এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  কূটকচালি

  • রামচরিতমানস

    সিদ্ধার্থ সেন লেখকের গ্রাহক হোন
    কূটকচালি | ১০ মে ২০১৪ | ৯৯৪ বার পঠিত
  • ‘রামচরিত্র মানস-সরোবরের মত বিশাল। এর মধ্যে রামকথারূপ হাঁস ঘুরে বেড়ায়’। -সতীনাথ ভাদুড়ি

    গল্পটা অনেকের-ই জানা নেই। বিশেষ করে শেষটায় কি ঘটেছিল। লঙ্কায় শ্রীরামচন্দ্রের জয় ছিল নিশ্চিত। একে হনুমান জাতির পপুলার সাপোর্ট তাঁর দিকে, তার ওপর আর্য সাম্রাজ্যে রাক্ষসদের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকের মতন অস্তিত্ব-ও গলার কাঁটা হয়ে উঠেছিল দিনকে দিন। শেষকালটায় আর্য সমাজের প্রধান পুরুষদের অনুরোধে রামচন্দ্রকেই প্রতিনিধিত্বের কঠিন দায়িত্বটা নিতে হয়েছিল। সাম্রাজ্যরক্ষার নিয়ম মেনেই, মূল লক্ষ্যটা ছিল রাক্ষসদের একটু সবক শেখানো, যাতে তারা বোঝে যে এই সাম্রাজ্যে থাকতে গেলে রাবণের প্রতি সমস্ত আনুগত্য বিসর্জন দিয়ে আর্যদের পায়ের তলায় থাকাটাই নিয়তি। অন্তত এমনটাই ভেবেছিলেন ঋষি বিশ্বামিত্র বা শতানন্দের মতন আর্যনেতারা। কিন্তু রামচন্দ্রের ভাবনাটা ছিল একটু অন্যরকম।

    রামচন্দ্র জানতেন, এবং বুঝতেন, জম্বুদ্বীপে পাকাপাকি সাম্রাজ্য বিস্তার করতে গেলে, পপুলার সাপোর্ট তাঁর দরকার। শুধুমাত্র গায়ের জোরে এই আসমুদ্র-হিমাচল দাবিয়ে রাখা বেশিদিন সম্ভব নয়। আজ লঙ্কা জয়ের দরকার হয়ে পড়েছে কারণ এই অযোধ্যাই হবে তাঁদের আর্য-সাম্রাজ্যের পরীক্ষাগার। কিন্তু দশরথ বা গৌতম মুনির মতন ওটাকেই মূল লক্ষ্য বলে রামচন্দ্র ধরে নেননি। কারণ কেউ জানুক বা না জানুক, এটা ঘটনা যে আর্যত্ব দিয়ে রামচন্দ্রের কিছু এসে যায় না। ওটা ততদিন-ই দরকার, যতদিন ক্ষমতার পক্ষে কাজ করবে। রামচন্দ্র বোঝেন ব্যবসা। ক্ষমতার ব্যবসা। যে বা যা তাঁকে ক্ষমতা এনে দেবে, তিনি তাকেই ব্যবহার করবেন। যেমন, এই মুহূর্তে, অযোধ্যার ক্ষমতায় নিজের গদি সুনিশ্চিত করতে হলে, লঙ্কা অভিযান দরকারি, আর তাই ব্যবহার্য। 

    তা যুদ্ধটা হয়েছিল সাঙ্ঘাতিক। যুদ্ধ না বলে গণহত্যা বলাই ভাল। সীতাহরণের ধুয়ো তুলে দেওয়ার পরিকল্পনাটা অবশ্য জাম্বুবানের। কারণ মানুষকে এই ধারণাটা দিতে হবে যে যুদ্ধটা শুরু করেছে রাক্ষসেরাই। আর কে না জানে, প্রতিটি ক্রিয়ার-ই সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া থাকে! তার জন্য রামভক্ত জটায়ুকে মরতেই হত। নাহলে কার মৃতদেহ দেখিয়ে যুদ্ধটা শুরু হবে? বাঁদর বাহিনীকে অবশ্য শেষের দিকে সামলাতে ভালই বেগ পেতে হয়েছিল। বস্তি মহল্লা পাড়া জ্বালিয়ে পুড়িয়ে রাক্ষস মেয়েদের ধরে ধরে ধর্ষণ করে তাদের পেট চিরে বাচ্চা বার করে ত্রিশূলের ডগায় ঘোরানোর দৃশ্য দেখে শিউরে উঠেছিল গোটা সিন্ধু অববাহিকা। আর্য-কুলপতিরা চেয়েছিলেন বাঁদরসেনারা যা খুশি করুক, কিন্তু বাইরে যেন প্রচার না হয় বেশি। কিন্তু বাস্তবে তাঁদের কথা শোনা হয়নি। এক বাঁদর নেতা উতসাহের আতিশয্যে প্রকাশ্যে বর্ননা দিয়ে বসলেন কেমনভাবে নিপুণ ত্রিশূলের চাড়ে পেটের নাড়িভুঁড়ি ভ্রূণ বেরিয়ে আসত রাক্ষস মেয়েদের। ওদিকে মহল্লা ঘিরে ধরে পাঁউরুটি সেঁকার মতন করে রাক্ষসদের উনুনে সেদ্ধ করার গল্প-ও ফাঁস হয়ে গেল।  দেশজোড়া সমালোচনার ঝড়ে বাধ্য হয়েই বিকাশপুরুষ দশরথকে মিনমিনে গলায় বলতে হল, রামচন্দ্রের উচিত রাজধর্ম পালন করা। রামচন্দ্র সে কথায় তোয়াক্কা করলেন না। 

    করলেন না, কারণ তিনি জানেন তাঁর অপ্রতিহত উত্থানের এই শুরু। ওসব দশরথ ফশরথকে দুদিনে হাওয়া করে দেবেন তিনি। আর হল-ও তাই। লঙ্কার সাফল্যে দুদিন বাদেই সব ভুলে গিয়ে রামের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করতে শুরু করলেন দশরথ। করলেন, কারণ তিনিও জানতেন, রামকে ছাড়া তাঁর এখন আর চলবে না। কিন্তু দশরথ, এবং অন্যান্যরা ভেবেছিলেন, আর্যত্বের পরীক্ষা যেহেতু সফল, তাই এইবার তাঁদের সবার আত্মসন্তুষ্টির সময় এসেছে। একমাত্র এভাবে ভাবলেন না রামচন্দ্র। কারণ দশরথদের ভাবনার সীমাবদ্ধতাটা তিনি বুঝতেন।

    দশরথেরা ভেবেছিলেন, আর্যত্ব প্রতিষ্ঠায় রামকে তাঁরা ব্যবহার করবেন। হল ঠিক তার উল্টোটা। লঙ্কাকে ব্যবহার করে আর্য সমাজের অধীশ্বর হিসেবে উঠে এলেন রাম। কারণ তিনি বোঝেন, মানুষের স্মৃতি খুব দুর্বল। দু’ দশ বছরেই মানুষ সব ভুলে যায়। দশরথেরা ভাবলেন, আর্যত্ব চিরস্থায়ী হবে। রামচন্দ্র জানতেন, ব্যবসা বাদে আর কিচ্ছু চিরস্থায়ী হয়না। তাই এবার, যখন নিজেকে তিনি আর্য-হৃদয়সম্রাট হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে ফেলেছেন, তাঁর দরকার সারা সিন্ধু অববাহিকার হৃদয়সম্রাট হবার। আর তার জন্যে, তাঁকে সুশাসন দিতে হবে। যখন দরকার ছিল, রাক্ষসদের মেরেছেন। এখন দরকার ফুরিয়েছে, একটা রাক্ষসের গায়েও হাত পড়বে না আর। 

    উন্নয়নের বন্যা বয়ে গেল অযোধ্যা দিয়ে। নতুন শিল্প, ঝাঁ চকচকে রাস্তাঘাট, আকাশচুম্বী অট্টালিকায় সোনার শহর হয়ে উঠল অযোধ্যা। রাম জানতেন, সারা দেশের নেতা হবার জন্যে সর্বস্তরের মানুষের সমর্থন তাঁর দরকার। উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের তিনি খুশি রাখলেন কর্মসংস্থান, শিল্প আর শাইনিং অযোধ্যার স্বপ্নে। কারণ এরা অকারণে আর্যত্ব নিয়ে মাথা ঘামাতে চায় না যদি না সেটা ব্যবসার পক্ষে সহায়ক হয়। রাম তাঁদের সামনে নিজেকে খাড়া করলেন এক সৎ, সফল প্রশাসক হিসেবে, যিনি উন্নয়ন আর সুশাসনের খাতিরে নিজের স্ত্রীকে পর্যন্ত ত্যাগ করে ব্রহ্মচারীর জীবন কাটাতে পিছপা হন না। আর দিন আনা দিন খাওয়া গরীব মানুষ, যাদের আধখাওয়া পেট দিনের শেষে আরেকটু বেশি বেশি করে খালি হয়ে যাচ্ছিল, সেই মানুষদের রামচন্দ্র বুঁদ করে রাখলেন আর্যসাম্রাজ্যের স্বপ্নে। তাদের সামনে শত্রু হিসেবে রাক্ষসদের খাড়া করে দিলেন, আর বললেন সমস্ত কর্মসংস্থান কেড়ে নিচ্ছে ওরাই। সেই বিদেশি হানাদারদের বিরুদ্ধে ন্যায্য লড়াইয়ের অধীরথ হিসেবে গরীব মানুষ তাঁকে সমর্থনের জোয়ারে ভাসিয়ে দিল। 

    জনসমর্থন দৃঢ় করবার লক্ষ্যে এবার গোটা দেশ জুড়ে প্রচারে বেরিয়ে পড়লেন রামচন্দ্র। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, তাঁর উন্নয়নের বাণীতে, ঝকঝকে শিল্প প্রাসাদ রাজপথ কর্মসংস্থান শোভিত নগরায়নের স্বপ্নে ভেসে গেল গোটা দেশ। উন্মাদের মতন জনসমর্থন আছড়ে পড়ল তাঁর পায়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের যুবসমাজ তাঁকে ঘিরে স্বপ্ন দেখতে শুরু করল। আলোকপ্রাপ্ত নাগরিক সমাজ তাঁকে আখ্যায়িত করল আলোর পথযাত্রী হিসেবে। কেউ কেউ অবশ্য মিনমিন করে বলার চেষ্টা করেছিল ‘কী একটা যেন ঘটেছিল না? সেই যে, লঙ্কায়?’ কিন্তু দেখা গেল, সে সব নিয়ে ভাবতে কেউ-ই আর উৎসাহী নয়। অনেকেই ভুলে গেছে। তার ওপর এই ধারণাটা তো ছিল-ই যে রাক্ষসেরাও ধোয়া তুলসীপাতা নয়। অপরাধী থেকে সন্ত্রাসবাদী, এদের সিংহভাগ-ই আসে রাক্ষসদের মধ্যে থেকে। সবথেকে বড় কথা, গত কয়েক বছরে রামচন্দ্রের অনুচরদের অক্লান্ত প্রচারটাও কাজ করেছিল, যে, নিরপেক্ষ প্রশাসক হিসেবে সেই যুদ্ধে রামচন্দ্র যেটুকু করার করেছেন। এমনকি সেই যুদ্ধে অনেক বাঁদর সেনাও মরেছে তাঁর সৈন্যদের হাতে। প্রশ্নকর্তাদের এসব তথ্য দিয়ে দাবড়ে চুপ করিয়ে দেওয়া হল। 

    বিরোধিতা আসেনি তা নয়। বশিষ্ঠ বিশ্বামিত্ররা দেরিতে হলেও বুঝতে পেরেছিলেন তাঁদের আর্যসাম্রাজ্যের লক্ষ্যের থেকে অনেক বড়, অনেক বিপজ্জনক লক্ষ্য রামচন্দ্রের, যা একদিন তাঁদের গিলে খাবে। তাঁরা রাশ ধরার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ততদিনে রাম তাঁদের নাগালের বাইরে বেরিয়ে গেছেন। বরং রাম এবার অস্ত্র ঘুরিয়ে ধরলেন তাঁদের দিকেই। মুখ বন্ধ করে, বহিষ্কার করে, প্রয়োজনে গুমখুন করেও, আর্য-কুলপতিদের গলা চেপে ধরলেন তিনি। আর আর্যপুরুষরাও বুঝেছিলেন, আর্যত্ব মানে গোটা দেশ এখন রামকেই বোঝে। কেউ রাক্ষস দমনের সফল সেনাপতি হিসেবে তাঁকে পুজো করে, আর কেউ উন্নয়নের কান্ডারী হিসেবে তাঁর গুণমুগ্ধ। বশিষ্ঠরা আশায় আশায়  বসে থাকলেন, রামের কাঁধে ভর করে সারা দেশে সাম্রাজ্য বিস্তার হবার পর, প্রয়োজনে রামকে ছেঁটে ফেলা যাবে।

    রামচন্দ্র এই ভাবনায় বাধা দিলেন না। শুধু মনে মনে মুচকি হাসলেন। কেউ জানে না, শুধু তিনি জানেন, যে, কোনো তত্ব দিয়েই তাঁর কিছু এসে যায় না। আদর্শ দিয়েও না। অযোধ্যায় রাজপথ বাড়ানোর অজুহাতে রাক্ষসদের উপাসনাগৃহগুলো ভেংগে ফেলার পাশাপাশি আর্যদের মন্দিরগুলোকেও ভেংগে ফেলতে পারতেন না তাহলে। তিনি জানেন, আদর্শ বা টাকাপয়সার ব্যবসা দুদিন থাকে, তারপর মিলিয়ে যায়। কিন্তু ক্ষমতার ব্যবসা, একবার সফলভাবে করতে পারলে, তিনি অমর হয়ে থাকবেন। আর এই সব, এই উন্নয়ন, এই আর্যত্ব, এই শাইনিং অযোধ্যা, এ সব-ই তাঁর সেই তৃতীয় রাইখে চড়ার সিঁড়ি, আর কিছুই নয়। প্রয়োজন ফুরোলে এগুলোকে নির্মমভাবে ছুঁড়ে ফেলে দিতে হাত কাঁপবেনা তাঁর। যেমন ছুঁড়ে ফেলেছেন বৃদ্ধ অসুস্থ দশরথকে।

    সারা ভারতবর্ষ বুটপরা শ্রীরামচন্দ্রের পদধ্বনিতে কেঁপে কেঁপে উঠল। 

    (লেখাটির সংক্ষিপ্ত রূপ এই সময়ে গুরুচণ্ডা৯ র পাতা ‘প্যাঁচা৯’ তে প্রকাশিত হয়েছিল।)

     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • কূটকচালি | ১০ মে ২০১৪ | ৯৯৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | 24.97.255.87 (*) | ১০ মে ২০১৪ ০৭:১৯87913
  • খুব সত্যি কথা।
  • kaushik | 127.211.91.74 (*) | ১০ মে ২০১৪ ০৭:২৪87914
  • এক্সেলেন্টো!!!
  • Avik Mukherjee | 125.253.246.133 (*) | ১০ মে ২০১৪ ০৯:৪৩87915
  • শ্লেষ ধরতে অসুবিধা হয়নি। একটি প্রশ্ন। জাম্বুবান কি সত্যি সীতাহরণ নিয়ে ধুয়ো তুলেছিল?
  • অযোধ্যাবাসী | 208.7.62.204 (*) | ১০ মে ২০১৪ ১০:৩২87916
  • বাবা, রামচন্দ্রর মাথায় এতো এতো এতো বুদ্ধি! একা সবাইকে বুদ্ধির খেলায় মাত করে দিল? দশরথ থেকে বশিষ্ঠ, বিশ্বামিত্র কেউ কিচ্ছু করতে পারল না? এই রামচন্দ্র তো সত্যিই ঐশ্বরিক ক্ষমতাবান!
  • ranjan roy | 24.99.19.165 (*) | ১০ মে ২০১৪ ১০:৪৪87917
  • সিধু,
    অনেক ধন্যবাদ। হ্যাঁ , ম্যানিপুলেশনের খেলায় মাত করছে বলে! এই রাম সেই পিতৃসত্য পালনের জন্যে বনে যাওয়া বাধ্য যুবক নয়!
  • Born Free | 132.163.38.70 (*) | ১১ মে ২০১৪ ০২:৩৩87918
  • অসাধারণ
  • PM | 233.223.158.7 (*) | ১১ মে ২০১৪ ০২:৩৯87919
  • দারুন
  • রামভক্ত | 79.139.88.177 (*) | ১১ মে ২০১৪ ০৩:১৭87920
  • "তার ওপর এই ধারণাটা তো ছিল-ই যে রাক্ষসেরাও ধোয়া তুলসীপাতা নয়। অপরাধী থেকে সন্ত্রাসবাদী, এদের সিংহভাগ-ই আসে রাক্ষসদের মধ্যে থেকে।" ।।। এটা ধারণা নয় ।। অনেকটাই সত্য ।। এমন নয় যে সকল রাক্ষস-ই একই রকম এর।। কিন্ত আপনার লেখা পরে মনে হয় যেন আপনি ধরেই নিয়েছেন সব
    রাক্ষসই তুলসীপাতাই বটে।। নিজাম প্রদেশ এর যে রাক্ষসটি সকল রামভক্তকে ১৫ মিনিটে খতম করার কথা বলেছিল তার ব্যাপারে কিছু আলোকপাত কখনো করেছেন বলে তো মনে হয় না।।
  • সিকি | 132.177.31.106 (*) | ১১ মে ২০১৪ ০৩:৪২87921
  • ঠিক। সুতরাং একটি দুটি রাক্ষসের দোষে সমগ্র রাক্ষসকূল ধ্বংস করে দেওয়াই যায়।
  • audity falguni | 212.164.212.4 (*) | ১৬ মে ২০১৪ ০১:১৬87922
  • Excellent write-up. Really enjoyed the merger of mythical characters along with today's contemporary political scene. Liked these two paras in particular:

    1. বাঁদর বাহিনীকে অবশ্য শেষের দিকে সামলাতে ভালই বেগ পেতে হয়েছিল। বস্তি মহল্লা পাড়া জ্বালিয়ে পুড়িয়ে রাক্ষস মেয়েদের ধরে ধরে ধর্ষণ করে তাদের পেট চিরে বাচ্চা বার করে ত্রিশূলের ডগায় ঘোরানোর দৃশ্য দেখে শিউরে উঠেছিল গোটা সিন্ধু অববাহিকা। আর্য-কুলপতিরা চেয়েছিলেন বাঁদরসেনারা যা খুশি করুক, কিন্তু বাইরে যেন প্রচার না হয় বেশি।

    2. তার ওপর এই ধারণাটা তো ছিল-ই যে রাক্ষসেরাও ধোয়া তুলসীপাতা নয়। অপরাধী থেকে সন্ত্রাসবাদী, এদের সিংহভাগ-ই আসে রাক্ষসদের মধ্যে থেকে।

    (Little reservation about the second clause: any comments from the writer on abduction, forced conversion and selling of 300 Nigerian Christian girls by Boko Harem??)
  • amit | 68.169.207.118 (*) | ২২ মে ২০১৪ ১০:০৭87923
  • সিকি বাবুর কমেন্ট পরে ভালো লাগলো। সিকিবাবু যদি সংখালঘু সম্প্রদায়ের না হন, তহলে বেশ কিছু দিন পার্ক সির্কার্স বা রাজা বাজার বা মালদা তে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থেকে আসুন না, তারপর নাহয় ওনার জ্ঞান ভরা কম্মুনাল হারমোনি নিয়ে কমেন্ট আরো সোনা যাবে।
  • সিকি | 135.19.34.86 (*) | ২৩ মে ২০১৪ ০৫:০৬87925
  • অমিত, আমি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের।

    আর হ্যাঁ, মালদার কাছাকাছি আমি একসময়ে থাকতাম।
  • - | 109.133.152.163 (*) | ২৩ মে ২০১৪ ০৬:৩৭87926
  • সিকি সার্থক নামা; যাঁর কথার সিকি ভাগমাত্র রেখে বাকি বারো আনাই ফেলে দিতে হয়। ঃ-) অভিজ্ঞতা।
  • সে | 188.83.87.102 (*) | ২৩ মে ২০১৪ ০৭:১০87927
  • একদম। ঃ-)
  • সিকি | 131.241.127.1 (*) | ২৩ মে ২০১৪ ০৭:৪২87928
  • কোন বারোআনা ফেললেন একটু যদি বুঝিয়ে বলেন।
  • jhiki | 190.214.232.76 (*) | ২৩ মে ২০১৪ ০৮:০৪87929
  • সিকির গানঃ
    ষোল আনা থেকে যদি বরোআনা যায়
    হিসেব দাঁড়ায় এসে শুধু চার আনায় ;

    কিন্তু চার আনাতে সিকি অখুশী,
    সিকির চাওয়ার চেয়ে নয় যে বেশী ঃ)))
  • /\ | 69.160.210.2 (*) | ২৩ মে ২০১৪ ০৮:১৩87930
  • একটা টাইপো করেছে। "না" টা কীবোর্ড থেকে ফস্কেছে। তাই নিয়ে এত হল্লা করার কী আছে? মালদার কাছাকাছি থাকতো বলার মানেই তো, সংখ্যা লঘু নয় সেটা আগের লাইনে বলা।
  • সিকি | 135.19.34.86 (*) | ২৩ মে ২০১৪ ০৮:১৬87931
  • কী জটিল ধাঁধা রে ভাই। কোনও 'না'-ই কীবোর্ড থেকে ফস্কায় নি। সিকি সত্যিই সংখ্যালঘু।

    কিন্তু মালদার কাছাকাছি থাকতো বলার মানে সিকি সংখ্যালঘু নয়? এই হিসেবটা কীভাবে বেরলো?
  • san | 52.104.27.252 (*) | ২৩ মে ২০১৪ ০৮:১৮87932
  • আমি বুঝেছিইই। সিকি নাস্তিক , তাই সংখ্যালঘু।

    আমায় নকুলদানা দেওয়া হোক।
  • সিকি | 135.19.34.86 (*) | ২৩ মে ২০১৪ ০৮:২১87933
  • সে না হয় দিলাম তোকে নকুলদানা। কিন্তু ঐ মালদার কাছে থাকতো বলার মানেই সংখ্যালঘু নয়, এটা এখনও শিশিবোতলের মতন ঠেকছে।
  • /\ | 69.160.210.2 (*) | ২৩ মে ২০১৪ ০৮:৪৬87934
  • ধুর। সংখ্যা লঘু হলে মালদার কাছে থেকে কী বাড়তি প্রমাণ হবে? সংখ্যা লঘু না হয়ে পার্ক সার্কাসে মালদায় বেশ কিছুদিন থেকে তারপর কমুনাল হারমোনির বানী দিতে পারবে কিনা সেই ধক জানতে চাইলো তো !!
  • সিকি | 135.19.34.86 (*) | ২৩ মে ২০১৪ ০৯:০১87935
  • অঃ!

    তা সংখ্যালঘু নয় এমন একজনের বাড়িতেই ঘুরে এলাম তো গত মাসে, মালদায়। তারা ভাড়া থাকে। তবে ইয়ে, বাড়িওলার ধর্ম কী সেটা জানা হয় নি।

    নাঃ, আমার আর ধক দেখানো হল নি।
  • AP | 24.139.222.45 (*) | ২৩ মে ২০১৪ ০৯:৪৮87936
  • সাঙ্ঘাতিক লেখা !!!
  • | 236712.158.786712.145 (*) | ১৪ নভেম্বর ২০১৯ ০৩:০২87937
  • এটা আরেকবার তুলি।

    অমিত ইত্যাদিগণের মুক্তোবাঁধানো মন্তব্যসমুহ আহাহা
  • khorak | 237812.68.674512.91 (*) | ১৪ নভেম্বর ২০১৯ ০৮:২৫87938
  • লংকা বিছুটি একসাথে একদম ঠিক জায়গাতেই লেগেছে, এখন জ্বলুনি কিছুতেই যাবে না :D
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত মতামত দিন