এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • ভোট দেব কোনখানে

    তাপস দাশ লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ০৯ মে ২০১৪ | ৮২৮ বার পঠিত
  • সব ভোটের আগেই চাদ্দিক দেখে মনে হতে থাকে এবারের ভোট বুঝি এই নশ্বর জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভোট l ভোটারের কাছেও যেমন, রাষ্ট্রের কাছেও তেমন, দলগুলোর কাছে তো বটেই l ২০১৪ ভোটও সেদিক থেকে ব্যতিক্রম নয় l ভাজপা আসবে কিনা, তাকে আটকানোর জন্যে কংগ্রেসকে সমর্থন করা উচিত কিনা – আর অঙ্গরাজ্য পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দাদের কুশাসনের প্রতীক তৃণমূল কিম্বা বামফ্রন্টকে অনেক ভোটে জয়ী করানো উচিত কিনা – সে নিয়ে মূল লড়াই l সাবসেটও আছে l সেগুলোও জরুরি বটে ! এগুলো বোঝা যায় ! আবার অনেক কিছু বোঝা যায় না l ধরুন, ২০০৯ সনে পবিত্র পরিবর্তনের ডাক বুঝে উঠতে পারিনি l লোকসভা ভোটে রাজ্যে কেন পরিবর্তনের ডাক উঠলো – সে নিয়ে বিদগ্ধজনেরা নানা বাণী বিতরণ করেছেন – কিন্তু সে সব উত্তর শুনে বা পড়ে মনে হয়েছে – ওই যুক্তিগুলো তাঁরা নিজেরাও বিশ্বাস করে ওঠেননি l মনে হয়েছিল একটা এজেন্ডা যা আগে থেকে ঠিক করা, সেই এজেন্ডার হাওয়াই চটিতে পা গলিয়ে ফেলেছেন অনেকে l 

    সে যাক ! এই ১৪ সালের ভোট ফের জরুরি নিশ্চিত ! এক এক রকম সেট অফ জনতার কাছে এক এক রকম কারণে l এদের মধ্যে অন্যতম একদল হলেন বাংলাদেশের হিন্দুরা l তাঁদের মনে হচ্ছে এখানে মোদী সরকার এলে কড়া হিন্দুত্বের একটা আবহ তৈরী হবে, যার ফলে বাংলাদেশের উগ্র মুসলিমরা চাপে থাকবে l বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা একটু কম বিপন্ন থাকবেন l আরেক দল হল – প্রত্যাশী ভারতীয় l এনারা হিসেব কষেন যে কোন দল ক্ষমতায় এলে ইন্টারেস্ট রেটের কীরকম অদলবদল হবে – ভারতীয় মুদ্রা বিশ্ববাজারে কী দামে বিকোবে – এবং তার সঙ্গে তাঁদের জীবনের ওঠাপড়া কত মোলায়েম ভাবে গায়ে লাগবে ইত্যাদি l আছেন কল্যাণকামী রাষ্ট্রের স্বপ্নাতুর বন্ধুজনেরা l তাঁরা বিভিন্ন ভাবে প্রেশার গ্রুপ তৈরি করতে থাকেন – এই আশায় যে সংসদে তাঁদের দাবি-দাওয়া সম্বন্ধে আলাপ আলোচনা হবে l আছেন দলীয় রাজনীতির প্রচণ্ড সমর্থকরা – যাঁরা ভিন্ন মতাবলম্বীদের একদম উড়িয়ে পুড়িয়ে দিতে চান – ভোট এলে, যেন তেন প্রকারেণ l এই সাবসেটের সবাই একটা জিনিস বিশ্বাস করেন – যে ভোট অতি জরুরি বিষয় l বিশ্বাস করেন যে ভোট দিয়ে এগুলো ঠিক হয় বা বদলানো যায় l প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্রের এই ধাঁচা তাই ক্রমশ এমন একটা লেজিটিমাইজড খাঁচা হয়ে ওঠে যে তার বাইরে আর কেউ কিছু ভাবতে পারেননা l এক্ষুনি যে প্রশ্ন চলে আসবে – সেটা হল, বিকল্প কী ? উত্তর হল জানি না l কিন্তু এনেকডোট হল – বিকল্প খোঁজার প্রক্রিয়াটা শেষ না করে দেওয়াই ভালো l 

    ভোটের জরুরিপনা সর্বাধিক প্রচারিত ও প্রকাশিত হয় কোথায় ? আমার একটি উত্তর আছে l মিডিয়ায় l যে নিজেকে সবচেয়ে বেশি বিক্রি করে ভোটের সময়ে l ভোটের সময়েই একবগ্গা একটা লোক চিত্কার করে যায় – দ্য নেশন ওয়ান্টস টু নো – আর ভোটার সেই চমত্কার রিয়ালিটি শো দেখতেই থাকে l ভোটের সময়েই কেউ বলতে পারে, আপনার মত আপনি ঠিক করুন আমার প্রকাশিত মাধ্যম দেখে, শুনে, পড়ে l কয়লা কেলেঙ্কারি নিয়ে কেস খাওয়া সাংসদ মিডিয়ায় বিনিয়োগ করতে শুরু করেন ভোট আসার বছর খানেক আগে থেকে, আর কেস খাওয়া মিডিয়া আস্তিন গুটোতে থাকে সমস্ত শক্তি সমভিব্যহারে l কেস দেবে বলে – আবার l মিডিয়া ঠিক করে – কে বসবে চ্যানেলে পক্ষে কিম্বা প্রতিপক্ষে – আগে ঠিক হয় কে কোন পক্ষ – পক্ষগুলো জানা থাকে, মানুষগুলো ঠিক থাকে, পরিচয় পরে দেওয়া হয় – ঠিক জুতসই কোনো পরিচয় না পেলে লাগিয়ে দেওয়া হয় বুদ্ধিজীবীর ট্যাগ l অজান্তে জনতা ধরে নিতে থাকে ইনি বুঝি সুশীল বলে গণ্য l আপ ভি খুশ, উও ভি খুশ ! পৈসা ভসুল ! (এ ছিল রিগ্যাল সিনেমার লাইন l ওখানে বিভিন্ন সিনেমা দেখা হত – যথা জওয়ানি ১৬ সাল কি, কিন্তু তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য সিন থাকত না – তাই নাইট শোতে ব্লু ফিল্মের একটা সিন লাগিয়ে দেওয়া হত মাঝে মাঝে – সিনেমার সঙ্গে সম্পূর্ণ সাযুজ্যবিহীন ভাবে একটি রতিদৃশ্য হঠাৎ চলল, ফের সিনেমাতে ফিরে আসা – সবাই খুশি l লাইটম্যান বলেছিলেন “আপ ভি খুশ, উও ভি খুশ ! পৈসা ভসুল !”) ভোটের বাজার এঁদের কাছেও কম জরুরি নয় বটে ! 

    তাহলে ভোটে জেতার বা হারার প্রক্রিয়া বা পদ্ধতি কী? হিসেব মোটামুটি এরকম – জোর যার মুলুক তার ! এই গণতন্ত্রে আপনার বা আমার ভোট জরুরি বটে – কিন্তু তার চেয়েও জরুরি হল রিগিং/বুথ ক্যাপচার/পয়সা ছড়ানোর প্রক্রিয়া l এসব নিয়ে আপত্তি থাকতেই পারে – কিন্তু বাস্তবত সে সব আপত্তিতে খুব কিছু এসে যায় না l এসবই চলবে – যেমন চলবে আশা সৃষ্টিকারী সাচ্চা গণতন্ত্রমুখী দলের ভোটব্যাঙ্ক খুঁজতে নানান রকম আশাভঙ্গকারী পদক্ষেপ গ্রহণ l মুশকিল হয় – ভোট যাঁরা খোঁজেন, তাঁরা ভোট খোঁজার প্রক্রিয়াতেও গলতি করতে থাকেন l কিছুতেই তাঁরা ভোটারদের কাছে পৌঁছতে চান না – বরং চান মসনদটি বজায় রাখতে – এবারের মতন l ফলে মানুষ যখন নিজের মত পরিবর্তন করছেন – পরিস্থিতি যখন পাল্টাচ্ছে, তখন সেখানে পরিস্থিতি বুঝে পদক্ষেপ গ্রহণ করার চাইতে সস্তায় বাজিমাত করার চেষ্টায় থাকেন l ২০০৯ এর ভোটের আগে বিভিন্ন স্কুল পরিচালন সমিতির ভোটে যখন বাম প্রার্থীরা পশ্চিমবঙ্গের দিকে দিকে হারছিলেন, তখন প্রাজ্ঞরা সাবধান করেছিলেন, কিন্তু কানে তোলেননি অতি নিশ্চিত বামফ্রন্ট নেতৃত্ব – আর সেসব পরাজয়ের খবরের দিকে চোখ তুলে তাকানোর সুযোগই পাননি দুঁদে সমর্থকরা l গোটা জঙ্গলমহল ঘিরে যখন ক্রমে বাড়ছিল মাওবাদীদের প্রভাব – তখন নেহাৎ তাকে আইনশৃঙ্খলার সমস্যা ভেবে বসেছিলেন যাঁরা – তাঁরা শুধু আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্যেই আজও আওড়ে চলেন – এসবই আসলে বিরোধীদের চক্রান্ত l মনকে চোখ ঠেরে এঁরা দেখতেই পান না, সম্ভবত নিজের কাছেও দেখতে পান না, যে এই সিস্টেমে রাজ চালানোর জন্যে এঁরাই একসময়ে ওই মাওবাদীদের অস্ত্রভাণ্ডারের ও অস্ত্রচালকদের শরণ নিয়েছিলেন l এই সিস্টেম l এ-ই হল সিস্টেম l এবং এঁরা এই সিস্টেমটিকেও ঠিকভাবে আয়ত্ত করে রাখতে পারেন না – অতিনিশ্চিতির কারণে l কোনো জায়গায় তা বামফ্রন্ট রূপে আসে, কোনো জায়গায় সে অতিনিশ্চিতি দেখা দেয় রাজা কিম্বা সুরেশ নামে l দ্য ওভার কনফিডেন্ট গাইজ l রাজা/সুরেশ/বামফ্রন্ট এঁদের পতনের ফলে যাঁরা ভাবেন – যে গণতন্ত্র কোনো না কোনভাবে শেষ পর্যন্ত জিতলো – তাঁদের সঙ্গে আমি একমত নই l নই – কারণ আমার স্থির বিশ্বাস যে আসলে এ সবই হল মায়াঞ্জন পরিয়ে রাখার একটা খেলা l একটা তুকতাক l সিস্টেমের প্রতি আস্থা বাঁচিয়ে রাখার জন্যে l উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় শক্তি যদি নিজের জনতার কাছেই বার বার প্রত্যাখ্যাত হতে থাকে – ভোটদানের শতকরা হিসেব যদি নিম্নগ হয়, তবে প্রথমত সে বিশ্বদরবারে পরের লোন নেওয়ার যোগ্যতা হারায় আর নিজের সম্প্রসারণবাদকে লাগু করতে গেলে বৃহৎ শক্তিসমূহের কাছে ঝাঁটা লাথি খাওয়ার পরিস্থিতি তৈরী করে l এইখানে আমি একটা চক্রান্তের গন্ধ পাই l ব্যালট থেকে ইভিয়েম l ব্যালটে ভোট ছিল যতদিন, ততদিন একাধিক জায়গায় ছাপ মেরে নিজের ভোট বাতিলের সুযোগ থাকত l একাধিক ভোটের কাউন্টিং এজেন্ট হওয়ার সুবাদে দেখেছি, ব্যালটের পেছনে ভোটার নিজের বাতিল ভোটের সম্পক্ষে যুক্তি লিখে এসেছেন, কিম্বা সিম্পল খিস্তি l বাতিল ভোট তখন একটা বেশ ভালো পার্সেন্টেজ পেত l ইভিয়েম সে সুযোগ থেকে নাগরিককে বঞ্চিত করেছিল l একসঙ্গে দুটো বোতাম টেপা যেত না l টিপলেও ফ্র্যাকশন অফ সেকেন্ডের ফারাক বুঝতে পারত মেশিন আর প্রথম ভোটকে কাউন্ট করত l ২০১৪র ভোট এদিক থেকে জরুরি হয়ে উঠেছে l এই প্রথম ভারত দেশ না-ভোটের অধিকার দিয়েছে l একটা স্টেপ যাকে অস্বীকার করে আর থাকা যায়নি l কিন্তু রাইট টু রিকল নেই, এখনো l আর এখনো বুঝে উঠতে পারিনি যে কী করে আমার সব সামাজিক ইস্যুর প্রতিনিধি হয়ে উঠতে পারেন একজন ব্যক্তি – পাঁচ পাঁচ বছরের জন্যে l আমার প্রতিটি রিয়াকশন কী ভাবে পৌঁছয় একজন প্রতিনিধির কাছে ! আর যাঁরা মনে করেন, যে ন্যূনতম হলেও পৌঁছয় – একজন প্রতিনিধি অন্তত থকা জরুরি – তাঁদের কাছেও আমার জিজ্ঞাসা – এই প্রতিনিধিরা সর্বোচ্চ স্তরে যাওয়ার আগে কিম্বা পরে এমন লেভেলের ব্যক্তিগত আক্রমণে যান, যে তাঁদের দেউলিয়া মনে হতে থাকে l এঁদের ঠেকাতে তখন আবার পুলিশ লাগে কিম্বা কমিশন – যারা আবার সকাল সাড়ে ৯ টায় সেন্ট পার্সেন্ট পোলিং হয়ে গেলেও বলতে থাকেন – ভোট হয়েছে যথাযথ l আর সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছে গিয়ে একজন আরেকজনের বক্তব্যই শোনেন না l শুধু তাই নয় – খিস্তি করেন, মারামারি করেন, এবং তাঁদের মারামারি ঠেকাতে বারের মত বাউন্সার লাগে, যাদের নাম হয় মার্শাল l এঁরা এ-ও জানেন যে এঁদের সমস্ত কীর্তি কলাপ টিভিতে দেখা যাচ্ছে – লাইভ l কিন্তু এঁরা একই সঙ্গে এ-ও জানেন যে ভোটারদের সঙ্গে তাঁদের বিচ্ছেদ ঘটে গেছে l যে ভোটারদের নিয়ে প্রতিনিধি মিছিল করেন বা করতে চান l ক্রমশ মানুষ ও মিছিল আলাদা হয়ে যায় l 

    আর মিছিলে যাঁরা হাঁটেন, কিম্বা হাঁটেন না – তাঁদের প্রতিদিনের বাঁচা দূরতম ভ্রমণশেষে ঘরে ফিরে আসার মতন l তাঁদের প্রতিদিনের বাঁচা এক স্বাধীন সার্বভৌম স্বরাট স্বাবলম্বী বাঁচা l তাঁর বাঁচার বা ভ্রমণের সঙ্গে প্রতিনিধির বাঁচার কোনো যোগসাজস নেই l থাকে না l সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশবাসী প্রায় প্রতিদিনের বাঁচাই এক গোটা জীবন বাঁচার মতন l বিছিন্ন, কিন্তু বিচ্ছিন্নতাবাদী নয় l তার কোনো বাদ থাকে না l কিন্তু এই বিচ্ছিন্নতা বা এই বাদহীনতা তার পক্ষে গৌরবের নয় l অপমানের l বড় বেশি অপমানের l এখানে, এই ভূমিতে, আমাদের মতন যারা কালি কলম কমিপউটার ব্যবহার করতে পারে বা জানে, তারা জানে না এই অপমান বা বিচ্ছিন্নতার কাহিনী ঠিক কোন অক্ষরে লেখা উচিত l 

    তাই আমার আর তাদের প্রতিনিধিরা ক্রমাগত মিথ্যা বলতে থাকেন, মিথ্যা চিত্কার করতে থাকেন, মিথ্যা প্রতিনিধিত্ব করতে থাকেন l আমার সঙ্গে মিছিল নেই, আমার সঙ্গে মানুষ নেই, মিছিলের সঙ্গে প্রতিনিধি নেই, প্রতিনিধির সঙ্গে মানুষ নেই l 

    আমি ভোট বয়কট করিনি l ভোট আমাকে বয়কট করেছে l ভোট আর প্রতিনিধি এক হয়ে গেছে l আমি আর মানুষ একাকার হইনি l 

    *এ লেখার শেষাঙ্গে যাঁর দীর্ঘ ছায়ার আভাস গুটিকয় মানুষ চিনতে পারছেন, দেবেশ রায়ের সেই নিবিড় সহপাঠকদের কুর্নিশ জানাই l


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ০৯ মে ২০১৪ | ৮২৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Biplob Rahman | 212.164.212.61 (*) | ০৫ মে ২০১৪ ০১:২৭87491
  • "তাহলে ভোটে জেতার বা হারার প্রক্রিয়া বা পদ্ধতি কী? হিসেব মোটামুটি এরকম – জোর যার মুলুক তার ! এই গণতন্ত্রে আপনার বা আমার ভোট জরুরি বটে – কিন্তু তার চেয়েও জরুরি হল রিগিং/বুথ ক্যাপচার/পয়সা ছড়ানোর প্রক্রিয়া l এসব নিয়ে আপত্তি থাকতেই পারে – কিন্তু বাস্তবত সে সব আপত্তিতে খুব কিছু এসে যায় না l"

    জ্ঞান হওয়ার পর থেকে এপার বাংলাতেও আমরা একই চিত্র দেখছি।

    যতোদিন ভোটবাজীর পরিবর্তন না হয় ততোদিন নির্বাচন কমিশনের উচিত হবে বাংলাদেশে "না ভোট" চালু করা। তাহলে অন্তত আম জনতা আ'লীগ, বিএনপি, জামাত, হেফাজত, ঝান্টু বাম -- সব বাতিল দলগুলোকে একটি ছোটমাপের "গদাম" দিতে পারে। ...

    গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের প্রহসনের কথা না হয় উহ্যই থাক। ;)
  • ছেনাল ঘোষ | 125.242.159.8 (*) | ০৫ মে ২০১৪ ০৪:০০87492
  • একমত।কিন্তু এত কিছুর পরেও কি ভোট পুজোকে অস্বীকার করতে পারেন ?পবিত্র পরিবর্তনের ডাক না বোঝা বা সেই পরিবর্তনের ফলে কী হয়েছে বা আদৌ কোনো পরিবর্তন হয়েছে কী না সেই সমস্ত সংশয় দূর করে রেখেও বলা যায়-শিল্পের নামে চাষের জমি দখল করে মহান উন্নয়নের প্রক্রিয়াকে কি অন্তত সাময়িক ভাবে স্থগিত করে দেওয়া যায় নি ?

    খুব আশাবাদী হিসাবে এই আশা'ও রাখতে পারি এই ভোট পুজোর মাধ্যমে শিল্পপতি আর দাঙ্গাবাজদের প্রতিনিধিদেরকেও অন্তত সাময়িক ভাবে দূর করে রাখা সম্ভব হবে।তার পরিবর্তে কী আসবে,সেটা ভাল না মন্দ সেটা তর্কসাপেক্ষ হলেও অন্তত একটা দূর্বিপাক থেকে মানুষ সাময়িক ভাবে রক্ষা পাবে।
  • দেবতোষ | 127.194.69.32 (*) | ০৫ মে ২০১৪ ০৪:১২87493
  • খুব ভালো লেখা। এই ২০১৪ সাধারন নির্বাচনের মুখে দাঁড়িয়ে অতি ও অমানবিক 'সিস্টেম' খুব বুক ফুলিয়ে হাজির। এতটা সম্ববত আগে দেখিনি। না হলে ২০০৪-এ 'ভারত উদয়'/'ইন্ডিয়া শাইনিং' করে এনডিএ হারত না। এখন যেন ব্যাপারটা ক্রমশ ডব্লুডব্লুএফ।

    ভারত রাষ্ট্রের একটা খোলস ছিল, এখন সে সেই খোলস/মুখোশটাও আর রাখবে না। নাঙ্গা। এর বিরুদ্ধে লড়াই করার মতো মতাদর্শ বা দম আজ কোনো রাজনৈতিক দলেরই, না বাম না ডান, নেই।

    ফলত আগামী ভারতবর্ষে একদিকে আম্বানী-মোদী-আরএসএস জোট বনাম মাওবাদী নুনুকামান আর মুজাহিদিন সন্ত্রাসবাদ। মোদী কবে মিলিটারি নামায় এটাই দেখার এখন।

    আমরা না হয় তখন মিছিল বার করব। ততক্ষণ ফেবু জিন্দাবাদ!
  • নিপা | 37.125.201.150 (*) | ০৫ মে ২০১৪ ০৬:০৩87490
  • *
    ভাল লাগল লেখাটি।
    অভিনন্দন।

    রাইট টু রিকল -এর দাবিও একদিন স্বীকৃত হবে বলেই বিশ্বাস রাখি৷
  • aranya | 154.160.226.53 (*) | ০৫ মে ২০১৪ ০৮:৪২87494
  • ভাল লাগল
  • Ranjan Roy | 24.96.35.144 (*) | ০৬ মে ২০১৪ ০২:৫৩87498
  • ভালো লাগল। কিছু প্রশ্ন উঠে এল যার উত্তর আমার জানা নেই।

    তবু আশায় বাঁচে চাষা।
  • সিকি | 135.19.34.86 (*) | ০৬ মে ২০১৪ ০৫:১৫87495
  • খুবই ভালো লাগল।
  • নুরুল ইসলাম | 69.95.137.137 (*) | ০৬ মে ২০১৪ ০৭:১৬87497
  • আচ্ছা, tecnology তো এতো ডেভেলপ হয়েছে, আমরা মোবাইল ফোন থেকে ভোট করতে পারিনা? মোবাইল ফোন তো সবার কাছেই আছে। যাদের কাছে নেই, এই ভোট যত সরকারী খরচ হয় তার চেয়ে কম খরচে সবাইকে মোবাইল ফোন দেওয়া যায়। এবার প্রত্যেক টা ইসু নিয়ে আলাদা -আলাদা ভোট করা হোক। মানে ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড ইসু করে। আর পলিটিকাল পার্টি গুলো কোনো একটা ইসু র পক্ষে বা বিপক্ষে প্রচার আর সভা করুক, নিজের নিজের ideology হিসাবে পক্ষে বা বিপক্ষে ভোট দেওয়ার আবেদন করুক।
  • ujbuk | 96.174.86.36 (*) | ০৬ মে ২০১৪ ০৮:১০87499
  • আহা কি লেখা!

    যদিও মোদ্দা বক্তব্যটা ঠিক বুঝে উঠতে পারলাম না, তবে তা বোধহয় উত্তর আধুনিকতার জন্য।

    উআ জাতীয় লেখার মতই বেশ ইনটেলেকচুয়াল,,, ভাসিয়ে দ্যায়, মনে হয় সব্বাই এত্ত খারাপ, এই দুনিয়াতে থেকে আর কি লাভ, কেটে পড়ি !!
  • ধুরন্ধর ঝাঁট | 127.194.24.106 (*) | ১০ মে ২০১৪ ০৮:১০87500
  • আমার ক লমে কি ধার মশাই় আমার ভোট
    আপ্নকেই়
  • ধুরন্ধর ঝাঁট | 127.194.24.106 (*) | ১০ মে ২০১৪ ০৮:১১87501
  • ক লমে কি ধার মশাই় আমার ভোট
    আপ্নকেই়
  • তাপস দাশ | 122.79.39.13 (*) | ১১ মে ২০১৪ ১২:৪৬87502
  • উজবুকের উত্তরাধুনিকতা, ধুরন্ধরের ধার দর্শন - অঃ
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি প্রতিক্রিয়া দিন