এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  খবর  টাটকা খবর

  • নেতাইগ্রাম, লালগড় : এপিডিআর এর ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং রিপোর্ট

    অনুবাদ : অর্ণব রায় লেখকের গ্রাহক হোন
    খবর | টাটকা খবর | ১৭ জানুয়ারি ২০১১ | ৯৬৩ বার পঠিত
  • নেতাই গ্রামে ৭ জানুয়ারি তারিখে নিরস্ত্র গ্রামবাসীদের ওপর হার্মাদ বাহিনীর গুলিবৃষ্টি বিষয়ে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং রিপোর্ট

    ৮ জানুয়ারি, ২০১১ তারিখের বেলা ৩টেয় ছয় সদস্যের এপিডিআর টিম লালগড়ের নেতাই গ্রামে পৌঁছয়। পশিমবঙ্গের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার লালগড় ব্লকের নেতাই গ্রামে ৭ জানুয়ারি নিরস্ত্র গ্রামবাসীদের ওপর হার্মাদ বাহিনীর গুলি চালানোর ঘটনার অনুসন্ধান করাই ছিল তাঁদের উদ্দেশ্য। গ্রামবাসীরা জানান, একমাস আগে স্থানীয় সিপিআই (এম) নেতা রথীন দণ্ডপাটের বাড়িতে সিপিআই (এম) ক্যাম্প তৈরি হয়। গ্রামের আরও দু'জন সিপিআই (এম) নেতা অবনী সিং আর শোভন মন্ডল গ্রামবাসীদের জানান, এলাকায় শান্তি ফেরাতে ওই ক্যাম্প বসানো হয়েছে। গ্রামেরই একজন বাসিন্দা গোকুল মাইতি আমাদের বলেন যে শান্তি প্রতিষ্ঠার বদলে গ্রামে অশান্তিই দেখা দেয়। জোর করে গ্রামবাসীদের দিয়ে ক্যাম্পের রান্না করানো, কাপড় কাচানো হত। ওই গ্রামেরই প্রদীপ রায়ের বক্তব্য অনুসারে ক্যাম্পে মোটামুটি ২০ থেকে ২৫ জন সশস্ত্র ব্যক্তি ছিল। একেকজন গ্রামবাসীকে একদিনে ৪০ থেকে ৫০টা চাপাটি তৈরি করতে বাধ্য করা হত। রান্না ভালো না হলে বা নুন বেশি হলে বা রাঁধুনীর যে কোনও ভুলের জন্য ক্যাম্পবাসীদের গালিগালাজ শুনতে হত। একদিন তারা গ্রামবাসীদের বন্দুক দেখিয়ে সিপিআই (এম)-এর মিছিলে অংশ নিতে বাধ্য করে। এই জোর-জবরদস্তির চাপে নিরস্ত্র গ্রামবাসীরা ক্যাম্পের সশস্ত্র ব্যক্তিদের পাহারাও দিয়ে থাকতেন। অনিচ্ছাসত্ত্বেও তাঁদের সেই ক্যাম্পের সমস্ত আদেশই মেনে চলতে হচ্ছিল। ক্যাম্পে সময় দেওয়ার জন্য চাষের কাজের ক্ষতি হচ্ছিল, আর ক্যাম্প-সদস্যরা গ্রামবাসীদের সম্মান রক্ষা করছিলেন এমনও নয়। ক্যাম্প তৈরি হওয়ার পরে সিআরপিএফ-এর টহলদারি বন্ধ হয়ে যায়। সিআরপিএফ ওই গ্রামের ভবিষ্যৎ ক্যাম্পের হার্মাদদের হাতেই ছেড়ে দেয়। নেতাই গ্রামের ক্যাম্পের ৩ থেকে ৪ কিলোমিটারের মধ্যেই বীরকর, বেলাটিকরি আর সিজুয়াতে সিপিআই (এম)-এর হার্মাদ বাহিনীর অন্যান্য ক্যাম্প রয়েছে। হার্মাদ বাহিনীর ভয়ে কাঁটা হয়েই গ্রামবাসীদের দিন কাটছিল।

    ঘটনার চার দিন আগে ক্যাম্পের নেতারা ঘোষণা করেন, গ্রামের ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী সকলেরই বাধ্যতামূলক অস্ত্রশিক্ষা নিতে হবে। এটা গ্রামবাসীদের পক্ষে অসহনীয় হয়ে দাঁড়ায়। একদিন গ্রামবাসীরা মাঠে অস্ত্রশিক্ষা নিতে জড়ো হয়েছিল। এরপরে ৬ জানুয়ারি গ্রামবাসীরা সাধারণভাবে অস্ত্রশিক্ষা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। গ্রামের চারহাজার লোকের মধ্যে হাজারদুয়েক লোক ৭ জানুয়ারি সকাল ৮টায় ক্যাম্পের সামনে জড়ো হয়। ক্যাম্প, বা রথীন দণ্ডপাটের বাড়ি থেকে ২০-২৫ মিটার দূরে বটতলা চকে গ্রামবাসী আর ক্যাম্প-সদস্যদের কথা হয়। গ্রামবাসীরা ক্যাম্পের নেতাদের জানায় যে তারা অস্ত্র-প্রশিক্ষণ নিতে রাজি নয়। ১৫-২০ মিনিট আলোচনার পর নেতারা জানায় যে তাদের এই প্রসঙ্গে পার্টির উচ্চতর কমিটির সম্মতি প্রয়োজন। উচ্চতর কমিটির সম্মতির নামে তারা অন্যান্য ক্যাম্প থেকে সশস্ত্র লোকজন ডেকে পাঠায়। কয়েক মিনিট পরে কিছু সশস্ত্র ব্যক্তি দক্ষিণ দিক দিয়ে গ্রামে ঢুকে গুলি চালাতে শুরু করে। কয়েকজন গ্রামবাসী বলেন গুলি চালানো শুরু হয় রথীন দণ্ডপাটের বাড়ির ছাদ থেকে। আরেকটি বয়ানে জানা যায়, বাইরের ক্যাম্পের সশস্ত্র ব্যাক্তিরা প্রথম গুলি চালাতে শুরু করে। ফুলমণি মাইতি আর সরস্বতী মাইতি গুলিতে আহত হয়ে মাটিতে পড়ে যান। আরও কয়েকজন গুলির আঘাতে অজ্ঞান হয়ে যান। আহত হয়ে কয়েকজন পালাতে শুরু করেন। তখন বৃষ্টির মত গুলি চালানো হচ্ছিল। গ্রামবাসীদের মতে একেকবারে ৩০ থেকে ৪০ রাউন্ড গুলি চালানো হচ্ছিল। এরপর বটতলা চক জনশূন্য হয়ে যায়। রথীন দণ্ডপাটের বাড়ির ৩০-৪০ মিটার দূরে মৃতদেহগুলি পড়ে ছিল। পড়ে থাকা মৃতদেহগুলির দূরত্বই প্রমাণ করে, গ্রামবাসীরা সিপিআই (এম) নেতার বাড়িটি ঘেরাও করেননি। দেড় ঘন্টা ধরে গুলি চলে, সশস্ত্র ব্যক্তিরা গুলি চালাতে চালাতে কাংশী নদীর দিকে চলে যায়।

    নেতাই গ্রামে ৭ জানুয়ারি তারিখে গুলি চালানোর ঘটনায় যুক্ত ছিলেন এমন কয়েকজন সশস্ত্র ব্যক্তির নাম গ্রামবাসীরা বলেন। যেমন অবনী সিং, শোভন মন্ডল, জয়দীপ গিরি, অশনি চালক, তপন দে, ফুলরা মন্ডল, নবগোপাল চই। তারা এও বলেন, হার্মাদরা আহত ব্যক্তিদের জন্য অ্যাম্বুলেন্স আসতে দেয় নি।

    গ্রামবাসীরা রাত্রি ৮টার সময়ে ক্যাম্পের সামনে জমায়েতের আগে স্থানীয় পুলিশবাহিনীকে অবগত করেন। গুলি-কাণ্ডের পর তন্ময় রায় এবং শিবশঙ্কর রায় লালগড় থানার ইন-চার্জকে ফের ব্যাপারটা জানান। চার ঘন্টা পর গ্রামে সিআরপিএফ ঢোকে। সিআরপিএফ গ্রামবাসীদের বেওনেট দিয়ে মারে, ভয় দেখায়। সিআরপিএফ-এর হাতে আহত নেতাই গ্রামের সলিল পাল এখনও মেদিনীপুর সদর হাসপাতালের বিছানায় (বেড নং ৩২, সার্জিক্যাল ওয়ার্ড) শুয়ে। সন্দীপ মন্ডলও সিআরপিএফ-এর হাতে আহত হয়েছিলেন।

    ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম আবিষ্কার করে, নেতাই গ্রামের ঘটনাস্থল থেকে লালগড় থানার দূরত্ব ২.৫ থেকে ৩ কিলোমিটার। ঘটনার ৬ ঘন্টা পরে গ্রামে পুলিশবাহিনী আসে। হার্মাদ বাহিনী গ্রামবাসীদের ওপর দীর্ঘ সময় গুলিবৃষ্টি করলেও ঘটনাটি আটকাতে কাছাকাছি থানা থেকে পুলিশ কোনও উদ্যোগ নেয় নি। ঘটনাস্থল থেকে চলে যেতে সশস্ত্র বাহিনীকে পুলিশ যথেষ্ট সময় দেয়। আহত ব্যক্তিদেরও পুলিশ সাহায্‌য করেনি। অতএব প্রমাণিত, ৭ জানুয়ারির ঘটনায় হার্মাদ বাহিনী আর পুলিশ ছিল একদলে। 'টিম'এর সিদ্ধান্ত, ৭ জানুয়ারি সিপিআই (এম)-এর হার্মাদ বাহিনীর গুলি চালানোর ঘটনাটি ঘটে পুলিশ ও সিআরপিএফ-এর সহযোগিতায়। সুতরাং একে রাজ্যের পৃষ্ঠপোষিত দমন ও সন্ত্রাসবাদ হিসেবে দেখা যায়।

    মৃত ব্যক্তিদের তালিকা

    ১. ফুলমণি মাইতি, ২. সরস্বতী মাইতি, ৩. সমানন্দ ঘরাই, ৪. ধীরেন সেন, ৫. ধ্‌রুবপ্রসাদ গোস্বামী, ৬. অরূপ পাত্র, ৭. সৌরভ ঘরাই।

    ২. হাসপাতালে ভর্তি আহত ব্যক্তিদের তালিকা

    I. গৌরি দাস, কৃষক, ৬৫ বছর- বুকের ডানদিকে বুলেটের ক্ষত

    II. দিলীপ সেন, কৃষক, বাঁ চোখ এবং ডান হাতে বুলেটের ক্ষত

    III. আরতি মন্ডল, ৫২ বছর- পেটে বুলেটের ক্ষত

    IV. গীতা আদক,- পেটে বুলেটের ক্ষত

    V. শক্তিপদ সিং- বুকের ডানদিকে বুলেটের ক্ষত

    VI. তাপস মন্ডল- বাঁ পায়ে বুলেটের ক্ষত

    VII. নয়ন সেন,- বাঁ পায়ে বুলেট

    VIII. আভারাণী মন্ডল,- কাঁধে বুলেট

    IX. গণেশ আদক, বুকে বুলেট

    X. হংস রায়,- আহত

    XI. তরুণী ঘটা, আহত

    XII. নব ঘটা, আহত

    XIII. অসীম রায়, আহত

    XIV. লখন সেন, মধু জানা

    XV. সলিল পাল, সিআরপিএফ-এর হাতে আহত

    এপিডিআর-এর ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম সদস্যরা

    ১ রাংতা মুনশি- অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি

    ২ প্রশান্ত হালদার- সেক্রেটারিয়েট সদস্য

    ৩ জয়গোপাল দে- সেক্রেটারিয়েট সদস্য

    ৪ সন্দীপ সাহা- এপিডিআর-এর ফোটোগ্রাফার

    ৫ বাবু দা- সদস্য

    ৬ আরও একজন এপিডিআর সদস্য

    প্রেরক

    প্রশান্তা হালদার,

    অ্যাসোসিয়েশন ফর প্রোটেকশন অব ডেমোক্র্যাটিক রাইটস

    ১৮ নং মদন বড়াল লেন

    কলকাতা- ৭০০০১২

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • খবর | ১৭ জানুয়ারি ২০১১ | ৯৬৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন