এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • PT | 561212.187.4545.212 (*) | ২২ এপ্রিল ২০১৯ ০৫:০০78149
  • পব থেকে তিনোদের সরিয়ে বিজেপির কি লাভ যদি না তারা নিজেরা ক্ষমতা দখল করতে পারে?

    RSS/বিজেপির "বামমুক্ত" ভারতের স্বপ্ন তিনোরা সফল করে তুলেছে। এ কোন গোপন আঁতাত নয়, গট আপ ও নয়-রাজনৈতিক প্রয়োজনীয়্তার সমাপতন মাত্র। বিজেপিকে ২০%-এর নীচে বেঁধে রাখতে পারলে তিনোদের কোনই সমস্যা নেই। বিজেপি ২৫%-এর ওপরে উঠলে-যেটার সম্ভাবনা এই ভোটে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না-তিনোদের সমস্যার শুরু।

    কিন্তু তিনোরা যখন অনশন মঞ্চে বিজেপির নেতাদের সঙ্গে মিটিন করছিল তখন তিনোর সমর্থনকারী বুজীরা (যারা এখন বিজেপি বিরোধী অবস্থান নিয়ে ঢপবাজী করছে) তখন কি করেছিল বা বলেছিল? তাদের অনেকেই শুধু নকশাল আন্দোলনের সময়ে খুনের নেশায় মাতেনি, পব-তে বিজেপিকে পথ করে দেওয়ার জন্যেও পরোক্ষে দায়ী।
  • sm | 2345.110.675612.14 (*) | ২২ এপ্রিল ২০১৯ ০৫:৪৩78150
  • পিটি,বামেদের বা কংগ্রেস এর কথা বাদ দিন।ওদের শক্তি পব তে এখন লালু -ভুলু।আপনি খালি সত্যি করে একটা প্রশ্নের উত্তর দিন।
    পব তে তিনো বা বিজেপি ;কোন দল কে ক্ষমতায় দেখতে চান?বা,আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে এই দুই দলের মধ্যে কোন দল বেশি সিট পেলে খুশি হবেন?
  • PT | 561212.187.4545.212 (*) | ২২ এপ্রিল ২০১৯ ০৬:০১78151
  • ভোগার জন্য ক্যান্সার আর এইড্স এর মধ্যে কোনটা বেশী পছন্দের এইজাতীয় প্রশ্নের কোন উত্তর হয়?
  • জরুরি প্রশ্ন | 0189.254.455612.105 (*) | ২২ এপ্রিল ২০১৯ ১০:২০78146
  • এটা খুবই জরুরি প্রশ্ন। এমনিতে সারা ভারত শুধু নয়, সারা পৃথিবীতেই দক্ষিণপন্থার বাড়বাড়ন্ত চলছে। ফলে সেটার দিকে একটা স্যুইং থাকবে - এটা আশ্চর্য নয়। বিশেষতঃ বাংলার মত সীমান্তবর্তী রাজ্য, যেখানে দেশভাগের, দাঙ্গার ক্ষত আছে, অনুপ্রবেশের ইস্যু আছে। ফলে বিজেপির উত্থান বিষয়টা ততটা অস্বাভাবিক লাগে না। যেটা খানিকটা অস্বাভাবিক লাগে, সেটা হল মূলতঃ সিপিএমের ভোটব্যাংক ধ্বসে বিজেপির দিকে গেছে বা যাচ্ছে - এই ঘটনাটা। অন্যদিকে তৃণমূল নিজের ভোটব্যাংক অনেকখানি ধরে রাখতে পেরেছে। এর দুটো কারণ শুনতে পাই - ১) তৃণমূল ক্ষমতাসীন দল, ফলে তাদের দিক থেকে নানারকম সুযোগসুবিধা দিয়ে অথবা ক্ষমতার ভয় দেখিয়ে একটা অংশকে ধরে রাখা সহজ। সেটা সিপিএমের পক্ষে এখন সম্ভব নয়, কারণ কোনো স্তরেই তাদের সেরকম ক্ষমতা অবশিষ্ট নেই। ২) তৃণমূল বিজেপির ধর্মীয় মেরুকরণকে আটকানোর জন্য নিজেরা একটা দূর অব্দি ধর্মের রাজনীতি করছে - যেমন হিন্দু সংহতিকে সঙ্গে নিয়ে চলা, বিজেপির পাল্টা নিজেরাই রামনবমী করা - ইত্যাদি। এটা দিয়ে তারা 'হিন্দুত্ব'কে নিজের দলের মধ্যেই একটা দূর অব্দি একোমোডেট করছে। আমার মনে হয় এই দুটোই বেশ কিছুটা সত্যি। আবার সিপিএম বিরোধী 'বাম' ক্যাম্প থেকে যেমন বলা হয় যে সিপিএমের রাজনীতির দিশাহীনতা, ধারাবাহিক আন্দোলনের ওপর জোর না দিয়ে মূলত ওপর ওপর জোট ইত্যাদি করে ক্ষমতা ফেরৎ পাওয়ার একাধিক প্রচেষ্টা এবং সেগুলো সম্পূর্ণ ব্যাকফায়ার করা, বাংলার খেটে খাওয়া সাধারণ লোকজনের মধ্যে সিপিএমের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ার কোনো লক্ষণ না থাকায় কর্মী/সমর্থকদের একাংশের মধ্যে হতাশা - এসব কারণে লয়াল 'বাম' ভোটারদের একটা বড় অংশ তৃণমূলকে শায়েস্তা করতে বিজেপির দিকে ঝুঁকছে। কারণ দৈনন্দিন জীবনে তারা ক্ষমতাসীন এবং অত্যাচারী পার্টি হিসেবে তৃণমূলকে দেখছে এবং বামেদের দিয়ে তাদের শায়েস্তা করা যাবে বলে মনে করছে না। মনে হয় এগুলো সবই মিলেমিশে আছে। নকশালপন্থার ব্যার্থতা বা সিপিএমের অপশাসনের কারণে স্বপ্নভঙ্গ - এটা কারণ হিসেবে থাকতে পারে হয়ত। কিন্তু সিপিএমের ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়াও কমদিন হল না। নকশালপন্থা তো নতুন প্রজন্মের কাছে গল্পকথাই। কাজেই সেগুলো মূল কারণ কিনা আমার ব্যক্তিগতভাবে সংশয় আছে।
  • কল্লোল | 1267.12.0178.162 (*) | ২২ এপ্রিল ২০১৯ ১১:৫২78147
  • এব্যাপারে নকশালদের নিয়ে কথা বলার মানে হয় না। ১৯৬৭ থেকে ১৯৭০, টেনেটুনে এই তিন বছর তারা পবর রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক ছিলো। তারপর ক্রমাগত প্রান্তিক হতে হতে এখন হাওয়ায় ভেসে থাকা শিমুল তুলো। মাওবাদীরা কিছুকাল পশ্চিম মেদিনীপুরে নানাবিধ কার্যকলাপ চালিয়েছে, কিন্তু এখন নিশ্চিহ্ন।
    বামেরা নিজেদের তৃণমূলের বিরোধী হিসাবে প্রাসঙ্গিক করে উঠতে পারেনি। ২০১১তে হেরে যাবার পর কিছু কিছু নেতা "জিনা হারাম" করে দেবার কথা বলেছিলেন বটে, তবে তা নেহাৎ ফাঁকা আওয়াজ। অন্যদিকে বিজেপি মমতাকে মমতা স্টাইলেই বিরোধীতা করে চলেছে। তৃণমূল বিরোধী মানুষের কাছে তারাই প্রকৃত বিরোধী। ভোট তো বাড়বেই।
    বামেরা প্রায়শঃই বলে থাকেন ওসব "গট-আপ"। তৃণমূল নাকি বিজেপির সাথে "গোপন" জোট করেছে। এই গোপন জোটের গোপন অ্যাজেন্ডা পবতে ক্ষমতায় মমতা থাকবে, কিন্তু বিজেপি ক্রমশঃ প্রধান বিরোধী হয়ে উঠবে। সবটাই দিদি-মোদীর খেলা - এখানে অন্যরা শুধু গান গাইবেন - আমি চেয়ে চেয়ে দেখি সারাদিন।
  • কল্লোল | 1267.12.0178.162 (*) | ২২ এপ্রিল ২০১৯ ১২:০৪78148
  • তবে হ্যাঁ, পবর এই অনর্থক রাজনৈতিক হিংসার জন্ম দিয়েছে নকশালেরা। তার আগে হেবো, নেবো, গালকাটা, হাতকাটারা সব দলেই ছিলো, নেতাদের নিয়ন্ত্রনে। নকশালেরা এদের "লুম্পেন প্রলেতারিয়েৎ" বলে মাথায় চড়ায় এবং নিজেদের এদের পর্যায়ে নামিয়ে আনে। শ্রেণী শত্রুর রক্তে হাত না রাঙ্গালে সে কমিউনিস্ট নয় - এমন ফতোয়া বাঙ্গলী শিক্ষিত মধ্যবিত্তকে বিরোধী রাজনৈতিক কর্মী খুনের মান্যতা দেয়। এবার হেবো, নেবো, গালকাটা, হাতকাটারারা নয়, মানস, তমাল, কল্লোল, তন্ময়রা খুনের নেশায় মাতে। অনেকে বলবে এর পিছনে তো আদর্শ কাজ করেছে। আমি তো মনে করি তৃণমূলের বা বিজেপিরও আদর্শ আছে, তা সে যতোই হাস্যকর বা ফ্যাসিস্ট হোক না কেন।
    তাই........
  • ? | 568912.220.120112.22 (*) | ২৩ এপ্রিল ২০১৯ ০৬:৩১78152
  • "৭২ সালের ভোট বাদ দিলে এই রাজ্যে নির্বাচনী হিংসা শুরু হয়েছে ১৯৯০ সাল থেকে। গায়ের জোরে ভোট করা। ৫০ হাজারে জেতার সম্ভাবনা থাকলে সেটাকে চুরি করে আড়াই লাখে নিয়ে যাওয়া। বুথ দখল, ভয় দেখানো, সাংবাদিক পেটানো, সব কিছুর শুরু ওই সময়ে।"

    ৯০ তে কে ক্ষমতায় ছিল?
  • pi | 7845.29.450123.210 (*) | ২৮ এপ্রিল ২০১৯ ০১:৩৪78153
  • এই ৫০ হাজারকে আড়াই লাখে নিয়ে গিয়ে লাভটা কী হয়? একটা সিট তো আর দুটো সিট হয়ে যায়না!!

    যেগুলোতে জয় নিশ্চিত, সেগুলতেও এই ব্যাপক হিংসা কেন, এর পিছনে সাইকোলজিটা কী?
  • এলেবেলে | 230123.142.1278.247 (*) | ২৮ এপ্রিল ২০১৯ ০৫:৩৩78154
  • আপাতত ব্যস্ত ভোটগ্রহণের কাজে। আপনারা সিপিএম-এর গ্রাসরুটের আওয়াজ শুনতে পান কি? সিপিএমের বর্তমান স্টান্স যে কোনও মূল্যে দিদিকে হটানো। তাদের সে মুরোদ আপাতত নেই। তাই নিজের নাক কেটে পরের যাত্রাভঙ্গ করতে সিপিএমের নীচুতলা চুপচাপ পদ্মফুলে ছাপ দিচ্ছে এবার। ২০২১এ তারা রাজ্যে বিজেপিকে চায়। তারা জানে লোকসভায় বিজেপি গোটা ১৪ আসন পেলে তিনোর নেতারা মুখিয়ে থাকবে বিজেপিতে যাওয়ার জন্য। তারা ঝাঁপাচ্ছে ২০২৬ এর বিধানসভার জন্য। শুনতে খুব দুইএ -দুইএ চার মনে হতে পারে। পিটির তো হবেই। কিন্তু কথাটা মাথায় রাখুন। গত পঞ্চায়েতে গণনার কাজে ব্যস্ত থাকার সময় এ ফর্মুলা আমি একাধিক বাম কর্মী সমর্থকের মুখে শুনেছি।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন