত্যন্ত নামী ও দামী একটি প্রাইভেট নার্সিংহোম। খবর পাওয়া গেল মেয়েটি নাকি গত ১৫ দিন ধরে ইনফ্লুয়েঞ্জায় ( হ্যাঁ, আমরা তো ইনফ্লুয়েঞ্জাই বলতাম এই সেদিনও) আক্রান্ত। মাঝে একবার অন্য কোন ছোটখাট ক্লিনিকে দেখিয়েছিল, জ্বর কমে যাওয়ার পরে ২৩শে জুলাই থেকে স্কুলেও যাওয়া শুরু করে। আবার জ্বর আসাতে ভর্তি হয় জাহাঙ্গিরে। অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটায় আইসিইউতে নেওয়া হয়। যতক্ষণে H1N1 ধরা পরে এবং "ট্যামিফ্লু' দেওয়া হয়, ততক্ষণে অনেক দেরী হয়ে গেছে। স্বাস্থ্যদপ্তর থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হল চিকিৎসায় অতিরিক দেরী হওয়ার কারণেই এই মৃত্যু।

    তারপরেই হু হু করে ছড়াতে থাকে ফ্লু; বাড়তে থাকে মৃতের সংখ্যা, সংগে সংগে বাড়তে থাকে আতঙ্কের মাত্রা, ক্রমশ: তছনছ হয়ে যেতে থাকে গোটা শহরের জীবনযাত্রা।

    দৃশ্য ২
    ------
    অভিভাবকগণ বাচ্চাদের স্কুলে পাঠানো হয় বন্ধ করলেন, নয়ত স্কুল বন্ধ করার অনুরোধ নিয়ে গেলেন। আগস্টের প্রথম সপ্তাহে অধিকাংশ স্কুল ছুটি ঘোষণা করল। কলেজ ইউনিভার্সিটি তখনও খোলা, যদিও উপস্থিতির হার কম। যেসব স্কুল তখনও বন্ধ হয় নি, তার বাইরে উদ্বিগ্ন অভিভাবকদের ভীড়, অসন্তুষ্ট গজগজ। এর মধ্যেই আসরে নেমে পড়লেন শ্রীল শ্রীযুক্ত রাজ থ্যাকারে মশাই ও তাঁর MNS বাহিনী। ২৬/১১র হামলার পর জনসাধারণের তীব্র ক্ষোভের মুখে এঁরা অনেকদিন চুপচাপ বসে ছিলেন, ঠিক মওকা পাচ্ছিলেন না। এতদিনে একটা সুযোগ এল। বাহিনীর লোকজন খোলা স্কুলগুলোতে গিয়ে দরজায়, পাঁচিলে লাঠি দিয়ে খানিক দুমদাম করে শাসিয়ে এলেন অবিলম্বে স্কুল বন্ধ করার জন্য। কিছুক্ষেত্রে কাজ হল। এক আধটা ঠ্যাঁটা স্কুল তাতেও বন্ধ করল না। ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতির হার নগণ্য হয়ে গেল।

    দৃশ্য ৩
    ------
    আক্রান্তের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে গেছে। মৃতের সংখ্যাও দুই অঙ্কের দিকে ধাবিত। সরকার কিছুটা দিশেহারা। আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহের শুরু থেকেই স্কুল কলেজ ইউনিভার্সিটিতে ছুটি ঘোষণা করা হল। ছাত্রছাত্রীদের বলা হল হোস্টেল খালি করে বাড়ী চলে যেতে। পুণে ইউনিভার্সিটির অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ বিভাগ অবশ্য খোলা রইল। কাছের ছাত্রছাত্রীরা তো মহাখুশী হয়ে ট্রেন, বাস ধরে যে যার বাড়ী চলে গেল। বিপদে পড়ল দূরের, বিশেষ করে ভিনদেশী ছাত্রছাত্রীরা।

    এদিকে শুধু স্কুল কলেজ বন্ধ করেও ফ্লুয়ের বিস্তার ঠ্যাকানো যাচ্ছে না দেখে সরকার এবার সিনেমাহল, মাল্টিপ্লেক্স, শপিং মল বন্ধ করার হুকুম দিলেন। আবার রাস্তায় নামল রাজ থাকরের দলবল। এক জায়গায় "ল্যান্ডমার্ক'এর নতুন দোকানের কাজকার্ম চলছিল, রাজ-এর চ্যালারা গিয়ে কটা কাঁচ ভেঙে, ২-৩ জন শ্রমিককে লাঠি মেরে সমাজ, তথা মাহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যব্যবস্থার প্রতি তাঁদের দায়িত্ব পালন করে এলেন।

    তো, এইসব গোলেমালে মোটামুটি শহরের অধিকাংশ লোকই বাড়ীতেই বেশী সময় কাটানো মনস্থ করলেন।

    দৃশ্য ৪
    ------
    এর মধ্যে ওষুধের দোকানগুলোতে বেড়েছে মাস্কের চাহিদা আর পাল্লা দিয়ে কমেছে যোগান। প্রথমদিকে লোকজন ধোঁয়া ধুলো থেকে বাঁচার জন্য যে মোটা কাপড়ের মাস্ক পাওয়া যায়, তাই ব্যবহার করছিল। সম্পূর্ণ মুখমন্ডল নয় শুধু নাক ও মুখগহ্বর ঢাকা একে মুখোশ না বলে বরং "নাকোশ' বলাই শ্রেয়। যাই হোক, জানা গেল যে সাধারণ নাকোশ নয় বরং সোয়াইন ফ্লুয়ের ভাইরাস ঠ্যাকাতে দরকার N95 নাকোশ। ব্যাস! যেমনি শোনা অমনি লোকে হুড়মুড়িয়ে ঐ N95 কিনে ফেলল। এরপর শুরু হল নাকোশের কালোবজারী। ১০০ টাকারটা ৩০০ টাকায়, ২৫০ টাকারটা ৭৫০ টাকায় বিকোতে লাগল, লোকে কিনতেও লাগল। এমনকি পাতলা পিরপিরে, ৪ দিকে ৪টে দড়িবাঁধা ১০টাকার নাকোশও ৫০ টাকায় বিকোতে লাগল। এবং হ্যাঁ, আমাদের MNS বন্ধুরা সমাজ তথা মাহারাষ্ট্রের স্বার্থে এখানেও অবতীর্ণ হলেন। কিছু দোকানে চড়াও হয়ে সমস্ত নাকোশ কেড়ে নিয়ে আশেপাশের লোকেদের মধ্যে বিলিয়ে দিলেন। অবশ্য দূর্জনে বলছে সেগুলো নাকি প্রধানত: মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনারাই পেয়েছেন, আমজনতা তেমন পান টান নি। তা, ছিদ্রান্বেষী অমন বলেই থাকে!

    নাকোশ রীতিমত ফ্যাশন স্টেটমেন্ট হয়ে দাঁড়াল। লোকে সকালবেলা মর্নিং ওয়াকে বেরোচ্ছে, দুই কানের সাথে ইল্যাস্টিক দিয়ে থুতনির কাছে দুলছে নাকোশ ----হাঁটছে , দৌড়াচ্ছে দুলছে নাকোশ --- কারো মুখোমুখী হলেই সড়াৎ করে নাকমুখে এঁটে বসছে নাকোশ। দোকানে দোকানী ও ক্রেতা উভয়েরই নাকমুখ চেপ্পে আটকানো, ফলে কথা বলতে হচ্ছে চীৎকার করে। পরনের পোষাকের সাথে নাকোশের রং ঠিকঠাক ম্যাচ না করলে, ফ্যাশন সচেতন মানুষজন নাকোশের ওপরে ম্যাচিং রঙের পাতলা একটা রুমাল বা হেডস্কার্ফ জড়িয়ে নিচ্ছেন।

    দৃশ্য ৫
    ------
    অফিস কাছারিতে তোয়ালের ব্যবহার যথাসাধ্য কমিয়ে দেওয়া হল। প্রতি ঘন্টায় লিফটের ভিতর ও বাইরের দেওয়াল, সিঁড়ির রেলিং অ্যালকোহল বেসড ডিসইনফেকট্যান্ট দিয়ে মোছা হতে লাগল। অফিসে ঢুকতেই সবার হাতে হাতে ফ্যাঁস ফ্যাঁস, কেউ একটু নাক টানলে বা কাশলেই বাকী সবাই তার থেকে নিজের দূরত্ব মেপে নিচ্ছে। কেউ সামান্য জ্বরভাব জানালেই অফিস থেকে ছুটি দিয়ে দিচ্ছে। ছুটিতে বাড়ী থাকাকালীন সহকর্মীরা বাড়ীতে ফোন করে কখনও কখনও জিগ্যেস করছেন "ক্যায়সে হো? সুনা তুম্‌নে সাসপেক্টেড সোয়াইন হো' !!!

    সরকারী হাসপাতালগুলো ভীড়ের চাপে ভেঙে পড়ার যোগাড়। মাত্র দুটো হাসপাতালে সোয়াইন ফ্লু'র টেস্ট হয়। তাই হাজারে হাজারে লোক সেখানেই ভীড় জমিয়েছে। তবে ভাইরাসের ভয়ে হাসপাতাল চত্বর একেবারে ঝকঝক করছে পরিস্কার। ডাক্তাররা কেমন করে যেন বুঝেও যাচ্ছেন কাদের রিপোর্ট আজই চাই আর কাদের দুদিন পরে দিলেও চলবে। যাদের পরে দেওয়া হবে বলা হচ্ছে, তারা কেউ রাগটাগ করছেন না, শুধু অসহায়ভাবে জানতে চাইছেন "বেশী দেরী হয়ে যাবে না তো ডাক্তার?' এরকম ক্ষেত্রে ডাক্তার প্রচুর প্রোটিন, লিকুইড ও ভিটামিন সি খাবার পরামর্শ দিচ্ছেন।

    এর মধ্যেই হঠাৎ জানা গেল কোন এক হোমিওপ্যাথি ডাক্তার নাকি বলেছেন ইনফ্লুয়েন্‌জাম-২০০ নামে একটি ওষুধ দুবেলা ৪টে ৪টে করে নিলে ফ্লু হবে না। ইমেইলে, এস এম এসে, ফোনে ফোনে সেই বার্তা রটি গেল ক্রমে। আর্ধেক শহর ঝাঁপিয়ে পড়ল ঐ ওষুধের সন্ধানে।

    দৃশ্য ৬
    -------
    এই সময় থেকে মহারাষ্ট্রে উৎসবের মরসুম শুরু হয়। ১৪ তারিখ জন্মাষ্টমী। এই দিনের একটি জনপ্রিয় অনুষ্ঠান "দহি-হান্ডি'। মানুষের ঘাড়ে মানুষ চড়ে, হিউম্যান টাওয়ার বানিয়ে, ৪-৫ তলা বাড়ীর সমান উচ্চতায় টাঙানো দইয়ের হাঁড়ি লাঠি দিয়ে ফাটানো। আশেপাশের বহু গ্রাম থেকে লোকজন আসে দেখতে। তার পরেরদিনই স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান। আগামী সপ্তাহ থেকে শুরু হচ্ছে গনেশোৎসব। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফ্লুয়ের বিস্তার বন্ধ না করতে পারলে বহু প্রাণহানির আশঙ্কা থাকছে। মুখে মুখে রটতে লাগল "কনস্পিরেসি'র গল্প। কোন এক বহুজাতিক নাকি বেছেবেছে উৎসবের মরশুমের ঠিক আগে আগে সোয়াইন ফ্লু ছড়িয়ে দিয়েছে। উৎসবের মধ্যে মহামারী ছড়িয়ে পড়লে ওরা ওষুধ বেচে, নাকোশ বেচে লাল হয়ে যাবে। লোকে অকথ্য গালাগাল করে বহুজাতিকটির উদ্দেশে। বহুজাতিকটি নাকি পুণেকে বেছে নিয়েছে আবহাওয়ার জন্য। এইসময় পুণেতে বেশ ঠান্ডা, ভিজে ভিজে আবহাওয়া। ভাইরাসটি এমন আবহাওয়ায় মানবদেহের বাইরেও ৬ থেকে আট ঘন্টা অবধি বেঁচে থাকে। তাতে ছাড়াতে সুবিধে।

    আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই দেখে সরকার অবশেষে প্রধান সবজিমন্ডি দুদিন বন্ধ করার আদেশ দিলেন। শহরে কারফিউ জারি করার চিন্তাভাবনাও চলতে লাগল। "দহি-হান্ডি'র অনুষ্ঠান বাতিল করা হল। স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানও ন্যুনতম করা হল। কিছু প্রাইভেট হাসপাতাল ও নার্সিংহোমকে সোয়াইন ফ্লু পরীক্ষা এবং চিকিৎসার অধিকার দেওয়া হল। সরকারের স্বাস্থ্যবিভাগ থেকে মানুষের "স্বাভাবিক প্রতিরোধশক্তি' বাড়াবার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি জানানো হতে লাগল। বারেবারে জোর দিয়ে প্রচার করা হচ্ছে সোয়াইন ফ্লু অতি অবশ্যই সেরে যায়। তার জন্য দরকার শুধু সময়মত পরীক্ষা, প্রচুর বিশ্রাম, প্রয়োজনীয় খাদ্য ও পানীয় এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন ও ভিটামিন-সি। দুই তিন বছর অন্তরই এমন কোন না কোন ভাইরাস আসে মৃত্যুদুত হয়ে। তারপর মানবদেহ আস্তে আস্তে নিজের প্রতিরোধ তৈরী করে নেয়।

    স্বাভাবিক জীবনযাপন প্রায় স্তব্ধ হওয়ার পর এখন শোনা যাচ্ছে ফ্লু অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। নতুন করে আর কোন মৃত্যু বা আক্রান্ত হওয়ার খবর আসে নি। আপাতত কারফিউ জারি হচ্ছে না। স্কুল কলেজও ২০ তারিখ থেকে খুলবে। এখন সমস্ত দোকানেই প্রচুর নাকোশ পাওয়া যাচ্ছে। সমস্ত রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকায় তরি-তরকারীর দাম প্রায় শতকরা ২৫ থেকে ৩০ ভাগ কমে গেছে। শুধু ঐ ১১ জন, যারা হয়ত আগেও বহুবার ফ্লু'তে ভুগেছে; আবার সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফেরত গেছে, তারা আর ফিরবে না।

    আগস্ট ১৭, ২০০৯

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ১৬ আগস্ট ২০০৯ | ৭০১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় প্রতিক্রিয়া দিন