এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • গান্ধী-জিন্না -- বাঙালের চোখে

    Ranjan Roy লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৪ জানুয়ারি ২০১৪ | ১০৬৪ বার পঠিত
  • গান্ধী–জিন্না–যুদ্ধ–মন্বন্তর: এক বাঙালের স্মূতি

    (১)

    জানুযারি মাস এলেই ছোটকার মন খারাপ।
    কত করে বোঝাই– বাঙালীদের কাছে জানুয়ারি মাস হল হৈহৈ মাস। নতুন বছর, মিউজিক কনফারেন্স, নলেনগুড়, পিঠেপায়েস, নাট্যমেলা, পৌষমেলা, বইমেলা, হ্যানোমেলা, ত্যানোমেলা চিড়িয়াখানা, জাদুঘর, গঙ্গাসাগর,পিয়ালি, মাতলা, খেয়ালি, বকখালি, হাঁসখালি, ধনেখালি,পিকনিক, পিকনিক।
    আবার বাচ্চাদের জন্যে তিন–তিনটে প্রভাতফেরী! স্বামী বিবেকানন্দ, নেতাজি আর রিপাবলিক ডে।
    এই সময় প্যাচপেচে ঘেমো কোলকাতাকে চেনাই যায় না। লন্ডন হয় নি বটে, কিন্তু পথেঘাটে টুনিরা টুনির মার হাত ধরে হাসিমুখে ঘুরে বেড়াচ্ছে দেখলে মনটা বেশ হলিউড–জলিগুড হয়ে যায়।সাধে কি শ্রীভগবান গীতায় বলেছেন–– মাসানাং মার্গশীর্ষোহং!
    কিন্তু ভবি ভোলে না। ছোটকার ব্যাজার মুখে হাসি ফোটে না। বরং গোঁজ হয়ে আদা–চায়ে চুমুক দিয়ে বলে–– জানুয়ারি মাসের এতসব সাতকাহন মনে রেখেছিস আর আসল তারিখটাই ভুলে মেরে দিলি?
    –আসল তারিখ?
    –হ্যাঁ, ৩০শে জানুয়ারি? গান্ধীহত্যার দিন?
    –ও:, সে তো কবেকার কথা! সেটা নিয়ে– –।
    –কবেকার কথা, চুকেবুকে গেছে, তাই না? তোদের জন্যেই এবার নরেন্দ্র মোদির মত লোক দেশের প্রধানমন্ত্রী হবে।
    বেগতিক দেখে কথা ঘোরাই।
    –আচ্ছা, তোমার সব মনে আছে? তুমি তখন কত বড়? কোথায় ছিলে?
    –মনে নেই আবার! আমার বয়স তখন দশবছর। ময়মনসিংহের বাজিতপুর শহরে ক্লাস ফাইভে পড়ি। তখন ঘরে ঘরে রেডিও ছিল না। গোটা উকিলপাড়ায় দুটো মাত্র মিডিয়াম ওয়েভ সেট।খবরের কাগজ ছিল।তবু লোকের মুখে মুখে খবর ছড়িয়ে পড়ত।আর সমসাময়িক ঘটনা নিয়ে লোককবির দল গান বাঁধতো।‘ময়মনসিংহ গীতিকা’ হঠাৎ গড়ে ওঠেনি।
    –তা গান্ধীহত্যা নিয়েও গান বাঁধা হয়েছিল?
    –শোন তা’লে! আমার দাদামণি কোত্থেকে গলায় তুলে এনেছিল; পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে ঘুরে গাইত:
    ‘ত্রিশে জানুয়ারি শুক্রবার প্রার্থনাসভায়,
    মহাত্মারে হত্যা করে মারাঠি গুন্ডায়।
    (গুন্ডা) বোম্বাই হইতে বিমানেতে দিল্লিতে আসিয়া,
    মহাত্মারে হত্যা করে হঠা্ৎ ক্ষিপ্ত হইয়া।
    (গুন্ডা) কোথায় পাইল বোমা–বারুদ, কোথায় পাইল গুলি?
    হত্যার পিছনে কারা জোগাইয়াছে তালি!’
    –সেজকা’ মুসলমান পাড়াতেও গাইত? নাকি খালি হিন্দুপাড়ায়?
    –ধ্যেৎ, তোরা সেই সময়টাকে কিছুই বুঝিস নি, খালি রামচন্দ্র গুহ পড়লে হবে? সব পাড়াতেই যেত। মুসলমান পাড়ায় কেউ ওর খালা, কেউ ফুফি এমনি সব।মুসলমানদের অনেকে হিন্দুদের থেকে বেশি দু:খ পেয়েছিল।
    –বুঝেছি, বুঝেছি।ঠিক যেমন লেনিনের স্ট্যাচু টেনে নামানোয় অনেক রুশীদের থেকে তুমি দু:খ পেয়েছিলে!
    –আবার শুরু করলি? তাহলে থাক গে! মনে হচ্ছে ফ্রান্সিস ফুকুয়ামা ঠিকই বলেছিল–– তোদের চোখে ইতিহাস শেষ হয়ে গেছে।
    –আরে রেগে যাচ্ছ কেন? রামগড়ুরের ছানা না হলে বুঝি ইতিহাসচর্চা করা যায় না!
    –আমাদের একজন মাস্টারমশায় ছিলেন। বেশ লম্বা ঊর্দূ নাম।চোখে চশমা, থুতনিতে সামান্য কালো দাড়ি, পরনে পাজামা–হাফহাতা শার্ট।প্রতিমাসে একবার করে কোলকাতায় যেতেন। নতুন পত্র–পত্রিকা, সাময়িক পত্র পেলে কিনে আনতেন, কিছু স্কুল লাইব্রেরিতে দিতেন। তিনি মাথা চাপড়ে বললেন– মুনাফিরের জাত! গান্ধীর মত লোকটারে মাইরা ফালাইল!
    –তারপর?
    –তারপর উনি হেডমাস্টারমশায়কে বলে স্কুল ছুটি করি্য়ে একটা মিছিল বার করলেন, ছাত্রদের নিয়ে।
    –কি যে বল? গান্ধী মারা গেলেন ১৯৪৮শের ৩০শে জানুয়ারি। তার মাত্র সাড়ে পাঁচমাস আগে ভারত–পাকিস্তান তৈরি হয়ে গেছে। শত্রুদেশের নেতার জন্যে শোকপালন? স্কুল ছুটি? বুকের পাটা আছে বলতে হবে।
    –কিন্তু হয়েছিল তো! তখন অত কিছু মনে হয় নি। আমার মনে আছে এ জন্যে যে উনি আমাকে মিছিলের আগে দাঁড় করিয়ে হাতে পতাকা ধরিয়ে দিয়েছিলেন।
    –তোমাকেই কেন? আমার বাবা স্কুলের সিনিয়র মাস্টারমশাই, আর বয়স আন্দাজে একটু ভুঁড়ি ছিল, তাতে পতাকার লাঠির খুঁট বেল্টের ফাঁকে গুঁজে রাখতে সুবিধা হত।
    –শ্লোগান কী দিয়েছিলে?
    –শোক মিছিল, মৌনমিছিল।অর্ধনমিত পতাকা।

    আমার মাথায় টিউবলাইট জ্বলে।
    –গান্ধিবন্দনা তো শুনলাম। কিন্তু তার আগে তো অন্যরকম গল্পও শুনেছি।
    –কী রকম?
    –দেশভাগের অল্প আগে এক মৌলবিসাহেব আঠারবাড়িয়া গাঁয়ে বক্তূতা করছিলেন–– ভাইসব! আপনেরা কইলকাতায় গেলে হিন্দুদের আসল চেহারা দ্যাখবেন। আমি দেইখ্যা আইছি। সেখানে রোজ মিছিল বাইর হয়।একজন কিছু একটা কয়,আর বাকি সবাই হাত তুইল্যা তুইল্যা কয়– জিন্না বাদ! জিন্না–বাদ! আমরা কি কখনও কই গান্ধী–বাদ! নেহেরু–বাদ?
    –ছাড় যত বাজে চুটকি! হ্যাঁ, জিন্নাকে নিয়ে ওরা একটা স্বপ্ন দেখেছিল বটে!
    –জানি, জানি। মার মুখে শুনেছি–– কায়েদে আজম, কায়েদে আজম! তুমিই মোদের প্রাণ,
    তোমায় নিয়ে গড়ব মোরা সোনার পাকিস্তান।
    –দশচক্রে ভগবান ভূত হয়। দিল্লিতে কেজরিওয়াল ঘরের দরজায় জনতা দরবার বন্ধ করে নেটে কমপ্লেন শুনতে বাধ্য হয়। জিন্নাও লন্ডনে ছাত্রাবস্থায় আলাদা পাকিস্তানের বিরোধিতা করেছিল। আড়বানী খুব ভুল বলেনি, মানে জিন্নাকে নিয়ে যা বলেছিল আর কি।
    –তা বেশ! কিন্তু যখন গান্ধীহত্যার সাত মাস পরে টিবিতে ভূগতে থাকা অসুস্থ জিন্না মারা গেলেন তখন তুমি তো সেই পূর্ব পাকিস্তানে, মানে ময়মনসিংহের বাজিতপুরে। তো জিন্নাকে নিয়ে লোককবিদের গানটান শোন নি? সেজকা মুসলমান পাড়ায় গায় নি?
    –গেয়েছে, দারুণ ভিড়। দলে দালে লোকজন ঘর থেকে বেরিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ত।
    ‘বুক ফেটে যায় প্রাণ সহেনা জিন্নার মরণে,
    ফাতিমা জিন্না কানতে আছে ভাইয়ের কারণে।
    কায়েদে আজমের কথা, কত বা কহিব হেথা,
    বিনা –বেতনে সংগ্রাম করলেন বূটিশের সনে’।
    আহা, বুক ফেটে যায় প্রাণ সহেনা জিন্নার মরণে’।

    –হেব্বি দিয়েছে তো! বিশেষ করে ওই লাইনটা ব্যাপক, ‘বিনা –বেতনে সংগ্রাম করলেন বূটিশের সনে’। আজকাল যে সংসদে প্রশ্ন করতে টাকা নেয় তার বীজ কি অনেক আগেই পোঁতা হয়েছিল?
    যাই বল,জিন্না কিন্তু বোনের সঙ্গে ভাল করলেন না। নিজে পার্শি বন্ধুর মেয়েকে বিয়ে করলেন, কিন্তু ফতিমাকে হিন্দু বিয়ে করতে দিলেন না।
    –তখন যে উনি মুসলিম লিগের একচ্ছত্র নেতা, ক্ষমতায়নের রাজনীতি বিষমবস্তু।কিন্তু ফাতিমা সত্যি জিন্নার জন্যে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। মারা গেলে যে শের লিখেছিলেন সেটা শোন:

    ‘ কল তক তো কহতে থে– বিস্তরা সে উঠা নহী জাতী,
    আজ দুনিয়া সে চলে জানে কী তাগদ কহাঁ সে আয়ী?’

    (কাল বলেছিলে–দাঁড়াতে পারিনে, মাথা ঘোরে, পা ও টলে,
    আজ চলে গেলে এ দুনিয়া ছেড়ে, শক্তি কোথায় পেলে?)
    –বেশ, গান্ধীজিন্না শুনলাম। কিন্তু বিশ্বযুদ্ধের আঁচ? মন্বন্তরের ছোঁয়া, সেসব পাওনি?
    –পাইনি আবার! সেগুলো কাল শোনাব, বকবক করে গলা শুকিয়ে গেছে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৪ জানুয়ারি ২০১৪ | ১০৬৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • I | 24.99.213.148 (*) | ১৬ জানুয়ারি ২০১৪ ০২:৫১74285
  • আর কোথায়? শেরটা ব্যাপক লাগল।
  • + | 213.110.243.22 (*) | ১৬ জানুয়ারি ২০১৪ ০৫:০৯74286
  • লেখাটার নাম বাংলা হবেনা? পড়লাম
  • Ranjan Roy | 24.99.165.224 (*) | ১৭ জানুয়ারি ২০১৪ ০১:৩৬74287
  • +,
    বাংলা হবে না,বাঙালেরই হবে, আমারই লিখতে গিয়ে একটা a কম হয়ে গেছে।ঃ(((
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.212.20 (*) | ২৪ জানুয়ারি ২০১৪ ০৭:২৩74288
  • এইবার বুঝতে পারি 'হাত মে বিড়ি, মু মে পান, লড়কে লেঙ্গে পাকিস্তান' ইত্যাদি শ্লোগান মুর্খ মোল্লারা কোন খাব্নামায় দিয়েছিল!

    চলুক।
  • nina | 22.149.39.84 (*) | ২৪ জানুয়ারি ২০১৪ ০৯:০৭74289
  • রঞ্জনভাউ , ভাল লাগছে পড়তে--চলুক চলুক---
  • Pubদা | 202.193.171.158 (*) | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০৯:৩২74290
  • প্রথম কবিতা-গানগুলো ঠাকুমা জেঠুদের কাছে শুনেছিলাম ।
    তবে শেষ শায়েরী টা জবরদস্ত :)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত প্রতিক্রিয়া দিন