এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • মাওবাদীর জন্ম ও মৃত্যু

    প্রতিভা সরকার লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ৩১ মে ২০১৮ | ৯৫২ বার পঠিত
  • এই লেখার শুরুতে একটি রাইডার থাকুক। রাজনৈতিক বিশ্বাসে আমি মাওবাদীদের থেকে স্বতন্ত্র। আমি সংসদীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাসী এবং অল্প কিছু মানুষের সশস্ত্র সংগ্রামের ফলে মুক্তি আসবে এটাও বিশ্বাস করিনা । কিন্তু রাজনীতিহীন মানুষ আমি নই । আমার রাজনৈতিক বোধ আমাকে শিখিয়েছে শাসকের অন্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হতে, গরীব আদিবাসীর জল জঙ্গল জমি কর্পোরেটের স্বার্থে বিকিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে গলা তুলতে, বিশেষত যদি পোষ্য মিডিয়া এবং নাগরিক পরিসরে সেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে টুঁ শব্দটি না শোনা যায় । তাই এটিকে এক রাজনীতি সচেতন সাধারণ নাগরিকের প্রতিক্রিয়া হিসেবে নিলেই ভালো ।

    মাওবাদীর জন্ম
    বাইশে এপ্রিল, দুহাজার আঠার । মহারাষ্ট্র এবং ছত্তিশগড়ের সীমান্তঘেঁষা এবং মাওবাদী অধ্যুষিত এক গ্রামে বিবাহবাসর। জেলার নাম গড়চিরোলি ।মাওবাদী নেতা সাইনাথের নিজের গ্রাম গাট্টেপল্লীর কনে আর লাগোয়া কাসানসুরের বর । ্নাকি এই বিবাহ উপলক্ষেই মাওবাদীরা জড়ো হয়েছিল ইন্দ্রাবতী নদীর ধারে একটুকরো দুর্গম অরণ্য ঘেরা জমিতে । মতান্তরে এরা প্রায়ই টহলে থাকত , গ্রামবাসীদের অসুবিধেগুলো নিয়ে আলোচনার জন্য । এবার বিভিন্ন দলম ( ওখানে দশ পনেরজন মাওবাদীর এক একটি গ্রুপকে বলে দলম ) জড়ো হয়েছিল তেন্ডুপাতা বিক্রিজনিত সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে। বিয়ে বা তেন্ডুপাতা যাইই হোক না কেন, বাইশের ভোর ভোর তাদের ঘিরে ফেলে সিআরপিএফ এবংমহারাষ্ট্রের সি-60 কম্যান্ডোরা । আন্ডার ব্যারেল গ্রেনেড লঞ্চার দিয়ে আক্রমণ এবং ১৬ জন খতম। পরদিন কিছুদূরে আর এক বনভূমিতে খুন করা হয় ছ জনকে । দুর্জনেরা বলছে সাজানো এ্নকাউন্টার, কারণ ঐদিন মৃত মাওবাদী নেতা নন্দুকে নাকি ইন্দ্রাবতীর তীরে মূল দলমের মধ্যে আরো বড় নেতা সাইনাথের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল । গল্প তো এখানেই শেষ নয়। বাঁচার জন্য যারা কুমীরভর্তি ইন্দ্রাবতীর জলে ঝাঁপ দিয়েছিল , দুদিন পর তাদের ফুলে ঢোল লাশ ভেসে উঠতে লাগল । কি আশ্চর্য তাদের শরীরেও বুলেটের ছ্যাঁদা, পোড়ার দাগ ।এক নিহতের বাবার চোখ ছেলের দেহে খুঁজে বার করল বিশাল গভীর কুঠারের ক্ষত । এবার মোট নিহত পনের । গ্রামবাসীদের বাধ্য করা হয়েছে কুমীরভর্তি নদীতে নেমে মাছধরা জালে মৃতদেহ তুলতে।সেভাবে ওঠে আরো তিন লাশ । দুটো এনকাউন্টার ,চল্লিশটা লাশের ঢের ! সাধে হিন্দু কাগজে হেডিং ছিল দা পারফেক্ট এমবুশ । অপর পক্ষের সবাই জ্যান্ত, কোন ক্ষয়ক্ষতি নেই। আলহাদে জওয়ানরা মারাঠি আর হিন্দিতে গানবাজনা করছিল, নাচছিল ,গ্রামবাসীরা সাক্ষী।

    গল্প চলছে মৃত্যুর আর রক্তের হোরিখেলার । একটু পেছন ফিরে না তাকালে এই রক্তপাতের তাৎপর্য পরিষ্কার হবে না । ২০০৭ সালে গড়চিরোলিতে লয়েড মেটাল খনি লিজ নিতে শুরু করে।সঙ্গে সঙ্গে শকুনের মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে সরকারী বদান্যতাপ্রাপ্ত অন্যান্য কর্পোরেট হাউজ । আদিবাসীদের জঙ্গল জমি জলের ওপর অধিকার স্বীকার করে কি কি আইনও আছে আমাদের দেশে। সেসবকে কলা দেখিয়ে ,স্থানীয় মাড়িয়া গোন্দ ও অন্যান্য আদিবাসীদের ইচ্ছে অনিচ্ছেকে দুপায়ে মাড়াতে কর্পোরেট-বান্ধব শাসক চিরকালই চেয়েছে পুঁজির কখনো-না-বোজা-হাঁ মুখে বনস্থলী বিসর্জন দিতে। ফলে কে মনে রাখে সুরজগড় পাহাড় মারিয়া গোন্দদের দেবস্থান , ১৮৫৭ র মহাবিদ্রোহের স্মৃতিপূত এইসব এলাকা , স্থানীয় উপজাতীয় স্বাধীনতাসংগ্রামী বাবুরাও শেদমেক চষে বেড়াতেন এইসব পাহাড়ের মাথা। আদিবাসীর কাছে মাইনিং সাইটগুলি যেন তাদের বসতির ওপর “গভীর রক্তচিনহ’”। এগুলি তাদের সব হারানোর প্রতীক । এই সবের মধ্যে আছে তাদের খাদ্য এবং জল , স্বাস্থ্যকর প্রাকৃতিক পরিবেশ, নিজস্ব সংস্কৃতি । কিছু নিস্ব, শোষিত সরল একগুঁয়ে স্বজাত্যাভিমানী মানুষ হাতে অস্ত্র তুলে নিল এই অন্যায়ের মোকাবিলায়, কোন সাম্যবাদী সংগঠনের ছত্রচ্ছায়ায় সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে হারানো জমি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করল , জন্মালো মাওবাদী । আর শাসক বলল, এই দরিদ্র দেশের উন্নয়নের পথে বিরাট বাধা এই বিপথগামী সশস্ত্র যুবকের দল । সরল উপজাতীয়দের ভুল বুঝিয়ে বিপথগামী করছে এরাই । দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার শাস্তি কি তা এদের বোঝাতেই হবে। নাগরিক সমাজ এবং মিডিয়াকে বুঝতেই হবে যে ওই অঞ্চলের দৈন্যদশা এবং বেকারিত্ব ঘোচাবার পথে কাঁটা একমাত্র মাওবাদীরা।

    সে অবশ্য বোঝানো গেছে ভালোভাবেই। যুদ্ধক্ষেত্র এবং ভয়াল প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়া দুদিনে কোথায় চল্লিশজন মানুষ মরে ? অথচ কোন আলোচনা নেই এই রাষ্ট্রীয় খুন নিয়ে। মিডিয়া তো দূরস্থান, মেধা পাটেকর, স্বামী অগ্নিবেশ, যারা এই রাজ্যের বাম জমানার সমালোচনায় মুখর ,তারাও মুখে কুলুপ এঁটেছেন।ন্যায্য পাওনা চাওয়া বড় অপরাধ। অস্ত্রের চ্যালেঞ্জ আরো মস্ত বড় অপরাধ । তাই গড়চিরোলিতে নিহত মাওবাদী নেতা সাইনাথের মাথার দাম ধার্য হয়েছিল ষোল লাখ টাকা। ভেণুগোপাল, তেতুম্বে এবং নারমডাক্কা—প্রত্যেকের মাথার দাম ৬০ লক্ষ টাকা জানিয়ে মহারাষ্ট্রে খবরের কাগজগুলিতে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে জনগণের টাকায় । অথচ দেশের টাকা তছরুপ করে লন্ডনে ডঙ্কা বাজিয়ে বিজয় মাল্য তৃতীয়বারের জমকালো বিবাহবাসর বসায় , নীরব মোদি যত টাকা মেরেছে তার কণামাত্রও উঠে আসবে না ফেলে যাওয়া সম্পত্তি আর নকল হীরে ক্রোক করলে। কাঠুয়ার সঞ্ঝিরামের মতো অভিযুক্তও আইনী সহায়তা পায় । রাম রহিম, আশারামের থেকেও বড় অপরাধ কি নিজের গাঁওখেতি , ভালোবাসার মেয়েটির সম্ভ্রম ফেরত চাওয়া? রাষ্ট্র যেনতেনপ্রকারেণ এদের খুন করতে চায় । এদের একমাত্র অপরাধ এরা সশস্ত্র সংগ্রামে বিশ্বাসী, এরা মাওবাদী। নিরন্তর প্রচার এইটুকু খুব ভালোভাবেই করতে পেরেছে যে নাগরিক সমাজেরও বড় অংশই এখন বিশ্বাস করে মাওবাদীনিধন জায়েজ ।বুলেটের জবাব বুলেট, রাষ্ট্র যা করছে ঠিকই করছে। কোন কৈফিয়ত দেবার দায় তার নেই।

    দায় না থাকলেও প্রশ্নগুলো কিন্তু থেকেই যায় । এই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিচালক নির্বাচিত সরকার। সে সংবিধান এবং আইন মানতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। রাষ্ট্র আইনী প্রতিষ্ঠান, ফলে দেশের বিপথগামী বা সুপথগামী নাগরিকদের কোন কাজে শাস্তি দিতে হলে সে আইনী সীমা লঙ্ঘন করতে পারবে না। মাওবাদীদের ক্ষেত্রে একথা প্রযোজ্য নয়, কারণ তারা দেশের সংবিধানকে অস্বীকার করে এবং তাদের প্রতিষ্ঠান ও কার্যকলাপ ঘোষিতভাবে বেআইনি । তারা যদি দেশের শত্রু হয়ে থাকে , তাহলে দেশদ্রোহ আইনে তাদের সাজা দিতে হবে। মিথ্যে এনকাউন্টারে মেরে ফেলা চলবে না , আত্মসমর্পণ করতে চাইলে বুলেটে তার জবাব দেওয়া যায় না । এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিং বা বিচারবহির্ভূত হত্যা যদি সবক শেখাবার সহি রাস্তা হতো তাহলে পঞ্চাশ বছর ধরে এই সমস্যা চলে আসছে কিভাবে ? ইন্দ্রাবতীতে যারা ঝাঁপ দিয়েছিল প্রত্যেকের শরীরে বুলেট অথবা অন্য অস্ত্রের দাগ আছে। অন্য শরীরগুলোতে বেধড়ক অত্যাচারের ছাপ । জেনিভা কনভেনশন অনুযায়ী শ্ত্রুদেহের বিকৃতিও আইনবিরুদ্ধ । মৃতকে মৃতের মর্যাদা দিতে হবে এটাই প্রত্যেক সভ্যদেশ মনে করে। ইনক্লুসিভ গ্রোথ বা সবার জন্য উন্নয়ন ছাড়া পথ নেই তা কাশ্মীর কিন্তু ইতোমধ্যেই বুঝিয়ে দিয়েছে। তবু যারা বুঝতে চায়না তারা ক্ষমতার মদে মত্ত । কারন শুধু অন্য ধর্মাবলম্বী হবার কারণে তারা এক বিপুল জনগোষ্ঠীকে খুন করেও আইনিপ্রক্রিয়ার ফাঁকফোকর দিয়ে নিজেদের বেকসুর খালাসের বন্দোবস্ত করে উঠতে পারে। দেশের সব অরণ্য ,সব জনজাতি ,সব আইন এখন তাদের পদানত । তাই সরকারী নথি বলছে ওরকম কোন গভীর রক্তচিহ্ন ্মেরিয়া গোন্দদের বাসস্থানে নেই , মেনে নিতে হবে। তারা বলছে গড়চিরোলিতে যতো মানুষ মরেছে এলিট সেনাদের বুলেটে তারা সকলেই মাওবাদী , মেনে নিতে হবে ।

    তাহলে এবার দেখে নেওয়া যাক , মাওবাদী মরে কিভাবে।

    মাওবাদীর মৃত্যু
    পাঁচদিন ধরে গড়চিরোলির গাট্টেপল্লী গ্রামের আটজন তরুণ তরুণীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। কয়েকজন আবার নাবালক। বাকীরা সবে কৈশোরের সীমানা ছাড়িয়েছে। যেমন ষোল বছরের মঙ্গেশ বিজ্জা। ক্লাস টেনের রেজাল্ট বেরোবার পর বাড়ি এসেছিল , ইট্টাপল্লীর কলেজে ভর্তি হবার পর। যেমন সতের বছরের রাসসু চাকো মাধবী। কখনো বড়ি থেকে কিছুদিনের জন্য উধাও হয়ে যাওয়া, মাধবী এসবের মধ্যে কখনো ছিলনা , যেমন থাকে দলমে যোগ দিতে ইচ্ছুক ভবিষ্যতের মাওবাদীরা। আসলে তারা বেরিয়েছিল কাসানসুরের বিয়ে বাড়িতে যাবে বলে । ব্যাগে ভালো পোশাকও ্নিয়েছিল বিয়ের আসরে পরবে বলে। আর নিয়েছিল আধার কার্ড। মাওবাদীঅধ্যুষিত এলাকায় প্রত্যেক আদিবাসীর সঙ্গে পরিচয়পত্র রাখতেই হয় , চাওয়ামাত্র না দেখাতে পারলে খুলি ফুটো হয়ে যেতে পারে যখনতখন। বাচ্চাগুলো না ফেরায় পুলিশে রিপোর্ট হবার পর জানা গেল গড়চিরোলিতে হত মাওবাদীদের তালিকায় এরা প্রত্যেকেই রয়েছে। তারা নাকি প্রত্যেকেই ছিল নিউ রিক্রুট ,যারা প্রথমবারের মতো দেখা করতে এসেছিল কম্যান্ডারের সঙ্গে । অভিভাবকরা মিডিয়াকে জানান মৃতদেহগুলো অত্যধিক গরমেও ফেলে রাখা হয়েছিল একট গুমোট ঘরে । প্রত্যেকটি লাশই ঢোকানো ছিল শক্ত মোটা পলিথিনের ব্যাগে, দেখা যাচ্ছিল শুধু মুখটুকু । সে মুখ ফোলা, বিকৃত, রক্তজমা। চেনা যায়নি বলেই আধারের কথা মনে হয় । পুলিশ বলে তদন্তের খাতিরে আধার কার্ডগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এখনও সে তদন্ত শেষ হয়নি , হবেও না। অভিভাবকরা কি করে সন্তানের হারিয়ে যাওয়াটুকু প্রমাণ করবেন সেই চিন্তায় কাতর। তাঁরা সন্তানের পরিচয়পত্র ফেরত চান , নিরপেক্ষ তদন্ত চান , অপরাধীর শাস্তি চান , নিরপরাধের ওপর থেকে অপরাধের তকমা ওঠাতে চান । কিন্তু একমাস পেরিয়ে গেলেও পুলিশ প্রশাসনের মুখে কুলুপ আঁটা । মহারাষ্ট্রের বিদর্ভ রিজিয়নে এইভাবেই দশকের পর দশক জন্ম মৃত্যু বিবাহ প্রায়ই একতারে বাঁধা পড়ে। যুধ্যমান দুইপক্ষের মধ্যে পড়ে নিরীহ মানুষ হয়ে যায় দেশদ্রোহী , নিরপরাধ মূহুর্তে লাশ হয়ে যায় । ঘরছাড়্রারা মৃতদেহ হয়েও ঘরে ফিরে আসে না । অথচ আদিবাসীদের দাবী ছিল এইরকম – ভারী শিল্পের বদলে বনজ সম্পদ্ভিত্তিক ক্ষুদ্রশিল্পের প্রসার যার মালিকানা থাকবে গ্রামসভার হাতে । লাগু হবে ২০০৬ সালের আইন অনুযায়ী বনের ওপর শিডিউল ট্রাইব ও অন্যান্য জনজাতির মালিকানা ও ১৯৯৬ সালের পঞ্চায়েত আইন । তারা চায় বনভূমিকে উন্নয়ন ভূমিতে বদলে দেবার আগে সরকার নিবিড় যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করুক গ্রামসভার সঙ্গে , যেমন হয়েছিল ওড়িষ্যার নিয়মগিরিতে । এইগুলির মধ্যে কোনটাকেই অন্যায্য বলে মনে হচ্ছে কি?

    কিন্তু এসবের বদলে কর্পোরেটের মাস্তুতো ভাইরা চাপিয়ে দেবে মিথ্যে কেস , লাঞ্ঝনা , মৃত্যু ,রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস । আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা রক্ষার নামে চলবে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন । আমরা নীরব থাকব এবং ভুলে যাব নিরস্ত্র জনতার ওপরও গুলি চালানো যায় , যদি কর্পোরেটের গায়ে আঁচ লাগে , যেমন লেগেছিল তুতিকোরিনে । এদেশের জনতার ৮% আদিবাসী। তাদের ওপর অত্যাচার রাষ্ট্রকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করবে আর আমাদের নীরবতা দিয়ে আমরা হব সেই হত্যা ও ধ্বংসের পূর্ণ ভাগীদার।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ৩১ মে ২০১৮ | ৯৫২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ratna Sengupta | 212.142.116.161 (*) | ৩১ মে ২০১৮ ০৫:১০83764
  • এভাবেই হিংস্র পুঁজি তার তাঁবেদার নিয়ে মানুষ, সংস্কৃতি শিকার করে। আর আমরা জি ডি পি জিডিপি করে উর্ধবাহু হই। ডী কারে কয়!
  • সুতপা | 57.11.201.224 (*) | ৩১ মে ২০১৮ ০৫:১৫83765
  • প্রান্তজনের বারোমাস্যা, আমাদের কি? আমরা বরং তারচেয়েও অনেক বড় খবর, পেট্রোলের একপয়সা দাম কমা ও তার অর্থনৈতিক প্রভাব নিয়ে ডিসকোর্সে মেতেছি। পরিবেশ আন্দোলনের মাথারাও চুপ, শহুরে মানুষ তো আরোই এড়িয়ে যাবে খবরের কাগজের তৃতীয়/চতুর্থ/ পঞ্চম পাতার নীচে ঠাঁই পাওয়া এমন খবরগুলো।
    শুধু মায়ের কোল খালি হবে, কিছু পরিবার পুরুষশূন্য হবে, প্রকৃতি রিক্ত হবে আর বহুজাতিক ফেঁপে উঠে শিল্পসহায়তার রিটার্ন গিফ্ট সরকারকে নির্বাচনী তরী পাড়ে ভেরাবার জন্যে অবৈধ ভেট দেবে, ধন্য অর্থনৈতিক মিথোজীবিতা!
  • রৌহিন | 116.203.134.147 (*) | ৩১ মে ২০১৮ ০৫:৩৭83766
  • শুধু লাশ গুনে চলি। হয়তো কখনো আমার সন্তানও গণ্য হবে। তার আগে অবধি এই তো বেশ আছি
  • রুখসানা কাজল | 37.147.177.124 (*) | ০১ জুন ২০১৮ ০৪:৪৬83767
  • শোষক আর শোষিতের শেষহীন কাহিনী।
  • Sumit Roy | 113.244.13.59 (*) | ০১ জুন ২০১৮ ০৯:২৩83768
  • লেফট উইং টেরোরিজম একটু অন্য ইকুয়েশনের টেরোরিজম। এখানে নিজস্ব গ্রুপ বলতে কিছু থাকে না, যে কেউই জয়েন করতে পারে। নিজস্ব ধর্ম, নিজস্ব অর্থোডক্স আইডিওলজি, রেসিজম, জাতিবিদ্বেষও থাকে না। এতে সবচেয়ে বেশি আলাদা করে শোষিত শ্রেণীর জনগণের সমর্থন। অন্ধ্রপ্রদেশের ৫৫ এর বেশি শতাংশ মানুষের মাওবাদীদের প্রতি সমর্থন, আর মাত্র ১৯% এর মত মানুষের অসমর্থন এটাই বলে। এই অবস্থায় টেরোরিজম, ভায়োলেন্স দমনও চিরাচরিত উপায়ে করা যায় না। সাধারণ মানুষ কেন এরকম এদেরকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছে, কেন এই আন্দোলনগুলোয় অংশগ্রহণ করছে সরকারকে এসব বিশ্লেষণ করতে হয়, সমস্যাগুলোর সমাধানের চেষ্টা করতে হয়। কিন্তু সরকার যেন শর্টকাট ফলো করে। টেরোরিস্ট হিসেবে ট্যাগ ঝুলালো মানেই হল এদের নিয়ে সরকারের সমস্ত দায়িত্ববোধের ইতি, এদের নিয়ে ভাববার কিছু নেই...

    দুর্ভাগ্যের বিষয় হচ্ছে এই গুরুত্বপূর্ণ অবস্থাটি নিয়ে গবেষণা, একাডেমিয়ায় আলোচনা হয়েছে অনেক কম। তবুও এরকম ভায়োলেন্স, টেরোরিজম এর কারণ হিসেবে দুচারটি পয়েন্টকে ফোকাস করলে লুইস কজারের ফ্রাস্ট্রেশন, টেড রবার্ট গারের রিলেটিভ ডেপ্রিভেশন এর কনসেপ্টগুলো নিয়ে আসা যায়। কোজারের মতে, কোন জনগোষ্ঠী যখন তার বা তাদের সমস্যার প্রতিকারের জন্য উপযুক্ত কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার সুযোগ পায় না, বা যখন তারা বিশ্বাস করে য স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী কর্তৃক সে বা তারা দলিত ও শোষিত এবং এ থেকে মুক্তির আশা ক্ষীণ বা নেইত, তখনই তাদের মনে হতাশা নেমে আসে, তখন সহিংসতাকেই ত্রাতা বলে মনে হয়"। টেড গার রিলেটিভ ডেপ্রিভেশন বলতে বুঝিয়েছেন জীবনের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির মধ্যে বৈষম্যকে। প্রত্যাশার চেয়ে প্রাপ্তি যেখানে অপেক্ষাকৃত কম বা অপ্রতুল, সেখানে বঞ্চনার পরিমাণ বেশি। আর বঞ্চনার এই দহনই আপেক্ষিক বঞ্চনাবোধ বা রিলেটিভ ডেপ্রিভেশন, যা মানুষের মধ্যে সহিংসতার জন্ম দেয়।

    সমস্যা জানানো ও সমাধানের নিয়মতান্ত্রিক উপায়ের অভাব একটি কারণ। লক্ষ্য অরজন বা সমস্যা সমাধানের জন্য কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যখন দেখে যে শান্তিপূর্ণ উপায়গুলো রুদ্ধ বা অপর্যাপ্ত ও অকার্যকর, তখন তারা সহিংসতার সাহায্য নেয়। সীমিত কিছু ক্ষেত্রে, চমক সৃষ্টির মাধ্যমে সমস্যার প্রতি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য সহিংসতার আশ্রয় নেয়া হয়। বেকারত্বের আর্থিক অভাব, কষ্ট, পীড়ন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন ভবিষ্যৎ একটি ফ্যাক্টর। এর সাথে আছে অপরিকল্পিত আধুনিকীকরণ, উন্নয়ন, নগরায়ন যা মানুষকে তাদের চিরাচরিত অভ্যাস পরিবর্তনে বাধ্য করে। বৈধতাবিহীন সরকার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। শক্তিপ্রয়োগের মাধ্যমে অবৈধ উপায়ে রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলকারী ব্যক্তিবর্গ, দল, প্রতিষ্ঠান জনসমর্থনের অভাবে জনরোষে পতিত হয়। আর তখন আসে সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার প্রশ্ন।

    কারণ যাই হোক, এসব সমস্যা সমাধান গুলিতে হয় না, হওয়া সম্ভব না। এরজন্য চাই রাষ্ট্রের সকল ক্ষেত্রে সংস্কার, পরিবরতন। শিক্ষা বিস্তার, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, সুশাসন প্রতিষ্ঠা, স্বাধীন-নিরপেক্ষ ও দক্ষ বিচারব্যবস্থা তৈরি, জাতীয় ঐকমত্য, সামাজিক আন্দোলন ইত্যাদি। শর্টকাটে সব বন্ধ করলে, আবার একদিন এটা আবার ফিরে আসবেই।

    কোন নতুন শিল্প বা প্রোজেক্ট তৈরিতে আশপাশের মানুষরা আসলে কি চায়, তাতে কতটুকু উপকৃত হবে, তাদের মতামত কী এসব জানা গুরুত্বপূর্ণ। এরা না চাইলে প্রোজেক্ট পাস করার কথাই না। যতদূর জানি এনভায়রনমেন্টাল ইমপ্যাক্ট এসেসমেন্ট (ইআইএ) রিপোর্টে এসব উঠে আসে, আর এটায় গণ্ডোগল থাকলে প্রোজেক্ট পাসই করবে না। কিন্তু তৃতীয় বিশ্বের দেশে এসব নিয়ে সীমাহীন দুর্নীতি হয়। মানুষকে যথেষ্ট ক্ষতিপূরণ দিয়ে রাজি করানোতে যে অর্থ যায় তা নরমাল খরচের কয়েক গুণ বেশি হয়। এর চেয়ে কিছু অর্থ ঘুষ দিয়ে কাজ হাসিল করলেই হয়ে যায়। বিষয়গুলো ছোট ছোট, কিন্তু এর এফেক্ট অনেক বিশাল হয়। বাংলাদেশের একটা উদাহরণ দেই, কাপ্তাই ড্যাম তৈরি করতে গিয়ে পাহাড়ীদেরকে তাড়ানো হয়েছিল, এটাই পরে পাহাড়ীদের সহিংসতার একটা অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সরকার যতদিন এগুলো নিয়ে সচেতন হবে না ততদিন এরকম সমস্যা চলতেই থাকবে, একজায়গায় মুখ বন্ধ করলে আরেক জায়গায় মুখ খুলবে।
  • Prativa Sarker | 213.163.234.163 (*) | ০২ জুন ২০১৮ ০৫:৫১83769
  • সুমিত রায়ের আলোচনা একেবারেই যথাযথ। কিন্তু এদেশের চিন্তক এবং নাগরিক সমাজ আজকাল হয় অন্যভাবে ভাবার চেষ্টায় আছেন। নয় তো নীরবে থাকিস, সখী তুই নীরবে থাকিস।
  • বিপ্লব রহমান | 113.231.161.74 (*) | ০২ জুন ২০১৮ ০৭:১৪83770
  • সুমিত রায়ের সাথে এ ক ম ত।

    আমাদের এপারে পাহেড়ে শান্তিবাহিনীর গেরিলা গ্রুপকে সামরিক কায়দায় দমনের চেষ্টা বার বার ব্যর্থ হয়েছে। বিপুল জনসমর্থন নিয়েই পাহাড়িদের এই গ্রুপ ২৬ বছর সশস্ত্র সংগ্রাম চালিয়েছে।

    অবশেষে শাসকগোষ্ঠী বুঝেছে, পার্বত্যচট্টগ্রাম সমস্যা রাজনৈতিক, তাই এর সমাধানও রাজনৈতিক হতে হবে। অবশেষে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর শান্তিচুক্তির আওতায় শান্তিবাহিনী বিলুপ্ত হয়। পাহাড়িদের আঞ্চলিক সায়ত্ত্বশাসনের সীমিত স্বীকৃতি আসে। শান্তিচুক্তি এখনো পুরোপুরি বাস্তবায়িত না হওয়ায় নতুন করে আবার সংকট ঘনাচ্ছে পাহাড়ে! সে এক ভিন্ন প্রসংগ।

    কিন্তু বিচারহীন এইসব হত্যাকাণ্ডে জনগণকে খুব বেশীদিন বোকা বানানো যায় না, বিদ্রোহ দমন তো নয়ই, এটিই ইন্সার্জেন্সির ইতিহাস! আর দেশকে দিতে হয়, চরম মূল্য।

    প্রসংগক্রমে কবীর সুমনের একটি গান মনে পড়ছে:

    "বাবা পড়ে আছেন মর্গে,
    লাল মোহনের মেয়ের মাধ্যমিক,
    পরীক্ষা দিয়ে উচ্চশিক্ষিত কর গে,
    এনকাউন্টার হলো কী বাস্তবিক?"...

    https://ishare.rediff.com/video/news-and-politics/hand-over-lalmohan-tudu-s-body-says-kabir-suman/1259707
  • aranya | 83.160.123.238 (*) | ০৩ জুন ২০১৮ ০৭:৩৭83771
  • 'আলহাদে জওয়ানরা মারাঠি আর হিন্দিতে গানবাজনা করছিল, নাচছিল' -

    মাওবাদী-দের অ্যামবুশে, পেতে রাখা ল্যান্ড মাইন বিস্ফোরণে যখন জওয়ান-রা মারা যান, মাওবাদীরাও হয়ত একইভাবে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।

    সরকার বা কর্পোরেটের বিগ বস-দের গায়ে কখনো ই হাত পড়ে না।

    আজকের মাওবাদী-দের বা বহু আগে সাঁওতাল-দের হুল, বীরসা মুন্ডার উলগুলান - সব-ই বিদ্রোহী বনাম মাইনে করা সেনাবাহিনী, পুলিশ, প্যারা-মিলিটারীতে গিয়ে দাঁড়ায়। অথচ বিদ্রোহ তো তাদের বিরুদ্ধে ছিল না।

    ফল যা দাঁড়ায় - মাওবাদীদের হাতে এই সরকারী চাকুরেরা মারা গেলে দেশের বেশির ভাগ মানুষ ক্ষুব্ধ হন, মেইন স্ট্রীম মিডিয়া আর্টিকলে সেই
    ক্ষোভের প্রকাশ ঘটে। আর গুরুচন্ডালি বা সংহতি-র মত ফোরামে হয়ত মাওবাদীরা বেশি সহানুভূতি পান। আর্মির নিহত সৈনিক-দের ভাগ্যে জোটে সিয়াচেনে দাঁড়িয়ে থাকা জনিত কৌতুক
  • বিপ্লব রহমান | 113.231.161.74 (*) | ০৪ জুন ২০১৮ ০৩:০৮83772
  • অরণ্য,

    সেটাই কী স্বাভাবিক নয়? আর্মি-প্যারা মিলিটারিরাই দেশপ্রেমের একছত্র ইজারাদার তো নয়? বরং রণাঙ্গনে একেকজন বেতনভুক কিলিং মেশিন!
  • aranya | 3478.160.342312.238 (*) | ১০ জুন ২০১৮ ০৯:২৪83773
  • জানি না, আমার তো সবই কেমন অস্বাভাবিক লাগে। এই আর্মি, প্যারা মিলিটারি - সরকারী চাকুরে সব, সাধারণ ঘরের ছেলেমেয়েরাই আর্মিতে চাকরী নেয়। তাদের ট্রেনিং দিয়ে কিলিং মেশিনে পরিণত করা হয়, হুকুম দেওয়া হয় মাওবাদীদের সাথে লড়ার জন্য। তারা ক্রীড়নক মাত্র।

    করাপ্ট রাষ্ট্রনেতা, মন্ত্রী, পরিবেশ ধ্বংস করা বিগ কর্পোরেটের চালক-রা -তাদের গায়ে কখনো হাত পড়ে না।

    পশ্চিমবঙ্গে নকশাল আন্দোলন - মারা গেল শিক্ষক, ছোট ব্যবসায়ী, ট্রাফিক কনস্টেবল, পুলিশ আর কদিন আগেও বন্ধু, এখন শত্রু - অন্য পার্টির ছেলেমেয়েরা, সবাই নাকি শ্রেণীশত্রু। কী অপচয়..
  • aranya | 3478.160.342312.238 (*) | ১০ জুন ২০১৮ ০৯:২৫83774
  • 'আর্মি-প্যারা মিলিটারিরাই দেশপ্রেমের একছত্র ইজারাদার তো নয়?- ' এটা তো একশবার সত্যি। একমত।
  • Kaushik saha | 340112.87.90056.195 (*) | ১৬ জুন ২০১৮ ০৪:২৬83775
  • 1) শত্রুকে হত্যা করা যেকোন সৈনিকের কার্য বিবরণী (job description ) এর অপরিহার্য অংশ। অতএব সেনাবাহিনীর প্রশাসনিক ব্যবস্থা তাকে সেভাবে প্রশিক্ষিত করে এবং তাকে killing Machine এ পরিণত করে। যেকোন চাকরিরই কার্য বিবরণী থাকে এবং কর্মচারীকে তা অনুযায়ী প্রশিক্ষণ দেওয়া নিয়োগকর্তা কর্তব্য বলে গণ্য করা হয়। তাহলে killing Machine হবার জন্য নিন্দাবাদ অন্তত সৈনিকের প্রাপ্য নয় কেননা সে তার কার্য বিবরণী অনুযায়ী চাকরীর শর্ত পালন করছে মাত্র। তবে কি নিন্দা নিয়োগকর্তা বা প্রশাসনের প্রাপ্য? কিন্তু তারাও তো দেশের আইন মেনেই কাজ করছে। দেশের শাসন ব্যবস্থা সেনাবাহিনীর প্রয়োজন স্বীকার করেছে এবং সামরিক ও বেসামরিক প্রশাসন তা মেনেই সেনাবাহিনী চালনা করছে। তবে কি আমরা বলব দেশের শাসন ব্যবস্থায় সেনাবাহিনী ও সৈনিকের প্রয়োজন নেই? এমন কথা কি দেশের কোনো নাগরিক বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবে। যদি সেনাবাহিনী প্রয়োজনীয় হয় তবে সৈনিকের killing Machine হওয়া অপরিহার্য । নাহলে সেনাবাহিনীর অস্তিত্বের অর্থ থাকে না।
  • প্রতিভা | 340123.163.344523.223 (*) | ১৬ জুন ২০১৮ ০৯:৩০83776
  • আমার লেখাটা আর একবার পড়ার অনুরোধ রইল কৌশিক সাহা।
  • কৌশিক সাহা | 2345.111.90012.186 (*) | ১৮ জুন ২০১৮ ০৩:২১83777
  • মাননীয়া প্রতিভা,
    আপনার কথামতো আপনার প্রবন্ধটি আবার (এটি চতুর্থ বার) পড়লাম। আমি কিন্তু আপনার লেখার প্রসঙ্গে আমার মন্তব্য লিখিনি। লিখেছিলাম বিপ্লব রহমানের 4/June /18 8:30am এর মন্তব্যের উত্তরে। সেনাবাহিনী বা para militaryর সৈনিকদের সম্বন্ধে ওঁর দ্বারা নিন্দাত্মক অর্থে ব্যবহৃত killing Machine শব্দবন্ধটি আমার আপত্তিজনক মনে হয়েছে।
    বিপ্লবী ও সরকারি সৈনিকের সংঘর্ষ একরকম গৃহযুদ্ধ । যুদ্ধ যেহেতু killing ছাড়া করা অসম্ভব, তাই দু’পক্ষের যোদ্ধারাই killing এ অংশগ্রহণ করতে বাধ্য। এবং যেহেতু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই গৃহযুদ্ধ অঘোষিত যুদ্ধ, তাই যুদ্ধের নিয়মকানুন মানা হয়না এবং দু’পক্ষই বিরোধীপক্ষের প্রতি অত্যাচার অবিচার করে থাকে। তাই সরকারি সৈনিক বা para military জওয়ানদের দিকে বিশেষ ভাবে অঙ্গুলিনির্দেশ করে তাদের খলনায়ক প্রতিপন্ন করাকে আমি আপত্তিজনক মনে করে আমার মন্তব্য লিখেছি।
    নমস্কারান্তে
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে মতামত দিন