এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • হৃদয় বুঝেছে অনুপম

    উদয়ন ঘোষচৌধুরি লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৯ জুন ২০১৫ | ৫৮৯ বার পঠিত
  • বুকের বাঁ দিকে একটা মাছ তড়পায়। মাঝে-মাঝেই। তড়পানি থামাতে বেরিয়ে পড়া এদিক-ওদিক। কখনও কখনও ঠিকও থাকে না। সেটাই হল এবারও। হাওড়া থেকে রাতের ট্রেনে। সাতসকালে আদ্রা। কোথায় যাব, জানি না। ব্যাগ পিঠে হাঁটছি। দূরে জয়চণ্ডী পাহাড়। শেষ মাঘের নরম কুয়াশা। শান্ত রাস্তা। দু পাশের বিস্তীর্ণ ফাঁকা মাঠ বড় ঝিল চিরে চলে গেছে সোজা। ডান দিকটা পূব। জয়চণ্ডীগড় স্টেশন। কুসুম রঙের জামায় ঈশ্বর উঠছেন। কাঁধে বাপির আলতো টোকা। ইশারায় দেখি, হাইটেনশন লাইনের ওপর আশ্চর্য নীল পাখিটা। কোনও ভ্রূক্ষেপ নেই। নিজের মনে দেখছে নিজের সকাল। আমরা দাঁড়িয়ে পড়েছি। শহরে অবাঞ্ছিত আর এখানে অযাচিত – আমাদের দিকে ফিরেও দেখছে না ও! কোনও নির্ভীকের মতোই হঠাৎ উজ্জ্বল ডানা মেলে উড়ে এল মাঠের ওপর। আবার বসল। উৎফুল্ল চন্দ্রানীর ক্যামেরায় চোখ। আর কে যেন ফিসফিস করছে আমার মস্তিষ্ক-কোষে :

    হে আকাশ, হে সময়গ্রন্থি সনাতন,
    আমি জ্ঞান আলো গান মহিলাকে ভালোবেসে আজ;
    সকালের নীলকণ্ঠ পাখি জল সূর্যের মতন।

    তিন লাইনের এই ছবিটা যে ঠিক কিরকম হতে পারে, আশ্চর্য সেই সকাল দ্যাখাল আমাকে। কেউ কেউ বলেন, প্রকৃত একটা কবিতা বুঝতে এক জীবনও লাগতে পারে। কথাটা, হতে পারে, সত্যি। হতে পারে, আঁতলামি। জানি না। তবে, এটুকু মনে হয়, আমার এই জীবনটা যদি মিলিয়ে দিতে পারি আরও কারুর জীবনের সঙ্গে, হয়ত তাহলে বোঝা অনেক সহজ। হতেই পারত, ওই ছবিটা আমি দেখিনি। অন্য কেউ যদি দ্যাখেন, আর বুঝিয়ে দ্যান আমাকে? সেরকম এক আশায় (এক অর্থে, লোভ) পাতা খুলেছি 'সোনালি ডানার চিল'-এর।

    নামকরণেই ধরতাই, জীবনানন্দের জীবনাশ্রয়ী এই উপন্যাস। আপাতব্যর্থ প্রার্থনাগানের মতো যে জীবন আড়ালে। এমন একজনকে নিয়ে এই কাহিনি, যার বাঁচাটা একেবারেই হিরোয়িক ছিল না। কেমন যেন পালিয়ে পালিয়ে বেড়ানো। শহর থেকে। জীবিকা থেকে। সম্পর্ক থেকে। সারাজীবন পালাতে পালাতে ধুঁকতে ধুঁকতে মৃত্যু। সেভাবে কেউ জানল না। বউ বলল, কবিতাকে না হয় অনেক কিছু দিল! আমাকে কি আর দিল! সংসার-পালনে অক্ষম স্বামীর প্রতি তিতিবিরক্ত সে। মেয়ে বড় হয়ে গেছে। বিয়ের কোনও জোগাড় নেই। মহানগরের বুকে বউ একসময় বেছে নিতে চাইল অভিনেত্রীর পেশা। (উদারমনাদের বলি, এ হল সেই সময়, ওই পেশাকে যখন কেউই সুনজরে দেখত না।) জাস্ট বাধ্যবাধকতাটা ভাবতে গেলে কেঁপে যেতে হয়।

    অথচ লোকটা কুঁড়ে নয়। মাথামোটা নয়। সে যুগের তুলনায় বেশ তুখোড় পড়াশোনা। কেন কে জানে, ভাল চাকরি পেয়েও লোকটা করে উঠতে পারে না! কে যেন খামচায়! সে জানে, ভুল হচ্ছে। ভুল হয়ে যায়। তবু সে ঠ্যাকাতে পারে না। ছোটবেলা থেকে নিজেকে আয়নায় দ্যাখে। এই মুখ এই গঠন তার পছন্দ নয়। লজ্জা পায় সে নিজেকে নিয়ে। একা থাকতেই খানিক ভাল লাগে তার। আর এভাবেই একসময় অজান্তে পেয়ে যায় মুখচোরার খ্যাতি।

    একা হয়ে পড়ছিলেন লেখকও। প্রতিটি মানুষেরই, মনে হয়, কোনও না কোনও সময় আসে এই একাকীমনন। রাত্রির গড়িয়ে যাওয়া টের পেতে পেতে একদিন, এক বন্ধুর পরামর্শে, লেখক ঢুকে পড়েন ওই লোকটার জীবনে। ভূমিকায় তেমনই বলেছেন তিনি। ‘অন্ধকারের কবি’ ‘অচরিতার্থ প্রেমের কবি’ ‘হতাশার কবি’ ‘মৃত্যুময়তার কবি’ বলে ছাপ্পাই মারা হয়েছিল যাকে। লেখক দেখলেন – যেন প্রায় আবিষ্কার করলেন – সে ছিল এক রক্তমাংসের মানুষ। যন্ত্রযাপনের যে যুগে যখন কেউই আর প্রকৃত সৎ নয়, তখন কোনও ‘কবি’-ই বা কিভাবে হবেন! লেখক তাকে চিরে নিলেন একেবারে নিজের পাঁজরের মতন। হ্যাঁ, এভাবেই আপন করে লোকটাকে পেলেন লেখক। দ্যাখালেন আমাদের। কয়েকটি উদাহরণ : প্রাকবৈবাহিক প্রেমিকার ঘরে শৃঙ্গারমুহূর্তে মেয়েটি এড়িয়ে যায় শরীর খারাপের কারণে (লোকটির ডায়েরি থেকে আন্দাজ হয়, প্রেমিকা রজঃবেদনাকাতর)। যদিও কার্যত বেকার, তবু বিয়ের লোভে, হবু-স্ত্রীর কাছে সে কথা চেপে যায় লোকটা। এদিকে কামশীতল স্ত্রী হরহামেশা বিরক্ত স্বামীর পরশে। লোকটি জানতে চায়। বৌ বলে, অনটনের ভাঁড়ারে অবাঞ্ছিত আরেকটি গর্ভসঞ্চারের ভয়। রোজগারে অপারগ লোকটি বেছে নিতে যায় জীবনবীমা বেচার কাজ। নিজেকে যে বেচতে পারে না, সে আর কোন কাজে লাগে! একসময় কবিতাও ছেড়ে যায় তাকে। অনেকদিন লেখা বন্ধ থাকে। মাঝে কিছু গল্প উপন্যাসের ব্যর্থ চেষ্টা – যা শুধু ট্রাঙ্কবদ্ধই হয়ে থাকে। নিশুতি রাতে একা-একা ঘুরে বেড়ায় সে। খুঁজে বেড়ায় ফেলে আসা বরিশালের ছোট্ট কুমোরপোকা। মানুষের মতো এই পোকাটাও গোটা জীবন লাগিয়ে দ্যায় একটা সুস্থ ঘর বানাতে। হাঁটতে হাঁটতে লোকটা এসে দাঁড়ায় প্রতিবেশী গৃহস্থালির জানলায়। অন্ধকারের আলোতে দ্যাখে আবদ্ধ দুই নরনারীর সঙ্গমস্নান। শুনতে পায় স্নিগ্ধশীৎকার। ইন্দ্রিয় পুড়তে থাকে তার। প্রার্থনা করে, তার স্ত্রীরও যেন জুটে যায় কোনও যোগ্য প্রেমিক। এমনকি এ-ও ভাবে, তরুণী মেয়ে ও প্রাক-প্রৌড়া মা পেয়ে যাক কোনও একই পুরুষ – অন্তত তাতেও যদি শান্তি পায় পৃথ্বী!

    এসব তো হল কাহিনি-বিন্যাস। এবার একটু নির্মাণ দেখি। চরিত্রায়নে গভীর মুনশিয়ানা। মানসপটের খোঁজে লেখক ঘেঁটে ফেলেছেন জীবনানন্দ-সম্পৃক্ত তাবৎ উপাদান, শিল্প-ভাবনা, স্ত্রী-ভাই-বোন-বন্ধুসহ অন্যদের স্মৃতিকথা। লোকটা কবিতা লিখত বলে অযথা তাকে ঋষি বা দেবতা বানিয়ে দ্যাননি তিনি। অথবা প্রচলিত ঘরানায় দ্যাখাননি যে বউ-ই ছিল খাণ্ডারনি ভিলেন। দিনরাত ছোবল মারছে স্বামীকে – এমন নারীও নয় সে একেবারেই। বরং এরকমই মনে হয়, প্রত্যেকেই প্রত্যেকের কক্ষপথে যথাযথ – শুধু কেউ যেন কারুর বিন্দু ছুঁতে পারছে না। অনেকটা ক্লাসিক গ্রিক বা শেক্সপিয়ারিয়ান ট্র্যাজেডি। মানুষ শুধুই ঘটনাক্রমের সাক্ষী। ইনারশিয়ার দাস। অদৃষ্টের ট্যাইর‍্যানিতে পাক খাচ্ছে সকলেই। নামকরণেও পাওয়া যায় লেখকের উজাগর দৃষ্টি। নায়ক শুধুই ‘আনন্দ’ – ঠিক যেমন যথার্থ সফল ‘জীবন’ তার কাছে নেই। স্ত্রী ‘প্রভা’ – দুর্দশা কেড়ে নিয়েছে যার ‘লাবণ্য’। আপাত-এয়ো হয়েও সে যেন আদতে বিধবা।

    প্রতিটি পরিচ্ছেদের শুরুতে রাখা হয়েছে জীবনানন্দেরই কবিতার লাইন। পরিচ্ছেদগুলি পড়তে পড়তে মনে হয়, কোনও ঐশী বা দৈবীলব্ধতায় নয়, কবির নিত্যযাপন থেকেই উঠে আসছে ওইসব মন্ত্রমুগ্ধ শব্দরাজি। অনেকেই বলেন, এই কবির লেখা বুঝতে পারা মুশকিল; হয়ত এই বই তাদের সাহায্য করবে খানিক আলোকপাতে। বুঝতে শেখাবে ওই লোকটাকে, প্রতিনিয়ত যুঝতে-থাকা একটা মানুষকে; কেউ টের পাচ্ছে না, গহীনে সে পচাচ্ছে নিজেকে – আলোবাতাসহীন যে পচন সার হয়ে উঠল একদিন। বদলে দিল বাংলা কবিতার আঙ্গিক। পাঠকের হাত ধরে নিয়ে গ্যালো ভাষা ও শব্দের নতুন দ্যোতনায়। নিয়ে গ্যালো প্যাঁচা, ফড়িং, ইঁদুর, আর মেয়েমানুষের চুলের নোনতা গন্ধের কাছে। অ্যালেন গিনসবার্গ যথাযথ বলেছিলেন, “...(Jibanananda) did introduce what for India would be ‘the modern spirit’: bitterness, self-doubt, sex, street diction, personal confession...” কেননা, তিমিরবিলাসী নন – আসলেই তিমিরবিনাশী তিনি।

    সংলাপ স্বাভাবিকভাবেই কল্পনাপ্রসূত। এছাড়া উপায়ও নেই। বন্ধুরা কেউ কেউ আত্মকথা লেখার অনুরোধ করলেও সলজ্জে এড়িয়ে গেছেন কবি। লেখক তাই মূলত নির্ভর করেছেন জীবনানন্দের চিন্তাপ্রবাহের ওপর। সাহায্য নিয়েছেন কবির চিঠিপত্র, ডায়েরি ইত্যাদির। প্রচলিত ভঙ্গিতে লিখতে চাননি তিনি। কেননা, মূল চরিত্রই এখানে আপাতঅর্থে অপ্রচলিত। অনাধুনিক। গ্রামপতনের আর্তনাদ আর নগরপত্তনের উল্লাসে বেদনাকাতর। Content creates its form and frame – ভূমিকায় লেখক বলেছেন – “এই (জীবনানন্দের মানবিক) ‘অবস্থান’কে উপন্যাসের ‘আধুনিক’ কাঠামো ধারণ করতে অক্ষম।” তবুও কোথাওই মনে হয় না গদ্যব্যবহারে অকুলান আবেগ। কোথাওই লাগে না অনাবশ্যক রহস্যকুয়াশার ঘোর। জীবনানন্দকে জ্যান্ত করে তুলতে ধূসরমানবকে ফুটিয়ে তোলার পরীক্ষায় এখানেই জিতে যান লেখক। রেখে দ্যান নিজস্ব ছাপ। চমৎকার গদ্যভাষা। বারবার পড়বার মতো। বিশুদ্ধ নির্দেশের মতো। নিঃসঙ্গ চেতনার মতো।

    আরেকটি বিষয় উল্লেখ করা খুব দরকারি – লেখক, আমরা জানি, ঘোষিতভাবেই প্রতিষ্ঠান-বিমুখ। তাই হয়ে উঠতে পারেন প্রকৃত সাহসী ও অকপট। চমৎকার কিছু সত্য দেখিয়ে দ্যান নির্মোহ কলমে। কয়েকটি উদাহরণ : বইপাড়ার হাতে গোনা কিছু সম্পাদক ও প্রকাশক, যারা ছাপতেন জীবনানন্দের কবিতা, তারাও সম্পূর্ণ নিতে পারেননি কবির স্ফুরণ। বুদ্ধদেব বসুর পছন্দ নয় 'মহাপৃথিবী'-র পরবর্তী লেখার বাঁক। সঞ্জয় ভট্টাচার্য একটু-আধটু চাইলেও পয়সা সংকুলানে নিজেই কাতর। সিগনেট প্রেসের দক্ষ ও ভিন্ন ভাবনার ডিকে গুপ্ত ভাল বিক্রি সত্ত্বেও কোনও ঝুঁকি নিতে পিছপা। বরং বের করেন 'বনলতা সেন'-এরই পরিবর্ধিত সংস্করণ। কেরিয়ারের শুরুতে এখানে মলাটের কাজ করতেন সত্যজিৎ রায়। তার আঁকা প্রচ্ছদ পছন্দ হয় না কবির। লেখক বসিয়েছেন দ্ব্যর্থহীন ডায়লগ, “বিদিশার নিশা তিনি (সত্যজিৎ) দেখতে পাননি... তার কোনও আভাস নেই ছবিটাতে”। পাঠক নিশ্চয় দ্বিমত হবেন না, নিজক্ষেত্রে বিশ্বমানের শিল্পী হলেও রায়বাবুর কবজি ছিল না কবির মানসীকে রূপ ও রং দেওয়ার। ‘পাখির নীড়ের মতো চোখ’ কোনও আঁকিয়ে এখনও পেরেছেন কি না, জানা নেই। ‘পূর্ব্বাশা’ যখন তার বইয়ের বিজ্ঞাপনে লেখে ‘আধুনিক বিখ্যাতদের মধ্যে নির্জনতম’ বা অন্নদাশংকর বলেন ‘আমাদের মধ্যে শুদ্ধতম’ – কবির মৃদু ব্যাঙ্গ পেয়ে যাই, “...এ কথার কি মানে? কোনও মানে নেই, ননসেন্স বাট শুনতে ভাল।” আর লেখক এসব লিখে গেছেন কোনও রাখঢাক না করেই। এমনকি কোনও নামোল্লেখেও কোথাও দ্বিধা করেননি তিনি।

    কাল্পনিক কিছু প্রবাহ থাকলেও আখেরে তথ্যনিষ্ঠ, বস্তুনিষ্ঠ, ইতিহাসনিষ্ঠ। পরতে পরতে উঠে এসেছে সে সময়ের সাম্প্রদায়িক রাজনীতি, স্বাধীনতা আন্দোলন, দেশভাগের দাঙ্গা, সাহিত্যগোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, প্রকৃতির চিত্রকল্পময়তা, বিভক্ত বাংলার দগদগে রক্তাক্ত মুখ। এই বই কাঁদায় না। হাসায় না। দ্যাখায়। ভাবায়। বাংলা সাহিত্যের একাগ্র পাঠকের কাছে এই বই একাধারে ব্যক্তি ও সময়ের দর্পণ। চূড়ান্ত রিসার্চ না হলে এই কাজ সম্ভব ছিল না।

    একটা কথা উপন্যাসটি শেষ করে মাথায় আসে। অনেককে নিয়েই তো অনেক হল, এই মানুষটিকে নিয়ে একটি ফিল্ম বানালে কেমন হয়? চরিত্ররেখা, দৃশ্যনির্মাণ, এবং সংলাপের কাজটা প্রভূত পরিশ্রমে লেখক করেই রেখেছেন। জানি, জীবনানন্দের ধূসরযাপন ফুটিয়ে তোলার পাঠক্রম কোনও ইনসটিটিউশনে পাওয়া যাবে না, তবু একটু চেষ্টা হলে মন্দ কি! 'নস্টালজিয়া', 'ড্রিমস', বা 'দারসু উজালা' যারা দেখেছেন, বোধ হয়, সম্ভাবনায় মতভেদ রাখবেন না। প্লিজ, ভাববেন নাকি কেউ?

    সোনালি ডানার চিল / সুরঞ্জন প্রামাণিক / উবুদশ, কলকাতা – ১২ / ৯৪৩৩৮১৯১০৩, ৯৪৭৭০৩৫৮৭৬
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৯ জুন ২০১৫ | ৫৮৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • pharida | 127.194.35.227 (*) | ২০ জুন ২০১৫ ০২:৪৯67123
  • বাহ।
  • 0 | 132.163.6.190 (*) | ২০ জুন ২০১৫ ০৮:৪৬67124
  • "তবে, এটুকু মনে হয়, আমার এই জীবনটা যদি মিলিয়ে দিতে পারি আরও কারুর জীবনের সঙ্গে, হয়ত তাহলে বোঝা অনেক সহজ। হতেই পারত, ওই ছবিটা আমি দেখিনি। অন্য কেউ যদি দ্যাখেন, আর বুঝিয়ে দ্যান আমাকে? সেরকম এক আশায় (এক অর্থে, লোভ) পাতা খুলেছি 'সোনালি ডানার চিল'-এর।"
    খুলতে হলো - টুপি। বইটা কিনতে হবে। এ রিভিউ পড়ার পর ছট্‌ফট্‌ লাগছে :-)
  • মনোজ ভট্টাচার্য | 24.99.61.151 (*) | ২০ জুন ২০১৫ ০৯:৪৪67125
  • হায় চিল ! সোনালি ডানার চিল !

    লেখার শেষে এসে মনে হল সত্যিই - ' সে সময়ের সাম্প্রদায়িক রাজনীতি, স্বাধীনতা আন্দোলন, দেশভাগের দাঙ্গা, সাহিত্যগোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, প্রকৃতির চিত্রকল্পময়তা, বিভক্ত বাংলার দগদগে রক্তাক্ত মুখ। এই বই কাঁদায় না। হাসায় না। দ্যাখায়। ভাবায়। বাংলা সাহিত্যের একাগ্র পাঠকের কাছে এই বই একাধারে ব্যক্তি ও সময়ের দর্পণ।' - খুব সুন্দর এই ব্যাখ্যা !

    মনোজ
  • ranjan roy | 132.180.170.196 (*) | ২১ জুন ২০১৫ ০৬:৫৭67126
  • উদয়নবাবু,
    বইটা কিনতে চাই? কত দাম? দিল্লিতে কীভাবে পাবো? ফ্লিপকার্টে হতে পারে? প্লীজ জানাবেন।
    আরও এমন সব বইয়ের খোঁজ চাই, লিখুন প্লীজ!
  • | 24.97.71.61 (*) | ২১ জুন ২০১৫ ০৭:৪৭67127
  • বাঃ! ইন্টারেস্টিং লাগল।
    অনেক ধন্যবাদ বইটির সাথে পরিচয় করিয়ে দেবার জন্য।
  • উদয়ন | 126.193.137.64 (*) | ২১ জুন ২০১৫ ০৮:১১67128
  • রঞ্জনবাবু, যতদূর জানি, বইটি আপাতত বোধহয় পাওয়া যায় না। দু-চার কপি প্রকাশকের কাছে থাকলেও থাকতে পারে। ওপরে ফোন নং-এ কথা বলতে পারেন।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে প্রতিক্রিয়া দিন