এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • ইসকুলের সমস্যা এবং একটি অপদার্থের প্রয়াস...

    Rana Alam লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৮ এপ্রিল ২০১৪ | ১০৬৯ বার পঠিত
  • বর্তমানে ৬ কোটির বেশি শিশু শ্রমিক ভারতে কৃষি,শিল্প আর বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে কাজ করে যাচ্ছে।প্রতি তিনটি শিশু শ্রমিকের মধ্যে দুটি শিশু শ্রমিক শারীরিক নিগ্রহের শিকার হয়।পঞ্চাশ শতাংশের বেশী শিশু যৌন হেনস্থার শিকার হয়।The Child Labor Act of 1986 নামের একটা ভাঁটের আইন আছে বটে,তবে তা নেহাতই কাগজে কলমে।

    চাইল্ড লেবার বা শিশু শ্রমিক নিয়ে পাতার পর পাতা বকে যাওয়া যায়,তবে তা শীততাপ নিয়ন্ত্রিত সেমিনার কক্ষে পারফিউম চর্চিত লোকেরা যথেষ্ট করে থাকেন।তাদের দলে ভিড়তে গেলে অমুক কমিটি বা তমুক আকাদেমি’র একখানা শাঁসালো বিশ কি ত্রিশ হাজারি মনসবদারি থাকা দরকার।যারা এখনও সময় বুঝে রঙ পাল্টাতে পারেনি,আমি এখনও সেই অপদার্থদের দলেই পড়ি।সুতরাং,সে বৃথা চেষ্টায় না গিয়ে আসল কথায় আসি।

    শিক্ষার অধিকার আইনে চৌদ্দ বছর অব্দি শিক্ষাদান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।শিক্ষা এখন মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে।কিন্তু আইন করেই কি সমস্ত শিশুকে শিক্ষার আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে ?আর শিক্ষার আওতায় এনে কি আদৌ কোনো লাভ হয়েছে?কারণ,যদি লাভ হত,তাহলে প্রতিদিন শিশু শ্রমিকদের সংখ্যা বাড়ছে ক্যানো ?

    একটু স্কুলের কথায় আসি।ক্লাস এইট অব্দি পাস-ফেল নেই।বাচ্চাদের গায়ে হাত তোলা বা কোনোরকম মারধোর আইনত দন্ডনীয় ঘোষণা করা হয়েছে।পাস-ফেল তুলে কি ঘোড়ার ডিম লাভ হয়েছে তা ঠান্ডা ঘরের শিক্ষাবিদরাই বলতে পারবেন,তবে মারধোর বন্ধ করার আইনটা আরও দেড় দশক আগে চালু হলে আমার মত অনেকেরই পিঠে এত বেত্রাঘাতের দাগ থাকতো না।আরেকটা কথা বলে রাখি,আমার আলোচনা মূলত গ্রাম আর প্রান্তিক এলাকার স্কুলগুলোকে নিয়ে।কারণ,বেশীরভাগ শিশু শ্রমিক এসব এলাকা থেকেই উঠে আসে।

    প্রান্তিক এলাকার স্কুলগুলোতে যারা পড়ে,তাদের বাবা-মা মূলত শ্রমজীবি সম্প্রদায়ের।কারণ,যাদের পয়সা আছে,তারা তাদের ছেলে মেয়েদের মূলত বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পাঠান।সরকারি স্কুলে পড়াশোনা হয়না,এই গোছের একটা ধারণার জন্ম হয়েছে।এবং এই অপবাদের সমস্ত দায় আমাদের শিক্ষক কুলের।আরও মজার কথা,যারা ঘটনা চক্রে সরকারি বা সরকার পোষিত স্কুলের শিক্ষক,তারাও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নিজেদের ছেলে মেয়েকে সরকারি স্কুলে পাঠান না।অতএব,এই সরকারি বা সরকার পোষিত স্কুলগুলোর শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে খোদ সেখানকার শিক্ষকেরাই কি ধারণা পোষণ করেন,তা সহজেই অনুমেয়।
    এতক্ষণ এই একটা পয়েন্ট নিয়ে বকে গেলাম শুধু এটা বোঝাতে যে এখনকার প্রান্তিক এলাকার বেশিরভাগ সরকারি এবং সরকার পোষিত স্কুলগুলোতে শিক্ষাদান এবং পরিকাঠামোর মান সন্তোষজনক নয়।

    ক্লাস এইট অব্দি পাস-ফেল তুলে দেওয়াতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ছেলে মেয়ে গুলোকে এক প্রকার জোর করেই পাশ করানো হয়।ক্লাস এইটে পড়ছে অথচ ইংরেজিতে বাক্য লেখা দূরের কথা নিজের নামটাই লিখতে পারেনা,এরকম উদাহরণ প্রচুর মিলবে।মাথায় রাখুন,যে এরা কিন্তু এইট পাশ করার সঙ্গে সঙ্গে ‘প্রথাগত সাক্ষর’ এর তকমা পেয়ে গেল,অথচ ব্যাঙ্কে টাকা জমা দেওয়ার স্লিপ লেখা থেকে শুরু করে ওবিসি কার্ড করা অব্দি,প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে এদের অপরের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হয়।তাহলে অযথা এই পাস করানোর খেলা খেলে কি লাভ ?দেশে আর নিরক্ষর নেই এই ফাঁপা প্রচারে ভন্ড রাজনৈতিক দলগুলোর সুবিধে হতে পারে,তাতে দেশটার কোনো উন্নতি হয় না।

    এই জোর করে পাশ করায় ক্যানো স্কুলগুলো,তার উত্তর নিজের মত করে খোঁজার চেষ্টা করছি।ভুল হলে ধরিয়ে দেবেন।প্রথমে অ্যাকাডেমিক সমস্যা গুলো দেখি।

    প্রায় সব স্কুলেই পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই। স্ট্যান্ডার্ড ছাত্র শিক্ষক অনুপাত মানা সম্ভব হচ্ছেনা।একজন শিক্ষককে যদি সাকুল্যে ৪৫ মিনিটের ক্লাসে কম করেও ৬০ জনকে সামলাতে হয়,তাহলে সবার প্রতি সমান মনোযোগ দেওয়া সম্ভব নয়।
    মূল সমস্যা কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষাতেই রয়ে যাচ্ছে।সেকেন্ডারি আর হায়ার সেকেন্ডারি’র মত প্রাথমিকেও পর্যাপ্ত শিক্ষকের অভাব।তার উপরে প্রাথমিকের শিক্ষকদের অনেককেই সারা বছরই কোনো না কোনো সরকারী কাজে নিযুক্ত করে রাখা হয়,এতে স্কুলগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

    প্রাথমিকে যারা এবিসিডি শিখলো না,তারা বড় স্কুলে এসে ক্লাস ফাইভে পার্টস অফ স্পিচ এক ধাক্কায় শিখে ফেলবে,এটা ভাবাটা বোকামি।ধরা যাক,আমার স্কুলের কথা।ক্লাস ফাইভে একটি সেকশনে ১০২ জন ছাত্র ছাত্রী। মোটের উপর চল্লিশ জন এ থেকে জেড অব্দি ঠিকঠাক লিখতে পারে।এবার পর্ষদ নির্ধারিত পাঠক্রম অনুসারে পড়ালে উপকৃত হবে ওই মেরে কেটে চল্লিশ জন।বাকি ৬২ জনের কি হবে?রেমেডিয়াল ক্লাস নামের যেসব টোটকার কথা বলা হয়,তা অণুসরণ করতে গেলে পর্যাপ্ত শিক্ষক ছাড়াও আরো কিছু যান্ত্রিক পরিকাঠামো দরকার।ধরা যাক,এই বাকি ৬২ জনের মধ্যে বাড়তি সময় দিয়ে আরো কুড়ি জনকে মূল সারিতে আনা গেল।বাকি ৪২ জন কিন্তু পিছিয়েই থেকে গেল।

    আরেকটা সমস্যা হল পাঠ্যক্রম।পর্ষদ প্রান্তিক এলাকার মানুষ জনেদের কথা ভেবে পাঠ্যক্রম তৈরী করে,এমন অপবাদ বোধহয় কেউ দেবেনা।বাঘা নামের প্রত্যন্ত গ্রামের সুমন মাঝি’কে(যার বাড়িতে টিভি দূর অস্ত এখনও ইলেকট্রিক আর শৌচাগারই নেই),ইন্দিরা গান্ধী কে ছিলেন আর তাকে তার বাবা,জহরলাল নেহরু ক্যানোই বা চিঠি লিখতেন,তা বোঝাতে গেলে অসুবিধে হওয়াটা স্বাভাবিক।

    আচ্ছা,টেডি বিয়ার সিলেবাসে আসে,কিন্তু ঘেঁটুফুল ক্যানো আসেনা?

    ব্যক্তি অভিজ্ঞতায় আরেকটা পয়েন্ট তুলছি।প্রান্তিক এলাকার স্কুলগুলোতে যারা পড়ান,তারা সবাই আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল মধ্যবিত্তশ্রেণি’র।এই শিক্ষকদের একাংশ,প্রান্তিক এলাকার ছেলে মেয়েদের খুব হেয় করে থাকেন।এটা আমার নিজের চোখে দেখা।এদের ভাবখানা এরকম থাকে যে এদের(প্রান্তিক এলাকার ছেলে মেয়েদের) কি আর লেখা পড়া হয়।সেই মানসিকতা নিয়েই এরা ক্লাসে যান আর নির্ধারিত ৪০-৪৫ মিনিট কোনোরকমে কাটিয়ে চলে আসেন।এদের অবজ্ঞামূলক আচরণে ছেলে মেয়েরা প্রথমেই গুটিয়ে যায় আর পড়াশোনায় আগ্রহ হারিয়ে ফ্যালে।
    এর সাথে একথাটাও বলে রাখা দরকার যে এই স্নব মেন্টালিটির শিক্ষকদের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি কিছু প্রণম্য শিক্ষক অবশ্যই আছেন,প্রাথমিক থেকে উচ্চস্তর অব্দি যাদের নিরলস প্রয়াসে প্রান্তিক এলাকায় শিক্ষার ধারা বজায় আছে।এই মাস্টার মশাইদের প্রতি প্রণাম রইল।

    সর্বশিক্ষা অভিযানের অ্যাকাডেমিক গলদ তো এগুলো।এবার সামাজিক সমস্যায় আসি।
    শুধু শিক্ষাদান করলেই তো হবেনা,সে শিক্ষাকে কর্ম সংস্থানের উপযোগী করে তুলতে হবে।বর্তমান পরিকাঠামোতে এই প্রশ্নটা বড্ড অবহেলিত হয়ে থেকেছে।
    আমার স্কুল যেখানে সেই ওমরপুরে একটা প্লাস্টিকের কারখানায় খেটে একটা দশ-বারো বছরের বাচ্চা দিনে দেড়শ টাকা পায়,তাহলে সে স্কুলে আসবে ক্যানো? কারণ,তার পরিবারের কাছে দিনান্তে ওই দেড়শ টাকার মূল্য অনেক।আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় কর্ম সংস্থান টা নিশ্চিত নয়।সুতরাং,সেখানে পাঠানোটা প্রকারান্তে সময় নষ্ট।

    প্রান্তিক এলাকাতে শ্রমজীবি বাড়িতে ছেলেরা খাটার উপযোগী হলেই তাদের রোডে,গ্যারেজে,নির্মাণ শিল্পে নয়ত কারখানায় খাটতে পাঠানো হয়।ফলে স্কুলে তাদের উপস্থিতি অনেক কম হয়।তুলনায় মেয়েরা একটু বেশি স্কুলে আসে।তারা বাড়িতে বিড়ি বাঁধে কোনোরকম প্রোটেকশন ছাড়াই আর তেরো-চৌদ্দ বছরেই বিয়ের আসরে বিক্রি হয়।
    আমার স্কুলের ক্লাস সেভেনের সুজন সেখ,তার বাবা তাদের দ্যাখেনা।সুজন বাধ্য হয়ে স্কুল ছেড়ে রাজমিস্ত্রির যোগানদার।দক্ষিণ ভারতে খাটতে যায়।মাসে সাত থেকে আট হাজার টাকা পায়।সেই টাকায় সংসার চলে।আমাদের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থা এর কি উপকার টা করবে ?

    অর্থনৈতিক সমস্যা খুব বড় সমস্যা।প্রান্তিক এলাকায় চাকরির সুবাদে দেখছি প্রান্তিক মানুষজন বিভিন্ন সরকারি সূযোগ সুবিধে থেকে বঞ্চিত।আধা সামন্ততান্ত্রিক ভাঁটের গণতন্ত্রে দূর্নীতিবাজ নেতারা জন প্রতিনিধিত্বে আসীন হয়ে নিজের আখের গোছান আর গ্রামের রাস্তার জন্য বরাদ্দ পাঁচ লাখ টাকার তিন লাখ টাকা মেরে দিয়ে কোনোরকমে একটা রাস্তা তৈরী করে ঘোষণা করেন যে তিনিই হাফ ভগবান।

    শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য কিন্তু প্রান্তিক মানুষ জনেদের হাতে ক্ষমতা তুলে দেওয়া।সেই উদ্দেশ্য চরম ব্যর্থ।সরকারি পরিসংখ্যানে শিক্ষিতের হার যাই হোক না ক্যানো,আদতে ফাংশনাল লিটারেসি বা কার্যকরী সাক্ষরতার হার অনেক কম।আর এটাই মূল সমস্যা।
    বিভিন্ন সরকারী অফিসে ‘বাবু’রা এই প্রান্তিক এলাকার মানুষদের সাথে অত্যন্ত বাজে ব্যবহার করেন।কারণ যথার্থ শিক্ষার অভাবে এরা যেকোনো অফিসিয়াল কাজে অন্যের মুখাপেক্ষী হতে বাধ্য হোন।আর সর্বশিক্ষা অভিযানের নামে প্রতিবছর যে বিশাল সংখ্যক ছাত্র ছাত্রীকে ‘এলিমেন্টারি এডুকেশনে সাক্ষর বলে ধরা হচ্ছে,তারাও যে আদতে নিরক্ষরের সম পর্যায়ের, এই সত্যটা সরকার বাহাদুর জেনেও মিথ্যে প্রচারে বাহবা কুড়োচ্ছেন।

    প্রান্তিক এলাকায় ছেলে মেয়েদের ড্রপ আউটের(যে স্কুল ছেড়ে দিয়েছে তাকেই ড্রপ আউট বলা হয়) সংখ্যা দিন কে দিন বাড়ছে।অথচ সরকারী পরিসংখ্যানে এ তথ্য আসেনা।ক্যানো আসেনা,তারও কারণ রয়েছে।সরকারী পর্যায়ে স্কুলগুলোকে এখন সোসাল ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টার গোছের করা হয়েছে।স্কুলের মাধ্যমে ছাত্র ছাত্রীদের হাতে এখন বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আসে।যেমন ড্রেসের টাকা,বই এর টাকা ইত্যাদি।প্রান্তিক এলাকার অভাবী মানুষজন যা করেন তা হল তাদের ছেলে-মেয়ের নাম স্কুলের খাতায় লিখিয়ে দেন।কিন্তু ওই টাকা আনতে যাওয়ার সময় ছাড়া তারা আর স্কুলে প্রায় আসেনা বললেই চলে।বাইরে খাটতে যায়।সর্বশিক্ষার কল্যাণে পরীক্ষার খাতায় কিছু না লিখেও পরের ক্লাসে ওঠা যায়।সুতরং ক্লাস এইট অব্দি এই ধারা চলতেই থাকে।আমরা,মাস্টার মশাইরাও সব সময় জোর করতে পারিনা,কারণ এদের অর্থনৈতিক অবস্থা অনেক সময় এতটাই খারাপ হয় যে ওই ছেলেটির রোজগারেই বাড়ি চলে হয়ত।সেক্ষেত্রে সব বুঝেও চুপ থাকতে হয়।এর সাথে স্থানীয় রাজনৈতিক প্রেসার তো আছেই।

    সরকারী ক্ষেত্রে,নিজস্ব অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি,অধিকাংশ সময় ড্রপ আউটের সংখ্যা শূন্য দেখানো হয়।কারণ,যদি কোনো সার্কেলে একটাও ড্রপ আউট দেখানো হয়,তাহলে সেই সার্কেলের স্কুল ইনস্পেক্টর,বিডিও,শিক্ষা বন্ধু আর স্কুলের হেড মাস্টারের কাজ বেড়ে যায়।সরকারী নিয়ম অনুসারে তাদের তখন সেই ড্রপ আউট স্টুডেন্টের বাড়ি যেতে হবে,তার গার্জেনকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে স্কুলে ফেরত আনতে হবে।

    এত ভাঁটের কাজ করার কার এত সময় আছে বলুন তো ?
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৮ এপ্রিল ২০১৪ | ১০৬৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • এমেম | 127.194.242.44 (*) | ২৬ এপ্রিল ২০১৪ ০১:৫৭72671
  • বিষয়টি বহুল আলোচিত। কিন্তু এই লেখায় অনেক নতুন কথা আছে। প'ড়ে উপকৃত হলাম।
  • SK | 80.174.126.187 (*) | ২৬ এপ্রিল ২০১৪ ০৫:২০72670
  • ভীষন ভাল লেখা। আমাদের নেতাদের চৈতন্য কবে হবে?
  • pinaki | 93.180.243.109 (*) | ২৬ এপ্রিল ২০১৪ ০৭:১৮72672
  • আগে স্কুলে ছাত্র শিক্ষক অনুপাত 40:1 ছিল। বাম সরকার নব্বই এর শেষের দিকে বা ২০০১-০২ নাগাদ, ঠিক মনে পড়ছে না, সেটাকে ৮০:১ করার প্রস্তাব দেয় এবং এসেফাই যথারীতি সে নিয়ে টুঁ শব্দটিও করে না। এখন এবিষয়ে এই সরকারের নীতি কি কেউ বলতে পারবে?

    রানার লেখা পড়ি। ছাত্রদের প্রতি আর তাদের সামাজিক অবস্থানের প্রতি যে মমত্ব উনি ধরে রেখেছেন সেটা দেখে খুবই ভালো লাগে।
  • pinaki | 93.180.243.109 (*) | ২৬ এপ্রিল ২০১৪ ০৭:২৪72673
  • ফাংশনাল লিটারেসি নিয়ে আমার অভিজ্ঞতাও একই। ২০০০-০২ - এই তিন বছর আমরা কোন্নগর থেকে দিল্লী রোডের দিকে যেতে কানাইপুর বলে একটা জায়গায় একটা ফ্রী কোচিং সেন্টার চালাতাম। ক্লাস ফোর-ফাইভ থেকে নাইন-টেন অব্দি ছেলেমেয়েরা পড়ত। যখন একদম ঠিকঠাক চলছিল তখন প্রায় ১০০ ছাত্রছাত্রী জুটেছিল। সেখানে দেখতাম সিক্সে পড়া বাচ্চা ঠিক করে বাংলা পড়তে বা লিখতে পারে না।
  • Ekak | 24.99.66.129 (*) | ২৬ এপ্রিল ২০১৪ ১০:০৮72674
  • স্কুল যে ড্রপ আউটের হিসেব দেখায় তাকে চ্যালেঞ্জ করার পথ কী ? বেসিক মিনিমাম লিতেরেসী পাচ্ছে কিনা সেটা চ্যালেঞ্জ করার পথ কী ? মানে হেড মাস্টার থেকে বিডিও সবাইকে চাপের মধ্যে ফেলার ? এটা সমাধান নয় কিন্তু আগে সত্যি টা গেলাতে না পারলে বাকি উদ্যোগ নিতে কেও এগিয়ে আসবে বলে মনে হয়না । কারণ যেই এগোবে সেত এটাকেই প্রমান করছে যে যেখানে আদৌ কোনো ড্রপ আউট নেই সবাই লিখতে পড়তে পারে সেখানে এত প্রশ্ন কিসের ।
  • Atoz | 161.141.84.164 (*) | ২৬ এপ্রিল ২০১৪ ১০:৩২72675
  • আরে আরে আরে পিনাকী, কানাইপুর যে প্রায় আমাদের অঞ্চল! ঃ-)
    আপনি কি কোন্নগরের বা নবগ্রামের বা কোনো সন্নিহিত অঞ্চলের?
    ঐ ফ্রী-কোচিং সেন্টার যেটা আপনারা চালাতেন, সেখানে যে ছাত্রছাত্রীরা আসতো তারা এমনিতে কোন্‌ স্কুলে পড়তো? ঐখানের স্থানীয় স্কুলগুলোতে?
  • pinaki | 93.180.243.109 (*) | ২৬ এপ্রিল ২০১৪ ১০:৪৬72676
  • না আমি ওখানকার নই, আমি সেইসময় রাজনৈতিক কাজের জন্য রিষড়ায় থাকতাম। ৯৯ থেকে ২০০৪ অব্দি রিষড়া, কোন্নগর, উত্তরপাড়া আর হিন্দমোটরে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে থেকেছি। হ্যাঁ, ওখানে যারা পড়তে আসতো তারা লোকাল স্কুলের। কানাইপুর হাইস্কুল, কানাইপুর কন্যা বিদ্যাপীঠ, রামকৃষ্ণ বিদ্যাপীঠ নামে একটা প্রাইমারি স্কুল, আর আরো দু-একটা ছোটোখাটো লোকাল স্কুল থেকে আসতো।
  • Atoz | 161.141.84.164 (*) | ২৬ এপ্রিল ২০১৪ ১১:০৪72677
  • আমার এক বন্ধুনি বলেছিল ওখানের এক প্রাইমারি স্কুলের কথা, সেখানে ও পড়তো। ওর নিজের কথা অনুযায়ী, ঐ স্কুলে কিছুই ও শেখেনি, অক্ষর ও সংখ্যাপরিচয় বাড়ীতে, পড়তে শেখা আর লিখতে শেখাও বাড়ীতে, স্কুলে সপ্তাহে দুতিনদিন যেত, অন্যদিন নিজের মতন খেলাধূলা করে বেড়াতো। স্কুলে শুধু ঐ প্রাইমারি পাশের জন্য যেত।
  • আবু সাজাহান মিঞা | 141.228.29.64 (*) | ২৭ এপ্রিল ২০১৪ ০৪:২২72682
  • আমি খুব ভাল আছি
  • pi | 24.139.209.3 (*) | ২৭ এপ্রিল ২০১৪ ০৬:১১72678
  • কমেন্ট করতে পারছিলাম না। এই এতক্ষণে লেখার বাক্সোটা এসেছে। খুবই দরকারি লেখা।

    শিক্ষার মান নিয়ে রাণা হাতেকলমে যা প্রত্যক্ষ করেছে, কয়েকটা সমীক্ষাও সেকথাই বলেছে। অন্য একটা টইতে http://www.guruchandali.com/guruchandali.Controller?portletId=8&porletPage=2&contentType=content&uri=content1339963544476&contentPageNum=1#.U1yWhvldWSo এনিয়ে আলোচনা হচ্ছিল, সেখানে যেগুলো দিয়েছিলাম বা অন্যেরা দিয়েছিলেন, এখানেও একটু রাখি। রাণা, এই টইটা একটু দেখতে পারিস।

    সুগত মারজিতঃ লেখাটা কেউ খুঁজে দিলে ভাল হয়। কিন্তু এরকম একটা কথা লেখাটাতে ছিলঃ '‘পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু জায়গায় শিশুরা স্কুলে যায় বটে কিন্ত্ত শেখে বড় অল্প৷ ক্লাস ফাইভের ছেলেমেয়ে ক্লাস ওয়ানের অঙ্ক করতে পারে না৷ ’'

    কুমার রাণাঃ http://tinyurl.com/l9u5dd7

    NCAER এর সমীক্ষাঃ
    The NCAER researchers found that just 52 per cent children between 8 and 11 years could read at a Class II level, and just 45 per cent could do a basic mathematical function, subtraction. This is a small fall since 2004-05 for which the numbers were 54 per cent and 48 per cent respectively.
    Children in private schools learn more than in government schools, but not very much

    প্রতীচী রিপোর্টঃ 'আজই দীপাঞ্জন রায়চৌধুরীর একটা লেখা পড়ছিলাম, কুমার রাণাদের প্রতীচীর দ্বিতীয় সমীক্ষা নিয়ে। সেটা ২০০৮-০৯ এর। তার পরে আর কি কোন সমীক্ষা হয়েছে ? এই তথ্যগুলো কোন সমীক্ষার ভিত্তিতে ?
    ঐ রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০০৮-০৯ এ তৃতীয় ও চতুর্ত্থ শ্রেণীর পড়ুয়াদের ১৯% নিজের নাম ছাড়া আর কিছু লিখতে পারেনা, ১৭% পাঠ্য বইয়ের পাতা থেকে রিডিং পড়তে পারেনা, ২৬% অঙ্কের প্রাথমিক ক্রিয়া করতে পারেনা। তফশিল ভুক্ত জনজাতির শিশুদের মধ্যে না পারা সবচে বেশি, তারপর মুসলিম, তারপর তফসিল ভুক্ত জাতির শিশু।'

    ----------
    এবার ছাত্র -শিক্ষক অনুপাত নিয়ে ঃ

    পরিসংখ্যান বলছে, ২০০৬ এ রাজ্যে ছাত্রঃ শিক্ষক = ৪৫ঃ১

    ২০০৯ এ এটা বেটার হয়েছে

    প্রতীচীর রিপোর্ট অনুযায়ী, ২২% স্কুলে এই অনুপাত ৬০ঃ১ । গড় অনুপাতটা কত খুঁজে দেখতে হবে।
    কিন্তু অন্য এক জায়গায় দেখলাম ২০১১ তে এটা নাকি ৩৯ঃ ১ ! কেউ একটু দেখে জানান।

    আলোচনার সুবিধার জন্য প্রথমের রিপোর্টকার্ড টাও থক। এখানে কত শতাংশ স্কুলে RTE র ক্রাইটেরিয়া অনুযায়ী কী কী নেই, সেই সব পরিসংখ্যান আছে।
    http://img.asercentre.org/docs/Publications/ASER%20Reports/ASER_2011/west_bengal.pdf

    -----------------------------------------

    শিক্ষকদের অন্য নানাবিধ 'ডিউটি' র জন্য পড়াতে না পারার কথা সেদিন এই সময়ে প্রকাশিত এক চিঠিতেও পড়ছিলাম।

    'প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলি যদি সরকারি ব্যবস্থায় শুধু দুপুরের খাদ্যের উপর গুরুত্ব ও জোর দেওয়া হয় তা হলে শিক্ষার গুণগত মানের উন্নতি কী ভাবে সম্ভব ? রাজ্য সরকার প্রাথমিক শিক্ষকদের (প্রধানশিক্ষক ) স্টেট অ্যাসিস্টেন্ট পাবলিক ইনফরমেশন অফিসার হিসাবে সম্মান দিচ্ছেন৷ আর তাঁকে রোজ দোকান , বাজার , রান্না , হিসাব , করনিকের কাজ , ৪র্থ শ্রেণির কর্মীর যাবতীয় কাজ সহ পঠন -পাঠন করিয়ে দুটোর সময় ৮ -১০ কিমি দূর থেকে এস আই অফিসে পাঠাচ্ছেন কতজন খেল , কী কী খরচ হল , কে খাদ্য চাখল , খাদ্যের মান কেমন ইত্যাদি যাবতীয় তথ্য দিতে৷ এর পরও বলেন গুণগত মানের শিক্ষা ? '

    --------------------------------------------

    ড্রপ-আউটঃ
    কিন্তু এই কোনো সমীক্ষাতেই যেটা উঠে আসেনি, সেটা হল ড্রপ আউটের 'আসল' রেট এর কথা। সব সমীক্ষাতেই বলা হয়েছে ড্রপাঅউট ~৪-৫% এর মতন। সেখানেই রাণার বাস্তব অভিজ্ঞতা যে সম্পূর্ণ অন্য কথা বলছে, সে নিয়ে কথা হওয়া দরকার। প্রথম বা এই নানা শিক্ষাবিদের সাথে যোগাযোগ করে এই ব্যাপারটায় গুরুতে দেবার কথা বলা যেতে পারে।

    ------------------------------------------------

    তবে রাণাকে একটা প্রশ্ন ছিল।
    'সরকারি স্কুলে পড়াশোনা হয়না,এই গোছের একটা ধারণার জন্ম হয়েছে।' .. এটা কাদের মধ্যে তৈরি হয়েছে ?
  • hu | 12.133.32.100 (*) | ২৭ এপ্রিল ২০১৪ ০৬:২৫72679
  • আবার পাশ-ফেল চালু হলে কি অবস্থা কিছুটা ভালো হবে মনে হয়?
    পাশ-ফেলহীন শিক্ষাব্যবস্থায় ছাত্রের লিখতে-পড়তে শেখার ইন্সেন্টিভটা কি? বিশেষত যেখানে ছাত্র-শিক্ষক অনুপাতের কারনে প্রতিটি ছাত্রের দিকে আলাদা করে মনোযোগ দিয়ে তাকে উদ্বুদ্ধ করা প্রায় অসম্ভব।
  • | 24.97.67.97 (*) | ২৭ এপ্রিল ২০১৪ ০৬:৪৫72680
  • লেখাটা যথারীতি খুবই প্রাসঙ্গিক। এই পিছিয়ে থাকা ছাত্র/ছাত্রীদের ড্রপ আউটের সমস্যা সম্পর্কে একটা অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে চাই।

    বারুইপুরে নিষ্ঠা নামে একটিউ এন জি ও ঐ অঞ্চলের লালবাতি এলাকার বাচ্চাদের জন্য একটি নৈশ বিদ্যালয় চালাতেন ২০০৪-০৫ নাগাদ। এখনও চালু আছে সেটা যতদূর জানি। এছাড়াও একটি বিদ্যালয় দিনের বেলাও চালাতেন। তো সেখানে অনেক সময়ই যখন মাঠে চাষের কাজ চলে তখন বেশ কিছু ছাত্র ছাত্রী অনুপস্থিত থাকত বছরে বেশ কয়েক মাস। এরপরে ক্লাসে ফেরত এলেও এরা ঠিক ফলো করে উঠতে পারত না। ফলে আস্তে আস্তে ড্রপ আউট হয়ে যেত।

    এর প্রতিবিধান করতে এঁরা কলকাতার একটি স্কুলের উদ্যোগে সেই স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে একটি স্বেচ্ছাসেবী গ্রুপ গঠন করেন। ঐ গ্রুপের অল্পবয়সী ছেলেমেয়েরা (কলকাতার স্কুলের ছাত্র ছাত্রী) প্রতি সপ্তাহান্তে গ্রামে গ্রামে ঘুরে ঐ ড্রপ আউটদের সঙ্গে কথা বলে তাদের পড়া বুঝিয়ে দিয়ে আস্তে আস্তে আবার স্কুলমুখী করে। সাফল্যের হার ঐসময় মোটামুটি ৮০ শতাংশ ছিল। অর্থাৎ ৮০ শতাংশ ড্রপ আউট আবার স্কুলে ফেরত এসেছিল।

    এতে দুটো জিনিষ দেখা গেছিল
    ১) ড্রপ আউটদের ক্ষেত্রে সাময়িক অনুপস্থিতির পর বাড়ী বা স্কুলে সেরকম কোনও সাপোর্ট না পাওয়াই ড্রপ আউটের দিকে ঠেলে দেয়।
    ২) বয়স্ক শিক্ষকের তুলনায় প্রায় সমবয়সী ছেলেমেয়েদের কাছে এরা অনেকবেশী মনখুলে নিজের অসুবিধে, না বুঝতে পারার কথা বলতে পারে।
  • souvik ghoshal | 125.243.30.67 (*) | ২৭ এপ্রিল ২০১৪ ০৯:২৬72681
  • আমিও এরকম সরকারী এইডেট স্কুলে পড়াচ্ছি প্রায় চোদ্দ বছর। তার মধ্যে গত এগারো বছর রাজারহাটে। এই স্কুলটায় সংখ্যালঘু গরীব ছেলেমেয়েদের ভীড়। এস এস সির আগে স্থানীয় যে সব টিচাররা পড়াতেন অধিকাংশই নিম্ন মানের। অনেকে নিম্ন রুচিরও। পরনিন্দা পরচর্চার বেশি কিছুতে আগ্রহ ছিল না। বেশ ফাকিবাজ। খুব সাম্প্রদায়িক। ক্লাসরুমগুলো ছিল গাদাগাদি ছাত্রছাত্রীতে ঠাসা। তারা বাড়িতে নানারকম গালমন্দ শুনতো। স্কুলে সেগুলো বন্ধুবান্ধবদের দিত। ধীরে ধীরে পুরনো নিম্ন মেধা ও নিম্ন রুচির পুরনো শিক্ষকরা বিদায় নিলেন। মানে রিটায়ারমেন্টের করলেন। এস এস সি থেকে শিক্ষিত আধুনিক মনের বেশ কিছু মাস্টারমশাই দিদিমণি আসাতে পরিবেশ পঠন পাঠন রেজাল্ট এর লক্ষণীয় উন্নতি হল। কিন্তু নতুন এক সমস্যা এল। এক প্রভাবশালী মাঝবয়সী টিচার আগে সিপিএমের ধামাধরা ছিলেন। এখন টি এম সির বেশ উচ্চকন্ঠ সমর্থক হয়ে উঠলেন। এক বন্ধু টিএমসি নেতাকে পি আই ও সেক্রেটারি করে স্কুলে নিয়ে এসে নিজে মাতব্বর হয়ে উঠলেন। পুরনো অপদার্থ টি আই সি কে আগেই কব্জা করে নিয়েছিলেন। নতুন এক টি আই সি কে চেয়ারে বসিয়ে তাকে ঠুটো জগন্নাথ করে রেখে খুশিমতো স্কুল চালাতে লাগলেন। ডেমোক্রেসি লাটে উঠল। উনি অবশ্য আসলে বিজেপি , ঘোরতর অটোক্রাট। কিন্তু হাওয়া বুঝে এখন টিএমসি। তবে মোদিস্পৃহা গোপন রাখতে পারেন না। বেশ কিছু শিক্ষক খানিক ভয়ে , খানিক ক্ষমতার লোভে তার ধামাধরা হয়ে রইলেন। পড়াশুনোর নাটকটাই বেশি হয়্‍ , চলে নানাবিধ আড্ডা হাসি গান গল্পের মৌতাত। এরকম একটি জায়গায় সরকার এর যদি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ না থাকে , যথেষ্ট শাস্তির ব্যবস্থা না থাকে কর্তব্যে অবহেলায় বা ভালো কাজের পুরস্কারের , তবে ওই থোড় বড়ি খাড়া আর খাড়া বড়ি থোড় ই চলবে। আমার মতে কয়েকটা জিনিস খুব দরকার। ১) পিছিয়ে পড়া এলাকায় বোর্ডিং স্কুল ২) পরিচালন ব্যবস্থাকে সরকারি হাতে নিয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক বৃত্তের বাইরে তাকে নিয়ে আসা , নিয়মিত পরিদর্শন নজরদারীর (বলতেই হল প্রায় পুলিশি নজরদারির কথা ,ফাকিবাজির চরম দেখতে দেখতে) মাধ্যমে শাস্তি ও পুরস্কারের ব্যবস্থা রাখা ৩) পড়ানোর পদ্ধতিকে আধুনিক ও আকর্ষণীয় করে স্লাইড প্রোজেক্টারের মাধ্যমে যত বেশি সম্ভব ক্লাস এর ব্যবস্থা করা ৪) শিক্ষকদের সপ্তাহে একদিন স্টাডি লিভ এর ব্যবস্থা করে তার পড়ানো বিষয়টির ওপর প্রোজেক্ট এর একটি কাজ রাখা , যা ষান্মাসিক বা বার্ষিক হতে পারে ৫) শিক্ষকদের মূল্যায়ন এর সঙ্গে ইনক্রিমেন্ট এর যোগ রাখা। ৬) ছাত্র শিক্ষক অনুপাতকেই কাগজ কলম থেকে বাস্তবে নামানো , কোনও ক্লাসে ৫০ এর বেশি না রাখা ও তাকে ধীরে ধীরে কমিয়ে ৪০ এ নিয়ে যাওয়া। ৭) কমন স্কুল সিস্টেম শুনতে ভালো , কিন্তু প্রাইভেট স্কুলের সাথে টেক্কা দিতে গেলে সব মানের ছাত্রুছাত্রীকে এক স্কুলে পড়ালেখা এগিয়ে থাকা পিছিয়ে থাকা কারোরই লাভ হবে না। বিশেষ গুরুত্বে সর্বশিক্ষার প্রথম কয়েক বছর ফাস্ট জেনারেশন লার্নার দের ও স্লো লার্নারদের আলাদা( কম সিলেবাসের হতে পারে এগুলি) বিশেষ প্রশিক্ষণের শিক্ষক শিক্ষিকা সমন্বিত , (দরকারে বেশি বেতনক্রমের হতে পারেন তারা ),স্কুলে পড়ানোর কথা ভাবা যেতে পারে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই মতামত দিন